রাজনীতি

২০১৩ সালের ৫ মে রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতের সমাবেশে গণহত্যার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও গনজাগরন মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকারসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।

বুধবার (১২ মার্চ) এ আদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

শেখ হাসিনা ছাড়াও পরোয়াভুক্ত আসামিদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ম‌হিউদ্দিন খান আলমগীর, গনজাগরন মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার, সাবেক আইজিপি হাসান মাহমুদ খন্দকার  ও বেন‌জির আহমদ।

অন্য মামলায় কারাগারে থাকায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু, সাবেক আইজিপি শহিদুল হক, সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান, সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোল্লা নজরুল ইসলামকে গ্রেফতার দেখানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এছাড়া আগামী ১২ মে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার জন্যে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এর আগে গত ২৭ নভেম্বর শাপলা চত্তরের ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ ৫০ জনকে আসামি করে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনে অভিযোগ দাখিল করেন হেফাজতে ইসলাম।

অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, সাবেক মন্ত্রী হাছান মাহমুদ, সাবেক এমপি হাজী সেলিম, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, নারায়ণগঞ্জের সাবেক এমপি শামীম ওসমান, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিকী, সাবেক আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, র‍্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক জিয়াউল আহমেদ, ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশীদ, ডিএমপির সাবেক উপকমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির, নির্মূল কমিটির সদস্য অধ্যাপক মুনতাসির মামুন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজ, গণজাগরণ মঞ্চের আহ্বায়ক ইমরান এইচ সরকার, একাত্তর টিভির সাবেক সিইও মোজাম্মেল হক বাবু, সময় টিভির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও আহমেদ জোবায়ের, এবিনিউজ২৪ ডটকমের সম্পাদক সুভাস সিংহ রায়, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব নাইমুল ইসলাম খান, সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদ এবং এনএসআইয়ের মো. মনজুর আহমেদকে আসামি করা হয়েছে।

মামলায় বাদীর অভিযোগ, ১৩ দফা দাবিতে ২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজতে ইসলাম মতিঝিলের শাপলা চত্বরে অবস্থান নেয়। আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে রাত ১১টার দিকে বিদ্যুৎ লাইন বন্ধ করে দেন। এরপর শাপলা চত্বরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অভিযান চালিয়ে মাদ্রাসাছাত্র ও পথচারীদের ওপর গণহত্যা চালায়। পরে লাশ সিটি করপোরেশনের গাড়িতে করে নিয়ে গুম করা হয়। নিহত ব্যক্তিদের পরিবার থানায় মামলা করতে গেলে তা নেওয়া হয়নি।

রাজশাহীতে অটোরিকশায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে মাসুদ রানা (৪৭) নামের আলোচিত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার (১২ মার্চ) দুপুরে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান।

তিনি জানান, মঙ্গলবার (১১ মার্চ) নগরীর বর্ণালী মোড় এলাকায় অটোরিকশায় বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্রীর সামনের আসনে বসে মাসুদ রানা নামের এক ব্যক্তি অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করতে থাকে। ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী সেই দৃশ্য মুঠোফোনে ধারণ করে সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়।

ঘটনাটি নজরে এলে পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিট অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম ঠিকানা শনাক্ত করে তাকে ধরতে অভিযান শুরু করে। পরে আজ ভোর ৫টার দিকে নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলার দেলুয়াবাড়ি এলাকা থেকে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশ কমিশনার আরও জানান, অভিযুক্ত ব্যক্তি আটকের পর নিজের দোষ স্বীকার করেছে। পরে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মামলার প্রেক্ষিতে আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের হুমকির মুখে ইরান আলোচনায় বসবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেছেন, ‘আপনার যা খুশি তাই করুন।’ স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১১ মার্চ) ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

পেজেশকিয়ান বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র যেসব হুকুম ও হুমকি দিচ্ছে, তা ইরানের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। আমি আপনার (ট্রাম্প) সঙ্গে আলোচনায় বসবো না। আপনার যা খুশি তাই করুন।’ 

এর আগে, স্থানীয় সময় শনিবার (৮ মার্চ) ইরানের নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেন, তেহরানকে কোনো হুমকি দিয়ে আলোচনায় আনা যাবে না। এই ঘোষণার ঠিক এক দিন আগে ট্রাম্প বলেন, তিনি ইরানকে নতুন পারমাণবিক চুক্তির বিষয়ে আলোচনায় অংশ নেয়ার আহ্বান জানিয়ে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন।

ফক্স বিজনেসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প আরও বলেন, ইরানকে সামলানোর দুটি উপায় আছে, সামরিকভাবে অথবা পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন থেকে তাদের বিরত রাখার জন্য একটি চুক্তি করার মধ্য দিয়ে।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের বেক্সিমকো গ্রুপের ১৬৯ প্রতিষ্ঠানে তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগের আদেশ বাতিল করেছেন হাইকোর্টে।

