খেলাধুলা

ফুটবল মাঠে পারিবারিক ঐতিহ্যের গল্প নতুন নয়। তিন প্রজন্ম ধরে সেই দাপট ধরে রাখাও কঠিন। ইতালিয়ান কিংবদন্তি সিজার মালদিনির নাতি ও পাওলো মালদিনির ছেলে জানান দিচ্ছেন জাতীয় দলে নিজের আগমন।

ভালো খেলার স্বীকৃতিই পেয়েছেন দানিয়েল। চলতি বছরের জানুয়ারিতে এসি মিলান থেকে ধারে মোনৎসায় যাওয়ার পর থেকেই দুর্দান্ত ফর্মে আছেন তিনি। তাঁর পারফরম্যান্সে তাকে কিনে নিয়েছে মোনৎসা।

সম্প্রতি ইতালির জাতীয় দলে ডাক পেয়েছেন দানিয়েল মালদিনি। বেলজিয়াম ও ইসরায়েলের বিপক্ষে উয়েফা নেশন্স লিগে দুটি ম্যাচ খেলবে আজ্জুরিরা। কোচ লুসিয়ানো স্পালেত্তি যদি অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার দানিয়েলকে মাঠে নামান তবে জাতীয় দলে মালদিনি পরিবারের তৃতীয় প্রজন্মের প্রতিনিধি হবেন তিনি।।

১৯৮৮ সালে জাতীয় দলে অভিষেক হয় পাওলো মালদিনির। পাওলো মালদিনি ইতালির জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন ১২৬টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ। ডিফেন্ডার হয়েও খেলোয়াড়ি জীবনে কখনো লাল কার্ড দেখেননি তিনি, গোল করেছেন ৭ টি। এসি মিলানের হয়ে জিতেছেন ৩টি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ৭টি সিরি আ সহ সর্বমোট ১৭ টি শিরোপা। একসময় ইতালির হয়ে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ড ছিল পাওলোর। এরপর ফাবিও ক্যানাভারো ও জিয়ানলুইজি বুফন ছাড়িয়ে গেছেন তাঁকে। অন্যদিকে দাদা সিজার ১৯৬০ এর দশকে জাতীয় দলে খেলেছেন ১৪টি ম্যাচ।

২ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে নেশনস লিগে এ২ গ্রুপের শীর্ষে আছে ইতালি। ১০ অক্টোবর রোমে বেলজিয়াম ও ১৪ অক্টোবর উদিনেসে ইসরায়েলের বিপক্ষে খেলবে আজ্জুরিরা।

নেশন্স লিগের দুই ম্যাচের জন্য ইতালির স্কোয়াড:

গোলরক্ষক: মিখায়েল ডি গ্রেগোরিও, গিয়ানলুইগি ডোনারুমা ও গুগলিয়েমো ভিকারিও

ডিফেন্ডার: আলেহান্দ্রো বাস্তোনি, রাউল বেলানোভা, আলেহান্দ্রো বুনগিওরনো, রিকার্ডো কালাফিওরি, আন্দ্রে কাম্বিয়াসো, গিওভানি ডি লোরেঞ্জো, ফেডেরিকো ডিমারকো, মাত্তেও গাব্বিয়া, সালেব ওকোলি ও ডেসটিনি উদোগি।

মিডফিল্ডার: নিকোলো ফাগিওলি, ডেভিড ফ্রাত্তেসি, লোরেঞ্জো পেলেগ্রিনি, নিকোলো পিসিল্লি, স্যামুয়েল রিক্কি ও সান্দ্রো টোনালি।

ফরোয়ার্ড: মোয়েস কিন, দানিয়েল মালদিনি, গিয়াকোমো রাসপাডোরি ও মাতেও রেটেগুই।

রোববার (৬ অক্টোবর) মাঠে গড়াবে বাংলাদেশ-ভারত টি-টোয়েন্টি সিরিজ। গোয়ালিওরের নতুন স্টেডিয়ামে টাইগারদের আতিথ্য দেবে মেন ইন ব্লু’রা। টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নেয়ায় ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম এই সংস্করণে আর দেখা যাবে না সাকিব আল হাসানকে। দীর্ঘদিন বল ও ব্যাট হাতে দলকে সার্ভিস দিয়েছেন মিস্টার সেভেন্টি ফাইভ। তার অনুপস্থিতিতে একাদশ সাজাতে বেশ বেগ পেতে হয়। তবে সাকিবের শূন্যতা পূরণের আহ্বান জানিয়েছেন তাওহিদ হৃদয়। ম্যাচ শুরুর আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই জানালেন এই টাইগার ব্যাটার।

