বিশ্ব

আর্জেন্টিনার লা প্লাটার সিনেমা ওচো হলে চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর সময় একটি অবিশ্বাস্য দুর্ঘটনা ঘটেছে— মুভি ‘ফাইনাল ডেস্টিনেশন: ব্লাডলাইনস’ দেখার সময় দর্শকদের মাথার ওপরেই ধসে পড়েছে সিনেমা হলের ছাদ! এক প্রতিবেদনে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট এ তথ্য জানায়।

 গত সোমবার (১৯ মে) স্থানীয় সময় রাত ৯টায় সিনেমা ওচোতে মুভির স্ক্রিনিং চলাকালীন এ ঘটনা ঘটে। ছাদের একটি বড় অংশ ধসে পড়ে ২৯ বছর বয়সী ফিয়াম্মা ভিলাভের্দের ওপর, যিনি তার ১১ বছরের কন্যা ও এক বন্ধুর সাথে সিনেমা দেখছিলেন।

ফিয়াম্মা ভিলাভের্দে বলেন, ‘প্রথমে আমরা ভেবেছিলাম এটি মুভিরই অংশ, কিন্তু পরে একটি বড় টুকরো আমার উপর পড়ে!’

ধ্বংসস্তূপ তার কাঁধ, পিঠ, হাঁটু ও গোড়ালিতে আঘাত করে। মাথায় খানিকটা আঘাত পাওয়ার কারণে প্রাণে বেঁচে যান তিনি। হাসপাতালে দায়িত্বরত চিকিৎসকরা তার শরীরে কালো দাগ শনাক্ত করে।

এমন আঘাত পাওয়ার পর ফিয়াম্মা বর্তমানে সাইকিয়াট্রিক চিকিৎসা নিচ্ছেন এবং ভিড়ের জায়গায় যেতে ভয় পান। তিনি সিনেমা হলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করার পরিকল্পনা করেছেন, কারণ চোটের কারণে তাকে কয়েক দিন কর্মস্থলে জেতে নিষেধ করেছে কর্তব্যরত চিকিৎসক।

ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছাদ ধসের ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা গেছে, সিনেমা হলের মেঝে জুড়ে ছাদের টুকরো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে। এছাড়াও ওই সময় দর্শকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে, যদিও বড় ধরনের প্রাণহানি রিপোর্ট হয়নি।

সিনেমা হল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়া হয়নি। উল্লেখ্য, ‘ফাইনাল ডেস্টিনেশন’ মুভিটির সিরিজগুলো বেশ পরিচিত অপ্রত্যাশিত মৃত্যুর নাটকীয় দৃশ্য জন্য, যেখানে চরিত্রগুলো দুর্ঘটনায় মারা যায়। সিনেমা হলে আসল জীবনেই এমন দুর্ঘটনা ঘটায় দর্শকরা হতবাক।

ফেনীর ফুলগাজী ও ছাগলনাইয়া সীমান্ত দিয়ে ২৪ জনকে পুশ ইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। বৃহস্পতিবার (২২ মে) ভোর ৪টার দিকে তাদের পুশ ইন করা হয়। পরে তাদেরকে আটক করে বিজিবি।

আটককৃতদের মধ্যে ৬ জন পুরুষ, ৫ জন মহিলা ও ১৩ জন শিশু। তারা সবাই কুড়িগ্রামের বাসিন্দা বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ফেনী বিজিবি-৪ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন বলেন, আজ ভোরে জসপুর ও খেজুরিয়া বিওপির ছাগলনাইয়া ও ফুলগাজী সীমান্ত দিয়ে ২৪ জনকে বাংলাদেশি নাগরিককে পুশ-ইন করে বিএসএফ। পরে খবর পেয়ে তাদেরকে আটক করা হয়। পরে তাদেরকে ছাগলনাইয়া ও ফুলগাজী থানায় হস্তান্তর করা হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রোস্টেট ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছেন। তার কার্যালয়ের দেয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ক্যানসারটি ইতিমধ্যে তার হাড়েও ছড়িয়ে পড়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ৮২ বছর বয়সী বাইডেন প্রস্রাবজনিত সমস্যা নিয়ে চিকিৎসকের কাছে গেলে ধরা পড়ে ক্যানসার।ক্যানসারটি বেশ আক্রমণাত্মক ধরনের, এবং তার গ্লিসন স্কোর ১০ এর মধ্যে ৯ — যা ‘উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ’ ক্যানসারের ইঙ্গিত দেয়।

গ্লিসন স্কোর প্রোস্টেট ক্যানসারের একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষার মাত্রা বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। এই স্কোর ক্যানসারের কোষের আকার, গঠন ও ছড়ানোর ধরন দেখে নির্ধারণ করা হয়। ক্যানসার কতটা আক্রমণাত্মক বা তীব্র এবং কেমন চিকিৎসা প্রয়োজন হতে পারে, তা এই স্কোর থেকে জানা যায়।

