বাংলাদেশ

নরসিংদীতে দুর্বৃত্তের গুলিতে এক ছাত্রদলকর্মী নিহত হয়েছে। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) রাত সোয়া ১১টার দিকে সদর উপজেলার পাঁচদোনায় এই ঘটনা ঘটে।

নিহত ছাত্রদল নেতা হুমায়ূন কবির (৩৫) নগর পাঁচদোনা গ্রামের একরামুল হকের ছেলে এবং মেহেরপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সদস্য ছিলেন।

নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা জানায়, হুমায়ূন কবির নিজ এলাকায় ব্যাডমিন্টন খেলছিলেন। শাহ আলম ও টিটু নামেই দু’জন তাকে মসজিদের পাশে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে গুলি করে পালিয়ে যায়। এ সময় তিনি বুকে ও মাথায় দুটি গুলিবিদ্ধ হয়। পরে, তাকে উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, ব্যাডমিন্টন খেলা শেষে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা তাকে গুলি করে পালিয়ে যায়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, কোনো পূর্বশত্রুতার জেরে তাকে হত্যা করা হয়েছে। তবে তার বিরুদ্ধে মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। হত্যার প্রকৃত কারণ উদ্‌ঘাটন হত্যাকারীদের গ্রেফতারে কাজ করছে পুলিশ বলে জানান তিনি।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন সময়ে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার দায়ে ৬ শিক্ষার্থীকে স্থায়ী বহিস্কারসহ ৩৩ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি প্রদান করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে দশটার দিকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতরের প্রশাসক অধ্যাপক মো. আখতার হোসেন মজুমদার।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, শৃঙ্খলা উপ-কমিটির সুপারিশের প্রেক্ষিতে গত ১১ ডিসেম্বর উপাচার্য প্রফেসর সালেহ্ হাসান নকীবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ডিসিপ্লিনারি বোর্ডের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে প্রদত্ত শাস্তি প্রদানের সুপারিশ গত ১২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের ৫৩৫তম সভায় অনুমোদন করা হয়।

শাস্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে ৬ জনকে স্থায়ী বহিস্কার তবে ছাত্রত্ব না থাকলে সনদ বাতিল, ৫ জনকে দুই বছরের জন্য বহিস্কার, ৪ জনকে এক বছরের জন্য বহিস্কার, ২ জনকে এক সেমিস্টারের জন্য বহিস্কার, এক জনকে এক সেমিস্টারের জন্য বহিস্কার ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, এক জনকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা এবং ১৪ জনের আবাসিকতা বাতিল ও ৫ জনের মুচলেকা প্রদানের মাধ্যমে হলে অবস্থানের সুযোগ দেয়া হয়েছে।

শাস্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে ৫ জন শিক্ষার্থীকে প্রাথমিক পর্যায়ে প্রমাণিত অপরাধের জন্য শাস্তি প্রদান করা হলেও অধিকতর তদন্ত সাপেক্ষে পুনরায় তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। স্থায়ীভাবে বহিস্কৃত শিক্ষার্থীরা ব্যতীত মুচলেকার মাধ্যমে হলে থাকার অনুমতিপ্রাপ্ত ৫ জনসহ শাস্তিপ্রাপ্ত কোনো শিক্ষার্থী ভবিষ্যতে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হলে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে

ভূমি মন্ত্রণালয় এবং বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ.এফ হাসান আরিফ মারা গেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি মারা যান।

হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, তিনি বিকেল ৩টা ১০ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা গেছেন।

গত ৮ আগস্ট গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দায়িত্ব পেয়েছিলেন হাসান আরিফ। পরে হাসান আরিফকে ভূমি এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়।

হাসান আরিফ সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী। তিনি ১৯৭০ সালে আইন পেশায় যুক্ত হন। ২০০১ সালের অক্টোবর থেকে ২০০৫ সালের এপ্রিল পর্যন্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৮ থেকে ২০০৯ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আইন উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব সামলেছেন।

হাসান আরিফ তার কর্মজীবন শুরু করেন ১৯৬৭ সালে ভারতের পশ্চিম বাংলার কলকাতা হাইকোর্ট থেকে। এরপর ১৯৭০ সালে তিনি ঢাকায় চলে আসেন এবং হাইকোর্টে আইনজীবী হিসেবে কাজ শুরু করেন। তিনি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আইন উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এর আগে। এর মধ্যে আছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ, সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন, বাংলাদেশ ব্যাংক, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন এবং গ্রামীণফোন বাংলাদেশ।

