খেলাধুলা

সেইন্ট ভিনসেন্টের আর্নস ভ্যালে স্টেডিয়ামের রাতটা কেমন যাবে, সেই দুশ্চিন্তা নিয়ে সকাল শুরু করেছিলেন অনেক টাইগারভক্ত। কারণ স্কোরবোর্ডে সংগ্রহ তো মাত্র ১২৯। টি-টোয়েন্টিতে এটা ‘মামুলি’ টার্গেট, তা খুব হিসেব করে বলার দরকার নেই। কিন্তু সে টার্গেটে পৌঁছাতেই নাকের পানি-চোখের পানি এক করলো ক্যারিবিয়ানরা। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের করা রান তাড়া করতে গিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ থামে মাত্র ১০২ রানে। ফলাফল লিটনবাহিনীর জয় ২৭ রানে।

টসে জিতে ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক রভম্যান পাওয়েল ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন। বোলাররা তার সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতাও প্রমাণ করেন। লিটন ৩, সৌম্য ১১, তানজিদ ২ রানে আউট হলে শুরু থেকেই চাপে পড়ে বাংলাদেশ। ওয়ানডে স্টাইলে খেলে মেহেদী মিরাজ ও জাকের আলী চাপ কিছুটা সামাল দিলেও কেউই স্কোর বড় করতে পারেননি। মিরাজ ২৬ আর জাকের আউট হন ২১ রানে।

এরপর রিশাদ আর শেখ মেহেদীও ভালো কিছু করতে না পারলে দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন শামীম হোসেন। তার ঝড়ো ১৭ বলে ৩৫ রান বাংলাদেশকে ফাইটিং স্কোর এনে দেয়।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালোই করেন ব্রেন্ডং কিং আর জনসন চার্লস। কিন্তু খানিকক্ষণ বাদেই খেই হারিয়ে ফেলেন তাসকিন বল করতে এলে। প্রথম বলেই কিংকে লিটনের হাতে ক্যাচ বানিয়ে ফেরান তিনি। আন্দ্রে ফ্লেচার আর নিকোলাস পুরানও হতাশ করেন ক্যারিবিয়ান ভক্তদের। মাঝে রোস্টন চেজ আর আকিল হোসেন আশা জাগিয়েও ওয়েস্ট ইন্ডিজকে জয়ের বন্দরে ভেরাতে পারেন নি।

বোলারদের মধ্যে তাসকিন ৩টি, তানজিম সাকিব, শেখ মেহেদী ও রিশাদ ২টি করে এবং হাসান মাহমুদ পান একটি উইকেট। মারকুটে ৩৫ রানের ইনিংসের জন্য প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন শামীম।

এই জয়ের মধ্য দিয়ে ৩ ম্যাচের সিরিজ ২-০তে জিতে নিলো বাংলাদেশ। সিরিজের শেষ ম্যাচ শুক্রবার সকাল ৬টায়।

অনূর্ধ্ব-১৯ নারী এশিয়া কাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ২৮ রানে হারিয়ে শুভসূচনা করেছিল বাংলার মেয়েরা। এবার গ্রুপ পর্বের দ্বিতীয় ম্যাচে প্রতিপক্ষকে মাত্র ২৯ রানেই গুটিয়ে দিয়েছে। টাইগ্রেসরা জয় তুলে নিয়েছে ১২০ রানের বিশাল ব্যবধানে। আগে ব্যাট করে বাংলাদেশের মেয়েরা করেছিল ১৪৯ রান।

মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে কুয়ালালামপুরে স্বাগতিক মালয়েশিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামে টাইগ্রেসরা। এই ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সুমাইয়া আক্তার।

ব্যাটিংয়ে নেমে দুই ওপেনার ফাহমিদা ছোয়া ও মোছা. ইভা দারুণ সূচনা এনে দেয় বাংলাদেশকে। ৫ ওভার ৪ বলের এই জুটিতে ওঠে ৪৫ রান। ফেরার আগে ছোয়া খেলেন ২৬ রানের ইনিংস। পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশ সংগ্রহ করে ৪৬ রান। এরপর তিনে নামা সুমাইয়া আক্তার সুবর্ণা ১ রানে বিদায় নেন। দলীয় ৫০ (৫৩) পার হওয়ার পর ব্যক্তিগত ১৯ রানে বিদায় নেন ওপেনার ইভা।