বাইডেন ও তার পরিবার চিকিৎসার বিভিন্ন পদ্ধতি নিয়ে ভাবছেন। সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্টের কার্যালয় জানিয়েছে, এই ক্যানসার হরমোন-সংবেদনশীল। এর অর্থ হলো, এটি সম্ভবত নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে।

ক্যানসার শনাক্তের খবর প্রকাশিত হওয়ার পর নিজ দল ডেমোক্রেটিক পার্টি ও ক্ষমতাসীন দল রিপাবলিকান পার্টির পক্ষ থেকে সমর্থন ও সহানুভূতি পাচ্ছেন বাইডেন।

পারমাণবিক অস্ত্র কর্তৃপক্ষের (ন্যাশনাল কমান্ড অথরিটি) সঙ্গে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের জরুরি বৈঠকের খবর নাকচ করে দিয়েছে ইসলামাবাদ। শনিবার (১০ মে) দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ এ তথ্য ভিত্তিহিন বলে নাকচ করে দেন।

এর আগে, পাকিস্তানের ন্যাশনাল কমান্ড অথরিটির জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে বলে জানায় বিভিন্ন গণমাধ্যম। বলা হয়, ভারতের চলমান হামলা মোকাবিলায় শক্তিশালী অস্ত্র ব্যবহার নিয়ে সভায় আলোচনা হবে। অথরিটির কাছ থেকে সবুজ সংকেত পেলে পাকিস্তান সেনাবাহিনী বিধ্বংসী সব অস্ত্র ভারত সীমান্তে মোতায়েন করতে পারবে।

এ বিষয়ে এআরওয়াই টেলিভিশনকে আজ শনিবার খাজা আসিফ বলেন, ন্যাশনাল কমান্ড অথরিটির সঙ্গে কোনো বৈঠক হয়নি, কোনো বৈঠক হওয়ার সময়সূচিও ছিল না।

উল্লেখ্য, পাকিস্তানের ন্যাশনাল কমান্ড অথরিটি একটি শীর্ষ সামরিক ও বেসামরিক পর্ষদ। এ কমিটি দেশটির পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবস্থাপনা করে এবং পারমাণবিক অস্ত্র–সংক্রান্ত নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে থাকে।

পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি জায়গায় ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনায় গভীর হতাশা ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে চীন। এই দুই পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিবেশী রাষ্ট্রকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে বেইজিং।

পাকিস্তানে ভারতের সামরিক অভিযানের প্রতিক্রিয়ায় হতাশা প্রকাশ করে চীন বলছে, তারা এ নিয়ে উদ্বিগ্ন।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেন, চীনের অবস্থান সকল প্রকার সন্ত্রাসবাদের বিপরীতে। ভারত ও পাকিস্তান এমন প্রতিবেশী যাদের আলাদা করা সম্ভব নয়, এরা চীনেরও প্রতিবেশী।

তিনি আরও বলেছেন, তারা এমন কোনও পদক্ষেপ যেন না নেয়, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তোলে।

ভারত-পাকিস্তান উভয় পক্ষকেই শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে গুরুত্ব দিয়ে সংযত থাকতে আহ্বান জানিয়েছে চীন।

পাকিস্তান-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে ভারতের ‘অপারেশন সিন্দুর’ হামলায় শিশুসহ ২৬ জন নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী। এছাড়াও এ হামলায় আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক মানুষ। বুধবার (৭ মে) এক প্রতিবেদনে ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানায়।

এদিকে, ভারতীয় সেনাবাহিনী দাবি করেছে তারা পাকিস্তানের ৯টি স্থানে সফলভাবে আঘাত করেছে। ভারতের বক্তব্য, এই অভিযানগুলি ‘সন্ত্রাসী ঘাঁটি’ ধ্বংসের লক্ষ্যে পরিচালিত হয়েছে।

এদিকে, পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ও একটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে বলে দাবি করেছে পাকিস্তান। তার মধ্যে ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মিরে তিনটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়েছে বলে স্থানীয় সরকারের চারটি সূত্র আজ বুধবার (৭ মে) বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে।

পাকিস্তানের সামরিক মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, ‘এখন পর্যন্ত ভারতের পাঁচটি আকাশযান, যার মধ্যে রয়েছে– তিনটি রাফাল, একটি এসইউ-৩০, একটি মিগ-২৯ এবং একটি হেরন ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে।’

এ হামলার পর ইন্ডিগো, এয়ার ইন্ডিয়াসহ প্রধান ভারতীয় এয়ারলাইন্সগুলি সীমান্তবর্তী অঞ্চলে সকল ফ্লাইট অপারেশন স্থগিত করেছে।

