বাংলাদেশ

ভোটের রোডম্যাপ নিয়ে বিএনপির যে প্রত্যাশা ছিলো তা পূরণ হয়নি বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। সরকার আন্তরিক হলে ৪-৬ মাসের মধ্যেই নির্বাচন সম্ভব বলেও জানান তিনি।

বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর বনানীর কড়াইল এলাকায়, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন এর উদ্যোগে মেডিকেল ক্যাম্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন সালাউদ্দিন আহমেদ। এ সময় গণতান্ত্রিক যাত্রায় কোনো কৌশল প্রয়োগ না করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।

বিএনপির এই নেতা বলেন, ভোটের অপেক্ষায় আছে, তাই যত দ্রুত সম্ভব সংস্কার সেরে ভোটের আয়োজন করতে হবে। সরকারের বিভিন্ন সংস্থার ব্যর্থতায় সীমান্ত পাড়ি দিয়ে অনেক ফ্যাসিবাদের দোসররা পালিয়ে গেছে। দোসরদের পালাতে যারা সহযোগিতা করেছে তাদের চিহ্নিত করার দাবিও জানান তিনি।

এ সময় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সংবিধানে এ ব্যবস্থা পুরোপুরি ফিরে আসা দেশ ও জাতির জন্য ইতিবাচক।

সেইন্ট ভিনসেন্টের আর্নস ভ্যালে স্টেডিয়ামের রাতটা কেমন যাবে, সেই দুশ্চিন্তা নিয়ে সকাল শুরু করেছিলেন অনেক টাইগারভক্ত। কারণ স্কোরবোর্ডে সংগ্রহ তো মাত্র ১২৯। টি-টোয়েন্টিতে এটা ‘মামুলি’ টার্গেট, তা খুব হিসেব করে বলার দরকার নেই। কিন্তু সে টার্গেটে পৌঁছাতেই নাকের পানি-চোখের পানি এক করলো ক্যারিবিয়ানরা। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের করা রান তাড়া করতে গিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ থামে মাত্র ১০২ রানে। ফলাফল লিটনবাহিনীর জয় ২৭ রানে।

টসে জিতে ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক রভম্যান পাওয়েল ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন। বোলাররা তার সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতাও প্রমাণ করেন। লিটন ৩, সৌম্য ১১, তানজিদ ২ রানে আউট হলে শুরু থেকেই চাপে পড়ে বাংলাদেশ। ওয়ানডে স্টাইলে খেলে মেহেদী মিরাজ ও জাকের আলী চাপ কিছুটা সামাল দিলেও কেউই স্কোর বড় করতে পারেননি। মিরাজ ২৬ আর জাকের আউট হন ২১ রানে।

এরপর রিশাদ আর শেখ মেহেদীও ভালো কিছু করতে না পারলে দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন শামীম হোসেন। তার ঝড়ো ১৭ বলে ৩৫ রান বাংলাদেশকে ফাইটিং স্কোর এনে দেয়।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালোই করেন ব্রেন্ডং কিং আর জনসন চার্লস। কিন্তু খানিকক্ষণ বাদেই খেই হারিয়ে ফেলেন তাসকিন বল করতে এলে। প্রথম বলেই কিংকে লিটনের হাতে ক্যাচ বানিয়ে ফেরান তিনি। আন্দ্রে ফ্লেচার আর নিকোলাস পুরানও হতাশ করেন ক্যারিবিয়ান ভক্তদের। মাঝে রোস্টন চেজ আর আকিল হোসেন আশা জাগিয়েও ওয়েস্ট ইন্ডিজকে জয়ের বন্দরে ভেরাতে পারেন নি।

বোলারদের মধ্যে তাসকিন ৩টি, তানজিম সাকিব, শেখ মেহেদী ও রিশাদ ২টি করে এবং হাসান মাহমুদ পান একটি উইকেট। মারকুটে ৩৫ রানের ইনিংসের জন্য প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন শামীম।

