বিশ্ব

ভারতশাসিত কাশ্মিরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। একইসঙ্গে এ ঘটনায় প্রাণহানিতে গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে এই বার্তা দেয়া হয়। এছাড়া, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও এক বিবৃতিতে এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।

কাশ্মিরের এ ঘটনায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ মোদিকে দেয়া বার্তায় অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, কাশ্মিরের পেহেলগামে সংঘটিত সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণহানির জন্য আমার গভীর সমবেদনা গ্রহণ করুন। আমরা এই নৃশংসতার তীব্র নিন্দা জানাই। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের দৃঢ় অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করছি।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ বরাবরের মতোই সন্ত্রাস ও সহিংসতার বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে এবং বিশ্বব্যাপী শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে অঙ্গীকারবদ্ধ। বাংলাদেশ সরকার নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা ও আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ যেকোনও ধরনের সন্ত্রাসবাদ এবং চরমপন্থার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ অবস্থান বজায় রাখবে।

এই হামলার পেছনের দোষীদের দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ।

উল্লেখ্য, গতকাল মঙ্গলবারের এ হামলায় এখন পর্যন্ত ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই পর্যটক।

হংকংয়ে হয়ে গেলো এশিয়া কালচারাল কো-অপারেশন ফোরামের আয়োজন। ‘কানেক্ট, ক্রিয়েট, এনগেজ: ব্রিজিং কালচার্স ফর অল’ প্রতিপাদ্যে আয়োজিত ফোরামের মূল আকর্ষণ ছিল ২২ এপ্রিলের মন্ত্রী পর্যায়ের প্যানেল আলোচনা। এতে অংশ নেন ১৭টি দেশের সংস্কৃতিমন্ত্রী ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। তারা সাংস্কৃতিক উন্নয়ন নিয়ে মতবিনিময় করেন।

বাংলাদেশের সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী প্যানেলে ‘সংস্কৃতিক জটিলতা নিরসনে সহমর্মিতা ও অন্তর্ভুক্তির’ ওপর বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, জুলাইয়ের গণজাগরণ তরুণ প্রজন্ম, বিশেষত নারীদের নেতৃত্বে নতুন ইতিহাস রচনা করেছে। তিনি জানান, এই পরিবর্তনের ধারায় বাংলাদেশে এবার প্রথমবারের মতো সব জাতিগোষ্ঠী একসঙ্গে নববর্ষ উদযাপন করেছে।

আয়োজনে অতিথিদের সঙ্গে উপদেষ্টা ফারুকী

পরে হংকংয়ের সংস্কৃতি, ক্রীড়া ও পর্যটনমন্ত্রী রোসানা ল-এর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে ফারুকী বলেন, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি এবং হংকংয়ের উপযুক্ত প্রতিষ্ঠানের মধ্যে নিউ মিডিয়া আর্ট শিক্ষা নিয়ে যৌথ উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে। এছাড়া, অ্যাকশন ফিল্ম প্রযোজনায় হংকংয়ের ২৫ শতাংশ কর ছাড়ের সুবিধার কথাও উল্লেখ করেন তিনি।

পাকিস্তানের সংস্কৃতিমন্ত্রী আওরঙ্গজেব খান খিচির সঙ্গে এক বৈঠকে দুই দেশের খ্যাতিমান শিল্পীদের চিত্রকর্ম নিয়ে ভ্রাম্যমাণ প্রদর্শনীর পরিকল্পনা হয়। ফারুকী বীকনহাউস ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির মতো প্রতিষ্ঠানে বাংলাদেশি শিল্পীদের জন্য বৃত্তির আহ্বান জানান।

নেপালের সংস্কৃতি মন্ত্রী বদ্রি পান্ডের সঙ্গে বৈঠকে লুম্বিনিতে বাংলাদেশ নির্মিত বৌদ্ধ মন্দির এবং বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে আসন্ন সাংস্কৃতিক আয়োজন নিয়েও আলোচনা হয়।

