রাজনীতি

সম্প্রতি নারীদের ওপর জঘন্য হামলার যে খবর আসছে তা গভীরভাবে উদ্বেগজনক। এটি নতুন বাংলাদেশের সম্পূর্ণ বিপরীত— এমন মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শনিবার (৮ মার্চ) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে নারী দিবসের অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

ড. ইউনূস বলেন, বর্তমান সরকার নারীপুরুষের সমঅধিকার প্রতিষ্ঠায় অঙ্গীকারবদ্ধ। প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগ করে এই অধিকার প্রতিষ্ঠা করা হবে। এ সময় নারী ও শিশুদের নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ সজাগ থাকার ব্যাপারেও গুরুত্ব দেন তিনি।

তাছাড়া, পতিত স্বৈরাচার দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে বিপুল অর্থ খরচ করছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

এর আগে, অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল এবং ৬ অদম্য নারীর হাতে পদক তুলে দেন প্রধান উপদেষ্টা।

ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনার আহ্বান জানিয়ে দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে চিঠি পাঠিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। স্থানীয় সময় শুক্রবার (৭ মার্চ ) ফক্স বিজনেস নেটওয়ার্কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প জানান, তিনি ইরানের নেতাদের উদ্দেশ্যে চিঠি পাঠিয়েছে।

তিনি বলেন, ‘আমি বলেছি, আশা করি আপনি আলোচনায় বসবেন, কারণ এটি ইরানের জন্য ভালো হবে।’ 

একই চিঠিতে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, আলোচনায় বসতে অস্বীকৃতি জানালে বিষয়টিতে সরাসরি হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য হবে যুক্তরাষ্ট্র। এ অবস্থায়, তেহরানের কল্যাণে সমঝোতাই যুক্তিসঙ্গত হবে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
 
যদিও ট্রাম্পের এই দাবি অস্বীকার করেছে জাতিসংঘে ইরানের স্থায়ী মিশন। তারা জানায়, এমন কোনো চিঠির বিষয়ে অবগত নন তারা।

এর আগে, ফেব্রুয়ারি মাসে আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেন, ইতিহাস সাক্ষী যে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার টেবিলে বসলে তা ইরানের জন্য কোনো সুফল বয়ে আনবে না।

রাজধানী বায়তুল মোকাররম এলাকায় মিছিল করেছে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন হিজবুত তাহরীর। শুক্রবার (৭ মার্চ) জুমার নামাজের পর মিছিলটি শুরু হয়।

এ সময় মিছিলটি পল্টন মোড় দিয়ে বিজয় নগরের দিকে অগ্রসর হয়। ব্যারিকেড থাকলেও পুলিশের সদস্য কম থাকায় তা ভেঙে সামনে দিকে আগায় মিছিলটি। এরপর আবারও সামনে ব্যারিকেড দিয়ে মিছিলটি আটকানোর চেষ্টা করে পুলিশ। তবে এ যাত্রায়ও সে চেষ্টা ব্যর্থ হয়। একপর্যায়ে পল্টন মোড় থেকে মিছিলটি ফিরে আসার সময় পুলিশ টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এতে তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে বিভিন্ন অলিগলিতে ঢুকে যায়। এ সময় কয়েকজনকে আটক করা হয়।

এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে যোগ দিয়েছে সেনাবাহিনী। বর্তমানে বায়তুল মোকাররম, নয়াপল্টন ও এর আশপাশের এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

এর আগে, আজ শুক্রবার নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহরীর বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে ‘মার্চ ফর খিলাফত’–এর ডাক দেয়। সংগঠনটির এই ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ওই এলাকায় ব্যাপক তল্লাশি চালায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বায়তুল মোকাররমে নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিদের তল্লাশি করে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয়।

এদিকে, গতকাল বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, হিযবুত তাহরীর বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী একটি নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন। জননিরাপত্তার প্রতি হুমকি বিবেচনায় ২০০৯ সালের ২২ অক্টোবর বাংলাদেশ সরকার হিযবুত তাহরীরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।