কলকাতার একটি আদালত থেকে বাংলাদেশ থেকে বিপুল অর্থ পাচারে অভিযুক্ত আলোচিত ব্যবসায়ী প্রশান্ত কুমার (পি কে হালদার) জামিন পেয়েছে। শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) ব্যাঙ্কশাল আদালত পিকে হালদারসহ ছয়জনের জামিন মঞ্জুর করেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, জামিনের বিনিময়ে প্রত্যেককে ১০ লাখ রুপি জমা দিতে হবে। একইসঙ্গে শর্ত দেয়া হয়েছে মামলা চলাকালীন তাদের আদালতে হাজিরাও দিতে হবে। এ সময়ের মধ্যে রাজ্য বা দেশ ত্যাগ করতে পারবেন না।

এদিকে, এর আগে গত ২৭ নভেম্বর জামিন পেয়েছিলেন পি কে হালদারের ভাই প্রানেশ হালাদার, আমিনা সুলতানা ওরফে শর্মি হালদার ও ইমন হোসেন।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের মে মাসে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা থেকে পিকে হালদারকে গ্রেফতার করে ভারতের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।

ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক সেনাপ্রধান মইন ইউ আহমেদসহ ৫৮ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ২০০৯ সালের ২৫-২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানা হত্যাকাণ্ডের সাথে তাদের সংশ্লিষ্টতা দাবি করে বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ জমা দিয়েছেন নিহত সেনা পরিবারের সদস্যরা।

বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) নিহত সেনা সদস্যদের পরিবারের পক্ষে এ অভিযোগ দায়ের করেন অ্যাডভোকেট তাসমীরুল ইসলাম।

পরে তারা গণমাধ্যমে মামলা সম্পর্কে অবহিত করে বলেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীসহ পিলখানা হত্যাকাণ্ডের জড়িতদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। পর্দার আড়ালের কুশীলবদেরও বিচারের দাবি করেন তারা। নিহত সেনা পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, তৎকালীন সেনাপ্রধানসহ অনেকেই এ ঘটনার জন্য দায়ী।

এসময় ট্রাইব্যুনালে আরও উপস্থিত ছিলেন, তৎকালীন বিডিয়ারের ডিজি মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদের ছেলে ব্যারিস্টার রাকিন আহমেদ, শহীদ কর্নেল মুজিবুল হকের স্ত্রী ফেরদৌসী ও কর্নেল কুদরত এলাহীর ছেলে সাকিব রহমানসহ আরও অনেকে।

এর আগে, ১৭ ডিসেম্বর রাজধানীর পিলখানায় বিডিআর হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচনে আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে বলে জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেন, এই কমিটিতে থাকবেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারক, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা, সশস্ত্র বিভাগ ও পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।

জুলাই-আগস্ট গণহত্যায় ইন্টারনেট বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন শেখ হাসিনা। তা বাস্তবায়ন করেন তৎকালীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তদন্ত সংস্থার জিজ্ঞাসাবাদে পলক এ কথা স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেছেন। পলকের দেয়া তথ্য জানিয়ে তাজুল বলেন, শেখ হাসিনার টার্গেট ছিল ইন্টারনেট বন্ধ করে গণহত্যা ধামাচাপা দেয়া।

তিনি বলেন, আসামি জিয়াউল আহসান ট্রাইব্যুনালে একটি আবেদন করেছেন। তিনি বলেছেন, এই ট্র্যাইব্যুনালের নাকি বিচার করার এখতিয়ার নাই। বিচার বিতর্কিত করতে এমন আবেদন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

এদিকে, জুলাই-আগস্টের গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, এনটিএমসির সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউল আহসানসহ ৮ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুই মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি তদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনালে দাখিল করতে বলা হয়েছে।

ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন। আদালতে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর বি এম সুলতান মাহমুদ, গাজী এম এইচ তামিম।

ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ও এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলমের ছেলে আহসানুল আলমের নেতৃত্বে চট্টগ্রামের চাকতাই শাখা থেকে এক হাজার ৯২ কোটি টাকা লুটপাট হয়েছে। এস আলমের কর্মচারী মেসার্স মুরাদ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী গোলাম সারওয়ার চৌধুরীকে সামনে রেখে ওই টাকা হাতিয়ে নেয় আলোচিত গ্রুপটি। এতে সহযোগিতা করেন ইসলামী ব্যাংকের তৎকালীন এমডি ও পরিচালকসহ ৩৪ কর্মকর্তা।

তাদের পাশাপাশি ঋণগ্রহীতা প্রতিষ্ঠানের মালিক মিলিয়ে মোট ৫৮ জনের জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ ঘটনায় সাইফুল আলমের ছেলে আহসানুল আলমসহ ৫৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মুরাদ এন্টারপ্রাইজের গোলাম সারোয়ার চৌধুরী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মালিক ও ব্যাংকের সর্বোচ্চ কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগসাজশে হাতিয়ে নেয় অর্থ। ২০২১ সালের ২১ থেকে ২৬ ডিসেম্বরের মধ্যে ৮৯০ টাকা ঋণ মঞ্জুর হয়। পরবর্তীতে ২০২২ সালের নভেম্বরে বিনিয়োগ সীমা বৃদ্ধি করে হাজার কোটি এবং ২০২৩ সালের ৭ নভেম্বরে ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা মঞ্জুর করা হয়। যার মধ্যে ১ হাজার ৯২ কোটি টাকা পাচার করেছে।

