বিশ্ব

মুসলমান মানেই টেরোরিস্ট (সন্ত্রাস) নয়, ইন্দিরা গান্ধী-মহাত্মা গান্ধীকে মুসলিমরা খুন করেনি, এটা নিয়ে মিথ্যা প্রচার করে একটা জাতি ও ধর্মকে বদনাম করা হচ্ছে। এই অপপ্রচার বন্ধ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন কলকাতার মেয়র তথা পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। শনিবার (৪ জানুয়ারি) কলকাতা পার্ক সার্কাস ময়দানে মিলন উৎসব অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

ফিরহাদ হাকিম বলেন, রাজ্যে একটা ধারণা তৈরি করা হচ্ছে। মুসলিম মানেই উগ্রপন্থী। অতীতে ভারতবর্ষে যে কজন রাজনৈতিক নেতা খুন হয়েছে, ইন্দ্রিরা গান্ধী থেকে মহাত্মা গান্ধী বা অন্যান্য নেতা, কাউকেই মুসলিমরা খুন করেনি। তাহলে কেন শুধু শুধু মুসলিমদের বিরুদ্ধে এভাবে বিদ্বেষ তৈরি করা হচ্ছে?

এরপরই ফিরহাদ হাকিম বলেন, আমি বলছি না, সবাই ভালো। যারা বাংলাদেশে খুন করছে বা যারা উগ্রপন্থী কার্যকলাপ করছে, তাদের শাস্তি হওয়া উচিত। কিন্তু সব মুসলিম খারাপ নয়। এখানে সাম্প্রদায়িকতার সুড়সুড়ি দিয়ে সংখ্যালঘু মুসলিম সমাজকে খারাপ দেখানোর চেষ্টা হচ্ছে। আমি এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করবই।

বাংলাদেশের অস্থির পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে এর আগেই মুসলিম প্রসঙ্গে মন্তব্য করেছিলেন ফিরহাদ, যা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। গত জুলাই মাসে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ফিরহাদ বলেছিলেন, যারা ইসলাম নিয়ে জন্মগ্রহণ করেননি, তারা ‘দুর্ভাগা’। আর সেই বক্তৃতার ভিডিও নিয়ে সরব হয়েছিল বিজেপি। এমনকি মুখ খুলেছিলেন ডেবরার বিধায়ক হুমায়ুন কবির। তার বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়েছিলেন বিরোধীরাও।

ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরে দেশটির সেনাবাহিনীর একটি ট্রাক রাস্তা থেকে ছিটকে গিরিসঙ্কটে পড়ে তিন সেনা নিহত হয়েছেন। শনিবার (৪ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় দুপুর আড়াইটার দিকে উত্তরাঞ্চলীয় বানদিপোড়া জেলার সাক পায়েন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

এ নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানা যাচ্ছে, এই দুর্ঘটনার জন্য খারাপ আবহাওয়া একটি ভূমিকা রেখেছে বলে কর্মকর্তারা।

শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, দায়িত্ব পালনের সময় প্রতিকূল আবহাওয়া ও কুয়াশার কারণে ভারতীয় সেনাবাহিনীর একটি গাড়ি ছিটকে খাদে পড়ে যায়। দুঃখজনকভাবে তিনজন সাহসী যোদ্ধা এই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন।

গত মাসেও এই ধরনের একটি দুর্ঘটনা ঘটেছিল জম্মু ও কাশ্মীরের পিঞ্চ এলাকায়। সেখানেই ৩০০ ফুট নিচে গভীর খাদে পড়ে গিয়েছিল সেনাবাহিনীর একটি ট্রাক। ওই দুর্ঘটনায় ৫ সেনা সদস্য মারা যান।

যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ বেসামরিক পদক প্রেসিডেনশিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম পেয়েছেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা লিওনেল মেসি। তার হাতে পদক তুলে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইজেন। এবার মেসি, হিলারি ক্লিনটনসহ ১৯জন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে এই পদক প্রদান করেছেন বাইডেন।