এই জয়ের মধ্য দিয়ে ৩ ম্যাচের সিরিজ ২-০তে জিতে নিলো বাংলাদেশ। সিরিজের শেষ ম্যাচ শুক্রবার সকাল ৬টায়।

পরিকল্পিতভাবে ইজতেমা ময়দানে সাদপন্থীরা হামলা করেছে বলে দাবি করেছেন যুবায়েরপন্থীরা। এর আগে, গাজীপুরের টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা ময়দান দখলকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ৩ জন নিহত হন। আহত হন শতাধিক।

সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন গাজীপুর মহানগরের টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাবিব ইস্কান্দার।

গতকাল মধ্যরাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্বনয়কদের সঙ্গে বৈঠক চলাকালীন সময় এমন হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে যুবায়েরপন্থী সংগঠনটির মিডিয়া সমন্বয়ক মুফতী আমানুল হক।

এছাড়া ঘটনা সম্পর্কে মাওলানা মামুনুল হক বলেন, সাদপন্থীরা পরিকল্পিতভাবে এ হামলা চালিয়েছে। পুরো একতরফাভাবে হামলা চালানো হয়েছে। সমস্যাটি আলোচনায় মাধ্যমে সমাধানের প্রক্রিয়া চলছিলো। এমন অবস্থায় এ হামলা মেনে নেয়ার মতো নয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম স্পষ্ট করেছেন, ২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে তা স্পষ্ট। ভোট নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস যে ঘোষণা দিয়েছেন, তারচেয়ে স্পষ্ট রোডম্যাপ আর কি হতে পারে এমন প্রশ্নও করেছেন তিনি।

মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ব্রিফিংয়ে নির্বাচনের বিষয়ে সাংবাদিকদের তিনি খোলাসা করেন।

নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় নিয়ে গতকাল প্রধান উপদেষ্টার দেয়া বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি নেতারা স্বাগত জানালেও বলেছিলেন, সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করতে। এর প্রেক্ষিতে প্রেস সচিব এ কথা বললেন।

গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ৩ মাসের বেশি সময় দেশে লুকিয়ে ছিলেন। গত ৮ নভেম্বর মেঘালয়ের রাজধানী শিলং হয়ে তিনি কলকাতায় পালিয়ে যান।

এ নিয়ে শফিকুল আলম বলেন, ওবায়দুল কাদের তিন মাস দেশে ছিলেন কি না তার সঠিক তথ্য হাতে নাই।

শেখ হাসিনা অর্থনীতিকে যে জায়গায় রেখে গিয়েছে, তা খুব একটা ভালো অবস্থায় ছিল না উল্লেখ করে প্রেস সচিব বলেন, বিগত সরকারের দেয়া বাজেট পর্যালোচনা হচ্ছে। সংশোধনী বাজেট নিয়ে এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে বিগত সরকারের রেখে যাওয়া বকেয়া পরিশোধে কাজ করছে সরকার।

শফিকুল আলম আরও বলেন, নবম ও দশম শ্রেণিতে টেক্সট রেশনালাইজেশন করা হবে। ইউনিভার্সিটি মঞ্জুরি কমিশন থেকে মঞ্জুরি শব্দটি বাদ রাখা হবে। যাতে আরও যুগোপযোগী হয়। টেকনিক্যাল ও ভোকেশনাল এডুকেশনকে যুগোপযোগী করা হবে। বেসরকারি স্কুল ও কলেজের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। এ নিয়ে কাজের পরিকল্পনা আছে সরকারের।

স্কুল ও কলেজপর্যায়ে তথ্যপ্রযুক্তি খুব হালনাগাদ করা হয়নি। এগুলো আরও হালনাগাদ করতে কাজ হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

প্রেস সচিব আরও বলেন, শিক্ষাক্ষেত্রে ঘুষ বাণিজ্যসহ দুর্নীতির বিষয় অনেকাংশে চিহ্নিত করা হয়েছে। দুর্নীতি মুক্ত করতে ব্যবস্থা নেয়া হবে। শিক্ষা কমিশন করা না হলেও অল্প সময়ে শিক্ষা খাতে যেসব ক্ষেত্রে দ্রুত পরিবর্তন আনা সম্ভব, তেমন কাজ করছে সরকার। শিক্ষাখাতে পরিবর্তন আনতে সরকার সচেষ্ট ও ইতিবাচক। যাতে শিক্ষার্থীরা প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে না পড়ে।

