প্রযুক্তি

পারমাণবিক অস্ত্র কর্তৃপক্ষের (ন্যাশনাল কমান্ড অথরিটি) সঙ্গে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের জরুরি বৈঠকের খবর নাকচ করে দিয়েছে ইসলামাবাদ। শনিবার (১০ মে) দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ এ তথ্য ভিত্তিহিন বলে নাকচ করে দেন।

এর আগে, পাকিস্তানের ন্যাশনাল কমান্ড অথরিটির জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে বলে জানায় বিভিন্ন গণমাধ্যম। বলা হয়, ভারতের চলমান হামলা মোকাবিলায় শক্তিশালী অস্ত্র ব্যবহার নিয়ে সভায় আলোচনা হবে। অথরিটির কাছ থেকে সবুজ সংকেত পেলে পাকিস্তান সেনাবাহিনী বিধ্বংসী সব অস্ত্র ভারত সীমান্তে মোতায়েন করতে পারবে।

এ বিষয়ে এআরওয়াই টেলিভিশনকে আজ শনিবার খাজা আসিফ বলেন, ন্যাশনাল কমান্ড অথরিটির সঙ্গে কোনো বৈঠক হয়নি, কোনো বৈঠক হওয়ার সময়সূচিও ছিল না।

উল্লেখ্য, পাকিস্তানের ন্যাশনাল কমান্ড অথরিটি একটি শীর্ষ সামরিক ও বেসামরিক পর্ষদ। এ কমিটি দেশটির পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবস্থাপনা করে এবং পারমাণবিক অস্ত্র–সংক্রান্ত নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে থাকে।

প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি-বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানিয়েছেন, নতুন তিনটি স্তরে ইন্টারনেটের মূল্য কমছে। তিনি জানিয়েছেন, ফাইবার অ্যাট হোমের ম্যানেজমেন্ট নিশ্চিত করেছেন যে, আইটিসি পর্যায়ে ১০ শতাংশ, আইআইজি পর্যায়ে ১০ শতাংশ এবং এনটিটিএন বা ন্যাশনাল ট্রান্সমিশন পর্যায়ে ১৫ শতাংশ মূল্য হ্রাস করবেন তারা।

আজ সোমবার (২১ এপ্রিল) সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে একথা জানান তিনি।

ফেসবুক বার্তায় তিনি বলেন, এরআগে, আইএসপি লাইসেন্স প্রাপ্ত কোম্পানিগুলোর অ্যাসোসিয়েশন থেকে পাঁচ এমবির পরিবর্তে ৫০০ টাকায় ১০ এমবি ইন্টারনেট প্রদানের নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছে। তারও আগে আন্তর্জাতিক গেটওয়ে পর্যায়ে বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি সকল আইআইজি এবং আইএসপি গ্রাহকদের জন্য ১০ শতাংশ, এবং পাইকারি গ্রাহকদের জন্য অতিরিক্ত ১০ শতাংশসহ মোট ২০ শতাংশ দাম কমিয়েছে। এ নিয়ে ইন্টারনেট লাইসেন্স রেজিমের মোট তিন থেকে চারটি স্তরে ইন্টারনেটের মূল্য কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

শুধুমাত্র মোবাইল সেবাদাতা তিনটি বেসরকারি কোম্পানির দাম কমানোর ঘোষণা বাকি আছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যেই সরকার মোবাইল কোম্পানিগুলোকে ডিডব্লিউডিএম এবং ডার্ক ফাইবার সুবিধা প্রদান করেছে। এমতাবস্থায় বেসরকারি মোবাইল কোম্পানিগুলোর ইন্টারনেটের দাম না কমানোর কোনো ধরনের যৌক্তিক কারণ কিংবা অজুহাত অবশিষ্ট থাকে না।

তিনি আরও বলেন, সরকার এমএনওগুলোকে পলিসি সাপোর্ট দিয়েছে, এবং সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে আন্তর্জাতিক এবং জাতীয় স্তর গুলোতে পাইকারি পর্যায়ে ইন্টারনেটের দামও কমিয়েছে। এখন তাদের জাতীয় উদ্যোগে শরিক হবার পালা। মোবাইল ইন্টারনেটের দাম কমানোর পদক্ষেপে চলমান উচ্চ মূল্যস্ফীতিও সামান্য কিছুটা কমে আসবে বলে আশা করি।

