অর্থ - বানিজ্য

ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনার আহ্বান জানিয়ে দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে চিঠি পাঠিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। স্থানীয় সময় শুক্রবার (৭ মার্চ ) ফক্স বিজনেস নেটওয়ার্কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প জানান, তিনি ইরানের নেতাদের উদ্দেশ্যে চিঠি পাঠিয়েছে।

তিনি বলেন, ‘আমি বলেছি, আশা করি আপনি আলোচনায় বসবেন, কারণ এটি ইরানের জন্য ভালো হবে।’ 

একই চিঠিতে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, আলোচনায় বসতে অস্বীকৃতি জানালে বিষয়টিতে সরাসরি হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য হবে যুক্তরাষ্ট্র। এ অবস্থায়, তেহরানের কল্যাণে সমঝোতাই যুক্তিসঙ্গত হবে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
 
যদিও ট্রাম্পের এই দাবি অস্বীকার করেছে জাতিসংঘে ইরানের স্থায়ী মিশন। তারা জানায়, এমন কোনো চিঠির বিষয়ে অবগত নন তারা।

এর আগে, ফেব্রুয়ারি মাসে আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেন, ইতিহাস সাক্ষী যে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার টেবিলে বসলে তা ইরানের জন্য কোনো সুফল বয়ে আনবে না।

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর সীমান্তে কয়লা চোরাচালানে জড়িয়ে পড়ছে স্থানীয় শিশুরা। সরেজমিন ওই এলাকার স্কুলের খোঁজ নিয়ে জানা গেছে এলাকার প্রায় অর্ধেক ছাত্র এমন কাজে জড়িত। লেখাপড়ার বদলে টাকা উপার্জনের দিকেই তাদের মনোযোগ। আর, সেটা তারা করছে অবৈধভাবে। দুর্গম হওয়ায় প্রশাসনের নরজদারিও তেমন নেই।

তাহিরপুর এলাকাটির যোগাযোগ ব্যবস্থা তেমন ভালো নয়। এখানকার মানুষের লেখাপড়ার চেয়ে জীবিকা নির্বাহ করাই প্রধান লক্ষ্য। বাসিন্দাদের একটা বড় অংশ পার্শ্ববর্তী ভারত থেকে চোরাই পণ্য আনার সাথে জড়িত।

স্থানীয় স্কুল টেকেরঘাট চুনাপাথর খনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অনেক ছাত্র চোরাচালানে জড়িয়ে পড়েছে। এক শিক্ষার্থীর দীর্ঘদিন স্কুলে না আসার কারণ জানতে চাওয়া হয় প্রধান শিক্ষক হালিমা বেগমের কাছে। তিনি বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ছাত্রদের উপস্থিতি কম। স্কুলে আসলেও টিফিনের পর তারা উপস্থিত থাকে না।

এ ব্যাপারে অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলেও তেমন একটা প্রতিকার পাননি বলেও জানান, প্রধান শিক্ষক। শিক্ষার্থীরা স্কুলে না আসার ব্যাপারটি অভিভাবকরা জানে বলেও দাবি করেন তিনি। বলেন, কাছেই পাহাড় হওয়ায় স্কুল ফাঁকি দিয়ে পাহাড়ে চলে যায় ছাত্ররা।

স্কুল থেকে বেরিয়ে পাহাড়ি পথে সেই শিক্ষার্থীর খোঁজ নিতে যায় যমুনা টেলিভিশন। দেখা যায় মাথায় কয়লা ভর্তি বস্তা নিয়ে ফিরছে সেই ছাত্র।

সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে সীমান্তে এই শিশুর মত শত শত শিশু এমন অপরাধমূলক কাজে জড়িয়ে গেছে। মূলত ভারতের খনি থেকে চোরাই পথে কয়লা আনার কাজ করে তারা। মাঝেমধ্যে শিক্ষকরা ধরে এনে ক্লাসে বসালেও, তাতে কাজ হয় না।

