খেলাধুলা

 
 

যুব হকি দলকে ২০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা ক্রীড়া পরিষদের

 

 

প্রথমবারের মতো যুব হকি বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করায় অনূর্ধ্ব-২১ জাতীয় হকি দলকে ২০ লাখ টাকা আর্থিক পুরস্কার দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ।

শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) এ সিদ্ধান্তের কথা জানান যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।

গত বৃহস্পতিবার যুব বিশ্বকাপ ও যুব এশিয়াকাপে পঞ্চম হয়ে দেশে ফিরেছে অনূর্ধ্ব-২১ দল। এরপর হকি ফেডারেশনের পক্ষ থেকে ৫ লাখ পুরস্কার প্রদান করা হয়। দেশে ফেরার একদিন পরেই ক্রীড়া পরিষদের পক্ষ থেকে ঘোষণা দেয় ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।

উল্লেখ্য, এর আগে সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী দলকে ১ কোটি টাকা আর্থিক পুরস্কার দিয়েছিলো ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।

টেস্ট ক্রিকেটে চতুর্থ ইনিংসে ব্যাট করাটাকে সবচেয়ে কঠিন কাজের একটি মনে করা হয়। যে কারণে চতুর্থ ইনিংসে অল্প পুঁজি নিয়েও ম্যাচে দলের জয় পেতে দেখা যায় অহরহ। সেই চতুর্থ ইনিংসেই এবার রান করে রেকর্ড গড়েছেন জো রুট। চতুর্থ ইনিংসে রান করার বিচারে ভারতীয় কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকারকেও ছাড়িয়ে গেছেন এই ইংলিশ ব্যাটসম্যান।

চতুর্থ ইনিংসে ১৬২৫ রান নিয়ে এতোদিন শীর্ষে ছিলেন টেন্ডুলকার। আজ রোববার (১ ডিসেম্বর) সকালে ক্রাইস্টচার্চ টেস্টে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের ৮ উইকেটে জয়ের ম্যাচে অপরাজিত ২৩ রানের ইনিংস খেলার পথে শচীনকে টপকে গেছেন রুট। তার রান এখন ১৬৩০।

১৫০তম টেস্ট খেলতে নেমে শচীনের রেকর্ড ভেঙে দেয়ার আগে রুট পেরিয়ে যান স্বদেশীয় এলিস্টার কুক (১৬১১) এবং গ্রায়েম স্মিথের (১৬১১) রান। চতুর্থ ইনিংসে দুটো শতরান, আটটা ফিফটি রয়েছে রুটের। যেখানে তার গড় ৪০ প্লাস।

রুটের এই রানের মোট ৬২০ রান কাজে লেগেছে দলের জয়ে। জাতীয় দলের জয়ের ক্ষেত্রে চতুর্থ ইনিংসে শচীনের রান ৭১৫। এই তালিকায় দক্ষিণ আফ্রিকান প্রাক্তন অধিনায়ক গ্রায়েম স্মিথের রান ১১৪১। এ ক্ষেত্রে এগিয়ে গ্রায়েম স্মিথ। ২০১৪ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলা স্মিথের চতুর্থ ইনিংসে ব্যাটিং গড় ৫১.৯৬।

টেস্টের মোট রান সংখ্যায় শচীনকে (১৫৯২১) পেরোতে হলে রুটকে (১২৭৭৭) এখনও করতে হবে ৩১৪৪ রান। যদিও শচীনের তুলনায় ইয়র্কশায়ারের এই সুপারস্টার ৫৫ ইনিংস কম খেলেছেন।

টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে সর্বাধিক রান—

১৬৩০* – জো রুট (৪৯ ইনিংস)

১৬২৫ – শচীন টেন্ডুলকার (৬০ ইনিংস)

১৬১১ – গ্রায়েম স্মিথ (৪১ ইনিংস)

১৬১১ – অ্যালিস্টার কুক (৫৩ ইনিংস)