অন্যদিকে, পাকিস্তান সিভিল এভিয়েশন অথরিটি (সিএএএ) দেশটির সমগ্র আকাশসীমা ৪৮ ঘণ্টার জন্য সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করেছে। এ সময়ের মধ্যে সকল অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট স্থগিত থাকবে।

ইসলামাবাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সমস্ত ফ্লাইট অপারেশন বন্ধ থাকবে। এছাড়াও লাহোর, করাচি, ফয়সালাবাদ, সিয়ালকোট ও কোয়েটা বিমানবন্দর পরবর্তী ঘোষণা না আসা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।

এদিকে, পাকিস্তান-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে ভারতের ‘অপারেশন সিন্দুর’ হামলার কয়েক ঘণ্টা পর বিশ্ববাসীর উদ্দেশে বার্তা দিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন, ‘বিশ্বকে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীলতা দেখাতে হবে।’ 

উল্লেখ্য, গত ২২ এপ্রিল কাশ্মিরের পেহেলগামে ভয়াবহ হামলায় ২৬ জন নিহত হন। যাদের অধিকাংশই ছিলেন পর্যটক। হামলার পর দিল্লি সোজাসুজি এর দায় চাপিয়েছে ইসলামাবাদের ঘাড়ে। দু’দেশ থেকে নেয়া হয় বেশ কিছু কূটনৈতিক পদক্ষেপ। উত্তপ্ত পরিস্থিতি থামাতে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দেয় ইরান ও রাশিয়া। তবে সবকিছু উপেক্ষা করে জম্মু-কাশ্মিরে হামলার দুই সপ্তাহ পর পাকিস্তানে হামলা চালালো ভারত।

পাকিস্তান-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে ভারতের ‘অপারেশন সিন্দুর’ হামলায় শিশুসহ ২৬ জন নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী। এছাড়াও এ হামলায় আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক মানুষ। বুধবার (৭ মে) এক প্রতিবেদনে ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানায়।

এদিকে, ভারতীয় সেনাবাহিনী দাবি করেছে তারা পাকিস্তানের ৯টি স্থানে সফলভাবে আঘাত করেছে। ভারতের বক্তব্য, এই অভিযানগুলি ‘সন্ত্রাসী ঘাঁটি’ ধ্বংসের লক্ষ্যে পরিচালিত হয়েছে।

এদিকে, পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ও একটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে বলে দাবি করেছে পাকিস্তান। তার মধ্যে ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মিরে তিনটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়েছে বলে স্থানীয় সরকারের চারটি সূত্র আজ বুধবার (৭ মে) বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে।

পাকিস্তানের সামরিক মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, ‘এখন পর্যন্ত ভারতের পাঁচটি আকাশযান, যার মধ্যে রয়েছে– তিনটি রাফাল, একটি এসইউ-৩০, একটি মিগ-২৯ এবং একটি হেরন ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে।’

এ হামলার পর ইন্ডিগো, এয়ার ইন্ডিয়াসহ প্রধান ভারতীয় এয়ারলাইন্সগুলি সীমান্তবর্তী অঞ্চলে সকল ফ্লাইট অপারেশন স্থগিত করেছে।

অন্যদিকে, পাকিস্তান সিভিল এভিয়েশন অথরিটি (সিএএএ) দেশটির সমগ্র আকাশসীমা ৪৮ ঘণ্টার জন্য সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করেছে। এ সময়ের মধ্যে সকল অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট স্থগিত থাকবে।

ইসলামাবাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সমস্ত ফ্লাইট অপারেশন বন্ধ থাকবে। এছাড়াও লাহোর, করাচি, ফয়সালাবাদ, সিয়ালকোট ও কোয়েটা বিমানবন্দর পরবর্তী ঘোষণা না আসা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।

এদিকে, পাকিস্তান-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে ভারতের ‘অপারেশন সিন্দুর’ হামলার কয়েক ঘণ্টা পর বিশ্ববাসীর উদ্দেশে বার্তা দিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন, ‘বিশ্বকে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীলতা দেখাতে হবে।’ 

উল্লেখ্য, গত ২২ এপ্রিল কাশ্মিরের পেহেলগামে ভয়াবহ হামলায় ২৬ জন নিহত হন। যাদের অধিকাংশই ছিলেন পর্যটক। হামলার পর দিল্লি সোজাসুজি এর দায় চাপিয়েছে ইসলামাবাদের ঘাড়ে। দু’দেশ থেকে নেয়া হয় বেশ কিছু কূটনৈতিক পদক্ষেপ। উত্তপ্ত পরিস্থিতি থামাতে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দেয় ইরান ও রাশিয়া। তবে সবকিছু উপেক্ষা করে জম্মু-কাশ্মিরে হামলার দুই সপ্তাহ পর পাকিস্তানে হামলা চালালো ভারত।