তড়িঘড়ি কিংবা ঢিলেমি নয় সংস্কার সবার মতামত নিয়ে হওয়া জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর তোপখানা রোডে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ১৩টি সংস্কার কমিশন কাজ করছে। তবে তারা কতটা সংস্কার করবেন ও গতি কেমন হবে সেটাও সরকারকে দেখতে হবে। কমিশন রিপোর্ট আসার আগেই কাঠামো তৈরি করে ফেলা হচ্ছে।

মান্না বলেন, তাবলীগ জামায়াতের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনায় উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। এছাড়াও ছাত্র-জনতার আন্দোলনে জড়িতদের হত্যাচেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, কাউন্সিলরদের আবারও সক্রিয় করার বিষয়টি গিভ এন্ড টেকের মত হচ্ছে। এই কাউন্সিলররা ফ্যাসিবাদী প্রক্রিয়ায় নির্বাচিত। তাই আবারও তাদের নিয়ে পরিকল্পনা ভিন্ন ইঙ্গিত দেয় বলে জানান নাগরিক ঐক্যের সভাপতি।

গাজীপুরে টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে সংঘর্ষের ঘটনায় মাঠ নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে সরকার। মাওলানা জুবায়ের ও মাওলানা সাদের অনুসারীদের কেউই মাঠে প্রবেশ করতে পারবে না বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ধর্মীয় স্বার্থে কোনো পক্ষকে উস্কানিমূলক বক্তব্য দেয়া থেকে বিরত থাকার আহ্বানও জানানো হয়েছে।

বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) তাবলিগের দুই পক্ষের হতাহতের ঘটনায় সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা যায়।

এদিকে, মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) মধ্যরাতে মাঠ দখল নিয়ে মাওলানা সাদ ও জুবায়েরপন্থী অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ৩ জন নিহত হয়েছেন। এতে শতাধিক আহতের ঘটনা ঘটে।

হতাহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজসহ বিভিন্ন হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। নিহতরা হলেন– কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া থানার এগারসিন্দু এলাকার বাচ্চু মিয়া (৭০), দক্ষিণ খানের বেড়াইদ এলাকার বেলাল হোসেন (৬০) এবং বগুড়ার তাইজুল ইসলাম। তাদের মধ্যে বেলাল হোসেন ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

মধ্যরাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্বনয়কদের সঙ্গে বৈঠক চলাকালীন সময় এমন হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে জুবায়েরপন্থী সংগঠনটির মিডিয়া সমন্বয়ক মুফতী আমানুল হক।

এদিকে সাদপন্থীদের মিডিয়া সমন্বয়ক মুহাম্মদ সায়েম গণমাধ্যমকে বলেন, বিশ্ব ইজতেমার মাঠ আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। আমাদের বেলাল হোসেন নামের এক সাথীর মৃত্যু হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ব ইজতেমার আগে আগামী ২০ ডিসেম্বর থেকে পাঁচ দিনের জোড় ইজতেমা করার জন্য সাদ অনুসারী মুসল্লিরা ইজতেমা ময়দানে প্রবেশের চেষ্টা করছিলেন। আর সাদপন্থীরা যেন ইজতেমা ময়দানে প্রবেশ করতে না পারেন, সেজন্য আগে থেকেই ময়দানে অবস্থান করছিলেন জুবায়েরপন্থীরা।

বহুল আলোচিত ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ৭ জনকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরিন আক্তারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

এই মামলায় ৬ জনের ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে উলফা নেতা পরেশ বড়ুয়াকে।

বাবরকে এ মামলার প্রধান আসামি করা হয়েছিলো। তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণ হাজির করতে না পারায় তাকে খালাস দেয়া হয়েছে।

কোর্টের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী নিরাপদ ব্যক্তিকে সাজা দেয়া বিচারের মূল উদ্দেশ্য হতে পারে না। পুলিশ তার বিরুদ্ধে অকাট্য সাক্ষ্য প্রমাণ আদালতে হাজির করতে পারেনি। মামলাr তদন্তে যথেষ্ট ত্রুটি বিচ্যুতি রয়েছে বলেও জানায় আদালত।

সম্পাদক ও প্রকাশক : মঈনুদ্দিন কাজল
deshermatidaily@gmail.com
০১৬১৫১১২২৬৬, ০১৬৭৩৫৬২৭১৬

দেশের মাটি কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।