১৫৮৭ – শিবনারায়ণ চন্দ্রপল (৪৯ ইনিংস)

১৫৫২ – রাহুল দ্রাবিড় (৫৬ ইনিংস)

তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে সফরকারী আয়ারল্যান্ড নারী দলকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ নারী দল। শনিবার (৩০ নভেম্বর) শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় আইরিশরা। নির্ধারিত ওভার শেষে তারা ১৯৪ রানের টার্গেট দেয় স্বাগতিকদের। পরে, ফারজানা হকের অর্ধশতকে ভর করে ৩৭ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে নোঙর করে নিগার সুলতানা জ্যোতির দল।

আগে ফিল্ডিং করতে নেমে শুরুতেই আইরিশ অধিনায়ক গ্যাবি লুইসের উইকেট তুলে নেন সুলতানা খাতুন। দলীয় ৩৫ রানে নাহিদা আক্তারের শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন সারাহ ফোর্বস।

তৃতীয় উইকেটে ভাঙে অর্লা প্রেনডারগাস্ট ও অ্যামি হান্টারের ৯১ রানের জুটি। ৩৭ রানে অর্লা রান আউটের শিকার হওয়ার পর ৬৮ রানে স্বর্ণার লিগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন অ্যামি। ডিলানি ৩৩ ও লেহ পল ১০ রানে সাজঘরে ফিরলে ১৯৩ রানের পুঁজি পায় আইরিশরা।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে মুরশিদা আউট হলে ১৫ রানেই ভাঙে টাইগ্রেসদের উদ্বোধনী জুটি। তবে আগের ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও বড় জুটি গড়েন ফারজানা হক ও শারমিন সুপ্তা। ফারজানা ৫০ আর সুপ্তা ৪৩ রানে আউট হলে ১০৭ রানে ৩য় উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

দলীয় ১২৯ রানে আউট হন সোবহানা মুস্তারি। হারের শঙ্কা উঁকি দিলেও অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতির ৪০ রানে সেই শঙ্কা কেঁটে যায়। শেষ পর্যন্ত স্বর্ণা আর ফাহিমার ব্যাটে জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।

উল্লেখ্য, এ জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করলো বাংলাদেশ। আগামী সোমবার সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে মুখোমুখি হবে দু’দল।

বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে লো স্কোরিং থ্রিলারে বসন্ত দেখেছেন দু’দলের বোলাররা। ভারত-অস্ট্রেলিয়া কেউই পেরোতে পারেনি দেড়শো রানের দলীয় সংগ্রহ। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে ম্যাচের আবহ পাল্টেছে।

নিজেদের শেষ ইনিংসে জোড়া সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন ভারতীয় দুই ব্যাটার ভিরাট-জয়সওয়াল। শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেট হারিয়ে ৪৮৭ রানে ইনিংস ঘোষণা করে ভারত। জেতার জন্য অজিদের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৫৩৪ রান।

টেস্ট ক্যারিয়ারে ৩০ তম সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন কোহলি। অপটাস স্টেডিয়ামে এর আগে আরও একবার তিন অঙ্কের দেখা পেয়েছিলেন তিনি। অপরদিকে, প্রথম ইনিংসে খালি হাতে ফিরলেও যশ্বসী জয়সওয়ালও পেয়েছেন শতকের দেখা।

এদিকে, বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই খেই হারিয়েছে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া। স্কোরবোর্ডে কোনো রান যোগ না হতেই বিদায় নেন অজি ওপেনার নাথান। অপরদিকে, অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের ব্যাটও হাসেনি এদিন। মাত্র ২ রানে প্যাভিলিওনের পথ ধরেন তিনি।

প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত, ৪ ওভার খেলা শেষে ২ উইকেট হারিয়ে ১২ রান সংগ্রহ করেছে অস্ট্রেলিয়া।

