বিশ্ব

মহারাষ্ট্রের নির্বাচনে জয়লাভের মধ্য দিয়ে আগের সব নির্বাচনের রেকর্ড ভেঙেছে বিজেপি। বিগত পাঁচ দশকের মধ্যে এটিই কোনো জোটের সবচেয়ে বড় বিজয়, এমন দাবি করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শনিবার (২৪ নভেম্বর) ভোটের ফল ঘোষণার পর রাজধানী দিল্লিতে দেয়া বিজয়ী ভাষণে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

মোদি বলেন, মহারাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে বিজেপি। এসময় কংগ্রেসের সমালোচনা করে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন, মহারাষ্ট্রে হারের মধ্য দিয়ে ইনডিয়া জোটের দু’মুখো চেহারা উন্মোচিত হয়েছে।

তিনি দাবি করেন, ভারতের রাজনীতিতে ‘পরজীবি’ পার্টিতে রূপান্তরিত হয়েছে রাহুল গান্ধির কংগ্রেস। যাদের নিজেদের বলে সরকার গঠন করা অসম্ভব।

এক টুইটে মোদি লেখেন, উন্নয়ন জয়ী হয়েছে। সুশাসন জয়ী হয়েছে। একসঙ্গে আমরা আরও উঁচুতে উঠব। এই জয়ের জন্য মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা আমার ভাই ও বোনেদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই। বিশেষ করে এনডিএ-এর এই ঐতিহাসিক ফলাফলের জন্য রাজ্যের যুব সম্প্রদায় ও মহিলাদের অভিনন্দন। আমাদের জোটের প্রতি তাঁদের এই স্নেহ ও উষ্ণতা অতুলনীয়। আমি মানুষকে আশ্বস্ত করতে চাই যে আমাদের জোট মহারাষ্ট্রের উন্নয়নের জন্য আরও কাজ করবে। জয় মহারাষ্ট্র।

মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচনে এনডিএ জোট ২৮৮টি আসনের মধ্যে ২৩৬টিতে জয় পেয়েছে। অপরদিকে, বিরোধী দলীয় জোট এমভিএ পেয়েছে মাত্র ৪৮টি আসন। বাকি চারটি আসনে জয় পেয়েছে অন্যান্য দলগুলো।

উল্লেখ্য, ভারতের বিধানসভা নির্বাচনে অন্ধ্র প্রদেশ, সিক্কিম, হরিয়ানা ও মহারাষ্ট্রের নির্বাচনে জয় পেয়েছে বিজেপি ও তাদের নেতৃত্বাধীন জোট। তবে ঝাড়খন্ডে পুনরায় সরকার গঠন করেছে কংগ্রেস জোট।

যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি দূর পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলার একদিন পর এবার যুক্তরাজ্যের তৈরি ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়ায় হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। রাশিয়ান মিলিটারি ব্লগের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) রাশিয়ায় মার্কিন তৈরি ‘আর্মি ট্যাকটিকেল মিসাইল সিস্টেম’ (এটিএসিএমএস) ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইউক্রেন। বুধবার (২০ নভেম্বর) রাশিয়ার ভেতরে ব্রিটিশ স্টর্ম শ্যাডো ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে কিয়েভ। তবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি ব্রিটিশ সরকার।

রাশিয়ার সামরিক ব্লগাররা নিশ্চিত করেছে স্টর্ম শ্যাডো মিসাইল হামলার তথ্য। তারা জানায়, দেশটির কুরস্ক অঞ্চলে মিসাইল বিস্ফোরণের ব্যাপক শব্দ শোনা গেছে। অন্তত ১৪টি বিস্ফোরণ হয়েছে এলাকাটিতে।

ইতালিয়ান শিল্পী মাউরিজিও ক্যাটেলানের ভাইরাল সৃষ্টি ‘কমেডিয়ান’ শিরোনামের সেই শিল্পকর্মটি এবার বিক্রি হলো ৬২ লাখ ডলারে। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৭৪ কোটি টাকার বেশি। বুধবার, নিলামকারী প্রতিষ্ঠান সোথেবির নিলামে অবিশ্বাস্য এই দামে বিক্রি হয় কলাটি।

