বিশ্ব

শনিবার থেকে সাত দিন কমিউনিটি ক্লিনিকে কোভিড টিকাশনিবার থেকে সাত দিন কমিউনিটি ক্লিনিকে কোভিড টিকাশনিবার থেকে সাত দিন কমিউনিটি ক্লিনিকে কোভিড টিকাশনিবার থেকে সাত দিন কমিউনিটি ক্লিনিকে কোভিড টিকাশনিবার থেকে সাত দিন কমিউনিটি ক্লিনিকে কোভিড টিকাশনিবার থেকে সাত দিন কমিউনিটি ক্লিনিকে কোভিড টিকাশনিবার থেকে সাত দিন কমিউনিটি ক্লিনিকে কোভিড টিকাশনিবার থেকে সাত দিন কমিউনিটি ক্লিনিকে কোভিড টিকা

 

 

শনিবার থেকে সাত দিন কমিউনিটি ক্লিনিকে কোভিড টিকাশনিবার থেকে সাত দিন কমিউনিটি ক্লিনিকে কোভিড টিকাশনিবার থেকে সাত দিন কমিউনিটি ক্লিনিকে কোভিড টিকাশনিবার থেকে সাত দিন কমিউনিটি ক্লিনিকে কোভিড টিকাশনিবার থেকে সাত দিন কমিউনিটি ক্লিনিকে কোভিড টিকাশনিবার থেকে সাত দিন কমিউনিটি ক্লিনিকে কোভিড টিকাশনিবার থেকে সাত দিন কমিউনিটি ক্লিনিকে কোভিড টিকাশনিবার থেকে সাত দিন কমিউনিটি ক্লিনিকে কোভিড টিকা

 

পান সুপারির ব্যবহার প্রায় চার হাজার বছরের। পৃথিবীর কয়েকটি শহর সুপারির নামে নামকরণ করা হয়েছে। যেমন- ভারতের গুয়াহাটি, মালয়েশিয়ার পেনাং প্রভৃতি। পূর্ব আফ্রিকা, ভারত উপমহাদেশ থেকে শুরু করে তাইওয়ান পর্যন্ত প্রায় ৬০ কোটি লোক পান সুপারি খেয়ে থাকেন। ভারত, মিয়ানমার, ইন্দোনেশিয়ার পর বাংলাদেশ বিশ্বে চতুর্থ সুপারি উৎপাদনকারী দেশ। পান সুপারি খেলে শরীর কিছুটা গরম হয়, কর্মদক্ষতা ও মনের সতর্কতা বৃদ্ধি পায়। যেমন- একজন ড্রাইভার গাড়ি চালানোর সময় ঘুম পেলে গাড়ি থামিয়ে একটি পান খেয়ে নেন, তাতে তার ঘুম চলে যায়।

 

পান সুপারি ও রকমারি জর্দার গুণাগুণ নিয়ে কিছু ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান নানা রকম প্রচারণা করে থাকে। এমনকি কোনো কোনো প্রখ্যাত আলেমও এগুলোর মধ্যে অনেক উপকারিতা খুঁজে পেয়েছেন (বেহেশতি জেওর, নবম খণ্ড)। হিন্দু ধর্মের ও বৌদ্ধ ধর্মের কোনো কোনো শাখার কিছু ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পান সুপারির ব্যবহার অপরিহার্য বিবেচনা করা হয়। পান সুপারি সহজলভ্য ও সস্তা। এর ব্যবহারও ব্যাপক। কোনো বৃদ্ধ লোকের দাঁত নড়বড়ে হলে বা না থাকলে পান সুপারিকে হামান দিস্তা দিয়ে গুঁড়ো করে খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। তবুও পান তার খাওয়া চাই। আমার এক আত্মীয়া প্রায় প্রতি ঘণ্টায় পান খান।