কাতার বিশ্বকাপ জয়ের পর আর্জেন্টিনা দলের জনপ্রিয়তা এখন আকাশচুম্বী। অপরদিকে লিওনেল মেসির ভক্ত ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে উপমহাদেশের আনাচে-কানাচে। মেসিকে নিয়ে উন্মাদনারও শেষ নেই। ভারতীয় ভক্তদের জন্য সুখবর, তিনবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা আসছে ভারতে। প্রায় ১৪ বছর পর বিশ্বের অন্যতম জনবহুল দেশটিতে আসার অপেক্ষায় আলবিসেলেস্তারা। সেখানে দুটি ম্যাচে খেলার সম্ভাবনাও রয়েছে লিও বাহিনীর। খবর, ইন্ডিয়া টুডে’র।

বুধবার (২০ নভেম্বর) ভারতের কেরালা রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী ভি. আব্দুরহিমান গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, পরের বছর বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টিনা ফুটবল দল খেলতে আসবে কেরালায়। সেই দলের থাকবেন মেসিও। আর্জেন্টিনা সরকার এবং সে দেশের ফুটবল সংস্থার (এএফএ) এর সঙ্গে প্রাথমিক কথাবার্তাও হয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। সব খরচ বহন করবে কেরালা সরকার।

তিনি আরও জানান, স্পেনে গিয়ে আর্জেন্টিনা ফুটবল সংস্থার সঙ্গে কথা হয়েছে তাদের। পরের বছর সেপ্টেম্বর বা অক্টোবরে প্রদর্শনী ম্যাচ হতে পারে। আপাতত কোচিতে সেই ম্যাচ হবে বলে জানা গিয়েছে। কারণ সেই স্টেডিয়াম ৬০ হাজারের কাছাকাছি দর্শক ধরে। এই ম্যাচ উপলক্ষে ফিফা কর্তারাও কেরালায় আসবেন বলেও জানা গেছে।

শোনা যাচ্ছে, শুধু কেরালা নয়, এর আগে জুলাই মাসে কলকাতাতেও আসতে পারেন মেসি। সেই কলকাতা, যে শহরে ২০১১ সালে খেলে গিয়েছিলেন।

উল্লেখ্য, কলকাতার সল্টলেক স্টেডিয়ামে (যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন) লিও মোহিত করেছিলেন তার পায়ের জাদুতে। দীর্ঘদিন ধরেই মেসিকে কলকাতায় আনার চেষ্টা করছেন স্পোর্টস প্রোমোটর শতদ্রু দত্ত। যিনি ২০২৩ সালে বিশ্বকাপজয়ী গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেজকে কলকাতায় এনেছিলেন। ২০১১ সালে কলকাতা সফরের একই সূচিতে ঢাকায়ও এসেছিলেন লিও। সেবার নাইজেরিয়ার বিপক্ষে ঢাকায় একটি আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ খেলেছিলো আর্জেন্টিনা।

সালভাদরে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচের উরুগুয়ের সঙ্গে পিছিয়ে পড়েও ১-১ গোলে ড্র করেছে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল। এই ড্রয়ে পয়েন্ট তালিকার পাঁচে নেমে গেল সেলেসাওরা।

বুধবার বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টা ৪৫ মিনিটে সালভাদরের ফন্টে নোভা অ্যারেনায় মাঠে মুখোমুখি হয় ব্রাজিল ও উরুগুয়ে।

স্বাগতিক ব্রাজিলের জন্য ম্যাচটি ছিল প্রতিশোধের থাকলেও সেই প্রতিশোধ যেন আর নেওয়া হলো না এবার। গেল কোপা আমেরিকায় টাইব্রেকারে ব্রাজিলকে ৪-২ গোলে হারায় উরুগুয়ে। তবে ড্র করেও যেন একপ্রকার নিজেদের সম্মান রক্ষা করল সেলেসাওরা।

প্রথমার্ধে আক্রমণভাগে ছন্নছাড়া পারফরম্যান্সের পর দ্বিতীয়ার্ধের ১০ মিনিটের মাথায় গোল হজম করতে হয় ব্রাজিলকে। ভালভার্দের গোলে এগিয়ে যায় উরুগুয়ে। সেখান থেকেই অবশ্য ঘুরে দাড়িয়েছে সেলেসাওরা।

