অর্থ - বানিজ্য

চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমে ৪ শতাংশ হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কমাল বিশ্বব্যাংক। নতুন ঘোষণার এই হার সংস্থাটির আগের পূর্বাভাসের তুলনায় উল্লেখযোগ্য কম।

বৃহস্পতিবার প্রকাশিত সাউথ এশিয়া ডেভেলপমেন্ট আপডেটেরর অক্টোবর সংখ্যায় এ তথ্য জানিয়েছে বৈশ্বিক দাতা সংস্থাটি। 

বিশ্বব্যাংক এর আগের পূর্বাভাসে চলতি অর্থ বছর ৫ দশমিক ৭ ভাগ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস জানিয়েছিল। সেইসঙ্গে সংস্থাটি বলছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দেশের চূড়ান্ত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হবে ৫ দশমিক ২ ভাগ। 

চলমান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তায় প্রবৃদ্ধি কমবে বলে মন্তব্য সংস্থাটির। তবে দীর্ঘমেয়াদে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনা নিয়ে আশাবাদী বিশ্বব্যাংক। 

আর্থিক খাত সংস্কার, উন্নত ব্যবসায়িক পরিবেশ, আরও বেশি দেশীয় সম্পদের  ব্যবহার এবং বাণিজ্য বৃদ্ধির মাধ্যমে অর্থনীতির গতি পুনরুদ্ধার সম্ভব হবে বলে মনে করছে সংস্থাটি।

কোটা উঠিয়ে দিয়ে লটারির মাধ্যমে রাজউকের প্লট বরাদ্দ দেয়ার কথা বলেছেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান। সোমবার (৭ অক্টোবর) রাজউক ভবনে বিশ্ব বসতি দিবস-২০২৪ উপলক্ষে ‘তরুণদের সম্পৃক্ত করি, উন্নত নগর গড়ি’ প্রতিপাদ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।

গণপূর্ত উপদেষ্টা বলেন, নগর উন্নয়নের ক্ষেত্রে যদি পরিকল্পনা নিতে চাই তাহলে এটা এখনই করা উচিত। এরপরে করতে গেলে হয়তো বেশি দেরি হয়ে যাবে। তরুণরা আছেন, বিভিন্ন সংগঠন আছেন, নাগরিকদের বিভিন্ন প্রফেশনাল বডি আছে, তাদের সম্পৃক্ত করা দরকার। আমাদের শহরগুলোকে সবুজ, গণবান্ধব ও শিশুদের জন্য এমন করা যেন তারা বড় হয়ে দেশকে গড়তে পারে বলেও জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, কোটার কারণে আমরা এতগুলো প্লট নিবো, কোটার কারণে আমরা এতগুলা প্লট করবো বলে যে কথা শোনা যায়, সব কোটা উঠিয়ে দেন। জনগণের জন্য উন্মুক্ত করে দেন না কেন? লটারির মাধ্যমে কেন ঢাকা শহরের প্লট দেয়া হয় না? এই ফ্যাসিলিটিগুলো বন্ধ করে দিতে হবে।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেন, পরিবেশ ধ্বংস করে নগরায়ন গ্রহণযোগ্য নয়। এসময় প্রতিষ্ঠান হিসেবে রাজউকের জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন তিনি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হামিদুর রহমান খান।

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের পদত্যাগ দাবি করে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে বিনিয়োগকারীরা। এ নিয়ে তিনদিন বিএসইসি চেয়ারম্যানের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করলেন তারা।

আজ রোববার (৬ অক্টোবর) দুপুরে আগারগাঁওয়ে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির সামনে মানববন্ধন করে বিনিয়োগকারীদের একটি পক্ষ। এসময় চেয়ারম্যানের পদত্যাগ ছাড়াও পুঁজিবাজার গতিশীল করতে এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে বেশ কিছু দাবি তুলে ধরেন তারা।

