অর্থ - বানিজ্য

কর বাড়িয়ে তামাক নিয়ন্ত্রণের কৌশলটাই ভুল। প্রতিবছর বাজেট এলে তামাক পণ্যের কর বৃদ্ধির চাপ তৈরি হয়। কিন্তু কর বাড়িয়েও ব্যবহার কমে না বলে মনে করেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

বুধবার (১২ মার্চ) সকালে রাজধানীর পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টাস ফোরাম আয়োজিত এক কর্মশালায় তিনি তামাক নিয়ন্ত্রণের কৌশল বদলানোর এ তাগিদ দেন।

প্রেস সচিব বলেন, দেশের নারীদের মধ্যে ধূমপান প্রবণতা বাড়ছে। এটি চিন্তার বিষয়। তামাক নিয়ন্ত্রণে মন্ত্রিসভাতেও আলোচনা হচ্ছে। কীভাবে তামাক নিয়ন্ত্রণ করা যায় তা নিয়ে সরকারেরও আলোচনা হচ্ছে।

এর আগে আসছে বাজেটে নিম্ন স্তরের সিগারেটের দাম প্রতি শলাকা সর্বনিম্ন ৯ টাকা করার প্রস্তাব দেয়া হয়। অনুষ্ঠানে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য আব্দুর রাজ্জাক বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) একার পক্ষে সম্ভব নয়। এজন্য সরকারের অন্য সংস্থাগুলোকেও এগিয়ে আসার তাগিদ দেন।

আব্দুর রাজ্জাক জানান, অতীতের যেকোনো চেয়ে চলতি অর্থবছরে তামাক পণ্যের বেশি কর আরোপ করা হয়েছে। এনবিআরের মূল কাজ রাজস্ব আহরণ হলেও জনস্বাস্থ্যের বিষয়টিও দেখা উচিত বলে মনে করেন তিনি। বলা হয় তামাক পণ্যের শুল্ক থেকে যে রাজস্ব আদায় হয়, তার চেয়ে বেশি ব্যয় হয় তামাক গ্রহণের ফলে স্বাস্থ্য খাতের ব্যয়।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের বেক্সিমকো গ্রুপের ১৬৯ প্রতিষ্ঠানে তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগের আদেশ বাতিল করেছেন হাইকোর্টে।

বুধবার (১২ মার্চ) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায়ের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। তবে গ্রুপটির কার্যক্রম পর্যবেক্ষণে রাখতে বলা হয়েছে নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে। এর আগে, এক রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস ছাড়া বাকি সব প্রতিষ্ঠানে তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগের আদেশ দেন উচ্চ আদালত। পরবর্তীতে তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগ করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

তবে হাইকোর্টের এ রায়ের পর এখন নিজস্ব তত্ত্বাবধানে কার্যক্রম চালাতে পারবে প্রতিষ্ঠানটি।

ধাবমান প্রযুক্তিতে ক্রমশ গতিশীল হচ্ছে বিশ্ব। হাতের মুঠোয় চলে আসছে পৃথিবী। এ দৌড়ের সাথে তাল মেলাতে বিশ্বের সবচেয়ে হালকা স্মার্টফোন নিয়ে বাজারে এলো চীনা প্রতিষ্ঠান ‘টেকনো’। শুক্রবার (৭ মার্চ) এক প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিএনএন নিউজ এ তথ্য জানায়।

মাত্র ৫ দশমিক ৭ মিলিমিটার পুরু ‘স্পার্ক স্লিম’ মুঠোফোনটির প্রদর্শন হয়েছে বার্সেলোনায় মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, কিছুদিনের মধ্যেই মিলবে বাজারে। আইফোন সিক্সটিন প্রো ম্যাক্স, গ্যালাক্সি এস টুয়েন্টি ফাইভ আল্ট্রার মতো বাজারে থাকা শক্তিশালী ডিভাইসগুলোকে টেক্কা দিচ্ছে ‘স্পার্ক স্লিম’।

এছাড়াও ‘ক্যামন-৪০’ স্মার্টফোন সিরিজ, ‘টেকনো এআই গ্লাসেস প্রো’ চশমা ও ‘মেগাবুক এস-১৪’ ল্যাপটপ বাজারে নিয়ে এসেছে কোম্পানিটি। ‘হ্যান্ডস ফ্রি ফিচার’ অর্থাৎ ফোন স্পর্শ না করেই কল রিসিভ ও ম্যাসেজিং, চশমার কাচের মাধ্যমে অটোমেটিক রিয়েল-টাইম অনুবাদের মতো অভিনব ফিচার সংযুক্ত হয়েছে নতুন ডিভাইসগুলোতে।