একদিন হঠাৎ পান ফুরিয়ে গেলে রাত ১১টায় প্রতিবেশিনীর বাসায় গিয়ে হাজির ‘পান ভিক্ষার’ জন্য। তিনি তো রীতিমতো অবাক। কোনো দিন তার এই প্রতিবেশিনী কোনো কিছু চাইতে আসেননি। পানের জন্য এত রাতে হাজির! অর্থাৎ পান সুপারি নির্ভরশীলতা তৈরি করে এবং কয়েক ঘণ্টার মধ্যে না খেলে প্রত্যাহারজনিত সমস্যা (Withdrawl Syndrome) বা নানা রকম শারীরিক সমস্যা সৃষ্টি হয়। আমার এক বন্ধু ঘুম থেকে উঠে পান না খেলে প্রাতক্রিয়া করতে পারেন না। আরেকজন রোগী পান ফুরিয়ে গেলে মাঝ রাতে পানের দোকানদারকে বাধ্য করেন দোকান খুলতে। কয়েকজন রোগীর সাথে আলাপচারিতায় জানা যায়, তারা সিগারেট ছাড়তে সক্ষম হয়েছেন, কিন্তু পানের নেশা ছাড়তে পারেননি।

পান সুপারির উপকারিতা নিয়ে বৈজ্ঞানিক কোনো গবেষণা হয়নি। এর অপকারিতার ওপর অনেক গবেষণা হয়েছে। পানের সাথে যেসব উপাদান ব্যবহার করা হয় তা হচ্ছে সুপারি, চুন, খয়ের, জর্দা, লবঙ্গ প্রভৃতি। এসব উপাদানের বেশির ভাগই স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক।

সুপারি : এতে অ্যারেকোলিন (Arecoline), অ্যারেকাইডিন (Arecaidine), গাভাকাইনসহ (Gavacaine) বেশ কিছু ক্ষারজাতীয় পদার্থ রয়েছে, যা রক্তনালীকে সঙ্কুচিত করে। সুপারিতে অ্যাডরেনালিন আছে। ফলে নিয়মিত ও অতিরিক্ত সুপারি ব্যবহার করলে উচ্চ রক্তচাপ, বুক ধড়ফড় করা, ডায়াবেটিস বেড়ে যাওয়া, হাঁপানি বৃদ্ধি পাওয়া এবং হৃদরোগের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। আসলে সুপারি প্রতিটি অঙ্গের ক্ষতি করতে পারে। লিভার ইনজুরি, কিডনি রোগ, বিপিএইচ, ইনফার্টিলিটি, হাইপারলিপিডোমিয়া, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া, মানসিক রোগ বৃদ্ধি পাওয়া, দাঁতের মাড়ি ক্ষয় ও দাঁত পড়ে যাওয়া ইত্যাদির সাথে সুপারি জড়িত। গর্ভবতী মায়েদের ক্ষেত্রে অকালে সন্তান প্রসব (Preterm birth), শিশুর ওজন ও উচ্চতা কম হতে পারে। সুপারির সাথে মেটাবলিক সিন্ড্রোম ও Obesity বা স্থূলতা জড়িত। সুপারির সাথে ক্যান্সারের সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সুপারিকে কারসিনোজেন (ক্যান্সারের উপাদান) হিসেবে উল্লেখ করেছে। আন্তর্জাতিক ক্যান্সার গবেষণা সংস্থা (IARC) সুপারিকে ১৯৮৫ সাল থেকে ‘কারসিনোজেন’ হিসেবে গণ্য করে আসছে। ২০০৯ সালে ৩০ জন বিজ্ঞানী আন্তর্জাতিক ক্যান্সার গবেষণা সংস্থায় নিশ্চিত করেছেন, সুপারিতে ক্যান্সার জীবাণু রয়েছে। পৃথিবীর যেসব এলাকায় সুপারি ব্যবহার করা হয়, বিশেষ করে ভারতীয় উপমহাদেশে মুখের ও খাদ্যনালীর ক্যান্সার সবচেয়ে বেশি। এ অঞ্চলে এক লাখ লোকের মধ্যে ২০ জনের এবং সব ধরনের ক্যান্সারের মধ্যে শতকরা ৩০ জনের শুধু মুখের ও খাদ্যনালীর ক্যান্সার হয়ে থাকে। আমারই পরিচিত তিনজন আলেম ছিলেন যারা প্রচুর পান-সুপারি খেতেন এবং তারা মুখের ও খাদ্যনালীর ক্যান্সারে মৃত্যুবরণ করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের সিডিসি (CDC) নির্ভরযোগ্য, গবেষণাধর্মী প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠানের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে মৃত্যুর প্রধান কারণ হচ্ছে ক্যান্সার।