সমাজ, সংস্কৃতি, ক্রীড়া, রাজনীতি ও মানবকল্যাণে অনন্য অবদানের জন্য এই পুরস্কার প্রদান করা হয়। সেখানে লিওনেল মেসির অর্জনের শেষ নেই। সর্বোচ্চ ৮ বারের ব্যালন ডি’অর জয়, গোল্ডেন বুট জয়, দুইবার বিশ্বকাপের গোল্ডেন বল; মেসি শত শত পুরস্কারের মালিক।

যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা অর্জন নিঃসন্দেহে তার শ্রেষ্টত্বের মুকুটে আরেকটা পালক যোগ করবে। কেননা এই পুরস্কারের বৈশ্বিক প্রভাব এবং গ্রহণযোগ্যতা ফুটবলের বাইরেও বিস্তৃত।

ফিলিস্তিনে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরার সম্প্রচার সত্ত্ব সাময়িকভাবে বন্ধ করেছে কর্তৃপক্ষ। বুধবার (২ জানুয়ারি) ‘উসকানিমূলক কনটেন্ট’ প্রচারের অভিযোগে এ আদেশ দেয়া হয়।

ফাতাহ নিয়ন্ত্রিত পশ্চিম তীরের বার্তা সংস্থা ওয়াফার খবরে বলা হয়, সংস্কৃতি, স্বরাষ্ট্র ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে গঠিত বিশেষ মন্ত্রী কমিটি ফিলিস্তিনে আল-জাজিরা চ্যানেলের সম্প্রচার ও এর কার্যালয়ের সব কার্যক্রম স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ফিলিস্তিনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে উসকানিমূলক কনটেন্ট ও প্রতিবেদন সম্প্রচার করায় আল-জাজিরার বিরুদ্ধে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

ফিলিস্তিনের রামাল্লাহ শহরে আল জাজিরার একটি কার্যালয় রয়েছে।

সম্প্রচার সত্ত্ব সাময়িকভাবে বন্ধের বিষয়ে আল-জাজিরার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল এএফপি। সংবাদমাধ্যমটি নিশ্চিত করেছে, তারা বুধবার রামাল্লায় তাদের কার্যালয় বন্ধ রাখার একটি নির্দেশনা পেয়েছে।

তবে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের এ পদক্ষেপ নিয়ে এখন পর্যন্ত আল–জাজিরার পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।

উল্লেখ্য, আল-জাজিরা বন্ধ করার সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস।

তেলআবিবে হুতিদের ব্যালিস্টিক মিসাইল ছোড়ার কয়েক ঘণ্টার মাথায় পাল্টা হামলা করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। স্থানীয় সময় শনিবার (২১ ডিসেম্বর) ইয়েমেনের রাজধানী সানায় সিরিজ বিমান হামলা চালায় মার্কিন বাহিনী। এক প্রতিবেদনে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি নিউজ এ তথ্য জানায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, হামলাগুলি সানার আত্তান এলাকা লক্ষ্য করে চালানো হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের কর্মকর্তারা এই ঘটনার বিষয়ে এখনও কোনো মন্তব্য করেননি।

এদিকে, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথি জানিয়েছে যে সানা ও এর কৌশলগত বন্দরসহ আল হুদাইদাহ অঞ্চলে ইসরায়েলি বাহিনী ১৬ বার হামলা করেছে।

সেই আক্রমনের প্রতিশোধ হিসেবে, হুথি গোষ্ঠী স্থানীয় সময় শনিবার (২১ ডিসেম্বর) ভোরে তেল আবিবকে লক্ষ্য করে একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম হারেৎজ অনুসারে, হামলায় ২০ জন সামান্য আহত এবং কয়েক ডজন অ্যাপার্টমেন্টের ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে।

বাংলাদেশের বিভিন্ন অবকাঠামো প্রকল্প থেকে প্রায় ৫৯ হাজার কোটি টাকার আত্মসাতের অভিযোগ তদন্তে শেখ পরিবারের অন্য সদস্যদের সাথে নাম এসেছে ব্রিটিশ রাজনীতিবিদ টিউলিপ সিদ্দিকেরও। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে টিউলিপকে নির্দোষ বলে পূর্ণ সমর্থন দিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্টারমার। বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এ তথ্য জানায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়,  তিনি ইকনোমিক সেক্রেটারি টু দি ট্রেজারি অ্যান্ড সিটি মিনিস্টার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। মূলত, তার কাজ হচ্ছে যুক্তরাজ্যের অর্থবাজারের ভেতরের দুর্নীতি সামাল দেয়া। তবে, বাংলাদেশের বিভিন্ন অবকাঠামো প্রকল্প থেকে হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধেই। এসব অভিযোগে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন তিনি।

স্টারমারের মন্ত্রীসভার অন্যতম এক সদস্য  লুইস হাই, যিনি যুক্তরাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী হিসেবে পার্লামেন্টের সদস্য হওয়ার আগেই ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর মন্ত্রিত্ব ছেড়েছেন। সেই কেলেঙ্কারি শেষ হতে না হতেই এবার স্টারমারের মন্ত্রিসভার আরেক সদস্য টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎের অভিযোগ। যুক্তরাজ্যের রক্ষণশীলরা বলছেন, টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ স্টারমারের রাজনৈতিক রায় ও সিদ্ধান্তের নতুন ‘কালদাগ’।

অভিযোগের জবাবে, স্টারমারের অফিসিয়াল মুখপাত্র বলেছেন যে সিদ্দিকের ওপর প্রধানমন্ত্রী পূর্ণ আস্থা রেখেছেন এবং নিশ্চিত করেছেন যে তিনি (টিউলিপ সিদ্দিক) দুর্নীতিবিরোধী সমস্যাগুলি পরিচালনা করতে থাকবেন।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে বাংলাদেশে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে রাশিয়ার সাথে একটি চুক্তিতে মধ্যস্থতা করার সময় প্রকল্পের মোট ব্যয় বাড়িয়ে ধরা হয়েছিলো। মূলত টিউলিপ সিদ্দিকের খালা ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশন যে ব্যাপক তদন্ত শুরু করেছে তারই আওতায় পড়েছেন টিউলিপ সিদ্দিক।

ইউক্রেনকে শায়েস্তা করতে গিয়ে আপাতত মহা সংকটে পড়েছে রাশিয়া। প্রতিবেশী দেশে আক্রমণ চালিয়ে যেতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বন্ধুত্ব করেছেন উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উনের সঙ্গে। আর সেই বন্ধুত্বের খেসারত এখন হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন পুতিন।

যুদ্ধক্ষেত্রে পুতিনের শত্রু ইউক্রেনকে ছেড়ে খোদ রুশ বাহিনীর ওপরেই গুলি চালিয়ে বসেছে কিমের সেনারা। খবর, ইন্ডিয়া টুডে’র।

যুদ্ধক্ষেত্রে গোলা-গুলির এই কান ফাটানো শব্দেই নাকি বিভ্রান্ত হয়ে যায় উত্তর কোরিয়ার সেনারা। রুশ সেনার কমান্ড বুঝতে ভুল করে তারা। ভাষা সমস্যার জেরে তাই বন্ধুকেই ‘শত্রু’ ভেবে এলোপাতাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে কিমের সেনারা। এতেই প্রাণ হারান রাশিয়ার ৮ সেনা।

প্রতি বছরই বিশ্বের একাধিক দেশে উত্তর কোরিয়ার বাসিন্দাদের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের জন্য পাঠিয়ে থাকে কিম সরকার। পুতিনের কূটনৈতিক সফরের পরই রাশিয়াকেও যুদ্ধে মদদ জোগানোর উদ্দেশ্যে গত অক্টোবর মাসে দেশটিতে কমপক্ষে ১০ হাজার সেনা পাঠান কিম।

‘শত্রুপক্ষে’র বিরুদ্ধে একসঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করার কথা ছিল উত্তর কোরিয় সেনাদের। কিন্তু তাদের হাতেই কিনা সেনা হারাতে হলো রুশ বাহিনীকে।

উল্লেখ্য, ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধপরিস্থিতির মাঝে কিমের সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর হয় পুতিনের। চলতি বছরেই কূটনৈতিক রসায়নকে নতুন মোড়ে এনে দাঁড় করিয়ে উত্তর কোরিয়া গিয়েছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট। কিমের সঙ্গে আলোচনা হয় দুই দেশের নিরাপত্তা ও সামরিক বাহিনী নিয়ে।

