বিশ্ব

ইসরাইলের একটি নৌঘাঁটিসহ ৬টি স্থাপনায় ড্রোন হামলা চালিয়েছে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। শুক্রবার ‘নিখুঁতভাবে’ আঘাত হানতে সক্ষম এক ঝাঁক আত্মঘাতী ‘কামিকাজে’ ড্রোন দিয়ে ওই হামলা চালানো হয়।

এতে ইসরাইলের ওই নৌঘাঁটির একাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং বহু সেনা হতাহত হয়েছে বলে দাবি করেছে সংগঠনটি।

এদিন এক বিবৃতিতে হিজবুল্লাহ বলেছে, ড্রোনগুলো ইসরাইলের ‘রাস আন-নাকুরা’ ঘাঁটিতে অবস্থিত এমন কয়েকটি ভবনে নিখুঁতভাবে আঘাত হেনেছে। যেসব ভবন ইসরাইলি সেনা কর্মকর্তা ও সাধারণ সেনারা ব্যবহার করে থাকেন। হামলায় নৌঘাঁটিটির একাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং নিশ্চিতভাবে বহু সেনা হতাহত হয়েছে। 

এর আগে বৃহস্পতিবার দক্ষিণ লেবাননের দেরকিভা শহরে হামলা চালায় ইসরাইলি বাহিনী। যাতে একজন হিজবুল্লাহ যোদ্ধা নিহত হন। এর প্রতিবাদেই শুক্রবার হামলা চালায় হিজবুল্লাহ।

বিবৃতিতে হিজবুল্লাহ জানায়, গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনের প্রতিবাদ জানাতে এবং দক্ষিণ লেবাননের দেরকিভা শহরে বৃহস্পতিবারের ইসরাইলি হামলার প্রতিশোধ নিতে ওই নৌঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়েছে।  

এদিকে হিজবুল্লাহর হামলার বিষয়ে ইসরাইলের পক্ষ থেকে এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি। তবে শুক্রবার রাতে ইসরাইলের রিজার্ভ জেনারেল ইতজাক ব্রিক বলেছেন, হিজবুল্লাহর ওপর যেকোনো হামলা এই অঞ্চলে ব্যাপক যুদ্ধের জন্ম দেবে।

আরেক বিবৃতিতে হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, তাদের যোদ্ধারা ইসরাইলের শেবা কৃষিখামারের রুওয়াইসাত আল-কার্ন ও জিবদিন ঘাঁটি এবং কুফার শুবা পাহাড়ের রামথা ও আল-সামাকা ঘাঁটি লক্ষ্য করে রকেট নিক্ষেপ করেছে। এতে ইসরাইলের বহু ক্ষতি হয়েছে।

গাজার ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের সমর্থনে ২০২৩ সালের ৮ অক্টোবর থেকে ইসরাইলের বিরুদ্ধে হামলা চালিয়ে আসছে হিজবুল্লাহ। গত সপ্তাহে ইসরাইলি বাহিনী হিজবুল্লাহর সিনিয়র কমান্ডার তালেব সামি আব্দাল্লাহকে হত্যা করার পর ইসরাইলবিরোধী হামলা জোরদার করেছে লেবানন ভিত্তিক সংগঠনটি।

এর জেরে শীর্ষ পর্যায়ের ইহুদি সেনা কর্মকর্তারা সম্প্রতি লেবাননে ‘ব্যাপক-মাত্রায়’ হামলা চালানোর বিষয়টি অনুমোদন করেন। গত মঙ্গলবার ইসরাইলি বাহিনী এক বিবৃতিতে জানায়, তারা লেবাননে অভিযান চালানোর বিষয়টি অনুমোদন করেছে।

একই দিন হিজবুল্লাহ গোয়েন্দা ড্রোন পাঠিয়ে ইসরাইলের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সামরিক স্থাপনার ভিডিও ধারণ করে তা প্রকাশ করে। এতে রীতিমতো ‘হকচকিত’ হয়ে যায় তেল আবিব।

