অর্থ - বানিজ্য

শ্রমিক অসন্তোষে পোশাক খাতে তিন থেকে ৪শ মিলিয়ন ডলারের উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হাতছাড়া হয়েছে রফতানি আদেশ। সাংবাদিকদের এই উদ্বেগজনক তথ্য জানিয়েছেন, বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম।

তিনি জানান, প্রতিযোগী দেশের তুলনায় পিছিয়ে পড়েছে বাংলাদেশ। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে চীন, ভারত, পাকিস্তান, কম্বোডিয়া ও ভিয়েতনামের রফতানি বাড়লেও বাংলাদেশের কমেছে। তার দাবি- ব্যাংক খাত সংস্কারের ফলে শিল্পের উপর যেন নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে। সেদিকে খেয়াল রাখার আহ্বান জানান বিজিএমইএ সভাপতি।

বিজিএমইএ’র সভাপতি বলেন, নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের আইনের আওতায় আনতে হবে। বলেন, ঝুটসহ অন্যান্য রিসাইকেলিং উপযোগী বর্জ্য অপসারণকে বাইরের প্রভাবমুক্ত রাখতে হবে।

প্রণোদনা পুর্নবহালের দাবি জানিয়ে পোশাক খাতের উদ্যোক্তারা বলেন, শিল্পে পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ করা প্রয়োজন। জানান, সেপ্টেম্বরের বেতন-ভাতা পরিশোধের লক্ষ্যে ৩৯টি কারখানাকে সুদবিহীন ঋণ প্রদানের জন্যে সরকারের কাছে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

ঢাকা-বেইজিং সম্পর্ক আগের মতোই অব্যাহত থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। সোমবার (১৪ অক্টোবর) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।

এ সময় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার খুব দ্রুতই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ সব ধরনের চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

তিনি আরও জানান, বাংলাদেশের সব সংকটে পাশে ছিল চীন। কোভিড কিংবা জুলাই আন্দোলনেও চীনা কোম্পানিগুলোর কর্মকর্তারা দেশ ছেড়ে যায়নি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

এ সময় পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন জানান, চীনের সাথে সামরিক যোগাযোগ বাড়াতে চায় সরকার। রোহিঙ্গা ইস্যুতে তিনি জানান, রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোই একমাত্র সমাধান। এ কাজে চীনের আরও আন্তরিক ও সক্রিয় ভূমিকা প্রত্যাশা করে বাংলাদেশ।

শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে যশোরের বেনাপোল বন্দর দিয়ে ১১ চালানে ভারতে রপ্তানি হয়েছে মাত্র ৫৩৩ টন ইলিশ। যদিও বাংলাদেশ সরকার পূজা উপলক্ষে ভারতে ২ হাজার ৪২০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছিল। গতকাল শনিবার (১২ অক্টোবর) রাত ১০টার দিকে ১১ ট্রাকে ৩৬ টন ইলিশ ভারতে রপ্তানি হয়েছে। এ নিয়ে ১১ চালানে পাঁচ লাখ ৩৩ হাজার কেজি অর্থাৎ ৫৩৩ টন ইলিশ ভারতে রপ্তানি হয়েছে। যা রপ্তানির অনুমোদন পাওয়া ইলিশের মাত্র ২২ শতাংশ।

বেনাপোল চেকপোস্ট কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান বলেন, ১২ অক্টোবরের মধ্যে ইলিশ রপ্তানি শেষ করতে হবে বলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা ছিল। শেষ দিনে গতকাল ১১টি ট্রাকে ৩৬ টন ইলিশ ভারতে রপ্তানি হয়েছে। এ নিয়ে মোট ১১ চালানে ভারতে ইলিশ রপ্তানি হয়েছে ৫৩৩ টন।

