বিশ্ব

ইতালির দক্ষিণ উপকূলে দুটি নৌকা ডুবে অন্তত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া ২৬ শিশুসহ নিখোঁজ রয়েছে ৬৬ জন। এ ঘটনায় সোমবার ৫১ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। জার্মান দাতব্য সংস্থা রেসকিউশিপের বরাতে এসব তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনএইচসিআর, ইউনিসেফ ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন বিষয়ক সংস্থা (আইওএম) জানিয়েছে, লিবিয়া উপকূল থেকে ছেড়ে আসা নৌকায় বাংলাদেশ, পাকিস্তান, সিরিয়া ও মিশরের নাগরিক ছিল। তবে নৌকায় ঠিক কতজন যাত্রী ছিল তা জানা যায়নি।

রেসকিউশিপের পক্ষ থেকে বলা হয়, ডুবতে থাকা একটি কাঠের নৌকা থেকে ৫১ জনকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হওয়া যাত্রীদের ইতালির কোস্টগার্ডের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। নৌকাটির নিচের ডেক থেকে ১০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, ডুবে যাওয়া অপর নৌকার অভিবাসনপ্রত্যাশীদের মধ্যে ইরান, ইরাক ও সিরিয়ার নাগরিক থাকার তথ্য দিয়েছো জাতিসংঘের সংস্থাগুলো। তুরস্ক থেকে ছেড়ে আসা ওই নৌকায় ইতালির ক্যালাবরিয়া থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরে আগুন ধরলে সেটি উল্টে যায়। নৌকায় থাকা ৬৬ জন নিখোঁজ রয়েছে। আর একজনের মরদেহ ও ১১ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। 

জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৪ সাল থেকে মধ্য ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে গিয়ে সাড়ে ২৩ হাজারের বেশি মৃত্যু ও নিখোঁজ হয়েছে। আইওএম জানায়, ২০২৩ সালেই ভূমধ্যসাগরীয় পথ অতিক্রমের চেষ্টা করার সময় মারা গেছে বা নিখোঁজ হয়েছে প্রায় আড়াই হাজার মানুষ।

দক্ষিণ গাজায় নির্দিষ্ট একটি সময়ে হামলা চালাবে না বলে জানিয়েছে ইসরাইলি প্রশাসন। তবে ইসরাইল অবশ্য এটিকে সংঘর্ষ-বিরতি বলছে না। তাদের ভাষায় এটি হলো ‘ট্যাকটিক্যাল পস’ বা কৌশলগত বিরতি। এদিকে ইসরাইলি হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩৭ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।

ইসরাইল জানিয়েছে দক্ষিণ গাজায় যাতে ঠিকমতো ত্রাণ পৌঁছাতে পারে, সেজন্যই এই অবস্থান নেওয়া হয়েছে। দিনের একটি নির্দিষ্ট সময় এই ছাড় দেওয়া হবে। সে সময় ইসরাইলের সেনারা দক্ষিণ গাজার কোথাও হামলা চালাবে না। ত্রাণকর্মীরা নিরাপদে প্রয়োজনীয় জিনিস বিলি করতে পারবেন। তবে উত্তর বা মধ্য গাজায় এই ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। 

এদিকে ঈদের দিন সংঘর্ষ-বিরতির আর্জি জানিয়ে বার্তা পাঠিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এক বিবৃতিতে বাইডেন লিখেছেন, ‘বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। বহু শিশু নিহত হয়েছে। পরিবার ধ্বংস হয়েছে। মানুষ প্রতিবেশীকে হারিয়েছেন। এ এক চূড়ান্ত যন্ত্রণা।’

বাইডেন আরও জানিয়েছেন, তিন ধাপের যে সংঘর্ষ-বিরতি চুক্তি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, তা দ্রুত কার্যকর হোক। তাহলেই একমাত্র এই লড়াই বন্ধ হবে। ইসরাইল প্রাথমিকভাবে এই চুক্তি মেনে নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে। কারণ চুক্তির অনেক পয়েন্টই ইসরাইল প্রস্তাব করেছিল। যদিও ইসরাইলের অতি দক্ষিণপন্থি রাজনীতিকেরা এই চুক্তির বিরোধিতা করছেন। নেতানিয়াহুর সমালোচনাও করছেন তারা। 

এদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখন হামাসের সঙ্গে সমঝোতার চেষ্টা চালাচ্ছে। হামাস এই প্রস্তাব মেনে নিলে দীর্ঘকালীন সংঘর্ষ-বিরতির রাস্তায় যাওয়া সম্ভব বলে মনে করা হচ্ছে।

অপরদিকে হামাস অধিকৃত গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৩৭ হাজার ছাড়িয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সোমবার জানিয়েছে, গত আট মাসের যুদ্ধে সেখানে অন্তত ৩৭ হাজার ৩৪৭ জন নিহত হয়েছে। 

ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ৩৭ হাজার ৩৪৭ জন নিহতের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় কমপক্ষে ১০ জন মারা গেছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, গত ৭ অক্টোবর হামাস ইসরাইলে আক্রমণ করার পর যুদ্ধ শুরু হয়। এরপর থেকে আট মাসে গাজা উপত্যকায় ৩৭ হাজারের বেশি নিহতের পাশাপাশি মোট ৮৫ হাজার ৩৭২ জন আহত হয়েছে। হতাহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ২০১৯ সালের ৯ ডিসেম্বর ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে তোলাছবি: এএফপি

সুইজারল্যান্ডে এ সপ্তাহের শেষে ইউক্রেন পরিস্থিতি নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এ সম্মেলন নিয়ে বেশ উচ্চাশা পোষণ করছেন। ভালো কিছুর প্রত্যাশা তাঁর। তবে ইউক্রেনের সম্মুখসারির সেনা ও কিয়েভের যুদ্ধক্লান্ত বাসিন্দাদের মতে, সম্মেলন থেকে বড় কোনো অর্জনের সম্ভাবনা কার্যত শূন্য।

রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধের দুই বছরের বেশি সময় পেরিয়েছে। এ সময়ে এসে সুইজারল্যান্ডের সম্মেলনে অংশ নিচ্ছে প্রায় ৯০টি দেশ ও বৈশ্বিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা। এমন এক সময়ে তাঁরা বসছেন, যখন ইউক্রেনের দোনেৎস্কে রুশ বাহিনীর সঙ্গে জোরালো লড়াই চলছে।

২৩ বছর বয়সী দিনাইলো পেশায় ড্রোন পরিচালক। তিনি বলেন, এ জমায়েত ‘যুগান্তকারী’ কোনো পরিবর্তন আনবে না। এটা বরং প্রতীকী একটি আয়োজন হবে।

সীমিত সম্পদ থাকার পরও ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী দেশটির পূর্ব ও উত্তরাঞ্চলে গ্রামের পর গ্রামে রুশ বাহিনীর সামনে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। সেই সঙ্গে কর্তৃপক্ষকে বাধ্যতামূলক বেসামরিক স্থানান্তর ঘোষণায় বাধ্য করেছে।

১৪ বছর আগে দেওয়া বক্তৃতার রেশ টেনে বিশিষ্ট লেখক অরুন্ধতী রায়ের বিরুদ্ধে ইউএপিএ বা সন্ত্রাস দমন আইনে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করার অনুমতি দিয়েছেন দিল্লির উপরাজ্যপাল বিনয় কুমার সাক্সেনা। সেই সিদ্ধান্ত ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক।

 

বিরোধীরা মনে করছেন, সংসদে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়ে জোট শরিকদের সহায়তায় সরকার গড়ে বিজেপি কিছুটা সংযত হবে বলে যে ধারণা করা হচ্ছিল, তা ভুল। বরং তারা যে আগের মতোই দমন–পীড়ন নীতি আঁকড়ে থাকবে, এই সিদ্ধান্ত সেটাই বুঝিয়ে দিচ্ছে।

২০১০ সালে দিল্লিতে এক অনুষ্ঠানে অরুন্ধতী যোগ দিয়েছিলেন। সেখানে বক্তাদের মধ্যে ছিলেন কাশ্মীর কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সাবেক শিক্ষক শওকত হোসেন, হুরিয়ত নেতা সৈয়দ আলী শাহ গিলানি, সংসদে হামলা মামলার অন্যতম অভিযুক্ত এসএআর গিলানিও।

এক যুগ পুরোনো সেই মামলা খুঁচিয়ে তোলা হয় গত বছরের অক্টোবরে। দিল্লির উপরাজ্যপাল ভারতীয় দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় সম্প্রীতি হানি ও জাতীয় সংহতির পরিপন্থী আচরণের অভিযোগে মামলার অনুমতি দেন। এরপর গতকাল শুক্রবার দিল্লির রাজনিবাস (উপরাজ্যপালের বাসভবন) থেকে গণমাধ্যমকে জানানো হয়, অরুন্ধতী ও শওকতের বিরুদ্ধে উপরাজ্যপাল এবার ইউএপিএ আইনে মামলা করার অনুমতি দিয়েছেন। অর্থাৎ এবার মামলা হবে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে।

সিপিএম বলেছে, ‘সেই অনুমতি এমন সময় দেওয়া হলো, যখন আদালতে ছুটি চলছে। আইনজীবীরাও ছুটিতে। এই সিদ্ধান্ত লজ্জাজনক ও নিন্দনীয়।’

উপরাজ্যপালের সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা ও নিন্দা জানিয়েছে কংগ্রেসও। দলের নেতা বি কে হরিপ্রসাদ আজ শনিবার সকালে ‘এক্স’ হ্যান্ডলে বলেন, ‘মানুষের কণ্ঠস্বর চাপা দেওয়ার স্বৈরতান্ত্রিক প্রবণতা অব্যাহত। বিশেষ করে সেই স্বর যদি কবি, সাহিত্যিক, শিল্পী ও আন্দোলনকর্মীদের হয়। নিজেদের চূড়ান্ত ব্যর্থতা থেকে জনগণের চোখ সরাতে বিজেপি প্রতিদিন মনগড়া সংকট সৃষ্টি করে চলেছে। বাক্‌স্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ওপর এ ধরনের আক্রমণ গ্রহণযোগ্য নয়।’

বিরোধীদের এই প্রতিবাদের পাল্টা জবাব দিয়েছে বিজেপি। তাদের মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালা আজ শনিবার ‘এক্স’ হ্যান্ডলে কংগ্রেসকে আক্রমণ করে বলেন, ‘তারা এত চিৎকার-চেঁচামেচি কেন করছে? তারা এখন বিচ্ছিন্নতাবাদীদের জন্য কাঁদছে! ওরা কি কাশ্মীরকে ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ মনে করে না? আফজল থেকে ইয়াকুব, কংগ্রেসের কাছে দেশের আগে জরুরি তার ভোটব্যাংক নীতি।’

আইন বদল করে কেন্দ্রীয় সরকার দিল্লির উপরাজ্যপালকে প্রভূত ক্ষমতা দিয়েছে। এতটাই যে উপরাজ্যপাল সম্মতি না দিলে নির্বাচিত সরকারের সিদ্ধান্তও রূপায়িত হবে না। এই নিয়ে দিল্লির আম আদমি পার্টির (এএপি) সরকারের সঙ্গে উপরাজ্যপালের খটমট নিত্যবিষয়। সেই উপরাজ্যপাল এত বছর পর কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমতি ছাড়া এমন ধরনের একটা সিদ্ধান্ত কেন নিয়েছে, ভাবা কঠিন।

এ কারণেই রাজনৈতিক মহলের ধারণা, যে ঢঙে এতকাল নরেন্দ্র মোদির সরকার চলছিল, যেভাবে বিরুদ্ধ স্বর দমিয়ে আসছিল, নির্বিচার রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা রুজু করছিল, নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েও তারা হয়তো সেই পথ থেকে সরবে না। এ সিদ্ধান্ত সম্ভবত সেটাই বুঝিয়ে দিচ্ছে।

দক্ষিণ আফ্রিকার বর্তমান প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। তবে এবার জোট সরকার গড়তে হয়েছে তাঁকে।

