অর্থ - বানিজ্য

ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে চিঠি দিয়েছেন ব্যাংকটির শতাধিক কর্মকর্তা। আজ বৃহস্পতিবার তাঁরা বাংলাদেশ ব্যাংকে গিয়ে এই চিঠি জমা দেন। চিঠিতে বলা হয়েছে, পরিচালনা পর্ষদ ও কতিপয় অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে ব্যাংকের তহবিল লুটপাটের যে তথ্য গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, বাস্তব অবস্থা এর চেয়েও ভয়াবহ। দীর্ঘদিন লুটপাটের ধারা অব্যাহত থাকার কারণে ব্যাংকের স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনা করা কঠিন হয়ে পড়েছে। ব্যাংকটির প্রতি গণমানুষের আস্থার সংকট দেখা দিয়েছে। এ জন্য তাঁরা দ্রুত পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠনের দাবি জানান।

চিঠিতে বলা হয়েছে, ইসলামী ব্যাংকের হারানো গৌরব পুনরুদ্ধার, ব্যাংকের সব অংশীদারদের স্বার্থ রক্ষা, তাঁদের আস্থা ফিরিয়ে আনা এবং ব্যাংকের স্বাভাবিক কার্যক্রম পুনরায় চালু করার জন্য ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিতে হবে। এ ছাড়া সৎ ও দুর্নীতিমুক্ত, ইসলামী ব্যাংকের প্রতি সহানুভূতিশীল বিজ্ঞ ব্যক্তিবর্গ অথবা প্রয়োজনে সাবেক পরিচালকদের থেকে কিছু ব্যক্তির সমন্বয়ে পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠনের দাবি জানানো হয় চিঠিতে।

বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) পরিচালক শোভন ইসলাম বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস নিজেই একটি ব্র্যান্ড। তিনি আসায় বিদেশি ক্রেতারা আস্থা ফিরে পেয়েছে।

আজ বুধবার (১৪ আগস্ট) দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ কথা বলেন বিজিএমইএ পরিচালক।

তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে। আমরা এনার্জি ক্রাইসিস (শক্তি সংকট), লিকুইডিটি ক্রাইসিস (তারল্য সংকট)- এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। কীভাবে ক্রয় ও রফতানি আদেশ আরও বাড়ানো যায়, আমরা তা নিয়ে চেষ্টা করছি।

বিজিএমইএ’র পরিচালক বলেন, আমাদের দাবিদাওয়া অল্প ছিল। মূলত ড. ইউনূসের ওপর আস্থা জ্ঞাপন করতেই তার সঙ্গে আমাদের দেখা করা। এক মাসের বেতন ও অর্থনৈতিক কিছু ব্যাপারে আলোচনা অমীমাংসিত রয়েছে বলে জানান তিনি।

শোভন ইসলাম বলেন, আমরা তাকে একটি টাস্কফোর্স গঠন করতে বলেছি। যাতে আমাদের শিল্পের সব সমস্যার সমাধান হয়। তারল্য সংকট নিরসনে তার সাহায্য চাওয়া হয়েছে। ড. ইউনূস আমাদের আশ্বস্ত করেছেন– তিনি তার সাধ্যমতো করবেন।

অর্থ ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, দুর্নীতি ও অর্থপাচারের বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে। সবকিছু নজরে আছে সরকারের। আজ বুধবার (১৪ আগস্ট) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, খাদ্য উৎপাদন ও সরবরাহ নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। মূল্যস্ফীতি এখনই চট করে কমবে না। তবে যুগ যুগ সময়ও লাগবে না। মানুষের কষ্ট লাঘব করতে চাই আমরা।

তিনি আরও বলেন, এরইমধ্যে স্বব্জির দাম কমেছে। ব্যবসা বাণিজ্য সঠিক পথে আনতে হবে। বাজারে যে সিন্ডিকেট রয়েছে, সে বিষয়ে সরকার অবগত বলে জানান তিনি।

সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, খাদ্য উৎপাদন ও সরবরাহে জোর দেয়া হবে এখন থেকে। মুদ্রাস্ফীতি ও রাজস্ব আদায় নিয়ে সমন্বিতভাবে কাজ করা হবে। পলিসি বাস্তবায়ন করা হবে।

তিনি বলেন, ‘আমরা যতোটুকু খেতে পারবো, প্লেটে ততোটুকুই খাবার নেবো’।

গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুরকে বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন গভর্নর নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। তিনি সদ্য পদত্যাগ করা সাবেক গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের স্থলাভিষিক্ত হবেন।