ইউনিয়ন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এ বি এম মোকাম্মেল হক চৌধুরী নিরুদ্দেশ হয়েছেন। এমন অভিযোগ ব্যাংক সংশ্লিষ্টদের। অনুসন্ধানে সে তথ্যও মিলেছে। নিজে নিরুদ্দেশ হওয়ার আগে পরিবারের সদস্যদেরও নিরাপদ জায়গায় পাঠিয়ে দিয়েছেন তিনি। মোকাম্মেলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের আর্থিক অপরাধের অভিযোগ রয়েছে।

রাজধানীর বনানীর ৮ নম্বর রোডের জি-ব্লকের একটি বহুতল ভবনের ডি-ফোর ফ্ল্যাটে থাকতেন ইউনিয়ন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ বি এম মোকাম্মেল হক চৌধুরী। তাঁর স্ত্রী নাজনীন আকতার দুই ছেলে-মেয়েকে নিয়ে বিমানবন্দরের উদ্দেশে বাসা ছাড়েন গত সোমবার দুপুরেই। এরপর গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাসা থেকে একা বের হয়ে যান আলোচিত এই ব্যাংকার। সেই থেকে আর ফেরেননি এই পরিবারের কেউই।

ভবনের ব্যবস্থাপক মাসুম বিল্লাহ বলেন, ‘সাধারণত স্যার এখানে যায়, ওইখানে যায়, হাঁটতে যায়। তবে সেদিন যে গেছে এরপর তিনি আর আসেননি। উনার পরিবারও এক দিন আগে গাড়িতে করে গেছে, তারপর আর আসেনি।’

বনানীর ভবনটিতে এখনো আছে মোকাম্মেল হকের ব্যবহৃত দুটি গাড়ি। এর মধ্যে মিতসুবিশি আউটল্যান্ডারটি পরিবারের সদস্যরা এবং টয়োটা প্রাডো গাড়িটি ব্যবহার করতেন তিনি নিজেই। দুই গাড়িচালকও কিছু জানেন না মালিক সম্পর্কে। 

ভবনের ব্যবস্থাপক মাসুম বিল্লাহ জানান, গাড়িচালকরা এখনও ভবনটিতে আসা যাওয়া করেন। কিন্তু তাঁরা এ বিষয়ে কিছু জানেন না।   

ইউনিয়ন ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, মঙ্গলবার দুপুরে ব্যাংকে গিয়েছিলেন মোকাম্মেল হক চৌধুরী। এরপর বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে ইউনিয়ন ব্যাংক পর্ষদের পূর্বনির্ধারিত সভা থাকলেও তাতে যোগ দেননি তিনি। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে ইউনিয়ন ব্যাংকের একটি রহস্যময় হিসাবের লেনদেনের সঙ্গে তাঁর সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ রয়েছে।

এরইমধ্যে এ বি এম মোকাম্মেল হক চৌধুরী ও তাঁর স্ত্রী নাজনীন আকতারের ব্যাংক হিসাবে লেনদেন স্থগিত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাঁদের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবও স্থগিত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। 

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ভেঙে দেওয়া হয় আলোচিত এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে থাকা ইউনিয়ন ব্যাংকের পর্ষদ।  গত বুধবার রাতে ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের সভা ডেকে উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) শফিউদ্দিন আহমেদকে এমডির চলতি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

মোকাম্মেলের সবশেষ অবস্থা সম্পর্কে জানতে ব্যাংকটির চেয়ারম্যান মো. ফরিদউদ্দীন আহমদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি। 

ভারতীয় শিল্পগোষ্ঠী আদানি পাওয়ারের সঙ্গে হওয়া বিদ্যুৎচুক্তি নিয়ে গত কয়েক মাস ধরেই নানা সমালোচনা চলছে। এরই মধ্যে চুক্তিটি বাতিল হবে বলে গুঞ্জনও উঠেছিল। তবে নির্ভরযোগ্য দুটি সূত্রের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স গতকাল জানিয়েছে, বাংলাদেশের সঙ্গে হওয়া আদানি পাওয়ারের বিদ্যুৎচুক্তিটি বাতিল হচ্ছে না।