সিডিসির তথ্য অনুযায়ী, সুপারির সাথে Oral submucous fibrosis, মুখের ক্যান্সার, নেশা (Addiction), প্রজনন সমস্যা প্রভৃতি জড়িত। যুক্তরাষ্ট্রের আরেকটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান এফডিএ (ঋউঅ), সুপারিকে বিষাক্ত গাছের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করেছে এবং সুপারিকে চিবানো বা খাওয়ার জন্য নিরাপদ মনে করে না।

চুন : মানে, ক্যালসিয়াম হাইড্রক্সাইড পান সুপারির সাথে অল্প পরিমাণ ব্যবহার করা হয়। এতে মুখগহ্বরের পিএইচ (Ph) ১২.৫ এর উপরে উঠে যায়, ফলে সুপারির আগে উল্লিখিত ক্ষারজাতীয় পদার্থগুলো জিহ্বার নিচে দিয়ে সরাসরি রক্তে প্রবেশ করে। চুন মুখে কেমিক্যাল বার্ন বা ক্ষত সৃষ্টি করতে পারে। ঘন ঘন পান খাওয়ার সাথে অতিরিক্ত চুন সেবনে হাইপারক্যালসেমিয়া, মেটাবলিক অ্যালকালসিস, মিল্ক অ্যালকালি সিন্ড্রোম, কিডনি ইনজুরি এবং কিডনিতে পাথর হতে পারে।

জর্দা : পান-সুপারি ও চুনের সাথে জর্দার সংযোজন সাম্প্রতিক সময়ের; অ্যামেরিকা মহাদেশ থেকে তামাক আমদানির পর থেকে। জর্দা এই তামাক পাতা থেকে তৈরি করা হয়। তামাকে ২৮টি কার্সিনোজেন (ক্যান্সারের উপাদান) রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, পৃথিবীর প্রায় তিন ভাগের এক ভাগ মানুষ তামাক সেবন করেন। এর মধ্যে প্রায় ১১ শতাংশ ধোঁয়াযুক্ত তামাক (সিগারেট, বিড়ি প্রভৃতি) সেবন করে থাকে এবং প্রায় ২২ শতাংশ ধোঁয়াবিহীন তামাক (SLT) যেমন জর্দা, গুল প্রভৃতি ব্যবহার করে থাকে। এতে ধোঁয়াযুক্ত তামাকের চেয়ে নিকোটিনের পরিমাণ তিন-চার গুণ বেশি। কাজেই জর্দার ক্ষতি সিগারেটের চেয়েও বেশি হতে বাধ্য। ল্যাবরেটরিতে প্রাণীদের ওপর পরীক্ষা করে দেখা গেছে যে, নিকোটিন প্রায় প্রতিটি অঙ্গে ক্যান্সার করতে পারে।

খয়ের : এর মধ্যে ১২ ধরনের রাসায়নিক পদার্থ আছে। খয়েরের অত্যধিক ব্যবহার লিভার ইনজুরি করতে পারে এবং এতে শরীরের রক্তচাপ কমে যেতে পারে।
পান : এর মধ্যে ইউজেনল (Eugenol) রয়েছে, যা রক্তনালীকে সঙ্কুচিত করতে পারে। পানের মধ্যে ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, রেচক প্রভৃতি থাকতে পারে। তবে ‘বিষাক্ত গাছের ফল’ (সুপারি) খেলে পানির অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বা ভিটামিন সি কিইবা উপকার করবে?