ড. আহসান এইচ মনসুর ব্র্যাক ব্যাংকের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে রয়েছেন। মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

গত শুক্রবার (৯ আগস্ট) বিকেলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার পদত্যাগ করেন। এর আগে ৭ আগস্ট কেন্দ্রীয় ব্যাংকে নজিরবিহীন বিক্ষোভ হয়। ওইদিন বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ ব্যাংকের চার ডেপুটি গভর্নর। তারা হলেন– কাজী সাইদুর রহমান, খুরশীদ আলম, হাবিবুর রহমান ও নুরুন নাহার।

প্রসঙ্গত, ড. আহসান এইচ মনসুর ১৯৭৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক সম্পন্ন করেন। পরের বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। তিনি ১৯৭৭ সালে ম্যাকমাস্টার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। আর ১৯৮২ সালে ওয়েস্টার্ন অন্টারিও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করেন।

ড. মনসুর ১৯৮১ সালে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলে (আইএমএফ) যোগদান করেন। তিনি ১৯৮৩ থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের ফিসকাল অ্যাফেয়ার্স বিভাগে কাজ করেছেন।

এরপর ১৯৮৯ সালে তৎকালীন অর্থমন্ত্রী ওয়াহিদুল হকের অর্থ উপদেষ্টা নিযুক্ত হন এবং ১৯৯১ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৯৬ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের মধ্যপ্রাচ্য ও মধ্য এশিয়া বিভাগে দায়িত্ব পালন করেন।

গত ১৫ বছরে, ২৪টি বড় ব্যাংকিং অনিয়মে ৯২ হাজার ২৬১ কোটি টাকা হাতছাড়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। সোমবার (১২ আগস্ট) সকালে নিজস্ব কার্যালয়ে ‘ব্যাংকিং খাতে সুশাসন ফিরিয়ে আনতে করণীয়’ বিষয়ক এক ব্রিফিংয়ে একথা বলেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন।

সিপিডি জানায়, ২০০৮ থেকে ২০২৩, এই ১৫ বছরে বড় বড় অনিয়ম হয়েছে। তখন বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতছাড়া হয়েছে। যা চলতি অর্থবছরের বাজেটের ১২ শতাংশ। অনিয়মের সাথে জড়িতদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানায় সিপিডি।

সিপিডি আরও জানায়, অনেক ব্যাংক এখন ‘ক্লিনিক্যালি ডেড’। প্রণোদনা দিয়ে বাঁচিয়ে রাখা হয়েছে। যেসব ব্যাংক দেউলিয়া হবার পথে, সেগুলোকে বন্ধ করে দেয়ার সুযোগ দিতে হবে। এ অবস্থায় ব্যাংকিং কমিশন গঠনের প্রস্তাবও দিয়েছে, গবেষণা সংস্থাটি।

সংস্থাটি বলছে, জনগণের টাকায় দুর্বল ব্যাংকের তহবিল যোগান বন্ধ করতে হবে। বিগত সময়ে, ব্যাংকিং খাতে ঋণ পাবার যোগ্যতা বিবেচিত হয় রাজনৈতিক পরিচয় থেকে। এখান থেকে সরে আসা প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করে সিপিডি।

রাজধানী ঢাকার মেট্রোরেল চালুর নির্দেশনা পেয়েছে কর্তৃপক্ষ। আগামী শনিবার থেকে যাত্রী নিয়ে মেট্রোরেল চলাচল শুরু হবে। তার আগে এখন মেট্রোরেল ব্যবস্থার নানা দিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।

ঢাকায় মেট্রোরেল নির্মাণ ও পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। সংস্থাটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক বলেন, যাত্রী নিয়ে মেট্রোরেল চলাচলে সর্বোচ্চ সাত দিন সময় লাগতে পারে। তবে এর আগেও চালু হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তিনি বলেন, নিরাপত্তাসংক্রান্ত কিছু প্রক্রিয়া শেষ করে যাত্রী নিয়ে মেট্রোরেল চলাচল শুরু হবে।

সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, আজ রোববার বিকেলে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সচিবদের বৈঠক হয়। এতে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী মেট্রোরেল চলাচলের বিষয়টি তুললে দ্রুত তা চালুর নির্দেশনা দেন প্রধান উপদেষ্টা। আগামী শনিবার যাত্রী নিয়ে মেট্রোরেল চলাচল শুরু করবে।