মূলত রুপালি রঙের টেপ দিয়ে দেয়ালে আটকানো হলুদ রঙের পাকা কলাটি একটি শিল্পকর্ম। প্রাথমিকভাবে ১৫ লাখ ডলারে বিক্রির প্রত্যাশা করা হয়েছিলো। তবে, সাতজনের প্রতিযোগিতার কারণে এর দাম পৌঁছায় ৫২ লাখ ডলারে, বাদবাকি ফিসহ যার খরচ পৌঁছেছে ৬২ লাখ এ।

নিলামকারীর দাবি, এটিই বিশ্বের সবচেয়ে দাবি কলা। সোথেবি জানায়, একটি ক্রিপ্টোকারেন্সি প্লাটফর্মের প্রতিষ্ঠাতার পক্ষে জাস্টিন সান নামের এক ব্যক্তি কলাটি কিনেছেন।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে একটি শিল্পকর্ম নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছিলো সারা পৃথিবীতে। কারণ-অনেকের মতে সেই শিল্পকর্মটি লেইম। অনেকেই আবার ঠাট্টা মশকরা করে বলেছিলেন, ‘কতই-না চিন্তা ভাবনা করতে হয়েছে শিল্পকর্ম বানাতে গিয়ে! সেটি ছিলো দেয়ালে টেপ দিয়ে লাগানো একটি কলা! তখন, ওই শিল্পকর্ম বিক্রি হয়েছিলো এক লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলারে।

ইসরায়েলের সাথে যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নে লেবাননের যেকোনো সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানাবে ইরান। খবর রয়র্টাস। শুক্রবার বৈরুত সফরে গিয়ে এই মন্তব্য করেছেন দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির উপদেষ্টা আলি লারিজানি।

লেবাননে যখন আগ্রাসনের মাত্রা ব্যাপক বাড়াচ্ছে তেলআবিব, তখন তেহরানের পক্ষ থেকে যুদ্ধ থামানোর এই ইঙ্গিত দেয়া হলো। এর আগে, গত বৃহস্পতিবার, লেবাননের পার্লামেন্টের স্পিকার নাবিহ বেরির কাছে যুদ্ধবিরতির খসড়া একটি প্রস্তাব দিয়েছেন দেশটিতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত।

যুদ্ধবিরতির আলোচনায় মধ্যস্থতা করার জন্য এই নাবিহ বেরিকে মনোনীত করেছে হিজবুল্লাহ। লেবাননে যুদ্ধ বন্ধে এটিই যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম লিখিত প্রস্তাব।

চলতি মাসের নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভূমি ধস জয়ের পর যুক্তরাষ্ট্র পড়তে যাচ্ছে নতুন এক আন্দোলনের কবলে। এই আন্দোলনের নাম ‘ফোর বি’। এতে নারীরা তাদের পুরুষ সঙ্গীর সাথে ডেট, বিয়ে, সেক্স কিংবা সন্তান জন্মদান থেকে বিরত থাকবেন বলে জানাচ্ছেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ নিয়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক আলোচনা। এই ‘ফোর বি’ আন্দোলনের সূত্রপাত দক্ষিণ কোরিয়াতে হলেও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের জয়ের পর তা ছড়িয়ে পরছে মার্কিন নারীদের ভেতরেও। কারণ হিসেবে তারা ডোনাল্ড ট্রাম্পের অতি রক্ষণশীলতাকে দুষছেন।

২০২২ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টের দেয়া এক আদেশে নারীরা তাদের গর্ভপাতের স্বাধীনতা হারান। এই রায়ের পর শুরু হয় ব্যাপক হট্টগোল। সে সময় ডোনাল্ড ট্রাম্প এই রায়ের কৃতিত্ব দাবি করেছিলেন। সর্বোচ্চ আদালতে পছন্দের তিন রক্ষণশীল বিচারপতি নিয়োগ দেয়ায় এমন রায় পাওয়া সম্ভব হয়েছিল তার।

তবে হোয়াইট হাউজে ট্রাম্প পুনরায় ফিরে আসায় মার্কিন নারীরা তাদের স্বাধীনতা হারানোর শঙ্কা থেকেই এমন আন্দোলনের ঘোষণা দিচ্ছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এ নিয়ে বহু নেটিজেন দিচ্ছেন তাদের মতামত।

এ ব্যাপারে এক্সে (সাবেক টুইটার) এক নারী লেখেন, গত রাতে আমি আমার রিপাবলিকান বয়ফেন্ডের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করেছি এবং অফিশিয়ালি ‘ফোর বি’ আন্দোলনে যোগ দিচ্ছি।