ব্রিফিংয়ে উপ-প্রেস সচিব আজাদ মজুমদার জানান, ডি-৮ সম্মেলনে যোগ দিতে আজ রাতে মিশরের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন প্রধান উপদেষ্টা।

নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্য কেউ যেন দলকে ব্যবহার করতে না পারে সেদিকে সর্তক থাকতে দলের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকালে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে ঢাকা বিভাগের ৩ জেলার ৩১ দফা কর্মশালায় এ আহ্বান জানান তিনি।

এ সময় তারেক রহমান বলেন, সকল দলের মতামতের প্রতিফলন এই ৩১ দফা। দফাগুলো বাস্তবায়ন করতে হলে দলকে ক্ষমতায় যেতে হবে। জনগণের ভোটের মাধ্যমের প্রথমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তা না হলে এই আন্দোলন ব্যর্থ হবে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, একটি রাজনৈতিক দলের সবচেয়ে বড় সফলতা হলো মানুষের আস্থা অর্জন করা। আপনার মতো অনেক মানুষই তো আছে, কয়জনের সাথে মানুষ এভাবে কথা বলছে। আপনার সাথে এমন ব্যবহার করছে, কারণ আপনি বিএনপি করেন। আপনার কাজকর্মের সাথে তাদের ভবিষ্যৎ জড়িত।

তিনি আরও বলেন, মানুষের আস্থা অর্জনই একটি রাজনৈতিক দলের সবচেয়ে বড় সফলতা। এই বিশ্বাস এই আস্থা ধরে রাখার দায়িত্ব জনগণের নয়। এই আস্থা ধরে রাখা আমাদের সকলের দায়িত্ব। আপনার এলাকায় আপনাকে দিয়ে মানুষ বিএনপিকে বিচার করবে। আপনি ভালো হলে বিএনপি ভালো, আপনি খারাপ হলে বিএনপি খারাপ। আপনাদের দিয়েই মানুষ বিএনপিকে বিচার করবে।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তারেক রহমান বলেন, যারা অপকর্ম করবে শক্তহাতে সেই লোকগুলোর ব্যবস্থা নিতে হবে। আপনারা আজ এখানে নেতা হিসেবে এসেছেন। আপনাদের অধীনে অনেক লোক আছে। খেয়াল রাখবেন নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য কেউ যেন দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে না পারে।

এসময় তিনি আরও বলেন, বিএনপিকে নিয়ে এখনো ষড়যন্ত্র চলছে। ষড়যন্ত্র নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে। যদি কেউ ভাবেন খুব সহজে এবারের নির্বাচন পার হবেন সেটি ভুল। অতীতের যেকোন নির্বাচনের চেয়ে এবারের নির্বাচন কঠিন হবে বলেও জানান তারেক রহমান।

বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির কোষাধ্যক্ষ এম রশিদুজ্জমান মিল্লাত বলেছেন, আমাদের দেশকে অশান্ত করার জন্য ভারতে বসে আবারও ষড়যন্ত্র করছেন শেখ হাসিনা। এই পায়তারার চেষ্টা অব্যহত থাকলে ৫ আগষ্টের চেয়েও বড় কিছু ঘটতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেলে জামালপুর শহরের জগবন্ধু স্কুলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে জামালপুর জেলায় নিহত পরিবারের মাঝে নগদ অর্থ প্রদান অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলে।

তিনি বলেন, শেখ মুজিব ও তার কন্যা শেখ হাসিনার জন্য স্বাধীনতা অর্জন করে আমরা ফল ভোগ করতে পারিনি। বিগত ১৫ বছরে রাষ্ট্র কাঠামোসহ এমন কিছু নেই যা ভাঙা হয়নি। এসব ভেঙে দিয়ে হত্যা, গুম, খুন ইত্যাদি করে, ভারতে বসে আবারও ষড়যন্ত্র করছেন।