ডিএমটিসিএল সূত্র বলছে, মেট্রোরেল পুনরায় চালুর সর্বাত্মক প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। প্রথম ধাপ হিসেবে আজ সংশ্লিষ্টরা হেঁটে হেঁটে পুরো মেট্রোরেলের পথ পরীক্ষা করেছেন। আগামীকাল সোমবার নিরাপত্তাসংক্রান্ত বিষয়গুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হবে। আগামী মঙ্গলবার যাত্রীবিহীন (ব্ল্যাঙ্ক) ট্রেন পরিচালনা শুরু হতে পারে। যাত্রী ছাড়া কয়েক দিন মেট্রোরেল চালানো হবে। এরপরই যাত্রী নিয়ে চলাচল শুরু হবে। কারণ, মেট্রোরেলের জন্য আলাদা পুলিশ রয়েছে। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পুলিশ এখনো পুরোদমে কাজে যোগ দেয়নি। যাত্রী নিয়ে চলাচল শুরুর আগে পুলিশের উপস্থিতিও নিশ্চিত করতে হবে।

মেট্রোরেলে যাত্রী নিয়ে চলাচল শুরু করলেও মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশনে থামবে না। আন্দোলনের সময় এই দুটি স্টেশন ভাঙচুরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত বাকি ১৪টি স্টেশনে যাত্রী ওঠা-নামা করতে পারবেন বলে ডিএমটিসিএল সূত্র জানিয়েছে।

গত ১৮ জুলাই মিরপুর–১০ নম্বর গোলচত্বরে পুলিশ বক্সে অগ্নিসংযোগ করা হলে ওই দিন বিকেল পাঁচটায় মেট্রোরেলের চলাচল বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। এর পরদিন মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশনে ভাঙচুর করা হয়।

ডিএমটিসিএলের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশন বন্ধ রেখে বাকি স্টেশনের মধ্যে মেট্রোরেল চালাতে কোনো সমস্যা নেই। কারণ, মেট্রোরেলের লাইন, কোচ, সংকেত ও বিদ্যুৎ–ব্যবস্থা এবং কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা সবই অক্ষত আছে। সরকার পরিবর্তনের কারণে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আত্মগোপনে চলে গেছেন। ফলে মেট্রোরেল চালানোর বিষয়ে কোনো নির্দেশনা পায়নি কর্তৃপক্ষ। আজ সেই নির্দেশনা পাওয়া গেছে।

চালুর পর থেকেই মেট্রোরেল জনপ্রিয় গণপরিবহন হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। বন্ধ হওয়ার আগে মতিঝিল থেকে মেট্রোরেলের সর্বশেষ ট্রেন ছাড়ত রাত ৯টা ৪০ মিনিটে। আর উত্তরা উত্তর থেকে মতিঝিলের পথে সর্বশেষ ট্রেন ছেড়ে যেত রাত ৯টায়। সারা দিনে প্রায় ২০০ বারের মতো মেট্রোরেল চলাচল করে। যাত্রী যাতায়াত করে তিন লাখের মতো।

অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ইসলামী ব্যাংকে গোলাগুলি সম্পর্কে তিনি জেনেছেন। যারা এর সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক এই মুহূর্তে তাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। গভর্নর নিয়োগ নিয়ে এখনই কিছু বলতে চান না তিনি। তবে পেমেন্ট সিস্টেমসহ আরও যেসব কাজ আছে সেগুলো রুল অফ বিজনেস অনুযায়ী চলবে। গভর্নর কে হবে তা সামনে দেখা যাবে।

সালেহউদ্দিন বলেন, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের কোনো কাজ ফেলে না রেখে দ্রুত শেষ করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এর আগে, রোববার (১১ আগস্ট) ঢাকার মতিঝিলের দিলকুশায় ইসলামী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন পাঁচজন। তাদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা গুরুতর।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ইসলামী ব্যাংকের কর্মীরা আন্দোলন করছিলেন। এ সময় তাদের ওপর গুলি চালায় দুর্বৃত্তরা। এতে তিনজন গুলিবিদ্ধ হন। পরে উপস্থিত কর্মকর্তারা ধাওয়া দিলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।

এবার পদত্যাগ করলেন শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব বরাবর শনিবার (১০ আগস্ট) তিনি ইমেইলে পদত্যাগপত্র পাঠান।

