অর্থ - বানিজ্য

যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাহী আদেশে বিভিন্ন দেশে সব ধরনের সহায়তা কার্যক্রম স্থগিতের ঘোষণার পর যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থা ইউএস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল এইডের (ইউএসএআইডি) অফিশিয়াল ওয়েবসাইটও গায়েব হয়ে গিয়েছে। এরপর এক বিব্রিতিতে ট্রাম্প জানান, মাস্ক ইউএসএআইডি ‘বন্ধ’ করার প্রক্রিয়ায় আছেন। সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এবিসি নিউজ এ তথ্য জানায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ইলন মাস্ক দাবি করেছেন যে তিনি ইউএস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টকে ‘বন্ধ’ করার প্রক্রিয়ায় আছেন এবং তিনি তার প্রচেষ্টা সম্পর্কে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অবহিত করেছেন। তিনি আরও দাবি করেছেন, ট্রাম্পের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।

একটি অডিও স্ট্রিম পডকাস্টে মাস্ক বলেছেন যে তার দলের অনুসন্ধানের ভিত্তিতে ইউএসএআইডি ‘হতাশ’ করেছে। এর আগে, স্থানীয় সময় শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) ওয়েবসাইটটি অ্যাকসেসের চেষ্টা করা হলে ‘সার্ভারের আইপি ঠিকানা খুঁজে পাওয়া যায়নি’ এমন একটি বার্তা প্রদর্শিত হয়। অন্যদিকে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে ইউএসএআইডির অ্যাকাউন্ট খুঁজতে গেলে দেখাচ্ছে ‘এই অ্যাকাউন্টটি এখন আর নেই।’

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত সোমবার একটি নির্বাহী আদেশ জারি করেছেন। সেই আদেশেই বিদেশি সহযোগিতা বন্ধের বিষয়টি সামনে আসে। এতে বলা হয়, ৯০ দিনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিদেশে সব ধরনের সহায়তা কার্যক্রম স্থগিত করেছে এবং নতুন সাহায্য অনুমোদন বন্ধ রেখেছে।

বাজারে পাওয়া ঘি এর ৬৬ দশমিক ৬৭ শতাংশই ভেজাল, গুড়ে ৪৩ ভাগ আর মধুতে ৩৩ ভাগ ভেজাল পাওয়া গেছে। এছাড়া মিষ্টিতে ২৮ শতাংশ এবং দুধে ২৭ শতাংশ ভেজাল পাওয়া গেছে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের গবেষণায়।

রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপদ খাদ্য দিবসে আয়োজিত সেমিনারে পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. খালেদা ইসলাম এমন ভয়াবহ তথ্য উপস্থাপন করেছে।

তিনি জানিয়েছেন, বর্তমানে দেশের বাজারে ঘি-তে ৬৬ দশমিক ৬৭ ভাগ, গুড়-এ ৪৩ দশমিক ৭৫ ভাগ, মধুতে ৩৩ দশমিক ৩৩ ভাগ, মিষ্টিতে ২৮ দশমিক ৫৭ ভাগ এবং দুধ-এ ২৭ দশমিক ৯৩ ভাগ ভেজাল পাওয়া গেছে। অর্থাৎ বাজারে থাকা উল্লেখিত শতাংশ দ্রব্য খাওয়ার উপযোগী নয়।

এসব খাদ্যে দরকারি পুষ্টি গুনের ঘাটতি তো রয়েছেই; উল্টো ভেজাল উপাদান দেহে নানা ক্ষতির কারণ হয়ে আসে।

সেমিনারে বাজার তদারকিতে আরও কঠোর হওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়। সুস্থ থাকতে ফ্রিজে কোনোভাবেই রান্না করা খাবার ও কাচা খাবার এক সাথে না রাখার পরামর্শও দেয়া হয়।