ম্যাচের ৬২ মিনিটে সিলভার গোলে সমতায় ফেরে পাঁচ বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। গোল পরিশোধের পর দেখা মেলে ব্রাজিলের চিরায়ত আক্রমণাত্মক ফুটবল। কিন্তু ফরোয়ার্ডদের দুর্বলতায় আরও একবার হতাশ হতে হয়েছে তাদের। ড্র নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় সেলেসাওদের।

মোট ১২ ম্যাচে তৃতীয়বার ড্র করা ব্রাজিলের পয়েন্ট ১৮। সমান ম্যাচে ২০ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে উরুগুয়ে। এদিকে আজ পেরুকে ১-০ গোলে হারানো বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা ২৫ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে।

বসনিয়াকে গোল বন্যায় ভাসালো জার্মানি। ৭-০ গোলে হারিয়ে, গ্রুপ সেরার তকমা নিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে পা রাখে জুলিয়ান নাগলসম্যানের দল।

ম্যাচের শুরুতেই, জার্মানিকে এগিয়ে দেন জামাল মুসিয়ালা। জসুয়া কিমিখের ক্রস বক্সে পেয়ে দারুণ হেডে গোলটি করেন তিনি। ২৩ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ক্লাইনডিন্সট। আক্রমণের ঢেউ তোলা জার্মানির হয়ে ৩৭ মিনিটে ব্যবধান বাড়ান হাভার্টজ।

বিরতির ঠিক আগে, পাল্টা আক্রমণে ব্যবধান কমানোর সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করে বসনিয়া। এরপর ম্যাচের ৫০ ও ৫৭ মিনিটে স্কোর শিটে নাম লেখান ওয়ার্টজ। একচেটিয়া চাপ ধরে রেখে ৬৬ মিনিটে দুর্দান্ত একটি গোল করেন সানে। কোণঠাসা বসনিয়ার জালে শেষ প্যারেক ঠুকেন ক্লাইনডিন্সট।

ক্যারিয়ারের সেরা ফর্মে আছেন লিওনেল মেসি। আর্জেন্টাইন এই তারকাকে নিয়ে এমন মন্তব্য করেছেন অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ তারকা ও জাতীয় দলে মেসির সতীর্থ রদ্রিগো ডি পল। প্যারাগুয়ের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচের আগে, দলের সাথে অনুশীলন করেছেন এলএমটেন। মেসির সাথে অনুশীলন উপভোগ্য এবং দারুণ ব্যাপার- বলেও জানান ডি পল।

ডি পল বলেন, সত্যিটা হলো লিওনেল মেসি ক্যারিয়ারের সেরা ফর্মে আছে। আমরা এটা উপভোগ করি, কারণ তাঁর সাথে অনুশীলন করাটা দারুন ব্যাপার। বেশ ভালো লাগে।

এদিকে, দক্ষিণ আমেরিকার বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে সবশেষ বলিভিয়ার বিপক্ষে হ্যাটট্রিকের পর আরও একবার আর্জেন্টিনার জার্সিতে মাঠে নামতে প্রস্তুত লিও। প্যারাগুয়ের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচের আগে অনুশীলনে ব্যস্ত সময় পার করছেন এলএমটেন।

সদ্য শেষ হওয়া মৌসুমে দলগতভাবে শিরোপা জেতার পাশাপাশি ব্যক্তিগতভাবেও দারুণ ছন্দে ছিলেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। মার্কিন লিগে ইন্টার মায়ামির জার্সিতে এই মৌসুমে ২৫ ম্যাচে ২৩ গোলের পাশাপাশি ১৩টি অ্যাসিস্ট করেন বিশ্বকাপজয়ী এই তারকা। আর্জেন্টিনার জার্সিতেও সবশেষ ম্যাচে বলিভিয়ার বিপক্ষে রঙিন ছিলো মেসির পারফরমেন্স। তাইতো সতীর্থ ডি পলের মতে সেরা ফর্মে আছেন তিনি।