হৃদয় বলেন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে চাপ সব সময়ই থাকে। যদি সেটা মাথায় থাকে তাহলে তো পারফর্ম করা যাবে না। আমাদের প্রক্রিয়া মেনে চলতে হবে, ভালো করার চেষ্টা করতে হবে। আর সাকিব ভাই নেই। অবশ্যই আমরা তাকে মিস করব। কিন্তু এখান থেকে একদিন না একদিন সবাইকে যেতেই হবে। আশা করি, আমরা সাকিব ভাইয়ের শূন্যতা ভালোভাবে পূরণ করব।

তিনি আরও বলেন, সাকিব ভাইয়ের ব্যাপারটা হলো, অবশ্যই উনি যেহেতু এত দিন ছিলেন, এখন একটু মানিয়ে নিতে সমস্যা হবে। একাদশ সাজাতে একটু সমস্যা হবে। কারণ, সাকিব ভাই দুই দিক থেকে (ব্যাটিং–বোলিং) ভালো সমন্বয় এনে দিতেন। আমরা মিরাজকে দলে নিয়ে এসেছি। আশা করব, মিরাজ যেন ওই জায়গাটায় দ্রুত মানিয়ে নেয়।

এসময় টেস্টে খারাপ ফলাফল আসলেও টি-টোয়েন্টিতে স্বাগতিকদের বিপক্ষে ভালো কিছু করার ব্যাপারে আশাবাদী হৃদয়। বলেন, এখানে আমাদের খুব ভালো সুযোগ আছে পারফর্ম করার। আমরা অবশ্যই জিততে চাইব। এটাই, আর কিছু নয়।

উল্লেখ্য, গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটিকেই ক্যারিয়ারের শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন সাকিব। কিছুদিন আগে ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে সাকিবের অনুপস্থিতি ও পরবর্তী পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলেছিলেন অধিনায়ক নাজমুল শান্তও।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে স্কটল্যান্ডকে হারিয়ে শুভসূচনা করেছে বাংলাদেশের মেয়েরা। শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের দেয়া ১২০ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ১০৩ রানে থেমেছে স্কটিশ মেয়েরা। এতে ১৬ রানের জয় পায় নিগার সুলতানা জ্যোতির দল।

সময়ের হিসেবে বিশ্বকাপে এই জয় এলো ১০ বছরপর। ম্যাচের হিসেবে ১৬ আর টুর্নামেন্টের হিসেবে ৪ টি—মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে লম্বা সময় পর জয়ের দেখা পেল বাংলাদেশ। স্কটিশদের হারানোর আগে বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সবশেষ জিতেছিল ২০১৪ সালে। সেবার সিলেটে আয়ারল্যান্ডকে ১৭ রানে হারিয়েছিল বাংলাদেশ।

বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। তবে সংগ্রহ খুব একটা বড় করতে পারেনি। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১১৯ রানের স্বল্প পুঁজি পায় জ্যোতির দল। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৬ রান আসে সোবহানা মোস্তারীর ব্যাট থেকে। এছাড়া ওপেনার সাথী সাহার ব্যাট থেকে ২৯ ও অধিনায়ক জ্যোতির ব্যাট থেকে আসে ১৮ রান। স্কল্যান্ডের পক্ষে সাসকিয়া হরলি ২ ওভারে ১৩ রানে শিকার করেন ৩ উইকেট।

তবে ১২০ রানের স্বল্প পুঁজিতেই জয় এনে দেন বোলাররা। রান তাড়ায় স্কটল্যান্ডের ইনিংস থামে ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১০৩ রানে। দলটির পক্ষে সর্বোচ্চ অপরাজিত ৪৯ রানের ইনিংস খেলেন সারাহ ব্রাইস। এছাড়া ‍উল্লেখ করার মতো কারও ব্যাট থেকে তেমন ইনিংস আসেনি। বাংলাদেশের মারুফ, নাহিদা, ফাহিমা ও রাবেয়া খান একটি করে উইকেট শিকার করেছেন। ৪ ওভারে মাত্র ১৫ রানে ২ উইকেট শিকার করে ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেছেন স্পিনার রিতু মনি।

