বিশ্ব

পশ্চিমবঙ্গের মালদহের ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে গ্রামবাসীর ক্ষোভের মুখে পড়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী তাজমুল হোসেন। গ্রামের ক্ষিপ্ত নারীরা তাকে লাঠি উঁচিয়ে তাড়া করেছেন। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে, নিজেকে বাঁচাতে অবশেষে নৌকায় উঠে পালাতে হয়েছে। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোববার দুপুরে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর ২ ব্লকের ইসলামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রশিদপুর গ্রামের ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন মন্ত্রী তাজমুল হোসেন। তার সঙ্গে তখন বিডিও তাপসকুমার পাল ও অন্য প্রশাসনিক কর্মকর্তারাও ছিলেন। 

সেখানে যাওয়ার পরই তাজমুলকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসী। তারা বলেন, গত কয়েক দিনে ফুলহার নদীর পানি অনেক বেড়েছে। এতে গ্রামের কয়েকটি বাড়ি এবং দোকান ভেসে গেছে। কিন্তু সরকারের কেউ খবরও নেয়নি। এ অভিযোগে এক পর্যায়ে মন্ত্রী ও প্রশাসনের ওপর ক্ষুব্ধ গ্রামের নারীরা রীতিমতো হাতে লাঠি নিয়ে তাদের তাড়া করেন। 

এ ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আর নৌকায় করে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয় মন্ত্রী তাজমুলকে। তিনি বলেন, ‘রশিদপুর গ্রামের অবস্থা খুবই খারাপ। সেচ বিভাগ কিছু কাজ করেছে। কিন্তু আরও কাজ বাকি আছে।’ 

গ্রামবাসীর ক্ষোভের মুখে পড়া বিডিও তাপস বলেন, ‘গ্রামবাসীর ক্ষোভের কথা শুনলাম। কী করা যায়, তা ওপর মহলের সঙ্গে কথা বলে করতে হবে।’

ইসরাইলের একটি যাত্রীবাহী বিমানকে প্রয়োজনীয় জ্বালানি তেল না দিয়েই ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছে তুরস্কের আন্তালিয়া বিমানবন্দরের কর্মীরা। 

সোমবার ইসরাইলের বিমানটি তুরস্কের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় আন্তালিয়া বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করলে এ ঘটনা ঘটে। 

বিমানটিকে জ্বালানি তেল দিতে অস্বীকৃতি জানানোর মধ্য দিয়ে মূলত ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি বাহিনী যে গণহত্যা চালাচ্ছে, তারই প্রতিবাদ জানিয়েছে তুর্কি বিমানবন্দরের কর্মীরা। 

জানা গেছে, এদিন পোল্যান্ডের রাজধানী ওয়ারশ থেকে তেলআবিবে যাচ্ছিল LY5102 বিমানটি। পথে একজন অসুস্থ যাত্রীর কারণে আন্তালিয়া বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে ফ্লাইটটি। 

এ সময় বিমানটির জ্বালানির প্রয়োজন হলে ইসরাইলি বিমানে জ্বালানি সরবরাহ করতে অস্বীকৃতি জানায় তুর্কি বিমানবন্দরের কর্মীরা। এ অবস্থায় বিমানটি জ্বালানি তেল নেওয়ার জন্য গ্রিসের উদ্দেশে উড়াল দেয়। সোমবার এক প্রতিবেদনে এমনটাই জানিয়েছে ইসরাইলের গণমাধ্যম টাইমস অব ইসরাইল। 

এদিকে তুরস্কের কূটনৈতিক সূত্র বলছে ভিন্ন কথা। সূত্রটি জানিয়েছে, মানবিক বিবেচনায় বিমানটিতে জ্বালানি সরবরাহ করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তবে প্রাসঙ্গিক প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার কাছাকাছি সময়ে বিমানটির ক্যাপ্টেন নিজ ইচ্ছায় চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। সূত্র: ইরনা

হামাসের অভিযোগ যুক্তরাষ্ট্র সরকার হামাসকে দখলদার ইসরাইলের প্রস্তাবিত একটি যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব মেনে নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে। শনিবার বৈরুতে হামাসের লেবানন প্রতিনিধি ওসামা হামদান সংবাদ সম্মেলনে ওয়াশিংটনের চাপ সৃষ্টি করার এ অভিযোগ জানান।