এরপর বুধবার হিজবুল্লাহ নেতা সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, লেবাননে ব্যাপক মাত্রায় আগ্রাসন চালালে ইসরাইলের এক ইঞ্চি ভূমিও হিজবুল্লাহর রকেট হামলা থেকে বাঁচতে পারবে না। একই সঙ্গে তিনি ইসরাইলকে আগ্রাসন চালানোর কাজে সহযোগিতা করলে সাইপ্রাসেও হামলা চালানোর হুমকি দেন।

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনকে প্রাণঘাতী অস্ত্র দেওয়ার ব্যাপারে দক্ষিণ কোরিয়াকে সতর্ক করেছেন। তিনি বলেছেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করতে কিয়েভকে যদি সিউল অস্ত্র দেয়, তবে বড় ধরনের ভুল করবে।

রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে একটি সার্বিক কৌশলগত অংশীদারত্ব চুক্তি সই হয়েছে। চুক্তিতে কোনো পক্ষ আগ্রাসনের শিকার হলে পারস্পরিক সহযোগিতার কথা বলা হয়েছে। এর প্রতিক্রিয়ায় সিউলের পক্ষ থেকে কিয়েভকে অস্ত্র দেওয়ার সম্ভাবনার কথা হয়। এর জবাবে পুতিন সিউলকে সতর্ক করে দেন।

পরমাণু অস্ত্রধারী দেশ উত্তর কোরিয়া সফর ও দেশটির নেতা কিম জং-উনের সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তি সইয়ের এক দিন পর গতকাল বৃহস্পতিবার ভিয়েতনামে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে কথাগুলো বলেন পুতিন। তিনি বলেন, সিউল যদি কিয়েভকে অস্ত্র সরবরাহ করার সিদ্ধান্ত নেয়, তবে মস্কো এমন সিদ্ধান্ত নেবে, যা দক্ষিণ কোরিয়ার বর্তমান নেতৃত্বকে খুশি করার সম্ভাবনা কম।

পুতিন আরও বলেছেন, উত্তর কোরিয়াকে অস্ত্র সরবরাহ করতে পারে রাশিয়া। মূলত ইউক্রেনে পশ্চিমা অস্ত্র সরবরাহের প্রতিশোধ হিসেবে মস্কো এ পদক্ষেপ নেবে বলে জানিয়েছেন তিনি। এ ছাড়া রুশ প্রেসিডেন্ট সতর্ক করে আরও বলেন, ‘যাঁরা কিয়েভকে অস্ত্র সরবরাহ করে ভাবছেন, তাঁরা রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে জড়াচ্ছেন না, তাঁদের বলছি, রাশিয়ার পক্ষ থেকে পিয়ংইয়ংসহ বিশ্বের অন্য অঞ্চলেও অস্ত্র সরবরাহ ও সংরক্ষণ করার অধিকার রয়েছে।’

এদিকে গতকাল পুতিনের ওই মন্তব্যের পর আজ শুক্রবার দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে বলা হয়, ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহের নানা উপায় তারা বিবেচনা করছে। তাদের অবস্থান নির্ভর করছে রাশিয়া এ বিষয়ে কীভাবে অগ্রসর হবে, তার ওপর। সিউলে রুশ রাষ্ট্রদূত জর্জি জিনোভিভকে ডেকে তারা চুক্তির প্রতিবাদ জানিয়েছে এবং দ্রুত চুক্তি বাতিলের দাবি জানিয়েছে।

মস্কো ও পিয়ংইয়ংয়ের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সম্পর্ককে উদ্বেগের সঙ্গেই দেখছে পশ্চিমা দেশগুলো।

চলতি মাসের শুরুতে পুতিন হুমকি দিয়েছিলেন, রাশিয়া পশ্চিমা প্রতিপক্ষকে অস্ত্র সরবরাহ করতে পারে। কারণ, পশ্চিমারা ইউক্রেনকে অতি সুনির্দিষ্টভাবে আঘাত হানতে পারা অস্ত্র সরবরাহ করছে এবং রাশিয়ার ভেতর লক্ষ্যবস্তুতে গুলি চালানোর অনুমতি দিচ্ছে।