বিএনপির এই নেতা বলেন, যারা এই সরকারের আইনজীবী আছেন তাদেরকে বলতে চাই স্বৈরাচার সরকারের দোসর যারা জেলে আছে তারা যেনো বের হতে না পারে। প্রয়োজনে প্রত্যাকটি দোসরকে খুঁজে খুঁজে ধরে জেলে ভরতে হবে। আমাদের ওপর যে অত্যাচার করা হয়েছে সেই অত্যাচারের বিচার না করা পর্যন্ত আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার অধিকার নেই। আমরা করতে দেবো না।

এখন পর্যন্ত ৩৭টি জেলায় গিয়ে নিহতদের পরিবারকে তারেক রহমানের সংগঠন থেকে সহযোগীতা করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, পরবর্তীতে ৬৪ জেলায় সহযোগীতা করা হবে। বিএনপি সরকার নির্বাচিত হলে প্রত্যেকটি পরিবারের দায়িত্ব বিএনপি নেবে বলেও জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে ছাত্র আন্দোলনে নিহত ১৭ জনের পরিবারের মাঝে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।

অনূর্ধ্ব-১৯ নারী এশিয়া কাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ২৮ রানে হারিয়ে শুভসূচনা করেছিল বাংলার মেয়েরা। এবার গ্রুপ পর্বের দ্বিতীয় ম্যাচে প্রতিপক্ষকে মাত্র ২৯ রানেই গুটিয়ে দিয়েছে। টাইগ্রেসরা জয় তুলে নিয়েছে ১২০ রানের বিশাল ব্যবধানে। আগে ব্যাট করে বাংলাদেশের মেয়েরা করেছিল ১৪৯ রান।

মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে কুয়ালালামপুরে স্বাগতিক মালয়েশিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামে টাইগ্রেসরা। এই ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সুমাইয়া আক্তার।

ব্যাটিংয়ে নেমে দুই ওপেনার ফাহমিদা ছোয়া ও মোছা. ইভা দারুণ সূচনা এনে দেয় বাংলাদেশকে। ৫ ওভার ৪ বলের এই জুটিতে ওঠে ৪৫ রান। ফেরার আগে ছোয়া খেলেন ২৬ রানের ইনিংস। পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশ সংগ্রহ করে ৪৬ রান। এরপর তিনে নামা সুমাইয়া আক্তার সুবর্ণা ১ রানে বিদায় নেন। দলীয় ৫০ (৫৩) পার হওয়ার পর ব্যক্তিগত ১৯ রানে বিদায় নেন ওপেনার ইভা।

দ্রুত তিন উইকেট হারানো টাইগ্রেসরা কিছুটা ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে। দলীয় ৮৭ রানে ৫ উইকেট হারানো বাংলাদেশ বাকি পথটা পাড়ি দেয় জান্নাতুল মাওয়া ও সাদিয়া আক্তারের ব্যাটে। দলের পক্ষে মাওয়া খেলেন সর্বোচ্চ রানের ইনিংসটি। তিনি ৪৫ বলে ৪৫ রানে অপরাজিত থাকেন। তবে দলের পক্ষে সবচেয়ে কার্যকরী ইনিংসটি আসে সাদিয়া আক্তারের ব্যাট থেকে। তিনি ১৯ বলে তিনটি চার ও একটি ছক্কায় ৩১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৪৯ তোলে বাংলাদেশের মেয়েরা।

দেড়শ রানের বড় লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে মালয়েশিয়ার মেয়েরা ছিল আসা-যাওয়ার মিছিলে। তারা ১৪ ওভার ৫ বলে অলআউট হওয়ার আগে মাত্র ২৯ রান তুলতে পারে। এর মধ্যে অতিরিক্ত রানই ছিল ১২! পুরো ইনিংসে বাউন্ডারি এসেছে মাত্র একটি।