তবে তেলআবিবের দেওয়া ওই প্রস্তাবে হামাস গাজায় ইসরাইলের হত্যাযজ্ঞ স্থায়ীভাবে বন্ধ করে উপত্যকা থেকে পুরোপুরি সেনা প্রত্যাহারের যে শর্ত দিয়েছে, তা মেনে নেওয়া হয়নি বলেও জানান তিনি।

ওসামা হামদান বলেন, মার্কিন প্রশাসন ইসরাইলি যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবকে অবিকৃত রেখে তা হামাসকে মেনে নেয়ার জন্য চাপাচাপি করছে। এটি হচ্ছে নিজের নোংরা চেহারাকে চাকাচিক্য করার লক্ষ্যে মার্কিন প্রশাসনের একটি অপচেষ্টা।

তিনি বলেন, ইসরাইল গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় যে ভয়াবহ গণহত্যা চালিয়ে আসছে, তাতে সর্বাত্মক পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তেলআবিব দেশটির অস্ত্রের চালান না পেলে ইসরাইলকে বহু আগেই গাজায় গণহত্যা বন্ধ করতে হত। 

এ সময় যুদ্ধের ময়দানে ইসরাইলের পক্ষ অবলম্বন করা সত্ত্বেও, মার্কিন সরকার যুদ্ধবিরতির আলোচনায় মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেন হামাসের এই মুখপাত্র।

হামদান বলেন, হামাস গাজায় যে যুদ্ধবিরতি চায়, সেটি হতে হবে স্থায়ী এবং উপত্যকা থেকে সব ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। কিন্তু নেতানিয়াহুর সরকার গাজায় ফিলিস্তিনিদের আটক তার পণবন্দিদের মুক্ত করে নিতে সাময়িক যুদ্ধবিরতি দিতে চায়। 

এর আগে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু সরাসরি বলে দিয়েছেন, পণবন্দিদের মুক্তির মাধ্যমে যুদ্ধ শেষ হবে না বরং হামাসকে ‘ধ্বংস’ করার মধ্য দিয়ে গাজা আগ্রাসন বন্ধ হবে।

তবে হামাসকে ধ্বংস করার এই হুমকি মেনে নিয়ে ইসরাইলি পণবন্দিদের মুক্ত করা সম্ভব নয় বলে মনে করেন ওসামা হামদান। আর এ কারণেই গাজায় যুদ্ধবিরতির আলোচনা বর্তমানে অচল অবস্থায় পড়ে আছে। 

তবে ভেতরে ভেতরে ইসরাইলের মনোবাসনা পূরণ করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র সরকার যে নিরলস চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, সেটা এখন মোটেও অস্পস্ট নয় বলে দাবি করেন হামাসের এই প্রতিনিধি।

শনিবার রাতে বৈরুতে অনুষ্ঠিত ওই সংবাদ সম্মেলনে হামদান আরও বলেন, আমরা আবার ঘোষণা করছি যে, আমরা যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে আন্তরিক; তবে তা হতে হবে স্থায়ী এবং ইসরাইলের সব সেনা গাজা থেকে প্রত্যাহার করতে হবে। এরপরই দুপক্ষের মধ্যে বন্দি বিনিময় চুক্তি হবে, তার আগে নয়।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরাইল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরাইলি হামলায় গাজার হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

সেইসঙ্গে গাজা ভূখণ্ডে চলমান ইসরাইলি আগ্রাসনে মোট মৃতের সংখ্যা ৩৭ হাজার ৮৭৭ জনে পৌঁছেছে এবং আহত হয়েছেন আরও ৮৬ হাজার ৮৫৮ জন। সূত্র: মেহের নিউজ

আরব লীগের সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর তালিকা থেকে বাদ পড়েছে লেবাননভিত্তিক ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর নাম। 

শনিবার (২৯ জুন) টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে আরব লীগের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হোসসাম জাকি বলেছেন, হিজবুল্লাহ এখন থেকে আর সন্ত্রাসী সংগঠন নয়। খবর আনাদোলুর।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৈরুতে সফর শেষ করার পরদিন মিশরীয় আল-কাহেরা নিউজ চ্যানেলে এ কথা বলেন জাকি। তিনি বলেন, ‘আরব লীগের পূর্ববর্তী সিদ্ধান্তগুলোতে হিজবুল্লাহকে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে মনোনীত করা হয়েছিল। এই সিদ্ধান্তের ওপর ভিত্তি করেই সংস্থার কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছিল এবং (হিজবুল্লাহর সঙ্গে) যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছিল। তবে হিজবুল্লাহ এখন থেকে আর সন্ত্রাসী সংগঠন নয়।’

