শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর আহমেদ হলে প্রবাসী কল্যাণ সোসাইটি আয়োজিত ড. অশোক গুপ্তকে দেয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. সুকমল বড়ুয়া। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কবি আব্দুল হাই শিকদার।
অনুষ্ঠানে ডিইএব এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি প্রকৌশলী মো: হানিফ বলেন, বাংলাদেশে কে সংখ্যালঘু নির্যাতন করে এর উদাহরন ড. অশোক গুপ্ত। ৯ বছর আগে যে অনুষ্ঠান আয়োজন করতে চেয়েছেন কিন্তু হাসিনার স্বৈরাচার সরকার সে অনুষ্ঠান আয়োজন করতে দেয় নাই। সে আয়োজন আজ এই সরকারের সময় করছে আয়োজকরা।
জাতীসংঘের তথ্য একাডেমীর স্থায়ী সদস্য মনোনীত হওয়ায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে ডিইএব'র ঢাকা জেলা কমিটির সভাপতি প্রকৌশলী এইচ এম আমিনুর রহমান আমিন বলেন, ড. আশোক গুপ্ত প্রান্তিক - অসহায় শিক্ষার জন্য অজস্র কাজ করেছেন।
ড. অশোক গুপ্ত প্রবাসীদের প্রসঙ্গে বলেন, আওয়ামী সিণ্ডিকেট প্রবাসীদের প্রতি পদে পদে হয়রানি করেছে। এয়ারপোর্ট, পাসপোর্ট অফিস, বিএমইটি সহ সকল প্রতিষ্ঠানকে দুর্নীতির আস্তানা বানিয়েছে। এর থেকে মুক্তির জন্য আমাদের কাজ করতে হবে।
উন্নত দেশে জনবল পাঠানোর আগে কারিগরি ট্রেনিং করে পাঠাতে হবে। বিমান সিন্ডিকেট, এ্যাম্বাসী সিন্ডিকেট ভাঙ্গতে হবে।
দেশরক্ষা আন্দোলন বাংলাদেশের সভাপতি এম সানোওয়ার হোসেন সভাপতির বক্তব্যে বলেন, ড. অশোক গুপ্তর কাছে আশা করবো জাতীসংঘের তার দফতরের মাধ্যমে এদেশের গণতান্ত্রিক উন্নয়নে অবদান রাখবেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সাবেক সচিব বাবু তপন মজুমদার বলেন, এ মাটির উন্নয়নে অশোক গুপ্তর বাবা যে অবদান রেখেছেন অশোকও সে পথে চলবেন বলে আমি বিশ্বাস করি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. সুকমল বড়ুয়া বলেন অশোকের সাথে আমার যে সম্পর্ক সেখানে দেখেছি তিনি শিক্ষাখাতে কত অবদান রেখেছেন। ভবিষ্যতে দেশ এবং সমাজে সে ধারা অব্যাহত রাখবেন।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে কবি আব্দুল হাই শিকদার বলেন, ড. অশোক এ যুগের কনফোসিয়াসের মত কাজ করে চলেছেন। পলাতক স্বৈরাচার তাকে এদেশে কাজ করতে দেয় নাই তাই বলে তিনি বসে থাকেন নাই। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ হয়ে জাতীসংঘে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন।