বর্তমান রক্ষণশীল মার্কিন ধনকুবেরদের পূর্ব প্রজন্ম ব্যারি গোল্ডওয়াটারের মতো প্রার্থীদের সমর্থন দিয়েছিলেন। কারণ তাঁরা আমেরিকান সমাজব্যবস্থার অনেক কিছুই ধরে রাখতে চেয়েছিলেন।
মাস্ক, থিয়েল, শোয়ার্জম্যান, মরডক ও তাঁদের মিত্র ধনকুবেরেরা নিজেদের গণতন্ত্রবিরোধী আন্দোলনে সেগুলোর অনেক কিছুরই ধার ধারেন না। অন্তত উনিশ শতকের বিশের দশকের পর যেগুলো হয়েছিল, যার মধ্যে সামাজিক নিরাপত্তা, নাগরিক অধিকার, এমনকি নারীদের ভোটদানের অধিকারের মতো বিষয় রয়েছে।
যেমনটি থিয়েল লিখেছেন, ‘উনিশ শতকের বিশের দশক ছিল আমেরিকার ইতিহাসে শেষ দশক যখন রাজনীতি নিয়ে কেউ সত্যিকার অর্থে আশাবাদী হতে পারতেন। ১৯২০ সালের পর থেকে কল্যাণমূলক ব্যবস্থার সুবিধাভোগীদের সংখ্যা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি এবং নারীদের নাগরিক অধিকারের সম্প্রসারণ—এই দুই ঘরানার ভোটাররা স্বাধীনতাবাদীদের জন্য পরিস্থিতি কঠিন করে তুলেছে-‘পুঁজিবাদী গণতন্ত্রের’ ধারণাকে একটি বিপরীতমুখী ধারণায় পরিণত করেছে।
যদি ‘পুঁজিবাদী গণতন্ত্র’ একটি বিপরীতমুখী ধারণায় পরিণত হয়ও, তা সরকারের জনকল্যাণমূলক খাতে ব্যয় বা নারীদের ভোটাধিকার পাওয়ার কারণে হয়নি। বরং মাস্ক ও থিয়েলের মতো পুঁজিবাদী ধনকুবেরদের কারণে হয়েছে, যাঁরা ট্রাম্প ও তাঁকে ঘিরে থাকা নব্য ফ্যাসিবাদীদের সমর্থন দিয়ে গণতন্ত্রকে দুর্বল করতে চান।
ঘটনাক্রমে নয়, উনিশ শতকের বিশের দশক ছিল এক ক্রান্তিকাল। সে সময় আমেরিকার লুটেরা ব্যবসায়ীরা এত বেশি সম্পদ কুক্ষিগত করেছিলেন যে যুক্তরাষ্ট্রের বাকি বাসিন্দাদের জীবন চালাতে বিপুলভাবে ঋণগ্রস্ত হতে হয়। ১৯২৯ সালে এই ঋণের প্রভাব স্পষ্ট হলে দেখা দেয় মহামন্দা। এ সময়ে বিশ্বমঞ্চে আবির্ভূত হন বেনিতো মুসোলিনি ও অ্যাডলফ হিটলার, যাঁরা স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি তৈরি করেন। যেমনটি আর দেখেনি আধুনিক বিশ্ব। ফ্যাসিবাদী প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সময়ে কেউ-ই নিরাপদ নয়—এমনকি সমমনারাও নয়।