দ্রুত তিন উইকেট হারানো টাইগ্রেসরা কিছুটা ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে। দলীয় ৮৭ রানে ৫ উইকেট হারানো বাংলাদেশ বাকি পথটা পাড়ি দেয় জান্নাতুল মাওয়া ও সাদিয়া আক্তারের ব্যাটে। দলের পক্ষে মাওয়া খেলেন সর্বোচ্চ রানের ইনিংসটি। তিনি ৪৫ বলে ৪৫ রানে অপরাজিত থাকেন। তবে দলের পক্ষে সবচেয়ে কার্যকরী ইনিংসটি আসে সাদিয়া আক্তারের ব্যাট থেকে। তিনি ১৯ বলে তিনটি চার ও একটি ছক্কায় ৩১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৪৯ তোলে বাংলাদেশের মেয়েরা।

দেড়শ রানের বড় লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে মালয়েশিয়ার মেয়েরা ছিল আসা-যাওয়ার মিছিলে। তারা ১৪ ওভার ৫ বলে অলআউট হওয়ার আগে মাত্র ২৯ রান তুলতে পারে। এর মধ্যে অতিরিক্ত রানই ছিল ১২! পুরো ইনিংসে বাউন্ডারি এসেছে মাত্র একটি।

দলটির পক্ষে সর্বোচ্চ রানের ইনিংসটি এসেছে ওপেনার নুর আলিয়া বিনতে মোহাম্মদ হাইরুনের ব্যাট থেকে। তিনি করেন ৫ রান! দলের পক্ষে একমাত্র বাউন্ডারি (ফোর) এসেছে তার ব্যাট থেকেই। স্বাগতিকদের তিন ব্যাটার ফিরেছেন শূন্য রানে, তিনজন ফিরেছেন এক রানে, দুইজন তিন রান করে ফিরেছেন। বাকি এক ব্যাটার অপরাজিত থাকেন ১ রানে।

বাংলাদেশের পক্ষে নিশিতা আক্তার নিশি ৩ ওভার ৫ বল করে ৩ রানে শিকার করেছেন পাঁচটি উইকেট। হাবিবা ইসলাম চার ওভারে ৫ রান দিয়ে নিয়েছেন তিন উইকেট। আনিসা আক্তার চার ওভারে পাঁচ রান দিয়ে নিয়েছেন দুই উইকেট। তবে ফারজানা ইয়াসমিন তিন ওভারে ৮ রান দিলেও ছিলেন উইকেটশূন্য।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্রজনতার ওপর হামলার অভিযোগে জাতীয় সংসদের সাবেক হুইপ ও নড়াইল-২ আসনের সাবেক এমপি মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা ও তার বাবা গোলাম মোর্ত্তজা স্বপনসহ ২৯৫ জনের নামে মামলা হয়েছে। সোমবার (৯ ডিসেম্বর) রাতে লোহাগড়া থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলার বাদী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নড়াইল জেলা শাখার মূখ্য সংগঠক কাজি মো. ইয়াজুর রহমান বাবু।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন, নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের জেলা সভাপতি নাঈম ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক স্বপ্নীল শিকদার নীল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুন্সী আলাউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র সৈয়দ মশিয়ুর রহমান, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শিকদার আব্দুল হান্নান রুনু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ফয়জুল হক রোম, সাবেক উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ফয়জুল আমীর লিটু।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, আসামিরা স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের নড়াইল জেলার বিভিন্ন এলাকার নেতাকর্মী ও গুন্ডা, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, খুনি, অস্ত্রধারী ব্যক্তি। গত ৪ আগস্ট সকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রজনতার কর্মসূচি চলাকালে উপজেলার লোহাগড়ার সিএন্ডবি চৌরাস্তা মোড়ে ছাত্রজনতার ওপর হামলা করে বেধড়ক মারপিট করে অভিযুক্তরা। বাদীসহ ১৫ থেকে ২০ জন শিক্ষার্থীকে রামদা, বাঁশের লাঠি, রড দিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করেন। এ সময় শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয় বলে মামলা বিবরণীতে বাদী উল্লেখ করেন।

লোহাগড়া থানার ওসি মো. আশিকুর রহমান মঙ্গলবার দুপুরে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এই মামলায় ইতোমধ্যে দুইজন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