এই চুক্তির সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত দুটি সূত্র বলেছে, দেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিয়ে উদ্বেগ এবং আইনি জটিলতার কারণে চুক্তিটি বাতিল করা সম্ভব হচ্ছে না।

২০১৭ সালে আদানি গ্রুপের সঙ্গে ভারতের ঝাড়খণ্ডের গোড্ডায় অবস্থিত ১৬০০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ২৫ বছরের জন্য বিদ্যুৎ কিনতে চুক্তি করে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার।

ছাত্র–জনতার নজিরবিহীর অভ্যুত্থানের মুখে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ৫ আগষ্ট দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর সরকারের দায়িত্ব গ্রহণ করে ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এরপর শেখ হাসিনা সরকারের করা চুক্তিগুলো জাতির স্বার্থ রক্ষা করেছে কি না, যথাযথ স্বচ্ছতা রয়েছে কি না, এসব যাচাই করতে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে এই নতুন সরকার।

আদানির সঙ্গে করা এই চুক্তির সবচেয়ে বড় সমালোচনার জায়গা, এর উচ্চমূল্য। এ কারণেই চুক্তিটি খতিয়ে দেখতে উদ্যোগী হয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। শেষে বিশেষজ্ঞ কমিটি জানায়, অতি উচ্চমূল্য সত্ত্বেও চুক্তিটি বাতিল করা সম্ভব হবে না মূলত আইনি জটিলতার কারণে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি সূত্র রয়টার্সকে জানায়, প্রকল্পটি বাংলাদেশের বিদ্যুৎ চাহিদার প্রায় এক-দশমাংশ পূরণ করে। তাই আদানির চুক্তিটি সরাসরি বাতিল করা কঠিন।

অপর আরেকটি সূত্র জানিয়েছে, শক্তিশালী প্রমাণ ছাড়া আন্তর্জাতিক আদালতে এ সংক্রান্ত আইনি চ্যালেঞ্জে ব্যর্থ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে যদি চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভব না হয়, তাহলে একমাত্র সম্ভাব্য বিকল্প হতে পারে শুল্ক কমাতে পারস্পরিক চুক্তি করা।

এ বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান বলেন, কমিটি বর্তমানে বিষয়টি পর্যালোচনা করছে এবং এ ক্ষেত্রে আগেভাগে কোনো মন্তব্য করা ঠিক হবে না।

চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমে ৪ শতাংশ হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কমাল বিশ্বব্যাংক। নতুন ঘোষণার এই হার সংস্থাটির আগের পূর্বাভাসের তুলনায় উল্লেখযোগ্য কম।

বৃহস্পতিবার প্রকাশিত সাউথ এশিয়া ডেভেলপমেন্ট আপডেটেরর অক্টোবর সংখ্যায় এ তথ্য জানিয়েছে বৈশ্বিক দাতা সংস্থাটি। 

বিশ্বব্যাংক এর আগের পূর্বাভাসে চলতি অর্থ বছর ৫ দশমিক ৭ ভাগ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস জানিয়েছিল। সেইসঙ্গে সংস্থাটি বলছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দেশের চূড়ান্ত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হবে ৫ দশমিক ২ ভাগ। 

চলমান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তায় প্রবৃদ্ধি কমবে বলে মন্তব্য সংস্থাটির। তবে দীর্ঘমেয়াদে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনা নিয়ে আশাবাদী বিশ্বব্যাংক। 

আর্থিক খাত সংস্কার, উন্নত ব্যবসায়িক পরিবেশ, আরও বেশি দেশীয় সম্পদের  ব্যবহার এবং বাণিজ্য বৃদ্ধির মাধ্যমে অর্থনীতির গতি পুনরুদ্ধার সম্ভব হবে বলে মনে করছে সংস্থাটি।