২০০৩ সাল থেকে অনুষ্ঠিত হয়ে আসা এই ফোরামে এবার ১৭টি দেশের প্রতিনিধি অংশ নেন। হংকংয়ের ভারপ্রাপ্ত চিফ এক্সিকিউটিভ চ্যান কোয়াক-কি প্রতিনিধিদের সম্মানে গালা ডিনারের আয়োজন করেন।

টানা চার দফা দাম বাড়ানোর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। ৫ হাজার ৩৪২ টাকা কমিয়ে সবচেয়ে ভালোমান বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৭২ হাজার ৫৪৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই ধাতুর নতুন দর নির্ধারণের কথা জানায় বাজুস। যা আজ বিকেল ৪টা ১৫ মিনিট থেকে কার্যকর হবে।

নতুন দাম অনুযায়ী, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৬৪ হাজার ৬৯৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরির দাম ১ লাখ ৪১ হাজার ১৬৯ টাকা। আর সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণ বিক্রি হবে ১ লাখ ১৬ হাজার ৭৮০ টাকা।

এদিকে, আরেক ধাতু রুপার দাম দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ৮৪৬ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৭১৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৩৩৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৭৫০ টাকা।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস চীনের ইউনান প্রদেশের গভর্নর ওয়াং ইউবো-এর সঙ্গে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়েছে। সেখানে বাংলাদেশ-চীন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও গভীর করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন প্রধান উপদেষ্টা।

সোমবার (২১ এপ্রিল) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

চীনের গভর্নরকে স্বাগত জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এটি কেবল শুরু। আমরা এত কাছাকাছি, অথচ এত দূরে। চলুন, এই ব্যবধান ঘুচিয়ে ফেলি। আশা করি আপনি আবারও আমাদের দেশে আসবেন- আমরা শুধু ভালো প্রতিবেশীই নয়, আরও ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী হতে চাই।

চীনে তার সাম্প্রতিক সফরের কথা স্মরণ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এই সফর ছিল দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি মোড় ঘোরানো মুহূর্ত। তিনি চীনের উষ্ণ আতিথেয়তার প্রশংসা করেন এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর সহানুভূতিপূর্ণ বক্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

গভর্নর ইউবো আন্তরিকভাবে সাড়া দিয়ে বলেন, আমার এই সফরের লক্ষ্য হলো দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার করা। ইউনান প্রদেশ দক্ষিণ এশিয়ার জন্য চীনের উন্মুক্ত হাব হিসেবে কাজ করতে প্রস্তুত। বৈঠকে উভয় পক্ষ যুব বিনিময়, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা এবং বাণিজ্যসহ বিভিন্ন সহযোগিতামূলক উদ্যোগ নিয়ে আলোচনা করেন।

গভর্নর জানান, ইউনান প্রদেশের একটি চীনা ব্যাংক ইতোমধ্যে অধ্যাপক ইউনূস প্রবর্তিত ক্ষুদ্রঋণ পদ্ধতি গ্রহণ করেছে। চীনের বহু মানুষ এই পদ্ধতির সুফল ভোগ করছেন। এই প্রসঙ্গে তিনি দুই দেশের মধ্যে সামাজিক লক্ষ্যগুলোর মিল থাকার কথাও উল্লেখ করেন।

তিনি পেশাগত প্রশিক্ষণ, ডিজিটাল ও ভাষা শিক্ষা এবং সামুদ্রিক খাবার, আম ও কৃষিপণ্যসহ বিভিন্ন খাতে বাণিজ্য বৃদ্ধির প্রস্তাব দেন। বলেন, আমাদের জনগণের মধ্যে সম্পর্ক আরও জোরদার করতে হবে এবং আমাদের অঞ্চলগুলোকে আরও কাছাকাছি আনতে হবে।