এ ব্যাপারে কারণ ব্যাখ্যা করেন শিশুদের নিয়ে কাজ করা ভারতীয় সমাজকর্মী হাসিনা খারবাহি। তিনি বলেন, এখানে খনিগুলোতে লোভনীয় পারিশ্রমিকে কাজ করে ভারতীয় ও নেপালি শিশুরা। বিভিন্ন সময়ে খনিতে দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে বহু শিশু। এসব ঘটনা মিডিয়াতে আসে না বলেও জানান তিনি।

সীমান্তে নজরদারির অভাবের অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। তবে বিজিবি জানায়, সীমান্তে নজরদারি অব্যাহত আছে।

২৮ বিজিবির সিও লে. কর্নেল এ কে এম জাকারিয়া কাদির বলেন, বাহিনী সার্বক্ষণিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে যেন কেউ অবৈধভাবে ভারতের অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে না পারে। সীমান্তে সচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি বিভিন্ন জীবিকা নির্বাহের সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

২০২৫ সালের সরকারি জরিপ বলছে, এই টেকেরহাট নামের গ্রামটিতে শিশুর সংখ্যা ৫৬৮ জন। ২০৬ জন স্কুলে গেলেও বাকিরা যায় না।

পূর্বঘোষিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এবার কানাডা-মেক্সিকোর ওপর ২৫ শতাংশ বর্ধিত শুল্কারোপ কার্যকর করলো যুক্তরাষ্ট্র। অন্যদিকে, এক মাস যেতে না যেতেই আবারও চীনের ওপর ১০ শতাংশ শুল্কারোপ ওয়াশিংটনের। বিপরীতে পাল্টা ব্যবস্থা নিয়েছে দেশগুলো। পাল্টাপাল্টি শুল্কারোপে এখন অনেকটাই উত্তপ্ত বিশ্ব অর্থনীতি।

বিশ্লেষকদের মতে, বাণিজ্য অংশীদারদের চাপে ফেলতে ট্রাম্প শুল্কোরোপ করলেও তাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বিশ্ব অর্থনীতিতে। ওয়াশিংটন দেশীয় উৎপাদন বাড়ানো এবং নতুন কর্মসংস্থান তৈরির কথা বললেও তাতে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে যুক্তরাষ্ট্রই। বিশ্ব অর্থনীতিতে তৈরি হতে পারে নতুন মেরুকরণ। সৃষ্টি হতে পারে নতুন বাজার।

সাপ্লাই চেইন বিশেষজ্ঞ ক্যামেরন জনসন বলেন, পাল্টাপাল্টি শুল্কারোপে বিশ্ব বাণিজ্যে নতুন মেরুকরণ সৃষ্টি হচ্ছে। ইউরোপীয় দেশগুলো চীনসহ জাপান-অস্ট্রেলিয়ার মতো মার্কিন মিত্রদের কাছে যাওয়ার চেষ্টা করছে। চীনও তাদের বাজারে সুযোগ দিয়ে দেশগুলোর দিকে ঝুকছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যেটা তা হলো- বিশ্ব বাণিজ্য আর আগের মতো নেই।

বিশ্লেষকদের ধারণা, এমন সিদ্ধান্তের ফলে আবারও মুল্যস্ফীতি দেখা দিতে পারে যুক্তরাষ্ট্রে। ক্যামেরন জনসন এ প্রসঙ্গে আরও বলেন, আমরা বাণিজ্য যুদ্ধের মধ্যে আছি। যুক্তরাষ্ট্র তার শুল্কনীতি ব্যবহার করে দরকষাকষির সুযোগ বাগিয়ে নিচ্ছে। বিশেষত তার মিত্রদের কাছে। কেননা, ওয়াশিংটন মনে করে এই দেশগুলোর কারণেই তারা পিছিয়ে পড়ছে।

প্রতিবেশী কানাডা এবং মেক্সিকোকে যুক্তরাষ্ট্রের দুই শীর্ষ বাণিজ্যিক অংশীদার হিসেবে দেখা হয়ে থাকে। দেশটির বাণিজ্যকৃত মোট পণ্যের ৩০ শতাংশই আমদানি-রফতানি হয় দু’দেশে। পরিসংখ্যান বলছে, যার পরিমাণ আনুমানিক এক দশমিক ৬ ট্রিলিয়ন ডলারেরও বেশি। অন্যদিকে, কৃষিজাত পণ্য রফতানিতে চীনের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল যুক্তরাষ্ট্র।

