অর্থ - বানিজ্য

পুরো বাজার প্রক্রিয়াই একটা চ্যালেঞ্জ, তবে এটাকে নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন নয় বলেন মন্তব্য করেছেন খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার। বলেন, বাজারে কেউ কেউ কৃত্রিম দাম বাড়াতে চায়, তবে সেটাকে কঠোর হাতে দমন করা হবে বলেও জানান তিনি

সোমবার (১১ নভেম্বর) সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এমন তথ্য জানান খাদ্য উপদেষ্টা। তিন বলেন, গেল কয়েক মাস দেশ একটি ভিন্নরকম পরিবেশের মধ্য দিয়ে গিয়েছে। এক সরকারের পতন হয়ে নতুন সরকার গঠন করার এই সময় কিছুটা অস্থিতিশীল থাকে সবখানেই। সেই প্রভাবে চালের দাম বেড়ে গিয়েছিল। সেটা এখন নিয়ন্ত্রণে আছে।

নির্বাচন ইস্যুতে তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে সরকারের বোঝাপড়া ডায়ালগে আছে। নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো যতই বলুক সরকার চাপহীনভাবে কাজ করছে।

দেশের অর্থনীতি স্থিতিশীল হওয়ার জন্য আমাদের ধৈর্য্য ধরতে হবে। এটি স্থিতিশীল হতে ১২ থেকে ১৮ মাস সময় লাগবে-এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণর ড. আহসান এইচ মনসুর। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) রাজধানীর সচিবালয়ে এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, অক্টোবরে মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশে উঠেছে। এটি বন্যাসহ নানা কারণে হইয়েব থাকতে পারে। তবে চালের দাম সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। রোজা পর্যন্ত নিত্যপণ্যের ওপর কোনো চার্জ আরোপ না করারও আহ্বান জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, আন্তজার্তিক বাজারে এনার্জি পণ্যের দাম কমলে দেশে এর প্রভাব পড়বে। এরইমধ্যে ব্যাংকের তারল্য সংকট কাটতে শুরু করেছে। তাছাড়া, ব্যাংকে ডলার পাওয়া যাচ্ছে। তবে কেউ ডলার না দিলে তা আবহিত করার কথাও বলেন তিনি।

প্রতিনিয়ত বাজারে মনিটরিং করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, অযৌক্তিকভাবে কেউ কোনো কিছু করতে পারবে না। এক এগারোর সময় ভয় দেখিয়ে নয় স্বাভাবিকভাবে বুঝিয়ে যোগান বাড়ানো হয়েছে। এ সময় ফুটপাতে মানুষের হাঁটার জায়গা ছেড়ে দিয়ে ব্যবসা করতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

সিলেটের হরিপুর গ্যাস ক্ষেত্রের পুরাতন ৭ নম্বর কূপে নতুন করে পাওয়া গ্যাস জাতীয় গ্রীডে যুক্ত হচ্ছে আজ। প্রতিদিন ৮০ লাখ ঘনফুট নতুন করে যুক্ত হচ্ছে। মজুদ রয়েছে ৯৪ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস। উত্তোলন করা যাবে ১৫ থেকে ২০ বছর।

সিলেট গ্যাস ফিল্ড কর্মকর্তাদের দেয়া তথ্য মতে, এই কূপটি ১৯৮৬ সালে দেশের প্রথম তেল কূপ ছিল। ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত এই কূপ থেকে ৫ লাখ ৬১ ব্যারেল তেল উৎপাদনের পর বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে ২০০৫ সালে আবারো ওয়ার্ক ওভারের মাধ্যমে এই কূপের অন্য একটি স্তর থেকে গ্যাস উত্তোলন করা হয়।

২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত এই কূপ থেকে প্রায় ৩১ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলনের পর আবারও বন্ধ হয়ে যায়। পরে পরীক্ষা নীরিক্ষা শেষে আবারও ওয়ার্ক ওভারের সিদ্ধান্ত নেয় সিলেট গ্যাস ফিল্ড লিমিটেড। সফলতাও আসে। মাত্র ৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে এই বন্ধ কূপের দুটি স্তরে ২২ অক্টোবর নতুন করে গ্যাসের সন্ধান মেলে। প্রাথমিক তথ্য মতে, প্রায় ৯৪ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মজুদ রয়েছে বলে জানা যায়। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকা।

