আমেরিকায় তারার আলোর আয়োজনে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান

বাংলাদেশী বাঙালীদের রয়েছে শত শত বছরের ইতিহাস ও ঐতিহ্য। বাংলাদেশের সংস্কৃতি স্বকীয় বৈশিষ্ট্যের কারণে স্বমহিমায় উজ্জ্বল। পৃথিবীর সমৃদ্ধ সংস্কৃতির ধারণকারী দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। তেমনি একটি উৎসব বাংলা নববর্ষ। উৎসব আমেজের মধ্য দিয়ে নিউ ইয়র্কে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হলো এই বাংলা নববর্ষ ১৪৩২। বিশ্ব-দরবারে বাঙালীর অগ্রযাত্রাকে আরেক দফা তুলে ধরার লক্ষ্যে আয়োজনে ছিল সার্বজনীন মঙ্গল শোভাযাত্রারও।
উত্তর আমেরিকার একমাত্র সম্পূর্ণ মহিলা নিয়ন্ত্রিত এবং পরিচালিত সংগঠন তারার আলো এই উৎসবের আয়োজন করে। ঝমকালো পরিবেশে অগণিত যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী নারীর অংশগ্রহণে চোখ ধাঁধানো পারফরমেন্স ছিল উল্লেখ করার মতো। এই উৎসবের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে যেন একটি বার্তাই ছড়িয়ে পড়েছে আরেকবার, ‘যতদূর বাংলা ভাষা, ততদূর বাংলাদেশ’।
গত ১৯ এপ্রিল শনিবার জ্যাকসন হাইটসের ডাইভারসিটি প্লাজায় অনুষ্ঠিত হয় এই ঝাকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানটি। আকর্ষনীয় দেশীর সাজে এবং বৈশাখী সংস্কার ও সাংস্কৃতিক নিয়মে পালিত উক্ত অনুষ্ঠানের মধ্যমনি ছিলেন তারার আলোর প্রধান ও প্রেসিডেন্ট মীনা ইসলাম। মীনা ইসলামের উদ্যোগে নিউইয়র্কে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে এই তারার আলো সংগঠনটি। এই সংগঠনের মাধ্যমে দীর্ঘদিন যাবৎ তিনি নিয়মিত বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠান পালনের মাধ্যমে আমেরিকায় বসবাসরত বাংলাদেশী নারীদের বাঙালী কৃষ্টি ও সাংস্কৃতিকে ধরে রাখার প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন। পরোপকার ও কমিউনিটি এক্টিভিস্ট হিসেবে যার রয়েছে যথেষ্ট খ্যাতি।
বাংলাদেশ থেকে আগত বিভিন্ন মিডিয়া ও বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বকে বিভিন্ন সময়ে তিনি নিজ বাসভবনে সাময়িক আশ্রয়সহ নিঃস্বার্থভাবে নানাবিধ উপকার করেছেন। ডাইভারসিটি প্লাজায় এদিনের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের সকল সামগ্রী সরবরাহসহ তিনি নিজ হাতে অত্যন্ত পরিশ্রম কয়ে অনুষ্ঠানের সহায়তার জন্য "কুলা' ও বিভিন্ন চারুকার্য তৈরি করেন।
এক আলাপচারিতায় তারার আলোর মীনা ইনলাম জানান, তিনি ভবিষ্যতে প্রবাসী নারীদের আরও সুসংগঠিত করে সুন্দর ও আকর্ষনীয় অনুষ্ঠান উপহার দেবেন।
তিনি বলেন, বিশ্ব-দরবারে বাঙালীর অগ্রযাত্রা রুখার সাধ্য কোনো মেটিকিউলাস অপশক্তির নেই। মঙ্গল শোভাযাত্রা উদযাপন পরিষদের পক্ষ থেকে সকলকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাই। নতুন বছর আপনার জীবনে আনন্দ ও মঙ্গলের বার্তা নিয়ে আসুক।