বিশ্ব

আগামী ৯ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সফরে আসছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব। দু’দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে ইতিবাচক আবহ তৈরির বার্তা নিয়েই ঢাকায় আসবেন তিনি। শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) দিল্লিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল।

সংবাদ সম্মেলনে সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহের আলোকে রণধীর জয়সওয়াল বলেন, দু’দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক যে তলানিতে ঠেকেছে, তা গোটা বিশ্বের কাছে পরিষ্কার।

এসময় প্রতিবেশীদের সঙ্গে ভারতের ভালো সম্পর্ক রাখার প্রয়াস আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সব প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরি করতে বদ্ধপরিকর ভারত। তাই দ্রুত দিল্লি এবং ঢাকার সমন্বয় তৈরি করার জন্য বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে বসতে চায় ভারত সরকার।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও অভ্যন্তরীণ নানা ইস্যু নিয়ে ভারতীয় মিডিয়ার অপতথ্যের পাশাপাশি দেশটির রাজনৈতিক নেতাদের বক্তব্যেও দেখা গেছে মিথ্যাচার। বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী অর্ধশতাব্দী সময়ে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক কূটনৈতিক সম্পর্কে এখন সবচেয়ে অবনমন ঘটেছে বলে মনে করছেন কেউ কেউ।

বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও বহিস্কৃত ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতার ইস্যুতে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ভেদান্ত প্যাটেল বলেছেন, ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিতের পাশাপাশি যেকোনো প্রতিবাদ-বিক্ষোভ শান্তিপূর্ণ হওয়ার পক্ষে যুক্তরাষ্ট্র।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

বাংলাদেশে কথিত সংখ্যালঘু নির্যাতন ইস্যুতে করা প্রশ্নের জবাবে মুখপাত্র ভেদান্ত প্যাটেল বলেন, মৌলিক অধিকার এবং ধর্মীয় স্বাধীনতার বিষয়ে মার্কিন প্রশাসন সব সরকারের সাথে কাজ করে। এই ইস্যুতে চলমান বিক্ষোভ প্রসঙ্গে স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র বলেন, প্রতিটি প্রতিবাদ শান্তিপূর্ণ হওয়া উচিত।

বহিষ্কৃত ইসকন নেতা চিন্ময় দাসের গ্রেফতার ইস্যুতে করা এক প্রশ্নের জবাবে মার্কিন এই মুখপাত্র বলেন, এই ইস্যুতে স্পষ্টভাবে অবগত নয় মার্কিন প্রশাসন। মামলা সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্যও তাদের কাছে নেই বলে জানান তিনি।

তবে গ্রেফতার হওয়া যে কোনো ব্যক্তির আইনি সুরক্ষা পাওয়ার অধিকার রয়েছে বলে মন্তব্য করেন ভেদান্ত প্যাটেল। বলেন, আটক ব্যক্তিদের উপযুক্ত আইনি সুযোগ দিতে হবে এবং মৌলিক অধিকার সমুন্নত রাখতে হবে।

দক্ষিণ কোরিয়ায় জরুরি ভিত্তিতে সামরিক আইন জারি করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে এ ঘোষণা দেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল। খবর ব্রিটিশ ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম বিবিসির।

তিনি বলেন, উদারপন্থী দক্ষিণ কোরিয়াকে উত্তর কোরিয়ার কমিউনিস্ট বাহিনীর হুমকি থেকে সুরক্ষা দিতে এবং রাষ্ট্রবিরোধী বিভিন্ন শক্তি নির্মূল করতে আমি জরুরি ভিত্তিতে সামরিক আইন জারি করছি। তবে কী ধরনের হুমকি মোকাবেলায় তার এ পদক্ষেপ, সে বিষয়ে বিস্তারিত জানাননি তিনি।

প্রেসিডেন্টের এমন সিদ্ধান্তের সমালোচনা করছে স্বয়ং তার রাজনৈতিক দল পিপল পাওয়ার পার্টি। সামরিক আইন জারিকে অসাংবিধানিক আখ্যা দিয়েছে বিরোধী দলের নেতারাও।

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়িতে অন্তর্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে অবমাননাকর পোস্টার সাঁটিয়েছে দুর্বৃত্তরা। তবে কারা এসব লাগিয়েছে তার কোনো হদিস বলতে পারছে না সেখানকার পুলিশ।

