বিশ্ব

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বুধবার জানিয়েছে, আগের ২৪ ঘণ্টায় সব মিলিয়ে ১৬৩ জন ডেঙ্গু নিয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

তাতে চলতি বছর এ পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ২৫ হাজার ৬৫ জন।

অবশ্য যারা ডেঙ্গুর চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে যাননি, কিংবা পরীক্ষাই করাননি, তাদের হিসাব এ তালিকায় আসেনি। 

গত এক দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত কারও মৃত্যুর খবর আসেনি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের খাতায়। এ বছর সব মিলিয়ে ৯৬ জনের মৃত্যু হয়েছে এ ভাইরাস রোগে। ২৪ হাজার ৩২০ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।

বর্তমানে দেশের হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৬৪৯ জন ডেঙ্গু রোগী, যাদের ৫৩৭ জনই ঢাকা মহানগরীর।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত নতুন রোগীদের ১৩১ জনই ঢাকার। আর ঢাকার বাইরের বিভাগগুলোতে ভর্তি হয়েছেন আরও ৩২ জন।

 

বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষে রোববার ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে এই তথ্য জানানো হয়। ‘বাংলাদেশে ডায়াবেটিস : বর্তমান পরিস্থিতি ও ভবিষ্যত দিকনির্দেশনা’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যান্ডোক্রাইনোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. শাহজাদা সেলিম।

নানা গবেষণা প্রতিবেদনের তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ১২ দশমিক ৮ শতাংশ ডায়াবেটিস আক্রান্ত।

“মানে প্রায় পৌনে ২ কোটি মানুষের ডায়াবেটিস আছে। আক্রান্তদের ৬২ শতাংশই জানে না তাদের ডায়াবেটিস আছে। ৩৫ শতাংশ নিয়মিত চিকিৎসা নেয়, বাকিরা নিয়মিত চিকিৎসার বাইরে আছে।”

মানুষের খাদ্যাভ্যাসসহ নানা কারণে বাংলাদেশে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ছে বলে জানান ডা. শাহজাদা।

“কিছু জেনেটিক ত্রুটি আছে, বিষয়টি নিয়ে আমরা গবেষণা করছি। কিন্তু আমাদের সবচেয়ে বড় ঝুঁকি হলো অস্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ, শারীরিক পরিশ্রম না করা। এছাড়া প্রযুক্তির নানা সুবিধা নিয়ে আমরা ধীরে ধীরে একটা অকর্মণ্য জাতিতে পরিণত হচ্ছি। পাশাপাশি মানসিক চাপ, পরিবেশ দূষণ, খাদ্যে ভেজাল সবকিছু মিলিয়ে ডায়াবেটিস নিয়ে আমাদের ঝুঁকি বাড়ছে।”

এজন্য এ রোগ সম্পর্কে ভালোভাবে জানার তাগিদও দেওয়া হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত এ সেমিনারে।

বিশ্ব সিওপিডি দিবস উপলক্ষে বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগ এ সেমিনারের আয়োজন করে। এদিন বিশ্বব্যাপী সিওপিডি দিবস পালন করা হয়।

শ্বাসতন্ত্রের দীর্ঘমেয়াদী প্রদাহজনিত রোগ হলো সিওপিডি। এটি অসংক্রামক রোগগুলোর মধ্যে অন্যতম প্রধান। বর্তমানে বিশ্বে মৃত্যুর প্রধান অন্য রোগগুলোর মধ্যে রয়েছে হৃদযন্ত্রজনিত রোগ, ক্যান্সার, স্ট্রোক, স্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ ইত্যাদি।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএসএমএমইউর রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, একটি কমিউনিটি ক্লিনিকে একদিনই কোভিড টিকা দেওয়া হবে। এভাবে পর্যায়ক্রমে দেশের সব কমিউনিটি ক্লিনিকে কোভিড টিকা দেওয়ার পরিকল্পানা সাজানো হয়েছে।

শুক্রবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে কোভিড-১৯ টিকা বাস্তবায়ন জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব ডা. শামসুল হক বলেন, ৬ থেকে ১২ নভেম্বর এই কর্মসূচিতে প্রতিটি কমিউনিটি ক্লিনিকে কোভিড-১৯ টিকাদান ক্যাম্পেইন চলবে। প্রতিটি কমিউনিটি ক্লিনিকে ৫০০ জনকে টিকা দেওয়া যাবে।

দেশের ১৩ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিকে এই বিশেষ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

“ওয়ার্ড পর্যায়ে করোনাভাইরাসের টিকাদান কর্মসূচি সম্প্রসারণের উদ্দেশ্যেই এ ক্যম্পেইনের আয়োজন করা হয়েছে। ১৮ বছরের বেশি বয়সী সবাই টিকার জন্য রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন। তবে বয়স্ক ও নারীরা অগ্রাধিকার পাবেন।”

সম্পাদক ও প্রকাশক : মঈনুদ্দিন কাজল
deshermatidaily@gmail.com
০১৬১৫১১২২৬৬, ০১৬৭৩৫৬২৭১৬

দেশের মাটি কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।