নতুন পণ্যের ভীড়ে দর্শনার্থীদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু ছিল টেকনোর ‘লাইটওয়েট এন্ড কম্প্যাক্ট’ ডিভাইসটি। এরইমধ্যে বিশ্বের সবচেয়ে কম পুরু ফোনের তকমা পেয়ে গেছে মোবাইলটি।

বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ ও উত্তর-পূর্ব ভারতের মধ্যে সংযোগ বাড়াতে একটি নতুন আন্তঃসীমান্ত অর্থনৈতিক করিডোর গড়ে তুলতে চায় মেঘালয় সরকার। সম্প্রতি রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা একথা বলেছেন। শুক্রবার (৭ মার্চ) এক প্রতিবেদনে দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি নিউজ এ তথ্য জানায়।

এই করিডোরটি হিলি (পশ্চিমবঙ্গ) থেকে মেহেন্দ্রগঞ্জ (মেঘালয়ের গারো পাহাড়) পর্যন্ত বিস্তৃত হবে। যা কলকাতা থেকে তুরা, বাঘমারা, দালু ও ডাউকির মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলির মধ্যে দূরত্ব ও সময় ২৫ থেকে ৬০% কমিয়ে আনবে।

মেঘালয়ার মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা জানান, বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে এই করিডোর হলে পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে মেঘালয়, বরাক উপত্যকা এবং ত্রিপুরার দূরত্ব ৬ থেকে ৭শ’ কিলোমিটার কমবে।

এটির বাণিজ্যিক সম্ভবনার কথাও উল্লেখ করেন মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, এটা শুধু মেঘালয় চাইলেই হবে না। এর সঙ্গে জড়িত বাংলাদেশ সরকারও। সাবেক সরকারের আমলে প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে নয়াদিল্লি এ নিয়ে কথা বলেছিল ঢাকার সঙ্গে। আমরা এটাকে আরেকবার সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করব।

ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনার আহ্বান জানিয়ে দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে চিঠি পাঠিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। স্থানীয় সময় শুক্রবার (৭ মার্চ ) ফক্স বিজনেস নেটওয়ার্কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প জানান, তিনি ইরানের নেতাদের উদ্দেশ্যে চিঠি পাঠিয়েছে।

তিনি বলেন, ‘আমি বলেছি, আশা করি আপনি আলোচনায় বসবেন, কারণ এটি ইরানের জন্য ভালো হবে।’ 

একই চিঠিতে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, আলোচনায় বসতে অস্বীকৃতি জানালে বিষয়টিতে সরাসরি হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য হবে যুক্তরাষ্ট্র। এ অবস্থায়, তেহরানের কল্যাণে সমঝোতাই যুক্তিসঙ্গত হবে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
 
যদিও ট্রাম্পের এই দাবি অস্বীকার করেছে জাতিসংঘে ইরানের স্থায়ী মিশন। তারা জানায়, এমন কোনো চিঠির বিষয়ে অবগত নন তারা।

এর আগে, ফেব্রুয়ারি মাসে আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেন, ইতিহাস সাক্ষী যে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার টেবিলে বসলে তা ইরানের জন্য কোনো সুফল বয়ে আনবে না।

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর সীমান্তে কয়লা চোরাচালানে জড়িয়ে পড়ছে স্থানীয় শিশুরা। সরেজমিন ওই এলাকার স্কুলের খোঁজ নিয়ে জানা গেছে এলাকার প্রায় অর্ধেক ছাত্র এমন কাজে জড়িত। লেখাপড়ার বদলে টাকা উপার্জনের দিকেই তাদের মনোযোগ। আর, সেটা তারা করছে অবৈধভাবে। দুর্গম হওয়ায় প্রশাসনের নরজদারিও তেমন নেই।

তাহিরপুর এলাকাটির যোগাযোগ ব্যবস্থা তেমন ভালো নয়। এখানকার মানুষের লেখাপড়ার চেয়ে জীবিকা নির্বাহ করাই প্রধান লক্ষ্য। বাসিন্দাদের একটা বড় অংশ পার্শ্ববর্তী ভারত থেকে চোরাই পণ্য আনার সাথে জড়িত।

স্থানীয় স্কুল টেকেরঘাট চুনাপাথর খনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অনেক ছাত্র চোরাচালানে জড়িয়ে পড়েছে। এক শিক্ষার্থীর দীর্ঘদিন স্কুলে না আসার কারণ জানতে চাওয়া হয় প্রধান শিক্ষক হালিমা বেগমের কাছে। তিনি বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ছাত্রদের উপস্থিতি কম। স্কুলে আসলেও টিফিনের পর তারা উপস্থিত থাকে না।

এ ব্যাপারে অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলেও তেমন একটা প্রতিকার পাননি বলেও জানান, প্রধান শিক্ষক। শিক্ষার্থীরা স্কুলে না আসার ব্যাপারটি অভিভাবকরা জানে বলেও দাবি করেন তিনি। বলেন, কাছেই পাহাড় হওয়ায় স্কুল ফাঁকি দিয়ে পাহাড়ে চলে যায় ছাত্ররা।

স্কুল থেকে বেরিয়ে পাহাড়ি পথে সেই শিক্ষার্থীর খোঁজ নিতে যায় যমুনা টেলিভিশন। দেখা যায় মাথায় কয়লা ভর্তি বস্তা নিয়ে ফিরছে সেই ছাত্র।

সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে সীমান্তে এই শিশুর মত শত শত শিশু এমন অপরাধমূলক কাজে জড়িয়ে গেছে। মূলত ভারতের খনি থেকে চোরাই পথে কয়লা আনার কাজ করে তারা। মাঝেমধ্যে শিক্ষকরা ধরে এনে ক্লাসে বসালেও, তাতে কাজ হয় না।

এ ব্যাপারে কারণ ব্যাখ্যা করেন শিশুদের নিয়ে কাজ করা ভারতীয় সমাজকর্মী হাসিনা খারবাহি। তিনি বলেন, এখানে খনিগুলোতে লোভনীয় পারিশ্রমিকে কাজ করে ভারতীয় ও নেপালি শিশুরা। বিভিন্ন সময়ে খনিতে দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে বহু শিশু। এসব ঘটনা মিডিয়াতে আসে না বলেও জানান তিনি।

সীমান্তে নজরদারির অভাবের অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। তবে বিজিবি জানায়, সীমান্তে নজরদারি অব্যাহত আছে।

২৮ বিজিবির সিও লে. কর্নেল এ কে এম জাকারিয়া কাদির বলেন, বাহিনী সার্বক্ষণিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে যেন কেউ অবৈধভাবে ভারতের অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে না পারে। সীমান্তে সচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি বিভিন্ন জীবিকা নির্বাহের সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

২০২৫ সালের সরকারি জরিপ বলছে, এই টেকেরহাট নামের গ্রামটিতে শিশুর সংখ্যা ৫৬৮ জন। ২০৬ জন স্কুলে গেলেও বাকিরা যায় না।

পূর্বঘোষিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এবার কানাডা-মেক্সিকোর ওপর ২৫ শতাংশ বর্ধিত শুল্কারোপ কার্যকর করলো যুক্তরাষ্ট্র। অন্যদিকে, এক মাস যেতে না যেতেই আবারও চীনের ওপর ১০ শতাংশ শুল্কারোপ ওয়াশিংটনের। বিপরীতে পাল্টা ব্যবস্থা নিয়েছে দেশগুলো। পাল্টাপাল্টি শুল্কারোপে এখন অনেকটাই উত্তপ্ত বিশ্ব অর্থনীতি।

বিশ্লেষকদের মতে, বাণিজ্য অংশীদারদের চাপে ফেলতে ট্রাম্প শুল্কোরোপ করলেও তাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বিশ্ব অর্থনীতিতে। ওয়াশিংটন দেশীয় উৎপাদন বাড়ানো এবং নতুন কর্মসংস্থান তৈরির কথা বললেও তাতে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে যুক্তরাষ্ট্রই। বিশ্ব অর্থনীতিতে তৈরি হতে পারে নতুন মেরুকরণ। সৃষ্টি হতে পারে নতুন বাজার।

সাপ্লাই চেইন বিশেষজ্ঞ ক্যামেরন জনসন বলেন, পাল্টাপাল্টি শুল্কারোপে বিশ্ব বাণিজ্যে নতুন মেরুকরণ সৃষ্টি হচ্ছে। ইউরোপীয় দেশগুলো চীনসহ জাপান-অস্ট্রেলিয়ার মতো মার্কিন মিত্রদের কাছে যাওয়ার চেষ্টা করছে। চীনও তাদের বাজারে সুযোগ দিয়ে দেশগুলোর দিকে ঝুকছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যেটা তা হলো- বিশ্ব বাণিজ্য আর আগের মতো নেই।

বিশ্লেষকদের ধারণা, এমন সিদ্ধান্তের ফলে আবারও মুল্যস্ফীতি দেখা দিতে পারে যুক্তরাষ্ট্রে। ক্যামেরন জনসন এ প্রসঙ্গে আরও বলেন, আমরা বাণিজ্য যুদ্ধের মধ্যে আছি। যুক্তরাষ্ট্র তার শুল্কনীতি ব্যবহার করে দরকষাকষির সুযোগ বাগিয়ে নিচ্ছে। বিশেষত তার মিত্রদের কাছে। কেননা, ওয়াশিংটন মনে করে এই দেশগুলোর কারণেই তারা পিছিয়ে পড়ছে।