জোর করে সিলেট স্ট্রাইকার্সের মালিকানা লিখে নেয়ার অভিযোগে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। আজ সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর পল্লবী থানায় বাদী হয়ে মামলাটি করেন বিপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজিটির সাবেক মালিক সারোয়ার চৌধুরী।

মামলায় ১ নম্বর আসামি করা হয়েছে মাশরাফীকে। এই মামলায় অন্য আসামিরা হলেন– হেলাল বিন ইউসুফ শুভ্র, ইমাম হাসান, অজ্ঞাত (রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানির এক কর্মকর্তা), কে এম রাসেল, বাবলু ও অজ্ঞাতসহ মোট ৮ জন।

মামলার এজহারে বলা হয়েছে, জোরপূর্বক সরওয়ার চৌধুরীর কাছ থেকে সিলেট স্ট্রাইকার্সের মাদার প্রতিষ্ঠান ফিউচার স্পোর্টস বাংলাদেশ লিমিটেডের মালিকানা কেড়ে নেয়া হয়েছে। মাশরাফীর কার্যালয়ে বসে হেলাল বিন ইউসুফ শুভ্র নামে সিলেট স্ট্রাইকার্সের সহ-মালিক সারোয়ার চৌধুরীর মাথায় রিভলবার ঠেকিয়ে ছিলেন।

আরও বলা হয়েছে, রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানির এক কর্মকর্তা (অজ্ঞাত) সারোয়ারকে কোনো কিছু জিজ্ঞেস না করেই স্বাক্ষর নিতে শুরু করেন। এমনকি তার পাসপোর্টও জব্দ করা হয়েছিল। এসময় তিনি যেন কারও সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কোনো কথা না বলেন, সেই হুমকিও শুভ্র তাকে দিয়েছিলেন।

গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার বিরুদ্ধে নড়াইলে আরও একটি মামলা হয়েছিল।

আকস্মিক! বেশ আকস্মিক খবর… বাংলাদেশ ক্রিকেটের ভক্তদের জন্য খবরটি বেশ নাড়া দেয়ার মতোই। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে আর দেখা যাবে না সাবেক টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে।

বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার জানালেন, টি-টোয়েন্টিতে ইতোমধ্যে তিনি তার শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে ফেলেছেন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলা ম্যাচই এ সংস্করণে তার শেষ ম্যাচ ছিল।

সাদা পোশাকেও ইতি টানছেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। দেশে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হওয়ায় নিরাপত্তার নিশ্চয়তা পেলে ঢাকায় ফিরবেন তিনি। ফিরে আগামী মাসে মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে একটি ম্যাচ খেলে টেস্ট থেকে অবসরে যাবেন সাকিব।

বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপাক্ষিক সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে এখন দলের সাথে ভারতের উত্তর প্রদেশের কানপুরে অবস্থান করছেন মিস্টার সেভেন্টি ফাইভ। সেখানেই ম্যাচ পূর্ববর্তী এক সংবাদ সম্মেলনে আজ বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) এ ঘোষণা দেন তিনি।

তবে খেলে যাবেন ওয়ানডে ক্রিকেট। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর একদিনের ক্রিকেটকেও বিদায় বলবেন সাকিব।

তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে আফগানিস্তান। এর ফলে ক্রিকেটের যেকোনো সংস্করণে প্রথমবারের মতো দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারানোর স্বাদ পেল রশিদ-নবিরা। আগে ব্যাট করতে নেমে ফজল হক ফারুকি এবং আল্লাহ্ মোহাম্মাদ ঘজনফরের বোলিং তোপে ৩৩ দশমিক ৩ ওভারে মাত্র ১০৬ রানে গুটিয়ে যায় প্রোটিয়ারা। লক্ষ্য তাড়ায় হেসেখেলেই জয়ের বন্দরে নোঙর ফেলে আফগানিস্তান। জয়ের সময় ৬ উইকেটের পাশাপাশি আফগানদের হাতে ছিল ১৪৪ বলও।