লেবাননের ইরানপন্থী সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহর সঙ্গে পুরোদমে যুদ্ধ বেধে গেলে ইসরায়েল ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকজন কর্মকর্তা। তাঁদের ভাষ্যমতে, আয়রন ডোমসহ ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থাগুলোতে যত ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে, তার চেয়ে হিজবুল্লাহর ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনের সংখ্যা বেশি। সে কারণে তাদের হামলা পুরোপুরি ঠেকানো সম্ভব না–ও হতে পারে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষাব্যবস্থাগুলোর মাধ্যমে।

যুক্তরাষ্ট্রের ওই কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে সিএনএনের। তাঁরা বলেছেন, ইসরায়েল ভয় পাচ্ছে—হিজবুল্লাহর বিপুল পরিমাণ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার মুখে ঝুঁকিতে পড়তে পারে আয়রন ডোম। বিষয়টি নিয়ে তাঁদের সঙ্গেও কথা বলেছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। আর এমন সময় বিষয়টি নিয়ে কথা উঠছে, যখন লেবাননে স্থল ও আকাশপথে হামলা চালানোর ইঙ্গিত দিচ্ছে ইসরায়েল।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষাব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ এই আয়রন ডোম। যুক্তরাষ্ট্র সরকার বলছে, এই ব্যবস্থার পেছনে ২৯০ কোটি ডলারের খরচ করেছে তারা। আয়রন ডোম নিয়ে গর্ব করে থাকে ইসরায়েলি বাহিনীও। তাদের দাবি, গত বছর ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী ইসলামিক জিহাদের চালানো রকেট হামলা ঠেকানোর ক্ষেত্রে আয়রন ডোমের সফলতার হার ছিল ৯৫ দশমিক ৬ শতাংশ।

 

তবে ইসলামিক জিহাদের চেয়ে হিজবুল্লাহ অনেক বেশি শক্তিশালী। সুনির্দিষ্টভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে—এমন ক্ষেপণাস্ত্র ও অস্ত্রশস্ত্র বছরের পর বছর ধরে সংগঠনটিকে দিয়ে আসছে ইরান। বর্তমানে তাদের হাতে এমন অস্ত্রের বড় মজুত আছে বলে ধারণা করা হয়। ইসরায়েলের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, এসব অস্ত্র দিয়ে হিজবুল্লাহ বড় ধরনের হামলা চালালেই কেবল সেগুলো ঠেকানোর সক্ষমতা হারাতে পারে আয়রন ডোম।

এদিকে এরই মধ্যে নিজেদের সক্ষমতা দেখিয়েছে হিজবুল্লাহ। চলতি মাসের শুরুর দিকে তাদের প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা যায়, উত্তর ইসরায়েলে আয়রন ডোমের একটি ব্যাটারিতে হামলা চালিয়েছে একটি ড্রোন। এ ছাড়া চলতি সপ্তাহেই ৯ মিনিটের আরেকটি ভিডিও প্রকাশ করেছে হিজবুল্লাহ। ড্রোন থেকে ধারণ করা ওই ভিডিওতে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার চিত্র ধরা পড়েছে।

 

হিজবুল্লাহর হাতে দেড় লাখ রকেট–ক্ষেপণাস্ত্র

হিজবুল্লাহর হাতে যেসব ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন ও রকেট আছে, সেগুলোর সক্ষমতা ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের অস্ত্রশস্ত্রের চেয়ে বেশি। হিজবুল্লাহর এসব ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনের বেশির ভাগই স্বল্পপাল্লার। এরপরও সেগুলোর কিছু কিছু ইসরায়েলের বেশ ভেতরে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে। ইসরায়েলি বাহিনীর ধারণা, সংগঠনটির হাতে প্রায় দেড় লাখ ক্ষেপণাস্ত্র ও রকেট আছে।

এদিকে মার্কিন সরকারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, হিজবুল্লাহর ৪০ থেকে ৫০ হাজার যোদ্ধা রয়েছেন। তবে গত বুধবার সংগঠনটির প্রধান হাসান নাসরাল্লাহ জানিয়েছেন, এই সংখ্যাটা এক লাখের অনেক বেশি। এর মধ্যে হিজবুল্লাহর বিশেষ বাহিনী ‘রেদওয়ান ফোর্সের’ সদস্যরাও রয়েছেন। তাঁদের সিরিয়ায় বাশার আল–আসাদ সরকারের পক্ষে লড়াই করার অভিজ্ঞতা রয়েছে।