এ ঘোষণা এমন এক সময়ে এল, যখন হিজবুল্লাহ ইসরাইলি বাহিনীর বিরুদ্ধে ক্রমাগত লড়াই করে যাচ্ছে। আরব লীগের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আরও বলেন, ‘লীগের সদস্য রাষ্ট্রগুলো সম্মত হয়েছে যে, হিজবুল্লাহকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আর বিবেচনা করা উচিত নয়।’ 

এ সময় তিনি জানান, আরব লীগের সদস্য রাষ্ট্র ও হিজবুল্লাহর মধ্যে সম্পর্ক স্থাপনের শর্তগুলোও পূরণ করা হয়েছে। 

এর আগে, ২০১৬ সালের ১১ মার্চ হিজবুল্লাহকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করে আরব লীগ। ইসরাইলের ইহুদিবাদী শাসকের মিত্র পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলোর চাপের ফলে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল।

বিশ্লেষকেরা বলছেন, ইসরাইলের ইহুদিবাদী শাসকগোষ্ঠীর মোকাবিলায় এবং গাজায় গণহত্যা বন্ধে ফিলিস্তিনেদের পাশে দাঁড়িয়ে হিজবুল্লাহ যেভাবে লড়ে যাচ্ছে, তা আরব দেশগুলোর জনগণের মাঝে ব্যাপক ইতিবাচক সাড়া ফেলেছে। এটিই হয়তো আরব লীগের দেশগুলোকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে উদ্বুদ্ধ করেছে।

ইউক্রেনজুড়ে ভয়াবহ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এ হামলায় অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে চারজন শিশু।

শনিবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সতর্ক করে বলেছেন, ঝাপোরিঝিয়ার কাছে ভিলনিয়ানস্ক গ্রামে রাশিয়ার হামলায় নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

সামাজিক মাধ্যমে এক পোস্টে জেলেনস্কি বলেন, ঝাপোরিঝিয়া অঞ্চলে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় দুই শিশুসহ সাতজন নিহত হয়েছে। তিনি পশ্চিমা দেশগুলোকে আরও দ্রুত অস্ত্র সরবরাহের আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, এই যুদ্ধে অস্ত্র সরবরাহে বিলম্ব হওয়া মানে আরও বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটা। 

জেলেনস্কি বলেছেন, দিনিপ্রো শহরে হামলার ঘটনা ইউক্রেনের মিত্র দেশগুলোকে এটা মনে করিয়ে দিচ্ছে যে তাদের আরও বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্রয়োজন।

তিনি বলেন, এ কারণেই আমরা বার বার আমাদের সব অংশীদারদের এটা মনে করিয়ে দিচ্ছি যে, শুধুমাত্র পর্যাপ্ত পরিমাণে উচ্চমানের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাই রাশিয়ার এই সন্ত্রাসী হামলা থামাতে সক্ষম।

ওই শহরের গভর্নর ইভান ফেদোরভ জানিয়েছেন, দিনের আলোতে শহরের কেন্দ্রস্থলে এমন একটি জায়গায় রাশিয়া হামলা চালিয়েছে যেখানে লোকজন অবসর সময় কাটাচ্ছিল।

এদিকে ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইগোর ক্লিমেনকো জানিয়েছেন, ঝাপোরিঝিয়া শহর থেকে ৩০ কিলোমিটার (১৮ মাইল) দূরে অবস্থিত ভিলনিয়ানস্ক শহরে চার শিশুসহ ১৮ জন আহত হয়েছে।

ইউক্রেনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শনিবার পূর্বাঞ্চলের একটি গ্রামে হামলায় চারজন নিহত এবং ২৩ জন আহত হয়েছে। 

‘এছাড়া দিনিপ্রো শহরে হামলার ঘটনায় একজন নিহত এবং আরও ১২ জন আহত হয়েছে। উদ্ধারকারীরা একটি নয়তলা আবাসিক ভবনে হামলার পর ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে লোকজনকে উদ্ধারে কাজ করছেন।’

 
 

