অর্থ - বানিজ্য

বেসরকারি এক্সপোর্ট ইমপোর্ট ব্যাংক অব বাংলাদেশের (এক্সিম) পরিচালনা পর্ষদ বাতিল করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। পাশাপাশি নতুন পরিচালনা পর্ষদ গঠন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) এক আদেশে বাংলাদেশ ব্যাংক আগের পর্ষদ বাতিল ঘোষণা করে। একইসাথে তিনজন শেয়ারহোল্ডার পরিচালকসহ দুইজন স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালককে পাঠানো আদেশে বলা হয়, আমানতকারী ও ব্যাংকের স্বার্থ রক্ষার্থে এবং সুশাসন নিশ্চিত ও জনস্বার্থে নতুন পর্ষদ গঠন করা হয়েছে।

নতুন পরিচালনা পর্ষদে পরিচালক হিসেবে রয়েছেন, মো. নজরুল ইসলাম স্বপন, মো. নুরুল আমিন ও অঞ্জন কুমার সাহা। এছাড়া, স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে রয়েছেন, এস এম রেজাউল করিম ও খন্দকার মামুন।

আলোচিত ব্যবসায়িক গোষ্ঠী এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে আসার পর ইসলামী ব্যাংকের ঋণ ‘অনিয়মে’ নাম আসা রাজশাহীভিত্তিক শিল্প গ্রুপ নাবিলের ঋণ গিয়ে ঠেকেছে প্রায় ১৩ হাজার কোটি টাকায়; যেসব ঋণ দিতে নিয়ম না মানার তথ্য উঠে এসেছে বেসরকারি খাতের বৃহত্তম এ ব্যাংক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের নথিপত্রে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন ও ইসলামী ব্যাংকের নথিপত্র ঘেঁটে দেখা যায়, গত কয়েকবছরে ঋণ ‘অনিয়মে’ নাম আসা আলোচিত নাবিল গ্রুপকে নামে ও ভিন্ন নামে ঋণ দেওয়া হয়েছে ইসলামী ব্যাংকের রাজধানীর গুলশান এবং রাজশাহী অঞ্চলের কয়েকটি শাখা থেকে। নিয়ম ভেঙে গ্রুপটিকে বিশেষ সুবিধায় সীমার অতিরিক্ত ঋণ প্রদান করেছে ব্যাংকটি।

ইসলামী ব্যাংকের নথিপত্র পর্যালোচনা করে ও সংশ্লিষ্ট একাধিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নাবিল গ্রুপ দুইভাবে ঋণ নিয়েছে। প্রত্যক্ষ বা সরাসরি ঋণ, আরেকটি হল পরোক্ষ ঋণ।

আর নাবিল গ্রুপের বিভিন্ন কোম্পানিকে দেওয়া হয়েছে মোট প্রায় তিন হাজার ৮৩৩ কোটি টাকা। একক ঋণ সীমার নিয়ম এক্ষেত্রেও মানা হয়নি।

দেশের বৃহত্তম বেসরকারি এ ব্যাংকের ঋণ বিতরণ সংক্রান্ত বিভাগের একাধিক কর্মকর্তা বলেন, ওই সময় ব্যাংকের প্রভাবশালীদের কথায় কোনো রকম নিরীক্ষা ছাড়াই এসব কোম্পানিকে ঋণ দেওয়া হয়েছে। নামে ভিন্ন হলেও ইসলামী ব্যাংকের নথিপত্রে এ ঋণগুলো স্পষ্ট নাবিল গ্রুপের নামেই রয়েছে।

চলতি বাজেটে দেয়া কালো টাকা সাদা করার সুযোগ থাকবে কিনা তা আলোচনা করে ঠিক করা হবে। এ কথা জানিয়েছেন অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ। তবে কালো টাকা যেন আর তৈরি না হয়, সরকার তা নিশ্চিত করবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

রোববার (২৫ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ জাতিসংঘের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের পর এ কথা জানান তিনি।

এর আগে, উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে বৈঠকে সাধারণত মানুষের টেকসই উন্নয়ন হয় এমন প্রকল্পে বিনিয়োগের আহ্বান জানানো হয়। এ সময় সমতা ভিত্তিক প্রকল্পে বিনিয়োগ বাড়ানোর তাগিদ দেন ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। এ সময় চলমান বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারকে আগাম প্রস্তুতির পরামর্শ দেন উন্নয়ন সহযোগীরা। আমন চাষে করণীয়ও তুলে ধরেন তারা।

পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, এখন থেকে ঢালাওভাবে নয় বরং যাচাই-বাছাই করে ঋণ নেয়া হবে। সরকারি বিভিন্ন দফতরে চলমান আন্দোলন প্রসঙ্গে বলেন, এতদিন বৈষম্য থাকলেও কথা বলার সুযোগ ছিলো না। সরকার তাদের কথা বলার সুযোগ দিচ্ছে। ধীরে ধীরে সব বৈষম্য দুর হবে। কালো টাকা যেন তৈরি না হয় তা সরকার নিশ্চিত করবে বলেও জানান তিনি।

কক্সবাজারের মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ প্রকল্পে দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। প্রকল্পের জরুরি প্রয়োজন মেটানোর জন্য রাখা অর্থ অনুমোদন ছাড়াই খরচ, বাড়তি ব্যয়ে সড়ক নির্মাণ এবং গোপনে প্রকল্পের পরিত্যক্ত লোহা (স্ক্র্যাপ) বিক্রির মাধ্যমে এই অর্থ লোপাট করেছে একটি চক্র। ছয়জনের এই চক্রের নেতৃত্বে ছিলেন বিদ্যুৎকেন্দ্রটির মালিক ও বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিপিজিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আবুল কালাম। এ নিয়ে গত মে মাসে একটি অভিযোগও জমা পড়েছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ে। এ ছাড়া  অনুসন্ধানেও অভিযোগের সত্যতা মিলেছে।

পাবনার রূপপুরের পরেই বিদ্যুৎ খাতে দেশের সবচেয়ে বড় প্রকল্প মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্র। এটি নির্মাণে দফায় দফায় ব্যয় বাড়িয়ে সর্বশেষ ব্যয় ধরা হয় ৫১ হাজার ৮৫৪ কোটি টাকা। দুটি ইউনিটে মোট ১২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের মধ্যে ৬০০ মেগাওয়াটের একটি ইউনিট গত বছরের জুলাই মাসে উৎপাদনে এসেছে। কেন্দ্রটিতে ঋণ দিয়েছে জাপানের উন্নয়ন সংস্থা জাইকা। এই প্রকল্পে এর আগে কেন্দ্রের জমি অধিগ্রহণ নিয়ে স্থানীয় জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। এ নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মামলাও করেছে। এ ছাড়া সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটি উচ্চ দামে নাটবল্টু কিনেছে। এসবের পর এবার নতুন করে অভিযোগ এল নয়ছয় করে ৫০০ কোটি টাকা আত্মসাতের।

অনুসন্ধানে জানা যায়, মাতারবাড়ী প্রকল্পে জরুরি খাতে ব্যয় করার জন্য প্রায় ১ হাজার ৩৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছিল। এই অর্থ অতি জরুরি প্রয়োজনে ব্যয় করার কথা ছিল। কোনো রকম অনুমতি ছাড়া এই বরাদ্দের পুরোটাই ব্যয় করা হয়েছে। যে ১৫টি কাজের বিপরীতে এই অর্থ ব্যয় হয়েছে, তার মধ্যে মাত্র ৪টি কাজের অনুমতি দিয়েছিলেন সিপিজিসিএলের বোর্ড পরিচালকেরা। বাকি ১১টি কাজে কোনো অনুমতির তোয়াক্কাও করেনি ছয়জনের চক্রটি। এই চক্রে আছেন সিপিজিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম আজাদ, প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী অর্থ পরিচালক মোহাম্মদ শহীদ উল্ল্যা, ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, নির্বাহী প্রকৌশলী (নকশা) মো. কামরুল ইসলাম, উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মতিউর রহমান ও সহকারী নিরাপত্তা কর্মকর্তা মো. আলফাজ উদ্দীন।

অনিয়ম-১:  প্রকল্পের প্রাথমিক উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনায় (পিডিপিপি) বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভেতরের সড়ক বিটুমিন বা পিচের মাধ্যমে করার কথা ছিল, এতে ৮০ কোটি টাকার মতো ব্যয় নির্ধারণ করা ছিল। কিন্তু চক্রটি এই সড়ক বিটুমিনের মাধ্যমে না করে সিমেন্ট ও কংক্রিটের ঢালাই দেয়। এতে বাড়তি ব্যয় হয় ১৭০ কোটি টাকা। এই কেনাকাটায় সিপিজিসিএলের বোর্ড সভার অনুমতি নেওয়া হয়নি।