আরেক নারী লেখেন, মেয়েরা আমরা দক্ষিণ কোরিয়ার মতো যুক্তরাষ্ট্রেও জন্মহার কমিয়ে দিতে পারি। আমরা এই পুরুষদের শেষ হাসি হাসতে দিতে পারি না। আমাদের পাল্টা আক্রমণ করতে হবে।

গাজায় কৌশলগত লক্ষ্য অর্জন হয়েছে ইসরায়েলের, তাই এখনই সময় যুদ্ধ বন্ধ করার। এমন মন্তব্য করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন।

বুধবার (১৩ নভেম্বর) ব্রাসেলসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ব্লিনকেন বলেন, গাজার সাধারণ মানুষের স্বার্থে সব ধরণের সংঘাত বন্ধ হওয়া দরকার। যাতে বাসিন্দাদের কাছে প্রয়োজনীয় সহায়তা পৌঁছায়। পরিস্থিতি খুবই জটিল। সবচেয়ে ভালো উপায় হলো যুদ্ধ বন্ধ করা। ইসরায়েল যে লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিল, পূরণ হয়েছে। তারা চেয়েছিল ৭ অক্টোবরের মতো ঘটনা ঠেকাতে হামাসের সক্ষমতা ভেঙে দিতে। আর তা হয়েছে। তাই এটাই যুদ্ধ বন্ধের সময়। হামাসের সামরিক সক্ষমতা ধ্বংসের যে লক্ষ্য তেলআবিবের ছিল সেটিও পূরণ হয়েছে। তাই সংঘাতের অবসান হওয়া জরুরি।

তিনি আরও বলেন, হামাস-ইসরায়েল সংঘাতের কারণে ক্রসফায়ারে পড়েছে সাধারণ ফিলিস্তিনিরা। গাজায় মানবিক সহায়তার পাশাপাশি পণ্যবাহী বাণিজ্যিক ট্রাক প্রবেশ জরুরি বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

যদিও ব্লিনকেনের এমন মন্তব্য নেতানিয়াহু প্রশাসনের কর্মকাণ্ডে তেমন প্রভাব ফেলবে না বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

২২ গজে ভারত-পাকিস্তান দ্বৈরথ আইসিসির স্বস্তির কারণ হলেও এই দু’দলের মাঠের বাইরের দ্বন্দ্ব রীতিমতো গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির কাছে। অনেকটা শ্যাম রাখি না কুল রাখি অবস্থান আইসিসির জন্য। আর সেটি আরও প্রকট হয়েছে আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে। পাকিস্তানে খেলতে যাবে না ভারত, এমন সিদ্ধান্ত স্পষ্ট হওয়ার পর এবার কঠোর অবস্থানে যাওয়ার হুঁশিয়ারি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের।

পাকিস্তানি গণমাধ্যম ডেইলি টাইমস জানিয়েছে, ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ আয়োজনে আইসিসি ব্যর্থ হলে সব ধরণের চুক্তি থেকে বের হয়ে যাওয়ার হুমকি আছে সম্প্রচার ও পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠানগুলোর।

ভারতের এমন সিদ্ধন্তের বিপরীতে বিকল্প হাইব্রিড মডেলেও সায় মেলেনি পিসিবির। শেষ পর্যন্ত ভারত যদি তাদের সিদ্ধান্তে স্থির থাকে, তবে ভবিষ্যতে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ বয়কটের বিবেচনাও করছে তারা। আর তাতে সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়বে আইসিসি।

এক্ষেত্রে কারণটাও অজানা নয়। ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ না হলে বৈশ্বিক ইভেন্টে আগ্রহ হারাবে দর্শক। আর্থিক ক্ষতি বিবেচনায় মুখ ফিরিয়ে নিতে পারে সম্প্রচারকারী ও পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান। তাতে বড় অঙ্কের রাজস্ব হারাবে আইসিসি। কারণ এই দুই খাত থেকে সংস্থাটির আয় সবচেয়ে বেশি। ২০২৪ থেকে ২০২৭ চক্রে সম্প্রচারস্বত্ব থেকে আয় হবে ৩.২ বিলিয়ন ডলার। আর পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য খাত থেকে আয় হবে আরও ১ বিলিয়ন ডলার।

