আদানির সঙ্গে বিদ্যুৎচুক্তি বাতিল হচ্ছে না
ভারতীয় শিল্পগোষ্ঠী আদানি পাওয়ারের সঙ্গে হওয়া বিদ্যুৎচুক্তি নিয়ে গত কয়েক মাস ধরেই নানা সমালোচনা চলছে। এরই মধ্যে চুক্তিটি বাতিল হবে বলে গুঞ্জনও উঠেছিল। তবে নির্ভরযোগ্য দুটি সূত্রের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স গতকাল জানিয়েছে, বাংলাদেশের সঙ্গে হওয়া আদানি পাওয়ারের বিদ্যুৎচুক্তিটি বাতিল হচ্ছে না।
এই চুক্তির সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত দুটি সূত্র বলেছে, দেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিয়ে উদ্বেগ এবং আইনি জটিলতার কারণে চুক্তিটি বাতিল করা সম্ভব হচ্ছে না।
ছাত্র–জনতার নজিরবিহীর অভ্যুত্থানের মুখে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ৫ আগষ্ট দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর সরকারের দায়িত্ব গ্রহণ করে ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এরপর শেখ হাসিনা সরকারের করা চুক্তিগুলো জাতির স্বার্থ রক্ষা করেছে কি না, যথাযথ স্বচ্ছতা রয়েছে কি না, এসব যাচাই করতে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে এই নতুন সরকার।
আদানির সঙ্গে করা এই চুক্তির সবচেয়ে বড় সমালোচনার জায়গা, এর উচ্চমূল্য। এ কারণেই চুক্তিটি খতিয়ে দেখতে উদ্যোগী হয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। শেষে বিশেষজ্ঞ কমিটি জানায়, অতি উচ্চমূল্য সত্ত্বেও চুক্তিটি বাতিল করা সম্ভব হবে না মূলত আইনি জটিলতার কারণে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি সূত্র রয়টার্সকে জানায়, প্রকল্পটি বাংলাদেশের বিদ্যুৎ চাহিদার প্রায় এক-দশমাংশ পূরণ করে। তাই আদানির চুক্তিটি সরাসরি বাতিল করা কঠিন।
অপর আরেকটি সূত্র জানিয়েছে, শক্তিশালী প্রমাণ ছাড়া আন্তর্জাতিক আদালতে এ সংক্রান্ত আইনি চ্যালেঞ্জে ব্যর্থ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে যদি চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভব না হয়, তাহলে একমাত্র সম্ভাব্য বিকল্প হতে পারে শুল্ক কমাতে পারস্পরিক চুক্তি করা।
এ বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান বলেন, কমিটি বর্তমানে বিষয়টি পর্যালোচনা করছে এবং এ ক্ষেত্রে আগেভাগে কোনো মন্তব্য করা ঠিক হবে না।