অনিয়ম-২: মাতারবাড়ী প্রকল্পের অভ্যন্তরে প্রায় ১০০ একর জমিজুড়ে স্ক্র্যাপ বা বাতিল লোহা স্তূপাকারে ছিল। এসব লোহা ছিল মূলত বিভিন্ন ধরনের শাটার। ঢালাই কাজে এসব শাটার ব্যবহার করা হয়। শাটারের দামসহ ধরে ঠিকাদারদের নির্মাণ খরচ দেওয়া হয়। কোনো উন্নয়ন প্রকল্পের বাতিল লোহা প্রকল্পটি বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠানের সম্পদ। ফলে মাতারবাড়ী প্রকল্পে যা কিছুই পরিত্যক্ত হবে, তার মালিক সিপিজিসিএল। কিন্তু পরিত্যক্ত এসব লোহার বড় অংশই বিক্রি করে দিয়েছেন সিপিজিসিএলের এমডি ও তাঁর সহযোগীরা, যার মূল্য কম করে হলেও ৩০০ কোটি টাকা। লোহা বেচার এই অর্থ সিপিজিসিএলের কোষাগারে যায়নি। পুরোটাই লোপাট করেছে এমডির নেতৃত্বাধীন সিন্ডিকেট। 

অনিয়ম-৩: মাতারবাড়ী প্রকল্পে সাগরের সুরক্ষা ও ভূমি সুরক্ষার কাজটি করেছে বিদেশি ঠিকাদার হুন্দাই। প্রকল্পের ভেতর তাদের ৭৮ হাজার ৫০০ বর্গফুটের তিনটি স্টিল নির্মিত ভবন ছিল, যেখানে তাদের লোকেরা থাকতেন। সবার আগে হুন্দাইর কাজ শেষ হয় এবং তারা এই তিনটি ভবন রেখে প্রকল্প এলাকা ত্যাগ করে। তিনটি ভবনে অন্তত ১৫ কোটি টাকার স্ক্র্যাপ লোহা ছিল। নিয়ম অনুযায়ী, এই ভবন তিনটির মালিক সিপিজিসিএল। কিন্তু হুন্দাইর নাম বলে তা বাইরে বিক্রি করে দেওয়া হয়।

একইভাবে প্রকল্পে পসকোর ১২ কোটি টাকার স্ক্র্যাপ বাইরে বিক্রি করা হয় বিদেশি প্রতিষ্ঠানের সম্পদ হিসেবে প্রচার করে। অথচ পসকো ও হুন্দাই এসব বিক্রির অনেক আগেই প্রকল্প এলাকা ত্যাগ করেছে।

সিপিজিসিএলের দুজন শীর্ষ কর্মকর্তা 

জানিয়েছেন, এর আগে পায়রা, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের বাতিল লোহা ওই কেন্দ্রের মালিকপক্ষ দরপত্র করে বিক্রি করেছে। এ ছাড়া পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের স্ক্র্যাপও দরপত্র আহ্বান করে বিক্রি করা হয়েছে। মাতারবাড়ী প্রকল্পেরও ৯ কোটি টাকার স্ক্র্যাপ প্রথমে দরপত্রের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়। এরপর বলা হয়, এটি প্রকল্পের ঠিকাদার জাপানি কোম্পানির মালিকানাধীন স্ক্র্যাপ। ফলে তারা এই বাতিল লোহালক্কড় বিক্রি করবে। এই ঘোষণা দেওয়ার পর সেখানে থাকা প্রায় আড়াই শ কোটি টাকার লোহা বিক্রি করা শুরু হয়। এসব লোহা বিক্রির অর্থ সিপিজিসিএলের কোষাগারে জমা দেওয়া হয়নি।

এসব অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে সিপিজিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম আজাদের মোবাইল ফোনে দফায় দফায় কল করা হয়। তাঁর হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরেও বার্তা পাঠানো হয়। কিন্তু ২২ আগস্ট পর্যন্ত তিনি কোনো জবাব দেননি। 

