শিল্প - সাহিত্য

বাংলাদেশী বাঙালীদের রয়েছে শত শত বছরের ইতিহাস ও ঐতিহ্য। বাংলাদেশের সংস্কৃতি স্বকীয় বৈশিষ্ট্যের কারণে স্বমহিমায় উজ্জ্বল। পৃথিবীর সমৃদ্ধ সংস্কৃতির ধারণকারী দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন‍্যতম। তেমনি একটি উৎসব বাংলা নববর্ষ। উৎসব আমেজের মধ্য দিয়ে নিউ ইয়র্কে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হলো এই বাংলা নববর্ষ ১৪৩২। বিশ্ব-দরবারে বাঙালীর অগ্রযাত্রাকে আরেক দফা তুলে ধরার লক্ষ্যে আয়োজনে ছিল সার্বজনীন মঙ্গল শোভাযাত্রারও। 

 উত্তর আমেরিকার একমাত্র সম্পূর্ণ মহিলা নিয়ন্ত্রিত এবং পরিচালিত সংগঠন তারার আলো এই উৎসবের আয়োজন করে। ঝমকালো পরিবেশে অগণিত যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী নারীর অংশগ্রহণে চোখ ধাঁধানো পারফরমেন্স ছিল উল্লেখ করার মতো। এই উৎসবের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে যেন একটি বার্তাই ছড়িয়ে পড়েছে আরেকবার, ‘যতদূর বাংলা ভাষা, ততদূর বাংলাদেশ’।

গত ১৯ এপ্রিল শনিবার জ্যাকসন হাইটসের ডাইভারসিটি প্লাজায় অনুষ্ঠিত হয় এই ঝাকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানটি। আকর্ষনীয় দেশীর সাজে এবং বৈশাখী সংস্কার ও সাংস্কৃতিক নিয়মে পালিত উক্ত অনুষ্ঠানের মধ্যমনি ছিলেন তারার আলোর প্রধান ও প্রেসিডেন্ট মীনা ইসলাম। মীনা ইসলামের উদ্যোগে নিউইয়র্কে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে এই তারার আলো সংগঠনটি। এই সংগঠনের মাধ্যমে দীর্ঘদিন যাবৎ তিনি নিয়মিত বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠান পালনের মাধ্যমে আমেরিকায় বসবাসরত বাংলাদেশী নারীদের বাঙালী কৃষ্টি ও সাংস্কৃতিকে ধরে রাখার প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন। পরোপকার ও কমিউনিটি এক্টিভিস্ট হিসেবে যার রয়েছে যথেষ্ট খ্যাতি।

বাংলাদেশ থেকে আগত বিভিন্ন মিডিয়া ও বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বকে বিভিন্ন সময়ে তিনি নিজ বাসভবনে সাময়িক আশ্রয়সহ নিঃস্বার্থভাবে নানাবিধ উপকার করেছেন। ডাইভারসিটি প্লাজায় এদিনের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের সকল সামগ্রী সরবরাহসহ তিনি নিজ হাতে অত্যন্ত পরিশ্রম কয়ে অনুষ্ঠানের সহায়তার জন্য "কুলা' ও বিভিন্ন চারুকার্য তৈরি করেন। 

এক আলাপচারিতায় তারার আলোর মীনা ইনলাম জানান, তিনি ভবিষ্যতে প্রবাসী নারীদের আরও সুসংগঠিত করে সুন্দর ও আকর্ষনীয় অনুষ্ঠান উপহার দেবেন।

তিনি বলেন, বিশ্ব-দরবারে বাঙালীর অগ্রযাত্রা রুখার সাধ‍্য কোনো মেটিকিউলাস অপশক্তির নেই। মঙ্গল শোভাযাত্রা উদযাপন পরিষদের পক্ষ থেকে সকলকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাই। নতুন বছর আপনার জীবনে আনন্দ ও মঙ্গলের বার্তা নিয়ে আসুক।