সন্ত্রাসবিরোধী আইন-২০০৯ অনুযায়ী নিষিদ্ধ ঘোষিত যেকোনো সংগঠনের সভা, সমাবেশ, মিছিল, পোস্টার-লিফলেট বিতরণ ও অন্যান্য উপায়ে প্রচারণাসহ সব কার্যক্রম শাস্তিযোগ্য অপরাধ। হিযবুত তাহরীরসহ নিষিদ্ধ ঘোষিত কোনো সংগঠন সভা, সমাবেশ ও যেকোনো উপায়ে প্রচারণামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করলে ডিএমপি প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের গ্রেফতারি পরোয়ানা বাতিল করেছে দেশটির একটি আদালত। শুক্রবার (৭ মার্চ) এ আদেশ দেন সিউলের কেন্দ্রীয় জেলা আদালত। ফলে ইউন সুকের মুক্তিতে বাধা নেই। খবর রয়টার্সের।

গত জানুয়ারিতে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিলো। গত মাসে ইওলের গ্রেফতারি পরোয়ানা বাতিলের আবেদন করেন তার আইনজীবীরা। তাদের দাবি, কৌঁসুলিরা অভিযোগ গঠনে অনেক বেশি সময় নিচ্ছে। কাজেই তাকে আটকে রাখা বেআইনি।

অন্যদিকে সিউলের কেন্দ্রীয় জেলা আদালতের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সকল যুক্তি বিবেচনা, ইউনকে আটকে রাখার সময়সীমা পার হয়ে যাওয়ার পর তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। বিচার প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিশ্চিতে তার আটকাদেশ বাতিল করা হয়েছে বলেও জানানো হয় ওই বিবৃতিতে।

নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহরীর ৩ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট।

বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে রাজধানীর উত্তরা ১১ ও ১২ নম্বর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন– মনিরুল ইসলাম (৪০), মোহতাসিন বিল্লাহ (৪০) এবং মাহমুদুল হাসান (২১)।

গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান। 

আজ শুক্রবার (৭ মার্চ) সকালে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১২টা ১৫ মিনিটের দিকে উত্তরা পশ্চিম থানাধীন সেক্টর-১১ ও সেক্টর-১২ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিটিটিসি জানতে পারে, নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহরীরের কিছু সক্রিয় সদস্য ৭ মার্চ বাইতুল মোকাররম মসজিদ এলাকায় ‌‌‘মার্চ ফর খিলাফত’ নামে একটি সমাবেশ আয়োজনের পরিকল্পনা করছে। এ তথ্যের ভিত্তিতে সিটিটিসি অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় সন্ত্রাস দমন আইনে ২০০৯ (সংশোধনী ২০১৩)  মামলা করা হয়েছে।

সিটিটিসি জানায়– প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার ব্যক্তিরা নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহরীরের সক্রিয় সদস্য বলে স্বীকার করেছেন। এসময় তাদের কাছ থেকে সংগঠনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন আলামত জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত অন্যান্য সদস্যদের খুঁজে বের করতে সিটিটিসির তদন্ত ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও ডিএমপি জানায়।

মানবতাবিরোধী অপরাধী হিসেবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি হতেই হবে। কেবল শেখ হাসিনাই নয় তার সহযোগীদেরও বিচারের মুখোমুখি করা হবে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বুধবার (৫ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ এই সংবাদমাধ্যমটি।

সাক্ষাৎকারে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শেখ হাসিনার বিচারের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্যপ্রমাণ আছে সরকারের কাছে। তবে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়টি নির্ভর করছে ভারত এবং আন্তর্জাতিক আইনের ওপর।

তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠাতে আনুষ্ঠানিকভাবে বলাও হয়েছে দিল্লিকে। এ বিষয়ে ভারতের জবাবের অপেক্ষায় আছে বাংলাদেশ।

স্কাই নিউজের সাথে আয়নাঘর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আয়নাঘরগুলোতে ভয়ঙ্করভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এলাকার মধ্যে হওয়ায় সেগুলো জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়নি। আয়নাঘরগুলোকে জাদুঘরে রূপান্তরিত করা হবে।

টিউলিপ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের প্রশ্নে ড. ইউনূস বলেন, টিউলিপের বিরুদ্ধে মামলাটি খুবই গুরুতর। দেশে তার বিপুল পরিমাণ সম্পদ রয়েছে এবং সবকিছু খতিয়ে দেখা হবে। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন।

রোহিঙ্গা সংকট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাংলাদেশে নতুন করে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়ার ব্যাপারে মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী ও সীমান্ত সেনাদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