বুধবার (১২ মার্চ) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায়ের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। তবে গ্রুপটির কার্যক্রম পর্যবেক্ষণে রাখতে বলা হয়েছে নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে। এর আগে, এক রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস ছাড়া বাকি সব প্রতিষ্ঠানে তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগের আদেশ দেন উচ্চ আদালত। পরবর্তীতে তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগ করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

তবে হাইকোর্টের এ রায়ের পর এখন নিজস্ব তত্ত্বাবধানে কার্যক্রম চালাতে পারবে প্রতিষ্ঠানটি।

দেশে এখন যুদ্ধ পরিস্থিতি বিরাজ করছে এবং সেই যুদ্ধ অন্য জায়গা থেকে সরকারের উপর চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। এমন মন্তব্য করেছেন তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।

সোমবার (১০ মার্চ) দিবাগত রাত ৩টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

গণ-অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধ শক্তি একটি ছদ্ম-যুদ্ধ চালাচ্ছে এমনটা জানিয়ে পোস্টে তিনি লিখেন, গতকাল মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে একটি পর্যালোচনা সভায় নারী ও শিশুর বিরুদ্ধে নিপীড়ন ও সহিংসতা নিরোধে ব্যবস্থা গ্রহণ, নিষিদ্ধ সংগঠনের কার্যক্রমের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ ও সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। আমরা সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলাম, সরকার কঠোর অবস্থানে যাবে। গতকাল থেকে আজ পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় অপরাধীদের গ্রেফতার চলমান এবং বিচারের কাজ দ্রুত ও সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে ও সরকার তৎপর।

তিনি বলেন, ছাত্র-যুবকদের জন্য লক্ষাধিক চাকরির ব্যবস্থা ও তরুণদের জন্য জাতীয় কর্মসূচি গ্রহণের বিষয় ও গতকালের আলোচনায় উত্থাপিত হয়েছে। শীঘ্রই এ বিষয়ে দৃশ্যমান পদেক্ষেপ নেয়া হবে। সরকার জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স দেখাবে এবং সে লক্ষ্যে সমন্বিত তৎপরতা ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে।

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও বিচার, প্রতিষ্ঠানসমূহকে শক্তিশালী করা, জুলাই শহিদ ও আহতদের জন্য ইতিবাচক উদ্যোগ গ্রহণ থেকে শুরু করে বিভিন্ন ইস্যুতে সরকার সক্রিয় ও সফল। কিন্তু, সামরিক-বেসামরিক আমলাতন্ত্র, ব্যবসায়ী শ্রেণি ও মিডিয়ার মধ্যকার গণ-অভ্যুত্থানের শক্তিগুলোর বিরোধ, স্বার্থান্বেষা ও মতান্ধতা, অন্যদিকে গণ- অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধ শক্তির ঐক্যবদ্ধ হয়ে ক্রমশ উত্থান সরকারকে বেকায়দায় ফেলছে।

সরকার গণ-অভ্যুত্থানে পরাজিত একটি শক্তিশালী দেশি- বিদেশি জোটের বিরুদ্ধে যুদ্ধ লড়ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, স্বার্থান্বেষী মহল জনগণের মধ্যকার অভ্যুত্থানের ঐক্যকে নস্যাত করতে উঠে পড়ে লেগেছে। সফলও হচ্ছে। সেনাবাহিনী, রাজনৈতিক দল ও অভ্যুত্থানের বিভিন্ন শক্তিকে মুখোমুখী না করাই আমাদের জন্য আখেরে ভালো হবে।

আমাদের মনে রাখতে হবে, দেশে এখন যুদ্ধ পরিস্থিতি বিরাজ করছে এবং সে যুদ্ধ অন্য জায়গা থেকে আমাদের উপর চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। একটা কন্ট্রোল রুম থেকে সে যুদ্ধের প্রতি সপ্তাহ ও দিনের কর্মসূচি চালু করা হয় ও মনিটর করা হয়। আমাদের সে যুদ্ধের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ গড়তে হবে।

পোস্টে তিনি আরও উল্লেখ করেন, রাষ্ট্র সংস্কার, গণহত্যা ও লুটপাটের বিচার, প্রতিষ্ঠানসমূহের পুনরুজ্জীবন ও গণতান্ত্রিক রূপান্তরসহ নানা বিষয় আমাদের লক্ষ্য থেকে হারিয়ে যাচ্ছে। এ সরকারের আমলে এ দেশকে গড়ে তোলার সুযোগ ও সক্ষমতা তৈরি হয়েছে বলেই ভিনদেশ থেকে দ্রুততার সাথে সরকার পরিবর্তনের প্রেস্ক্রিপশন আসছে। কিন্তু, নির্বাচন যথাসময়েই হবে এবং জুলাই সনদের ভিত্তিতে এ দেশে নির্বাচনের আগেই রাষ্ট্র সংস্কারের দৃশ্যমান অগ্রগতি ঘটবে এবং খুনী, ধর্ষক ও লুটেরাদের বিচার হবে।