হংকংয়ে হয়ে গেলো এশিয়া কালচারাল কো-অপারেশন ফোরামের আয়োজন। ‘কানেক্ট, ক্রিয়েট, এনগেজ: ব্রিজিং কালচার্স ফর অল’ প্রতিপাদ্যে আয়োজিত ফোরামের মূল আকর্ষণ ছিল ২২ এপ্রিলের মন্ত্রী পর্যায়ের প্যানেল আলোচনা। এতে অংশ নেন ১৭টি দেশের সংস্কৃতিমন্ত্রী ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। তারা সাংস্কৃতিক উন্নয়ন নিয়ে মতবিনিময় করেন।

বাংলাদেশের সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী প্যানেলে ‘সংস্কৃতিক জটিলতা নিরসনে সহমর্মিতা ও অন্তর্ভুক্তির’ ওপর বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, জুলাইয়ের গণজাগরণ তরুণ প্রজন্ম, বিশেষত নারীদের নেতৃত্বে নতুন ইতিহাস রচনা করেছে। তিনি জানান, এই পরিবর্তনের ধারায় বাংলাদেশে এবার প্রথমবারের মতো সব জাতিগোষ্ঠী একসঙ্গে নববর্ষ উদযাপন করেছে।

আয়োজনে অতিথিদের সঙ্গে উপদেষ্টা ফারুকী

পরে হংকংয়ের সংস্কৃতি, ক্রীড়া ও পর্যটনমন্ত্রী রোসানা ল-এর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে ফারুকী বলেন, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি এবং হংকংয়ের উপযুক্ত প্রতিষ্ঠানের মধ্যে নিউ মিডিয়া আর্ট শিক্ষা নিয়ে যৌথ উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে। এছাড়া, অ্যাকশন ফিল্ম প্রযোজনায় হংকংয়ের ২৫ শতাংশ কর ছাড়ের সুবিধার কথাও উল্লেখ করেন তিনি।

পাকিস্তানের সংস্কৃতিমন্ত্রী আওরঙ্গজেব খান খিচির সঙ্গে এক বৈঠকে দুই দেশের খ্যাতিমান শিল্পীদের চিত্রকর্ম নিয়ে ভ্রাম্যমাণ প্রদর্শনীর পরিকল্পনা হয়। ফারুকী বীকনহাউস ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির মতো প্রতিষ্ঠানে বাংলাদেশি শিল্পীদের জন্য বৃত্তির আহ্বান জানান।

নেপালের সংস্কৃতি মন্ত্রী বদ্রি পান্ডের সঙ্গে বৈঠকে লুম্বিনিতে বাংলাদেশ নির্মিত বৌদ্ধ মন্দির এবং বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে আসন্ন সাংস্কৃতিক আয়োজন নিয়েও আলোচনা হয়।

২০০৩ সাল থেকে অনুষ্ঠিত হয়ে আসা এই ফোরামে এবার ১৭টি দেশের প্রতিনিধি অংশ নেন। হংকংয়ের ভারপ্রাপ্ত চিফ এক্সিকিউটিভ চ্যান কোয়াক-কি প্রতিনিধিদের সম্মানে গালা ডিনারের আয়োজন করেন।

ফ্যাসিবাদ বিরোধী সাংস্কৃতিক লড়াইয়ের ভিতর দিয়ে জন্ম নেয়া নতুন বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষার মাসে, নয়া সাংস্কৃতিক বিপ্লবের লক্ষ্য নিয়ে আত্মপ্রকাশ করলো ‘জাতীয় সাংস্কৃতিক বিপ্লব’।

মঙ্গলবার রাজধানীর তোপখানা রোডে একটি হোটেলে বিশিষ্ট কবি, গীতিকবি ও কথা সাহিত্যিক লতিফুল ইসলাম শিবলী, কবি সাম্য শাহ এবং কবি রুদ্রাক্ষ রায়হানের নেতৃত্বে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি গঠনের মাধ্যমে সংগঠনটি আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করেছে।

সংগঠনের পক্ষ থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনের ঘোষণাপত্রে বলা হয়েছে, ‘জাতীয় সাংস্কৃতিক বিপ্লব’ একটি গণমুখী সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান, যা সাংস্কৃতিক সাম্রাজ্যবাদ ও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যে কোন আগ্রাসনের বুদ্ধিবৃত্তিক লড়াইয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থেকে জাতীয় সংস্কৃতির সুরক্ষা ও বিকাশে কাজ করবে।

