খেলাধুলা

উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের প্লে-অফের শেষ ষোলোর জমজমাট লড়াই। আজ রাতে ম্যানচেস্টার সিটি মুখোমুখি হবে রিয়াল মাদ্রিদের। বাংলাদেশ সময় রাত ২টায় মাঠে গড়াবে প্রথম লেগের ম্যাচটি।

মাঠের পারফরম্যান্সে চেনা চেহারার ধারেকাছেও নেই ম্যানচেস্টার সিটি। এমন পরিস্থিতিতে কঠিন পরীক্ষার মুখোমুখি গার্দিওলার শিষ্যরা। চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোয় জায়গা করে নিতে দিতে হবে রিয়াল পরীক্ষা।

নতুন আঙ্গিকের চ্যাম্পিয়নস লিগে প্রাথমিক পর্বে এই দুই দলের পারফরম্যান্স মোটেও আশানুরূপ ছিল না। ছিটকে পড়ার দুয়ার থেকে ফিরে এসেছে সিটি।

অপরদিকে, শিরোপাধারী রিয়ালের অবস্থান পয়েন্ট তালিকার ১১ নম্বরে। চ্যাম্পিয়নস লিগের নকআউট পর্বে এ নিয়ে টানা চার আসরে ইউরোপের সফলতম দল রিয়ালের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে সিটি।

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচে চিটাগং কিংসকে ১৬৪ রানের টার্গেট দিয়েছে খুলনা টাইগার্স। হেটমায়ারের দুর্দান্ত অর্ধশতকে এ সংগ্রহ পায় খুলনা।

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে চিটাগংয়ের বোলিং লাইনআপের সামনে শুরুতে দাঁড়াতেই পারেনি এলিমিনেটর জিতে আসা মিরাজ-আফিফরা।

আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই খেই হারায় খুলনা। দলীয় ১১ রানেই টপ অর্ডারের দুই ব্যাটারকে হারায় দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। ব্যক্তিগত ২ রানে ফার্নেন্দোর বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন অধিনায়ক মেহেদী মিরাজ। শূন্য রানে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন অ্যালেক্স রস।

এরপর আফিফকে নিয়ে ২৩ রানের জুটি গড়েন মোহাম্মদ নাঈম। তবে খালেদ আহমেদের ডেলিভারিতে কুপোকাত হন নাঈম। ব্যক্তিগত ১৯ রানে বিদায় নেন তিনি। আরাফাত সানির বলে শামীম হোসেনের তালুবন্দি হয়ে বিদায় নেন আফিফও।

৪২ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে রীতিমতো বিপর্যয়ে পড়ে খুলনা। এরপর হেটমায়ার-অংকন মিলে গড়েন ৬১ রানের পার্টনারশিপ। শরিফুলের বলে ব্যক্তিগত ৪১ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন অংকন। অপর প্রান্তে লড়াই চালিয়ে যেতে থাকেন হেটমায়ার। ২৯ বলে অর্ধশতক তুলে নেন এ ক্যারিবীয় ব্যাটার।

শেষ পর্যন্ত ৩৩ বলে ৬৩ রানে বিদায় নেন হেটমায়ার। হোল্ডার ও নওয়াজের ব্যাট থেকে আসে যথাক্রমে ১২ ও ৫ রান। শেষ পর্যন্ত ১৬৩ রানে শেষ হয় খুলনার ইনিংস।

চিটাগংয়ের পক্ষে ২টি করে উইকেট তুলে নেন ফার্নেন্দো। এছাড়া একটি করে উইকেট পান শরিফুল, আল ইসলাম, খালেদ আহমেদ ও আরাফাত সানি।

এবারের বিপিএলে গ্রুপ পর্বে নিজেদের টানা ৮ ম্যাচ জিতে সবার আগে নকআউট নিশ্চিত করেছিল রংপুর রাইডার্স। আসরের শুরুতে তাদের দাপট দেখে মনে হচ্ছিল দলটিকে হারানো এত সহজ নয়। তবে নিজেদের নবম ম্যাচে হেরে বসে দুর্বার রাজশাহীর কাছে। যদিও সেই হার হয়তো মানতে পারছিল না রংপুরও। তাইতো ওই ম্যাচ হারার পর নিজেদের ফেসবুক পেজে ‘পঁচা শামুকে পা কাটা’ উল্লেখ করে রাজশাহীকে তাচ্ছিল্যই করেছিল তারা।

