বাংলা একাডেমি পুরস্কারের খবর নেই, সরে গেলেন জুরি সদস্য

ঘোষিত তিন কর্মদিবস অতিক্রান্ত হলেও স্থগিত হওয়া ‘বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০২৪’ ঘোষণা করতে পারেনি একাডেমি। মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় নির্বাহী কমিটির বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও তা অনুষ্ঠিত হয়নি বলে জানা গেছে। এছাড়াও, পুরস্কার সংক্রান্ত দায়িত্ব থেকে নিজেকে সরিয়ে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন জুরি বোর্ডের সদস্য মোরশেদ শফিউল হাসান।
পুরস্কারের প্রথম ঘোষিত তালিকায় যাদের নাম ছিল, তাদের মধ্যে কথাসাহিত্যিক সেলিম মোরশেদ ইতোমধ্যে পুরস্কার প্রত্যাখানের ঘোষণা দিয়েছেন।
২০১৭ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছিলেন মোরশেদ শফিউল হাসান। এবারের পুরস্কার কমিটিতে জুরি বোর্ডের সদস্য ছিলেন তিনি। পুরস্কার নিয়ে সাম্প্রতিক নানা ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এখন ‘বিব্রত’ বোধ করছেন বলে গণমাধ্যমকে জানান তিনি।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ‘বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০২৪’-এর জন্য মনোনীত ব্যক্তিদের নাম ঘোষণা করে বাংলা একাডেমি।
পুরস্কারের জন্য মনোনীত ব্যক্তিরা হলেন– কবিতায় মাসুদ খান, কথাসাহিত্যে সেলিম মোরশেদ, নাটক ও নাট্যসাহিত্যে শুভাশিস সিনহা, প্রবন্ধ-গদ্যে সলিমুল্লাহ খান, শিশুসাহিত্যে ফারুক নওয়াজ, অনুবাদে জি এইচ হাবীব, গবেষণায় মুহম্মদ শাহজাহান মিয়া, বিজ্ঞানে রেজাউর রহমান, মুক্তিযুদ্ধে মোহাম্মদ হাননান এবং ফোকলোরে সৈয়দ জামিল আহমেদ।
পরে পুরস্কারের তালিকায় থাকা কারও কারও সম্পর্কে ‘কিছু অভিযোগ’ আসায় শনিবার (২৫ জানুয়ারি) বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার স্থগিত করা হয়। এরপর রোববার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে বাংলা একাডেমির সামনে বিক্ষোভ জানায় ‘বিক্ষুব্ধ কবি-লেখক সমাজ’ ও ‘জাতীয় সাংস্কৃতিক বিপ্লব’ নামের দুটি প্লাটফর্ম। তারা বাংলা একাডেমির আমূল সংস্কার, পুরস্কার ‘কেলেঙ্কারি’তে জড়িতদের শাস্তির দাবি জানান।
এরপর স্থগিত হওয়া ‘বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০২৪’ প্রত্যাখ্যানের সিদ্ধান্ত নেন কথাসাহিত্যিক সেলিম মোরশেদ। আর এখন এলো জুরি বোর্ড সদস্যের দায়িত্ব থেকে নিজেকে সরিয়ে নেয়ার খবর।
শিল্পকলা একাডেমির নতুন মহাপরিচালক সৈয়দ জামিল আহমেদ