কান্ট্রি অব অরজিন পরিবর্তন করার অভিযোগ: বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিদ্যুৎ বিভাগের কাছে লিখিত অভিযোগে দাবি করা হয়েছে, চুক্তি অনুযায়ী যে দেশ থেকে যন্ত্রপাতি দেওয়ার কথা, সে দেশ থেকে না এনে ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড ও ভারত থেকে আনা হয়েছে। সিপিজিসিএলের এমডি আবুল কালাম আজাদ ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ মনিরুজ্জামানের যোগসাজশে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এই সুবিধা নিয়েছে। তবে এই অভিযোগের সত্যতা যাচাই করা 

পক্ষে সম্ভব হয়নি। 

দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে মতামত চাইলে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা এম শামসুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, যত বড় প্রকল্প তত বড় দুর্নীতি। বিদ্যুৎ প্রকল্পগুলোর মধ্যে মাতারবাড়ী সবচেয়ে ব্যয়বহুল প্রকল্প। এতে খরচের মাত্রাও অনেক বেশি। এখানে জমি অধিগ্রহণে দুর্নীতি হয়েছে, এখানে নাটবল্টু অস্বাভাবিক দামে কেনা হয়েছে। এখন দেখা যাচ্ছে এই প্রকল্পের পুরোনো লোহালক্কড় বেচে দিচ্ছে প্রকল্পের কর্মকর্তারা। দ্রুত ট্রাইব্যুনাল গঠন করে এদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। না হলে বিদ্যুৎ খাতে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে না।

প্রথমে শেয়ার কিনে পরিচালনা পর্ষদ দখল। তারপর নতুন-পুরাতন কোম্পানি দেখিয়ে ঋণের পর ঋণ। এভাবেই হাজার হাজার কোটি টাকা নামে-বেনামে নিয়েছে এস আলম গ্রুপ। বলা হচ্ছে, ঋণের নামে ব্যাংক লুটের নতুন কৌশল আবিষ্কার করেছিল তারা। নিয়ম-নীতি ভেঙে ছয়টি ব্যাংক থেকে এস আলম সংশ্লিষ্টরা বের করে নিয়েছেন ৯৫ হাজার কোটি টাকা। এসব অপকর্মে গ্রুপটির সহযাত্রী ছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অসাধু কর্মকর্তারা।

এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্য বলছে, ৯৫ হাজার কোটি টাকার মধ্যে এক ইসলামী ব্যাংক থেকেই ৭৫ হাজার কোটি টাকা বের করে নিয়েছে এস আলম ও তার সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলো।

এক সময় ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে নন-এসি বাস সার্ভিসের জন্য পরিচিত গ্রুপটি সরকারি জনতা ব্যাংক থেকেও নিয়েছে সাড়ে ১৩ হাজার কোটি। এছাড়া সোশ্যাল ইসলামী, ইউনিয়ন, গ্লোবাল ইসলামী ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংকসহ নিয়ন্ত্রণে রাখা ব্যাংকগুলো থেকেও কয়েক হাজার কোটি টাকা ঋণ বা বেনামে সরিয়েছে এস আলম।

ব্যাংক থেকে তারা কীভাবে বের করলেন এসব টাকা? বিশ্লেষকরা বলছেন, ব্যাংকগুলোর পর্ষদে নিজের লোক বসিয়েছেন আগে। পরে তারাই পথ বের করে দিয়েছেন।

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) সাবেক মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমেদ চৌধুরী বলেন, বোর্ডকে দিয়ে ঋণ পাশ করিয়েছে। এগুলো একটাও তো বৈধ না। বোর্ডে যেহেতু সব এস আলমের লোকজন ছিল, সুতরাং ওরা বোর্ড থেকে পাশ করিয়ে বৈধভাবে নিয়ে গেছে। তারা আইনগতভাবে দেখাবে, বৈধভাবে পাশ করিয়েছে। কিন্তু বোর্ডে তো সব ওদেরই লোক।

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, সমস্ত নীতিমালা উপেক্ষা করে নিজেরাই প্রভাবিত করে ঋণ দিচ্ছে। এইটা করে পুকুর চুরির মতো ব্যবস্থা করেছে।