আবগারি দুর্নীতি মামলায় জামিন পেয়েছেন ভারতের দিল্লির মূখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। বৃহস্পতিবার (২০ জুন) দিল্লির একটি আদালত তাকে জামিন দেন। আম আদমি পার্টির প্রধান আগামীকাল শুক্রবার (২১ জুন) জেল থেকে বেরিয়ে আসতে পারেন। জামিনের আদেশের চিঠি কারাগারে পৌঁছানোর পরই বের হতে পারবেন তিনি।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস বলছে, বৃহস্পতিবার দিল্লির রউস অ্যাভিনিউ আদালতের অবকাশকালীন বিচারক ন্যায় বিন্দু এই জামিন আদেশ দেন। তবে, জামিনের বন্ড হিসেবে কেজরিওয়ালকে ১ লাখ রুপি জমা দেয়ার আদেশ দেন আদালত।
 
নিম্ন আদালতের এই রায়ের পর ৪৮ ঘণ্টার জন্য স্থগিতাদেশ চেয়েছিল ভারতের কেন্দ্রীয় সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। তবে, সেই আবেদন খারিজ করেন বিচারক।
 
এদিকে, কেজরিওয়ালের আইনজীবী আদালতে দাবি করেন, আবগারি দুর্নীতি মামলায় আম আদমি পার্টির (এএপি) প্রধানের বিরুদ্ধে ইডির হাতে কোনো প্রমাণ নেই। এই মামলায় যারা রাজসাক্ষী হয়েছেন, তাদের বয়ানের ওপর ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে রয়েছে মামলাটি।
 
নির্বাচন সামনে রেখে অর্থপাচারের অভিযোগে গত ২১ মার্চ কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। সেই গ্রেফতার অবৈধ ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত দাবি করে মামলা করেন কেজরিওয়াল।
 
৫০ দিন কারাভোগের পর নির্বাচনী প্রচারের স্বার্থে সুপ্রিম কোর্ট তাকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন। এই জামিনের মেয়াদ ছিল নির্বাচনের শেষদিন অর্থাৎ গত ১ জুন পর্যন্ত।
 
কিন্তু ভোট শেষ হওয়ার পরই শারীরিক কারণ দেখিয়ে কেজরিওয়াল তার জামিনের মেয়াদ আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন। আবেদনে তিনি বলেন, এই সময়ের মধ্যে তিনি কিছু স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে চান।
 
তবে তার এ আবেদন গ্রহণ করেননি আদালত। যার ফলে ২১ দিন জামিনে বাইরে থাকার পর রোববার বিকেলে তিহার জেলে আত্মসমর্পণ করতে হয় মুখ্যমন্ত্রীকে।

যুক্তরাজ্যে পরবর্তী নির্বাচনে লেবার পার্টি জিতবে ও সরকার গঠন করবে—এমন সম্ভাবনা রয়েছে। লেবার পার্টির জমানায় করহার বাড়তে পারে—এমন আশঙ্কায় রেকর্ডসংখ্যক ধনী চলতি বছর যুক্তরাজ্য ছাড়তে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

অভিবাসনবিষয়ক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্সের এক সাময়িক প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে সিএনএন জানিয়েছে, চলতি বছর যুক্তরাজ্যের প্রায় ৯ হাজার ৫০০ জন ধনী দেশ ছাড়তে পারেন, যাঁদের অন্তত ১০ লাখ পাউন্ড নগদ ও বিনিয়োগযোগ্য সম্পদ আছে। গত বছর, অর্থাৎ ২০২৩ সালে এর প্রায় অর্ধেক মানুষ যুক্তরাজ্য ছেড়েছেন।