‘জাতীয় সাংস্কৃতিক বিপ্লব’ দৃঢ় প্রত্যয়ে ঘোষণা করছে যে, সংগঠনটি সকল বেইনসাফের বিরুদ্ধে ইনসাফ প্রতিষ্ঠার প্রতিজ্ঞায় স্বাধীন বাংলাদেশের পক্ষে সর্বদা সজাগ থাকবে।

সংগঠনটি অতি দ্রুত একটি আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

ঘোষিত তিন কর্মদিবস অতিক্রান্ত হলেও স্থগিত হওয়া ‘বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০২৪’ ঘোষণা করতে পারেনি একাডেমি। মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় নির্বাহী কমিটির বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও তা অনুষ্ঠিত হয়নি বলে জানা গেছে। এছাড়াও, পুরস্কার সংক্রান্ত দায়িত্ব থেকে নিজেকে সরিয়ে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন জুরি বোর্ডের সদস্য মোরশেদ শফিউল হাসান।

পুরস্কারের প্রথম ঘোষিত তালিকায় যাদের নাম ছিল, তাদের মধ্যে কথাসাহিত্যিক সেলিম মোরশেদ ইতোমধ্যে পুরস্কার প্রত্যাখানের ঘোষণা দিয়েছেন।

২০১৭ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছিলেন মোরশেদ শফিউল হাসান। এবারের পুরস্কার কমিটিতে জুরি বোর্ডের সদস্য ছিলেন তিনি। পুরস্কার নিয়ে সাম্প্রতিক নানা ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এখন ‘বিব্রত’ বোধ করছেন বলে গণমাধ্যমকে জানান তিনি।

এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ‘বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০২৪’-এর জন্য মনোনীত ব্যক্তিদের নাম ঘোষণা করে বাংলা একাডেমি।

পুরস্কারের জন্য মনোনীত ব্যক্তিরা হলেন– কবিতায় মাসুদ খান, কথাসাহিত্যে সেলিম মোরশেদ, নাটক ও নাট্যসাহিত্যে শুভাশিস সিনহা, প্রবন্ধ-গদ্যে সলিমুল্লাহ খান, শিশুসাহিত্যে ফারুক নওয়াজ, অনুবাদে জি এইচ হাবীব, গবেষণায় মুহম্মদ শাহজাহান মিয়া, বিজ্ঞানে রেজাউর রহমান, মুক্তিযুদ্ধে মোহাম্মদ হাননান এবং ফোকলোরে সৈয়দ জামিল আহমেদ।

পরে পুরস্কারের তালিকায় থাকা কারও কারও সম্পর্কে ‘কিছু অভিযোগ’ আসায় শনিবার (২৫ জানুয়ারি) বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার স্থগিত করা হয়। এরপর রোববার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে বাংলা একাডেমির সামনে বিক্ষোভ জানায় ‘বিক্ষুব্ধ কবি-লেখক সমাজ’ ও ‘জাতীয় সাংস্কৃতিক বিপ্লব’ নামের দুটি প্লাটফর্ম। তারা বাংলা একাডেমির আমূল সংস্কার, পুরস্কার ‘কেলেঙ্কারি’তে জড়িতদের শাস্তির দাবি জানান।

এরপর স্থগিত হওয়া ‘বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০২৪’ প্রত্যাখ্যানের সিদ্ধান্ত নেন কথাসাহিত্যিক সেলিম মোরশেদ। আর এখন এলো জুরি বোর্ড সদস্যের দায়িত্ব থেকে নিজেকে সরিয়ে নেয়ার খবর।

ইতালিয়ান শিল্পী মাউরিজিও ক্যাটেলানের ভাইরাল সৃষ্টি ‘কমেডিয়ান’ শিরোনামের সেই শিল্পকর্মটি এবার বিক্রি হলো ৬২ লাখ ডলারে। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৭৪ কোটি টাকার বেশি। বুধবার, নিলামকারী প্রতিষ্ঠান সোথেবির নিলামে অবিশ্বাস্য এই দামে বিক্রি হয় কলাটি।