মেরিকান প্রেসিডেন্ট বাইডেন তার নির্বাচনী অর্থদাতাদের সমস্যার কেন্দ্রে নিয়ে যাচ্ছে বর্তমান এই প্রেসিডেন্ট সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে অনুষ্ঠিত বিতর্কে যে পারফরমেন্স করেছেন তা শুধু হতাশারই জন্ম দেয় নি নির্বাচনী প্রচারণাকে হুমকিতে ফেলেছে সাথে তার রাজনৈতিক জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলেছেন এবং এটি অর্থনৈতিক হুমকি হিসেবে হয়ে দাড়াতে পারে

রিপাবলিকান শিবিরের ট্রাম্পের পকেটে এখন অনেক অর্থ নিয়মিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের হন্য সংগ্রহ হচ্ছে তাতে জো বাইডেনকে পেছনে ফেলছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

বাইডেনের অবস্থা আরো খারাপের আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ধনী অর্থদাতারা নিশ্চয়ই অর্থনৈতিক দুর্বল রেসে বাজি ধরবেন না

সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানায়, শুরুর দিকে বাইডেনের ভান্ডারে অনেক বেশি ফান্ড জমা হচ্ছিলো বাইডেন বাহিনী ট্রাম্পকে আইনের প্যাচে নাকানিচুবানি খাওয়াচ্ছিলো বাইডেনের প্রচার টিম ঠিক তেমন কাজই করেছেন যা দরকার ছিল ডেমোক্রেটরা তহবিল সংগ্রহে সাফল্য পেয়ে যাচ্ছিলো

সকল রাজ্যে বাইডেনের ভালো অবস্থা থাকলেও গত বসন্তে হাওয়া ঘুরে যায় গত এপ্রিলে বাইডেনের চেয়ে কোটি ৫০ লাখ ডলার বেশি অর্থ সংগ্রহ করে তাক লাগান ডোনাল্ড ট্রাম্প

দিন দিন প্রেসিডেন্টের জন্য সময় খারাপ হতে থাকে

নিউইয়র্কের আদালতে মিথ্যা তথ্যর জন্য ট্রাম্পকে দোষী সাব্যস্ত করে তখন থেকে ট্রাম্পের তহবিলে অর্থ জমতে শুরু করে।

ইসরাইলের ব্যবহৃত অস্ত্র দিয়েই ইসরাইলি সেনাদের ওপর সফল হামলা চালিয়েছে গাজায় ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ গ্রুপ হামাসের আল-কুদস ব্রিগেডের যোদ্ধারা। এতে চার ইসরাইলি সেনা নিহত ও আহত হয়েছে আরও পাঁচ সেনা।

শুক্রবার (২৮ জুন) ইসরাইলের অস্ত্র দিয়ে তাদের ওপর হামাসের আল-কুদস ব্রিগেডের যোদ্ধারা হামলা চালালে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।

শুক্রবার ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদ গ্রুপের সশস্ত্র ইউনিট আল-কুদস ব্রিগেড এক বিবৃতিতে জানায়, তারা শুজাইয়ে এলাকায় বুবি-ট্র্যাপড একটি আবাসিক ভবন উড়িয়ে দিয়েছে। এতে চার ইসরাইলি সেনা নিহত এবং পাঁচজন আহত হয়েছেন।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, তারা ইম্প্রুভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) এবং অবিস্ফোরিত এফ-১৬ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে এই হামলা চালায়। এফ-১৬ ক্ষেপণাস্ত্রটি ইসরাইলের একটি যুদ্ধবিমান থেকে নিক্ষেপ করা হয়েছিল। সেটি বিস্ফোরিত না হওয়ার পর যোদ্ধারা উদ্ধার করে।

ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের সশস্ত্র শাখা কাসসাম ব্রিগেডও জানিয়েছে, তারা অ্যান্টি-ট্যাংক রকেট এবং ছোট অস্ত্র দিয়ে ইসরাইলি বাহিনীর মধ্যে মৃত্যু ও হতাহত সৃষ্টি করেছে।

গত বৃহস্পতিবার ওই এলাকায় ইসরাইল নতুন করে হামলা চালায়। উত্তর গাজার ওই এলাকাটি থেকে জানুয়ারি মাসে ইসরাইলি বাহিনী সরে গিয়েছিল। তখন তারা বলেছিল যে সেখান থেকে হামাসকে তারা পুরোপুরি গুঁড়িয়ে দিয়েছে।