অন্যদিকে, একই সময়ে মতিঝিলে বিক্ষোভ করে আরেকটি পক্ষ। তারা বলে, চেয়ারম্যানের অযাচিত হস্তক্ষেপের কারণে বাজারে দরপতন চলছে। চেয়ারম্যানের পদত্যাগ ছাড়া বাজার ভালো হবে না বলেও মন্তব্য করেন তারা। দরপতন ঠেকাতে বাই ব্যাক (শেয়ার পুনঃক্রয়) আইন প্রণয়ন করা এবং কোম্পানির জন্য ন্যূনতম লভ্যাংশ ঘোষণা নির্দিষ্ট করে দেয়ার দাবিও জানান বিনিয়োগকারীরা।

এদিকে, দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে সব খাত মিলে ১৮০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের স্থান হয়েছে দাম বাড়ার তালিকায়। বিপরীতে দাম কমেছে ১৫৬টি প্রতিষ্ঠানের। আর ৫৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

দেশের পূর্বাঞ্চলের সাম্প্রতিক বন্যায় কৃষি ও বনায়নে সবচেয়ে বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এই বন্যায় ১৪ হাজার ৪২১ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ তথ্য জানিয়েছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। রোববার (৬ অক্টোবর) সিপিডির কার্যালয়ে এ তথ্য জানান সংগঠনটির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন।

ফাহমিদা খাতুন বলেন, বন্যায় টাকার হিসাবে নোয়াখালীতে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এরপরের অবস্থানে যথাক্রমে রয়েছে কুমিল্লা, ফেনী ও চট্টগ্রাম। বন্যা কবলিত এলাকাগুলোতে ত্রাণ বিতরণে বেশ সমন্বয়হীনতা ছিল। এ কার্যক্রমে জনপ্রতিনিধি থাকা দরকার ছিল কি না তা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে। অনেকে একাধিকবার ত্রাণ পেয়েছে, আবার অনেকে পাননি। এছাড়া, অনেকেই ত্রাণ সামগ্রী বিক্রি করে দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, ফেনীতে সর্বোচ্চ ১৬ কোটি ৬০ লাখ টাকার ত্রাণ গেছে। তাছাড়া, কুমিল্লায় ১৪ কোটি ৯০ লাখ টাকার, নোয়াখালীতে ১৪ কোটি ৯০ লাখ টাকার, সিলেটে ১৪ কোটি ৬০ লাখ টাকার, হবিগঞ্জে ১৩ কোটি ৪০ লাখ টাকার, মৌলভীবাজারে ১৩ কোটি টাকার এবং চট্টগ্রামে ১১ কোটি ৮০ লাখ টাকার ত্রাণ গেছে।

রাষ্ট্রপতি মো: সাহাবুদ্দিন বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়াতে যাতে আরও জনশক্তি যেতে পারে সে ব্যাপারে মালয়েশিয়া সরকারের সহযোগিতা চেয়েছেন। বাংলাদেশে সফররত মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এই সহযোগিতা চান।

রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন অন্তর্বর্তী সরকারের ‘অর্থনীতি সংস্কার’ কর্মসূচিতেও মালয়েশিয়া সরকারের সহযোগিতারও অনুরোধ জানান।

রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের জানান, সাক্ষাৎকালে তারা দ্বিপক্ষীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়, বিশেষ করে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, অর্থনৈতিক, কারিগরি সহযোগিতা, রোহিঙ্গা ইস্যু ও শ্রমবাজারসহ বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে মতবিনিময় করেন। 

রাষ্ট্রপতি বলেন, মালয়েশিয়া বাংলাদেশের জনশক্তি রফতানির দ্বিতীয় বৃহত্তম গন্তব্যস্থল। বাংলাদেশের জনশক্তি মালয়েশিয়ার ও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বিগত ৫৩ বছরে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, কৃষি, মানবসম্পদ যোগাযোগ, সংস্কৃতি, পর্যটন ও শিক্ষাসহ বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশ ও  মালয়েশিয়ার মধ্যে সহযোগিতা ও অংশীদারিত্ব বৃদ্ধি পাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন রাষ্ট্রপ্রধান।