স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার দক্ষিণ আফ্রিকার পার্লামেন্টের ভোটাভুটিতে রাষ্ট্রপ্রধান হন তিনি। এর মধ্য দিয়ে দেশটিতে নির্বাচন-পরবর্তী রাজনৈতিক অচলাবস্থার অবসান হলো।

রামাফোসার ‘জাতীয় ঐক্যের’ সরকারে জোট গড়েছে দেশটির ঐতিহ্যবাহী আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেস (এএনসি), মধ্যডানপন্থী ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স (ডিএ) এবং আরও কয়েকটি ছোট দল।

প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে রামাফোসা বলেন, ‘আমাদের দেশের সবার ভালোর জন্য নতুন জোট সরকারের নেতারা একসঙ্গে কাজ করবেন—এমনটাই চাওয়া ভোটারদের।’

দিনভর নানা নাটকীয়তা, সন্ধ্যায় বিলম্বে পার্লামেন্ট অধিবেশন বসার পর রামাফোসাকে দেশের পরবর্তী রাষ্ট্রপ্রধানের জন্য নির্বাচিত করেন দক্ষিণ আফ্রিকার আইনপ্রণেতারা।

এর আগে গত মাসে দক্ষিণ আফ্রিকায় সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এতে তিন দশকের মধ্যে প্রথমবারের মতো পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায় নেলসন ম্যান্ডেলার ঐতিহাসিক দল এএনসি।

নির্বাচনে ৪০ শতাংশ ভোট পায় ক্ষমতাসীন এএনসি। ডিএ পায় ২২ শতাংশ ভোট। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায় জোট সরকার গড়ার বিকল্প ছিল না রামাফোসার। রাজনৈতিক অচলাবস্থার মুখে বিরোধীদের সঙ্গে নিয়েই জাতীয় ঐক্যের সরকার গড়ার ডাক দেন তিনি। আইনসভায় আসনসংখ্যায় এএনসির পর দ্বিতীয় বড় দল ডিএ।

ইলন মাস্ক এবং উদ্যোক্তা ও বিনিয়োগকারী ডেভিড স্যাক্স গত মাসে হলিউডে ধনকুবেরদের একটি গোপন সান্ধ্যভোজের আয়োজন করেন। এই আয়োজনের উদ্দেশ্য ছিল, জো বাইডেনকে পরাজিত করে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আবার হোয়াইট হাউসে ফিরিয়ে আনা।

ওই সান্ধ্যভোজে অতিথিদের তালিকায় ছিলেন পিটার থিয়েল, রুপার্ট মারডক, মাইকেল মিলকেন, ট্রাভিস কালানিক এবং সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অর্থমন্ত্রী স্টিভেন মানচিন। ইলন মাস্ক অবশ্য এরই মধ্যে নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে (সাবেক টুইটার)  তাঁর বাইডেনবিরোধী বক্তব্যের সংখ্যা ও আওয়াজ দুই–ই বাড়িয়েছেন।

নিউইয়র্ক টাইমসের এক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, মাস্ক এ বছর প্রতি মাসে গড়ে অন্তত সাতবার প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে নিয়ে পোস্ট দিয়েছেন। তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্টের বয়স থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য ও অভিবাসন নীতিসহ নানা বিষয়ে বাইডেনের তীব্র সমালোচনা করেছেন। জো বাইডেনকে ‘অতি বাম রাজনীতি-যন্ত্রের করুন মুখ’ আখ্যায়িত করেছেন তিনি।

বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ইলন মাস্ক একই সময়ে ট্রাম্পের পক্ষে ২০টির বেশি পোস্ট দিয়েছেন। সাবেক রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ফৌজদারি মামলা সংবাদমাধ্যম ও প্রসিকিউটরদের পক্ষপাতের ফল বলেও দাবি করেছেন তিনি।

বিষয়টিকে ছোটখাটো ঘটনা হিসেবে বিবেচনা করার অবকাশ নেই। কারণ, এক্সে মাস্কের ১৮ কোটি ৪০ লাখ অনুসারী রয়েছে। তা ছাড়া যেহেতু তিনি এই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম মালিক সে কারণে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক মানুষ যাতে তাঁর পোস্ট দেখতে পারেন, সেই ব্যবস্থা করতে অ্যালগরিদমে ওলটপালট করার ক্ষমতাও তাঁর রয়েছে।

এই সমর্থনের পেছনে ইলন মাস্কের ব্যবসায়িক স্বার্থও রয়েছে। ভারতে তিনি তাঁর টেসলা গাড়ির জন্য কম শুল্কারোপ নিশ্চিত করতে পেরেছেন। ব্রাজিলে তিনি তাঁর স্পেসএক্স স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিষেবা স্টারলিংকের জন্য একটি বড় বাজার খুঁজে পেয়েছেন। আর্জেন্টিনা থেকে তিনি লিথিয়াম পাওয়া নিশ্চিত করেছেন। টেসলার ব্যাটারির জন্য লিথিয়াম সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।

তবে শুধু ব্যবসায়িক স্বার্থই নয় বরং এর গভীরে কিছু একটা চলছে। মাস্ক, থিয়েল, মারডক ও তাঁদের সঙ্গে যুক্ত ধনকুবেররা গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে একটি আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

প্রযুক্তি খাতের বড় বিনিয়োগকারী পিটার থিয়েল একবার লিখেছিলেন, ‘আমি আর বিশ্বাস করি না যে স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র একসঙ্গে চলতে পারে।’

স্বাধীনতা যদি গণতন্ত্রের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ না হয়, তাহলে এটা কিসের সঙ্গে চলতে পারে?