ভারতকে হারিয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ‘ব্যাক টু ব্যাক’ শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশ যুব দল। ফাইনালে ভারতকে ৫৯ রানে হারিয়ে এই আসরের শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট মাথায় ধরে রাখলো টাইগাররা। এক বছর আগে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের শিরোপা জিতেছিল বাংলাদেশ।

রোববার (৮ ডিসেম্বর) দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে বাংলাদেশ দল। আগে ব্যাট করে ৪৯.১ ওভারে ১৯৮ রানেই অলআউট বাংলাদেশের যুবারা। টার্গেট তাড়ায় ৩৫.২ ওভারে ১৩৯ রানে অলআউট হয় ভারত।

১৯৯ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি ভারতের। বাংলাদেশের পেসারদের তোপে ৪৪ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে ‘দ্য ব্লুজ’। আয়ুশ মাহাত্রী ১, বৈভব সূর্যবংশী ৯ ও আন্দ্রে সিধার্থ ২০ রান করে সাজঘরে ফিরে যান।

এরপর কার্তিয়া ও অধিনায়ক মোহাম্মদ আমান মিলে চাপ সামাল দেয়ার চেষ্টা করেন। তবে দলীয় ৭৩ রানে ৪৩ বলে ২১ রান করে আউট কন কার্তিয়া। তার বিদায়ের পর দ্রুতই আরও তিন উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে ভারত। হারভাংস পাংগালিয়া ৬, কিরণ চোরমেল ১ ও রানের খাতা খোলার আগেই ফিরে যান নিখিল কুমার।

এরপর হার্দিক রাজকে সঙ্গে নিয়ে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন অধিনায়ক আমান। ৩৪ রানের জুটি উপহার দেন এই দুই ব্যাটার। তবে দলীয় ১১৫ রানে ৬৫ বলে ২৬ রান করে আমান আউট হওয়ার পরই মোটামুটি নিশ্চিত হয় বাংলাদেশের জয়।

বাংলাদেশের হয়ে ইকবাল হোসেন ইমন শিকার করেন ৩টি উইকেট। ব্যাটে এদিন না পারলেও বল হাতে পুষিয়ে দেন আজিজুল হাকিম, তারও ঝুলিতে যায় ৩ উইকেট। পেসার আল ফাহাদ নেন ২ উইকেট।

এর আগে, ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের শুরুটা হয় আশা জাগানিয়া। প্রথম ওভারে যুধাজিৎ গুহর বলে ছক্কা মেরে বাংলাদেশের রানের খাতা খোলেন জাওয়াদ আবরার। অন্য প্রান্তে কালাম সিদ্দিকী অবশ্য রান বের করতে পারছিলেন না। যুধাজিতের বলে আউট হন ১৬ বলে ১ রান করে। জাওয়াদও আউট হন পাওয়ার প্লে শেষ হতেই, ২০ রান করে। 

দলের সবচেয়ে বড় তারকা আজিজুল হাকিমও ইনিংস দীর্ঘায়িত করতে পারেননি। ১৬ রানে আউট হয়েছেন কাপ্তান। আজিজুলের উইকেট বড় ধাক্কা হয়ে আসে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে। কারণ, এই টুর্নামেন্টে ব্যাট হাতে বাংলাদেশকে অনেকটা একাই টানছিলেন তিনি।

এরপর জুটি গড়েন রিজান হোসেন ও শিহাব জেমস। তবে ফিফটির আগে প্যাভিলিয়নে ফেরেন দুজনই। বাংলাদেশের পক্ষে রিজান করেন সর্বোচ্চ ৬৫ বলে ৪৭ রান। এছাড়া, শিহাব করেন ৬৭ বলে ৪৯।

বাংলাদেশ মূলত ২০০ রানের কাছাকাছি সংগ্রহ তুলতে পারে নবম উইকেটে ফরিদ হাসান ও আল ফাহাদের ৩০ রানের জুটিতে। ফরিদ করেন ৪৯ বলে অতি গুরুত্বপূর্ণ ৩৯।

ভারতের হয়ে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন দুই পেসার যুধাজিৎ, চেতন ও বাঁহাতি স্পিনার হার্দিক।