রাখাইন রাজ্যে চলমান সংঘর্ষের ফলে বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমারের সেনা ও বর্ডার গার্ড (বিজিপি) সদস্যসহ ৪০ জন নাগরিককে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হচ্ছে।

বুধবার (৭ মে) দুপুরে কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে মিয়ানমারের একটি বিশেষ বিমানযোগে তাদের হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে। ইতোমধ্যে তাদের কক্সবাজার বিমানবন্দরে নিয়ে আসা হয়েছে।

বিজিবির কক্সবাজার জোনের অধিনায়ক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম এম ইমরুল হাসান বলেন, রাখাইনে সংঘাত শুরু হওয়ার পর সীমান্তের বিভিন্ন এলাকা দিয়ে ৪০ জন ব্যক্তি বাংলাদেশে ঢুকে আশ্রয় নেয়। এদের মধ্যে সেনা ও বিজিপি সদস্য ছাড়াও কিছু সাধারণ নাগরিকও আছেন।

কক্সবাজার বিমানবন্দরের পরিচালক মো. গোলাম মর্তুজা হোসেন জানিয়েছেন, মিয়ানমার থেকে একটি বিশেষ বিমান দুপুর দেড়টা নাগাদ কক্সবাজারে অবতরণ করবে। যেহেতু বিমানবন্দরটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনার জন্য নিয়মিত ব্যবহার হয় না, তাই কর্তৃপক্ষ বিশেষ ব্যবস্থায় ইমিগ্রেশনসহ সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে। বিমানটি ২টা ৪৫ মিনিটে কক্সবাজার ত্যাগ করবে বলেও জানান তিনি।

এর আগেও মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা ৭৫২ জনকে তিন ধাপে ফেরত নেয়া হয়েছে। একইভাবে মিয়ানমারে আটক থাকা ২১৪ জন বাংলাদেশি নাগরিকও তাদের দণ্ড শেষ করে দেশে ফিরে এসেছেন।

কাশ্মিরে পর্যটকদের ওপর হামলার পর থেকে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েই চলছে। এমন পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ জানিয়েছেন, ভারত যদি কোনো ধরনের হামলা চালায়, তাহলে পাকিস্তান তার জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে।

রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের বাহিনী প্রস্তুত রেখেছি। পরিস্থিতি যেকোনো সময় ভয়াবহ হতে পারে, সেই অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কৌশলগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’

গত চার দিন ধরে ভারত ও পাকিস্তান নিয়ন্ত্রণ রেখা (LoC) বরাবর গোলাগুলি চালাচ্ছে। দুই দেশই পরস্পরকে সংঘর্ষের জন্য দায়ী করছে। পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয় জম্মু-কাশ্মিরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় দুই ডজনের বেশি মানুষের মৃত্যুর পর।

ভারত দাবি করেছে, হামলাকারীদের মধ্যে দুজন পাকিস্তানি নাগরিক। তবে পাকিস্তান এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে প্রত্যাখ্যান করেছে এবং নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে।

খাজা আসিফ বলেন, পাকিস্তান উচ্চ সতর্কতায় রয়েছে এবং দেশটির অস্তিত্বের ওপর সরাসরি হুমকি এলে প্রয়োজনে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

পরে সামা টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমাদের মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে। সামনে যুদ্ধের আশঙ্কা রয়েছে।’ যদিও পরে জিও নিউজকে তিনি ব্যাখ্যা করেন, তার বক্তব্য যেন ভুলভাবে না নেওয়া হয়। তিনি শুধু বলেছেন, ‘পরবর্তী দুই থেকে চার দিন পরিস্থিতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।’

পাকিস্তান এরইমধ্যে বিভিন্ন মিত্র দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, চীন, সৌদি আরব, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ একাধিক দেশের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে ইসলামাবাদ। তাদের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে।

অবশ্য চীন, যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্ক ও কাতার দুই দেশের প্রতি সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গু জিয়াকুন বলেন, ‘চীন আশা করে ভারত ও পাকিস্তান সংযম দেখাবে, সংলাপের মাধ্যমে বিরোধ মেটাবে এবং আঞ্চলিক শান্তি রক্ষা করবে।’

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও দুই দেশের মধ্যে দায়িত্বশীল সমাধানের আহ্বান জানিয়েছে। মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা ভারত ও পাকিস্তানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যোগাযোগ রাখছে এবং শান্তিপূর্ণ সমাধান চায়।

এছাড়া, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান এবং কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুর রহমান আল-থানি শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে বিরোধ মেটানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। তারা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন।

সম্পাদক ও প্রকাশক : মঈনুদ্দিন কাজল
deshermatidaily@gmail.com
০১৬১৫১১২২৬৬, ০১৬৭৩৫৬২৭১৬

দেশের মাটি কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।