উল্লেখ্য, ১০ ম্যাচে ৭ জয় ও ১ ড্র’য়ে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে লাতিন অঞ্চলের শীর্ষে অবস্থান করছে আলবিসেলেস্তারা। শীর্ষস্থান ধরে রাখতে ১৫ নভেম্বর প্যারাগুয়ের বিপক্ষে ঘরের মাঠে খেলতে নামবে বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। এরপর ২০ নভেম্বর দ্বিতীয় ম্যাচে ঘরের মাঠে পেরুকে আতিথ্য দেবে স্কালোনির শিষ্যরা। ইন্টার মায়ামির মতো আর্জেন্টিনার জার্সিতেও বছরের শেষটা রাঙাতে প্রস্তুত লিওনেল মেসি।

২২ গজে ভারত-পাকিস্তান দ্বৈরথ আইসিসির স্বস্তির কারণ হলেও এই দু’দলের মাঠের বাইরের দ্বন্দ্ব রীতিমতো গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির কাছে। অনেকটা শ্যাম রাখি না কুল রাখি অবস্থান আইসিসির জন্য। আর সেটি আরও প্রকট হয়েছে আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে। পাকিস্তানে খেলতে যাবে না ভারত, এমন সিদ্ধান্ত স্পষ্ট হওয়ার পর এবার কঠোর অবস্থানে যাওয়ার হুঁশিয়ারি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের।

পাকিস্তানি গণমাধ্যম ডেইলি টাইমস জানিয়েছে, ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ আয়োজনে আইসিসি ব্যর্থ হলে সব ধরণের চুক্তি থেকে বের হয়ে যাওয়ার হুমকি আছে সম্প্রচার ও পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠানগুলোর।

ভারতের এমন সিদ্ধন্তের বিপরীতে বিকল্প হাইব্রিড মডেলেও সায় মেলেনি পিসিবির। শেষ পর্যন্ত ভারত যদি তাদের সিদ্ধান্তে স্থির থাকে, তবে ভবিষ্যতে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ বয়কটের বিবেচনাও করছে তারা। আর তাতে সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়বে আইসিসি।

এক্ষেত্রে কারণটাও অজানা নয়। ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ না হলে বৈশ্বিক ইভেন্টে আগ্রহ হারাবে দর্শক। আর্থিক ক্ষতি বিবেচনায় মুখ ফিরিয়ে নিতে পারে সম্প্রচারকারী ও পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান। তাতে বড় অঙ্কের রাজস্ব হারাবে আইসিসি। কারণ এই দুই খাত থেকে সংস্থাটির আয় সবচেয়ে বেশি। ২০২৪ থেকে ২০২৭ চক্রে সম্প্রচারস্বত্ব থেকে আয় হবে ৩.২ বিলিয়ন ডলার। আর পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য খাত থেকে আয় হবে আরও ১ বিলিয়ন ডলার।

বড় এই আয়ের উৎস নি:সন্দেহে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ। এটি নিশ্চিত করতে আইসিসির সব ইভেন্টে এখন একই গ্রুপে রাখা হয় চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী এই দুই দেশকে যাতে নিশ্চিতভাবে টুর্নামেন্টে তাদের এটি ম্যাচ হয়।

সবশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপে শুধুমাত্র ভারতীয় টিভি চ্যানেলে দু’দলের হাইভোল্টেজ ম্যাচ দেখেছেন প্রায় সাড়ে ১৭ কোটি দর্শক। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে সেই অঙ্ক ছিলো সাড়ে ২২ কোটি। ২০২১ টি-বিশ্বকাপেও ছিলো একই চিত্র। সেবার ভারতের ১৬৭ মিলিয়ন দর্শক ১৫.৯ বিলিয়ন মিনিট সময় ব্যয় করেছে সুপার ক্লাসিক এই লড়াই দেখতে।