প্রতিবেশী কানাডা এবং মেক্সিকোকে যুক্তরাষ্ট্রের দুই শীর্ষ বাণিজ্যিক অংশীদার হিসেবে দেখা হয়ে থাকে। দেশটির বাণিজ্যকৃত মোট পণ্যের ৩০ শতাংশই আমদানি-রফতানি হয় দু’দেশে। পরিসংখ্যান বলছে, যার পরিমাণ আনুমানিক এক দশমিক ৬ ট্রিলিয়ন ডলারেরও বেশি। অন্যদিকে, কৃষিজাত পণ্য রফতানিতে চীনের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল যুক্তরাষ্ট্র।

রোজায় পণ্যের সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি জানান, কোনোভাবেই যেনো নিত্যপণ্যের দাম না বাড়ে, সেজন্য কাজ করছে সরকার। মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে এ সব কথা বলেন তিনি।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, বাজেট নির্ধারিত সময় হবে। এ বিষয়ে দেশের অর্থনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, দোকান মালিক সমিতিসহ প্রধান প্রধান স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে ব্যবসায়ীরা উদ্বিগ্ন। তাদের নিরাপত্তা না দিলে বিনিয়োগ বাড়বে না।

২৯ মিলিয়ন ডলার অর্থের বিষয় নিয়ে তিনি আরও বলেন, এটি এনজিও ব্যুরো খতিয়ে দেখতে পারে। তার প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নেবে অর্থ মন্ত্রণালয়। দেশের স্বার্থে যেকোনো উন্নয়নে ফান্ড আসতেই পারে। বড় বিষয় হলো কোন উদ্দেশ্যে সেই টাকা আনা হয়েছে, সেটি খতিয়ে দেখা। ভবিষ্যতে যাতে দেশের স্বার্থবিরোধী কোনো কাজে অর্থ না আসে, সেটি নিয়ন্ত্রণ করা হবে।

তিস্তা ব্রিজ থেকে গণপদযাত্রা শুরু হয়েছে। নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় এবং তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতেই এ পদযাত্রা। যেটি মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) লালমনিরহাট প্রান্ত থেকে শুরু হয়ে রংপুরের কাউনিয়া বাজারে গিয়ে শেষ হবে।

আজ তিস্তা অববাহিকার ১১টি পয়েন্টে জড়ো হয়েছেন রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা। নদী বাঁচানোর এই আন্দোলনে শামিল আছেন স্থানীয় কৃষক-শ্রমিকসহ হাজারও মানুষ।

তাদের দাবি, বিচ্ছিন্নভাবে নয় অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ই শুরু করতে হবে তিস্তা মহাপরিকল্পনার কাজ। পাশাপাশি তিস্তার ন্যায্য হিস্যা চুক্তি বাস্তবায়নে বাধ্য করতে হবে ভারতকে।

আয়োজকরা জানান, আন্তর্জাতিকভাবে তিস্তার ক্ষতবিক্ষত পরিস্থিতি তুলে ধরতেই এ উদ্যোগ। এর মাধ্যমে ভারতকে চুক্তি বাস্তবায়নে চাপ প্রয়োগ করা যাবে।

আজ সন্ধ্যায় ‘জাগো বাহে, তিস্তা বাঁচাই’ কর্মসূচির শেষদিনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে উত্তরাঞ্চলবাসীর উদ্দেশে বক্তৃতা দেয়ার কথা রয়েছে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের।

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পৃথিবীর বিভিন্ন শহরে দিন দিন বাড়ছে বায়ুদূষণ। দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণের কবলে ঢাকাও। আজ সাপ্তাহিক কর্মদিবসের প্রথম দিন রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকালেও শহরটির বাতাস ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় রয়েছে। বিশ্বের ১২৪টি শহরের মধ্যে সকাল ৭টায় রাজধানী ঢাকার অবস্থান তৃতীয় স্থানে।

আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের তথ্যানুযায়ী, ২২৪ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষে অবস্থানে রয়েছে ঢাকা।

দূষিত বায়ুর শহর হিসেবে প্রথম অবস্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি, স্কোর ৩৩১। যা ওই শহরে বসবাসকারীদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা পাকিস্তানের লাহোরের স্কোর ২৭৬। বাংলাদেশের স্কোর অনুযায়ী ঢাকা ও পাকিস্তানের বাতাস এ অঞ্চলের বাসিন্দাদের জন্য খুব অস্বাস্থ্যকর।

প্রসঙ্গত, ১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে বাতাসের মান ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’, ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়, ৩০১+ একিউআই স্কোরকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)। দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।

সম্পাদক ও প্রকাশক : মঈনুদ্দিন কাজল
deshermatidaily@gmail.com
০১৬১৫১১২২৬৬, ০১৬৭৩৫৬২৭১৬

দেশের মাটি কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।