আসন্ন ২০২৫ সালে আসিয়ানের সভাপতির দায়িত্ব পাওয়ায় মালয়েশিয়াকে অভিনন্দন জানিয়ে রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন মালয়েশিয়ার দক্ষ নেতৃত্বে আসিয়ান আঞ্চলিক শান্তি, নিরাপত্তা, আঞ্চলিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।

মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী অন্তর্বর্তী সরকারের বিভিন্ন সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়নে কারিগরি সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

বৈঠকে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের চারজন মন্ত্রী পরিষদ সদস্য, সংশ্লিষ্ট সচিবগণ ও বাংলাদেশের নিযুক্ত মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার তার সাথে ছিলেন। বাংলাদেশের পক্ষে ছিলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল ও সংশ্লিষ্ট সচিবগণ।

এর আগে, বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী বঙ্গভবনে পৌঁছালে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন তাকে ফুলের তোড়া উপহার দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। পরে বঙ্গভবনের ক্রেডেনশিয়াল হলে বৈঠক শেষে একটি পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন।

চলতি মাসের জন্য ভোক্তাপর্যায়ে এলপিজির নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন দাম অনুযায়ী ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৩৫ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৪৫৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বুধবার (২ অক্টোবর) বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। নতুন এই দাম বুধবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে কার্যকর হবে।

সেপ্টেম্বর মাসে ১২ কেজির এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ছিল ১ হাজার ৪২১ টাকা। তার আগের মাসে ছিল ১ হাজার ৩৭৭ টাকা।

এ ছাড়াও, ৫.৫ কেজি ৬৫৭ টাকা, ১২.৫ কেজি ১৫১৭ টাকা, ১৫ কেজি ১৮২০ টাকা, ১৬ কেজি ১৯৪১ টাকা, ১৮ কেজি ২১৮৪ টাকা, ২০ কেজি ২৪২৬ টাকা, ২২ কেজি ২৬৬৯ টাকা, ২৫ কেজি ৩০৩৩ টাকা, ৩০ কেজি ৩৬৪০ টাকা, ৩৩ কেজি ৪০০৪ টাকা, ৩৫ কেজি ৪২৪৬ টাকা ও ৪৫ কেজি ৫৪৫৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

একইসঙ্গে, অটোগ্যাসের দামও বাড়িয়েছে বিইআরসি। অক্টোবর মাসে ভোক্তা পর্যায়ে অটোগ্যাসের মূসকসহ দাম প্রতি লিটার ৬৬ টাকা ৮৪ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে।

চলতি অর্থবছরের সেপ্টেম্বর মাসে দেশে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। এই মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ২৪০ কোটি ৪৭ লাখ মার্কিন ডলার (২৮ হাজার ৮৫৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা)।  

আজ মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, সেপ্টেম্বর মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ২৪০ কোটি ৪৭ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার। অন্যদিকে আগস্টে রেমিট্যান্স এসেছিল ২২২ কোটি ১৩ লাখ ডলার। সে হিসাবে সেপ্টেম্বর রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে। এ মাসে প্রতিদিন গড়ে দেশে এসেছে ৮ কোটি ২ লাখ ডলার।

আগের বছরের (২০২৩ সাল) সেপ্টেম্বর মাসে প্রবাসী আয় এসেছিল ১৩৩ কোটি ডলার। আর চলতি বছরের (২০২৪ সাল) সেপ্টেম্বর মাসে প্রবাসী আয় এসেছে ২৪০ কোটি ডলার। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে ১০৭ কোটি ডলার। সেই হিসেবে এই সময়ের মধ্যে প্রবাসী আয় বেড়েছে ৮২ দশমিক ২০ শতাংশ।  