রাজধানীর মাছ বাজারে বেড়েই চলেছে অস্বস্তি। চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ ও চিংড়ি। সপ্তাহের ব্যবধানে বিভিন্ন জাতের মাছের দাম বেড়েছে অন্তত ৫০ টাকা। এজন্য যোগান সংকট ও পরিবহন খরচকে দুষছেন বিক্রেতারা। ভোজ্যতেলে সিন্ডিকেটের দাপট কমেনি। চলছে, দাম বাড়ানোর পায়তারা। কমিয়ে দেয়া হয়েছে সয়াবিন তেলের সরবরাহ। সরবরাহ ভালো থাকায় দাম কমেছে প্রতিটি শীতকালীন সবজির।

শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) রাজধানীর বেশকিছু বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন তথ্য।

চড়াভাব কাটেনি পোল্ট্রি বাজারে। এক কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২১০ টাকায়। আর সোনালির জন্য গুণতে হবে ৩৪০ টাকা।

বেশ কিছুদিন স্থিতিশীল থাকার পর, এবার দামের আচ লেগেছে মাছের বাজারে। সপ্তাহের ব্যবধানে সব জাতের মাছ কেজিতে ৪০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে। অস্বাভাবিক বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ ও চিংড়ি। এক কেজি আকারের ইলিশের জন্য গুণতে হবে আড়াই হাজার টাকা্ ১২শ’ থেকে ১৫শ’ টাকার নীচে মিলছে গলদা ও বাগদা চিংড়ি। এমনকি চাষের রুই-কাতলার জন্যও দিতে হচ্ছে ৪শ’ থেকে সাড়ে ৪শ’ টাকা। দাম বৃদ্ধির জন্য হঠাত করে মাছের যোগান কমে যাওয়া এবং অতিরিক্ত পরিবহন খরচকে দুষছেন বিক্রেতারা।

সব ধরনের আলুর দাম কমেছে। একইসঙ্গে কমেছে চায়না আদার দামও। মান ও আকারভেদে প্রতি কেজি নতুন দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫৫ টাকায়। এর মধ্যে ছোট আকারের পেঁয়াজ ৫০ টাকা এবং বড় আকারের পেঁয়াজ ৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি নতুন সাদা আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকা, নতুন লাল আলু ২৫ টাকায়। নতুন বগুড়ার আলু ৩০-৩৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। আজ দেশি রসুন ২৪০ টাকা, চায়না রসুন ২২০-২৩০ টাকা, চায়না আদা ২০০-২২০ টাকা, নতুন ভারতীয় আদা ১২০ দরে বিক্রি হচ্ছে।

শীতকালীন শাকসবজিতে ভরপুর বাজার। পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় রাজধানীতে এখন অনেকটাই স্থিতিশীল এই বাজার। বেশিরভাগ সবজি মিলছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজিতে। প্রতি কেজি করলা, বরবটি, চিচিঙ্গা, ঢেড়স, পটলের জন্য দিতে হবে ৮০ থেকে ১২০ টাকা পর্যন্ত।

ভোজ্যতেলের সংকট তৈরি হয়েছে মুদি দোকানে। সয়াবিন তেলের পর্যাপ্ত সরবরাহ নেই। সিন্ডিকেট করে সংকট তৈরি করা হচ্ছে-এমন অভিযোগ খুচরা বিক্রেতাদের।

৭৫০ টাকা কেজিতে অপরিবর্তিত আছে গরুর মাংসের বাজার। কেজিতে ৫০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে খাসীর মাংস মিলছে ১১শ’ ৫০ টাকায়।

আওয়ামী লীগ সরকারের সময় চট্টগ্রামে খাল খননের নামে অনিয়ম, দুর্নীতি এবং বিপুল অর্থ লুটপাট হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান। বলেন, চলতি বছর নগরীর ২১ টি খাল পরিষ্কারের জন্য ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সরকার।

শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) সকালে নগরীর বারইপাড়া ও সুন্নিয়া খাল পরিদর্শন শেষে এ কথা বলেন তিনি। আদিলুর রহমান জানান, এর আগে জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল খননের যে কাজগুলো হয়েছে তা হয়নি।