এস আলম সরাসরি নিজেদের নামে ঋণ নেয়ার পাশাপাশি গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমেও নিয়েছে। তাতেও থামেনি, তৈরি করে ছায়া কোম্পানি। আর বেশিরভাগ কর্মকাণ্ডই হয়েছে নিয়ম লঙ্ঘন করে। অনিয়মের মাধ্যমে হাতিয়ে নেয়া এই বিপুল অঙ্কের টাকা ফেরত পাবার সম্ভাবনা কম বলেই মনে করেন বিশ্লেষকরা।

ড. তৌফিক আহমেদ চৌধুরী বলেন, তারা আসলে যেগুলো করেছেন, এর উদ্দেশ্যটা তো ঠিক না। ওরা যে টাকা বের করে নিছে, সবগুলো এনপিএল, তা ফেরত না আসলে কী হবে? ফান্ড তো ঘুরে আসবে না। মূলধনের ওপর চাপ পড়বে। লাভের ওপর চাপ পড়বে। সমস্ত দিক থেকে চাপের মুখে পড়া হবে।

প্রশ্ন হচ্ছে, এত অনিয়ম-লুটপাট কি শুধু এস আলম আর তাদের পুতুল পর্ষদ দিয়েই সম্ভব ছিল? জবাবে বিশ্লেষকরা বলছেন, মোটেই না। জেনে-বুঝেও উদ্যোগ নেয়নি বাংলাদেশ ব্যাংক। উল্টো সহযোগিতা করেছেন সাবেক দুই গভর্নরসহ কয়েকজন কর্মকর্তা।

ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, ব্যাংকে লুটপাট হচ্ছে, নিয়ন্ত্রকরা কোথায়, কেন্দ্রীয় ব্যাংক কোথায়, কী করেছে তারা? কেউ তো থামানোর জন্য কিছু করে নাই। তারা কোনো পদক্ষেপ নেই, সহযোগিতা করেছে।

ড. তৌফিক আহমেদ চৌধুরী বলেন, এসব বিষয় কারও না কারো তো দেখার কথা ছিল, কেউ যদি বন্ধ করার চেষ্টা করতো, তাহলে তাকে বলা হতো, আপনি চেষ্টা করেছেন, কিন্তু পারেননি। সেটা তো করেনি বাংলাদেশ ব্যাংক, বরং তাদের সুবিধা দেয়ার জন্য যেভাবে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংক সেভাবে সেভাবে সাকুর্লার দিছে।

সঠিক হিসাব বের হলে এস আলমের নামি-বেনামি ঋণের পরিমাণ আরও বেশি হবে বলে মনে করেন ব্যাংকাররা। আর জালিয়াতির পথ এখন বন্ধ করে দেয়ায় সামনে আসবে হাজার হাজার কোটি টাকার খেলাপি ঋণ।

ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ বাতিল করা হয়েছে। একই সঙ্গে পরিচালনা পর্ষদের নতুন বোর্ড গঠন করে ৫ স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

আজ বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) এক আদেশে এস আলম গ্রুপের অধীনে থাকা এই ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ বাতিল করা হয়। একই আদেশে নতুন স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ দেয়া হয়। আদেশে বলা হয়, আমানতকারী ও ব্যাংকের স্বার্থ সংরক্ষণ ও সুশাসন নিশ্চিত করতে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে নতুন পর্ষদ গঠন করা হয়েছে।

স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেব নিয়োগ পাওয়া পাঁচজন হলেন— রূপালী ও সোনালী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক খুরশীদ ওহাব, আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের সাবেক উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) আব্দুল জলিল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং বিভাগের অধ্যাপক এম মাসুদ রহমান ও চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট আব্দুস সালাম।

এর আগে, গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর জানিয়েছিলেন, ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেয়া হবে।

নতুন পর্ষদের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ। সোনালী ও রূপালী ব্যাংকের এমডি হিসেবে দায়িত্ব পালনের আগে তিনি কর্মসংস্থান ব্যাংকের এমডি ও অগ্রণী ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবেও কাজ করেন।

সন্দেহভাজন ব্যাক্তি ও প্রতিষ্ঠানেন অবৈধ সম্পদ অর্জন ও কর ফাঁকি নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেল (সিআইসি)।

প্রথম ধাপে বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান, নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার, সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজ খান, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান ও ওরিয়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান ওবায়দুল করিম এবং তাদের সাথে সংশ্লিষ্টদের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়ে বিভিন্ন ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন ও সঞ্চয় অধিদফতরসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দফতরে চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