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক এইডেন মার্করাম। আগে ব্যাট করতে নেমে ভয়াবহ ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। নিজের পরপর তিন ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার টপ অর্ডার তিন ব্যাটসম্যানকে বিদায় করেন ফারুকি। অনেক বাইরের বল স্টাম্পে টেনে আনেন রিজা হেনড্রিকস। স্লোয়ার বলে একইভাবে বোল্ড হন অধিনায়ক এইডেন মার্করাম। মিড অনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন টোনি ডি জোর্জি।

প্রতিপক্ষের মিডল অর্ডারে ছোবল দেন ঘজনফর। অষ্টম ওভারে জোড়া উইকেট নেন তৃতীয় ওয়ানডে খেলতে নামা এই অফ স্পিনার। ট্রিস্টান স্টাবস এই সংস্করণে তার প্রথম শিকার। পরে বিদায় করেন অভিষিক্ত জেসন স্মিথকে। দুইজনেই খুলতে পারেননি রানের খাতা।পাওয়ারপ্লে’র শেষ ওভারে কাইল ভেরেইনাকে এলবিডব্লিউ করে দেন ঘজনফর।

ওভারের শেষ বলে নাটকীয়ভাবে রান আউটে কাটা পড়েন আন্দিলে ফেলুকোয়াইয়ো। ঘজনফারের বল তার পায়ে লাগার পর এলবিডব্লিউয়ের আবেদন করেন বোলার ও উইকেটরক্ষক। বল কোথায় গিয়েছে তা বুঝতে না পেরে প্রথম ক্রিজে থাকলেও পরে এক-দুই পা বেরিয়ে যান ফেলুকোয়াইয়ো। সেই সুযোগে স্লিপে দাঁড়িয়ে কাছ থেকেই স্টাম্প ভেঙে দেন গুলবাদিন নাইব। বিস্ময়ের অভিব্যক্তি নিয়ে মাঠ ছেড়ে যান ফেলুকোয়াইয়ো।

মাত্র ৩৬ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলা প্রোটিয়াদের সামনে তখন নিজেদের দলীয় সর্বনিম্ন ৬৯ রানের আগে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কা। সেই বিপর্যয় থেকে দলকে টেনে তোলেন উইয়ান মুল্ডার ও বিয়র্ন ফরচুইন। এ দু’জন মিলে দলকে নিয়ে যান ৭৫ রানে। এরপর ১৬ রানে ফেরেন ফরচুইন। এক প্রান্তে উইকেট পতন অব্যাহত থাকলেও, অন্য প্রান্তে দলকে আগলে ১০০ রান পার করান মুল্ডার।

তবে অন্যপ্রান্তে, ৮৪ বলে ৫টি চার ও একটি ছক্কায় ৫২ রান করেন মুল্ডার। যেকোনো ফরম্যাটে এটাই তার প্রথম হাফ সেঞ্চুরি। শেষ পর্যন্ত ৩৩.৩ ওভারে ১০৬ রানেই অলআউট হয়ে যায় প্রোটিয়ারা। যা ওয়ানডেতে তাদের সপ্তম সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহ। আফগানদের হয়ে বাঁহাতি পেসার ফারুকী ৭ ওভারে ৩৫ রানে ৪টি উইকেট নেন। ১০ ওভারে ২০ রানে ঘজনফরের শিকার ৩ উইকেট। ৮.৩ ওভারে ৩০ রানে ২ উইকেট নেন দলটির তারকা লেগ স্পিনার রশিদ।

সহজ টার্গেট টপকাতে নেমে শুরুতেই রহমানউল্লাহ গুরবাজকে হারায় আফগানিস্তান। গুরবাজের পর দ্রুত বিদায় নেন তিনে নামা রহমত শাহও। আরেক ওপেনার রিয়াজ হাসান ৩৫ বল খেলে করেন ১৬ রান। অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহীদিও সমান ১৬ রানের ইনিংস খেলে ফিরে যান প্যাভিলিয়নে। 

দলীয় ৬০ রানে চতুর্থ উইকেট হারানো আফগানিস্তানকে এরপর জয়ের বাকি পথটা এগিয়ে নিয়ে গেলেন গুলবেদিন নাইব আর আজমতউল্লাহ ওমরজাই। ৪৭ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে ২৪ ওভার আগেই তারা দলকে এনে দিলেন ৬ উইকেটের জয়। ওমরজাই ২৫, গুলবেদিন ২৭ বলে ৩৪ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন। 