ধাবমান প্রযুক্তিতে ক্রমশ গতিশীল হচ্ছে বিশ্ব। হাতের মুঠোয় চলে আসছে পৃথিবী। এ দৌড়ের সাথে তাল মেলাতে বিশ্বের সবচেয়ে হালকা স্মার্টফোন নিয়ে বাজারে এলো চীনা প্রতিষ্ঠান ‘টেকনো’। শুক্রবার (৭ মার্চ) এক প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিএনএন নিউজ এ তথ্য জানায়।

মাত্র ৫ দশমিক ৭ মিলিমিটার পুরু ‘স্পার্ক স্লিম’ মুঠোফোনটির প্রদর্শন হয়েছে বার্সেলোনায় মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, কিছুদিনের মধ্যেই মিলবে বাজারে। আইফোন সিক্সটিন প্রো ম্যাক্স, গ্যালাক্সি এস টুয়েন্টি ফাইভ আল্ট্রার মতো বাজারে থাকা শক্তিশালী ডিভাইসগুলোকে টেক্কা দিচ্ছে ‘স্পার্ক স্লিম’।

এছাড়াও ‘ক্যামন-৪০’ স্মার্টফোন সিরিজ, ‘টেকনো এআই গ্লাসেস প্রো’ চশমা ও ‘মেগাবুক এস-১৪’ ল্যাপটপ বাজারে নিয়ে এসেছে কোম্পানিটি। ‘হ্যান্ডস ফ্রি ফিচার’ অর্থাৎ ফোন স্পর্শ না করেই কল রিসিভ ও ম্যাসেজিং, চশমার কাচের মাধ্যমে অটোমেটিক রিয়েল-টাইম অনুবাদের মতো অভিনব ফিচার সংযুক্ত হয়েছে নতুন ডিভাইসগুলোতে।

নতুন পণ্যের ভীড়ে দর্শনার্থীদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু ছিল টেকনোর ‘লাইটওয়েট এন্ড কম্প্যাক্ট’ ডিভাইসটি। এরইমধ্যে বিশ্বের সবচেয়ে কম পুরু ফোনের তকমা পেয়ে গেছে মোবাইলটি।

পূর্বঘোষিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এবার কানাডা-মেক্সিকোর ওপর ২৫ শতাংশ বর্ধিত শুল্কারোপ কার্যকর করলো যুক্তরাষ্ট্র। অন্যদিকে, এক মাস যেতে না যেতেই আবারও চীনের ওপর ১০ শতাংশ শুল্কারোপ ওয়াশিংটনের। বিপরীতে পাল্টা ব্যবস্থা নিয়েছে দেশগুলো। পাল্টাপাল্টি শুল্কারোপে এখন অনেকটাই উত্তপ্ত বিশ্ব অর্থনীতি।

বিশ্লেষকদের মতে, বাণিজ্য অংশীদারদের চাপে ফেলতে ট্রাম্প শুল্কোরোপ করলেও তাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বিশ্ব অর্থনীতিতে। ওয়াশিংটন দেশীয় উৎপাদন বাড়ানো এবং নতুন কর্মসংস্থান তৈরির কথা বললেও তাতে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে যুক্তরাষ্ট্রই। বিশ্ব অর্থনীতিতে তৈরি হতে পারে নতুন মেরুকরণ। সৃষ্টি হতে পারে নতুন বাজার।

সাপ্লাই চেইন বিশেষজ্ঞ ক্যামেরন জনসন বলেন, পাল্টাপাল্টি শুল্কারোপে বিশ্ব বাণিজ্যে নতুন মেরুকরণ সৃষ্টি হচ্ছে। ইউরোপীয় দেশগুলো চীনসহ জাপান-অস্ট্রেলিয়ার মতো মার্কিন মিত্রদের কাছে যাওয়ার চেষ্টা করছে। চীনও তাদের বাজারে সুযোগ দিয়ে দেশগুলোর দিকে ঝুকছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যেটা তা হলো- বিশ্ব বাণিজ্য আর আগের মতো নেই।

বিশ্লেষকদের ধারণা, এমন সিদ্ধান্তের ফলে আবারও মুল্যস্ফীতি দেখা দিতে পারে যুক্তরাষ্ট্রে। ক্যামেরন জনসন এ প্রসঙ্গে আরও বলেন, আমরা বাণিজ্য যুদ্ধের মধ্যে আছি। যুক্তরাষ্ট্র তার শুল্কনীতি ব্যবহার করে দরকষাকষির সুযোগ বাগিয়ে নিচ্ছে। বিশেষত তার মিত্রদের কাছে। কেননা, ওয়াশিংটন মনে করে এই দেশগুলোর কারণেই তারা পিছিয়ে পড়ছে।