উপরের আলোচনা থেকে আশা করি স্পষ্ট হয়েছে যে, সহজলভ্য ও সস্তা পান সুপারি আমাদের জন্য ব্যয়বহুল ক্যান্সার রোগ মহামারী আকারে ছড়িয়ে দিচ্ছে। অন্যান্য মাদকদ্রব্যের মতো পান সুপারিও নির্ভরশীলতা (Dependency) এবং প্রত্যাহার উপসর্গ (Withdrawl Syndrome) তৈরি করে। পৃথিবীতে নিকোটিন (বিড়ি, সিগারেট), মদ, ক্যাফেইনের (কফি) পর পান সুপারি হচ্ছে চতুর্থ বহুল ব্যবহৃত নেশা সৃষ্টিকারী বস্তু। অথচ জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি হওয়ার পরও পান সুপারি বা পান মাসালা হচ্ছে অবহেলিত একটি আলোচ্য বিষয়। এই উপমহাদেশের ক্যান্সার বিশেষজ্ঞরা এরই মধ্যে এ ব্যাপারে সরব হচ্ছেন। অস্ট্রেলিয়াতে সুপারির ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতে এর ব্যবহার নিষিদ্ধ এবং পান খাওয়া একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। থাইল্যান্ডে শিক্ষিতদের মধ্যে পান সুপারির ব্যবহার অনেক কমে যাচ্ছে। তাইওয়ান বছরে এক দিন ‘সুপারি প্রতিরোধ দিবস’ পালন করে থাকে এবং সরকারিভাবে কৃষকদের সুপারি উৎপাদন না করার জন্য নানা রকম প্রণোদনা দিচ্ছে। আমাদেরও সময় এসেছে এ ব্যাপারে জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য কাজ করার।

মেডিভয়েস রিপোর্ট: বিশিষ্ট অর্থোপেডিক সার্জন অধ্যাপক ডা. শামীম আদম আর নেই। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে আজ মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) ভোর সোয়া ৫টার দিকে ঢাকায় মারা গেছেন তিনি। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।

কুমুদিনী হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. এবিএম আলী হাসান তাঁর মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন।

অধ্যাপক ডা. শামীম আদম ছিলেন কুমুদিনী উইমেন্স মেডিকেল কলেজের অর্থোপেডিক্স বিভাগের প্রতিষ্ঠাকালীন বিভাগীয় প্রধান।

সামাজিক মাধ্যমে শোকের ছায়া

বিনয়ী এ চিকিৎসকের মৃত্যুতে চিকিৎসক মহলে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রবীণ এ চিকিৎসকের মৃত্যুর খবর দেওয়ার পাশাপাশি তাঁর সঙ্গে কাজের মধুর অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন তাঁরা।

জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের (নিটোর) অধ্যাপক ডা. সৈয়দ শহীদুল ইসলাম এক পোস্টে বলেন, ‘একজন সৎ, বিনয়ী, পরিশ্রমী ও মেধাবী অর্থোপেডিক সার্জন ছিলেন। বিদেশে অবস্থানের কারণে বেশ দেরিতেই আমাদের সঙ্গে ডিপ্লোমা ও এমএস (অর্থোপেডিক্স) ডিগ্রি সম্পন্ন করে বাংলাদেশের অর্থোপেডিক সার্জারির একজন অগ্রগামী ও অনুকরণীয় ব্যক্তি ছিলেন। তাঁর সাথে লেখাপড়া, অপারেশন করা, অর্থোপেডিক সোসাইটি পরিচালনা করাসহ বহুবিধ কাজে যুক্ত থাকার সৌভাগ্য আমার হয়েছিল। অর্থোপেডিক সার্জারি ও সম্পৃক্ত অন্যান্য বিষয়ের প্রতিটি সভা, সেমিনার, প্রশিক্ষণ, কর্মশালা ও সম্মেলনে তাঁর সক্রিয় অংশগ্রহণ সকলকে অনুপ্রাণিত করতো। আধুনিক যুগোপযোগী চিকিৎসায় তাঁর দয়ালু হাতে এ দেশের শত শত মানুষ উপকৃত হয়েছেন।’

তিনি আরও লেখেন, ‘এমন একজন মহতী মানুষ আজ না ফেরার দেশে চলে গেলেন। আমরা আমাদের অভিভাবক, সহকর্মী ও সর্বোপরি একজন ভালো মানুষকে হারালাম। আমরা গভীরভাবে শোকাহত। তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনা করি। আল্লাহ তাঁকে বেহেশত নসীব করুন। তার শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।’ 

মস্তিষ্কের রক্ত সরবরাহ কোনো কারণে বিঘ্নিত হলে মস্তিষ্কের কিছু কোষ ক্ষতিগ্রস্ত হয় কিংবা নষ্ট হয়—এটাই হলো ব্রেন স্ট্রোক। বিশেষ করে রক্তনালি বাধাপ্রাপ্ত হয়ে গেলে রক্ত সরবরাহ বিঘ্নিত হয়। এতে ব্রেনে পর্যাপ্ত পরিমাণ রক্ত ও পুষ্টি পৌঁছাতে পারে না, কারণ রক্তের মাধ্যমে এসব উপাদান ব্রেনে পৌঁছে থাকে। এতে অক্সিজেনের অভাবে ব্রেন টিস্যুগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আবার রক্তনালি ছিঁড়ে রক্তপাত হলেও স্ট্রোক হয়। এ ক্ষেত্রে ব্রেনে রক্ত জমে থাকে।