ইয়েমেনের রাজধানী সানা এবং একটি বন্দর শহরে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে এখন পর্যন্ত অন্তত ৯ জন নিহত হয়েছে। ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুতি নিয়ন্ত্রিত মিডিয়ার বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) সকালে পশ্চিমাঞ্চলীয় উপকূলীয় উপত্যকা এবং ইয়েমেনের গভীরে হুতি যোদ্ধাদের সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে।

এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি বাহিনী বলেছে, যেসব স্থাপনায় হামলা চালানো হয়েছে সেগুলো হুতি বাহিনী সামরিক অভিযানের জন্য ব্যবহার করতো।

ইয়েমেন নিয়ন্ত্রিত আল মাসিরাহ টিভি বলছে, ইসরায়েলি হামলায় আস-সালিফে সাতজন নিহত হয়েছে। এ ছাড়া বাকি দুইজন রাস ইসা তেল স্থাপনায় নিহত হয়েছে।

আল মাসিরাহ আরও জানিয়েছে, বন্দর শহর লক্ষ্য করে শত্রুরা চারটি অভিযান চালিয়েছে এবং তেল স্থাপনা লক্ষ্য করে দুইটি অভিযান চালিয়েছে। এ ছাড়া রাজধানী সানায় দুইটি কেন্দ্রীয় জ্বালানি স্থাপনা লক্ষ্য করে আক্রমণাত্বক অভিযান চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।

ইয়েমেনের সাবা নিউজ এজেন্সি বলছে, হোদেইদাহে চারটি অভিযান চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এর মধ্যে রাস ইসা তেল স্থাপনায় দুইটি হামলা করে ইসরায়েল। এতে তেল স্থাপনা কোম্পানির কর্মীরা হতাহত হয়েছে।

এদিকে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, তার বাহিনী হুতিদের সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। এসবের মধ্যে বন্দর এবং জ্বালানি স্থাপনা আছে।

ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে হুতিদের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাবে ইয়েমেনে এসব অভিযান চালানো হয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে

এদিকে, ইসরায়েলের হামলায় গাজায় মোট নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৫ হাজার ৯৭ জনে। আহত হয়েছেন এক লাখ সাত হাজারের বেশি।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও গাজায় বসবাসকারী পাঁচজন ফিলিস্তিনিদের একটি দল মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছেন। অভিযোগ- গাজা ও পশ্চিম তীরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীকে সহায়তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে মিডেল ইস্ট আই এ তথ্য জানায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ডেমোক্রেসি ফর দ্য আরব ওয়ার্ল্ড নাউ-এর সহায়তায় দায়ের করা এই মামলাটি করা হয়েছে লিহি আইনকে কেন্দ্র করে। যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী বিদেশী সামরিক বাহিনীকে অস্ত্র বা সামরিক সহায়তা প্রদান থেকে বিরত রাখে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ৯০-এর দশকে যুক্তরাষ্ট্রের ‘লেহি আইনের’ আওতায় মামলাটি করা হয়েছে। এই আইনে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর বিচারবহির্ভূত হত্যা এবং নির্যাতনের মতো গুরুতর মানবিক লঙ্ঘনে জড়িত বিদেশী সামরিক ইউনিটগুলোতে সহায়তা নিষিদ্ধ করে। কিন্তু গাজার ক্ষেত্রে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর লেহি আইন বাস্তবায়নে ব্যর্থ বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

বাদীদের পাশাপাশি মামলার সমর্থনকারী বেশ কয়েকজন প্রাক্তন পররাষ্ট্র দফতরের কর্মকর্তাদের মতে, অভিযোগে বর্ণনা করা হয়েছে, বাইডেন প্রশাসন ইসরায়েলকে মানবাধিকার লঙ্ঘনের নীতি উপেক্ষা করে গাজায় আক্রমণ করতে সাহায্য করেছে। এই কাজে বাইডেন প্রশাসনের সাথে আরও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জড়িত রয়েছে। এছাড়াও আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে, মানবাধিকার লঙ্ঘন করলে ওয়াশিংটনের কাছ থেকে সহায়তা স্থগিত হয়ে যাবে। এ বিষয়টি মাথায় রেখে আইনটিতে ফাঁকফোঁকর তৈরি করেছিলো। যাতে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ইসরায়েলকে বিনা বাধায় সামরিক সাহায্য দেয়া যায়।

