প্রযুক্তি

দই খুব মজাদার এবং পুষ্টিগুন সম্পন্ন একটি খাবার। রমজান মাসে আমরা ইফতার বা সাহরিতে দই রাখতে পারি। অতিরিক্ত ভাজা পোড়া, তৈলাক্ত খাবার খাওয়ার কারনে আ্যসিডিটি বেড়ে যাওয়া, গলা,বুক জ্বালাপোড়া করা, হজমে সমস্যা দেখা দেয়।

আর এক্ষেত্রে দইয়ের বিকল্প নেই। কারণ দই খুব সহজেই এসব সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে। ১০০ গ্রাম টক দইয়ে রয়েছে – ক্যালরি – ৬০ ময়েশ্চার – ৯০% প্রোটিন – ৩.৫ গ্রাম ফ্যাট – ৪ গ্রাম ক্যালসিয়াম – ১৫০ মি.গ্রা ভিটামিন এ – ১০২ আইইউ এছাড়াও এতে আ্যমাইনো আ্যসিড, ম্যাগনেসিয়াম,জিংক,পটাশিয়াম,ফসফরাস, আয়োডিন এবং উপকারী ব্যাক্টেরিয়া রয়েছে।

ইফতারে টক দইয়ের রেসিপি লাচ্ছি টক দই এবং লেবু দিয়ে খুব সহজেই এক গ্লাস লাচ্ছি করে খেতে পারেন ইফতারে। দই চিড়া টক দই, চিড়া, কলা একসঙ্গে মিশিয়ে ইফতারে খেতে পারেন ভাজা পোড়া খাওয়ার বদলে। এটা আ্যসিডিটি কমাতে, এনার্জি যোগাতে এবং পেট ঠান্ডা রাখতেও সহায়তা করবে।

করোনাভাইরাসকে কিছুটা পুরনো বিষয় বলে যারা ভাবছেন তাদের জন্য খবর হচ্ছে এই প্রথম বিশ্বে ২৪ ঘন্টায় ২ লাখ ৮ হাজারেরও বেশি মানুষ এতে সংক্রমিত হয়েছেন। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে একদিনে সর্বোচ্চ রেকর্ড ৫৫ হাজার ২৭৪ জনের করোনা শণাক্ত হয়েছে। এর আগে ব্রাজিলে একদিনে ৫৪ হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়েছিলেন।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্র করোনা মহামারি প্রতিরোধে যুক্তরাষ্ট্র অনিশ্চিত গন্তব্যে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির শীর্ষ স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অ্যান্থনি ফাউচি। বিশ্বের প্রবল প্রতাপশালী দেশটিতে মৃতের সংখ্যা ১ লাখ ৩১ হাজার ছাড়িয়েছে। আক্রান্ত ২৮ লাখেরও বেশি মানুষ। সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক ঘোষণা করেছেন টেক্সাসের গভর্নর।

এদিকে ব্রাজিলে মোট প্রাণহানি ৬২ হাজারের কাছাকাছি। আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৫ লাখ। দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৫৬ হাজারের বেশি মানুষ। এর মধ্যে মারা গেছেন ১ হাজার ৯৬৮ জন।প্রতিবেশি ভারতে সংক্রমিত হয়েছেন ৬ লাখ ২৭ হাজারের বেশি মানুষ। মারা গেছেন মোট ১৮ হাজার ২৪১ জন।