ইনস্টিটিউট ফর গভর্নমেন্টের প্রধান নির্বাহী হানা হোয়াইট বলেছেন, হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্সের প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, নানাবিধি কারণে যুক্তরাজ্য আর ধনীদের জন্য আকর্ষণীয় থাকছে না। ব্রেক্সিটের জের এখনো চলছে; সেই সঙ্গে সিটি অব লন্ডনও আর বিশ্বের আর্থিক জগতের কেন্দ্র হিসেবে গণ্য হচ্ছে না।

নিউ ওয়ার্ল্ড ওয়েলথ নামের একটি বিনিয়োগ কোম্পানির তথ্য-পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে এ প্রতিবেদন প্রণয়ন করেছে হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্স। বিভিন্ন কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা, চেয়ারম্যান, প্রধান নির্বাহী, প্রেসিডেন্ট, পরিচালক ও ব্যবস্থাপনা অংশীদার—এ শ্রেণির মানুষেরা দেশটিতে এক বছরের বেশি সময় ধরে থাকলে তাদের বিবেচনার মধ্যে নেওয়া হয়।

তবে এ প্রবণতা নতুন কিছু নয়। বিশ্বজুড়ে ধনীদের গণহারে অভিবাসন করার যে ধারা তৈরি হয়েছে, এটি তারই অংশ। ২০১৭ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে ১৬ হাজার ৫০০ ধনী যুক্তরাজ্য ছেড়েছেন। হেনলি প্রাইভেট ওয়েলথ মাইগ্রেশন প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি বছর বিশ্বের ১ লাখ ২৮ হাজার ধনী অভিবাসন করতে পারেন, গত বছরের চেয়ে যা ৮ হাজার বেশি।

হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্সের ব্যক্তিশ্রেণির ভোক্তাবিষয়ক শাখার প্রধান ডমিনিক ভলেক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, পৃথিবীতে এখন ভূরাজনৈতিক উত্তেজনার সঙ্গে অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা চলছে; এ পরিস্থিতিতে ধনীরা রেকর্ড সংখ্যায় দেশ ছাড়ছেন।

বিশ্বের যে ১৫টি দেশে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক ধনীর বসবাস, সেগুলোর মধ্যে অতি ধনীদের যুক্তরাজ্য ছেড়ে যাওয়ার প্রবণতা সবচেয়ে বেশি। ২০২৪ সালে যুক্তরাজ্যের চেয়ে এ ক্ষেত্রে এগিয়ে থাকবে কেবল চীন, এ বছর ১৫ হাজার ২০০ অতি ধনী দেশটি ছেড়ে যেতে পারেন।

২০১৩ সালের পর যুক্তরাজ্য বাদে জাপান ও হংকংয়ের অতি ধনীর সংখ্যা কমেছে। একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি ও ফ্রান্সে অতি ধনীর সংখ্যা বেড়েছে।

ব্রেক্সিটের কারণে যুক্তরাজ্যের মানুষের ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্যান্য দেশে অবাধ যাতায়াত বন্ধ হয়েছে; সেই সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্যে নতুন নতুন বাধা বা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে। উচ্চ মূল্যস্ফীতি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবের সঙ্গে আছে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা।

যুক্তরাজ্যে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছে। ২০১০ সাল থেকে এ পর্যন্ত পাঁচজন প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাজ্য শাসন করেছেন; এর মধ্যে ২০২২ সালে লিজ ট্রাসের ৪৫ দিনের সরকারও ছিল। তিনি কর হ্রাস করে আর সরকারের ঋণ বৃদ্ধি করে ব্যয় মেটাতে চেয়েছিলেন। এ সিদ্ধান্তে পাউন্ডের ব্যাপক দরপতন হয় এবং শেষমেশ ব্যাংক অব ইংল্যান্ডকে হস্তক্ষেপ করতে হয়।

এ ধরনের অস্থিতিশীলতার কারণে নীতিপ্রণেতাদের পক্ষে দেশটির শ্লথ অর্থনীতির গতি বাড়ানো বা বিনিয়োগ সহায়ক পরিবেশ তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে না।