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সেপ্টেম্বরে আসা প্রবাসী আয় রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৬৩ কোটি ৮২ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে ১০ কোটি ৯৯ লাখ ৮০ হাজার ডলার, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ১৬৫ কোটি ৩ লাখ ৫০ হাজার ডলার ও বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৬২ লাখ ১০ হাজার ডলার।

এর আগে, গত জুন মাসে ২৫৩ কোটি ৮৬ লাখ ডলার রেমিট্যান্স আসার পর চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে প্রবাসী আয় এসেছিল প্রায় ১৯১ কোটি মার্কিন ডলার। যা গত ১০ মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম আয় ছিল।

গার্মেন্টসে ছড়ানো অস্থিরতায় একটা গ্রুপ উস্কানি দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ের এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, সাভারে একজন নিহতের ঘটনায় শ্রমিকদের ভেতর থেকেই প্রথম কেউ গুলি ছুঁড়েছিলো। এরপরই সহিংস হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। তার অভিযোগ, গুজব ছড়িয়ে শ্রমিকদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মুখোমুখি দাঁড় করানো হয়। পরিস্থিতি শান্ত করতে, পাল্টা গুলি ছুঁড়তে বাধ্য হয় পুলিশ।

পোশাক শ্রমিক নিহতের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে আসিফ মাহমুদ বলেন, নিহতের পরিবারকে ১৩ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়েছে। এছাড়া যারা গুজব ছড়িয়েছে তাদেরকে চিহ্নিত করার কাজ চলছে।

উপদেষ্টা বলেন, যেসব কারখানার মালিক বেতন দিচ্ছে না তাদের জবাবদিহিতার মুখোমুখি করা হবে। চাপ প্রয়োগের মাধ্যমেই বকেয়া বেতন আদায় করতে হবে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সব পক্ষের সহযোগিতা দরকার বলেও মন্তব্য করেন শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা।

জোর করে সিলেট স্ট্রাইকার্সের মালিকানা লিখে নেয়ার অভিযোগে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। আজ সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর পল্লবী থানায় বাদী হয়ে মামলাটি করেন বিপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজিটির সাবেক মালিক সারোয়ার চৌধুরী।

মামলায় ১ নম্বর আসামি করা হয়েছে মাশরাফীকে। এই মামলায় অন্য আসামিরা হলেন– হেলাল বিন ইউসুফ শুভ্র, ইমাম হাসান, অজ্ঞাত (রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানির এক কর্মকর্তা), কে এম রাসেল, বাবলু ও অজ্ঞাতসহ মোট ৮ জন।

মামলার এজহারে বলা হয়েছে, জোরপূর্বক সরওয়ার চৌধুরীর কাছ থেকে সিলেট স্ট্রাইকার্সের মাদার প্রতিষ্ঠান ফিউচার স্পোর্টস বাংলাদেশ লিমিটেডের মালিকানা কেড়ে নেয়া হয়েছে। মাশরাফীর কার্যালয়ে বসে হেলাল বিন ইউসুফ শুভ্র নামে সিলেট স্ট্রাইকার্সের সহ-মালিক সারোয়ার চৌধুরীর মাথায় রিভলবার ঠেকিয়ে ছিলেন।

আরও বলা হয়েছে, রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানির এক কর্মকর্তা (অজ্ঞাত) সারোয়ারকে কোনো কিছু জিজ্ঞেস না করেই স্বাক্ষর নিতে শুরু করেন। এমনকি তার পাসপোর্টও জব্দ করা হয়েছিল। এসময় তিনি যেন কারও সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কোনো কথা না বলেন, সেই হুমকিও শুভ্র তাকে দিয়েছিলেন।

গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার বিরুদ্ধে নড়াইলে আরও একটি মামলা হয়েছিল।