রোজায় পণ্যের সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি জানান, কোনোভাবেই যেনো নিত্যপণ্যের দাম না বাড়ে, সেজন্য কাজ করছে সরকার। মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে এ সব কথা বলেন তিনি।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, বাজেট নির্ধারিত সময় হবে। এ বিষয়ে দেশের অর্থনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, দোকান মালিক সমিতিসহ প্রধান প্রধান স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে ব্যবসায়ীরা উদ্বিগ্ন। তাদের নিরাপত্তা না দিলে বিনিয়োগ বাড়বে না।

২৯ মিলিয়ন ডলার অর্থের বিষয় নিয়ে তিনি আরও বলেন, এটি এনজিও ব্যুরো খতিয়ে দেখতে পারে। তার প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নেবে অর্থ মন্ত্রণালয়। দেশের স্বার্থে যেকোনো উন্নয়নে ফান্ড আসতেই পারে। বড় বিষয় হলো কোন উদ্দেশ্যে সেই টাকা আনা হয়েছে, সেটি খতিয়ে দেখা। ভবিষ্যতে যাতে দেশের স্বার্থবিরোধী কোনো কাজে অর্থ না আসে, সেটি নিয়ন্ত্রণ করা হবে।

তিস্তা ব্রিজ থেকে গণপদযাত্রা শুরু হয়েছে। নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় এবং তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতেই এ পদযাত্রা। যেটি মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) লালমনিরহাট প্রান্ত থেকে শুরু হয়ে রংপুরের কাউনিয়া বাজারে গিয়ে শেষ হবে।

আজ তিস্তা অববাহিকার ১১টি পয়েন্টে জড়ো হয়েছেন রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা। নদী বাঁচানোর এই আন্দোলনে শামিল আছেন স্থানীয় কৃষক-শ্রমিকসহ হাজারও মানুষ।

তাদের দাবি, বিচ্ছিন্নভাবে নয় অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ই শুরু করতে হবে তিস্তা মহাপরিকল্পনার কাজ। পাশাপাশি তিস্তার ন্যায্য হিস্যা চুক্তি বাস্তবায়নে বাধ্য করতে হবে ভারতকে।

আয়োজকরা জানান, আন্তর্জাতিকভাবে তিস্তার ক্ষতবিক্ষত পরিস্থিতি তুলে ধরতেই এ উদ্যোগ। এর মাধ্যমে ভারতকে চুক্তি বাস্তবায়নে চাপ প্রয়োগ করা যাবে।

আজ সন্ধ্যায় ‘জাগো বাহে, তিস্তা বাঁচাই’ কর্মসূচির শেষদিনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে উত্তরাঞ্চলবাসীর উদ্দেশে বক্তৃতা দেয়ার কথা রয়েছে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের।

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পৃথিবীর বিভিন্ন শহরে দিন দিন বাড়ছে বায়ুদূষণ। দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণের কবলে ঢাকাও। আজ সাপ্তাহিক কর্মদিবসের প্রথম দিন রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকালেও শহরটির বাতাস ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় রয়েছে। বিশ্বের ১২৪টি শহরের মধ্যে সকাল ৭টায় রাজধানী ঢাকার অবস্থান তৃতীয় স্থানে।

আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের তথ্যানুযায়ী, ২২৪ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষে অবস্থানে রয়েছে ঢাকা।

দূষিত বায়ুর শহর হিসেবে প্রথম অবস্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি, স্কোর ৩৩১। যা ওই শহরে বসবাসকারীদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা পাকিস্তানের লাহোরের স্কোর ২৭৬। বাংলাদেশের স্কোর অনুযায়ী ঢাকা ও পাকিস্তানের বাতাস এ অঞ্চলের বাসিন্দাদের জন্য খুব অস্বাস্থ্যকর।