আগামী মাসেই যুক্তরাজ্যে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ভোটারদের নিয়ে করা মতামত জরিপে দেখা গেছে, কির স্টারমারের লেবার পার্টি প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের নেতৃত্বাধীন কনজারভেটিভ পার্টির চেয়ে ২০ শতাংশ বেশি সমর্থন পেয়ে এগিয়ে আছে। প্রবৃদ্ধির পালে হাওয়া লাগানো ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার প্রতিশ্রুতি দিয়ে লেবার পার্টি ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছে।

স্টারমার ও সম্ভাব্য পরবর্তী অর্থমন্ত্রী র‍্যাচেল রিভস নিশ্চয়তা দিয়েছেন যে আয়কর ও বিক্রয়কর বৃদ্ধি করা হবে না। এ ছাড়া ঋষি সুনাকের সরকার যে রাজস্বনীতি প্রণয়ন করেছে, সেই নীতিতেও অটল থাকবেন বলে তাঁরা জানিয়েছেন।

কিন্তু নির্বাচিত হলে লেবার পার্টি সুনির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে কর বৃদ্ধিতে অঙ্গীকারবদ্ধ, যেমন ধনীদের আয়কর। এমনিতেই ধনীরা যুক্তরাজ্যে ছেড়ে যাচ্ছেন; সেই সঙ্গে এমন নীতির কারণে ধনীদের দেশ ছাড়ার প্রবণতা আরও বাড়তে পারে।

নির্বাচনের আগে ৫ লাখ অভিবাসীকে বৈধতা দিতে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। যারা কমপক্ষে ১০ বছর আমেরিকায় আছেন, তারা পাবেন এই বৈধতা। ফলে আমেরিকা থেকে তাদের আর বিতাড়িতও হতে হবে না। আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে বাইডেন প্রশাসনের এমন নীতিকে বুদ্ধিদীপ্ত সিদ্ধান্ত বলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের বাকি আর প্রায় ৪ মাস। আর এই নির্বাচনকে সামনে রেখে নতুন অভিবাসন নীতি ঘোষণা করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। 

অবৈধ অভিবাসীদের বৈধ করার ঘোষণা দিয়েছেন বাইডেন। অন্তত ১০ বছর ধরে যারা দেশটি বসবাস করছেন, এমন ৫ লাখ দম্পতিকে কাজের অনুমতি দেবে প্রশাসন। একই সঙ্গে বৈধভাবে আমেরিকায় কাজ করতে পারবেন তারা। আর এ পদক্ষেপ তাদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে যারা কোনো মার্কিন নাগরিককে বৈধভাবে বিয়ে করেছেন।

জো বাইডেন বলেন, ‘আমি আজ নতুন পদক্ষেপের ঘোষণা দিচ্ছি, যার মাধ্যমে কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, দক্ষ কর্মীদের ভিসার বৈধতা দিতে সহায়ক হবে। কারণ, আমাদের অর্থনীতি বৃদ্ধিতে এটা সহায়তা করবে। এটাই সঠিক সিদ্ধান্ত।

স্পাউস ছাড়াও ২১ বছরের কমবয়সী অভিবাসীদের প্রায় ৫০ হাজার অনাগরিক সন্তানকেও আইনি মর্যাদা দেওয়া হচ্ছে, যাদের বাবা বা মা কোনো মার্কিন নাগরিককে বিয়ে করেছেন।

প্যারোল ইন প্লেস নামে এ পদক্ষেপটি অভিবাসীদের জন্য গ্রিন কার্ড ও নাগরিকত্ব পাওয়ার পথ আরও সহজ করবে। আমেরিকার কোনো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যারা স্নাতক সম্পন্ন করেছেন, তাদেরও আনা হবে এ নীতির আওতায়। বৈধ হতে খুব দ্রুতই প্রার্থীরা আবেদনপত্র জমা দিতে পারবেন বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।  

নতুন নীতির বিষয়ে বিশ্লেষকরা বলেছেন, এটি বাইডেন প্রশাসনের একটি বুদ্ধিদীপ্ত রাজনৈতিক পদক্ষেপ, যা আগামী নির্বাচনে তাঁকে সাহায্য করবে। আসন্ন নির্বাচনে নেভাদা ও অ্যারিজোনার মতো গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যগুলোতে লাতিন ভোটারদের সমর্থন পেতে মরিয়া বাইডেন। এর অংশ হিসেবেই তিনি এমন পদক্ষেপ নিলেন বলে মত বিশ্লেষকদের।