মূলত রুপালি রঙের টেপ দিয়ে দেয়ালে আটকানো হলুদ রঙের পাকা কলাটি একটি শিল্পকর্ম। প্রাথমিকভাবে ১৫ লাখ ডলারে বিক্রির প্রত্যাশা করা হয়েছিলো। তবে, সাতজনের প্রতিযোগিতার কারণে এর দাম পৌঁছায় ৫২ লাখ ডলারে, বাদবাকি ফিসহ যার খরচ পৌঁছেছে ৬২ লাখ এ।

নিলামকারীর দাবি, এটিই বিশ্বের সবচেয়ে দাবি কলা। সোথেবি জানায়, একটি ক্রিপ্টোকারেন্সি প্লাটফর্মের প্রতিষ্ঠাতার পক্ষে জাস্টিন সান নামের এক ব্যক্তি কলাটি কিনেছেন।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে একটি শিল্পকর্ম নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছিলো সারা পৃথিবীতে। কারণ-অনেকের মতে সেই শিল্পকর্মটি লেইম। অনেকেই আবার ঠাট্টা মশকরা করে বলেছিলেন, ‘কতই-না চিন্তা ভাবনা করতে হয়েছে শিল্পকর্ম বানাতে গিয়ে! সেটি ছিলো দেয়ালে টেপ দিয়ে লাগানো একটি কলা! তখন, ওই শিল্পকর্ম বিক্রি হয়েছিলো এক লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলারে।

সমাজের বিশেষ অবদানের জন্য বিশিষ্ট ব্যাক্তিদের স্বর্ণপদক পেলেন লেখক কলামিষ্ট জব্বার হোসেন ও রাইজিংবিডি ডটকমের প্রধান প্রতিবেদক এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক পেশাদার সাংবাদিকদের সংগঠন ‘ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনস রিপোর্টার্স ফোরাম’ (আইআরএফ) এর প্রেসিডেন্ট হাসান মাহামুদ।

শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) বিকেলে ঢাকার কেন্দ্রীয় কচি-কাঁচা মিলনায়তনে শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক গবেষণা পরিষদের উদ্যোগে, আলোচনা সভা ও গুণীজন সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তাদেরকে এ পদক প্রদান করা হয়। এ কে ফজলুল হকের ১৫১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

শেরে এ কে ফজলুল হকের দৌহিত্র সাবেক তথ্য সচিব ও সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা সৈয়দ মার্গুব মোর্শেদ ও বিচারপতি ড. মো. আবু তারিক তার হাতে পুরস্কার তুলে দেন।

সৈয়দ মার্গুব মোর্শেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিচারপতি ড. মো. আবু তারিক। অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব পীরজাদা শহিদুল হারুন, সংগঠনের চেয়ারম্যান সেলিনা আক্তার, সংগঠনের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

জব্বার হোসেন ২০১৩ ও ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত ইউনেসকো জার্নালিজম অ্যাওয়ার্ডে জুরি বোর্ডের সম্মানিত সদস্য ছিলেন। ২০১৪ সালে কানাডিয়ান জার্নালিজম অ্যাওয়ার্ডেও জুরি বোর্ডের সম্মানিত সদস্য ছিলেন তিনি। 

হাসান মাহামুদ চলতি বছর তিনি জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও অ্যাসোসিয়েশন অব স্কিনকেয়ার অ্যান্ড বিউটি প্রোডাক্টস ম্যানুফ্যাকচার্স অ্যান্ড ইমপোর্টার্স অব বাংলাদেশের (এএসবিএমইবি) যৌথ মিডিয়া ফেলোশিপ- ২০২৪ অর্জন করেছেন।

শেরে-বাংলা একে ফজলুল হকের  একশো একান্নতম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভার পাশাপাশি ও গুনীজনদের সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে।

সন্ধ্যায় রাজধানীর সেগুন বাগিচা কচি কাঁচা মিলনায়তনে শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক গবেষনা পরিষদের আয়োজনে গুণিজনদের সংবর্ধণা দেয়্ হয়। অন্যান্য পেশার পাশাপাশি সাংবাদিকতা বিশেষ অবদানের জন্য মোহনা টিভির চীফ রিপোর্ট মো. হুমায়ুন কবির, সময় টিভির নির্বাহী চিত্র সম্পাদক মাহবুব আলমসহ গণমাধ্যম কর্মীদের  ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।