থিয়েল রিপাবলিকান দলের প্রেসিডেন্ট বাছাইয়ের দৌড়ে থাকা অ্যারিজোনার ব্লেক মাস্টার্সের তহবিলেও অন্তত এক কোটি ডলার দিয়েছেন। ব্লেক দাবি করেছিলেন যে ট্রাম্পই ২০২০ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন। আধুনিক সিঙ্গাপুরের প্রতিষ্ঠাতা কর্তৃত্ববাদী লি কুয়ান ইউয়েরও ভক্ত তিনি।

মাস্ক, থিয়েলের মতো ধনকুবেরদের অর্থ এখন ২০২৪ সালের নির্বাচনের প্রচারণায় যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি নিয়ে কাজ করা ‘আমেরিকানস ফর ট্যাক্স ফেয়ারনেস’-এর একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশটির মাত্র ৫০টি পরিবার এরই মধ্যে ২০২৪ সালের নির্বাচনী কর্মকাণ্ডের জন্য ৬০ কোটি ডলারের বেশি অর্থ দিয়েছে। ওই অর্থের বেশির ভাগই গেছে ট্রাম্পের রিপাবলিকান পার্টিতে।

২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ট্রাম্পের সমর্থকেরা যখন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটলে আক্রমণ করে তখন ব্ল্যাকস্টোন গ্রুপের প্রধান নির্বাহী ধনকুবের স্টিফেন এ শোয়ার্জম্যান একে ‘বিদ্রোহ’ বলেছিলেন। বলেছিলেন, ‘এটা আমাদের প্রিয় গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের অবমাননা।’ সেই শোয়ার্জম্যানই এখন ট্রাম্পকে সমর্থন দিচ্ছেন। কারণ হিসেবে তিনি বলছেন, ‘আমাদের বর্তমান অর্থনৈতিক, অভিবাসন ও পররাষ্ট্র নীতি দেশকে ভুল পথে নিয়ে যাচ্ছে।’

ট্রাম্প নির্বাচনী প্রচারের জন্য ১০০ কোটি ডলার তহবিল সংগ্রহে সম্প্রতি জ্বালানি তেল খাতের শীর্ষ কোম্পানিগুলোর একদল নির্বাহীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। জানা গেছে, সেখানে তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে নির্বাচিত হলে বাইডেনের নেওয়া পরিবেশ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানিবিষয়ক ডজনখানেক বিধান ও নীতি উল্টে দেবেন।

ট্রাম্প আরও বলেছেন, তেল কোম্পানিগুলোর নির্বাহীদের সঙ্গে একটি চুক্তি করা হবে, যাতে তাঁরা করছাড় পাবেন এবং তাঁদের শিল্পের ওপর আরোপিত বিধিবিধান এড়িয়ে যেতে পারেন।

গত জানুয়ারিতে সুইজারল্যান্ডের দাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরামের সম্মেলনে একটি অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় ও বেশি লাভজনক ব্যাংক জেপি মরগান চেজ-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও চেয়ারম্যান জেমি ডিমন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট থাকাকালে ট্রাম্পের নেওয়া  বিভিন্ন নীতির ভূয়সী প্রশংসা করেন। জেমি ডিমন বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী সিইওদের একজন।

তিনি বলেছিলেন, ‘সততার সঙ্গে একটি পেছনে তাকিয়ে দেখুন। ট্রাম্প অর্থনীতিকে ভালোই বড় করছিলেন। (তাঁর) কর সংস্কার কাজে লেগেছিল।’

বাস্তবে জেমি ডিমনের এই বক্তব্য কিন্তু সত্য নয়। বরং ট্রাম্পের আমলে দেশের অর্থনীতি থেকে প্রায় ২৯ লাখ চাকরি হারিয়ে যায়। এমনকি করোনা মহামারি শুরু হওয়ার আগেও ট্রাম্পের সময়ে কর্মসংস্থান যে হারে বেড়েছে, তা ছিল বাইডেনের আমলের চেয়ে ধীরগতির।

আর ট্রাম্পের কর কমানোর বেশির ভাগ সুবিধা গেছে জেপি মরগান চেজের মতো বড় বড় প্রতিষ্ঠান এবং জেমি ডিমনের মতো ধনকুবেরদের পকেটে। বিনিময়ে বেড়েছে বাজেট ঘাটতি।

তবে শুধু কর কর্তন বা নিয়ন্ত্রণ গুটিয়ে নেওয়া হবে এই প্রত্যাশা থেকে মার্কিন ধনকুবেরেরা ট্রাম্প ও তাঁর দলের পক্ষে অর্থ ঢালছেন না। বরং এসব মার্কিন ধনকুবেরের লক্ষ্য গণতন্ত্রের গলা টিপে ধরা।

গত বছর নভেম্বরে এক পডকাস্টে মাস্ককে প্রশ্ন করা হয়েছিল, তিনি আরও বেশি রাজনীতিতে জড়িয়ে যাচ্ছেন কি না। জবাবে মাস্ক তা স্বীকার করে নিয়ে বলেছিলেন, ‘আপনি যদি নিপীড়নমূলক মানসিকতার (ওয়োক মাইন্ড ভাইরাস) বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কথা বিবেচনা করেন, যেটিকে আমি সভ্যতার জন্য একটি হুমকি বলে মনে করি, তা রাজনৈতিক হলে আমার উত্তর হচ্ছে হ্যাঁ। এই মানসিকতা কমিউনিজমের নতুন রূপ হিসেবে ফিরে আসছে।’

বর্তমান রক্ষণশীল মার্কিন ধনকুবেরদের পূর্ব প্রজন্ম ব্যারি গোল্ডওয়াটারের মতো প্রার্থীদের সমর্থন দিয়েছিলেন। কারণ তাঁরা আমেরিকান সমাজব্যবস্থার অনেক কিছুই ধরে রাখতে চেয়েছিলেন।

মাস্ক, থিয়েল, শোয়ার্জম্যান, মরডক ও তাঁদের মিত্র ধনকুবেরেরা নিজেদের গণতন্ত্রবিরোধী আন্দোলনে সেগুলোর অনেক কিছুরই ধার ধারেন না। অন্তত উনিশ শতকের বিশের দশকের পর যেগুলো হয়েছিল, যার মধ্যে সামাজিক নিরাপত্তা, নাগরিক অধিকার, এমনকি নারীদের ভোটদানের অধিকারের মতো বিষয় রয়েছে।