পূর্বঘোষিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এবার কানাডা-মেক্সিকোর ওপর ২৫ শতাংশ বর্ধিত শুল্কারোপ কার্যকর করলো যুক্তরাষ্ট্র। অন্যদিকে, এক মাস যেতে না যেতেই আবারও চীনের ওপর ১০ শতাংশ শুল্কারোপ ওয়াশিংটনের। বিপরীতে পাল্টা ব্যবস্থা নিয়েছে দেশগুলো। পাল্টাপাল্টি শুল্কারোপে এখন অনেকটাই উত্তপ্ত বিশ্ব অর্থনীতি।

বিশ্লেষকদের মতে, বাণিজ্য অংশীদারদের চাপে ফেলতে ট্রাম্প শুল্কোরোপ করলেও তাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বিশ্ব অর্থনীতিতে। ওয়াশিংটন দেশীয় উৎপাদন বাড়ানো এবং নতুন কর্মসংস্থান তৈরির কথা বললেও তাতে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে যুক্তরাষ্ট্রই। বিশ্ব অর্থনীতিতে তৈরি হতে পারে নতুন মেরুকরণ। সৃষ্টি হতে পারে নতুন বাজার।

সাপ্লাই চেইন বিশেষজ্ঞ ক্যামেরন জনসন বলেন, পাল্টাপাল্টি শুল্কারোপে বিশ্ব বাণিজ্যে নতুন মেরুকরণ সৃষ্টি হচ্ছে। ইউরোপীয় দেশগুলো চীনসহ জাপান-অস্ট্রেলিয়ার মতো মার্কিন মিত্রদের কাছে যাওয়ার চেষ্টা করছে। চীনও তাদের বাজারে সুযোগ দিয়ে দেশগুলোর দিকে ঝুকছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যেটা তা হলো- বিশ্ব বাণিজ্য আর আগের মতো নেই।

বিশ্লেষকদের ধারণা, এমন সিদ্ধান্তের ফলে আবারও মুল্যস্ফীতি দেখা দিতে পারে যুক্তরাষ্ট্রে। ক্যামেরন জনসন এ প্রসঙ্গে আরও বলেন, আমরা বাণিজ্য যুদ্ধের মধ্যে আছি। যুক্তরাষ্ট্র তার শুল্কনীতি ব্যবহার করে দরকষাকষির সুযোগ বাগিয়ে নিচ্ছে। বিশেষত তার মিত্রদের কাছে। কেননা, ওয়াশিংটন মনে করে এই দেশগুলোর কারণেই তারা পিছিয়ে পড়ছে।

প্রতিবেশী কানাডা এবং মেক্সিকোকে যুক্তরাষ্ট্রের দুই শীর্ষ বাণিজ্যিক অংশীদার হিসেবে দেখা হয়ে থাকে। দেশটির বাণিজ্যকৃত মোট পণ্যের ৩০ শতাংশই আমদানি-রফতানি হয় দু’দেশে। পরিসংখ্যান বলছে, যার পরিমাণ আনুমানিক এক দশমিক ৬ ট্রিলিয়ন ডলারেরও বেশি। অন্যদিকে, কৃষিজাত পণ্য রফতানিতে চীনের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল যুক্তরাষ্ট্র।

ফ্যাসিবাদ বিরোধী সাংস্কৃতিক লড়াইয়ের ভিতর দিয়ে জন্ম নেয়া নতুন বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষার মাসে, নয়া সাংস্কৃতিক বিপ্লবের লক্ষ্য নিয়ে আত্মপ্রকাশ করলো ‘জাতীয় সাংস্কৃতিক বিপ্লব’।

মঙ্গলবার রাজধানীর তোপখানা রোডে একটি হোটেলে বিশিষ্ট কবি, গীতিকবি ও কথা সাহিত্যিক লতিফুল ইসলাম শিবলী, কবি সাম্য শাহ এবং কবি রুদ্রাক্ষ রায়হানের নেতৃত্বে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি গঠনের মাধ্যমে সংগঠনটি আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করেছে।

সংগঠনের পক্ষ থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনের ঘোষণাপত্রে বলা হয়েছে, ‘জাতীয় সাংস্কৃতিক বিপ্লব’ একটি গণমুখী সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান, যা সাংস্কৃতিক সাম্রাজ্যবাদ ও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যে কোন আগ্রাসনের বুদ্ধিবৃত্তিক লড়াইয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থেকে জাতীয় সংস্কৃতির সুরক্ষা ও বিকাশে কাজ করবে।