স্ট্রোক-পরবর্তী অধিকাংশ ক্ষেত্রে শরীরের এক পাশ পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয় এবং কারও কারও কথা বলতে সমস্যা হয়। খাবার গিলতে সমস্যা হতে পারে। কিছু কিছু মানুষের চোখেও সমস্যা দেখা দেয়। ব্রেনের ক্ষতিগ্রস্ত অংশের ওপর নির্ভর করে শরীরে সমস্যা দেখা দেয়। কারণ, ব্রেনের একেক অংশ শরীরের একেক অংশকে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।

আমরা যে সময়ে দুপুরের খাবার খাই, তার চেয়ে অনেকটা দেরিতে রাতের খাবার খাই। এ দেশের মানুষ সন্ধ্যায় রাতের খাবারে অভ্যস্ত নয়, তাই অবধারিতভাবে বিকেলে বা সন্ধ্যায় নাশতা লাগে। এই সময়ে খিদে পায়, আর সেই ফাঁকেই অনাহূতের মতো ঢুকে পড়ে কেক-পেস্ট্রি, পায়েস–পুডিং, রোল, নুডলস, পাস্তা, শিঙাড়া–পুরি বা পিঠা। এর কোনোটাই স্বাস্থ্যকর নয়। এই এক নাশতাতেই এত বেশি ক্যালরি খাওয়া হয়ে যায়, যা ওজন বাড়ায়।

তাই বিকেলে বা সন্ধ্যায় নাশতা হিসেবে দরকার এমন কিছু, যা খিদেও মেটাবে, স্বাস্থ্যও ভালো রাখবে। সারা দিনের ক্যালরি হিসাব করলেও সকাল, সন্ধ্যা ও ঘুমানোর আগে নাশতার জন্য ১৫০-২০০ ক্যালরির বেশি গ্রহণ করলে ওজন বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।

নিজস্ব প্রতিবেদন: কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ থিতিয়ে যেতেই এসে গিয়েছে কোভিডের অন্য এক প্রজাতি-ওমিক্রন। দুনিয়ার ৩৮টি দেশের সঙ্গে ভারতেও হানা দিয়েছে ওমিক্রন। ইতিমধ্যেই দেশে মোট ৫ জনের শরীরে ধরা পড়েছে এই ভাইরাসের সংক্রমণ। এখন প্রশ্ন উঠছে করোনার টিকা বা বুস্টার ডোজ কি ঠেকাতে পারবে ওমিক্রনকে?

ওমিক্রনের সংক্রমণের পরপরই এই ভ্য়ারিয়েন্ট নিয়ে বিস্তর গবেষণা শুরু করে দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। খুঁজে দেখার চেষ্টা চলছে, করোনার বুস্টার ডোজ ওমিক্রনকে আটকাতে পারে কিনা। এরকম এক পরিস্থিতিতে করোনার বুস্টার ডোজের উপরে জোর দিচ্ছেন একদল গবেষক। এমনটাই দাবি করছে বিজ্ঞানের বিশেষ জার্নাল 'নেচার'। তবে বুস্চার ডোজ কতটা কার্যকারী তার কোনও পরিসংখ্য়ানই আপাতত বিজ্ঞানীদের হাতে নেই। আরও একটি বিষয় উদ্বেগে রাখছে বিজ্ঞানীদের। সেটি হল এই ভ্যারিয়েন্টের মিউটেশন করা ক্ষমতা। সন্দেহ করা হচ্ছে করোনা ভ্যাকসিনের কোনও প্রভাব এর উপরে নাও পড়তে পারে।

সম্পাদক ও প্রকাশক : মঈনুদ্দিন কাজল
deshermatidaily@gmail.com
০১৬১৫১১২২৬৬, ০১৬৭৩৫৬২৭১৬

দেশের মাটি কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।