জানা গেছে, মঙ্গলবার প্রকাশ্য দিবালোকে একটি সনাতনী সংগঠনের সমর্থকরা এই পোস্টের লাগিয়েছে। তাতে ড. মুহাম্মদ ইউনূস সম্পর্কে নানা আপত্তিকর কথা লেখা রয়েছে।

এর আগে, সোমবার ত্রিপুরার আগরতলায় বাংলাদেশ উপ সহকারী দূতাবাসে হামলার ঘটনায় বিব্রত ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। গ্রেফতার করা হয়েছে তিন দুষ্কৃতিকারীকে। তার মধ্যেই ফের এই ধরনের ঘটনা গভীর চিন্তায় ফেলেছে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ২০২৬ সালে পশ্চিমবঙ্গসহ আরও বেশ কয়েকটি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটের লোভে শাসক এবং বিরোধী সব রাজনৈতিক দল এসব কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। নিজেদের দেশ ও রাজ্যের শিল্প, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কর্মসংস্থান ও কৃষির নানা সমস্যাকে ধামা চাপা দিতে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পালা বদল এবং ধর্মীয় সংঘাতকে প্রচার করা হচ্ছে।

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ আন্দোলনের মুখে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর একাধিক ভারতীয় সংবাদমাধ্যম খবর প্রকাশ করতে থাকে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। এ কারণে অনেকে পালিয়ে ভারতে চলে আসছেন। তবে, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে প্রবেশকারীদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বাড়েনি। গত ছয় বছরের সরকারি তথ্যের বিশ্লেষণে এটি নিশ্চিত করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম, দ্য হিন্দু।

দ্য হিন্দু’র প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশের চেষ্টার একটি তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে দেখা গেছে চলতি বছরে গত ৫ আগস্টের পর থেকে ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ ১ হাজার ৩৯৩ বাংলাদেশিকে আটক করে।

দ্য হিন্দু’র প্রতিবেদন।

অরপরদিকে, শেখ হাসিনার পতনের আগে চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৪ আগস্ট পর্যন্ত ১ হাজার ১৪৪ জনকে অনুপ্রবেশের সময় আটক করেছিল বিএসএফ। এর অর্থ সরকারের পতনের পর হাজার হাজার মানুষের সীমান্ত পাড়ি দেয়ার কোনো চেষ্টার ঘটনা ঘটেনি।

একই পরিসংখ্যানে গত ১ জানুয়ারি থেকে ৪ আগস্ট পর্যন্ত ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) বাংলাদেশে অবৈধ প্রবেশের সময় পরিচয়বিহীন ৮৭৩ জন ভারতীয়কে আটক করে। এছাড়া ৫ আগস্ট থেকে ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত সেদেশের ৩৮৮ জন নাগরিককে অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় আটক করা হয়। 

সব মিলিয়ে চলতি বছর সীমান্ত এলাকা থেকে ৩ হাজার ৯০৭ জনকে আটক করা হয়।

বছরভিত্তিক সীমান্ত এলাকায় বিএসএফের হাতে আটকের সার্বিক পরিসংখ্যান:

বছর আটকের সংখ্যা
২০১৮ ২৯৯৫
২০১৯ ২৪৮০
২০২০ ৩২৯৫
২০২১ ২৪৫১
২০২২ ৩০৭৪

 

চীন-রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন ব্রিকস জোট যদি বৈশ্বিক বাণিজ্যের জন্য নতুন মুদ্রা চালু বা প্রচলিত মুদ্রার বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করে, তাহলে জোটের সদস্য দেশগুলোর ওপর শতভাগ শুল্ক আরোপ করবে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

রোববার (১ ডিসেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা এক বার্তায় ট্রাম্প এসব কথা জানান।

পোস্টে ট্রাম্প লেখেন, মার্কিন ডলার থেকে ব্রিকস দেশগুলোর দূরে সরে যাওয়ার চেষ্টা আর সহ্য করা হবে না। আমরা চাই, তারা অঙ্গীকার করবে যে, নতুন ব্রিকস মুদ্রা তৈরি করবে না এবং ডলারের বিকল্প কোনো মুদ্রাকে সমর্থন দেবে না। অন্যথায়, তারা শতভাগ শুল্কের সম্মুখীন হবে এবং যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রবেশাধিকার হারাবে।