কোটা উঠিয়ে দিয়ে লটারির মাধ্যমে রাজউকের প্লট বরাদ্দ দেয়ার কথা বলেছেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান। সোমবার (৭ অক্টোবর) রাজউক ভবনে বিশ্ব বসতি দিবস-২০২৪ উপলক্ষে ‘তরুণদের সম্পৃক্ত করি, উন্নত নগর গড়ি’ প্রতিপাদ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।

গণপূর্ত উপদেষ্টা বলেন, নগর উন্নয়নের ক্ষেত্রে যদি পরিকল্পনা নিতে চাই তাহলে এটা এখনই করা উচিত। এরপরে করতে গেলে হয়তো বেশি দেরি হয়ে যাবে। তরুণরা আছেন, বিভিন্ন সংগঠন আছেন, নাগরিকদের বিভিন্ন প্রফেশনাল বডি আছে, তাদের সম্পৃক্ত করা দরকার। আমাদের শহরগুলোকে সবুজ, গণবান্ধব ও শিশুদের জন্য এমন করা যেন তারা বড় হয়ে দেশকে গড়তে পারে বলেও জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, কোটার কারণে আমরা এতগুলো প্লট নিবো, কোটার কারণে আমরা এতগুলা প্লট করবো বলে যে কথা শোনা যায়, সব কোটা উঠিয়ে দেন। জনগণের জন্য উন্মুক্ত করে দেন না কেন? লটারির মাধ্যমে কেন ঢাকা শহরের প্লট দেয়া হয় না? এই ফ্যাসিলিটিগুলো বন্ধ করে দিতে হবে।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেন, পরিবেশ ধ্বংস করে নগরায়ন গ্রহণযোগ্য নয়। এসময় প্রতিষ্ঠান হিসেবে রাজউকের জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন তিনি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হামিদুর রহমান খান।

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের পদত্যাগ দাবি করে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে বিনিয়োগকারীরা। এ নিয়ে তিনদিন বিএসইসি চেয়ারম্যানের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করলেন তারা।

আজ রোববার (৬ অক্টোবর) দুপুরে আগারগাঁওয়ে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির সামনে মানববন্ধন করে বিনিয়োগকারীদের একটি পক্ষ। এসময় চেয়ারম্যানের পদত্যাগ ছাড়াও পুঁজিবাজার গতিশীল করতে এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে বেশ কিছু দাবি তুলে ধরেন তারা।

অন্যদিকে, একই সময়ে মতিঝিলে বিক্ষোভ করে আরেকটি পক্ষ। তারা বলে, চেয়ারম্যানের অযাচিত হস্তক্ষেপের কারণে বাজারে দরপতন চলছে। চেয়ারম্যানের পদত্যাগ ছাড়া বাজার ভালো হবে না বলেও মন্তব্য করেন তারা। দরপতন ঠেকাতে বাই ব্যাক (শেয়ার পুনঃক্রয়) আইন প্রণয়ন করা এবং কোম্পানির জন্য ন্যূনতম লভ্যাংশ ঘোষণা নির্দিষ্ট করে দেয়ার দাবিও জানান বিনিয়োগকারীরা।

এদিকে, দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে সব খাত মিলে ১৮০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের স্থান হয়েছে দাম বাড়ার তালিকায়। বিপরীতে দাম কমেছে ১৫৬টি প্রতিষ্ঠানের। আর ৫৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

দেশের পূর্বাঞ্চলের সাম্প্রতিক বন্যায় কৃষি ও বনায়নে সবচেয়ে বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এই বন্যায় ১৪ হাজার ৪২১ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ তথ্য জানিয়েছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। রোববার (৬ অক্টোবর) সিপিডির কার্যালয়ে এ তথ্য জানান সংগঠনটির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন।