প্রধান উপদেষ্টা গভর্নরের সব প্রস্তাবে সম্মতি জানান। আপনি যা যা বললেন-স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বাণিজ্য ও প্রশিক্ষণ সব কিছুতেই আমরা একমত। আমরা এগুলো আগের চেয়ে দ্রুত বাস্তবায়ন করতে চাই। আমরা ঘনিষ্ঠ অংশীদার এবং প্রকৃত বন্ধু হতে চাই।

বৈঠকে স্বাস্থ্য খাতকে বিশেষ অগ্রাধিকার দেয়া হয়। প্রধান উপদেষ্টা জানান, বাংলাদেশি রোগীদের জন্য চীনের কুনমিং-এ চারটি হাসপাতাল নির্ধারণসহ চিকিৎসা পর্যটন চালু করতে চীনের সহযোগিতা নতুন এক অধ্যায় তৈরি করেছে। এই সহযোগিতা আমাদের অংশীদারত্বের এক নতুন সূচনা।

উভয় পক্ষ শিক্ষাক্ষেত্রে বিনিময় কার্যক্রম সম্প্রসারণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। বর্তমানে প্রায় ৪০০ বাংলাদেশি শিক্ষার্থী চীনে অধ্যয়ন করছেন। এই সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমরা আরও বেশি শিক্ষার্থীকে চীনে পাঠাবো এবং চীনা ভাষা শিক্ষায় উৎসাহিত করবো।

দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তিতে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ চীনের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে আগ্রহী, যাতে দুই দেশ একযোগে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারে এবং উন্নতির নতুন সম্ভাবনা উন্মোচন করতে পারে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভান্স চার দিনের সফরে ভারত পৌঁছেছেন। সোমবার (২১ এপ্রিল) সকালে ভ্যান্স দিল্লি পৌঁছান। তার সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী ঊষা চিলুকুরি, তাদের তিন সন্তান এবং যুক্তরাষ্ট্র সরকারের এক প্রতিনিধি দল। যার মধ্যে দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের (এনএসসি) সিনিয়র ডিরেক্টর রিকি গিলও রয়েছেন।

দ্য হিন্দু‘র প্রতিবেদন অনুযায়ী, দিল্লি বিমানবন্দরে তাকে আনুষ্ঠানিক গার্ড অফ অনার প্রদান করা হয়। আজ সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাসভবনে নৈশভোজে তার যোগ দেয়ার কথা রয়েছে। সেখানে দুজনের বৈঠকও অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে মোদির মন্ত্রিসভার সদস্যরাও উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গেছে।

এই বৈঠকের পরই ভারত-যুক্তরাষ্ট্র অংশীদারিত্ব নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ কোনো ঘোষণা আসতে পারে বলে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো দাবি করছে।

উল্লেখ্য, ভারতে সফরের শুরুতেই জে ডি ভ্যান্স পরিবারসহ দিল্লির অক্ষরধাম মন্দির পরিদর্শন করেন। সেখানে গিয়ে ভ্যান্সের ছেলে-মেয়েরা বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন বলে জানান মন্দিরের মুখপাত্র রাধিকা শুক্লা।

সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে রাধিকা শুক্লা বলেন, তাদের (ভ্যান্সের সন্তান) হাতে একটি স্মারক তুলে দেওয়া হয়েছে, যাতে এই স্মরণীয় মুহূর্ত চিরকাল মনে রাখে। অক্ষরধামে দর্শনের সময় তিনি (ভ্যান্স) এখানকার শিল্পকর্ম, উপদেশমূলক বার্তা এবং সাংস্কৃতিক খোদাই খুব পছন্দ করেন।

জয়পুরে মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) ভ্যান্সের একটি ভাষণ দেওয়ার কথা রয়েছে। যেখানে ভারত-যুক্তরাষ্ট্র দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে দিকনির্দেশনা দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