যেমনটি থিয়েল লিখেছেন, ‘উনিশ শতকের বিশের দশক ছিল আমেরিকার ইতিহাসে শেষ দশক যখন রাজনীতি নিয়ে কেউ সত্যিকার অর্থে আশাবাদী হতে পারতেন। ১৯২০ সালের পর থেকে কল্যাণমূলক ব্যবস্থার সুবিধাভোগীদের সংখ্যা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি এবং নারীদের নাগরিক অধিকারের সম্প্রসারণ—এই দুই ঘরানার ভোটাররা স্বাধীনতাবাদীদের জন্য পরিস্থিতি কঠিন করে তুলেছে-‘পুঁজিবাদী গণতন্ত্রের’ ধারণাকে একটি বিপরীতমুখী ধারণায় পরিণত করেছে।  

যদি ‘পুঁজিবাদী গণতন্ত্র’ একটি বিপরীতমুখী ধারণায় পরিণত হয়ও, তা সরকারের জনকল্যাণমূলক খাতে ব্যয় বা নারীদের ভোটাধিকার পাওয়ার কারণে হয়নি। বরং মাস্ক ও থিয়েলের মতো পুঁজিবাদী ধনকুবেরদের কারণে হয়েছে, যাঁরা ট্রাম্প ও তাঁকে ঘিরে থাকা নব্য ফ্যাসিবাদীদের সমর্থন দিয়ে গণতন্ত্রকে দুর্বল করতে চান।

ঘটনাক্রমে নয়, উনিশ শতকের বিশের দশক ছিল এক ক্রান্তিকাল। সে সময় আমেরিকার লুটেরা ব্যবসায়ীরা এত বেশি সম্পদ কুক্ষিগত করেছিলেন যে যুক্তরাষ্ট্রের বাকি বাসিন্দাদের জীবন চালাতে বিপুলভাবে ঋণগ্রস্ত হতে হয়। ১৯২৯ সালে এই ঋণের প্রভাব স্পষ্ট হলে দেখা দেয় মহামন্দা। এ সময়ে বিশ্বমঞ্চে আবির্ভূত হন বেনিতো মুসোলিনি ও অ্যাডলফ হিটলার, যাঁরা স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি তৈরি করেন। যেমনটি আর দেখেনি আধুনিক বিশ্ব। ফ্যাসিবাদী প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সময়ে কেউ-ই নিরাপদ নয়—এমনকি সমমনারাও নয়।

টানা তৃতীয়বারের মতো ভারতে সরকার গঠন করেছে হিন্দুত্ববাদী দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। দলটির নেতা নরেন্দ্র মোদীও টানা তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। গত ৯ জুন, রবিবার প্রধানমন্ত্রী মোদীসহ তার নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরা শপথ নিয়েছেন।

মোদীর নতুন সরকারে মন্ত্রিসভায় প্রধানমন্ত্রী ছাড়া আরও ৭১ জন মন্ত্রী জায়গা পেয়েছেন। ওই ৭১ জনের মধ্যে ৩০ জন কেবিনেট মন্ত্রী, সুনির্দিষ্ট দপ্তর ছাড়া মন্ত্রী পাঁচজন এবং ৩৬ জন প্রতিমন্ত্রী।

এর মধ্যে মাত্র ১১ জন বিজেপির বাইরে থেকে তথা বিজেপি নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স (এনডিএ) জোটের বিভিন্ন শরিকদল থেকে এসেছেন। তার মানে আগের দুই মেয়াদের চেয়ে খুব বেশি বিজেপিহীন মন্ত্রিসভা হয়নি এবারও।

যদিও এবারের নির্বাচনে বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় ধারণা করা হচ্ছিল, মোদীকে হয়ত এবার তার মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ কিছু পদ ছেড়ে দিতে হবে শরিকদের জন্য।

কিন্তু মন্ত্রিসভার সদস্যদের নাম ঘোষণার পর দেখা গেল, বিজেপি সব গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় নিজের হাতেই রেখেছে।

তবে মোদীর তৃতীয় মন্ত্রিসভার শপথ গ্রহণের পর জানা গেল, নরেন্দ্র মোদী নতুন সরকারের ৭২ জন মন্ত্রীর মধ্যে ২৮ জনের বিরুদ্ধেই রয়েছে ফৌজদারি অপরাধের মামলা, যা শতাংশের বিচারে ৩৯ শতাংশ।

এদের মধ্যে আবার ১৯ জনের (মন্ত্রিসভার ২৭ শতাংশ সদস্য) বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা, অপহরণ, নারীদের বিরুদ্ধে অপরাধ এবং সাম্প্রদায়িক ঘৃণা ও বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে।

ভোটাধিকার সংক্রান্ত সংস্থা ‘অ্যাসোসিয়েশন অব ডেমোক্রেটিক রিফর্মস’ (এডিআর) এই তথ্য প্রকাশ করেছে।

এডিআরের প্রতিবেদন অনুযায়ী, দুজন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে সবচেয়ে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। এই দুজন ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৭ ধারার অধীনে হত্যাচেষ্টা সম্পর্কিত মামলার সম্মুখীন। এরা উভয়ই আবার পশ্চিমবঙ্গ থেকে নির্বাচিত।

প্রথমজন হলেন- জাহাজ প্রতিমন্ত্রী তথা বনগাঁর বিজেপি এমপি শান্তনু ঠাকুর। দ্বিতীয়জন, শিক্ষা ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী তথা বালুরঘাটের এমপি সুকান্ত মজুমদার।

এডিআরের প্রতিবেদনে আরও উঠে এসেছে, মোদীর তৃতীয় মন্ত্রিসভার পাঁচজন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে নারীদের বিরুদ্ধে অপরাধ সংক্রান্ত মামলা রয়েছে। এই পাঁচজন হলেন- তিন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বন্দি সঞ্জয় কুমার, ঠাকুর, মজুমদার; পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস এবং পর্যটন মন্ত্রী সুরেশ গোপী এবং আদিবাসী বিষয়ক মন্ত্রী জুয়াল ওরাম। সুরেশ গোপী কেরালা থেকে বিজেপির একমাত্র প্রতিনিধি।

এছাড়াও এডিআরের প্রতিবেদনে সাম্প্রদায়িক ঘৃণা ও বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের সঙ্গে জড়িত হিসেবে আট মন্ত্রীকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এদের মধ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বস্ত্রমন্ত্রী গিরিরাজ সিংও রয়েছেন।