আগামী বর্ষায় জলাবদ্ধতা থেকে নগরবাসী মুক্তি পাবে কি না এমন প্রশ্নে চট্টগ্রাম সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, অন্যান্য বছরের মতো পানি উঠবে না তবে জলাবদ্ধতা হবে। বিগত বছরে নগরীর ৩ সেবা সংস্থা সিডিএ, সিটি করপোরেশন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের সমন্বয়হীনতার কারণে প্রতিবছর নগরবাসীকে জলাবদ্ধতার কবলে পড়তে হয়েছে। তবে আগামী দিনে জলাবদ্ধতা নিরসনে সেবা সংস্থাগুলো সমন্বয় করে কাজ করবে বলে জানান তিনি।

উল্লেখ্য, জলাবদ্ধতা নিরসনে চার প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪ হাজার ৩৪৯ কোটি টাকা। ইতোমধ্যে খরচ হয়েছে ৮ হাজার ৩১২ কোটি টাকা।

কিছু পণ্যে বড় ছাড় এবং এর ঘাটতি মেটাতে কিছুক্ষেত্রে কর বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে এমন সিদ্ধান্ত নিত্যপণ্যের দামে প্রভাব ফেলবে না বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক শেষে তিনি এ কথা জানান।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আইএমএফ-এর প্রস্তাবে নয়, ঘাটতি হিসাব করেই কর বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। যেসব ক্ষেত্রে কর বাড়ানো হয়েছে তাতে দরিদ্রদের সমস্যা হবে না।

শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও আইটি খাতকে বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে বলেও জানান উপদেষ্টা। দেশের অর্থনীতি ও ব্যাংকিং প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আগের চেয়ে অর্থনীতি শক্তিশালী হয়েছে এবং ব্যাংকে শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে। তবে সব কিছু স্বাভাবিক হয়েছে এমন নয়।

তিনি আরও বলেন, ৪৩ পণ্যের কর বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিত্যপণ্যের দামের ওপর প্রভাব ফেলবে না। কারণ, অত্যাবশকীয় পণ্যের শুল্ক জিরো করে দিয়েছি, ছাড় দিয়েছি।

চাল, ডালসহ প্রয়োজনীয় পণ্যর দাম বাড়বে না জানিয়ে তিনি বলেন, যেগুলোর দাম বা কর বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত হয়েছে তা খুবই অগুরুত্বপূর্ণ পণ্য। হোটেলের ক্ষেত্রে যে দাম বাড়িয়েছি, তা তিন তারকা হোটেলের ওপরে। যারা বিমানে চলাচল করে তাদের ২০০ টাকা বেশি দিতে সমস্যা হবে না।

এগুলো মার্জিনাল বলেও উল্লেখ করেন অর্থ উপদেষ্টা। বলেন, নেপাল ভুটানসহ পৃথিবীর কোনো দেশে এত কম কর বা ট্যাক্স নেই। এরপরও অত্যাবশকীয় পণ্যের কর জিরো করে দিয়েছি।

উপদেষ্টা আরও বলেন, আগের চেয়ে অর্থনীতি শক্তিশালী হয়েছে। সব কিছু স্বাভাবিক হয়েছে বলবো না তবে ব্যাংকে শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে, ব্যাংকের প্রতি আস্থা ফিরে এসেছে।

কলকাতার একটি আদালত থেকে বাংলাদেশ থেকে বিপুল অর্থ পাচারে অভিযুক্ত আলোচিত ব্যবসায়ী প্রশান্ত কুমার (পি কে হালদার) জামিন পেয়েছে। শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) ব্যাঙ্কশাল আদালত পিকে হালদারসহ ছয়জনের জামিন মঞ্জুর করেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, জামিনের বিনিময়ে প্রত্যেককে ১০ লাখ রুপি জমা দিতে হবে। একইসঙ্গে শর্ত দেয়া হয়েছে মামলা চলাকালীন তাদের আদালতে হাজিরাও দিতে হবে। এ সময়ের মধ্যে রাজ্য বা দেশ ত্যাগ করতে পারবেন না।