বার্তা আদান-প্রদানের অ্যাপ ‘সিগন্যাল’। এই অ্যাপে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের হামলার ‘অতি গোপনীয়’ তথ্য প্রকাশ করেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ। সোমবার (২১ এপ্রিল) ইউএস সংবাদমাধ্যম সিএনএন নিউজ এ তথ্য জানায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতিরক্ষামন্ত্রী হেগসেথের স্ত্রী, ভাই ও ব্যক্তিগত আইনজীবী ওই গ্রুপে যুক্ত ছিলেন। গত ১৫ মার্চ, ইয়েমেনে হুতিদের ঘাঁটি লক্ষ্য করে যুক্তরাষ্ট্র যে হামলা চালিয়েছিল, তার তথ্য আগেই তিনি তার স্ত্রী এবং বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করেছিলেন।

এর আগেও হেগসেথের একটি ভুলে ইয়েমেনে হামলার ছক ফাঁস হয়ে গিয়েছিল বিভিন্ন গণমাধ্যমে। অভিযোগ, হোয়াইট হাউসের ‘গ্রুপ চ্যাটে’ তিনি ভুল করে এক সাংবাদিককে যোগ করেছিলেন।

ফলে ইয়েমেনে হামলা সংক্রান্ত কর্তাদের যাবতীয় আলোচনা ওই সাংবাদিক আগে থেকেই জেনে যান। সেই খবর প্রকাশ্যে আসার পর অবশ্য প্রতিরক্ষামন্ত্রীর পাশেই দাঁড়িয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। কিন্তু দ্বিতীয়বার একই অভিযোগ উঠল হেগসেথের বিরুদ্ধে। 

সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমসের দাবি, যে সময়ে সাংবাদিককে গ্রুপে যোগ করেছিলেন হেগসেথ, প্রায় একই সময়ে তিনি স্ত্রী, বন্ধুদের সঙ্গেও মার্কিন সরকারের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেন। এর ফলে, ট্রাম্প প্রশাসনের গোপনীয়তা এবং কর্তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, নিজের ব্যক্তিগত ফোনে একটি কথোপকথনের অ্যাপে গ্রুপ খুলেছিলেন হেগসেথ। তাতে সদস্য হিসেবে ছিলেন তার স্ত্রী, ভাই, এক আইনজীবী বন্ধু এবং ঘনিষ্ঠ আরও কয়েকজন। দফতরের কাজে গোপনীয়তা রক্ষার জন্য হোয়াইট হাউস থেকে কর্তাদের আলাদা মোবাইল দেয়া হয়। স্ত্রী ও বন্ধুর সঙ্গে আলোচনার সময় সেই ফোন ব্যবহার করেননি হেগসেথ।

অভিযোগ রয়েছে, কীভাবে-কখন-কোন বিমান ইয়েমেনে হুতি ঘাঁটি লক্ষ্য করে গোলাবর্ষণ করবে, তা বিশদে আলোচনা করা হয়েছিল ওই ব্যক্তিগত ‘চ্যাটে’।

হেগসেথের সেই ‘গ্রুপ’-এর নাম ‘ডিফেন্স টিম হাডল’। অন্তত ১২ জন সদস্য রয়েছেন তাতে। হেগসেথের স্ত্রী ফক্স নিউজের প্রাক্তন প্রযোজক। অভিযোগ, সামরিক ক্ষেত্রের একাধিক গোপন এবং গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে তিনিও হেগসেথের সঙ্গে ছিলেন।

বাংলাদেশে রেলওয়ে সংযোগ প্রকল্পে প্রায় ৫ হাজার কোটি রুপির অর্থায়ন ও নির্মাণ কাজ স্থগিত করেছে ভারত। ‘শ্রমিকদের নিরাপত্তা’ এবং ‘রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার’ কারণ দেখিয়ে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে রোববার (২০ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম, দ্য হিন্দু।

এতে তিনটি চলমান প্রকল্পের কাজের পাশাপাশি পাঁচটি আলাদা জায়গায় জরিপের কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। সংশ্লিষ্ট কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে, এরমাধ্যমে বাংলাদেশের রেলপথের মাধ্যমে ভারতের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে তাদের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোকে (সেভেন সিস্টার্স) যুক্ত করার পরিকল্পনায় বিঘ্ন ঘটেছে।