কর ফাঁকির অভিযোগে অনুসন্ধান কার্যক্রমের স্বার্থে বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) এই চিঠি দেয়া হয়েছে বলে জানানো হয়। এতে বলা হয়েছে, বিভিন্ন উপায়ে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জনকারী সন্দেহভাজন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কর ফাঁকির বিশেষ অনুসন্ধান শুরু করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেল (সিআইসি)।

আরও বলা হয়, সিআইসি বিভিন্ন সংবাদ পর্যালোচনা ও সুনির্দিষ্ট গোপন তথ্যের ভিত্তিতে সম্ভাব্য কর ফাঁকিবাজদের তালিকা করেছে। পর্যায়ক্রমে এসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আয়কর আইন-২০২৩ ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন- ২০১২ এর অধীনে ফাঁকি দেওয়া কর উদ্ধারের পাশাপাশি শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বেক্সিমকোর ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা ছিলেন। গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগের শাসনামলে তার বিরুদ্ধে আর্থিক খাতে নজিরবিহীন দুর্নীতি, লুটপাট, জালিয়াতি ও টাকা পাচারের অভিযোগ রয়েছে।

নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদারের বিরুদ্ধেও আর্থিক খাতে লুটপাট ও অনৈতিক সুবিধা নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। বিভিন্ন সময় ব্যবসায়ী সমাজের পক্ষে হয়ে শেখ হাসিনার পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন নজরুল ইসলাম মজুমদার।

সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান আজিজ খান বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে ‘কুইক রেন্টাল’ নামে পরিচিত বহুল বিতর্কিত ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের সবচেয়ে বড় সুবিধাভোগী শিল্পগোষ্ঠীর কর্ণধার। সিঙ্গাপুরে ৫০ শীর্ষ ধনীর একজন তিনি। তার বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগও রয়েছে।

আহমেদ আকবর সোবহানের বসুন্ধরা গ্রুপের বিরুদ্ধে জমি দখল, নানা খাতে অনিয়মের মাধ্যমে সুবিধা নেয়া ও অর্থ পাচারের সুবিধা নেয়ার অভিযোগ আছে। কোটা আন্দোলনের সময় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ব্যবসায়ীদের বৈঠকে আহমেদ আকবর সোবহান অঙ্গীকার করেন, জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত শেখ হাসিনার পাশে থাকবেন।

এছাড়া, ওবায়দুল করিমের ওরিয়ন গ্রুপের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে। শেখ হাসিনা সরকারের আমলে বড় বড় প্রকল্পে কাজ করে ওরিয়ন গ্রুপ।

এস আলম গ্রুপের সহযোগী হিসেবে চিহ্নিত ইসলামী ব্যাংকের ৬ ডিএমডিসহ ৭ জনকে বরখাস্ত করা হয়েছে। আজ সোমবার (১৯ আগস্ট) ব্যাংক থেকে এ সংক্রান্ত চিঠি দেয়া হয়।

বরখাস্তরা হলেন– অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক জে কিউ এম হাবীবুল্লাহ, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) মো. আকিজ উদ্দিন, মোহাম্মদ সাব্বির, মিফতাহ উদ্দিন, মো. রেজাউল করিম, ড. মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন।

এছাড়া, প্রধান অর্থ পাচার প্রতিরোধ কর্মকর্তা (ক্যামেলকো) তাহের আহমেদ চৌধুরী এবং ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের প্রিন্সিপাল মো. নজরুল ইসলামকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে ইসলামী ব্যাংককে ‘জামায়াতমুক্ত’ করার উদ্যোগ হিসেবে এর মালিকানা ও ব্যবস্থাপনার নিয়ন্ত্রণ নেয় সদ্য ক্ষমতা হারানো আওয়ামী লীগ সরকারের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী গোষ্ঠী এস আলম গ্রুপ।

বাংলাদেশে সব ধরনের সহায়তা অব্যাহত রাখবে জাপান। সোমবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে, সচিবালয়ে অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিনের সাথে বৈঠকে, বিষয়টি আশ্বস্ত করেছেন, জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোর।

অর্থ উপদেষ্টা জানান, দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতায় জাপান বেশ এগিয়ে। চলমান সব প্রকল্পে অর্থায়ন অব্যাহত থাকবে। স্থবির প্রকল্পেও অর্থ ছাড়ের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। জাপান বাংলাদেশে ব্যবসার পরিবেশের সংস্কার চায়। সেটি করা হবে বলেও জানান তিনি।