পাকিস্তানের বিপক্ষে ঐতিহাসিক টেস্ট জয়ে বিভিন্ন দেশের নজর কেড়েছে বাংলাদেশ। এতদিন ধরে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ব্যর্থ দলটি এবার স্বপ্ন দেখাচ্ছে ফাইনালে খেলার। তাইতো লাল-সবুজের এই দেশটিকে ঘিরে আলোচনা-সমালোচনা চলছে ক্রিকেট পাড়ায়। ক’দিন বাদেই টেস্ট খেলতে ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। প্রতিবেশী এই দেশটির সাবেক ক্রিকেটাররাও জানাচ্ছেন তাদের মতামতের কথা।

এই টেস্টকে ঘিরে বাংলাদেশের খুব একটা ভালো সম্ভাবনা দেখছেন না ভারতের সাবেক ক্রিকেটার অজয় জাদেজা কিংবা বর্তমান খেলোয়াড় মোহাম্মদ শামি। কিন্তু একথার সাথে একমত প্রকাশ করতে পারলেন না জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকার হার্শা ভোগলে। দাবি করলেন এটিই নাকি বাংলাদেশের সেরা টেস্ট স্কোয়াড।

হার্শা ভোগলে বলেন, এবার আমি বাংলাদেশকে নিয়ে বেশ আশাবাদী। কারণ আমার দেখা এটাই তাদের সেরা স্কোয়াড। তাদের এখন সবচাইতে গতিময় পেসার আছে। সত্যিকারের পেসের কথা যদি বলি যেটাতে কিছু না কিছু হয়, সেটাই আছে নাহিদ রানার মধ্যে। পাকিস্তানের ভালো ভালো ব্যাটারদের ভুগিয়েছে সে। এছাড়া হাসান মাহমুদ ও তাসকিন আহমেদ তো আছেই।

নিজের ইউটিউব চ্যানেলে জানালেন এই দলটিকে ওপরে রাখার কারণ। হার্শার মতে, সাকিব ও মুশফিক খেলা ছেড়ে দিলে তাদের বিকল্প হতে পারেন লিটন ও মিরাজ।

হার্শা ভোগলে বলেন, আমার মনে হচ্ছে লিটন ও মিরাজ আরও বড় ভূমিকা নেয়ার জন্য প্রস্তুত। আমি জানি না সাকিব, মুশফিক আর কতদিন খেলবে। তবে এই দুজনের আদর্শ ভূমিকা হতে পারে লিটন ও মিরাজ। বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপে নিজেদের সামর্থ্যের থেকে এক ধাপ নিচে ব্যাট করছে সবাই। এটা ব্যাটিং গভীরতার খুব ভালো দিক। কিন্তু উপরের দিক থেকে শান্ত ও মুমিনুলদেরও রান পেতে হবে।

সবশেষ ফেভারিট হিসেবে ভারতকেই এগিয়ে রেখেছেন হার্শা। কিন্তু জমাট এক লড়াই আশা করছেন বাংলাদেশের কাছ থেকেও। চেন্নাইতে আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর মেন ইন ব্লু দের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট খেলতে নামবে নাজমুল শান্ত’র দল।

আগামী ২৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিতব্য বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) নির্বাচন থেকে সরে গেলেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। কিছুদিন আগেও নির্বাচন করবেন বলে জানিয়েছিলেন তিনি। তবে পারিবারিক কারণে আসন্ন নির্বাচনে লড়বেন না। শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বাফুফে ভবনে নিজের এ সিদ্ধান্তের কথা জানান তিনি।

কাজী সালাউদ্দিন বলেন, আমি চার মেয়াদে দায়িত্বে ছিলাম। সেজন্য নিজেকে খুব ভাগ্যবান মনে করি, যে এমন সুযোগ আমার জীবনে এসেছে। এখন বাফুফের যে নির্বাচন আসছে, ২৬ অক্টেবরে; আমি এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব না। এটা আমার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। এটা জানানোর জন্য এসেছি।

টানা ৪ বার বাফুফে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হন কাজী সালাউদ্দিন। এবারও নির্বাচন করার কথা জানিয়েছিলেন সাবেক এই ফুটবলার। সম্প্রতি আল্ট্রাস নামে বাংলাদেশ ফুটবল সমর্থকদের একটি সংগঠন থেকে সালাউদ্দিনের পদত্যাগের দাবি করা হয়।

সেসময় হুমকির মুখে পদত্যাগ করবেন না জানিয়ে বাফুফে সভাপতি বলেছিলেন, বাংলাদেশ ফুটবল আল্ট্রাসের কী ভূমিকা ফুটবলে? আমি ঘোষণা দিয়েছি ২৬ অক্টোবর বাফুফে নির্বাচন হবে। আমি নির্বাচন করতে পারব কিনা তারা বলার কে? তাদের কে অধিকার দিয়েছে আমাকে হুমকি দেওয়ার?