বাংলাদেশে নিজেদের রেল নেটওয়ার্ক তৈরির বদলে এখন নয়াদিল্লি এই অর্থ দিয়ে উত্তর ভারতের রেলপথ অবকাঠামোকে উন্নত করছে। এছাড়া বাংলাদেশকে এড়িয়ে নেপাল ও ভুটানের মাধ্যমে মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে সেভেন সিস্টার্সকে যুক্ত করার ব্যাপারে ভাবছে দেশটি। একটি সূত্র জানিয়েছে, নেপাল ও ভুটানের মাধ্যমে সাড়ে ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার কোটি রুপির সংযোগ প্রকল্পের বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা হচ্ছে।

দ্য হিন্দু জানিয়েছে, স্থগিত করা এ প্রকল্পগুলো ভারতের ‘স্থলবেষ্টিত’ উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোকে বাংলাদেশের মাধ্যমে যুক্ত করার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এই প্রকল্পের পরিকল্পনা ছিল সরু শিলিগুঁড়ি করিডরের (চিকেন নেক করিডর) ওপর থেকে নির্ভরশীলতা কমানো। যেটি ভারতের মূল ভূখণ্ড থেকে উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোকে যুক্ত করার একমাত্র পথ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘এ মুহূর্তে বাংলাদেশে কোনো নির্মাণ বা অন্য উপকরণ আমরা পাঠাচ্ছি না। প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সংযোগ রুটের অর্থায়ন বন্ধ আছে। (প্রকল্প পুনরায় শুরু করতে) প্রথমে বাংলাদেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রয়োজন। তবে পরিকল্পনা অনুযায়ী ভারত অংশে প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে।’

২০২৪ সালে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের বাণিজ্যিক সম্পর্কের মূল্য ছিল ১২ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ ভারতের আঞ্চলিক অর্থনৈতিক সম্পর্কের ভিত্তি। এছাড়া দক্ষিণ এশিয়ায় ঢাকা নয়াদিল্লির সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার।

স্থবির হয়েছে যেসব প্রকল্প
ভারতের সহযোগিতায় নির্মাণাধীন তিনটি প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে আখাউড়া-আগরতলা ক্রস-বর্ডার রেল সংযোগ এবং খুলাবুড়া-শাহবাজপুর রেললাইন, খুলনা-মোংলা বন্দর রেললাইন এবং ঢাকা-টঙ্গি-জয়দেবপুর রেললাইন সম্প্রসারণ প্রকল্প।

আখাউড়া-আগরতলা (ত্রিপুরা) ক্রস-বর্ডার রেল সংযোগ প্রকল্প ভারত সরকারের ৪০০ কোটি রুপি সহায়তায় করা হচ্ছিল। এই রেল সংযোগের দৈর্ঘ্য ১২ দশমিক ২৪ কিলোমিটার। যার ৬ দশমিক ৭৮ কিলোমিটার ডুয়েল গেজ রেললাইন বাংলাদেশে। আর ত্রিপুরায় ৫ দশমিক ৪৬ কিলোমিটার। খুলাবুড়া-শাহজাদপুর রেললাইন এই প্রকল্পের অংশ। এটির লক্ষ্য ছিল নতুন রেললাইন নির্মাণ ও পুরোনো লাইনের মাধ্যমে আসামের সঙ্গে সংযোগ উন্নত করা।

অপরদিকে, খুলনা-মোংলা বন্দর রেললাইন প্রকল্পের কাজ চলছিল কনসেশনাল লাইন অব ক্রেডিটের মাধ্যমে। এই প্রকল্পের খরচ ৩ হাজার ৩০০ কোটি রুপি। এটির মাধ্যমে মোংলা বন্দর ও খুলনার মধ্যে ৬৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ব্রড গেজ রেললাইন নির্মাণ করা হচ্ছিল। এরমাধ্যমে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহৎ মোংলা বন্দর ব্রডগেজ রেললাইনের আওতায় আসবে। এই বন্দরের একটি টার্মিনাল পরিচালনার অধিকার রয়েছে ভারতের।

