ফুটবল মাঠে পারিবারিক ঐতিহ্যের গল্প নতুন নয়। তিন প্রজন্ম ধরে সেই দাপট ধরে রাখাও কঠিন। ইতালিয়ান কিংবদন্তি সিজার মালদিনির নাতি ও পাওলো মালদিনির ছেলে জানান দিচ্ছেন জাতীয় দলে নিজের আগমন।
ভালো খেলার স্বীকৃতিই পেয়েছেন দানিয়েল। চলতি বছরের জানুয়ারিতে এসি মিলান থেকে ধারে মোনৎসায় যাওয়ার পর থেকেই দুর্দান্ত ফর্মে আছেন তিনি। তাঁর পারফরম্যান্সে তাকে কিনে নিয়েছে মোনৎসা।
সম্প্রতি ইতালির জাতীয় দলে ডাক পেয়েছেন দানিয়েল মালদিনি। বেলজিয়াম ও ইসরায়েলের বিপক্ষে উয়েফা নেশন্স লিগে দুটি ম্যাচ খেলবে আজ্জুরিরা। কোচ লুসিয়ানো স্পালেত্তি যদি অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার দানিয়েলকে মাঠে নামান তবে জাতীয় দলে মালদিনি পরিবারের তৃতীয় প্রজন্মের প্রতিনিধি হবেন তিনি।।
১৯৮৮ সালে জাতীয় দলে অভিষেক হয় পাওলো মালদিনির। পাওলো মালদিনি ইতালির জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন ১২৬টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ। ডিফেন্ডার হয়েও খেলোয়াড়ি জীবনে কখনো লাল কার্ড দেখেননি তিনি, গোল করেছেন ৭ টি। এসি মিলানের হয়ে জিতেছেন ৩টি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ৭টি সিরি আ সহ সর্বমোট ১৭ টি শিরোপা। একসময় ইতালির হয়ে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ড ছিল পাওলোর। এরপর ফাবিও ক্যানাভারো ও জিয়ানলুইজি বুফন ছাড়িয়ে গেছেন তাঁকে। অন্যদিকে দাদা সিজার ১৯৬০ এর দশকে জাতীয় দলে খেলেছেন ১৪টি ম্যাচ।
২ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে নেশনস লিগে এ২ গ্রুপের শীর্ষে আছে ইতালি। ১০ অক্টোবর রোমে বেলজিয়াম ও ১৪ অক্টোবর উদিনেসে ইসরায়েলের বিপক্ষে খেলবে আজ্জুরিরা।
নেশন্স লিগের দুই ম্যাচের জন্য ইতালির স্কোয়াড:
গোলরক্ষক: মিখায়েল ডি গ্রেগোরিও, গিয়ানলুইগি ডোনারুমা ও গুগলিয়েমো ভিকারিও
ডিফেন্ডার: আলেহান্দ্রো বাস্তোনি, রাউল বেলানোভা, আলেহান্দ্রো বুনগিওরনো, রিকার্ডো কালাফিওরি, আন্দ্রে কাম্বিয়াসো, গিওভানি ডি লোরেঞ্জো, ফেডেরিকো ডিমারকো, মাত্তেও গাব্বিয়া, সালেব ওকোলি ও ডেসটিনি উদোগি।
মিডফিল্ডার: নিকোলো ফাগিওলি, ডেভিড ফ্রাত্তেসি, লোরেঞ্জো পেলেগ্রিনি, নিকোলো পিসিল্লি, স্যামুয়েল রিক্কি ও সান্দ্রো টোনালি।
ফরোয়ার্ড: মোয়েস কিন, দানিয়েল মালদিনি, গিয়াকোমো রাসপাডোরি ও মাতেও রেটেগুই।