উল্লেখ্য, যুব এশিয়া কাপে নয়বার ফাইনাল খেলে এবারই প্রথম চ্যাম্পিয়নের ট্রফি হাতে নিতে পারল না ভারত।

স্বপ্ন ছিল একদিন পর্তুগিজ সুপারস্টার রোনালদোর মতো খেলোয়াড় হবার। তবে স্বপ্ন আর পূরণ হলো না ১৪ বছর বয়সী নাজি আল-বাবা’র। বন্ধুদের সাথে হেব্রনের কাছে জঙ্গলে খেলছিলো নাজি। হঠাৎ-ই ইসরায়েলি হামলায় সব শেষ। আইডিএফ সেনাদের গুলিতে গুলিবিদ্দ হয়ে প্রায় হারায় ফিলিস্তিনি এই কিশোর। রোববার (৮ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ তথ্য জানায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ইংরেজি ভাষায় নাজি নামের অর্থ ‘মৃত্যুঞ্জয়ী’। তবে নামের অর্থের সাথে, বাস্তবের কাছে হার মানলো এই কিশোর। অধিকৃত গাজার পশ্চিম তীরে জন্মগ্রহণ করেছিলো নাজি।

৪ বছর থেকেই বেশ লম্বা শারীরিক গঠনের কারণেহেব্রনের ঠিক উত্তরে হালহুলের স্পোর্টস ক্লাবে সুযোগ পায় সে। ফুটবল খেলায় বেশ পারদর্শী ছিল নাজি। এমনকি ক্লাবটির কর্মকর্তাদের আশা ছিলো ফিলিস্তিনের জাতীয় ডোলের হয়ে একদিন অভিষেক হবে তার।

ছোটবেলা থেকে নাজি সর্বদা হাস্যোজ্জ্বল ছিল এবং তার পরিবার ও আশেপাশের সকলের প্রতি তার উদারতা ও মলিন ব্যাবহার সবাইকে মুগ্ধ করতো। তবে, এখন সবই অতীত!

 
 

যুব হকি দলকে ২০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা ক্রীড়া পরিষদের

 

 

প্রথমবারের মতো যুব হকি বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করায় অনূর্ধ্ব-২১ জাতীয় হকি দলকে ২০ লাখ টাকা আর্থিক পুরস্কার দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ।

শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) এ সিদ্ধান্তের কথা জানান যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।

গত বৃহস্পতিবার যুব বিশ্বকাপ ও যুব এশিয়াকাপে পঞ্চম হয়ে দেশে ফিরেছে অনূর্ধ্ব-২১ দল। এরপর হকি ফেডারেশনের পক্ষ থেকে ৫ লাখ পুরস্কার প্রদান করা হয়। দেশে ফেরার একদিন পরেই ক্রীড়া পরিষদের পক্ষ থেকে ঘোষণা দেয় ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।

উল্লেখ্য, এর আগে সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী দলকে ১ কোটি টাকা আর্থিক পুরস্কার দিয়েছিলো ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।

টেস্ট ক্রিকেটে চতুর্থ ইনিংসে ব্যাট করাটাকে সবচেয়ে কঠিন কাজের একটি মনে করা হয়। যে কারণে চতুর্থ ইনিংসে অল্প পুঁজি নিয়েও ম্যাচে দলের জয় পেতে দেখা যায় অহরহ। সেই চতুর্থ ইনিংসেই এবার রান করে রেকর্ড গড়েছেন জো রুট। চতুর্থ ইনিংসে রান করার বিচারে ভারতীয় কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকারকেও ছাড়িয়ে গেছেন এই ইংলিশ ব্যাটসম্যান।

চতুর্থ ইনিংসে ১৬২৫ রান নিয়ে এতোদিন শীর্ষে ছিলেন টেন্ডুলকার। আজ রোববার (১ ডিসেম্বর) সকালে ক্রাইস্টচার্চ টেস্টে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের ৮ উইকেটে জয়ের ম্যাচে অপরাজিত ২৩ রানের ইনিংস খেলার পথে শচীনকে টপকে গেছেন রুট। তার রান এখন ১৬৩০।