প্রসঙ্গত, ১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে বাতাসের মান ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’, ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়, ৩০১+ একিউআই স্কোরকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)। দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।

দেশে কমলার কেজি আড়াইশ থেকে তিনশ টাকা। আমদানি মূল্য ১০০ থেকে ১২০ টাকা। অথচ ‘মদিনা ডেটস অ্যান্ড নাটস’ এই কমলার আমদানি মূল্য দেখিয়েছে সাড়ে ৭ ডলার বা প্রায় আট’শ টাকা। আন্তর্জাতিক বাজারে তখন কমলার দর সর্বোচ্চ দুইশ টাকা। এটির মালিক এবিবি ও নাসা গ্রুপের সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদারের জামাতা মোজাম্মেল হোসেন। প্রতিষ্ঠানটি দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ৩২ হাজার কেজি কমলার আমদানি মূল্য দেখায় ২ লাখ ৪০ হাজার ডলার। অস্বাভাবিক দাম দেখিয়ে অর্থ পাচার করা হয়েছে বলে সন্দেহ আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিটের (বিএফআইইউ)।

নাসা গ্রুপের সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদারের অর্থপাচার ও ঋণ অনিয়ম নিয়ে ধারাবাহিক প্রতিবেদন।

জানা গেছে, আমদানি-রফতানির আড়ালে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার করেছেন, নজরুল ইসলাম মজুমদার। ধর্মীয় লেবাস নিয়ে চলাফেরা করলেও জালিয়াতির সম্ভাব্য সব পন্থা তিনি ব্যবহার করেছেন বলে ধারণা বিএফআইইউ’র। কোনো ক্ষেত্রে আমদানি মূল্য দেখিয়েছেন অনেক বেশি; কোনো ক্ষেত্রে অনেক কম। আবার রফতানি দেখালেও টাকা আনেননি দেশে। ব্যক্তিগত প্রভাবে করা এসব অপরাধের শাস্তি হওয়া জরুরি বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

যমুনার অনুসন্ধানে জানা গেছে, নজরুল ইসলাম মজুমদারের জামাতার প্রতিষ্ঠান মদিনা ডেটসের বিক্রয়কেন্দ্র আছে। কিন্তু ট্রেড লাইসেন্সে দেয়া ঠিকানায় নেই তাদের প্রধান কার্যালয়। এ বিষয়ে নাসা গ্রুপের প্রধান কার্যালয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করেও সাড়া পাওয়া যায়নি।

বিষয়টি নিয়ে অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নুরুল আমিন বলেন, আমদানির জন্য যখন বেশি মূল্য দেখানো হয়, তখন দুটো উদ্দেশ্য থাকে। সেগুলো হলো— ট্যাক্স ফাঁকি দেয়া ও অর্থ পাচার করা। নিয়মের বাইরে যে টাকাটা যাবে বা আসবে সেটাই মানি লন্ডারিং।

অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু নাসের রখতিয়ার আহমেদ বলেন, এটিও ফৌজদারী অপরাধ। নিয়মের বাইরে যেটি হয়েছে, সেগুলোর খোঁজ নিয়ে তদন্ত করা দরকার। এরপর বিধি মোতাবেক ব্যবস্থাও নিতে হবে বলে মত তার।

এদিকে, খেঁজুর আমদানিতে ঘটানো হয়েছে কমলার উল্টো ঘটনা। মদিনা ডেটস অ্যান্ড নাটস দুবাইভিত্তিক কোম্পানি থেকে খেঁজুর আমদানি করে ৩ লাখ ১৩ হাজার ডলারের। প্রতিকেজির দাম দেখিয়েছে, আধা ডলার বা ৫০ থেকে ৬০ টাকা। অথচ তখন আন্তর্জাতিক বাজারে খেঁজুরের দাম দুইশ টাকার বেশি।

এ বিষয়ে এক আমদানিকারক যমুনা টেলিভিশনকে বলেন, খেজুরের দাম মানের ওপর নির্ভর করে। কোনোটির দাম ৩০০ টাকা থেকে শুরু করে ৬০০ টাকা কেজি দরে কিনতে হয়।