প্রতিবেশী কানাডা এবং মেক্সিকোকে যুক্তরাষ্ট্রের দুই শীর্ষ বাণিজ্যিক অংশীদার হিসেবে দেখা হয়ে থাকে। দেশটির বাণিজ্যকৃত মোট পণ্যের ৩০ শতাংশই আমদানি-রফতানি হয় দু’দেশে। পরিসংখ্যান বলছে, যার পরিমাণ আনুমানিক এক দশমিক ৬ ট্রিলিয়ন ডলারেরও বেশি। অন্যদিকে, কৃষিজাত পণ্য রফতানিতে চীনের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল যুক্তরাষ্ট্র।

অনেক চাপ থাকার পরও এই মুহূর্তে সরকারের বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মোহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বিদ্যুৎ ভবনে রমজান মাসে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ পরিস্থিতি নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান তিনি।

উপদেষ্টা বলেন, রমজান মাসকে লোডশেডিং মুক্ত রাখতে সব ধরনের চেষ্টা করা হবে। চাহিদা ও যোগানের মধ্যে এমন ভারসাম্য রাখা হবে, যাতে কোনো ত্রুটি না হয়।

উপদেষ্টা আরও বলেন, ১৮ ডিগ্রি’তে না রেখে এসি ২৫ থেকে ২৬ ডিগ্রি তাপমাত্রায় চালানো হলে গরমের সময় ৩ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সাশ্রয় সম্ভব। গরমকালে ৭০০ থেকে ১৪০০ মেগাওয়াট পর্যন্ত লোডশেডিং হতে পারে বলেও জানান উপদেষ্টা।

তিনি আরও বলেন, যারা নতুন সংযোগ কিংবা শিল্প কারখানায় অতিরিক্ত গ্যাসের লোড চাইবেন তাদের ক্ষেত্রে বিইআরসি’র প্রস্তাবিত নতুন গ্যাসের দাম কার্যকর হবে।

নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে আমদানি করা জলবিদ্যুতে ঝুঁকছে বাংলাদেশ। সরকারের এই অবস্থান স্পষ্ট করে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, নেপাল ও ভুটান থেকে জলবিদ্যুৎ আনতে কাজ করছে সরকার।

বুধবার (১৩ নভেম্বর) আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলন (কপ-২৯) শেষে এসব কথা জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

তিনি বলেন, জলবিদ্যুতের জন্য দক্ষিণ এশীয় গ্রিড তৈরির ওপর জোর দিচ্ছে বাংলাদেশ। ইতোমধ্যে নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ আমদানির বিষয়টি চূড়ান্ত হয়েছে। নেপালের পাশাপাশি ভুটান থেকেও আমদানির সম্ভাবনা উজ্জ্বল। তবে সে জন্য লাগবে ভারতের অনাপত্তি।

প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, দক্ষিণ এশীয় গ্রিড করার স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ। পাশাপাশি, দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়াতে সার্ককে কার্যকর করাও ডক্টর ইউনূসের কূটনীতির অগ্রাধিকার।

বাংলাদেশ ও নেপালের দূরত্ব কমবেশি ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার। গ্রিড হলে নেপালের জলবিদ্যুৎ সহজলভ্য হবে। বাংলাদেশ বর্তমানে ভারতীয় গ্রিডের মাধ্যমে নেপাল থেকে বিদ্যুৎ পায়।

আইন করে কুইক রেন্টাল সংক্রান্ত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিষয়ে দায়মুক্তি দেয়া অবৈধ ছিলো বলে জানিয়েছেন হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

হাইকোর্ট বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধিতে বিশেষ আইন ২০১০ এর ৯ ধারায় দায়মুক্তি দেয়া হয়। এছাড়া ক্রয় সংক্রান্ত ৬ ধারা অনুযায়ী মন্ত্রীকে একক সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা দেয়া হয়। যা সম্পূর্ণ অবৈধ।

কুইক রেন্টাল সংক্রান্ত বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০ এর ৯ ধারায় দায়মুক্তি কেন অবৈধ ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলের শুনানি শেষে গত ৭ নভেম্বর বৃহস্পতিবার রায়ের দিন ধার্য করেন হাইকোর্ট। বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ড. শাহদীন মালিক। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার সিনথিয়া ফরিদ।