গণমাধ্যমকে বিষয়টি তিনি নিজেই নিশ্চিত করেছেন। এর আগে, শুক্রবার (৯ আগস্ট) রাতে পদত্যাগ করেন বাংলাদেশ গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার। তার একদিন পরেই বিএসইসি চেয়ারম্যান পদত্যাগের সিদ্ধান্তের কথা জানালেন।

গত ২৮ এপ্রিল সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর বিরোধীতা সত্যেও চলতি বছরের ২৮ মে তাকে ৪ বছরের জন্য পুনঃনিয়োগ দেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে ২০২০ সালের ১৭ মে তাকে প্রথমবার বিএসইসির চেয়ারম্যান করা হয়।

চলমান ছাত্র আন্দোলনের কারণে দেশের সব তৈরি পোশাক কারখানা বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ।  রোববার বিজিএমইএ থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজিএমইএর সভাপতি এস এম মান্নান কচি স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উদ্ভূত পরিস্থিতি বিবেচনায় শ্রমিক কর্মচারী ভাইবোনদের সার্বিক নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সারা দেশের সব পোশাক শিল্প কারখানা বন্ধ রাখার জন্য মালিকদের প্রতি অনুরোধ করা হলো।

এর আগে এক দফা দাবিতে রোববার শিক্ষার্থীদের ডাকা অসহযোগ আন্দোলনের গাজীপুরসহ দেশের গার্মেন্টস অধ্যুষিত এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

সাভারের আশুলিয়ায় পাঁচটি পোশাক কারখানায় আগুন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে যাওয়ার চেষ্টা করলেও আন্দোলনকারীদের বাধার মুখে পড়েন। রোববার (৪ আগস্ট) বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আগুন লাগা কারখানাগুলো হলো- জিরানী এলাকার হামিম গোডাউন, সিনহা টেক্সটাইল, বেক্সিমকো টেক্সটাইল, ডরিন টেক্সটাইল ও বেঙ্গল গ্রুপের কারখানা। 

এর মধ্যে কয়েকটি কারখানার আগুন স্থানীয়ভাবে নেভানো হলেও বেক্সিমকো ও বেঙ্গল গ্রুপের কারখানায় এখনো আগুন জ্বলছে বলে জানা গেছে।

জিরাবো ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন ম্যানেজার আবু সায়েম মাসুম বলেন, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট হামিমের গোডাউনে পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু আন্দোলনকারীরা ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ফিরিয়ে দিয়েছে। এছাড়া বাইপাইল মোড়ে আরএস টাওয়ারে অগ্নিসংযোগ করেছে বলে জানতে পেরেছি।

ডিপিজেড ফায়ার সার্ভিসের ফায়ার ফাইটার জুবায়েদ বলেন, জিরানী এলাকার সিনহা টেক্সটাইল, বেক্সিমকো, ডরেন ও জিরাবো এলাকায় হামিম গার্মেন্টসের গোডাউনে অগ্নি সংযোগের খবর এসেছে। আমরা সিনহা টেক্সটাইলে যাওয়ার পথে আন্দোলনকারীরা গাড়ি ভাঙচুর করেছে। এ সময় আমাদের ফায়ার সার্ভিসের এক সদস্যকে মারধর করেছে তারা। পুলিশের নিরাপত্তা ছাড়া আমাদের কাজ করা সম্ভব নয়। 

ডিইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন ম্যানেজার প্রণব চৌধুরী বলেন, আমাদের ফায়ার স্টেশনে একটির পর একটি আগুনের খবর এসেছে। কিন্তু আমরা কোথাও যেতে পারিনি। রাস্তায় আন্দোলনকারীরা বাধা দিয়েছে। এখনও বেঙ্গল ও বেক্সিমকো গ্রুপের কারখানায় আগুন জ্বলছে। প্রাথমিকভাবে ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।

আশুলিয়া শিল্প পুলিশের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সারোয়ার আলম বলেন, দুষ্কৃতকারীরা রাস্তার পাশে যেদিক দিয়ে যাচ্ছে সেদিক দিয়ে দোকান-পাট ও কারখানায় লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করেছে। আশুলিয়া থানা, পুলিশ ফাঁড়ি, ট্রাফিক বক্স ও আমাদের লাইনে হামলা করেছে। আমরা কোনো কিছুই করতে পারছি না, শুধু লোকাল সোর্সের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করছি।

সম্পাদক ও প্রকাশক : মঈনুদ্দিন কাজল
deshermatidaily@gmail.com
০১৬১৫১১২২৬৬, ০১৬৭৩৫৬২৭১৬

দেশের মাটি কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।