এদিকে, এর আগে গত ২৭ নভেম্বর জামিন পেয়েছিলেন পি কে হালদারের ভাই প্রানেশ হালাদার, আমিনা সুলতানা ওরফে শর্মি হালদার ও ইমন হোসেন।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের মে মাসে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা থেকে পিকে হালদারকে গ্রেফতার করে ভারতের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।

বাংলাদেশের বিভিন্ন অবকাঠামো প্রকল্প থেকে প্রায় ৫৯ হাজার কোটি টাকার আত্মসাতের অভিযোগ তদন্তে শেখ পরিবারের অন্য সদস্যদের সাথে নাম এসেছে ব্রিটিশ রাজনীতিবিদ টিউলিপ সিদ্দিকেরও। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে টিউলিপকে নির্দোষ বলে পূর্ণ সমর্থন দিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্টারমার। বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এ তথ্য জানায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়,  তিনি ইকনোমিক সেক্রেটারি টু দি ট্রেজারি অ্যান্ড সিটি মিনিস্টার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। মূলত, তার কাজ হচ্ছে যুক্তরাজ্যের অর্থবাজারের ভেতরের দুর্নীতি সামাল দেয়া। তবে, বাংলাদেশের বিভিন্ন অবকাঠামো প্রকল্প থেকে হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধেই। এসব অভিযোগে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন তিনি।

স্টারমারের মন্ত্রীসভার অন্যতম এক সদস্য  লুইস হাই, যিনি যুক্তরাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী হিসেবে পার্লামেন্টের সদস্য হওয়ার আগেই ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর মন্ত্রিত্ব ছেড়েছেন। সেই কেলেঙ্কারি শেষ হতে না হতেই এবার স্টারমারের মন্ত্রিসভার আরেক সদস্য টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎের অভিযোগ। যুক্তরাজ্যের রক্ষণশীলরা বলছেন, টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ স্টারমারের রাজনৈতিক রায় ও সিদ্ধান্তের নতুন ‘কালদাগ’।

অভিযোগের জবাবে, স্টারমারের অফিসিয়াল মুখপাত্র বলেছেন যে সিদ্দিকের ওপর প্রধানমন্ত্রী পূর্ণ আস্থা রেখেছেন এবং নিশ্চিত করেছেন যে তিনি (টিউলিপ সিদ্দিক) দুর্নীতিবিরোধী সমস্যাগুলি পরিচালনা করতে থাকবেন।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে বাংলাদেশে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে রাশিয়ার সাথে একটি চুক্তিতে মধ্যস্থতা করার সময় প্রকল্পের মোট ব্যয় বাড়িয়ে ধরা হয়েছিলো। মূলত টিউলিপ সিদ্দিকের খালা ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশন যে ব্যাপক তদন্ত শুরু করেছে তারই আওতায় পড়েছেন টিউলিপ সিদ্দিক।

ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ও এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলমের ছেলে আহসানুল আলমের নেতৃত্বে চট্টগ্রামের চাকতাই শাখা থেকে এক হাজার ৯২ কোটি টাকা লুটপাট হয়েছে। এস আলমের কর্মচারী মেসার্স মুরাদ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী গোলাম সারওয়ার চৌধুরীকে সামনে রেখে ওই টাকা হাতিয়ে নেয় আলোচিত গ্রুপটি। এতে সহযোগিতা করেন ইসলামী ব্যাংকের তৎকালীন এমডি ও পরিচালকসহ ৩৪ কর্মকর্তা।