সভায়, রাষ্ট্রদূত বর্তমান সরকারের সাথে কাজ করতে তাদের আগ্রহ তুলে ধরেন। এ সময় বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক চুক্তির বিষয় উঠে আসে। ব্যাবসার পরিবেশ সংস্কারের পরামর্শ দিয়েছেন, রাষ্ট্রদূত।

নিশ্চিত ছিল না অর্থের উৎস, যোগান নিয়েও ছিল অনিশ্চয়তা। তারপরও বড় করা হয়েছে ব্যয়ের খাত। বড় বড় প্রকল্প হাতে নিয়ে হয়েছে লুটপাট। আর সেই অর্থের যোগান দিতে ঋণনির্ভর হয় শেখ হাসিনা সরকার। অথচ বলা হয়েছিল নতুন ঋণ নয়, বরং পরিশোধ করেছে সরকার।

২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ব্যাংকব্যবস্থা থেকে সরকার ঋণ নেয় ১ লাখ ২২ হাজার ৯৮০ কোটি টাকা। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে নেয় ৯৭ হাজার ৬৮৪ কোটি টাকা। এই অর্থবছরের শেষ দুই মাসে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে গোপনে ছাপিয়ে নেয়া হয় ৪১ হাজার কোটি টাকার বেশি। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনৈতিক এমন অবস্থান বাড়িয়েছে উদ্বেগ।

যদিও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মূল কাজ ছিল মুদ্রানীতি দিয়ে আর্থিক ব্যবস্থাপনা সমুন্নত রাখা। কিন্তু আগের সরকারের ক্রীড়নকে পরিণত হয় বাংলাদেশ ব্যাংক। ইচ্ছা মতো ব্যবহার হয়েছে স্বায়ত্বশাসিত এই প্রতিষ্ঠান। ভালো-মন্দ বিবেচনায় না নিয়ে টাকা ছাপিয়ে সরকারের যোগান দিয়েছে এই প্রতিষ্ঠান।

বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক খোন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংকোচনমূলক নীতি বেসরকারি খাতকে টার্গেট করে বাস্তবায়িত হয়েছে, সরকারি খাতে ঋণ নেয়ার ক্ষেত্রে আমরা এর বাস্তবায়ন দেখিনি। প্রায়শই মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে মূদ্রানীতির ভূমিকা দেখিনি।

অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের সাবেক চেয়ারম্যান মো. নুরুল আমিন বলেন, এভাবে টাকা চাপানোকে হাই পাওয়ার্ড মানি বলে। হাই পাওয়ার্ড মানি অর্থনীতিতে তখনই ব্যবহার হয়, যখন সরকারের জন্য টাকা বেশ প্রয়োজনী হয়ে ওঠে। তখন যে সরকার ছিল, তারা মনে করেছিল বলে এটা করতে হয়েছে। সেক্ষেত্রে বিল, বন্ড, রেভিনিউ দিয়ে কাভার করা যাচ্ছিল না।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ভূমিকাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন সাবেক গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। সকল পরামর্শ ও মতামতকে অগ্রাহ্য করে তিনি নিতেন সিদ্ধান্ত।

খোন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেছেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উচিত হবে, আর্থিক খাতের একটি পূর্ণাঙ্গ বিবরণী প্রকাশ করা। সেখানে উপযুক্তভাবে দরকার রয়েছে, কার কার কাছে কী পরিমাণ অর্থ সরবরাহ হয়েছে। কী পরিমাণ অনাদায়ী রয়েছে। কোন কোন জায়গায় বাকি রয়েছে এবং কোন কোন জায়গায় প্রাপ্যতার ক্ষেত্রে অনিশ্চিয়তা রয়েছে। আমরা মনে করি, এ ধরণের পূর্ণাঙ্গ তথ্য-উপাত্ত কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে আসতে পারে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সুনাম ফিরিয়ে আনতে সংস্কার উদ্যোগ দরকার, এমনটা বলছেন বিশ্লেষকরা।

সম্পাদক ও প্রকাশক : মঈনুদ্দিন কাজল
deshermatidaily@gmail.com
০১৬১৫১১২২৬৬, ০১৬৭৩৫৬২৭১৬

দেশের মাটি কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।