একই ধরনের অনিয়ম করেছে নাসা গ্রুপের ফ্লেমিংগো। তারা সাড়ে ৬ লাখ কেজি খেঁজুরের আমদানি মূল্য দেখিয়েছে ৪ লাখ ৫৫ হাজার ডলার। প্রতিকেজি দশমিক ৭ ডলার বা ৭৭ থেকে ৯০ টাকা। কম দাম দেখিয়ে বাকি টাকা পাঠানো হয়ে থাকতে পারে হুন্ডিতে। ফ্লেমিংগোর ঋণপত্র ছিল ১৩টি। দাম দেখানো হয় ৩৫ লাখ ডলার।

নজরুল ইসলাম মজুমদারের একটি প্রতিষ্ঠানের নাম ফিরোজা গার্মেন্টস। ২০১২ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত তারা রফতানি আদেশ পায় ১১৯ কোটি ৮২ লাখ ডলারের। এরমধ্যে, ১১৮ কোটি ৬৬ লাখ ডলার দেশে এলেও আসেনি বাকি ১১ লাখ ৫৫ হাজার ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ১৪ কোটি টাকা। এ অর্থ পাচার করা হয়েছে বলে ধারণা আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থার।

বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) সাবেক মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমেদ চৌধুরী বলেন, রফতানি হয়েছে কিন্তু সেই অর্থ দেশে আসেনি। এটি তো আরও বড় ধরনের অপরাধ। এগুলো তদন্ত হওয়া দরকার। তিনি কোন কোম্পানির কাছে রফতানি করেছেন, তার সাথে কোম্পানিগুলোর যোগসাজশ আছে কিনা সেসব খোঁজ নিতে হবে।

অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু নাসের রখতিয়ার আহমেদ বলেন, এমন জালিয়াতি একা করা সম্ভব নয়। তার সাথে সহায়ক হিসেবে যারা ছিল তারা নিশ্চয় সহায়তা করেছে। রাজনৈতিক নেতা, যাদের নজরদারি করার কথা কিংবা ব্যাংক সবারই এখানে সম্পৃক্ততা থাকতে পারে।

বিএফআইইউর রিপোর্টে বলা হয়েছে, ফিরোজা গার্মেন্টস যে পণ্য ১৭ ডলারের বেশি দরে রফতানি করছিল, মাত্র চার মাস পর একই পণ্য একই কোম্পানির কাছে রফতানি করেছে মাত্র ৬ ডলার দরে। যেটি সন্দেহজনক।

কুকুরের মাংস নিষিদ্ধের পর দক্ষিণ কোরিয়ায় বন্ধ হচ্ছে কুকুরের খামার। দেশটির সরকার জানিয়েছে, ২০২৭ সালের মধ্যে এই বাণিজ্য পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হবে। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে তুরস্কের সংবাদমাধ্যম আনাদুলু এজেন্সি এ তথ্য জানায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় সময় রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) দক্ষিণ কোরিয়ার কৃষি, খাদ্য ও গ্রামীণবিষয়ক মন্ত্রণালয় জানায়, এরই মধ্যে ৪০ শতাংশ কুকুরের মাংস খামার স্বেচ্ছায় বন্ধ হয়ে গেছে।

২০২৪ সালের জানুয়ারিতে দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় সংসদ কুকুর প্রজনন, জবাই ও বিতরণসংক্রান্ত বিশেষ আইন পাস করে। এরই ধারাবাহিকতায় গত আগস্ট থেকে সরকার কুকুরের মাংস ব্যবসায়ীদের ব্যবসা বন্ধের জন্য উৎসাহিত করতে শুরু করে।

সরকার আশা করছে, ২০২৪ সালের শেষ নাগাদ আরও ৯৩৮টি খামার বন্ধ হয়ে যাবে, যা মোট খামারের প্রায় ৬০ শতাংশ।