এসময় সুপ্রীমনকোর্টের সাবেক বিচারপতি ডক্টর মো: আবু তারিক, সাবেক তথ্য সচিব সৈয়দ মার্গুব মোর্শেদ ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব পীরজাদা শহীদুল হারুনসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। শেরে বাংলা একে ফজলুল হকের জীবন আর্দশকে পাঠ্য প্রস্তুকে নতুন করে লিপিবদ্ধ করে  সবার মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার আহবান ও জানান বক্তারা।

সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদানের জন‍্য এ বছর 'শেরে-বাংলা গোল্ডেন অ‍্যাওয়ার্ড-২০২৪' পেয়েছেন দেশের জনপ্রিয় স্যাটেলাইট টেলিভিশন এশিয়ান টেলিভিশনের স্টাফ রিপোর্টার নুর মোহাম্মদ ভূঁইয়া। 

শুক্রবার সন্ধ্যায় ( ২৫ অক্টোবর) রাজধানীর সেগুনবাগিচার কেন্দ্রীয় কচি-কাঁচার মেলা মিলনায়তনে শেরে বাংলা একে ফজলুল হক গবেষণা পরিষদ এ পুরষ্কার প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন  বিচারপতি ড.  মো. আবু তারিক  । প্রধান আলোচক ছিলেন  সাবেক অতিরিক্ত সচিব পীরজাদা শহীদুল হারুন।  অনুষ্ঠান সভাপতিত্ব করেন সৈয়দ মাগুব মোর্শেদ। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর ডক্টর এম এ সাত্তার, বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ সানোয়ার হোসেন এবং ফুডপান্ডা বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জোবায়ের বি এ সিদ্দিকী। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন শেরে বাংলা একে ফজলুল হক গবেষণা পরিষদের চেয়ারম্যান সেলিনা আক্তার। 

পুরস্কার পেয়ে সাংবাদিক নুর বলেন, দীর্ঘ  সময় ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত রয়েছি। আমার করা অসংখ্য রাজনৈতিক, সামাজিক এবং অনুসন্ধানী  প্রতিবেদন রয়েছে। সেসবকে বিবেচনায় নিয়ে তারা আমাকে এ অ‍্যাওয়ার্ড প্রদান করেছে। তিনি বলেন,৷  শেরে বাংলা একে ফজলুল হক বাংলাদেশের একজন অবিসংবাদিত নেতা ছিলেন। অবিভক্ত বাংলার প্রধামন্ত্রী ছিলেন। তাঁর গবেষণা পরিষদ থেকে এ পুরস্কার পাওয়া আত‍্যান্ত সম্মানের। আর পুরস্কার পেলে কাজের প্রতি দায়বদ্ধতাও বেড়ে যায়।
নুর মোহাম্মদ ভূঁইয়ার  জন্মস্থান নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ী উপজেলার কালিকাপুর গ্রামের ভূঁইয়া বাড়িতে।   তার লেখালেখিজুড়ে উঠে আসে প্রান্তিক এলাকার মানুষের সংগ্রাম, দুঃখ-বেদনা এবং উপলব্দির গল্প। 
তিনি সাংবাদিকতার পাশাপাশি সমাজের অবহেলিত মানুষের উন্নয়নে নানা সামাজিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গেও যুক্ত রয়েছেন।

মৌলিক লেখায় বিশেষ অবদানের জন্য শেরে বাংলা স্বর্ণপদক পেলেন নারীবাদী লেখক, কলামিস্ট ও সাংবাদিক জব্বার হোসেন।

শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) বিকেলে ঢাকার কেন্দ্রীয় কচি-কাঁচা মিলনায়তনে শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক গবেষণা পরিষদের উদ্যোগে, আলোচনা সভা ও গুণীজন সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তাকে এ পদক প্রদান করা হয়। 

শেরে বাংলার দৌহিত্র সাবেক তথ্য সচিব ও সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা সৈয়দ মার্গুব মোর্শেদ ও বিচারপতি ড. মো. আবু তারিক তার হাতে পুরস্কার তুলে দেন।