মজুত বাড়াতে ও দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে চাল আমদানিতে আরেক দফা শুল্ক কমিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এতে প্রতি কেজি চাল আমদানির ব্যয় ২৫ টাকা কমবে।

চালের মূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে ২০ অক্টোবর আমদানি শুল্ক সাড়ে ৬২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করা হয়। আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় রোববার চাল আমদানির ওপর অবশিষ্ট আমদানি শুল্ক ১৫ শতাংশ, রেগুলেটরি ডিউটি ৫ শতাংশ সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হয়েছে।

অগ্রিম আয়কর হার ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২ শতাংশ ধার্য করেছে এনবিআর। আমদানিকারকরা বলছেন, শুল্ক-করে ছাড় দেওয়ায় যোগান বাড়বে। দামেও ইতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। অনেকেই আমদানির জন্যে এলসি খোলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

চলতি অর্থবছরের অক্টোবরে মাসে দেশে ২৩০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। আজ রোববার (৩ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, অক্টোবরে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ২৩০ কোটি মার্কিন ডলার। অন্যদিকে গত সেপ্টেম্বর মাসে ২৪০ কোটি ৪৭ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিটেন্স এসেছিল। সেই হিসেবে অক্টোবরে রেমিট্যান্স প্রবাহ কমেছে। গত মাসে প্রতিদিন গড়ে দেশে এসেছে ৭ কোটি ৬৬ লাখ ডলার।

গত বছরের অক্টোবরে ১৯৭ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে রেমিট্যান্স বেড়েছে ১৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ।

সংশ্লিষ্টদের মতে, সম্প্রতি দুটি কারণে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে। তা হলো, আমদানি বিলের আন্ডার-ইনভয়েসিং হ্রাস পাওয়া ও হুন্ডির মতো অনানুষ্ঠানিক মাধ্যমে লেনদেন অনেকটা কমে যাওয়া।

গত জুলাইতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ব্যাংকিং কার্যক্রম থমকে যায়। হুন্ডিতে লেনদেন বাড়তে থাকে। তবে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর গত আগস্টের শেষ দিকে ২০০ কোটি ডলারের বেশি রেমিটেন্স আসে।

৮৫০ মিলিয়ন ডলার বকেয়া পরিশোধ না করা হলে ৭ নভেম্বরের মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়া হবে বলে বাংলাদেশকে জানিয়েছে আদানি পাওয়ার।
এমনটি বলা হয়েছে, ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার একটি প্রবিবেদনে ।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এর আগে, ৩১ অক্টোবরের মধ্যে এই পাওনা পরিশোধ এবং ১৭০ মিলিয়ন ডলারের একটি লেটার অফ ক্রেডিট (এলসি) জমা দেওয়ার শর্ত দেয় আদানি। তবে বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (বিপিডিবি) কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে এলসি জারি করতে চাইলেও তা পাওয়ার চুক্তির শর্ত পূরণ করেনি বলে সূত্র জানিয়েছে। ডলার সংকটকেও এর একটি কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

এতে করে আদানি পাওয়ার ঝাড়খন্ড ৩১ অক্টোবর থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ কমিয়ে দেয়, যা বাংলাদেশের বিদ্যুৎ সংকটকে আরও বাড়িয়ে তোলে। পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশের (পিজিবি) ওয়েবসাইটে শুক্রবার প্রকাশিত সর্বশেষ প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ঝাড়খন্ডের গড্ডা প্ল্যান্ট ১,৪৯৬ মেগাওয়াট স্থাপনক্ষমতার বিপরীতে ৭২৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করেছে।

পণ্য ও সেবার দাম নিয়ন্ত্রণে সঠিক পথেই আছে বাংলাদেশ। এই মুহূর্তে টাকার প্রবাহে ভারসাম্য রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সামনে সংকোচনশীল হওয়ার বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)।

শুক্রবার (১ নভেম্বর) সকালে জাপানের টোকিওতে রিজিওনাল ইকোনমিক আউটলুক প্রতিবেদন নিয়ে ব্রিফিং করে সংস্থাটি। জানায়, মন্দা থেকে দ্রুত ঘুরে দাঁড়াচ্ছে এশিয়া। চড়া মূল্যস্ফীতি থেকে বেরিয়ে আসছে এই অঞ্চল। তাই অনেক দেশে কমবে সুদের হার। তবে দুশ্চিন্তা আছে রফতানি নিয়ে।