এমনই একটি ফাঁক হল পররাষ্ট্র দফতরের ‘ইসরায়েল লিহি ভেটিং ফোরাম’ প্রতিষ্ঠা। মামলায় বলা হয়েছে যে “ইসরায়েলি সামরিক ইউনিটগুলোর গাজায় আক্রমণ করে মানবাধিকারের যে গুরুতর লঙ্ঘন করেছে, তা বাধাগ্রস্ত করার জন্যই এই ডিজাইন করা হয়েছে।

গত অক্টোবরে, পদত্যাগকারী স্টেট ডিপার্টমেন্টের প্রাক্তন কর্মকর্তা জশ পল স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) মামলাটি সম্পর্কে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “আমি ইসরায়েল লিহি ভেটিং ফোরামের অংশ হিসেবে অনেক কিছু খুবই কাছ থেকে দেখেছি। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী গুরুত্বর মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে যেনেও রাজনৈতিক পরিণতির ভয়ে অনেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে অনিচ্ছুক ছিলেন।”

মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, গত এপ্রিল মাসে, মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর পাঁচটি ইসরায়েলি নিরাপত্তা ইউনিট গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন করার বিষয়টি নির্ধারণ নিশ্চিত করে।

তবে ওয়াশিংটন নির্ধারণ করে যে তাদের মধ্যে চারটি ইউনিট মানবাধিকার লঙ্ঘন করেনি এবং এখনও মার্কিন নিরাপত্তা সহায়তা পেতে পারে। অন্যদিকে পঞ্চম ইউনিটের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে ইসরায়েল সরকারের সাথে স্টেট ডিপার্টমেন্ট যোগাযোগ করবে।

সেন্টার ফর কনস্টিটিউশনাল রাইটস (সিসিআর)-এর সহায়তায় দায়ের করা এই মামলাটি ক্যালিফোর্নিয়ার একটি ফেডারেল আদালত খারিজ করে দেয়। তবে, আরেকটি আপিল আদালতের তিন বিচারকের প্যানেল খারিজকে পুনর্বিবেচনায় নিয়েছে। সব মিলিয়ে, মামলাটি আবার দেখার জন্য ১১ বিচারকের প্যানেলের প্রয়োজন হবে।

নানা নাটকীয়তার পর অবশেষে পার্লামেন্টের ভোটাভুটিতে অভিশংসিত হলেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সামরিক আইন জারির জন্য দ্বিতীয়বারের মতো অভিশংসন মুখোমুখি হন তিনি। খবর রয়টার্স।

অভিশংসনের পক্ষে সমর্থন দেন পার্লামেন্টের দুই-তৃতীয়াংশ এমপি। যার মধ্যে ক্ষমতাসীন দলের এমপিরাও ছিলেন। প্রস্তাবের পক্ষে রায় দেন ২০৮ এমপি আর বিপক্ষে ছিলেন ৮৪ জন।

এর আগে গত ৭ ডিসেম্বর অভিশংসনের জন্য ভোটাভুটি হয় দক্ষিণ কোরিয়ার পার্লামেন্টে। তবে ইওলের ক্ষমতাসীন দলের এমপিরা তা বয়কট করায় প্রস্তাবটি বাতিল হয়ে যায়।

এর ফলে, দেশটিতে দেখা দেয় চরম রাজনৈতিক সংকট এবং অস্থিরতা। ইওলের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে ওঠে দক্ষিণ কোরিয়া।

এদিকে, দেশটির সাংবিধানিক নিয়মানুযায়ী ১৮০ দিনের মধ্যে অভিশংসিত প্রেসিডেন্টকে পদচ্যুতির বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।

সম্পাদক ও প্রকাশক : মঈনুদ্দিন কাজল
deshermatidaily@gmail.com
০১৬১৫১১২২৬৬, ০১৬৭৩৫৬২৭১৬

দেশের মাটি কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।