ফাহমিদা খাতুন বলেন, বন্যায় টাকার হিসাবে নোয়াখালীতে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এরপরের অবস্থানে যথাক্রমে রয়েছে কুমিল্লা, ফেনী ও চট্টগ্রাম। বন্যা কবলিত এলাকাগুলোতে ত্রাণ বিতরণে বেশ সমন্বয়হীনতা ছিল। এ কার্যক্রমে জনপ্রতিনিধি থাকা দরকার ছিল কি না তা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে। অনেকে একাধিকবার ত্রাণ পেয়েছে, আবার অনেকে পাননি। এছাড়া, অনেকেই ত্রাণ সামগ্রী বিক্রি করে দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, ফেনীতে সর্বোচ্চ ১৬ কোটি ৬০ লাখ টাকার ত্রাণ গেছে। তাছাড়া, কুমিল্লায় ১৪ কোটি ৯০ লাখ টাকার, নোয়াখালীতে ১৪ কোটি ৯০ লাখ টাকার, সিলেটে ১৪ কোটি ৬০ লাখ টাকার, হবিগঞ্জে ১৩ কোটি ৪০ লাখ টাকার, মৌলভীবাজারে ১৩ কোটি টাকার এবং চট্টগ্রামে ১১ কোটি ৮০ লাখ টাকার ত্রাণ গেছে।

রাষ্ট্রপতি মো: সাহাবুদ্দিন বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়াতে যাতে আরও জনশক্তি যেতে পারে সে ব্যাপারে মালয়েশিয়া সরকারের সহযোগিতা চেয়েছেন। বাংলাদেশে সফররত মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এই সহযোগিতা চান।

রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন অন্তর্বর্তী সরকারের ‘অর্থনীতি সংস্কার’ কর্মসূচিতেও মালয়েশিয়া সরকারের সহযোগিতারও অনুরোধ জানান।

রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের জানান, সাক্ষাৎকালে তারা দ্বিপক্ষীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়, বিশেষ করে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, অর্থনৈতিক, কারিগরি সহযোগিতা, রোহিঙ্গা ইস্যু ও শ্রমবাজারসহ বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে মতবিনিময় করেন। 

রাষ্ট্রপতি বলেন, মালয়েশিয়া বাংলাদেশের জনশক্তি রফতানির দ্বিতীয় বৃহত্তম গন্তব্যস্থল। বাংলাদেশের জনশক্তি মালয়েশিয়ার ও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বিগত ৫৩ বছরে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, কৃষি, মানবসম্পদ যোগাযোগ, সংস্কৃতি, পর্যটন ও শিক্ষাসহ বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশ ও  মালয়েশিয়ার মধ্যে সহযোগিতা ও অংশীদারিত্ব বৃদ্ধি পাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন রাষ্ট্রপ্রধান।

আসন্ন ২০২৫ সালে আসিয়ানের সভাপতির দায়িত্ব পাওয়ায় মালয়েশিয়াকে অভিনন্দন জানিয়ে রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন মালয়েশিয়ার দক্ষ নেতৃত্বে আসিয়ান আঞ্চলিক শান্তি, নিরাপত্তা, আঞ্চলিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।

মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী অন্তর্বর্তী সরকারের বিভিন্ন সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়নে কারিগরি সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

বৈঠকে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের চারজন মন্ত্রী পরিষদ সদস্য, সংশ্লিষ্ট সচিবগণ ও বাংলাদেশের নিযুক্ত মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার তার সাথে ছিলেন। বাংলাদেশের পক্ষে ছিলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল ও সংশ্লিষ্ট সচিবগণ।

এর আগে, বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী বঙ্গভবনে পৌঁছালে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন তাকে ফুলের তোড়া উপহার দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। পরে বঙ্গভবনের ক্রেডেনশিয়াল হলে বৈঠক শেষে একটি পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন।

সম্পাদক ও প্রকাশক : মঈনুদ্দিন কাজল
deshermatidaily@gmail.com
০১৬১৫১১২২৬৬, ০১৬৭৩৫৬২৭১৬

দেশের মাটি কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।