১৫০তম টেস্ট খেলতে নেমে শচীনের রেকর্ড ভেঙে দেয়ার আগে রুট পেরিয়ে যান স্বদেশীয় এলিস্টার কুক (১৬১১) এবং গ্রায়েম স্মিথের (১৬১১) রান। চতুর্থ ইনিংসে দুটো শতরান, আটটা ফিফটি রয়েছে রুটের। যেখানে তার গড় ৪০ প্লাস।

রুটের এই রানের মোট ৬২০ রান কাজে লেগেছে দলের জয়ে। জাতীয় দলের জয়ের ক্ষেত্রে চতুর্থ ইনিংসে শচীনের রান ৭১৫। এই তালিকায় দক্ষিণ আফ্রিকান প্রাক্তন অধিনায়ক গ্রায়েম স্মিথের রান ১১৪১। এ ক্ষেত্রে এগিয়ে গ্রায়েম স্মিথ। ২০১৪ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলা স্মিথের চতুর্থ ইনিংসে ব্যাটিং গড় ৫১.৯৬।

টেস্টের মোট রান সংখ্যায় শচীনকে (১৫৯২১) পেরোতে হলে রুটকে (১২৭৭৭) এখনও করতে হবে ৩১৪৪ রান। যদিও শচীনের তুলনায় ইয়র্কশায়ারের এই সুপারস্টার ৫৫ ইনিংস কম খেলেছেন।

টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে সর্বাধিক রান—

১৬৩০* – জো রুট (৪৯ ইনিংস)

১৬২৫ – শচীন টেন্ডুলকার (৬০ ইনিংস)

১৬১১ – গ্রায়েম স্মিথ (৪১ ইনিংস)

১৬১১ – অ্যালিস্টার কুক (৫৩ ইনিংস)

১৫৮৭ – শিবনারায়ণ চন্দ্রপল (৪৯ ইনিংস)

১৫৫২ – রাহুল দ্রাবিড় (৫৬ ইনিংস)

তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে সফরকারী আয়ারল্যান্ড নারী দলকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ নারী দল। শনিবার (৩০ নভেম্বর) শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় আইরিশরা। নির্ধারিত ওভার শেষে তারা ১৯৪ রানের টার্গেট দেয় স্বাগতিকদের। পরে, ফারজানা হকের অর্ধশতকে ভর করে ৩৭ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে নোঙর করে নিগার সুলতানা জ্যোতির দল।

আগে ফিল্ডিং করতে নেমে শুরুতেই আইরিশ অধিনায়ক গ্যাবি লুইসের উইকেট তুলে নেন সুলতানা খাতুন। দলীয় ৩৫ রানে নাহিদা আক্তারের শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন সারাহ ফোর্বস।

তৃতীয় উইকেটে ভাঙে অর্লা প্রেনডারগাস্ট ও অ্যামি হান্টারের ৯১ রানের জুটি। ৩৭ রানে অর্লা রান আউটের শিকার হওয়ার পর ৬৮ রানে স্বর্ণার লিগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন অ্যামি। ডিলানি ৩৩ ও লেহ পল ১০ রানে সাজঘরে ফিরলে ১৯৩ রানের পুঁজি পায় আইরিশরা।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে মুরশিদা আউট হলে ১৫ রানেই ভাঙে টাইগ্রেসদের উদ্বোধনী জুটি। তবে আগের ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও বড় জুটি গড়েন ফারজানা হক ও শারমিন সুপ্তা। ফারজানা ৫০ আর সুপ্তা ৪৩ রানে আউট হলে ১০৭ রানে ৩য় উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

দলীয় ১২৯ রানে আউট হন সোবহানা মুস্তারি। হারের শঙ্কা উঁকি দিলেও অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতির ৪০ রানে সেই শঙ্কা কেঁটে যায়। শেষ পর্যন্ত স্বর্ণা আর ফাহিমার ব্যাটে জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।

উল্লেখ্য, এ জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করলো বাংলাদেশ। আগামী সোমবার সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে মুখোমুখি হবে দু’দল।

বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে লো স্কোরিং থ্রিলারে বসন্ত দেখেছেন দু’দলের বোলাররা। ভারত-অস্ট্রেলিয়া কেউই পেরোতে পারেনি দেড়শো রানের দলীয় সংগ্রহ। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে ম্যাচের আবহ পাল্টেছে।