‘জাতীয় সাংস্কৃতিক বিপ্লব’ দৃঢ় প্রত্যয়ে ঘোষণা করছে যে, সংগঠনটি সকল বেইনসাফের বিরুদ্ধে ইনসাফ প্রতিষ্ঠার প্রতিজ্ঞায় স্বাধীন বাংলাদেশের পক্ষে সর্বদা সজাগ থাকবে।

সংগঠনটি অতি দ্রুত একটি আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

সরকারে থাকার চেয়ে রাজপথে থাকা বেশি প্রয়োজন মনে করেছি তাই পদত্যাগ করেছি— এমন মন্তব্য করেছেন সদ্য পদত্যাগ করা অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। বলেন, আমি পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি, সব কমিটি থেকেও ইস্তফা দিয়েছি। 

তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থানের পরিপ্রেক্ষিতে ৮ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের প্রতিনিধি হিসেবে তিনজন অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেই। তখন দেশের জাতীয় নিরাপত্তা ও গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের জন্য দায়িত্ব গ্রহণ করা আমাদের কাছে মনে হয়েছিল যৌক্তিক। গত সাড়ে ছয় মাসের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার কাজ করছে। হয়ত আমরা আশানুরূপ ফলাফল এখনও পাইনি। কিন্তু আমার কাছে মনে হয়েছে সরকারে একটা স্ট্যাবিলিটি এসেছে।

এক প্রশ্নের জবাবে নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, সরকারের বাইরে দেশের যে পরিস্থিতি, সেই পরিস্থিতিতে একটি রাজনৈতিক শক্তি উত্থানের জন্য আমার রাজপথে থাকা প্রয়োজন। ছাত্র-জনতার কাতারে থাকা প্রয়োজন।

তিনি বলেন, আমরা যে গণতান্ত্রিক পরিবর্তনের যে আকাঙ্ক্ষা করি, সে আকাঙ্ক্ষার জন্য এবং গণঅভ্যুত্থানে যেসব ছাত্র-জনতা অংশগণ করেছে সেই শক্তিকে সংহত করতে আমি মনে করছি, সরকারের থেকে সরকারের বাইরে রাজপথে আমার ভূমিকা বেশি হবে। বাইরে যে আমাদের সহযোগী যোদ্ধা রয়েছে তারাও এটি চান। এর পরিপ্রেক্ষিতে আজকে মূলত পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি। 

সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, আমি আপনাদের সতর্ক করে দিচ্ছি। না হয় পরে বলবেন যে আমি আপনাদের সতর্ক করিনি। আপনারা যদি নিজেদের মধ্যে ভেদাভেদ ভুলে একসাথে কাজ করতে না পারেন, নিজেরা যদি কাদা ছোড়াছুড়ি করেন, মারামারি-কাটাকাটি করেন, দেশ ও জাতির স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হবে। আমি আজকে বলে দিলাম, সতর্ক করে দিচ্ছি, পরে বলতে পারবেন না যে সতর্ক করিনি।

মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় শহীদ সেনা দিবসে রাওয়া ক্লাবে আয়োজিত ফটো এক্সিবিশনে তিনি এসব কথা বলেন।

সেনাপ্রধান বলেন, আমরা সুখে শান্তিতে থাকতে চাই, সে উদ্দেশে সেনাবাহিনী কাজ করে যাচ্ছে। সেনাবাহিনীর প্রতি আক্রমণ করবেন না। আমাদের প্রতি কারো কারো বিদ্বেষের কারণে আজও খুজে পায়নি। আমাদের সাহায্য করেন, আক্রমণ নয়। প্রয়োজন হলে আমাদের উপদেশ দেন। ভালো উপদেশ হলে আমরা গ্রহণ করবো। আমরা একসঙ্গে থাকতে চাই, দেশ ও জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।

তিনি আরও বলেন, নিজেরা ভেদাভেদ না করে এক হয়ে থাকি। যদি কোনো বিভেদ থাকে আলোচনা করে ঠিক করবো। ডানে-বায়ে গিয়ে লাভ হবে না। কেউ অপরাধ করলে বিন্দুমাত্র ছাড় নেই। এটা একটা সুশৃঙ্খল বাহিনী, এটিকে সুশৃঙ্খল থাকতে দিন।

ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, আমার অন্য কোনো আকাঙ্ক্ষা নেই। আমার একটাই আকাঙ্ক্ষা দেশ ও জাতিকে সুন্দর জায়গায় রেখে আমরা সেনানিবাসে ফেরত আসবো। আই হ্যাড এনাফ, ওয়াজ লাস্ট সেভেন-এইট মান্থ এনাফ।

দেশের আইনশৃঙ্খলা খারাপের পেছনে বেশকিছু কারণ আছে উল্লেখ করে সেনাপ্রধান বলেন, প্রথমত আমরা নিজেরা হানাহানির মধ্যে ব্যস্ত, একজন আরেকজনের বিরুদ্ধে বিষোদ্গারে ব্যস্ত। অপরাধীদের জন্য এটি চমৎকার একটি সুযোগ। আমরা একটা অরাজক পরিস্থিতির মধ্যে বিরাজ করছি, তারা জানে এই সময়ে অপরাধ করলে এর থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব। সে কারণে এসব অপরাধ হচ্ছে। আমরা যদি সংগঠিত থাকি, একত্রিত থাকি, তাহলে এগুলো এগুলো মোকাবেলা করা সম্ভব।

তিনি আরও বলেন, পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবি, ডিজিএফআই, এনএসআই এগুলো দেশের জন্য অতীতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছে। খারাপ কাজের সাথে অনেকগুলো ভালো কাজ করেছে। দেশকে যে এত বছর স্থিতিশীল রাখা হয়েছে, এটার কারণ হচ্ছে, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য ও সিভিলিয়ানরা মিলে অর্গানাইজেশনগুলো ইফেক্টিভ রেখেছে। এজন্য আমরা একটা সুন্দর পরিবেশ পেয়েছি। এর মধ্যে কেউ অপরাধ করলে শাস্তি হবে। অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে। না হয় এই জিনিস আবার ঘটবে। আমরা এসব চিরতরে বন্ধ রাখতে চাই। কিন্তু তার আগে মনে রাখতে হবে, এমনভাবে কাজটা করবো, যাতে এসব অর্গানাইজেশন আন্ডারমাইন্ড না হয়। আপনারা যদি মনে করেন, এসব অর্গানাইজেশনকে আন্ডারমাইন্ড করে শান্তিতে থাকবেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক বিরাজ করবে, এটি সম্ভব না।

ওয়াকার-উজ-জামার বলেছেন, আমরা নির্বাচনের দিকেই ধাবিত হচ্ছি, তার আগে যেসব সংস্কার প্রয়োজন, সরকার সেগুলো করবে। আমি যতবার ড. ইউনূসের সঙ্গে কথা বলেছি, তিনি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলেছেন এবং সেটা ডিসেম্বরের মধ্যেই। আমি প্রথমেই ১৮ মাসের কথা বলেছিলাম। মনে হয় সরকার সেদিকেই ধাবিত হচ্ছে। ড. ইউনূস যথাসাধ্য চেষ্টা করছেন দেশকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে। আমরা উনাকে সহযোগিতা করবো। আমাদের মধ্যে চিন্তা-চেতনায় বিরোধ, মতবিরোধ থাকতে পারে কিন্তু দিনশেষে দেশ ও জাতির কথা চিন্তা করে সবাই এক থাকতে পারি।

পিলখানা হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গে সেনাবাহিনী প্রধান বলেন, এ বর্বতায় সেনাসদস্যরা দায়ী নন। তৎকালীন বিজিবি সদস্যরা এর জন্য সম্পূর্ণ দায়ী। বিচারিক প্রক্রিয়াকে নষ্ট করবেন না। যারা শাস্তি পেয়েছে, তারা শাস্তি পাওয়ার যোগ্য। রাজনীতিবিদ ও বাইরের কেউ যুক্ত ছিল কি না তার জন্য কমিশন করা হয়েছে, কমিশন তদন্ত করে জানাবে।

সম্পাদক ও প্রকাশক : মঈনুদ্দিন কাজল
deshermatidaily@gmail.com
০১৬১৫১১২২৬৬, ০১৬৭৩৫৬২৭১৬

দেশের মাটি কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।