ট্রাম্পের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট।

এক যুগ আগে, ২০১১ সালে ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন এবং দক্ষিণ আফ্রিকাকে নিয়ে গঠিত হয় ব্রিকস জোট। চলতি বছর ইরান, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইথিওপিয়া এবং মিশর এর নতুন সদস্য হিসেবে যুক্ত হয়ে।

দক্ষিণ আফ্রিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী নালেদি প্যান্ডর জানিয়েছিলেন, ৩৪টি দেশ এই জোটে যোগদানের আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আগ্রহীদের তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশসহ এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশ।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী বিশ্বে ডলার হলো প্রধান রিজার্ভ মুদ্রা। বলা হয়, বিশ্ববাণিজ্যের ৮০ শতাংশের বেশি ডলারে লেনদেন হয়। গত বছরের শুরুতে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা দা সিলভা প্রশ্ন তোলেন, কেন সব দেশ ডলারে লেনদেন করবে। এর পরপর রাশিয়ার একজন শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, ব্রিকস নিজস্ব মুদ্রা চালুর কথা ভাবছে।

এবার ব্রিকসের এই খসড়া চিন্তার বিপরীতে প্রতিক্রিয়া দেখালো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। কারণ, যিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আর দেড় মাস পর মার্কিন ক্ষমতার মসনদে বসবেন সেই ট্রাম্প।

মহারাষ্ট্রের নির্বাচনে জয়লাভের মধ্য দিয়ে আগের সব নির্বাচনের রেকর্ড ভেঙেছে বিজেপি। বিগত পাঁচ দশকের মধ্যে এটিই কোনো জোটের সবচেয়ে বড় বিজয়, এমন দাবি করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শনিবার (২৪ নভেম্বর) ভোটের ফল ঘোষণার পর রাজধানী দিল্লিতে দেয়া বিজয়ী ভাষণে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

মোদি বলেন, মহারাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে বিজেপি। এসময় কংগ্রেসের সমালোচনা করে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন, মহারাষ্ট্রে হারের মধ্য দিয়ে ইনডিয়া জোটের দু’মুখো চেহারা উন্মোচিত হয়েছে।

তিনি দাবি করেন, ভারতের রাজনীতিতে ‘পরজীবি’ পার্টিতে রূপান্তরিত হয়েছে রাহুল গান্ধির কংগ্রেস। যাদের নিজেদের বলে সরকার গঠন করা অসম্ভব।

এক টুইটে মোদি লেখেন, উন্নয়ন জয়ী হয়েছে। সুশাসন জয়ী হয়েছে। একসঙ্গে আমরা আরও উঁচুতে উঠব। এই জয়ের জন্য মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা আমার ভাই ও বোনেদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই। বিশেষ করে এনডিএ-এর এই ঐতিহাসিক ফলাফলের জন্য রাজ্যের যুব সম্প্রদায় ও মহিলাদের অভিনন্দন। আমাদের জোটের প্রতি তাঁদের এই স্নেহ ও উষ্ণতা অতুলনীয়। আমি মানুষকে আশ্বস্ত করতে চাই যে আমাদের জোট মহারাষ্ট্রের উন্নয়নের জন্য আরও কাজ করবে। জয় মহারাষ্ট্র।

মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচনে এনডিএ জোট ২৮৮টি আসনের মধ্যে ২৩৬টিতে জয় পেয়েছে। অপরদিকে, বিরোধী দলীয় জোট এমভিএ পেয়েছে মাত্র ৪৮টি আসন। বাকি চারটি আসনে জয় পেয়েছে অন্যান্য দলগুলো।

উল্লেখ্য, ভারতের বিধানসভা নির্বাচনে অন্ধ্র প্রদেশ, সিক্কিম, হরিয়ানা ও মহারাষ্ট্রের নির্বাচনে জয় পেয়েছে বিজেপি ও তাদের নেতৃত্বাধীন জোট। তবে ঝাড়খন্ডে পুনরায় সরকার গঠন করেছে কংগ্রেস জোট।

যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি দূর পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলার একদিন পর এবার যুক্তরাজ্যের তৈরি ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়ায় হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। রাশিয়ান মিলিটারি ব্লগের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) রাশিয়ায় মার্কিন তৈরি ‘আর্মি ট্যাকটিকেল মিসাইল সিস্টেম’ (এটিএসিএমএস) ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইউক্রেন। বুধবার (২০ নভেম্বর) রাশিয়ার ভেতরে ব্রিটিশ স্টর্ম শ্যাডো ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে কিয়েভ। তবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি ব্রিটিশ সরকার।

রাশিয়ার সামরিক ব্লগাররা নিশ্চিত করেছে স্টর্ম শ্যাডো মিসাইল হামলার তথ্য। তারা জানায়, দেশটির কুরস্ক অঞ্চলে মিসাইল বিস্ফোরণের ব্যাপক শব্দ শোনা গেছে। অন্তত ১৪টি বিস্ফোরণ হয়েছে এলাকাটিতে।

ইতালিয়ান শিল্পী মাউরিজিও ক্যাটেলানের ভাইরাল সৃষ্টি ‘কমেডিয়ান’ শিরোনামের সেই শিল্পকর্মটি এবার বিক্রি হলো ৬২ লাখ ডলারে। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৭৪ কোটি টাকার বেশি। বুধবার, নিলামকারী প্রতিষ্ঠান সোথেবির নিলামে অবিশ্বাস্য এই দামে বিক্রি হয় কলাটি।

মূলত রুপালি রঙের টেপ দিয়ে দেয়ালে আটকানো হলুদ রঙের পাকা কলাটি একটি শিল্পকর্ম। প্রাথমিকভাবে ১৫ লাখ ডলারে বিক্রির প্রত্যাশা করা হয়েছিলো। তবে, সাতজনের প্রতিযোগিতার কারণে এর দাম পৌঁছায় ৫২ লাখ ডলারে, বাদবাকি ফিসহ যার খরচ পৌঁছেছে ৬২ লাখ এ।

নিলামকারীর দাবি, এটিই বিশ্বের সবচেয়ে দাবি কলা। সোথেবি জানায়, একটি ক্রিপ্টোকারেন্সি প্লাটফর্মের প্রতিষ্ঠাতার পক্ষে জাস্টিন সান নামের এক ব্যক্তি কলাটি কিনেছেন।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে একটি শিল্পকর্ম নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছিলো সারা পৃথিবীতে। কারণ-অনেকের মতে সেই শিল্পকর্মটি লেইম। অনেকেই আবার ঠাট্টা মশকরা করে বলেছিলেন, ‘কতই-না চিন্তা ভাবনা করতে হয়েছে শিল্পকর্ম বানাতে গিয়ে! সেটি ছিলো দেয়ালে টেপ দিয়ে লাগানো একটি কলা! তখন, ওই শিল্পকর্ম বিক্রি হয়েছিলো এক লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলারে।

ইসরায়েলের সাথে যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নে লেবাননের যেকোনো সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানাবে ইরান। খবর রয়র্টাস। শুক্রবার বৈরুত সফরে গিয়ে এই মন্তব্য করেছেন দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির উপদেষ্টা আলি লারিজানি।

লেবাননে যখন আগ্রাসনের মাত্রা ব্যাপক বাড়াচ্ছে তেলআবিব, তখন তেহরানের পক্ষ থেকে যুদ্ধ থামানোর এই ইঙ্গিত দেয়া হলো। এর আগে, গত বৃহস্পতিবার, লেবাননের পার্লামেন্টের স্পিকার নাবিহ বেরির কাছে যুদ্ধবিরতির খসড়া একটি প্রস্তাব দিয়েছেন দেশটিতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত।

যুদ্ধবিরতির আলোচনায় মধ্যস্থতা করার জন্য এই নাবিহ বেরিকে মনোনীত করেছে হিজবুল্লাহ। লেবাননে যুদ্ধ বন্ধে এটিই যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম লিখিত প্রস্তাব।

সম্পাদক ও প্রকাশক : মঈনুদ্দিন কাজল
deshermatidaily@gmail.com
০১৬১৫১১২২৬৬, ০১৬৭৩৫৬২৭১৬

দেশের মাটি কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।