নিজেদের শেষ ইনিংসে জোড়া সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন ভারতীয় দুই ব্যাটার ভিরাট-জয়সওয়াল। শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেট হারিয়ে ৪৮৭ রানে ইনিংস ঘোষণা করে ভারত। জেতার জন্য অজিদের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৫৩৪ রান।

টেস্ট ক্যারিয়ারে ৩০ তম সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন কোহলি। অপটাস স্টেডিয়ামে এর আগে আরও একবার তিন অঙ্কের দেখা পেয়েছিলেন তিনি। অপরদিকে, প্রথম ইনিংসে খালি হাতে ফিরলেও যশ্বসী জয়সওয়ালও পেয়েছেন শতকের দেখা।

এদিকে, বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই খেই হারিয়েছে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া। স্কোরবোর্ডে কোনো রান যোগ না হতেই বিদায় নেন অজি ওপেনার নাথান। অপরদিকে, অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের ব্যাটও হাসেনি এদিন। মাত্র ২ রানে প্যাভিলিওনের পথ ধরেন তিনি।

প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত, ৪ ওভার খেলা শেষে ২ উইকেট হারিয়ে ১২ রান সংগ্রহ করেছে অস্ট্রেলিয়া।

কাতার বিশ্বকাপ জয়ের পর আর্জেন্টিনা দলের জনপ্রিয়তা এখন আকাশচুম্বী। অপরদিকে লিওনেল মেসির ভক্ত ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে উপমহাদেশের আনাচে-কানাচে। মেসিকে নিয়ে উন্মাদনারও শেষ নেই। ভারতীয় ভক্তদের জন্য সুখবর, তিনবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা আসছে ভারতে। প্রায় ১৪ বছর পর বিশ্বের অন্যতম জনবহুল দেশটিতে আসার অপেক্ষায় আলবিসেলেস্তারা। সেখানে দুটি ম্যাচে খেলার সম্ভাবনাও রয়েছে লিও বাহিনীর। খবর, ইন্ডিয়া টুডে’র।

বুধবার (২০ নভেম্বর) ভারতের কেরালা রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী ভি. আব্দুরহিমান গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, পরের বছর বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টিনা ফুটবল দল খেলতে আসবে কেরালায়। সেই দলের থাকবেন মেসিও। আর্জেন্টিনা সরকার এবং সে দেশের ফুটবল সংস্থার (এএফএ) এর সঙ্গে প্রাথমিক কথাবার্তাও হয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। সব খরচ বহন করবে কেরালা সরকার।

তিনি আরও জানান, স্পেনে গিয়ে আর্জেন্টিনা ফুটবল সংস্থার সঙ্গে কথা হয়েছে তাদের। পরের বছর সেপ্টেম্বর বা অক্টোবরে প্রদর্শনী ম্যাচ হতে পারে। আপাতত কোচিতে সেই ম্যাচ হবে বলে জানা গিয়েছে। কারণ সেই স্টেডিয়াম ৬০ হাজারের কাছাকাছি দর্শক ধরে। এই ম্যাচ উপলক্ষে ফিফা কর্তারাও কেরালায় আসবেন বলেও জানা গেছে।

শোনা যাচ্ছে, শুধু কেরালা নয়, এর আগে জুলাই মাসে কলকাতাতেও আসতে পারেন মেসি। সেই কলকাতা, যে শহরে ২০১১ সালে খেলে গিয়েছিলেন।

উল্লেখ্য, কলকাতার সল্টলেক স্টেডিয়ামে (যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন) লিও মোহিত করেছিলেন তার পায়ের জাদুতে। দীর্ঘদিন ধরেই মেসিকে কলকাতায় আনার চেষ্টা করছেন স্পোর্টস প্রোমোটর শতদ্রু দত্ত। যিনি ২০২৩ সালে বিশ্বকাপজয়ী গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেজকে কলকাতায় এনেছিলেন। ২০১১ সালে কলকাতা সফরের একই সূচিতে ঢাকায়ও এসেছিলেন লিও। সেবার নাইজেরিয়ার বিপক্ষে ঢাকায় একটি আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ খেলেছিলো আর্জেন্টিনা।

সম্পাদক ও প্রকাশক : মঈনুদ্দিন কাজল
deshermatidaily@gmail.com
০১৬১৫১১২২৬৬, ০১৬৭৩৫৬২৭১৬

দেশের মাটি কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।