বিফ্রিংয়ে আরও জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ সুদের হার কমানোর পর থেকেই এশিয়ায় মূল্যস্ফীতি কমছে। তবে এই অঞ্চলে ঋণের পরিমাণ প্রতিনিয়ত বাড়ছে।

আইএমএফের এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের পরিচালক কৃষ্ণা শ্রীনিবাসন বলেন, এশিয়ার অর্থনীতির ওপর দিয়ে অনেক বিপদ গেছে। এসব সামাল দিতে অনেক দেশকে ঋণ নিতে হয়েছে। আমি যদি বিশ্বের সার্বিক ঋণ হিসাব করি, তাহলে এর ২৮ থেকে ৩৫ ভাগই এশিয়ার। এমনকি বৈশ্বিক মন্দার পর চীন ও জাপানের সরকারকে বড় পরিসরে ধার করতে হয়েছে। ফলে এই অঞ্চলে প্রবৃদ্ধির গতি কম।

এ সময় প্রশ্ন আসে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে। আইএমএফ জানায়, স্থানীয় অর্থনীতিতে একাধিক ধাক্কা লেগেছে। জটিলতা আছে পণ্য সরবরাহে। এখান থেকে বেরিয়ে আসতে বদলাতে হবে কিছু আর্থিক নীতি।

সংস্থাটির এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের সহকারী পরিচালক থমাস হেলব্লিং বলেন, অস্থির সময় পার করেছে বাংলাদেশের রাজনীতি। সেই সাথে যোগ হয়েছে টানা বন্যার ধাক্কা। এর ফলে পণ্য সরবরাহে বাধা পড়েছে। তবে বাংলাদেশে পণ্য ও সেবার দাম ২০২২ সাল থেকে বেশি। তাই আপাতত সংকোচনমূলক মূদ্রানীতির বিকল্প নেই। সাথে বিদেশ থেকে অর্থ লেনদেনে ভারসাম্যহীনতাও আছে। চাইলে বাংলাদেশ যেকোনো উৎস থেকে বাজেট সহায়তা নিতে পারে।

আইএমএফের প্রাক্কলন, চলতি বছর বাংলাদেশে জিডিপির প্রবৃদ্ধি হবে ৪ দশমিক ৬ শতাংশ। পরের বছর তা কমে দাঁড়াবে ৪ দশমিক ৪ ভাগে।

শেখ হাসিনার শাসনামলে প্রশাসনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা ডিজিএফআইয়ের সঙ্গে মিলে ব্যাংকিং খাত থেকে ১৭ বিলিয়ন ডলার পাচার করেছে। ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর এমন তথ্য তুলে ধরেছেন।

গভর্নর দাবি করেন, শীর্ষস্থানীয় ব্যাংকগুলোকে জোরপূর্বক দখল করতে সাহায্য করেছে ডিজিএফআই। তিনি বলেন, ব্যাংকগুলো অধিগ্রহণের সময় নতুন অংশীদারদের ঋণ ও আমদানি খরচ বেশি দেখিয়ে বাংলাদেশ থেকে দুই লাখ কোটি টাকা পাচার করা হয়েছে।

গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে এটিই সবচেয়ে বড় পরিসরের ব্যাংক ডাকাতির ঘটনা। এরকম ব্যাংক ডাকাতি অন্য কোথাও হয়নি। এটি রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় হয়েছে। ব্যাংকের সাবেক প্রধান নির্বাহীদের ওপর গোয়েন্দা কর্মকর্তারা চাপ না দিলে এরকম কিছু সম্ভব হতো না।

বিশেষ করে এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে তিনি অভিযোগ করেন, ডিজিএফআইয়ের সহায়তায় ব্যাংকগুলোর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে তারা দেশের ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে অন্তত ১০ বিলিয়ন ডলার পাচার করেছে।

ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, যোগাযোগ করা হলেও আইএসপিআর এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেনি। ডিজিএফআই থেকেও কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