নিজের বেশ কয়েকজন মন্ত্রীসহ গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে উত্তর কোরিয়া সফরে গেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। পুতিনের দুই দিনের এই সফরে রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে একটি অংশীদারি চুক্তি সই হতে পারে।

স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে পুতিন পিয়ংইয়ংয়ে পৌঁছান। বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানান উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন।

পুতিন সর্বশেষ উত্তর কোরিয়া সফরে গিয়েছিলেন ২০০০ সালের জুলাইয়ে। অর্থাৎ তিনি ২৪ বছর পর উত্তর কোরিয়া সফরে গেলেন।

পুতিনের যাঁরা সফরসঙ্গী হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ।
এ ছাড়া পুতিনের সফরসঙ্গীদের মধ্যে আছেন প্রথম উপপ্রধানমন্ত্রী ডেনিস মান্তুরভ, আলেক্সান্ডার নোভাক, প্রতিরক্ষামন্ত্রী আন্দ্রেই বেলুসভ, উপপ্রতিরক্ষামন্ত্রী অ্যালেক্সি ক্রিভোরুচকো, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মিখাইল মুরাশকো, পরিবহনমন্ত্রী রোমান স্টারোভোইত, রাশিয়ার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা রসকসমসের প্রধান ইউরি বরিসভ, রেলওয়েপ্রধান ওলেগ বেলোজেরভ ও রাশিয়ার দূরপ্রাচ্য অঞ্চলের গভর্নর ওলেগ কোঝেমিয়াকো।

গতকাল পূর্ব সাইবেরিয়ার শহর ইয়াকুতস্ক থেকে উত্তর কোরিয়ার উদ্দেশে যাত্রা করেন পুতিন। অন্তত একটি যুদ্ধবিমান পুতিনকে বহনকারী উড়োজাহাজটি পাহারা দিয়ে উত্তর কোরিয়া নিয়ে যায়।

পিয়ংইয়ংয়ে পুতিনকে লালগালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়। পুতিনের আগমন উপলক্ষে পতাকা, তাঁর ছবি, বেলুন ও ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছে পুরো পিয়ংইয়ং।

উত্তর কোরিয়া সফর শেষে বৃহস্পতি ও শুক্রবার (২০ ও ২১ জুন) ভিয়েতনাম সফরে যাবেন পুতিন। 

সৌদি আরবে এবারের পবিত্র হজ মৌসুমে অন্তত সাড়ে পাঁচ শ হজযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মারা গেছেন মিসরের হজযাত্রী। চরম উষ্ণ আবহাওয়া ও প্রচণ্ড গরমের কারণে অসুস্থ হয়ে তাঁদের অনেকেই মারা গেছেন বলে গতকাল মঙ্গলবার সংশ্লিষ্ট কূটনীতিকেরা জানিয়েছেন।

সংশ্লিষ্ট অন্তত দুজন আরব কূটনীতিক এএফপিকে বলেছেন, মারা যাওয়া হজযাত্রীদের মধ্যে মিসরের অন্তত ৩২৩ জন আছেন। তাঁদের অধিকাংশই প্রচণ্ড গরমে অসুস্থতার কারণে মারা গেছেন।

একজন কূটনীতিক বলেন, মিসরের যেসব হজযাত্রী মারা গেছেন, তাঁদের প্রায় সবাই প্রচণ্ড গরমের কারণে অসুস্থ হয়েছিলেন। একজন সামান্য ভিড়ের মধ্যে পদদলিত হয়েছিলেন। তিনি আরও বলেন, মারা যাওয়া হজযাত্রীর মোট সংখ্যা মক্কার পার্শ্ববর্তী আল-মুয়াইসেম এলাকার মর্গ থেকে পাওয়া।

কূটনীতিকেরা আরও জানান, মারা যাওয়া হজযাত্রীদের মধ্যে জর্ডানের অন্তত ৬০ জন নাগরিক আছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার জর্ডান জানিয়েছিল, এবারের হজে তাঁদের ৪১ জন নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে।