তবে এতবেশি আক্রান্ত ও মৃত্যুর খবর আসলেও এখনই করোনার ভ্যাকসিন আসার আশাপ্রদ কোনো খবর নেই। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ধারনা করছে , ভ্যাকসিন আসতে আরো কমপক্ষে আড়াই বছর সময়ও লাগতে পারে । গত ১১ মার্চ দুনিয়াজুড়ে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির সেন্টার ফর সিস্টেম সায়েন্সেস অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয় বলছে, শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ১০ লাখ ২৩ হাজার ছাড়িয়েছে। এদের মধ্যে মারা গেছে ৫ লাখ ২৪ হাজারের বেশি। আর ইতোমধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ৬১ লাখ ৭৮ হাজারের বেশি মানুষ।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান থেকে ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাস। উৎপত্তিস্থল চীনে ৮৩ হাজারেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হলেও সেখানে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব বর্তমানে কমে গেছে।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে পৃথিবীর সাড়ে ৭ লাখের বেশি মানুষ মারা গেছেন। না দেখা এক নতুন ঘাতকের কাছে বিশ্বের কয়েক লাখ মানুষ হেরে গেছেন। সাড়ে ৭ লাখের পর-ই মৃত্যুর সারি থেমে গেছে বা থেমে যাবে-এমন কোনো নিশ্চয়তা কেউ দিতে রাজি নয়।

শুধু তাই নয়, মৃত্যুর এই সংখ্যা ভ্যাকসিন আবিস্কারের আগ পর্যন্ত কত লাখে গিয়ে পৌছাবে তারও কোনো কিনারা করতে পারছে না, পৃথিবীর তাবৎ প্রযুক্তির ধারক-বাহকরাও। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সর্বশেষ ব্রিফিংয়ের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, এই ঘাতক নির্মুলের ভ্যাকসিন সহসাই মিলছে না। ফলে করোনাভাইরাস সামনে আরো ভয়াবহ পরিণতি এনে দিতে পারে।
গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর প্রথম চীনের উহান প্রদেশে এ ভাইরাসটি চিহিৃত হয়। এরপর দেশে দেশে ছড়িয়ে ধীরে ধীরে পৃথিবীর মানুষের জীবনচিত্র নির্মমভাবেই বদলাতে শুরু করে। একদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে অন্যদেশ। গত ১০ এপ্রিল বিশ্বে মৃতের তালিকায় ১ লাখ মানুষের নাম উঠেছিল। এর ঠিক ১৫ দিনের মাথায় ২৫ এপ্রিল বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা ৫৫ মিনিটে ২ লাখ মানুষের মৃত্যুর সংখ্যা জানায় যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের করোনা মিটার। ঘড়ির কাটার তালে মৃত্যু বেড়েছে। হাহাকার থামেনি কোনো এক দিন বা গভীর রাতের মুহুর্তেও। চূড়ান্ত পরিণতি মৃত্যুর মধ্য দিয়েই বাংলাদেশী সময় ৪ আগষ্ট রাত সাড়ে ১০ টায় সেই হাহাকার পার হলো ৭ লাখের ঘর।
করোনা মিটার বলছে, মৃত এই ৭ লাখের মধ্যে শুধু প্রায় একলাখ ৭০ হাজার-ই বিশ্বের প্রবল প্রযুক্তি ও পরাশক্তির দাবিদার আমেরিকার মানুষ। আর সব মিলিয়ে সারা বিশ্বে এ মুহুর্তে এ ভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ২ কোটি ১১ লাখের বেশি। আক্রান্তের সবশেষ হিসেবে বিশ্বে শীর্ষ ৩ দেশের মধ্যে ঢুকে পড়েছে প্রতিবেশী ভারতের নাম, যেখানে মৃত্যুর তালিকার নাম উঠেছে ৪৮ হাজার মানুষের।করোনা মিটারের এ তালিকায় ২০টি দেশের একটি এখন বাংলাদেশও। গত ১৪ আগষ্ট বাংলাদেশে করোনা পজেটিভিটির হার ছিল ২১ দশমিক ৫২ ভাগ। তবে মৃত্যুর নিম্ম হার এ জনপদে এখনো স্বত্বির কারণ হয়ে আছে। অবশ্য এ ঘাতক বাংলাদেশেও কেড়ে নিয়েছে ৩ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণ।
তবে হঠাৎ করেই সব ছাপিয়ে দক্ষিণ আমেরিকার সর্ববৃহৎ রাষ্ট্র ব্রাজিল এখন আলোচনার কেন্দ্রে চলে এসেছে। আক্রান্তের তালিকায় এখন তা ঠিক যুক্তরাষ্ট্রের নিচে ৩২ লাখ ছাড়িয়েছে। মৃত্যুর তালিকায়ও ১ লাখ ৫ হাজার মানুষের প্রাণহানির বিনিময়ে ব্রাজিল এখন ২য় স্থানে। পিছু নিয়েছে মেক্সিকোও, যে দেশে মারা গেছেন এখন পর্যন্ত ৫৫ হাজার মানুষ।