আসন্ন নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়ে তিনি আরও বলেছিলেন, আমি পদত্যাগ করছি না। আমি আগামী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব। আমি কোন হুমকির মুখে ফুটবল ছাড়ব না।

বিদায় বেলায় বাংলাদেশ সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় খানিকটা তৃপ্ত তিনি। বলেন, চার টার্ম বাফুফে সভাপতি হিসেবে কাজ করেছি। এজন্য আমি সৌভাগ্যবান। কিছুদিন আগে সাফ অ-২০ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। এজন্য ভালো লাগা কাজ করছে।

উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে প্রথমবারের মতো বাফুফে সভাপতি নির্বাচিত হন কাজী সালাউদ্দিন। এরপর টানা ১৬ বছর ধরে দায়িত্ব পালন করছেন, ছিলেন দক্ষিণ এশীয় ফুটবল সংস্থার (সাফ) সভাপতিও। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের দেড় মাস পর এই প্রথম বাফুফে ভবনে আসলেন তিনি।

পাকিস্তানি অলরাউন্ডার শোয়েব মালিকের বিরুদ্ধে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগ এনেছেন দেশটির সাবেক ক্রিকেটার বাসিত আলী। দেশটিতে চলমান ঘরোয়া টুর্নামেন্ট চ্যাম্পিয়ন্স ওয়ানডে কাপের দল স্ট্যালিয়ন্স এর মেন্টর হিসেবে নিয়োগ দেয়ার জন্য পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডেরও (পিসিবি) ব্যাপক সমালোচনাও করেছেন তিনি। সম্প্রতি নিজের ইউটিউব চ্যানেলেরবাবর আজমকে অধিনায়ক না করে একপ্রকার অপমান করা হয়েছে বলে মনে করেন বাসিত।  বাসিত আলী বলেন, যে মানুষটা নিজের দেশকে নিয়েই চিন্তাভাবনা করে না, তাকে কখনই মেন্টর পদে বসানো উচিত নয়। যে মানুষটা স্বীকার করে যে আমরা সবকিছু জেনেই ম্যাচটা হেরেছি, তার কাঁধে এই দায়িত্ব দেওয়া একেবারে উচিত নয়। যদি কেউ প্রমাণ  (ফিক্সিংয়ের) চায়, তাহলে আমি প্রমাণ দিয়ে দেব। সম্প্রতি রামিজ রাজা সাহেব শোয়েব মালিকের একটি ইন্টারভিউ নিয়েছিলেন। সেখানে উনি কী বলেছিলেন?  দলের অধিনায়ক ইস্যুতেও প্রশ্ন তোলেন বাসিত আলী। বলেন, বাবর আজমের জন্য আমার একটাই আফসোস। সেটি হলো, সবাই অধিনায়ক হয়ে গেছে। কিন্তু শোয়েব মালিক তাকে (বাবর) অধিনায়ক করেননি। তার পরিবর্তে হারিসের হাতে নেতৃত্ব দিয়েছেন। বাবর আজমের পকেট থেকে আপনি ১০টা হারিস বের করতে পারবেন।  তিনি আরও বলেন, এটা বাবরের জন্য বড় একটা অপমান। ও নিজে ভীরুও। ওর উচিত ছিল উমর আকমল ও আহমেদ শেহজাদের মতো খেলতে অস্বীকৃতি জানানো। লাইভে এসে এ অভিযোগ ও সমালোচনা করেন বাসিত আলী।  উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) থেকে শুরু হয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স ওয়ানডে কাপ। লিস্ট ‘এ’ ভিত্তিক একদিনের ম্যাচের এই টুর্নামেন্ট চলবে আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। সবগুলো ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ফয়সালাবাদের ইকবাল স্টেডিয়ামে।