দলটির পক্ষে সর্বোচ্চ রানের ইনিংসটি এসেছে ওপেনার নুর আলিয়া বিনতে মোহাম্মদ হাইরুনের ব্যাট থেকে। তিনি করেন ৫ রান! দলের পক্ষে একমাত্র বাউন্ডারি (ফোর) এসেছে তার ব্যাট থেকেই। স্বাগতিকদের তিন ব্যাটার ফিরেছেন শূন্য রানে, তিনজন ফিরেছেন এক রানে, দুইজন তিন রান করে ফিরেছেন। বাকি এক ব্যাটার অপরাজিত থাকেন ১ রানে।

বাংলাদেশের পক্ষে নিশিতা আক্তার নিশি ৩ ওভার ৫ বল করে ৩ রানে শিকার করেছেন পাঁচটি উইকেট। হাবিবা ইসলাম চার ওভারে ৫ রান দিয়ে নিয়েছেন তিন উইকেট। আনিসা আক্তার চার ওভারে পাঁচ রান দিয়ে নিয়েছেন দুই উইকেট। তবে ফারজানা ইয়াসমিন তিন ওভারে ৮ রান দিলেও ছিলেন উইকেটশূন্য।

অস্ত্র আর জোর করে আওয়ামী লীগের ক্ষমতা আকড়ে থাকার বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক প্রতিরোধ সফলতার মুখ দেখে গত ৫ আগস্ট। সে সময়ের সক্রিয় সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম এখন নিজেই অন্তর্বর্তী সরকারের অংশ। তার কাছে প্রশ্ন ছিল— আওয়ামী লীগ কি প্রকাশ্যে রাজনীতিতে ফিরেতে পারবে?

নাহিদ ইসলাম বলেন, বিচারের মুখোমুখি হওয়ার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুতি নেয়া উচিত। বাংলাদেশ থেকে আওয়ামী লীগের অধ্যায় শেষ হয়ে গিয়েছে বলে এই প্রজন্ম মনে করে। এখন বিচারের মধ্য দিয়ে আসলে সমাজে রিকনসিলিয়েশনটা হওয়া সম্ভব।

ভবিষ্যৎ রাজনীতিতে আওয়ামী লীগের মূল্যায়ন কীভাবে হবে জানতে চাইলে এই সরকারের তথ্য উপদেষ্টা বলেন, আওয়ামী লীগ দলটাই সবসময় মিথ্যার ওপর টিকে ছিল। তাদের প্রধান অস্ত্র ছিল প্রোপাগান্ডা। আওয়ামী লীগ তো পরাজিত হয়েছে। সে (শেখ হাসিনা) অবৈধভাবে প্রধানমন্ত্রী ছিলেন এবং তারা বলেন এত বছরের দল, সেই দলটির নেত্রী নেতাকর্মীদের রেখে পালিয়ে গেলেন।

এদিকে, প্রতিদিনই ষড়যন্ত্র হচ্ছে দেশের বিরুদ্ধে, ছড়ানো হচ্ছে নানা প্রোপাগান্ডা। এর বিপরীতে ঢাল ছাত্র-জনতার ঐক্য আর এতদিনের বঞ্চিত রাজনৈতিক দলগুলোর নবোদ্যম।

এ অবস্থায় ঐক্য ধরে রাখার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা হচ্ছে কীভাবে? নাহিদ ইসলাম বলেন, আমাদের জাতীয় ঐক্য ও রাজনৈতিক সমাঝোতাই আসলে পারবে দেশকে এগিয়ে নিতে। সে ঐক্য যদি ব্যহত হয়, তাহলে এটিই বড় চ্যালেঞ্জ। ঐক্য বিনষ্ট করতে নানা পক্ষ কাজ করছে। সরকার থেকে বের হওয়ার পর তারা সেই জিনিসগুলোকে ব্যবহার করছে। অপতথ্য ছড়াচ্ছে, প্রোপাগান্ডা করছে। আমরা সে জায়গায় সত্যটাকে তুলে ধরতে চাই। গণমাধ্যমগুলোর ক্ষেত্রে আমরা সেই সহায়তা চেয়েছি।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা আমরা ১ ইঞ্চি পর্যন্ত আটকাবো না। এই সরকার কোনো সাংবাদিককে বা কোনো সংবাদপত্রে বিন্দুমাত্র হস্তক্ষেপ করেনি, করবেও না। আমাদের সরকারের উদ্দেশ্যই হচ্ছে মুক্ত গণমাধ্যম। মুক্ত সাংবাদিকতা।

