বিশ্ব

বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের গুরুত্বপূর্ণ শহর মংডু পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নেয়ার দাবি করেছে দেশটির সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। খবর এএফপি ও সিএনএনের।

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) মিয়ানমারের গণমাধ্যম ইরাবতির এক খবরে দাবি করা হয়, মংডুর দখল করা সবশেষ ঘাঁটি থেকে ‘কুখ্যাত’ সেনা কর্মকর্তা ব্রিডেগিয়ার জেনারেল থুরিন তুনসহ জান্তা বাহিনীর কয়েকশ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে আরাকান আর্মি।

গত বছরের নভেম্বরে মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের ওপর আক্রমণ চালায় আরাকান আর্মি। এরপর রাজ্যটিতে দুই পক্ষের মধ্যে লড়াই শুরু হয়।

মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে আরাকান আর্মি বলেছে, মংডুর পুরো এলাকার ওপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে তারা। শহরটিতে ১ লাখ ১০ হাজারের বেশি মানুষের বসবাস।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, মংডুর কাছে জান্তার সর্বশেষ ঘাঁটি গত রোববার সকালে দখল করে নেন আরাকান আর্মির সদস্যরা। এটি দখলে তাদের দুই মাস লড়াই করতে হয়েছে। ঘাঁটির কমান্ডারসহ জান্তার বেশ কিছু সেনাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

আরাকান আর্মির প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, দৃশ্যত জান্তার সেনারা আত্মসমর্পণের পর ক্ষতিগ্রস্ত ভবনগুলো থেকে সাদা পতাকা হাতে বেরিয়ে আসছেন। এএফপি ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করতে পারেনি। তবে এ বিষয়ে জানতে বিদ্রোহী গোষ্ঠীটির একজন মুখপাত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে।

বাংলাদেশ সীমান্তে নাফ নদীর ওপারে মংডুর অবস্থান। শহরটি আরাকান আর্মির পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার দাবি প্রসঙ্গে জান্তা সরকারের মন্তব্য জানতে চাওয়া হয়। অবশ্য এতে তারা সাড়া দেয়নি।

এর আগে, গত মে মাসে আরাকান আর্মি বলেছিল, মংডু থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে বুথিডং শহর দখল করে নিয়েছে তারা।

বাংলাদেশ ও ভারতের চলমান উত্তেজনার মধ্যেই সম্প্রতি দুই দেশের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে বাংলাদেশের পক্ষে পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীম উদ্দিন ও ভারতের পক্ষে বিক্রম মিশ্রি নেতৃত্ব দেন। পরে দেশে ফিরে ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব সদ্য সমাপ্ত এই সফর নিয়ে দেশটির সংসদ সদস্যদের ব্রিফ করেন।

ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিবের ব্রিফে উঠে আসে বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ভারতে বসে রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়টি।

ভারতীয় গণমাধ্যম দ্য হিন্দুর বরাতে জানা যায়, বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সংসদীয় স্থায়ী কমিটিকে পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি জানিয়েছেন, ভারতে বসে শেখ হাসিনার বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনার বিষয়টি সমর্থন করে না নরেন্দ্র মোদি সরকার। এটি দুই দেশের সম্পর্কের মধ্যে একটি ক্ষুদ্র প্রতিবন্ধক।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা নিজের ব্যক্তিগত যোগাযোগের উপকরণ ব্যবহার করে বক্তব্য দিচ্ছেন। ভারত সরকার তাকে কোনো প্ল্যাটফর্ম বা সুযোগ প্রদান করেনি, যাতে তিনি ভারতীয় ভূখণ্ড থেকে তার রাজনৈতিক কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারেন।

ভারতের পররাষ্ট্রসচিব আরও বলেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক কোনো একক রাজনৈতিক দল বা সরকারের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। বরং বাংলাদেশের জনগণের প্রতি মনোযোগ দিয়েই সম্পর্ক বিবেচনা করে ভারত।

বিমানে করে রাজধানী দামেস্ক ছেড়েছেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ। তবে তিনি দামেস্ক ছেড়ে কোথায় গেছেন, সেটা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। এদিকে দেশটির রাজধানীতে প্রবেশ করতে শুরু করেছে বিদ্রোহীরা।