রাজস্ব ও ব্যাংক খাত সংস্কারে অর্থায়ন করবে, আইএমএফ। জ্বালানিসহ অন্যান্য খাতেও সহায়তা প্রদান করবে। অক্টোবরে আইএমএফ-এর পরিচালনা পর্ষদের সভায়, এ ব্যাপারে ইতিবাচক সিদ্ধান্তের আশা করছেন, অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ।

রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে, সচিবালয়ে অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদের সাথে বিশ্বব্যাংক এবং আইএফসি এর প্রতিনিধি দল সাক্ষাত করেন। পরে তিনি সাংবাদিকদের একথা বলেন।

তিনি বলেন, সরকার ব্যাংকিং খাতের সংস্কার, বিদেশ থেকে পাচারকৃত অর্থ ফিরিয়ে আনা এবং কর ব্যবস্থার সংস্কারের জন্য প্রযুক্তিগত সহায়তার পাশাপাশি শুধু আইএফসি ও আইএমএফ নয়, অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকেও সহায়তা চেয়েছে। অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে সমন্বয় সাধনের পর সরকার সুনির্দিষ্ট সহায়তা পাওয়ার জন্য আইএফসি ও আইএমএফের সঙ্গে যোগাযোগ করবে।
সহায়তার জন্য আইএমএফকে অনুরোধ করা হলেও পুনরাবৃত্তি এড়াতে অন্যান্য উন্নয়ন অংশীদারদের সঙ্গেও সমন্বয় করছে সরকার। বিভিন্ন অংশীদারের কাছ থেকে যেসব সহায়তা আমরা চাই, তাতে কোনো ওভারল্যাপ যেন না ঘটে তা আমরা নিশ্চিত করব।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, অর্থনৈতিক ফ্রন্ট ও অন্যান্য ক্ষেত্রে সংস্কারের জন্য সরকারের সম্পদ প্রয়োজন। এ বিষয়ে আমরা যতটা সম্ভব স্থানীয় সম্পদ সংগ্রহ করব। তবে কিছু ক্ষেত্রে আমাদের আইএমএফের মতো বাহ্যিক উৎস থেকে অর্থায়ন প্রয়োজন, যা পেমেন্ট সহায়তার ভারসাম্য রক্ষার পাশাপাশি রাজস্ব ও ব্যাংকিং খাতের সংস্কারে সহায়তা করবে।

বিশ্বব্যাংক ও আইএফসি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিভিন্ন খাতে সম্ভাব্য সহায়তার বিষয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। বিস্তৃত অর্থনৈতিক উদ্দেশ্য এবং নীতিগত দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। আমরা তাদেরকে বলেছি, আমরা ব্যাংকিং, রাজস্ব ও অন্যান্য খাতে সংস্কার করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছি যা বাস্তবায়নে কিছু সময় লাগবে।

তিনি আরও বলেন, বিশ্বব্যাংকের দলটি বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে বৈদেশিক মুদ্রার বাজার ইস্যু, ব্যাংকিং খাতের সংস্কার এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি নিয়ে বিশেষভাবে কথা বলবে। তারা এনবিআরের সঙ্গেও সংস্কারের বিষয়ে আলোচনা করবেন।
উপদেষ্টা উল্লেখ করেন, আগামী অক্টোবরে আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংক গ্রুপের আসন্ন বার্ষিক সভায় ঋণদাতা সংস্থাগুলোর নীতিনির্ধারকদের সঙ্গেও আলোচনা করবেন তারা।

আলোচনায় বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রাইজার, দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক ইমদাদ ফাখৌরি, বিশ্বব্যাংকের আবাসিক পরিচালক আবদৌলায়ে সেক এবং বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ অপারেশন ম্যানেজার গেইল মার্টিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সম্পাদক ও প্রকাশক : মঈনুদ্দিন কাজল
deshermatidaily@gmail.com
০১৬১৫১১২২৬৬, ০১৬৭৩৫৬২৭১৬

দেশের মাটি কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।