তবে সেখান থেকেই যে, রাইডার্সদের জয় উদযাপনে শেষ পেরেক ঠুকেছে রাজশাহী তা কে জানতো! এরপর গুনে গুনে টানা চার ম্যাচ হেরেছে গ্রুপ পর্বে। টানা হারা পয়েন্ট তালিকার সেরা দুই দলের একটি হতে পারেনি রংপুর। ফলে তাদেরকে খেলতে হয় এলিমিনেটর। আর সেই এলিমিনিটরে খুলনা টাইগার্সের কাছে একেবারেই পাত্তা পায়নি উত্তরের দলটি। বড় ব্যবধানে হেরে আসর থেকে বিদায় নিয়েছে নুরুল হাসান সোহানের রংপুর।

নকআউট পর্বে জয়ে ফিরতে ক্যারিবীয় তারকা আন্দ্রে রাসেল, অজি হার্ডহিটার টিম ডেভিড ও ইংলিশ ব্যাটার জেমস ভিন্সকে দলে ভিড়িয়েছিল রাইডার্স শিবির। শক্তিশালী এক একাদশ নিয়ে খুলনার বিপক্ষে মাঠে নামে রংপুর। মিরপুরে টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন অধিনায়ক সোহান।

তবে অধিনায়কের সেই আস্থার প্রতিদান দিতে পারেনি কোনো ব্যাটারই। মিরাজ-নাসুমদের স্পিন ভেলকিতে মাত্র ৮৫ রানেই গুটিয়ে যায় দুইবারের চ্যাম্পিয়ন রংপুর। ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মিছিলে পাক বোলার আকিভ জাভেদের ৩২ রানে ভর কোনো মতে এই রান তুলতে পারে তারা।

রংপুরের ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মিছিল শুরু হয় সৌম্য সরকারের বিদায়ের মধ্যদিয়ে। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই কোনো বল মোকাবিলা না করে রান আউট হয়ে ফিরে যান সৌম্য। এরপর একে একে ফিরে যান ভিন্স, শেখ মেহেদী, সাইফ হাসান, সাইফুদ্দীনরা। এতে রংপুরের স্কোর দাঁড়ায় ১৫/৫।

সেখান থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি রাইডার্সরা। দলীয় ৩২ রানে টিম ডেভিড, ৫০ রানে আন্দ্রে রাসেল, ৫১ রানে রাকিবুল হাসান ও ৫২ রানে ফিরে যান অধিনায় সোহান। ৫২ রানে ৯ উইকেট হারানো রংপুরের হয়ে এরপর ব্যাটিং ঝলক দেখান আকিভ জাভেদ। ১৮ বলে দুই ছয় ও চারটি চারের মারে ৩২ রানের ইনিংস খেলে দলকে কিছুটা লজ্জার হাত থেকে বাঁচান এই পাক ব্যাটার।

মিরাজ ৪ ওভারে ১০ রান দিয়ে ৩ উইকেট ও নাসুম আহমেদ ৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে এক মেডেনসহ ১৬ রান খরচায় শিকার করেন তিনটি উইকেট। একটি করে উইকেট পান হাসান মাহমুদ, মোহাম্মদ নওয়াজ ও মুশফিক হাসান।

৮৬ রানের সহজ লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামা খুলনা প্রথম ওভারেই মেহেদী হাসান মিরাজকে হারায়। তাকে বোল্ড করে সাজঘরে ফেরান আকিভ। রংপুর শিবিরের আনন্দ বলতে শুধু এটুকুই। এরপর মোহাম্মদ নাঈম শেখ ও অ্যালেক্স রসের ব্যাটে আর কোনো উইকেট না হারিয়েই ৫৬ বল হাতে রেখে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে খুলনা। নাঈম শেখ ৩৩ বলে ৪৮ ও রস ২৭ বলে ২৯ রানে অপরাজিত থাকেন।

যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ বেসামরিক পদক প্রেসিডেনশিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম পেয়েছেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা লিওনেল মেসি। তার হাতে পদক তুলে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইজেন। এবার মেসি, হিলারি ক্লিনটনসহ ১৯জন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে এই পদক প্রদান করেছেন বাইডেন।

সমাজ, সংস্কৃতি, ক্রীড়া, রাজনীতি ও মানবকল্যাণে অনন্য অবদানের জন্য এই পুরস্কার প্রদান করা হয়। সেখানে লিওনেল মেসির অর্জনের শেষ নেই। সর্বোচ্চ ৮ বারের ব্যালন ডি’অর জয়, গোল্ডেন বুট জয়, দুইবার বিশ্বকাপের গোল্ডেন বল; মেসি শত শত পুরস্কারের মালিক।

যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা অর্জন নিঃসন্দেহে তার শ্রেষ্টত্বের মুকুটে আরেকটা পালক যোগ করবে। কেননা এই পুরস্কারের বৈশ্বিক প্রভাব এবং গ্রহণযোগ্যতা ফুটবলের বাইরেও বিস্তৃত।

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) বোলিং ভেলকিতে রীতিমতো জাদু দেখিয়েছেন ‘ঢাকা এক্সপ্রেস’ খ্যাত তাসকিন আহমেদ। ঢাকা ক্যাপিটালসের বিপক্ষে ৪ ওভারে মাত্র ১৮ রানের খরচায় ৭ উইকেট তুলে নিয়েছেন এ পেসার। স্বীকৃত টি-টোয়েটিতে এটি তৃতীয় সেরা বোলিং ফিগার। এতোদিন বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে মোস্তাফিজের ১০ রানে ৬ উইকেট ছিলো সবার উপরে। এবার জাতীয় দলের এ সতীর্থের কাছে রেকর্ড হাতছাড়া হলো মোস্তাফিজের।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় ঢাকা। শাহাদাতের ফিফটির পাশাপাশি দলগত ব্যাটিংয়ে ১৭৪ রানের পুঁজি পায় পেরেরার দল।

টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি ঢাকা ক্যাপিটালস। দলীয় ১২ রানে ২ উইকেট হারায় দলটি। ৫ বলে শূন্য রান করে লিটন আউট হলে ১০ বলে ৯ রান করে তার দেখানো পথে হাঁটেন আরেক ওপেনার তানজিদ তামিম।

শাহাদাত হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে ঢাকা শিবিরে হাল ধরেন স্টিফেন এসকেনজি। তবে ফিফটি তুলতে পারেননি তিনি। ২৯ বলে ৪৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন এই ব্যাটার।

এরপর কিছুটা হার্ড হিটার ভূমিকায় আবির্ভূত হন অধিনায়ক থিসারা পেরেরা। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি তিনি। ৯ বলে ২১ রান করে বাউন্ডারি লাইনে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফেরেন এ লঙ্কান তারকা।

এক প্রান্ত আগলে রেখে ৪১ বলে ফিফটি তুলে নেন শাহাদত। বাকি ব্যাটারদে মধ্যে আলাউদ্দিন বাবু (১৩), মুকিদুল ইসলাম (০) এবং রঞ্জনি ২৪ রানে আউট হলেও ৯ উইকেট হারিয়ে ১৭৪ রানের লড়াকু পুঁজি পায় ঢাকা।

রাজশাহীর হয়ে সর্বোচ্চ ৭ উইকেট শিকার করেন তাসকিন আহমেদ। এ ছাড়াও মোহর শেখ ও হাসান মুরাদ একটি করে উইকেট শিকার করেন।

সেইন্ট ভিনসেন্টের আর্নস ভ্যালে স্টেডিয়ামের রাতটা কেমন যাবে, সেই দুশ্চিন্তা নিয়ে সকাল শুরু করেছিলেন অনেক টাইগারভক্ত। কারণ স্কোরবোর্ডে সংগ্রহ তো মাত্র ১২৯। টি-টোয়েন্টিতে এটা ‘মামুলি’ টার্গেট, তা খুব হিসেব করে বলার দরকার নেই। কিন্তু সে টার্গেটে পৌঁছাতেই নাকের পানি-চোখের পানি এক করলো ক্যারিবিয়ানরা। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের করা রান তাড়া করতে গিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ থামে মাত্র ১০২ রানে। ফলাফল লিটনবাহিনীর জয় ২৭ রানে।

টসে জিতে ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক রভম্যান পাওয়েল ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন। বোলাররা তার সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতাও প্রমাণ করেন। লিটন ৩, সৌম্য ১১, তানজিদ ২ রানে আউট হলে শুরু থেকেই চাপে পড়ে বাংলাদেশ। ওয়ানডে স্টাইলে খেলে মেহেদী মিরাজ ও জাকের আলী চাপ কিছুটা সামাল দিলেও কেউই স্কোর বড় করতে পারেননি। মিরাজ ২৬ আর জাকের আউট হন ২১ রানে।