সেনাদের মৃত্যুর বিষয়টি ইসরাইল এখনো স্বীকার করেনি। তবে ইসরাইল জানিয়েছে, পুরো গাজায় গত ২৪ ঘণ্টায় তাদের এক সেনা নিহত এবং ৯ জন আহত হয়েছেন।

প্রচণ্ড তাপমাত্রার কারণে এখন থেকে ১০ মিনিটে জুমার খুতবা ও নামাজ শেষ করার নির্দেশনা দিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত।  ২৮ জুন (শুক্রবার) থেকে শুরু করে আগামী অক্টোবর মাস পর্যন্ত এ নির্দেশনা বহাল থাকবে।  

বৃহস্পতিবার দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, এই গ্রীষ্মে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহের কারণে এমন নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। আমিরাতের জেনারেল অথরিটি ফর ইসলামিক অ্যাফেয়ার্স, এনডাউমেন্টস অ্যান্ড জাকাতের দেওয়া এই নিদের্শ শুক্রবার থেকেই কার্যকর হবে। 

আমিরাতের জাতীয় আবহাওয়া দফতরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গ্রীষ্মে উপসাগরীয় দেশগুলোর তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যায়। কিছু এলাকায় তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস অনুভূত হয়।

এদিকে তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে সৌদি আরবে অবস্থিত ইসলামের পবিত্র দুই মসজিদে জুমার খুতবাও সংক্ষিপ্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রচণ্ড গরমে ও তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে চলতি গ্রীষ্মের শেষ পর্যন্ত এই নির্দেশনা মেনে চলতে বলা হয়েছে।

এছাড়া এই নির্দেশনায় শুক্রবারের জুমার নামাজের প্রথম ও দ্বিতীয় আজানের মধ্যবর্তী সময়ও কমিয়ে দেওয়া হয়েছে।  

সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজ জানিয়েছে, সৌদি আরবে ইসলামের দুটি পবিত্রতম মসজিদে জুমার নামাজের আগে নির্ধারিত খুতবা চলমান গ্রীষ্ম মৌসুমের শেষ পর্যন্ত সংক্ষিপ্ত করে কয়েক মিনিটের মধ্যে শেষ করতে হবে। মূলত মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে প্রচণ্ড গরমের মধ্যে মুসল্লিদের সুরক্ষার কথা চিন্তা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আগে জুমার খুতবা সাধারণত ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট স্থায়ী হতো। এখন তা ১৫ মিনিটে নামিয়ে আনা হবে। 

সৌদি আরবে এবারের গরমে কমপক্ষে ১৩০১ হজযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে।

‘আমরা চাইলে খুব সহজেই লেবাননকে অন্ধকারে ফেলে রাতারাতি হিজবুল্লাহর সব শক্তি মূলোৎপাটন করতে পারি।’ সম্প্রতি ইসরাইলের রাইখম্যান বিশ্ববিদ্যালয়ে এক কনফারেন্সে এমন মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেনি গান্টজ।

ইসরাইলের বিরুদ্ধে মন্ত্রী পর্যায়ের কোনো নেতার এটিই সবচেয়ে বড় হুমকি। এর আগে হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে এমন স্পষ্ট হুমকি কেউ দেননি। 

অবশ্য লেবাননকে অন্ধকারে নিমজ্জিত করা ইসরাইলের জন্য কঠিন কিছু নয়। কয়েক দশকের অব্যবস্থাপনা আর অর্থনৈতিক দুরবস্থার কারণে ইতোমধ্যে পঙ্গু দেশটির পাওয়ার গ্রিড খুব কমই কাজ করছে। কয়েকটি বিমান হামলা চালালেই বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়বে পুরো দেশ। তবে হিজবুল্লাহর সামরিক শক্তি কেড়ে নেওয়া মুখের কথা নয়, লম্বা কাজ।

২০০৬ সালে লেবাননের সঙ্গে অসমাপ্ত যুদ্ধের পর থেকেই পুনরায় ম্যাচ আয়োজনের পরিকল্পনা করে আসছে ইসরাইল। থেমে নেই হিজবুল্লাহও, দীর্ঘদিন ধরেই যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে সংগঠনটি।
 