বোলার হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আবির্ভাব হলেও মেহেদী হাসান মিরাজ এখন ধীরে ধীরে নিজেকে প্রমাণ করেছেন ব্যাটার হিসেবে। ভালো ব্যাট করলেও মিরাজের আক্ষেপ থেকে গিয়েছে এক জায়গায়। কেননা দলের হয়ে প্রায় সময় তাকে ৮ নম্বরে ব্যাট করতে নামতে হয়। বিশেষ করে টেস্ট ক্রিকেটে। ব্যাটার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে ব্যাটিং অর্ডারে আরও ওপরে খেলার সুযোগ চান মেহেদী হাসান মিরাজ।

পাকিস্তান সফরে বাংলাদেশের সিরিজ জয়ে বড় কারিগর মিরাজ। দুই টেস্টেই ব্যাট হাতে খেলেন গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস। বোলিংয়েও দুই ম্যাচে প্রয়োজনের সময় এনে দেন মূল্যবান উইকেট। সব মিলিয়ে দুই ইনিংসে ১৫৫ রান ও বল হাতে ১০ উইকেট নিয়ে তিনিই জেতেন সিরিজসেরার পুরস্কার।

ভারত সফর সামনে রেখে সোমবার দলের অনুশীলন শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপে অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার জানালেন লম্বা সময় ভালো খেলতে পারলেই কেবল চূড়ায় যাওয়া সম্ভব।

মিরাজ বলেন, একটা দলে যদি দুইটা অলরাউন্ডার খেলে, দলের জন্য অনেক সুবিধা থাকে। যেহেতু আমার ব্যাটিং ভালো হচ্ছে। শুরুতে আমার ব্যাটিং এতটা ভালো ছিলো না, দল এতটা পায়নি আমি বোলার হিসেবেই খেলেছি। যেহেতু এখন আমি নিজে অবদান রাখতে পারছি ভালো লাগছে। অবশ্যই অনুশীলন করতে হবে। এটা এক দুই দিনে সম্ভব না (বিশ্ব সেরা অলরাউন্ডার হওয়া)। লম্বা সময় ভালো খেলতে হবে। যদি আমি লম্বা সময় যদি ধরে রাখতে পারি তাহলে অলরাউন্ডার (সেরা) হতে পারব।

বোলিং মিরাজের সব সময় শক্তির জায়গা। সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাটিংয়ে উন্নতি করায় তাকে নিয়ে এত মাতামাতি। গত ২ বছরে টেস্টে ৮ নম্বরে নেমে সবচেয়ে বেশি রান করেছেন তিনি। তবে মিরাজের ইচ্ছা আট নয়, আরও উপরে খেলা ও বড় ব্যাটার হওয়া।

মিরাজ বলেন, হ্যাঁ! ৮ নম্বরের সেরা হতে চাই না। কারণ ৮ নম্বরে ব্যাটিং করা অনেক চাপ (হাসি)। অনেক সময় পরিস্থিতি থাকে, দল অনেক ভালো খেলেছে, তারপর আমার ৮ নম্বরে নামতে হয়। আবার এমন পরিস্থিতিও থাকে, দলের সব ব্যাটাররা খারাপ করেছে, তারপর আমার চাপের মধ্যে নামতে হয়। জিনিসটা ওই ইঙ্গিতে আমি বলেছিলাম, যে ৮ নম্বরের সেরা ব্যাটার হতে চাই না, ওপরের দিকের সেরা ব্যাটার হতে চাই।

ভালো খেললে আশা বাড়ে সে বিষয়ে মিরাজ বলেন, আশা তো সবার কাছে সবসময়ই থাকে। আশা তো দেখেন আমরা যখন ভালো খেলি, ম্যাচ জিতি তখন এই আসাটা সবারই বাড়ে। এক দুজনের না সবারই বাড়ে। সবারই আশা থাকবে তো, সেই আশার জায়গা আমাদের ভালো খেলাটা গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যেভাবে প্রস্তুতি নিয়েছি এবং প্রস্তুতি নিচ্ছি আমরা যদি পারফর্ম করতে পারি নিজেদের আশাটা ভালো থাকবে এবং রেজাল্টও আসবে।

সম্পাদক ও প্রকাশক : মঈনুদ্দিন কাজল
deshermatidaily@gmail.com
০১৬১৫১১২২৬৬, ০১৬৭৩৫৬২৭১৬

দেশের মাটি কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।