বড় এই আয়ের উৎস নি:সন্দেহে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ। এটি নিশ্চিত করতে আইসিসির সব ইভেন্টে এখন একই গ্রুপে রাখা হয় চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী এই দুই দেশকে যাতে নিশ্চিতভাবে টুর্নামেন্টে তাদের এটি ম্যাচ হয়।

সবশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপে শুধুমাত্র ভারতীয় টিভি চ্যানেলে দু’দলের হাইভোল্টেজ ম্যাচ দেখেছেন প্রায় সাড়ে ১৭ কোটি দর্শক। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে সেই অঙ্ক ছিলো সাড়ে ২২ কোটি। ২০২১ টি-বিশ্বকাপেও ছিলো একই চিত্র। সেবার ভারতের ১৬৭ মিলিয়ন দর্শক ১৫.৯ বিলিয়ন মিনিট সময় ব্যয় করেছে সুপার ক্লাসিক এই লড়াই দেখতে।

আগামী সাত বছরে ভারতে অনুষ্ঠিত হবে আইসিসির বড় চার ইভেন্ট। যারমধ্যে ২০২৫ সালে নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ, ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, ২০২৯ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ও ২০৩১ ওয়ানডে বিশ্বকাপ। পাকিস্তান সত্যিই যদি তাদের দল ভারতে না পাঠায় তাহলে নি:সন্দেহে জৌলুশ হারাবে এসব আসর। বড় অঙ্কের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বে আইসিসি।

সিরিয়ার দুই অঞ্চলে অন্তত ৯টি লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। স্থানীয় সময় সোমবার (১১ নভেম্বর) দেশটির কেন্দ্রীয় কমান্ড (সেন্টকম) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। এক প্রতিবেদনে সংবাদ সংস্থা এপি এ তথ্য জানায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সিরিয়ায় মার্কিন নাগরিকদের ওপর চালানো কয়েকটি হামলার জবাবে দেশটিতে অবস্থিত ইরান সমর্থিত গোষ্ঠীগুলোর বিভিন্ন ঘাঁটিতে হামলা করা হয়েছে।

মার্কিন সেনাবাহিনী জানিয়েছে, সিরিয়ায় আইএসআইএসের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে তারা। গত অক্টোবর মাসের শেষ সপ্তাহে সিরিয়ায় বিমান হামলায় ৩৫ জন আইএসআইএস সদস্য নিহত হয়েছেন। 

ইসলামিক স্টেট জঙ্গিদের বিরুদ্ধে মিশন পরিচালনায় অংশীদার বাহিনীকে সহায়তা করার জন্য সিরিয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ৯০০ জন সদস্য রয়েছে। গত ফেব্রুয়ারীতে, জর্ডানে একটি ড্রোন হামলায় তিন মার্কিন সেনা সদস্য নিহত হয়। এই আক্রমণের প্রতিক্রিয়া হিসাবে সিরিয়ায় ইরান-সমর্থিত মিলিশিয়া সাইটগুলিতে ব্যাপক আক্রমণ শুরু করে মার্কিন সেনা সদস্যরা।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর, ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর থেকে ইরান-সমর্থিত যোদ্ধারা যারা হামাসের সাথে মিত্রতা রাখে, তারা ইরাক ও সিরিয়ায় মার্কিন সেনাদের অবস্থান লক্ষ্য করে ব্যাপক ড্রোন এবং রকেট হামলা চালিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোনো ফৌজদারি মামলার আসামি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন। ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয় নিশ্চিতের পর আলোচনায়, তার বিরুদ্ধে চলমান মামলা-মোকদ্দমা। প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরও কি থাকবে আইনি জটিলতা? যেসব মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন সেগুলোরই বা কী সিদ্ধান্ত হবে? বিশ্লেষকরা বলছেন, কিছু ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্সিয়াল ক্ষমতা প্রয়োগের সুযোগ রয়েছে ট্রাম্পের। আর কিছু মামলার বিচারকাজ স্থগিত থাকবে তার শাসনামলে।

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে চলমান মামলাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচিত ৪টি- জালিয়াতি, ২০২০ সালের নির্বাচনে ফল পাল্টানো, পর্ন তারকাকে ঘুষ দেয়া মামলা আর সরকারি নথিপত্র নিজের কাছে রাখায় এরইমধ্যে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। এর মধ্যে, কোনোটিতে তিনি এরইমধ্যে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন আবার কোনোটিতে নিজেই করেছেন আত্মসমর্পণ। তবে ট্রাম্প শাসনামলে এসব মামলার স্থগিত থাকবে বলেই মনে করছেন আইনপ্রণেতারা।