সৈয়দ মার্গুব মোর্শেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিচারপতি ড. মো. আবু তারিক। অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব পীরজাদা শহিদুল হারুন, সংগঠনের চেয়ারম্যান সেলিনা আক্তার, সংগঠনের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে রাইজিংবিডি ডটকমের প্রধান প্রতিবেদক এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক পেশাদার সাংবাদিকদের সংগঠন ‘ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনস রিপোর্টার্স ফোরাম’ (আইআরএফ) এর প্রেসিডেন্ট হাসান মাহামুদসহ ৭জনকে পুরষ্কৃত করা হয়। 

জব্বার হোসেন নারীবাদী লেখক, কলামিস্ট ও সাংবাদিক। সাংবাদিক হিসেবে তিনি পরিচিতি পান ‘সাপ্তাহিক ২০০০’ এর মাধ্যমে। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের সেই প্রথম বর্ষ থেকেই নিজেকে লেখালিখির সাথে জড়িয়ে নেন তখনকার বেশ জনপ্রিয় ডেইলি স্টারের ম্যাগাজিনে।  মেধা, সততা আর পরিস্রমে সাংবাদিকতার জগতে নিজের অবস্থা অনেকটা বেশ শক্ত পোক্ত করে নিয়েছিলেন তিনি, এর ফলে খুব অল্প বয়সেই অর্জন করেন সপ্তাহিক কাগজে ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকের পদ। 

বিসিডিজেসি কর্তৃক প্রকাশিত মিডিয়া জার্নাল ‘মিডিয়াওয়াচ’ এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হিসাবে এবং দৈনিক আমাদের অর্থনীতির উপ সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। সাপ্তাহিক ২০০০-এ সহকারী সম্পাদক এবং সাপ্তাহিক-এ সহযোগী সম্পাদক হিসেবে কাজ করেছেন।

অনলাইন মিডিয়ায় জব্বার হোসেন পরিচিত নারীবাদী কলামিস্ট হিসেবে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক নারীবাদী সংস্থা ‘দ্য ফেমিনিস্ট’ এর সম্মানিত সদস্য তিনি। তার নারীবাদবিষয়ক গ্রন্থের মধ্যে ‘নারীর শক্র?’ উল্লেখযোগ্য। বইটি একই সঙ্গে দুই বাংলা থেকে প্রকাশিত হয়েছে। পার্ল পাবলিকেসন্স থেকে তার প্রকাশিত বই ‘নারীর শৃঙ্খল’ ও ‘নারী বিরোধী মিডিয়া’, যার ভূমিকা লিখেছেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সুলতানা কামাল। ‘অরাজনৈতিক ব্যক্তিদের রাজনৈতিক সাক্ষাৎকার ' তার সাক্ষাৎকার গ্রন্থ। 

২০১৩ ও ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত ইউনেসকো জার্নালিজম অ্যাওয়ার্ডে জুরি বোর্ডের সম্মানিত সদস্য ছিলেন। ২০১৪ সালে কানাডিয়ান জার্নালিজম অ্যাওয়ার্ডেও জুরি বোর্ডের সম্মানিত সদস্য ছিলেন তিনি। 

জব্বার হোসেনের উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাজীবণ কাটে নটরডেম কলেজ, সরকারি বিজ্ঞান কলেজে। পড়াশোনা শেষ করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। 

জব্বার হোসেনের বাবা গণপূর্ত বিভাগের সাবেক সিভিল ইঞ্জিনিয়ারের দায়িত্বে ছিলেন।

সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদানের জন্য শেরে বাংলা গোল্ডেন অ্যাওয়ার্ড- ২০২৪ পেয়েছেন জনপ্রিয় নিউজপোর্টাল রাইজিংবিডি ডটকমের প্রধান প্রতিবেদক এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক পেশাদার সাংবাদিকদের সংগঠন ‘ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনস রিপোর্টার্স ফোরাম’ (আইআরএফ) এর প্রেসিডেন্ট হাসান মাহামুদ।

শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) বিকেলে ঢাকার কেন্দ্রীয় কচি-কাঁচা মিলনায়তনে শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক গবেষণা পরিষদের উদ্যোগে, আলোচনা সভা ও গুণীজন সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তাকে এ পদক প্রদান করা হয়। এ কে ফজলুল হকের ১৫১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