মোদীর এবারের মন্ত্রিসভায় নেই মুসলিম সম্প্রদায়ের কেউ। অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট থেকে কোনও মুসলমান এমপি হননি। এটা মন্ত্রিসভায় কোনও মুসলমান না থাকার কারণ হতে পারে।

এমনকি ৫৪৫ আসনের লোকসভায় এবার মাত্র ২৪ জন মুসলমান নির্বাচিত হয়েছেন, যা ভারতের স্বাধীনতার পর থেকে সর্বনিম্ন। এদের ২১ জনই কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া জোটের প্রার্থী।

মোদীর এবারের মন্ত্রিসভায় নারী প্রতিনিধিও কম, এমন অভিযোগও উঠেছে।

এমন পরিস্থিতিতে নরেন্দ্র মোদীর তৃতীয় মন্ত্রিসভা নিয়ে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করল অ্যাসোসিয়েশন অব ডেমোক্রেটিক রিফর্মস বা এডিআর।

এছাড়া এডিআরের প্রতিবেদনে আরও উঠে এসেছে, মোদীর এবারের মন্ত্রিসভার ৯৯ শতাংশ সদস্য কোটিপতি। প্রতিজন মন্ত্রী গড়ে ১০৭.৯৪ কোটি রুপির মালিক। ৬ জন মন্ত্রীর প্রত্যেকের সম্পদ ১০০ কোটি রুপির বেশি।

এবারের বিজেপি সরকারের সবচেয়ে ধনী মন্ত্রী হলেন ডা. চন্দ্র শেখর পেমমাসানি। তিনি বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের শরিকদল তেলেগু দেশম পার্টি (টিডিপি) থেকে এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। তাকে পল্লী উন্নয়ন ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী করা হয়েছে।

ড. চন্দ্র শেখর পেমমাসানির মোট সম্পদের পরিমাণ ৫ হাজার ৭০৫ দশমিক ৪৭ কোটি রুপি। এর মধ্যে অস্থাবর সম্পদ ৫ হাজার ৫৯৮ দশমিক ৬৫ কোপি রুপির, আর স্থাবর সম্পদ ১০৬ দশমিক ৮২ কোটি রুপির। তিনি সম্ভবত ভারতের সর্বকালের সবচেয়ে ধনী মন্ত্রী।

৪৮ বছর বয়সী চন্দ্র শেখর পেমমাসানি পেশায় একজন ডাক্তার। ২০২৪ সালেই তিনি প্রথম নির্বাচন করে এমপি ও মন্ত্রীও হয়েছেন। শিক্ষার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার জন্য পেমমাসানিকে কৃতিত্ব দেওয়া হয়।

তিনি ইউওয়ার্ল্ড ডটকম (uworld.com) নামের একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্মের প্রতিষ্ঠাতা, যেটি কলেজের প্রবেশিকা পরীক্ষার প্রস্তুতিতে শিক্ষার্থীদের জন্য পাঠের উপকরণ এবং টেস্ট সিরিজ সরবরাহ করে।

২০২০ সালে একজন তরুণ উদ্যোক্তা হিসেবে পেমমাসানি যুক্তরাষ্ট্রের আর্নস্ট অ্যান্ড ইয়াং অ্যাওয়ার্ডে সম্মানিত হন।

পেমমাসানি নিজের নামে একটি ফাউন্ডেশনও প্রতিষ্ঠা করেন, যেটি গ্রামাঞ্চলে স্বাস্থ্য সেবা শিবিরের আয়োজন করে এবং গ্রামের মানুষদের খাবার পানি সরবরাহ করে।

বিরোধী জোটের ৭ এমপির বিরুদ্ধেও ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগ

কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন বিরোধী জোট ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ডেভেলমেন্টাল ইনক্লুসিভ অ্যালায়েন্সের (ইন্ডিয়া) সাত এমপির বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগ রয়েছে।

তাদের সবাই উত্তর প্রদেশ থেকে এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। এই এমপিদের মধ্যে পাঁচজন সমাজবাদী পার্টির (এসপি), একজন কংগ্রেসের, আর একজন আজাদ সমাজ পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চন্দ্রশেখর আজাদ, যিনি নাগিনা আসনে জয়ী হয়েছেন।

এই এমপিরা ফৌজদারি অপরাধের মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলে নিজেদের এমপি পদ হারানোর ঝুঁকিতেও রয়েছেন। এদের মধ্যে উত্তর প্রদেশের আলোচিত গ্যাংস্টার পরিবারের সদস্য আফজাল আনসারিও রয়েছেন।

ভারতের ইতিহাসে এর আগে একাধিক এমপি ফৌজদারি অপরাধের মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর তাদের সংসদ সদস্যপদ হারিয়েছেন। এই নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের চলমান আইনি চ্যালেঞ্জও একইভাবে উল্লেখযোগ্য রাজনৈতিক পরিণতি ঘটাতে পারে।

আমেরিকার প্রতিটি অঙ্গরাষ্ট্রে এ রকম অ্যাসোসিয়েশন আছে। প্রতিটি শহরেও এ ধরনের সংগঠন আছে। তাদের একটা চমৎকার ‘চেইন অব কম্যান্ড’ আছে। এতে চিকিৎসক নেতারা অঙ্গরাজ্যের সিনেটে চিকিৎসকদের স্বার্থ রক্ষার জন্য লবিং করেন, পলিটিক্যাল অ্যাকশন কমিটি করেন।

সারাবিশ্বের সব দেশের মতো এখানেও চিকিৎসকদের উপর নানা ধরনের চক্রান্ত কাজ করছে। যেমন, নতুন মেডিকেল কলেজ বা ট্রেনিং প্রোগ্রাম তৈরি হচ্ছে না। নার্স প্র্যাকটিশনার্সদের বা ফিজিশিয়ান অ্যাসিস্ট্যান্টদের স্বতন্ত্র কাজ করার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। এমনকি তাদের নামের আগে ডাক্তার টাইটেল লাগাবার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। ডাক্তারদের ক্ষমতা এবং নিরাপত্তা কমছে।