এ ব্যাপারে সাবেক ফেডারেল আইনপ্রণেতা নিয়ামা রাহমানির মত, যিনি প্রেসিডেন্ট পদে আসীন তার বিরুদ্ধে মামলা চলতে পারে না। সুতরাং, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলা খারিজ হওয়াটাই স্বাভাবিক।

আবার ট্রাম্পের আইনজীবী স্টিভও বললেন একই কথা। তিনি বলেন, ট্রাম্প যতদিন ক্ষমতায় আছেন ততদিন এসব মামলার কোনো বিচার হওয়া সম্ভব নয়। একজন প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার অনেক দায়িত্ব রয়েছে।

একই সাথে প্রশ্ন উঠছে প্রেসিডেন্সিয়াল ক্ষমতাবলে ট্রাম্প কি নিজে নিজেকে ক্ষমা করতে পারেন? বিশ্লেষকরা বলছেন- তাত্ত্বিকভাবে পারেন। তবে শুধুমাত্র ফেডারেল মামলার আসামিকেই ক্ষমা করতে পারেন প্রেসিডেন্ট। তবে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে রয়েছে ফৌজদারি মামলাও। যা ক্ষমা করার এখতিয়ার নেই প্রেসিডেন্টের।

ডোনাল্ড ট্রাম্পই প্রথম প্রেসিডেন্ট যিনি কিনা বিচারাধীন মামলার আসামি হয়েও প্রবেশ করছেন ওভাল অফিসে।

আগামী বছরের পহেলা জানুয়ারি থেকে সুইজারল্যান্ডে পাবলিক প্লেসে মুখ ঢাকা নিষিদ্ধের আইন কার্যকর হচ্ছে। ওই সময় থেকে কেউ যদি বোরকা পরেন এবং মুখ ঢাকেন তাহলে তাদের প্রায় ১ হাজার ১৫০ ডলার জরিমানা করা হবে। যা বাংলাদেশি অর্থে দেড় লাখ টাকার সমান। খবর, রয়টার্সের।

২০২১ সালে দেশটিতে একটি গণভোট হয়। এতে মুখ ঢাকার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়ার পক্ষে রায় দেন দেশটির সাধারণ মানুষ। সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে এই গণ রায় কার্যকর করা হবে। যা ‘বোরখা নিষিদ্ধ’ নামে পরিচিত।

তবে ওই গণভোটের কঠোর বিরোধীতা করেছিল মুসলিম গ্রুপগুলো। এছাড়া পাবলিক প্লেসে মুখ ঢাকা নিষিদ্ধের গণভোটে অনেকেই বিপক্ষে ভোট দিয়েছিলেন। যদিও সুইজারল্যান্ডে খুব কম সংখ্যক মানুষ মুখ ঢাকা বোরখা পরেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও মুসলিমদের জন্য এটি একটি কঠিন বিষয় হতে পারে।

কোথায় কোথায় মুখ ঢাকা যাবে:
দেশটির সরকার জানিয়েছে এই নিষেধাজ্ঞা বিমান, কূটনৈতিক এবং কনস্যুলার এলাকায় কার্যকর হবে না। এছাড়া ধর্মীয় ও পবিত্র স্থানগুলোতেও মুখ ঢাকা যাবে।

এছাড়া স্বাস্থ্যজনিত, আবহাওয়াজনিত ও ট্র্যাডিশনাল কারণেও মুখ ঢাকার সুযোগ দেওয়া হবে। বিনোদনের ক্ষেত্রেও মুখ ঢাকায় কোনো বাধা থাকবে না। মুখ ঢাকা যাবে বিজ্ঞাপনের কাজের বেলাতেও। এছাড়া ব্যক্তিগত সুরক্ষার জন্যও মুখ ঢাকা যাবে। কিন্তু এজন্য কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে আগে থেকে অনুমতি নিতে হবে।

সম্পাদক ও প্রকাশক : মঈনুদ্দিন কাজল
deshermatidaily@gmail.com
০১৬১৫১১২২৬৬, ০১৬৭৩৫৬২৭১৬

দেশের মাটি কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।