তবে বিভিন্ন দেশের পক্ষ থেকে জানানো তথ্য সমন্বয় করে এএফপি বলছে, এবারের পবিত্র হজে গিয়ে মোট ৫৭৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।

সৌদি আরবে এবারের হজের সময় বেশ গরম পড়েছে। দেশটির আবহাওয়া দপ্তরের তথ্য, গত সোমবার মক্কার গ্র্যান্ড মসজিদ এলাকার তাপমাত্রা ৫১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠেছিল।

গত বছর পবিত্র হজ মৌসুমে সৌদি আরবে অন্তত ২৪০ জন হজযাত্রীর মৃত্যু হয়েছিল। তাঁদের বেশির ভাগ ইন্দোনেশিয়ার নাগরিক ছিলেন।

দুই দশকের বেশি সময় পর উত্তর কোরিয়ায় গেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সেখানে গিয়েই দেশটিকে সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। আজ মঙ্গলবার পুতিন অঙ্গীকার করেছেন যে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে তিনি উত্তর কোরিয়াকে সহায়তা করবেন। খবর রয়টার্সের।  

এছাড়া পুতিন উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে নিরাপত্তা ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও গভীর করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় মিডিয়ায় প্রকাশিত এক নিবন্ধনে বলা হয়েছে, পুতিন উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনের প্রশংসা করেছেন। সেইসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের হুমকি, ব্ল্যাকমেইল ও অর্থনৈতিক চাপ মোকাবিলায় উত্তর কোরিয়ায় প্রশংসা করেন পুতিন। 

অন্যদিকে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমও রাশিয়ার প্রশংসা করেছে এবং ইউক্রেনে তার সামরিক অভিযানকে সমর্থন করে আর্টিকেল প্রকাশ করে। সেখানে ইউক্রেন যুদ্ধকে সকল রাশিয়ানদের পবিত্র যুদ্ধ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। 

ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যবহারের জন্য রাশিয়াকে কয়েক ডজন ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং ১১ হাজারের বেশি কন্টেইনার অস্ত্র সরবরাহ করেছে উত্তর কোরিয়া- যুক্তরাষ্ট্রের এমন অভিযোগের পরেই পুতিন দেশটিতে রাষ্ট্রীয় সফরে গেলেন।  

ছয় সদস্যের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা ভেঙে দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। একজন ইসরায়েলি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলের সরকার থেকে মধ্যপন্থী সাবেক জেনারেল বেনি গ্যান্টজের বিদায়ের পর নেতানিয়াহুর এ পদক্ষেপ প্রত্যাশা করা হচ্ছিল। 

এখন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট, যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার কৌশলগত বিষয়ক মন্ত্রী রন ডারমারসহ মন্ত্রীদের একটি ছোট প্রতিনিধি দলের সাথে গাজা যুদ্ধের বিষয়ে নেতানিয়াহু পরামর্শ করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

গত সপ্তাহে সরকার থেকে পদত্যাগ করেন গ্যান্টজসহ দুই মন্ত্রী। তাদের অভিযোগ, গাজা যুদ্ধের কৌশল তৈরিতে ব্যর্থ হয়েছেন নেতানিয়াহু।

ইসরায়েল সরকারের এক মুখপাত্রের বরাতে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, আগের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা ও পুরো মন্ত্রিসভা এখন থেকে গাজায় হামাসের সঙ্গে লড়াইয়ের ব্যাপারে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেবে। যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা বলে কিছু আর এখন থাকছে না। 

যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা ভেঙে দেওয়ার মাধ্যমে নেতানিয়াহু দেশ ও দেশের বাইরের মিত্রদের সঙ্গে কৌশলগত একটা খেলা খেলেছেন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। আর প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফের এক মুখপাত্র বলছেন, এতে যুদ্ধের কার্যক্রমের কোনো ব্যাঘাত ঘটবে না।

সম্পাদক ও প্রকাশক : মঈনুদ্দিন কাজল
deshermatidaily@gmail.com
০১৬১৫১১২২৬৬, ০১৬৭৩৫৬২৭১৬

দেশের মাটি কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।