গত ২ সেপ্টেম্বর কুইক রেন্টাল সংক্রান্ত বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধিতে করা বিশেষ বিধান কেন অবৈধ ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এর আগে, কুইক রেন্টালে দায়মুক্তি এবং ক্রয় সংক্রান্ত ৬ (২) ধারার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী।

বিতর্কিত সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিলের বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

বৈঠক শেষে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

এর আগে, গত ৩ অক্টোবর আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছিলেন, অবশ্যই সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল করা উচিত। সেদিকেই যাব। আল্টিমেট এটা বাতিল হবে। পরবর্তীকালে যখন নতুন আইন হবে, এটার বেসিক অ্যাপ্রোচ থাকবে সাইবার সুরক্ষা দেয়া, বিশেষ করে নাগরিককে সুরক্ষা দেয়া।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলামও বলেছিলেন, এ সপ্তাহে এই আইন বাতিল হচ্ছে।

উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গত বছর বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করে তার বদলে সাইবার নিরাপত্তা আইন করা হয়েছিল। এ নিয়ে সেসময় ব্যাপক বিতর্ক ও সমালোচনা হয়।

সিলেটের হরিপুর গ্যাস ক্ষেত্রের পুরাতন ৭ নম্বর কূপে নতুন করে পাওয়া গ্যাস জাতীয় গ্রীডে যুক্ত হচ্ছে আজ। প্রতিদিন ৮০ লাখ ঘনফুট নতুন করে যুক্ত হচ্ছে। মজুদ রয়েছে ৯৪ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস। উত্তোলন করা যাবে ১৫ থেকে ২০ বছর।

সিলেট গ্যাস ফিল্ড কর্মকর্তাদের দেয়া তথ্য মতে, এই কূপটি ১৯৮৬ সালে দেশের প্রথম তেল কূপ ছিল। ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত এই কূপ থেকে ৫ লাখ ৬১ ব্যারেল তেল উৎপাদনের পর বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে ২০০৫ সালে আবারো ওয়ার্ক ওভারের মাধ্যমে এই কূপের অন্য একটি স্তর থেকে গ্যাস উত্তোলন করা হয়।

২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত এই কূপ থেকে প্রায় ৩১ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলনের পর আবারও বন্ধ হয়ে যায়। পরে পরীক্ষা নীরিক্ষা শেষে আবারও ওয়ার্ক ওভারের সিদ্ধান্ত নেয় সিলেট গ্যাস ফিল্ড লিমিটেড। সফলতাও আসে। মাত্র ৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে এই বন্ধ কূপের দুটি স্তরে ২২ অক্টোবর নতুন করে গ্যাসের সন্ধান মেলে। প্রাথমিক তথ্য মতে, প্রায় ৯৪ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মজুদ রয়েছে বলে জানা যায়। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকা।

৮৫০ মিলিয়ন ডলার বকেয়া পরিশোধ না করা হলে ৭ নভেম্বরের মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়া হবে বলে বাংলাদেশকে জানিয়েছে আদানি পাওয়ার।
এমনটি বলা হয়েছে, ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার একটি প্রবিবেদনে ।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এর আগে, ৩১ অক্টোবরের মধ্যে এই পাওনা পরিশোধ এবং ১৭০ মিলিয়ন ডলারের একটি লেটার অফ ক্রেডিট (এলসি) জমা দেওয়ার শর্ত দেয় আদানি। তবে বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (বিপিডিবি) কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে এলসি জারি করতে চাইলেও তা পাওয়ার চুক্তির শর্ত পূরণ করেনি বলে সূত্র জানিয়েছে। ডলার সংকটকেও এর একটি কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

এতে করে আদানি পাওয়ার ঝাড়খন্ড ৩১ অক্টোবর থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ কমিয়ে দেয়, যা বাংলাদেশের বিদ্যুৎ সংকটকে আরও বাড়িয়ে তোলে। পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশের (পিজিবি) ওয়েবসাইটে শুক্রবার প্রকাশিত সর্বশেষ প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ঝাড়খন্ডের গড্ডা প্ল্যান্ট ১,৪৯৬ মেগাওয়াট স্থাপনক্ষমতার বিপরীতে ৭২৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করেছে।

সম্পাদক ও প্রকাশক : মঈনুদ্দিন কাজল
deshermatidaily@gmail.com
০১৬১৫১১২২৬৬, ০১৬৭৩৫৬২৭১৬

দেশের মাটি কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।