এএমএ কংগ্রেস এবং সিনেটে চিকিৎসকদের স্বার্থ রক্ষায় জন্য কাজ করেন। এদেশে কতগুলো মেডিকেল কলেজ হবে, প্রতি বছর কতজন নতুন চিকিৎসক বের হবেন, চিকিৎসকদের নিরাপত্তার জন্য কি আইন পাস করতে হবে, চিকিৎসকদের আইনি হয়রানি থেকে কিভাবে বাঁচানো যাবে? এসব নিয়ে সংগঠনের নেতারা সিনেটর বা কংগ্রেসম্যানদের সাথে কাজ করেন। এসব সংগঠনে রাজনৈতিক মতভেদ নেই। চিকিৎসকদের স্বার্থ রক্ষার জন্য সবাই এক। 

অথচ এদেশে অধিবাসী চিকিৎসকদের প্রতিটি সংগঠনে বিভক্তি দৃশ্যমান। তারা এদেশের মূলধারা থেকে আলাদা। যদিও এর ব্যতিক্রম আছে এবং ব্যতিক্রমগুলো ব্যক্তিগত পর্যায়ে। তারা প্রায় সবাই মূলধারার চিকিৎসকদের সংগঠনের সাথে সংশ্লিষ্ট।

গত দুই বছরে আমি এদেশের মূলধারার চিকিৎসকদের সংগঠনের সাথে যুক্ত হয়েছি। এখানে কাজ করা আনন্দের এবং গর্বের। কাজ করার পরিধি অসীম। কেউ পেছন থেকে টেনে ধরে না। প্যানেল করে ভোট দিয়ে এখানে নির্বাচন হয় না। নকল ভোটার বানানো হয় না।

এসব সংগঠন মেডিকেল কলেজ এবং বড় বড় হাসপাতাল এবং প্র্যাকটিসের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে। মেডিকেল কলেজের ছাত্রদের মেন্টরশিপ, গবেষণায় সাহায্য করে। সদস্যদের স্বল্পহারে ঋণের ব্যবস্থা করে, চিকিৎসকদের আইনি সহযোগিতা করে, বিষণ্ণ এবং মানসিক বিষাদগ্রস্ত চিকিৎসকদের সহযোগিতা করে। এসব সংগঠনের চিকিৎসকরা পদ-পদবির জন্য মামলাবাজী করেন না।

আমি এবার আমাদের অঙ্গরাজ্যের এরকম একটি সংগঠনের বোর্ড মেম্বার নির্বাচিত হয়েছি। আমাদের উদ্বোধনী বা পরিচিতি অনুষ্ঠানে এএমএয়ের সভাপতি ডাবল স্টার মেজর জেনারেল অধ্যাপক ডা. জেরাল্ড হারম্যান ও ওয়ার্ল্ড মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ডা. সিসিল উইলসন সাথে পরিচিত হয়ে এবং তাদের বক্তৃতা শুনে অত্যন্ত আবেগতাড়িত হলাম। আমাদের উচিত মূলধারার চিকিৎসকদের সংগঠনে যুক্ত হওয়া। এখানে অতি সহজে অনেক কাজ করতে পারবেন। নেতৃত্বের বিভাজন আর যুক্তকরণ নিয়ে সময় নষ্ট করতে হবে না।

নানা রোগের উপসর্গ হিসেবে বমি হয়ে থাকে। বদহজমের মতো অতিসাধারণ কারণে যেমন বমি হয়, তেমনি গুরুতর কোনো কারণেও শুরু হতে পারে হঠাৎ বমি। এক–দুবার বমি হওয়ার পর যদি প্রাথমিক চিকিৎসায় সেরে যায় এবং আর কোনো উপসর্গ না থাকে, তাহলে ভয়ের কিছু নেই।

কিন্তু বমি এমনই অস্বস্তিকর আর পীড়াদায়ক যে তৎক্ষণাৎ কী করবেন, তা জানা না থাকলে মুশকিল।

কোন বমির কী কারণ

 

খাবারে বিষক্রিয়া: নানা কারণে হতে পারে খাবারে বিষক্রিয়া। এটা কখনো হয় বিভিন্ন ধরনের জীবাণুর কারণে, আবার অনেক সময় খাবারে বিষাক্ত উপাদান থাকার কারণে। বাইরের কেনা খাবার কিংবা অস্বাস্থ্যকর খাবার (পচা–বাসি, মাছি বসেছে এমন খাবার) খেয়ে থাকলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে খাদ্যে বিষক্রিয়ার উপসর্গ হিসেবে বমি হতে পারে। সঙ্গে থাকতে পারে পেটব্যথা, পাতলা পায়খানা কিংবা মৃদু জ্বর।

লিভারের প্রদাহ: বমির অন্যতম কারণ লিভারের প্রদাহ বা হেপাটাইটিস। বমির সঙ্গে পেটের ডান দিকে ওপরের অংশে ব্যথা, খাবারে অরুচি, চোখ বা প্রস্রাব হলুদ হয়ে যাওয়ার মতো লক্ষণও দেখা দিতে পারে। থাকতে পারে জ্বর।

পিত্তথলির প্রদাহ: পিত্তথলির প্রদাহ হলে পেটের ওপরের অংশে (বুকের নিচ বরাবর) কিংবা পেটের ডান দিকে ওপরের অংশে ব্যথা হতে পারে। ব্যথা ছড়িয়ে যেতে পারে কাঁধের দিকে। বমি তো হতেই পারে। খাওয়ার পর বিশেষ করে ভারী কিছু খাওয়ার পর ব্যথা ও বমি বাড়ে।

অগ্ন্যাশয়ের প্রদাহ: অগ্ন্যাশয়ে প্রদাহ হলে বমি ছাড়াও পেটের ওপরের অংশে প্রচণ্ড ব্যথা হয়, যা পেছনে পিঠে ছড়িয়ে যেতে পারে। থাকতে পারে প্রচণ্ড জ্বরও। খুব দ্রুত অসুস্থ হয়ে পড়ে রোগী।