রাজধানীর লালবাগ থানার নবাবগঞ্জ বাজারে অভিযান চালিয়ে , নয়ন খা ও হাসানুল্যাহ নামে সন্দেহভাজন ২ জনকে আটক করেছে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা। এ সময় বিপুল পরিমাণ সরকার নির্ধারিত ন্যায্যমূল্যে বিক্রির টিসিবির পণ্যও জব্দ করে যৌথ বাহিনী।

রোববার (২৭ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৯টায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেজর ইয়াহিয়ার নেতৃত্বে শুরু হয়ে দুই ঘণ্টা চলে এই অভিযান। মূলত ছাত্রদের তথ্যের ভিত্তিতে এই অভিযান পরিচালিত হয়।

অভিযানে সরকার নির্ধারিত ন্যায্যমূল্যে বিক্রির টিসিবির এক হাজার ১৩৪০ কেজি ডাল ও ৬৫০ বোতল তেল (২ লিটারের) উদ্ধার করা হয়েছে। যার বাজারমূল্য বাজারমূল্য ৩ লাখ ২৯ হাজার টাকা।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লালবাগ থানার ওসি কেসইনু মারমা। তিনি জানান, কিভাবে গোডাউনটিতে টিসিবির এত পণ্য মজুদ করা হলো তা তা তদন্ত করা হবে । জব্দ করা পণ্যের বাজার মূল্য ৩লাখ ২৯ হাজার টাকা।

তিনি আরও জানান, বিশেষ ক্ষমতা আইনে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। জব্দকৃত মালামাল সরকারকে ফেরত দেয়া হ

সরকারি ১০ ব্যাংক যথাক্রমে সোনালী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক, আনসার-ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংক, পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক, কৃষি ব্যাংক, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক, বাংলাদেশ ডেপলমেন্ট ব্যাংক ও বেসিক ব্যাংকে নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

এর মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ছয় বাণিজ্যিক ব্যাংকে চুক্তিভিত্তিক নতুন এমডি ও সিইও নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ব্যাংকগুলো হচ্ছে সোনালী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক, বাংলাদেশ ডেপলমেন্ট ব্যাংক ও বেসিক ব্যাংকে।

আর রাষ্ট্রায়ত্ত বিশেষায়িত আনসার-ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংক, পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক, কৃষি ব্যাংক ও প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দিয়ে এমডি নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এই চার ব্যাংকে উপব্যবস্থাপনা (ডিএমডি) পরিচালক থেকে এমডি পদে পদোন্নতি ও পদায়ন করা হয়েছে। সোমবার (২১ অক্টোবর) অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ নিয়োগের পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

সোনালী ব্যাংকের এমডি ও সিইও পদে নিয়োগ পেয়েছেন বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের এমডি মো. শওকত আলী খান। জনতা ব্যাংকের ব্যাংকের এমডি ও সিইও পদে এলেন প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের এমডি মো. মজিবর রহমান। অগ্রণী ব্যাংকের এমডি ও সিইও পদে ব্যাংকটির সাবেক ডিএমডি মো. আনোয়ারুল ইসলাম নিয়োগ পেয়েছেন। রূপালী ব্যাংকের এমডি ও সিইও পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের ডিএমডি মো. আ. রহিমকে।

বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের এমডি ও সিইও হিসেবে জনতা ব্যাংকের সাবেক ডিএমডি মো. জসীম উদ্দিন এবং বেসিক ব্যাংকের এমডি ও সিইও পদে জনতা ব্যাংকের আরেক সাবেক ডিএমডি মো. কামরুজ্জামানকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

এছাড়া সোনালী ব্যাংকের ডিএমডি মীর মোফাজ্জল হোসেনকে আনসারি-ভিডিপি ব্যাংকের এমডি, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের ডিএমডি সালমা বানুকে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের এমডি, সোনালী ব্যাংকের ডিএমডি সঞ্চিতা বিনতে আলীকে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের এমডি এবং বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের ডিএমডি চানু গোপাল ঘোষকে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের এমডি হিসেবে পদোন্নতি ও পদায়ন করা হয়েছে।

সম্পাদক ও প্রকাশক : মঈনুদ্দিন কাজল
deshermatidaily@gmail.com
০১৬১৫১১২২৬৬, ০১৬৭৩৫৬২৭১৬

দেশের মাটি কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।