তাদের পাশাপাশি ঋণগ্রহীতা প্রতিষ্ঠানের মালিক মিলিয়ে মোট ৫৮ জনের জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ ঘটনায় সাইফুল আলমের ছেলে আহসানুল আলমসহ ৫৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মুরাদ এন্টারপ্রাইজের গোলাম সারোয়ার চৌধুরী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মালিক ও ব্যাংকের সর্বোচ্চ কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগসাজশে হাতিয়ে নেয় অর্থ। ২০২১ সালের ২১ থেকে ২৬ ডিসেম্বরের মধ্যে ৮৯০ টাকা ঋণ মঞ্জুর হয়। পরবর্তীতে ২০২২ সালের নভেম্বরে বিনিয়োগ সীমা বৃদ্ধি করে হাজার কোটি এবং ২০২৩ সালের ৭ নভেম্বরে ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা মঞ্জুর করা হয়। যার মধ্যে ১ হাজার ৯২ কোটি টাকা পাচার করেছে।

রাজনৈতিকভাবে যাই ঘটুক ভারতের সাথে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্কে কোনো প্রভাব পড়বে না। যেখান থেকে ভালো দর পাওয়া যাবে সেখান থেকে আমদানি করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে পারচেজ কমিটির বৈঠক শেষে একথা জানান তিনি।

তিনি বলেন, ভারত থেকে যেসব পণ্য আমদানি করা হয় সেগুলো ঠিকভাবে এবং সময়মত আসবে। সচিবালয়ে ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে চাল আমদানির সিদ্ধান্ত হয়েছে । সেক্ষেত্রে ভারত, মিয়ানমার, থাইল্যান্ডের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। যে দেশ থেকে কম দামে পাওয়া যাবে সেখান থেকেই চাল আমদানি করা হবে।

বাংলাদেশে পণ্য আমদানি বন্ধ করে দেয়া হবে এমন হুমকি প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, ভারতের পক্ষ থেকে এমন বক্তব্য রাজনৈতিক, এই বক্তব্যের প্রভাব বাণিজ্যের উপর পড়বে না।

ডক্টর সালেহউদ্দিন বলেন, রমজানকে সামনে রেখে সরকার নানা ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে দাম কমানোর জন্য। আসছে রমজানে তাই পণ্যের দাম বাড়বে না। রমজানের জন্য খেজুর, তেল, মসুর ডাল আমদানি করা হচ্ছে, এসব পণ্যের ভ্যাট কমানো হচ্ছে। এই প্রভাব জিনিসপত্রের দামের উপর পড়বে।

অর্থ উপদেষ্টা দাবি করেন, জিনিসপত্রের দাম কমানোর ক্ষেত্রে রাজনৈতিক চাঁদাবাজির প্রভাব পড়ে। সিন্ডিকেট বন্ধ করা গেলেও চাঁদাবাজি বন্ধ করা যাচ্ছে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

আগামী ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যে আন্তজার্তিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের চতুর্থ কিস্তির ১ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) বিকেলে সচিবালয়ে আইএমএফ’র প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ কথা জানান তিনি।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, চলতি অর্থবছরে আইএমএফ, বিশ্বব্যাংকসহ উন্নয়ন সহযোগীদের কাছে আরও ৬ বিলিয়ন ডলার সহায়তা পাওয়ার আশা করছি। আর্থিক ও রাজস্ব খাতের সংস্কারের জন্যই এই বাড়তি সহায়তা চাওয়া হবে। দেশের কল্যাণেই এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, রাজস্ব আদায়, মূল্যস্ফীতি, খেলাপি ঋণ, সামষ্টিক অর্থনীতি ও আর্থিক খাতের স্থিতিশীলতা নিয়ে আইএমএফ’র প্রতিনিধি দলটির সাথে আলোচনা হয় হয়েছে। বৈঠকে এসব বিষয়ের অগ্রগতি তাদের কাছে তুলে ধরা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তাহবিলের সাথে ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের একটি ঋণ চুক্তি চলমান রয়েছে। এরইমধ্যে সেই ঋণের ৩ কিস্তি ছাড় করেছে সংস্থাটি।

সম্পাদক ও প্রকাশক : মঈনুদ্দিন কাজল
deshermatidaily@gmail.com
০১৬১৫১১২২৬৬, ০১৬৭৩৫৬২৭১৬

দেশের মাটি কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।