অপরদিকে ঢাকা-টঙ্গি-জয়দেবপুর রেললাইন সম্প্রসারণ প্রকল্পের কাজ ২০২৭ সালে শেষ হওয়ার কথা আছে। তবে বিলম্বিত এ প্রকল্পের কাজটি গত বছর পর্যন্ত মাত্র ৫০ শতাংশ শেষ হয়েছে। ১ হাজার ৬০০ কোটি রুপির এ প্রকল্পের কাজটি করা হচ্ছে ভারতীয় এক্সিম ব্যাংকের সহায়তায়। তবে এক্ষেত্রে অর্থ ছাড়ে কিছু ঝামেলা দেখা গেছে বলে জানিয়েছে প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু।

আর পাঁচটি আলাদা জায়গায় যে স্থান জরিপের কাজ চলছে সেগুলোর কাজও স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে অপর একটি সূত্র।

বিকল্প আঞ্চলিক কৌশল
(পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে) ভারত তার অভ্যন্তরীণ ও বিকল্প আঞ্চলিক কৌশল পরিবর্তন করছে বলে জানিয়েছে দ্য হিন্দু।

এর অংশ হিসেব ভারত সরকার উত্তর প্রদেশ এবং বিহারে রেললাইন দ্বিগুণ থেকে চারগুণ করার সম্ভাব্যতা যাচাই করছে। এরমাধ্যমে নিজেদের নির্ভরতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধির পরিকল্পনা করা হচ্ছে। সেখানে এখন জরিপ কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন রেলওয়ের এক কর্মকর্তা।

একইসঙ্গে, ভারত ভুটান ও নেপালের মধ্যে রেললাইন নির্মাণের সম্ভাব্যতা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে। যদিও লজিস্টিক্যালি এ রুটগুলো খুবই জটিল হবে। কিন্তু এগুলোর মাধ্যমে বাংলাদেশের ওপর থেকে নির্ভরশীলতা কমাতে পারবে ভারত।

উদাহরণ স্বরূপ, ভারত ও নেপালের মধ্যে রেললাইন সংযোগ স্থাপনের আগের যে পরিকল্পনাটি আছে সেটি নিয়ে ভাবা হচ্ছে। যারমধ্যে রয়েছে বিরাটনগর-নিউ মালের মধ্যে ১৯০ কিলোমিটার এবং কাজালিবাজার সেকশনেরর গালগালিয়া-ভদ্রপুর পর্যন্ত নতুন রেললাইন নির্মাণ।

অপরদিকে পশ্চিমবঙ্গে (শিলিগুঁড়ি করিডরের মধ্যে সংযোগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে) কুমেডপুর-আম্বারি ফালাকাতা অংশে ১৭০ কিলোমিটার নতুন লাইন। পরিকল্পনা অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গ ও বিহারের মধ্যে সংযোগ বৃদ্ধি করতে স্থাপন করা হবে আরও ২৫ কিলোমিটার নতুন লাইন।

যুক্তরাষ্ট্রের হুমকির মুখে ইরান আলোচনায় বসবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেছেন, ‘আপনার যা খুশি তাই করুন।’ স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১১ মার্চ) ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

পেজেশকিয়ান বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র যেসব হুকুম ও হুমকি দিচ্ছে, তা ইরানের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। আমি আপনার (ট্রাম্প) সঙ্গে আলোচনায় বসবো না। আপনার যা খুশি তাই করুন।’ 

এর আগে, স্থানীয় সময় শনিবার (৮ মার্চ) ইরানের নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেন, তেহরানকে কোনো হুমকি দিয়ে আলোচনায় আনা যাবে না। এই ঘোষণার ঠিক এক দিন আগে ট্রাম্প বলেন, তিনি ইরানকে নতুন পারমাণবিক চুক্তির বিষয়ে আলোচনায় অংশ নেয়ার আহ্বান জানিয়ে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন।