অ্যাপেন্ডিক্সের প্রদাহ: অ্যাপেন্ডিসাইটিসে আক্রান্ত ব্যক্তির নাভির গোড়ায় কিংবা তলপেটের ডান দিকে ব্যথা, ক্ষুধামান্দ্যর সঙ্গে বমিও থাকতে পারে।

গ্যাসের সমস্যা: পেপটিক আলসারজনিত সমস্যায়ও বমি হতে পারে। সঙ্গে থাকতে পারে বুকে জ্বালাপোড়া, খাওয়ার পর গলা জ্বলা, ঢেকুর ওঠা এবং পেট ভার অনুভূত হওয়ার মতো সমস্যাও।

মূত্র ও মূত্রথলির সংক্রমণ: কেবল পরিপাকতন্ত্রের সমস্যায় বমি হয়, তা নয়, বরং প্রস্রাবে বা মূত্রে সংক্রমণ হলে তলপেটে ব্যথা, ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া, কাঁপুনিসহ জ্বর যেমন হতে পারে, তেমনি হতে পারে বমিও। মূত্রনালি ও মূত্রতন্ত্রের ওপরের অংশে প্রদাহ হলেও বমিসহ কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসতে পারে। কোমরের দুই পাশে ব্যথা হতে পারে।

দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগ: দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগে বা কিডনি ফেইলিউরে শরীরে ক্রমাগত বর্জ্য পদার্থ জমা হতে থাকে বলে জটিলতা বাড়ে। এ ধরনের রোগীর ক্ষুধামান্দ্য ও বমির প্রবণতা দেখা যায়।

মস্তিষ্কের রোগে বমি: মস্তিষ্কের গুরুতর সমস্যায় বমি হতে পারে একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ। মস্তিষ্কের প্রদাহ (এনকেফেলাইটিস), মস্তিষ্কের পর্দা বা আবরণীর প্রদাহ (মেনিনজাইটিস), এমনকি মস্তিষ্কে টিউমার হলেও বমি হতে পারে। মাথাব্যথার (বিশেষত সকালবেলার তীব্র মাথাব্যথা) সঙ্গে বমি হলে অবশ্যই এমনটা সন্দেহ করতে হবে। কখনো রোগীর জ্ঞানের মাত্রার তারতম্য হতে পারে, হতে পারে খিঁচুনিও। প্রদাহ হয়ে থাকলে জ্বর হতে পারে।

গর্ভাবস্থা: বিবাহিত নারীর ক্ষেত্রে ভিন্ন একটি সম্ভাবনার কথা মাথায় রাখতে হবে। শেষবার মাসিক হওয়ার পর কত দিন পেরিয়ে গেছে, তা হিসাব করতে হবে। অনেক সময়ই নারীরা নিজের খেয়াল রাখার সময় পান না। গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাস বমি ভাব ও বমি হওয়াটা স্বাভাবিক।

মানসিক: অনেক সময় কোনো কারণ ছাড়াই কেউ কেউ বমির সমস্যায় ভুগে থাকেন। বিশেষ করে কম বয়সী মেয়েদের বা শিশুদের ক্ষেত্রে এমনটা বেশি দেখা যায়। একে বলে সাইকোজেনিক বমি। এসব ক্ষেত্রে চিকিৎসক সম্ভাব্য কোনো কারণ খুঁজে না পেলে এবং মানসিক অস্থিরতা বা অন্য কোনো মানসিক যোগসূত্র পেলে মানসিক সমস্যাকে বিবেচনায় নিয়ে থাকেন।

কী করবেন

বমি হলে শরীর থেকে প্রচুর লবণ ও পানি বেরিয়ে যায়। তাই বমি হলেই স্যালাইন পানি পান করতে হবে। তা না হলে রোগী খুব দুর্বল হয়ে পড়বেন। পানিশূন্যতা দেখা দেবে। অনেকের ধারণা ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ বা কিডনি রোগীদের স্যালাইন খাওয়া যাবে না, ধারণাটি ঠিক নয়। পানি ও লবণের অভাব যে করেই হোক পূরণ করতে হবে।

একবারে স্যালাইন পানি পান না করতে পারলে একটু পরপর অল্প অল্প করে নিতে হবে। স্যালাইন যাতে বমির মাধ্যমে বের না হয়ে যায়, সে জন্য দরকার হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে বমির ওষুধ আগে খেয়ে নিন।

সাধারণ সমস্যায় এক-দুবার বমি হওয়ার পর স্যালাইন খেলেই খানিকক্ষণ পর রোগী সুস্থ বোধ করেন। সাধারণ বমির ওষুধে সেরেও যায়। তবে বারবার বমি হতে থাকলে হাসপাতালে নেওয়া দরকার। খাবার স্যালাইনও সে ক্ষেত্রে বের হয়ে আসতে থাকে। তাই প্রয়োজনে রোগীকে শিরাপথে স্যালাইন দিতে হবে।

হাসপাতালের জরুরি বিভাগে বমি কমানোর ইনজেকশন দিয়ে কিছুটা উপশম করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু ইতিহাস জেনে ও প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর বমির কারণ অনুসন্ধান করে তারপর সেটার চিকিৎসা শুরু হবে। কোনো কোনো ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায়ও বমি হতে পারে। তাই সাম্প্রতিক সময়ে কোনো ওষুধ সেবন করে থাকলে সেটি চিকিৎসককে জানাতে ভুলবেন না।

দেশে করোনাভাইরাসের ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণের কারণে শিগগির সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ৩০ দিন বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেছেন আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ।

আজ বুধবার (১৯ জানুয়ারি) জনস্বার্থে এই আবেদন করেন তিনি। এতে স্বাস্থ্য সচিব, শিক্ষা সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।

ইউনুছ আলী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চে এই আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে।’

এদিকে দেশে করোনাভাইরাসের ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণের কারণে বুধবার (১৯ জানুয়ারি) থেকে ভার্চুয়ালি চলছে সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট উভয় বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম ভার্চুয়ালি শুরু হয়েছে।

সম্পাদক ও প্রকাশক : মঈনুদ্দিন কাজল
deshermatidaily@gmail.com
০১৬১৫১১২২৬৬, ০১৬৭৩৫৬২৭১৬

দেশের মাটি কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।