রোববার (৮ ডিসেম্বর) সকালে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাতে বিবিসির সরাসরি সম্প্রচারে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোর বরাতে জানা গেছে, সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের দিকে দ্রুতগতিতে অগ্রসর হচ্ছে বিদ্রোহীরা। এরইমধ্যে রাজধানী ঘিরে কয়েকটি উপশহরের নিয়ন্ত্রণও নিয়েছে এইচটিএস যোদ্ধারা।

আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না হলেও এর মাধ্যমে তার দীর্ঘ ২৪ বছরের শাসনের অবসান হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে দামেস্কের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে সশস্ত্র বিদ্রোহীরা। তবে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের প্রতিশোধ নেয়া হবে না বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তারা। দীর্ঘদিনের শাসক পালিয়ে যাওয়ার পর সিরিয়ার সশস্ত্র বিরোধী গোষ্ঠী ঘোষণা করেছে, আসাদ শাসনের সমাপ্তি দেশটির ইতিহাসে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে।

বিদ্রোহীরা বলেছে, ‘নতুন সিরিয়া’ হবে ‘শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের জায়গা’, যেখানে ন্যায়বিচারের জয় হবে এবং সব সিরীয় নাগরিকের মর্যাদা রক্ষা করা হবে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আমরা অন্ধকার অতীতের পাতা উল্টে দিয়ে ভবিষ্যতের জন্য একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবো।

বিদ্রোহীরা এক বিবৃতিতে বলেছেন, আমরা অন্ধকার অতীতের পাতা উল্টে ভবিষ্যতের জন্য একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করছি।

এদিকে, আপাতত সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো প্রধানমন্ত্রীর তত্ত্বাবধানেই থাকবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন ইসলামপন্থী বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) এর নেতা আবু মোহাম্মদ আল-জোলানি। এক টেলিগ্রাম বার্তায় তিনি এই ঘোষণা দিয়ে বলেন, এখন বিদ্রোহীরা দামেস্কের কোনও সরকারি প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করবে না।

পাকিস্তানের নাগরিকদের জন্য ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করেছে বাংলাদেশ। গত সোমবার (২ ডিসেম্বর) দেশটির নাগরিক ও বংশদ্ভূতদের জন্য ২০১৯ সালে জারি করা ভিসা সহজীকরণ স্মারকপত্রটি বাতিল করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

এর ফলে, এখন থেকে দেশটির নাগরিকদের বাংলাদেশ ভ্রমণে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনাপত্তিপত্র লাগবে না। পাশাপাশি দূতাবাস সরাসরি ভিসার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উপর্যুক্ত বিষয়ের পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তানি নাগরিক অথবা পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত যেকোনো দেশের নাগরিকদের ভিসা সহজীকরণের লক্ষ্যে সুরক্ষা সেবা বিভাগ কর্তৃক ২০১৯ সালের ১১ ফেব্রুয়ারী জারিকৃত স্বারকপত্রটি নির্দেশক্রমে বাতিল করা হলো।

এতে আরও বলা হয়, এর ফলে বর্ণিত নাগরিকগণের ভিসার আবেদন বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাস বা মিশন সরাসরি নিষ্পত্তি করতে পারবেন।

আগামী ৯ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সফরে আসছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব। দু’দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে ইতিবাচক আবহ তৈরির বার্তা নিয়েই ঢাকায় আসবেন তিনি। শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) দিল্লিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল।

সংবাদ সম্মেলনে সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহের আলোকে রণধীর জয়সওয়াল বলেন, দু’দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক যে তলানিতে ঠেকেছে, তা গোটা বিশ্বের কাছে পরিষ্কার।

এসময় প্রতিবেশীদের সঙ্গে ভারতের ভালো সম্পর্ক রাখার প্রয়াস আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সব প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরি করতে বদ্ধপরিকর ভারত। তাই দ্রুত দিল্লি এবং ঢাকার সমন্বয় তৈরি করার জন্য বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে বসতে চায় ভারত সরকার।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও অভ্যন্তরীণ নানা ইস্যু নিয়ে ভারতীয় মিডিয়ার অপতথ্যের পাশাপাশি দেশটির রাজনৈতিক নেতাদের বক্তব্যেও দেখা গেছে মিথ্যাচার। বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী অর্ধশতাব্দী সময়ে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক কূটনৈতিক সম্পর্কে এখন সবচেয়ে অবনমন ঘটেছে বলে মনে করছেন কেউ কেউ।

বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও বহিস্কৃত ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতার ইস্যুতে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ভেদান্ত প্যাটেল বলেছেন, ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিতের পাশাপাশি যেকোনো প্রতিবাদ-বিক্ষোভ শান্তিপূর্ণ হওয়ার পক্ষে যুক্তরাষ্ট্র।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

বাংলাদেশে কথিত সংখ্যালঘু নির্যাতন ইস্যুতে করা প্রশ্নের জবাবে মুখপাত্র ভেদান্ত প্যাটেল বলেন, মৌলিক অধিকার এবং ধর্মীয় স্বাধীনতার বিষয়ে মার্কিন প্রশাসন সব সরকারের সাথে কাজ করে। এই ইস্যুতে চলমান বিক্ষোভ প্রসঙ্গে স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র বলেন, প্রতিটি প্রতিবাদ শান্তিপূর্ণ হওয়া উচিত।

বহিষ্কৃত ইসকন নেতা চিন্ময় দাসের গ্রেফতার ইস্যুতে করা এক প্রশ্নের জবাবে মার্কিন এই মুখপাত্র বলেন, এই ইস্যুতে স্পষ্টভাবে অবগত নয় মার্কিন প্রশাসন। মামলা সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্যও তাদের কাছে নেই বলে জানান তিনি।

তবে গ্রেফতার হওয়া যে কোনো ব্যক্তির আইনি সুরক্ষা পাওয়ার অধিকার রয়েছে বলে মন্তব্য করেন ভেদান্ত প্যাটেল। বলেন, আটক ব্যক্তিদের উপযুক্ত আইনি সুযোগ দিতে হবে এবং মৌলিক অধিকার সমুন্নত রাখতে হবে।

দক্ষিণ কোরিয়ায় জরুরি ভিত্তিতে সামরিক আইন জারি করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে এ ঘোষণা দেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল। খবর ব্রিটিশ ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম বিবিসির।

তিনি বলেন, উদারপন্থী দক্ষিণ কোরিয়াকে উত্তর কোরিয়ার কমিউনিস্ট বাহিনীর হুমকি থেকে সুরক্ষা দিতে এবং রাষ্ট্রবিরোধী বিভিন্ন শক্তি নির্মূল করতে আমি জরুরি ভিত্তিতে সামরিক আইন জারি করছি। তবে কী ধরনের হুমকি মোকাবেলায় তার এ পদক্ষেপ, সে বিষয়ে বিস্তারিত জানাননি তিনি।

প্রেসিডেন্টের এমন সিদ্ধান্তের সমালোচনা করছে স্বয়ং তার রাজনৈতিক দল পিপল পাওয়ার পার্টি। সামরিক আইন জারিকে অসাংবিধানিক আখ্যা দিয়েছে বিরোধী দলের নেতারাও।

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়িতে অন্তর্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে অবমাননাকর পোস্টার সাঁটিয়েছে দুর্বৃত্তরা। তবে কারা এসব লাগিয়েছে তার কোনো হদিস বলতে পারছে না সেখানকার পুলিশ।

জানা গেছে, মঙ্গলবার প্রকাশ্য দিবালোকে একটি সনাতনী সংগঠনের সমর্থকরা এই পোস্টের লাগিয়েছে। তাতে ড. মুহাম্মদ ইউনূস সম্পর্কে নানা আপত্তিকর কথা লেখা রয়েছে।

এর আগে, সোমবার ত্রিপুরার আগরতলায় বাংলাদেশ উপ সহকারী দূতাবাসে হামলার ঘটনায় বিব্রত ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। গ্রেফতার করা হয়েছে তিন দুষ্কৃতিকারীকে। তার মধ্যেই ফের এই ধরনের ঘটনা গভীর চিন্তায় ফেলেছে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ২০২৬ সালে পশ্চিমবঙ্গসহ আরও বেশ কয়েকটি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটের লোভে শাসক এবং বিরোধী সব রাজনৈতিক দল এসব কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। নিজেদের দেশ ও রাজ্যের শিল্প, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কর্মসংস্থান ও কৃষির নানা সমস্যাকে ধামা চাপা দিতে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পালা বদল এবং ধর্মীয় সংঘাতকে প্রচার করা হচ্ছে।

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ আন্দোলনের মুখে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর একাধিক ভারতীয় সংবাদমাধ্যম খবর প্রকাশ করতে থাকে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। এ কারণে অনেকে পালিয়ে ভারতে চলে আসছেন। তবে, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে প্রবেশকারীদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বাড়েনি। গত ছয় বছরের সরকারি তথ্যের বিশ্লেষণে এটি নিশ্চিত করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম, দ্য হিন্দু।