কোরিয়ার সরকার ২০২৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে নতুন আইন কার্যকর হওয়ার আগে পুরোপুরি কুকুরের মাংস-বাণিজ্য বন্ধ করতে চায়। এ লক্ষ্যে ব্যবসায়ীদের স্বেচ্ছায় খামার বন্ধ করতে উৎসাহিত করা হচ্ছে এবং তাদের জন্য সহজ গাইডলাইন, নতুন ব্যবসা শুরু করতে পরামর্শ এবং আর্থিক সহায়তা দেয়া হচ্ছে।

অনেক চাপ থাকার পরও এই মুহূর্তে সরকারের বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মোহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বিদ্যুৎ ভবনে রমজান মাসে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ পরিস্থিতি নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান তিনি।

উপদেষ্টা বলেন, রমজান মাসকে লোডশেডিং মুক্ত রাখতে সব ধরনের চেষ্টা করা হবে। চাহিদা ও যোগানের মধ্যে এমন ভারসাম্য রাখা হবে, যাতে কোনো ত্রুটি না হয়।

উপদেষ্টা আরও বলেন, ১৮ ডিগ্রি’তে না রেখে এসি ২৫ থেকে ২৬ ডিগ্রি তাপমাত্রায় চালানো হলে গরমের সময় ৩ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সাশ্রয় সম্ভব। গরমকালে ৭০০ থেকে ১৪০০ মেগাওয়াট পর্যন্ত লোডশেডিং হতে পারে বলেও জানান উপদেষ্টা।

তিনি আরও বলেন, যারা নতুন সংযোগ কিংবা শিল্প কারখানায় অতিরিক্ত গ্যাসের লোড চাইবেন তাদের ক্ষেত্রে বিইআরসি’র প্রস্তাবিত নতুন গ্যাসের দাম কার্যকর হবে।

কর্মীদের উৎপাদনশীলতা বাড়াতে জার্মানি, যুক্তরাজ্য, বেলজিয়াম, সৌদি আরব, ডমেনিকান প্রজাতন্ত্রের বিভিন্ন কোম্পানি ৪ দিনের কর্মসপ্তাহ চালু করেছে। পরীক্ষামূলক পদ্ধতির সফলতার কারণে ৪ দিনের কর্মসপ্তাহের নিয়মকে অনেকে স্থায়ী করেছে। রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে সংবাদমাধ্যম ইউরো নিউজ এ তথ্য জানায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনা মহামারির পর থেকে নানা দেশে এ ব্যবস্থা চালু হয়ে আসছে। এবার এ পথে হাঁটল ইন্দোনেশিয়া ও জার্মানি ।৬ মাস পরীক্ষামূলক কার্যক্রম সফল হওয়ার পর ৪ দিনের কর্মসপ্তাহ চালু করা হয়েছে।

সংবাদমাধ্যম দ্য ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, ‘কমপ্রেসড ওয়ার্ক শিডিউল’ নামে পরিচিত এই উদ্যোগটি স্বেচ্ছাসেবার ভিত্তিতে চালু করা হয়েছে। এই নিয়মের অধীনে সপ্তাহে ৩ দিন ছুটি কাটানোর সুযোগ পাবেন যারা ৪ দিনের মধ্যে ৪০ ঘণ্টার কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন।

বেলজিয়াম ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রথম দেশ হিসেবে ২০২২ সালে চার দিনের কর্ম সপ্তাহ চালু করে। এছাড়াও জাপানের কিছু শহরে পরীক্ষামূলকভাবে চার দিনের কর্ম সপ্তাহ চালু করা হয়েছে, কারণ প্রতি বছর সেখানে ৫৪ জন কর্মী অতিরিক্ত কাজের ফলে মারা যান।

২০২৪ সালের এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, যুক্তরাজ্যের ২০০টি কোম্পানি স্থায়ীভাবে ৪ দিনের কর্ম সপ্তাহ গ্রহণ করেছে এবং কর্মীদের বেতন অপরিবর্তিত রেখেছে।

সম্পাদক ও প্রকাশক : মঈনুদ্দিন কাজল
deshermatidaily@gmail.com
০১৬১৫১১২২৬৬, ০১৬৭৩৫৬২৭১৬

দেশের মাটি কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।