এরপর রিশাদ আর শেখ মেহেদীও ভালো কিছু করতে না পারলে দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন শামীম হোসেন। তার ঝড়ো ১৭ বলে ৩৫ রান বাংলাদেশকে ফাইটিং স্কোর এনে দেয়।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালোই করেন ব্রেন্ডং কিং আর জনসন চার্লস। কিন্তু খানিকক্ষণ বাদেই খেই হারিয়ে ফেলেন তাসকিন বল করতে এলে। প্রথম বলেই কিংকে লিটনের হাতে ক্যাচ বানিয়ে ফেরান তিনি। আন্দ্রে ফ্লেচার আর নিকোলাস পুরানও হতাশ করেন ক্যারিবিয়ান ভক্তদের। মাঝে রোস্টন চেজ আর আকিল হোসেন আশা জাগিয়েও ওয়েস্ট ইন্ডিজকে জয়ের বন্দরে ভেরাতে পারেন নি।

বোলারদের মধ্যে তাসকিন ৩টি, তানজিম সাকিব, শেখ মেহেদী ও রিশাদ ২টি করে এবং হাসান মাহমুদ পান একটি উইকেট। মারকুটে ৩৫ রানের ইনিংসের জন্য প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন শামীম।

এই জয়ের মধ্য দিয়ে ৩ ম্যাচের সিরিজ ২-০তে জিতে নিলো বাংলাদেশ। সিরিজের শেষ ম্যাচ শুক্রবার সকাল ৬টায়।

অনূর্ধ্ব-১৯ নারী এশিয়া কাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ২৮ রানে হারিয়ে শুভসূচনা করেছিল বাংলার মেয়েরা। এবার গ্রুপ পর্বের দ্বিতীয় ম্যাচে প্রতিপক্ষকে মাত্র ২৯ রানেই গুটিয়ে দিয়েছে। টাইগ্রেসরা জয় তুলে নিয়েছে ১২০ রানের বিশাল ব্যবধানে। আগে ব্যাট করে বাংলাদেশের মেয়েরা করেছিল ১৪৯ রান।

মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে কুয়ালালামপুরে স্বাগতিক মালয়েশিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামে টাইগ্রেসরা। এই ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সুমাইয়া আক্তার।

ব্যাটিংয়ে নেমে দুই ওপেনার ফাহমিদা ছোয়া ও মোছা. ইভা দারুণ সূচনা এনে দেয় বাংলাদেশকে। ৫ ওভার ৪ বলের এই জুটিতে ওঠে ৪৫ রান। ফেরার আগে ছোয়া খেলেন ২৬ রানের ইনিংস। পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশ সংগ্রহ করে ৪৬ রান। এরপর তিনে নামা সুমাইয়া আক্তার সুবর্ণা ১ রানে বিদায় নেন। দলীয় ৫০ (৫৩) পার হওয়ার পর ব্যক্তিগত ১৯ রানে বিদায় নেন ওপেনার ইভা।

দ্রুত তিন উইকেট হারানো টাইগ্রেসরা কিছুটা ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে। দলীয় ৮৭ রানে ৫ উইকেট হারানো বাংলাদেশ বাকি পথটা পাড়ি দেয় জান্নাতুল মাওয়া ও সাদিয়া আক্তারের ব্যাটে। দলের পক্ষে মাওয়া খেলেন সর্বোচ্চ রানের ইনিংসটি। তিনি ৪৫ বলে ৪৫ রানে অপরাজিত থাকেন। তবে দলের পক্ষে সবচেয়ে কার্যকরী ইনিংসটি আসে সাদিয়া আক্তারের ব্যাট থেকে। তিনি ১৯ বলে তিনটি চার ও একটি ছক্কায় ৩১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৪৯ তোলে বাংলাদেশের মেয়েরা।

দেড়শ রানের বড় লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে মালয়েশিয়ার মেয়েরা ছিল আসা-যাওয়ার মিছিলে। তারা ১৪ ওভার ৫ বলে অলআউট হওয়ার আগে মাত্র ২৯ রান তুলতে পারে। এর মধ্যে অতিরিক্ত রানই ছিল ১২! পুরো ইনিংসে বাউন্ডারি এসেছে মাত্র একটি।

দলটির পক্ষে সর্বোচ্চ রানের ইনিংসটি এসেছে ওপেনার নুর আলিয়া বিনতে মোহাম্মদ হাইরুনের ব্যাট থেকে। তিনি করেন ৫ রান! দলের পক্ষে একমাত্র বাউন্ডারি (ফোর) এসেছে তার ব্যাট থেকেই। স্বাগতিকদের তিন ব্যাটার ফিরেছেন শূন্য রানে, তিনজন ফিরেছেন এক রানে, দুইজন তিন রান করে ফিরেছেন। বাকি এক ব্যাটার অপরাজিত থাকেন ১ রানে।