অপরিচিত ও নতুন এ ঘাতকের কাছে মাত্র ৬ মাসেই বিপুল সংখ্যক মানুষের এ পরাজয় ঘটেছে এক অদৃশ্য লড়াইয়ে। কোনো একটি বিশেষ দেশের মানুষ নন, পৃথিবীর ২১০ দেশ ও অঞ্চলে বিদ্যা-বুদ্ধি-প্রযুক্তির সবার উপরে থাকা দেশগুলোই মৃতের এ তালিকায়, সবার উপরে থেকেই নিজেদের নামগুলো ভাগ করে নিয়েছে। এবং পৃথিবীর আর কোনো প্রাণী নয়, এই ঘাতকের মুল আঘাত এসেছে শুধু মানুষের উপর-ই।

নি:শেষ হবার এ তালিকায় আলোড়ন তোলা ইউরোপের অন্যতম প্রাচীন দেশ ইতালিতে মারা গেছেন ৩৫ হাজার মানুষ।ব্রিটেনে ৪৬ হাজার ও রাশিয়ায় ১৪ হাজার মানুষ মারা গেছেন। তারপর স্পেন ২৮ হাজার ও ফ্রান্স ৩০ হাজার ২৯৪ জন। পিছিয়ে থাকেনি বেলজিয়াম, জার্মানি, নেদারল্যান্ড, সুইডেন, সুইজারল্যান্ডের মতো সর্বাধুনিক উন্নত দেশগুলো। ইরানে ১৭ হাজার ৬১৭ জন মারা গেছেন।

নানারকম প্রচেষ্টায় পৃথিবীর দেশগুলো একে অপরের থেকে, দেশে দেশে মানুষ মানুষ থেকে বিচ্ছিন্ন হলেও বিশ্বে করোনাভাইরাস আক্রান্ত মানুষের সংখ্যায় তার গতি কমায়নি। এখনো ২৪ ঘন্টায় আক্রান্ত হয় বিশ্বের লাখ মানুষ, এখনো ২৪ ঘন্টায় কোনো দেশে মারা পড়ছে হাজারের বেশি মানুষ। আবার আক্রান্ত বিপুল মানুষের অনেকের অবস্থা ভালো, সুস্থ হয়ে চলেছেন বাড়ির পথে।

ব্রাজিলের গভীর বনাঞ্চল আমাজনের আদিবাসী তরুন থেকে শুরু করে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন, প্রিন্স চার্লসও এ ভাইরাসে আক্রান্ত হন। আতঙ্কে শরীরের বিশেষ নমুনা পরীক্ষা করতে বাধ্য হন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও।

করোনাভাইরাসে প্রথমে চীনে, তারপর হংকং, ফিলিপাইন্স ও জাপানে মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। ইউরোপে প্রথম ব্যক্তি মারা যান গত ১৫ ফেব্রুয়ারি। এরপর প্রথমে সময় নিয়ে পরে তীব্র আঘাতে তা কুপোকাত করে আধুনিক ইউরোপকেই।

যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের করোনা মিটারে একটু তাকিয়ে থাকলেই আক্রান্ত ২শ ১৩ টি দেশ ও অঞ্চলের কোনো না কোনো জায়গা থেকে এসে সংখ্যা আবার বাড়িয়ে তুলছে।