দ্য হিন্দু’র প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশের চেষ্টার একটি তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে দেখা গেছে চলতি বছরে গত ৫ আগস্টের পর থেকে ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ ১ হাজার ৩৯৩ বাংলাদেশিকে আটক করে।

দ্য হিন্দু’র প্রতিবেদন।

অরপরদিকে, শেখ হাসিনার পতনের আগে চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৪ আগস্ট পর্যন্ত ১ হাজার ১৪৪ জনকে অনুপ্রবেশের সময় আটক করেছিল বিএসএফ। এর অর্থ সরকারের পতনের পর হাজার হাজার মানুষের সীমান্ত পাড়ি দেয়ার কোনো চেষ্টার ঘটনা ঘটেনি।

একই পরিসংখ্যানে গত ১ জানুয়ারি থেকে ৪ আগস্ট পর্যন্ত ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) বাংলাদেশে অবৈধ প্রবেশের সময় পরিচয়বিহীন ৮৭৩ জন ভারতীয়কে আটক করে। এছাড়া ৫ আগস্ট থেকে ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত সেদেশের ৩৮৮ জন নাগরিককে অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় আটক করা হয়। 

সব মিলিয়ে চলতি বছর সীমান্ত এলাকা থেকে ৩ হাজার ৯০৭ জনকে আটক করা হয়।

বছরভিত্তিক সীমান্ত এলাকায় বিএসএফের হাতে আটকের সার্বিক পরিসংখ্যান:

বছর আটকের সংখ্যা
২০১৮ ২৯৯৫
২০১৯ ২৪৮০
২০২০ ৩২৯৫
২০২১ ২৪৫১
২০২২ ৩০৭৪

 

চীন-রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন ব্রিকস জোট যদি বৈশ্বিক বাণিজ্যের জন্য নতুন মুদ্রা চালু বা প্রচলিত মুদ্রার বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করে, তাহলে জোটের সদস্য দেশগুলোর ওপর শতভাগ শুল্ক আরোপ করবে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

রোববার (১ ডিসেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা এক বার্তায় ট্রাম্প এসব কথা জানান।

পোস্টে ট্রাম্প লেখেন, মার্কিন ডলার থেকে ব্রিকস দেশগুলোর দূরে সরে যাওয়ার চেষ্টা আর সহ্য করা হবে না। আমরা চাই, তারা অঙ্গীকার করবে যে, নতুন ব্রিকস মুদ্রা তৈরি করবে না এবং ডলারের বিকল্প কোনো মুদ্রাকে সমর্থন দেবে না। অন্যথায়, তারা শতভাগ শুল্কের সম্মুখীন হবে এবং যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রবেশাধিকার হারাবে।

ট্রাম্পের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট।

এক যুগ আগে, ২০১১ সালে ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন এবং দক্ষিণ আফ্রিকাকে নিয়ে গঠিত হয় ব্রিকস জোট। চলতি বছর ইরান, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইথিওপিয়া এবং মিশর এর নতুন সদস্য হিসেবে যুক্ত হয়ে।

দক্ষিণ আফ্রিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী নালেদি প্যান্ডর জানিয়েছিলেন, ৩৪টি দেশ এই জোটে যোগদানের আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আগ্রহীদের তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশসহ এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশ।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী বিশ্বে ডলার হলো প্রধান রিজার্ভ মুদ্রা। বলা হয়, বিশ্ববাণিজ্যের ৮০ শতাংশের বেশি ডলারে লেনদেন হয়। গত বছরের শুরুতে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা দা সিলভা প্রশ্ন তোলেন, কেন সব দেশ ডলারে লেনদেন করবে। এর পরপর রাশিয়ার একজন শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, ব্রিকস নিজস্ব মুদ্রা চালুর কথা ভাবছে।

এবার ব্রিকসের এই খসড়া চিন্তার বিপরীতে প্রতিক্রিয়া দেখালো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। কারণ, যিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আর দেড় মাস পর মার্কিন ক্ষমতার মসনদে বসবেন সেই ট্রাম্প।

সম্পাদক ও প্রকাশক : মঈনুদ্দিন কাজল
deshermatidaily@gmail.com
০১৬১৫১১২২৬৬, ০১৬৭৩৫৬২৭১৬

দেশের মাটি কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।