বাংলাদেশের পক্ষে নিশিতা আক্তার নিশি ৩ ওভার ৫ বল করে ৩ রানে শিকার করেছেন পাঁচটি উইকেট। হাবিবা ইসলাম চার ওভারে ৫ রান দিয়ে নিয়েছেন তিন উইকেট। আনিসা আক্তার চার ওভারে পাঁচ রান দিয়ে নিয়েছেন দুই উইকেট। তবে ফারজানা ইয়াসমিন তিন ওভারে ৮ রান দিলেও ছিলেন উইকেটশূন্য।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্রজনতার ওপর হামলার অভিযোগে জাতীয় সংসদের সাবেক হুইপ ও নড়াইল-২ আসনের সাবেক এমপি মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা ও তার বাবা গোলাম মোর্ত্তজা স্বপনসহ ২৯৫ জনের নামে মামলা হয়েছে। সোমবার (৯ ডিসেম্বর) রাতে লোহাগড়া থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলার বাদী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নড়াইল জেলা শাখার মূখ্য সংগঠক কাজি মো. ইয়াজুর রহমান বাবু।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন, নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের জেলা সভাপতি নাঈম ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক স্বপ্নীল শিকদার নীল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুন্সী আলাউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র সৈয়দ মশিয়ুর রহমান, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শিকদার আব্দুল হান্নান রুনু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ফয়জুল হক রোম, সাবেক উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ফয়জুল আমীর লিটু।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, আসামিরা স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের নড়াইল জেলার বিভিন্ন এলাকার নেতাকর্মী ও গুন্ডা, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, খুনি, অস্ত্রধারী ব্যক্তি। গত ৪ আগস্ট সকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রজনতার কর্মসূচি চলাকালে উপজেলার লোহাগড়ার সিএন্ডবি চৌরাস্তা মোড়ে ছাত্রজনতার ওপর হামলা করে বেধড়ক মারপিট করে অভিযুক্তরা। বাদীসহ ১৫ থেকে ২০ জন শিক্ষার্থীকে রামদা, বাঁশের লাঠি, রড দিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করেন। এ সময় শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয় বলে মামলা বিবরণীতে বাদী উল্লেখ করেন।

লোহাগড়া থানার ওসি মো. আশিকুর রহমান মঙ্গলবার দুপুরে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এই মামলায় ইতোমধ্যে দুইজন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

ভারতকে হারিয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ‘ব্যাক টু ব্যাক’ শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশ যুব দল। ফাইনালে ভারতকে ৫৯ রানে হারিয়ে এই আসরের শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট মাথায় ধরে রাখলো টাইগাররা। এক বছর আগে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের শিরোপা জিতেছিল বাংলাদেশ।

রোববার (৮ ডিসেম্বর) দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে বাংলাদেশ দল। আগে ব্যাট করে ৪৯.১ ওভারে ১৯৮ রানেই অলআউট বাংলাদেশের যুবারা। টার্গেট তাড়ায় ৩৫.২ ওভারে ১৩৯ রানে অলআউট হয় ভারত।

১৯৯ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি ভারতের। বাংলাদেশের পেসারদের তোপে ৪৪ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে ‘দ্য ব্লুজ’। আয়ুশ মাহাত্রী ১, বৈভব সূর্যবংশী ৯ ও আন্দ্রে সিধার্থ ২০ রান করে সাজঘরে ফিরে যান।

এরপর কার্তিয়া ও অধিনায়ক মোহাম্মদ আমান মিলে চাপ সামাল দেয়ার চেষ্টা করেন। তবে দলীয় ৭৩ রানে ৪৩ বলে ২১ রান করে আউট কন কার্তিয়া। তার বিদায়ের পর দ্রুতই আরও তিন উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে ভারত। হারভাংস পাংগালিয়া ৬, কিরণ চোরমেল ১ ও রানের খাতা খোলার আগেই ফিরে যান নিখিল কুমার।

এরপর হার্দিক রাজকে সঙ্গে নিয়ে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন অধিনায়ক আমান। ৩৪ রানের জুটি উপহার দেন এই দুই ব্যাটার। তবে দলীয় ১১৫ রানে ৬৫ বলে ২৬ রান করে আমান আউট হওয়ার পরই মোটামুটি নিশ্চিত হয় বাংলাদেশের জয়।