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটিতে (ডিআরইউ) নতুন বাংলাদেশ গঠনে গণমাধ্যমের ভূমিকা শীর্ষক আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।

অন্তর্বর্তী সরকার স্বাধীন সাংবাদিকতায় বিশ্বাস করে উল্লেখ করে শফিকুল আলম বলেন, গত ৪ মাসে আমরা কাউকে মানা করি নাই। আপনারা লিখেন। আপনারা আমাদের ভুল-ত্রুটি ধরিয়ে দিন, দেখিয়ে দিন। ক্ষমতায় থাকলে অনেক কিছু বোঝা যায় না। তাই দায়িত্ব নিয়ে ভুল ধরিয়ে দিন।

তিনি জানিয়েছেন, গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন কাজ করছে। তাদের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে গণমাধ্যমকে নতুন উচ্চতায় নিতে চায় অন্তর্বর্তী সরকার।

গণমাধ্যমের মালিক যেন সাংবাদিকের মুখ বন্ধ করতে না পারে, তারা সে কাজটি করতে চান বলেও এ সময় উল্লেখ করেন প্রেস সচিব। গণমাধ্যম মালিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, সাংবাদিকদের বেতন দিতে না পারলে মালিকদের বলবো প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেন।

সারাদেশে জেঁকে বসেছে তীব্র শীত। এতে ব্যাহত হচ্ছে জীবনযাত্রা। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) চুয়াডাঙ্গা জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

সকালে কুয়াশায় ঢাকা থাকছে চারপাশ। সাথে বইছে হিমেল হাওয়া। বেলা গড়ালেও কমছে না ঠাণ্ডা। এতে বেশ বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া আর ছিন্নমূল মানুষ। সঙ্গে বাড়ছে শীতজনিত রোগবালাই।

এদিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চুয়াডাঙ্গার পাশাপাশি, পঞ্চগড় ও রাজশাহী জেলায় অব্যাহত আছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ।

চুয়াডাঙ্গার শহরের চা দোকানী মনোয়ার হোসেন বলেন, প্রতিদিন ভোরে দোকান খুলতে হয়। ভোরের দিকেই শীত বেশি। সূর্য উঠছে, কিন্তু ঠান্ডা বাতাসও আছে। তাই আরও শীত অনুভূত হচ্ছে।

অন্যদিকে, কুমিল্লায় সূর্যের দেখা নেই দুইদিন ধরে। ঘন কুয়াশা আর উত্তরের হিমেল হাওয়ায় বাড়ছে শীতের তীব্রতা। তে বিপাকে পড়েছেন দিনমজুর, খেটে খাওয়া এবং ছিন্নমূল শ্রেণির মানুষ। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না কেউ।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, চলতি মৌসুমে শীতের তীব্রতা বেশি থাকতে পারে। বায়ু দূষণের কারণে এ বছর অগ্রিম এসেছে কুয়াশা। একই কারণে স্থায়ীও হচ্ছে বেশিক্ষণ। কুয়াশার আধিক্যের কারণেই শীতের অনুভূতিও হচ্ছে বেশি। এ ছাড়াও আগামী ১৫-১৬ ডিসেম্বর প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে তাপমাত্রা। এরপর কিছুটা বাড়তে পারে। তবে ২০ তারিখের পর আবারও নামতে শুরু করবে পারদ।

সম্পাদক ও প্রকাশক : মঈনুদ্দিন কাজল
deshermatidaily@gmail.com
০১৬১৫১১২২৬৬, ০১৬৭৩৫৬২৭১৬

দেশের মাটি কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।