শেরে বাংলার দৌহিত্র সাবেক তথ্য সচিব ও সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা সৈয়দ মার্গুব মোর্শেদ ও বিচারপতি ড. মো. আবু তারিক তার হাতে পুরস্কার তুলে দেন।

সৈয়দ মার্গুব মোর্শেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিচারপতি ড. মো. আবু তারিক। অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব পীরজাদা শহিদুল হারুন, সংগঠনের চেয়ারম্যান সেলিনা আক্তার, সংগঠনের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

হাসান মাহামুদ একজন গণমাধ্যমকর্মী, সংগঠক এবং লেখক। জনপ্রিয় নিউজপোর্টাল রাইজিংবিডি ডটকমের প্রধান প্রতিবেদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক পেশাদার সাংবাদিকদের সংগঠন ‘ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনস রিপোর্টার্স ফোরাম’ (আইআরএফ) এর প্রেসিডেন্ট।

চলতি বছর তিনি জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও অ্যাসোসিয়েশন অব স্কিনকেয়ার অ্যান্ড বিউটি প্রোডাক্টস ম্যানুফ্যাকচার্স অ্যান্ড ইমপোর্টার্স অব বাংলাদেশের (এএসবিএমইবি) যৌথ মিডিয়া ফেলোশিপ- ২০২৪ অর্জন করেছেন।

২০০২ সাল থেকে সাংবাদিকতা পেশায় যুক্ত হোন। কাজ করেছেন দৈনিক জনকণ্ঠ, দৈনিক ভোরের কাগজ, দৈনিক ভোরের ডাক, দৈনিক মানবকণ্ঠ, দৈনিক বর্তমান পত্রিকায়। ২০১৫ সালে তিনি রাইজিংবিডিতে যোদগান করেন। বর্তমানে জনপ্রিয় এই সংবাদমাধ্যমটির প্রধান প্রতিবেদকের দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।

তিনি গবেষণা ও লেখালেখির সাথে যুক্ত রয়েছেন। এ পর্যন্ত তার ৭টি গবেষণাপত্র এবং ৫টি মৌলিক গ্রন্থ প্রকাশ হয়েছে। তিনি ২০২১ সালে উপন্যাসে মৌলিক অবদানের জন্য বাংলাদেশ রাইটার্স গিল্ডের বিশেষ সম্মাননা অর্জন করেন। তার লেখা গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে ভূমিপুত্রের প্রেম (উপন্যাস), সরল ভাবনা দুই খন্ড (নিবন্ধ), সুবোধরা কেমন হয় (শিশু সাহিত্য), মেধা মননে নন্দিতরা (জীবনীগ্রন্থ)।

তার লেখা বেশ কয়েকটি নাটক ও চলচ্চিত্র রয়েছে। বাংলাদেশী চলচ্চিত্র ইতিহাসের প্রথম পূর্ণাঙ্গ ভৌতিক সিনেমা ‌'দ্যা স্টোরি অব সামারা' তার লেখা। ১৯৩১ সালে প্রকাশিত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের রচিত গল্পগ্রন্থ 'শিউলি মালা'র নাট্যরূপ দেন হাসান মাহামুদ। তার লেখা উল্লেখযোগ্য নাটকের মধ্যে রয়েছে- অদেখা লৌকিকতা, সময়ে অসময়ে, প্রেমের ১৪৪ ধারা, একটি লাল গোলাপের জন্য, বাংলার রসায়ন প্রভৃতি।

হাসান মাহামুদ ২০১১ সালে স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি থেকে এমবিএ সম্পন্ন করেন।

হাসান মাহামুদ বাংলাদেশে এসএমএ আক্রান্ত রোগীদের কল্যাণে কাজ করা রোগী এবং অভিভাবকদের একমাত্র সংগঠন 'কিউর এসএমএ বাংলাদেশ’ এর ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া তিনি ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ), ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে), ইয়ুথ জার্নালিস্ট ফোরাম এবং ফেনী সাংবাদিক ফোরামের সদস্য।

সম্পাদক ও প্রকাশক : মঈনুদ্দিন কাজল
deshermatidaily@gmail.com
০১৬১৫১১২২৬৬, ০১৬৭৩৫৬২৭১৬

দেশের মাটি কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।