বাংলাদেশের হয়ে ইকবাল হোসেন ইমন শিকার করেন ৩টি উইকেট। ব্যাটে এদিন না পারলেও বল হাতে পুষিয়ে দেন আজিজুল হাকিম, তারও ঝুলিতে যায় ৩ উইকেট। পেসার আল ফাহাদ নেন ২ উইকেট।

এর আগে, ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের শুরুটা হয় আশা জাগানিয়া। প্রথম ওভারে যুধাজিৎ গুহর বলে ছক্কা মেরে বাংলাদেশের রানের খাতা খোলেন জাওয়াদ আবরার। অন্য প্রান্তে কালাম সিদ্দিকী অবশ্য রান বের করতে পারছিলেন না। যুধাজিতের বলে আউট হন ১৬ বলে ১ রান করে। জাওয়াদও আউট হন পাওয়ার প্লে শেষ হতেই, ২০ রান করে। 

দলের সবচেয়ে বড় তারকা আজিজুল হাকিমও ইনিংস দীর্ঘায়িত করতে পারেননি। ১৬ রানে আউট হয়েছেন কাপ্তান। আজিজুলের উইকেট বড় ধাক্কা হয়ে আসে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে। কারণ, এই টুর্নামেন্টে ব্যাট হাতে বাংলাদেশকে অনেকটা একাই টানছিলেন তিনি।

এরপর জুটি গড়েন রিজান হোসেন ও শিহাব জেমস। তবে ফিফটির আগে প্যাভিলিয়নে ফেরেন দুজনই। বাংলাদেশের পক্ষে রিজান করেন সর্বোচ্চ ৬৫ বলে ৪৭ রান। এছাড়া, শিহাব করেন ৬৭ বলে ৪৯।

বাংলাদেশ মূলত ২০০ রানের কাছাকাছি সংগ্রহ তুলতে পারে নবম উইকেটে ফরিদ হাসান ও আল ফাহাদের ৩০ রানের জুটিতে। ফরিদ করেন ৪৯ বলে অতি গুরুত্বপূর্ণ ৩৯।

ভারতের হয়ে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন দুই পেসার যুধাজিৎ, চেতন ও বাঁহাতি স্পিনার হার্দিক।

উল্লেখ্য, যুব এশিয়া কাপে নয়বার ফাইনাল খেলে এবারই প্রথম চ্যাম্পিয়নের ট্রফি হাতে নিতে পারল না ভারত।

স্বপ্ন ছিল একদিন পর্তুগিজ সুপারস্টার রোনালদোর মতো খেলোয়াড় হবার। তবে স্বপ্ন আর পূরণ হলো না ১৪ বছর বয়সী নাজি আল-বাবা’র। বন্ধুদের সাথে হেব্রনের কাছে জঙ্গলে খেলছিলো নাজি। হঠাৎ-ই ইসরায়েলি হামলায় সব শেষ। আইডিএফ সেনাদের গুলিতে গুলিবিদ্দ হয়ে প্রায় হারায় ফিলিস্তিনি এই কিশোর। রোববার (৮ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ তথ্য জানায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ইংরেজি ভাষায় নাজি নামের অর্থ ‘মৃত্যুঞ্জয়ী’। তবে নামের অর্থের সাথে, বাস্তবের কাছে হার মানলো এই কিশোর। অধিকৃত গাজার পশ্চিম তীরে জন্মগ্রহণ করেছিলো নাজি।

৪ বছর থেকেই বেশ লম্বা শারীরিক গঠনের কারণেহেব্রনের ঠিক উত্তরে হালহুলের স্পোর্টস ক্লাবে সুযোগ পায় সে। ফুটবল খেলায় বেশ পারদর্শী ছিল নাজি। এমনকি ক্লাবটির কর্মকর্তাদের আশা ছিলো ফিলিস্তিনের জাতীয় ডোলের হয়ে একদিন অভিষেক হবে তার।

ছোটবেলা থেকে নাজি সর্বদা হাস্যোজ্জ্বল ছিল এবং তার পরিবার ও আশেপাশের সকলের প্রতি তার উদারতা ও মলিন ব্যাবহার সবাইকে মুগ্ধ করতো। তবে, এখন সবই অতীত!

সম্পাদক ও প্রকাশক : মঈনুদ্দিন কাজল
deshermatidaily@gmail.com
০১৬১৫১১২২৬৬, ০১৬৭৩৫৬২৭১৬

দেশের মাটি কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।