সুনামগঞ্জের মধ্যনগরে চাঁদার টাকা ভাগাভাগি নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ঘটনায় মোহাম্মদ আলী (৭০) নামে এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও ২০ জন আহত হয়েছেন। 

সোমবার (১০ মার্চ) দিবাগত রাতে মধ্যনগর  উপজেলার মহেশখলা বাজারে সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও বংশীকুণ্ডা উত্তর  ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি হযরত আলী ও বংশীকুণ্ডা দক্ষিণ ইউনিয়ন ছাত্রদল নেতা হারুন মাহমুদের গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, উপজেলার বংশীকুণ্ডা উত্তর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী জনপদ মহিষখলা  বর্ডার রোড দিয়ে প্রতিদিন বালু-পাথরবাহী ট্রাক চলাচল করে। এসব গাড়ি থেকে নিয়মিত অবৈধভাবে চাঁদা তোলা হয়। চাঁদাবাজির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে সন্ধ্যায়  হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে। এতে একজন নিহত ও বেশ কয়েকজন  আহত হন।

মধ্যনগর থানার ওসি মোহাম্মদ সজীব রহমান বলেন, পাথরের গাড়ি থেকে চাঁদার তুলার টাকা নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে । এতে একজন নিহত হয়।

কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন মার্ক কার্নি। শিগগিরই প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর স্থলাভিষিক্ত হবেন তিনি।

রোববার লিবারেল পার্টির ভোটাভুটিতে বাছাই করা হয় নতুন নেতা। দলীয় সদস্যদের ভোটে তিন প্রতিদ্বন্দ্বীর বিরুদ্ধে একচেটিয়া জয় পান ব্যাংক অব কানাডার সাবেক গভর্নর কার্নি। ১ লাখ ৩১ হাজার ৬৭৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন তিনি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিস্টিনা ফ্রিল্যান্ড পেয়েছেন মাত্র ১১ হাজার ১৩৪ ভোট।

আগামী অক্টোবরের জাতীয় নির্বাচনে দলকে নেতৃত্ব দেবেন কার্নি। লিবারেল পার্টির নতুন নেতা হিসেবে নির্বাচিত হয়েই যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করেন কার্নি। বলেন, প্রতিবেশী দেশটিকে আর বিশ্বাস করা যায় না। ৯ বছর দায়িত্ব পালনের পর, রাজনৈতিক চাপের জেরে গত জানুয়ারিতে পদত্যাগের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।

দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট হয়েই কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্য হিসেবে অভিহিত করে কটাক্ষ করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকে ‘গভর্নর ট্রুডো’ হিসেবে ডেকেছেন তিনি।

বাংলাদেশের সঙ্গে সামরিক কূটনীতি বাড়াতে চায় সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক। সম্প্রতি দেশটিতে সফরে গেলে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের কাছে এমন আগ্রহ প্রকাশ করেন সিএআর প্রেসিডেন্ট ফাস্টিন-আর্চেঞ্জ তোয়াদেরা। সংঘাতময় এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ অবদানের পাশাপাশি দেশটির সেনাবাহিনীর দক্ষতা বাড়াতেও কাজ করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।

আফ্রিকার এই দেশটিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নির্মাণ করেছে একটি কমিউনিটি ক্লিনিক। তাদের তত্ত্বাবধানে ক্লিনিকটির চিকিৎসকদের দেয়া হচ্ছে প্রশিক্ষণও। যেদিন হাসপাতালটির উদ্বোধন করা হয়, সেখানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের সেনাপ্রধান ও দেশটির প্রেসিডেন্ট। সাধারণ মানুষের উচ্ছ্বাসও ছিল চোখে পড়ার মতো।

সফরে সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের প্রেসিডেন্ট ফাস্টিন-আর্চেঞ্জ তোয়াদেরার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন সেনাপ্রধান। এসময় বাংলাদেশের সাথে সামরিক কূটনীতি বাড়াতে আগ্রহ প্রকাশ করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কাছ থেকে পাওয়া সহায়তা অবশ্যই আমাদের সেনাবাহিনীর জন্য কার্যকর ভূমিকা রাখবে। আমরা বাংলাদেশের সাথে সামরিক কূটনীতি বাড়াতে আগ্রহী। সেনাপ্রধান আমাকে বাংলাদেশ ভ্রমণের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। আমি বিশ্বাস করি দ্বিপাক্ষিক আলোচনা ইতিবাচক ও ফলপ্রসূ বিষয় নিয়ে আসবে।

সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানও দেশটিতে সহযোগিতার মাত্রা চলমান থাকবে বলে আশ্বস্ত করেন।

দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান জেনারেল মামাদু জেফিরিনের সঙ্গেও দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন বাংলাদেশের সেনাপ্রধান। এসময় তারা পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করেন। বাংলাদেশের কাছ থেকে কৌশল বিনিময়, সেনাসদস্যদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহযোগিতায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।

জেনারেল মামাদু জেফিরিন বলেন, নানা ধরনের সংঘাতময় পরিস্থিতির সাথে আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতি নিয়ে আমাদের দেশটি অনেক চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এমন অবস্থায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আমাদের দক্ষতা বৃদ্ধি ও মানোন্নয়নে কাজ করছে। আমরা সত্যিই আপ্লুত। দারুন সমন্বয় আর আন্তরিকতায় আমি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কাছে কৃতজ্ঞ।

রাজধানীর উত্তরার গণহত্যার মামলায় সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলাম, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও পুলিশ সদস্যসহ ১০ জনকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যালে হাজির করা হয়েছে।

রোববার (৯ মার্চ) সকাল দশটার পর আসামিদের কাশিমপুর ও কেরাণীগঞ্জ কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।

আওয়ামী নেতাদের মধ্যে রয়েছেন শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক শাহিনুর মিয়া, উওরা পশ্চিম থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মনোয়ার ইসলাম চৌধুরী সহ অনেকেই। আর পুলিশের মধ্যে রয়েছেন ওসি মশিকুর রহমান, কনস্টেবল হোসেন আলী, এসি জাবেদ ইকবাল এবং ওমর আলী।

এর আগে বিভিন্ন সময়ে ওই মামলায় সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলামসহ ১০ জনকে গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন ট্রাইব্যুনাল।

প্রসিকিউশন জানায়, আতিকুলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ছয়টি মামলা রয়েছে। জুলাই-আগস্টে গণহত্যার ঘটনায় সাক্ষীরা জবানবন্দিতে এ আসামিদের নাম বলেছে। সেসময় উত্তরায় ২০০ মানুষকে হত্যা করা হয়। এর দায় আতিকুল এড়াতে পারেন না বলে আদালতকে জানায় প্রসিকিউশন।

হাজির করা অন্য আসামিরা হলেন গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন মণ্ডল, উত্তরা ৬ নম্বর সেক্টর আওয়ামী লীগের সভাপতি বশির উদ্দিন, মহানগর উত্তরের এক নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন রুবেল, ওসি মশিকুর রহমান, কনস্টেবল হোসেন আলী, এসি জাবেদ ইকবাল এবং ওমর আলী।

দেশের চলমান পরিস্থিতিতে নারী ও শিশু নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগে গোটা নাগরিক নাগরিক সমাজ। এরই মাঝে মাগুরায় ৮ বছরের শিশু কন্যা ধর্ষণের ঘটনা নারীর নিরাপত্তাকে আবারও প্রশ্নের মুখে ফেলেছে। এবার মাগুরায় ধর্ষণের শিকার সেই শিশুটিকে নিয়ে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামের আমির জানালেন দলের অবস্থান।

রোববার (৯ মার্চ) সকাল ৯টা ৫৭ মিনিটে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এ সংক্রান্ত একটি পোস্ট দেন জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান। পোস্টে তিনি বলেন, মাগুরার সেই আট বছরের মেয়ে শিশুর ধর্ষক ও ধর্ষণের সহযোগিতাকারীদের অপরাধ এক ও অভিন্ন। এদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত চাই।

তিনি বলেন, এরকম ধর্ষক নামের আরো যত নিকৃষ্ট প্রাণী আছে, যে যেখানেই থাকুক তাদেরকে পাকড়াও করে দ্রুত বিচারের মাধ্যমে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা প্রয়োজন।

পোস্টে ধর্ষকদের ঘৃণা ও সামাজিকভাবে বয়কেরও আহ্বান জানান এই জামায়াত নেতা। তিনি বলেন, ইমাম, খতিব ও ধর্মীয় ব্যক্তিত্বসহ সমাজের সচেতন নাগরিকদেরকে ধর্ষকদের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই।

সম্পাদক ও প্রকাশক : মঈনুদ্দিন কাজল
deshermatidaily@gmail.com
০১৬১৫১১২২৬৬, ০১৬৭৩৫৬২৭১৬

দেশের মাটি কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।