আগামী সাত বছরে ভারতে অনুষ্ঠিত হবে আইসিসির বড় চার ইভেন্ট। যারমধ্যে ২০২৫ সালে নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ, ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, ২০২৯ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ও ২০৩১ ওয়ানডে বিশ্বকাপ। পাকিস্তান সত্যিই যদি তাদের দল ভারতে না পাঠায় তাহলে নি:সন্দেহে জৌলুশ হারাবে এসব আসর। বড় অঙ্কের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বে আইসিসি।

ক্লাব ফুটবলের বিরতিতে শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক ফুটবলের প্রস্তুতি। এ বিরতিতে দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোও নামবে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচ খেলতে। শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) বাংলাদেশ সময় ভোর সাড়ে পাঁচটায় আর্জেন্টিনাকে আতিথ্য দেবে প্যারাগুয়ে। সব ম্যাচেই ফুটবল জাদুকর লিওনেল মেসির খেলা নিয়ে দর্শকদের মধ্যে থাকে বাড়তি উন্মাদনা। কেননা, কে না চায় তার পায়ের জাদু দেখতে।

তবে এদিন প্যারাগুয়ের মেসি ভক্তদের জন্য বিশেষ নিয়ম করেছে দেশটির ফুটবল ফেডারেশন। ‘মেসি ১০’ লেখা জার্সি কিংবা আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে দিয়ে প্যারাগুইয়ান কোনো সমর্থক স্টেডিয়ামে ঢুকতে পারবে না। নিয়মটির কথা প্যারাগুয়ের ফুটবল ফেডারেশনের লাইসেন্সিং ম্যানেজার ফার্নান্দো ভিলাসবোয়া নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমরা এরই মধ্যে স্থানীয় পর্যায়ে সতর্কবার্তা দিয়েছি। প্যারাগুয়ে কিংবা নিরপেক্ষ জার্সি ছাড়া গ্যালারির স্বাগতিক সমর্থকদের অংশে প্রবেশের অনুমতি দেবো না। প্রতিপক্ষের জার্সি পরে যারা আসবেন, তারা থাকতে পারবেন না।’

বিষয়টিকে ফুটবলভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ‘গোল ডটকম’ বলছে ‘অ্যান্টি–লিওনেল মেসি’ ব্যবস্থা। মেসির সঙ্গে এই নিয়ম সম্পৃক্ত থাকার আভাস অবশ্য ভিলাসবোয়ার পরের কথাটিতেই পাওয়া যায়, ‘যেসব ক্লাবের জার্সিতে প্রতিপক্ষ দলের খেলোয়াড়দের নাম থাকবে, সেগুলোকেও আমরা অনুমতি দেবো না।’

প্যারাগুয়ে ফুটবল ফেডারেশনের এই কর্মকর্তা অবশ্য শুধুমাত্র মেসির কারণে এমন ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে সেটি অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, এটা নির্দিষ্ট কোনো খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে নয়। ফুটবলারদের ক্যারিয়ারের প্রতি আমাদের সম্মান আছে। এটা শুধু আমাদের ঘরের মাঠে সুবিধা পাওয়ার জন্য জরুরিভাবে নেয়া।

মেসির কারণে গ্যালারিতে তার দলের জার্সি নিষিদ্ধ করার ঘটনা এবারই প্রথম নয়। এর আগে, গত মার্চে ইন্টার মায়ামির বিপক্ষে কনক্যাকাফ চ্যাম্পিয়ন কাপের ম্যাচে গ্যালারির নির্দিষ্ট কিছু অংশে প্রতিপক্ষের জার্সি নিষিদ্ধ করেছিল ন্যাশভিলে।

সম্পাদক ও প্রকাশক : মঈনুদ্দিন কাজল
deshermatidaily@gmail.com
০১৬১৫১১২২৬৬, ০১৬৭৩৫৬২৭১৬

দেশের মাটি কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।