বিশাল অস্ত্রাগার

ইসরাইলের হিসাব বলছে, হিজবুল্লাহর অস্ত্রাগারে অন্তত দেড় লাখ ক্ষেপণাস্ত্র ও রকেট মজুদ রয়েছে। এর মধ্যে অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ইতোমধ্যে পাঁচ হাজার ক্ষেপনাস্ত্র খরচ করে ফেলেছে তারা। তবে হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ বলছেন ভিন্ন কথা। গত সপ্তাহে এক ভাষণে তিনি জানান, তাদের বেশিরভাগ অস্ত্রাগার এখনো অক্ষত। 

সম্প্রতি ইসরাইলের সামরিক স্থাপনায় হামলার দাবি করেছে হিজবুল্লাহ। গোষ্ঠীটির সাম্প্রতিক হামলায় অবাকও হয়েছেন ইসরাইলি কর্মকর্তারা। এর মধ্যে রয়েছে- সীমান্তে ইসরাইলের নজরদারি ফাঁড়িতে হামলা, ইসরাইলি ড্রোনে গুলি করে ভূপাতিত করা এবং ইসরাইলের ড্রোন প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় আঘাত হানা। তবে ইসরাইলের জন্য সম্ভবত সবচেয়ে বড় বিস্ময় ছিল- হিজবুল্লাহ উত্তরাঞ্চলীয় শহর হাইফা ও এর আশেপাশের অত্যন্ত সংবেদনশীল বেসামরিক ও সামরিক অবকাঠামোর নয় মিনিটের ড্রোন ফুটেজ অনলাইনে প্রকাশ। 

বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ছাড়াও হিজবুল্লাহর রয়েছে একদল প্রশিক্ষিত সেনাদল। ইসরাইলের সঙ্গে যুদ্ধ বাধলে প্রায় ৪০ থেকে ৫০ হাজার যোদ্ধা মোতায়েনের সক্ষমতা রয়েছে হিজবুল্লাহর। তবে হাসান নাসরুল্লাহ সম্প্রতি জানিয়েছেন, এ সংখ্যা এক লাখেরও বেশি। এদের অনেকেই সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে সরকারি বাহিনীর হয়ে যুদ্ধ করার অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। এছাড়াও হিজবুল্লাহ অন্যান্য অনেক গেরিলা গ্রুপের চেয়ে প্রশিক্ষিত এবং অত্যন্ত শৃঙ্খলাবদ্ধ। 

সক্ষমতা বেড়েছে বহুগুণ

রাইখম্যান বিশ্ববিদ্যালয় হিজবুল্লাহর গোলাবারুদের মজুদ আর রকেট নিয়ে অবাক করার মতো এক তথ্য দিয়েছে। এক প্রতিবেদনে তারা জানায়, যুদ্ধ বাধলে এবার একদিনে প্রায় আড়াই হাজার থেকে তিন হাজার রকেট হামলা করতে পারে ইরানের এ মিত্র গোষ্ঠী। অথচ ২০০৬ সালে পুরো ৩৪ দিনের যুদ্ধে হিজবুল্লাহ মাত্র চার হাজার রকেট নিক্ষেপ করেছিল বলে অনুমান করা হয়, যা দৈনিক গড়ে ছিল মাত্র ১১৭টি।

এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০০৬ সালে ১৩ জুলাই যুদ্ধ শুরুর ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে ইসরাইলি যুদ্ধবিমানগুলো বোমা হামলায় বৈরুতের রফিক হারিরি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বিধ্বস্ত করে ফেলেছে। তবে এবার ইসরাইল ওই বিমানবন্দরটিতে হামলা চালাতে পারলেও আগেরবারের মতো এতো তাড়াতাড়ি কিছু করতে পারবে না। অন্যদিকে হিজবুল্লাহও তেল আবিবের বেন গুরিয়ন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আঘাত হানতে সক্ষম হতে পারে এবার।

মধ্যপ্রাচ্যে বেড়েছে ইসরাইলের শত্রু

মধ্যপ্রাচ্যে ইসরাইলের শত্রু-মিত্রের অবস্থা আগের মতো নেই। রাষ্ট্র ছাড়াও অরাষ্ট্রীয় শত্রু র সংখ্যা বেড়েছে। অনেক শক্তিও অর্জন করেছে সংগঠনগুলো। ইসরাইলের শত্রুরা এখন আর দুর্নীতিগ্রস্ত ও অযোগ্য আরব শাসকগোষ্ঠীর মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই, বরং হিজবুল্লাহ থেকে শুরু করে হামাস, ইসলামিক জিহাদ, হুথি থেকে ইরাক ও সিরিয়ার মিলিশিয়া বাহিনী ছাড়াও অ-রাষ্ট্রীয় অনেক শত্রুর জন্ম হয়েছে। 

ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরাও এখন ইরানের সহায়তায় ইসরাইলের দিকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করার সাহস পায়। হুতিরাও লোহিত সাগরে ইসরাইলের জাহাজে হামলা করে। 

সম্প্রতি ইরান সমর্থিত ইরাকি মিলিশিয়া বাহিনী আসাইব আহল আল-হকের নেতা কায়েস আল-খাজালি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি লেবাননে ইসরাইলি হামলা সমর্থন করে তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের জানা উচিত এ অঞ্চলে বিশেষ করে ইরাকে সে তার সব স্বার্থ ঝুঁকির মুখে ফেলবে। 

ইরানের আচরণিক পরিবর্তন

গত কয়েক বছরে ইরানের চরিত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। ঐতিহ্যগতভাবে তেহরান অন্যদেরকে লড়াই করার জন্য উসকে দিয়ে নেপথ্যে থাকে। তবে গত এপ্রিলে দেশটি বিপরীত আচরণ করেছে। সিরিয়ার দামেস্কে ইরানের কূটনৈতিক দপ্তরে ইসরাইলের হামলার কঠিন প্রতিশোধ নিয়েছে। ইসরাইলের দিকে শত শত ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলা চালিয়েছে তেহরান। 

যদি ইরানের প্রধান আঞ্চলিক মিত্র ও দেশটির ‘মুকুট রত্ন’ হিজবুল্লাহকে ইসরাইল আক্রমণ করে তবে ইরান এর বিপরীতে মারাত্মকভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে। 

ইরান তার মিত্রদের বিরুদ্ধে ইচ্ছেমতো গুলি চালানোর নির্দেশ দিতে পারে। সেইসঙ্গে পারস্য উপসাগরে প্রবেশের প্রবেশদ্বার হরমুজ প্রণালী নিয়ন্ত্রণে নিতে পারে। বড় ধরনের সংঘাত দেখা দিলে ইরান এই প্রণালী বন্ধ করে দেবে বলে দীর্ঘদিন ধরে আশঙ্কা করা হচ্ছে, যা বিশ্ববাজারে তেলের দাম আকাশচুম্বী করে তুলবে। 

গত অক্টোবর থেকে লেবানন-ইসরাইল সীমান্তে উত্তেজনা বেড়েই চলছে। তবে গত কয়েক সপ্তাহে এ উত্তেজনা চরম আকার ধারণ করেছে এবং যুদ্ধের সম্ভাবনাও আকাশচুম্বি বলে মনে হচ্ছে। জার্মানি, সুইডেন, কুয়েত, নেদারল্যান্ডসসহ অনেক দেশ তাদের নাগরিকদের অবিলম্বে লেবানন ছাড়ার আহ্বান জানিয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যে যদি কখনো আঞ্চলিক যুদ্ধের আশঙ্কা দেখা দেয়, সেই মুহূর্ত এখনই।

মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ তার বিরুদ্ধে করা দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। সেইসঙ্গে দুর্নীতির অভিযোগ তোলায় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলার (১৫ কোটি রিঙ্গিত) ক্ষতিপূরণ দাবিতে মানহানির মামলা করতে চলেছেন তিনি।

সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন এবং সে বিষয়ে তদন্তও চলমান।

সম্প্রতি কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আনোয়ার ইব্রাহিমের প্রতি ইঙ্গিত করে মাহাথির মোহাম্মদ বলেছেন, ‘আমার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের প্রমাণ থাকলে তা আদালতে পেশ করুন। আমি দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে বেতন হিসেবে যে অর্থ পেয়েছি, সেই অর্থই আমার জন্য বেশি ছিল। তবে আমার সেই অর্থের ‘বেশিরভাগই শেষ হয়ে গেছে’।

সম্পাদক ও প্রকাশক : মঈনুদ্দিন কাজল
deshermatidaily@gmail.com
০১৬১৫১১২২৬৬, ০১৬৭৩৫৬২৭১৬

দেশের মাটি কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।