বার্বাডোসে গিলক্রিস্ট ম্যাজিক, অস্ট্রেলিয়ার হ্যাটট্রিক বিশ্বকাপ জয়

২৩ মে, ১৯৯৯। পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচের পর অস্ট্রেলিয়া একটি জিনিস ভুলে গেলো। সেটি হলো বিশ্বকাপে কীভাবে ম্যাচ হারতে হয়। পরের এক যুগে যে টানা তিন বিশ্বকাপ জিতেছে শুধু তা-ই নয়, উপমহাদেশকে হ্যাটট্রিক কান্না করিয়েছে অজিরা। ১৯৯৯ সালে পাকিস্তান, ২০০৩ সালে ভারত আর ২০০৭ শ্রীলঙ্কা। দক্ষিণ এশিয়ার তিন দেশকে টানা তিন বিশ্বকাপের ফাইনালে হারিয়েছিল স্টিভ ওয়াহর উত্তরসূরিরা।
রিকি পন্টিংয়ের দল ২০০৭ সালে ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জ গিয়েছিলো আরও এক মিশনে। ব্রায়ান লারার দল গ্রুপ পর্বে সবগুলো ম্যাচ জিতলো। সুপার এইটে ‘কুফা’ শুরু হলো অস্ট্রেলিয়ার সাথে হার দিয়ে। লারার নিজের দেশের মাটিতে সেবার বাংলাদেশ সবগুলো গ্রুপ পর্বের ম্যাচ খেলেছিলো, বি গ্রুপের ম্যাচগুলো হয়েছিলো কুইন্স পার্ক ওভাল, ত্রিনিদাদে। সেই লারার শেষ বিশ্বকাপেও বিবর্ণের শুরুটা দেখিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া।

২৮ এপ্রিল, ২০০৭। কেনসিংটন ওভাল, বার্বাডোস। হাতের ভেতর স্কোয়াশ বল রাখা গিলক্রিস্ট বার্বাডোসে যে টর্নেডো তুলেছিলেন সেটি ৩৮ ওভারের ম্যাচের জন্য ‘যথেষ্ট’ নয় বরং বাড়াবাড়িই ছিলো। ১৪৯ রানের প্রতিটা শট যেভাবে জয়াবর্ধনের দলের ফিল্ডারদের খাটিয়েছিল তা গিলক্রিস্ট তার অটোবায়োগ্রাফিতে আলাদা একটা পরিচ্ছেদও রাখবেন বোধহয়।
বৈরী আবহাওয়া শুরুতেই ১২ ওভার কমিয়ে দিলো ফাইনালের। ১৭২ রানের ওপেনিং জুটি ভেঙে ম্যাথু হেইডেন যখন আউট হলেন, তখন তার রান মাত্র ৩৮। পন্টিংয়ের ব্যাট সেদিন সৌরভ গাঙ্গুলির দলের বিপক্ষে জোহানেসবার্গ ফাইনালের মতো হাসেনি। সাইমন্ড কিংবা তখনকার তরুণ ওয়াটসন-ক্লার্ক সবাইকে ছাপিয়ে অজি ইনিংসের টপ পারফর্মার গিলক্রিস্ট। আগেই ঘোষণা দিয়েছিলেন সেটি হতে যাচ্ছে তার শেষ বিশ্বকাপ ম্যাচ। এরচেয়ে বর্ণিল শেষ কি হয়?

আবহাওয়া বাধ সাজলো জয়াবর্ধনের দলের। শ্রীলঙ্কার ফাইনাল ‘কুফা’টা’ সেদিন থেকেই শুরু। এরপর ২০০৯ বিশ্ব টি-টোয়েন্টি, ২০১১ বিশ্বকাপ, দেশের মাটিতে ২০১২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনাল হেরেছিল দ্বীপরাষ্ট্রটি। অস্ট্রেলিয়ার হ্যাটট্রিক বিশ্বকাপ যেখানে শেষ হয় শ্রীলঙ্কার হ্যাটট্রিক ফাইনাল হারের গল্প সেখান থেকেই শুরু। এই ফাইনাল হারের জুজু অবশ্য বিদায় নেয় ঢাকায়, ২০১৪ সালে।
নিউক্যাসলের বিপক্ষে জয়, চ্যাম্পিয়নস লিগে আর্সেনাল

মেসিকে ২০২৬ বিশ্বকাপেও চান এএফএ সভাপতি

পাঁচ গোলের ম্যাচে রিয়ালকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন বার্সা