আক্রান্ত ও মৃত্যুর কাটা অনবরত ঘুরছেই। অবশ্য করোনা মিটার বলছে, এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ কোটি ৩৯ লাখের  বেশি।

গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম শনাক্তের পর ১৮ মার্চ এ ভাইরাসে প্রথম মৃত্যুর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসে। তারপর এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন দেশের বেশ কয়েকজন বিশিষ্ঠ মানুষ ও বড় ব্যবসায়ি। সবশেষ হিসেবে করোনাভাইরাসে যুক্তরাষ্ট্রে ২শ ১৫ জনের বেশিসহ সারাবিশ্বে প্রায় ৫ শতাধিক বাংলাদেশী মারা গেছেন।

এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা  সব দেশের সরকারকে তার জনগনকে মাস্ক পড়তে উৎসাহিত করার পরামর্শ দিয়েছে। তবে জুনের শুরুতে সংস্থাটির পরিচালক ট্রেড্রোস ঘেব্রেয়েসাস এও বলেছেন, শুধু মাস্ক কোভিড-১৯ থেকে কাউকে সুরক্ষিত করবে না।

দেশের প্রায় ১৫ লাখ শিশু দৃষ্টি স্বল্পতায় ভুগছে, যা চিকিৎসার মাধ্যমে প্রতিরোধযাগ্য বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা।

বিশ্ব দৃষ্টি দিবসে ঢাকার আগারগাঁওয়ে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালে এক আলোচনা সভায় একথা জানানো হয়।

অনুষ্ঠানে আরও বলা হয়, বর্তমানে বাংলাদেশে সাত লাখ ৫০ হাজার মানুষ অন্ধত্বের শিকার, যার শতকরা ৮০ ভাগই ছানিজনিত অন্ধত্ব।

বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে ‘সবার জন্য চক্ষু সেবা’ প্রতিপাদ্য নিয়ে এবারের দৃষ্টি দিবস পালিত হয়।

ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর প্রিভেনশন অব ব্লাইন্ডনেস (আইএপিবি) এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যৌথভাবে প্রতিরোধযোগ্য এই অন্ধত্ব নিবারণের জন্য প্রতিবছর অক্টোবর মাসের দ্বিতীয় বৃহস্পতিবার বিশ্ব দৃষ্টি দিবস পালন করে থাকে।

জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইন্সটিটিউটের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা গওহর রিজভী, অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী। সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ন্যাশনাল আই কেয়ারের লাইন ডিরেক্টর ও জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. গোলাম মোস্তফা।

অধ্যাপক গোলাম মোস্তাফা বলেন, বর্তমান বিশ্বে ৩ কোটি ৬০ লাখ মানুষ অন্ধত্বের শিকার। ২৫ কোটি ৩০ লাখ মানুষ দৃষ্টি স্বল্পতায় ভুগছেন, যার মধ্যে শতকরা ৫৫ শতাংশ নারী।

তিনি বলেন, দৃষ্টি স্বল্পতায় আক্রান্ত মানুষের মধ্যে শতকরা ৮৯ শতাংশই স্বল্প ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোর এবং এবং অন্ধত্ব ও দৃষ্টি স্বল্পতার কারণগুলোর মধ্যে শতকরা ৮০ শতাংশই প্রতিরোধযোগ্য।

অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা বলেন, অন্ধত্বের গুরুত্বপূর্ণ কারণ হল নানা ধরনের দৃষ্টি ত্রুটি, গ্লুকোমা, আঘাত জনিত চক্ষুরোগ, ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি ও শিশু অন্ধত্ব।

তিনি বলেন, ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত দুই লাখ পঞ্চাশ হাজার মানুষ ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি রোগে আক্রান্ত হয়ে দৃষ্টি হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছেন।

সম্পাদক ও প্রকাশক : মঈনুদ্দিন কাজল
deshermatidaily@gmail.com
০১৬১৫১১২২৬৬, ০১৬৭৩৫৬২৭১৬

দেশের মাটি কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।