ফক্স বিজনেসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প আরও বলেন, ইরানকে সামলানোর দুটি উপায় আছে, সামরিকভাবে অথবা পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন থেকে তাদের বিরত রাখার জন্য একটি চুক্তি করার মধ্য দিয়ে।

কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন মার্ক কার্নি। শিগগিরই প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর স্থলাভিষিক্ত হবেন তিনি।

রোববার লিবারেল পার্টির ভোটাভুটিতে বাছাই করা হয় নতুন নেতা। দলীয় সদস্যদের ভোটে তিন প্রতিদ্বন্দ্বীর বিরুদ্ধে একচেটিয়া জয় পান ব্যাংক অব কানাডার সাবেক গভর্নর কার্নি। ১ লাখ ৩১ হাজার ৬৭৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন তিনি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিস্টিনা ফ্রিল্যান্ড পেয়েছেন মাত্র ১১ হাজার ১৩৪ ভোট।

আগামী অক্টোবরের জাতীয় নির্বাচনে দলকে নেতৃত্ব দেবেন কার্নি। লিবারেল পার্টির নতুন নেতা হিসেবে নির্বাচিত হয়েই যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করেন কার্নি। বলেন, প্রতিবেশী দেশটিকে আর বিশ্বাস করা যায় না। ৯ বছর দায়িত্ব পালনের পর, রাজনৈতিক চাপের জেরে গত জানুয়ারিতে পদত্যাগের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।

দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট হয়েই কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্য হিসেবে অভিহিত করে কটাক্ষ করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকে ‘গভর্নর ট্রুডো’ হিসেবে ডেকেছেন তিনি।

বাংলাদেশের সঙ্গে সামরিক কূটনীতি বাড়াতে চায় সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক। সম্প্রতি দেশটিতে সফরে গেলে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের কাছে এমন আগ্রহ প্রকাশ করেন সিএআর প্রেসিডেন্ট ফাস্টিন-আর্চেঞ্জ তোয়াদেরা। সংঘাতময় এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ অবদানের পাশাপাশি দেশটির সেনাবাহিনীর দক্ষতা বাড়াতেও কাজ করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।

আফ্রিকার এই দেশটিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নির্মাণ করেছে একটি কমিউনিটি ক্লিনিক। তাদের তত্ত্বাবধানে ক্লিনিকটির চিকিৎসকদের দেয়া হচ্ছে প্রশিক্ষণও। যেদিন হাসপাতালটির উদ্বোধন করা হয়, সেখানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের সেনাপ্রধান ও দেশটির প্রেসিডেন্ট। সাধারণ মানুষের উচ্ছ্বাসও ছিল চোখে পড়ার মতো।

সফরে সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের প্রেসিডেন্ট ফাস্টিন-আর্চেঞ্জ তোয়াদেরার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন সেনাপ্রধান। এসময় বাংলাদেশের সাথে সামরিক কূটনীতি বাড়াতে আগ্রহ প্রকাশ করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কাছ থেকে পাওয়া সহায়তা অবশ্যই আমাদের সেনাবাহিনীর জন্য কার্যকর ভূমিকা রাখবে। আমরা বাংলাদেশের সাথে সামরিক কূটনীতি বাড়াতে আগ্রহী। সেনাপ্রধান আমাকে বাংলাদেশ ভ্রমণের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। আমি বিশ্বাস করি দ্বিপাক্ষিক আলোচনা ইতিবাচক ও ফলপ্রসূ বিষয় নিয়ে আসবে।

সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানও দেশটিতে সহযোগিতার মাত্রা চলমান থাকবে বলে আশ্বস্ত করেন।

দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান জেনারেল মামাদু জেফিরিনের সঙ্গেও দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন বাংলাদেশের সেনাপ্রধান। এসময় তারা পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করেন। বাংলাদেশের কাছ থেকে কৌশল বিনিময়, সেনাসদস্যদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহযোগিতায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।

জেনারেল মামাদু জেফিরিন বলেন, নানা ধরনের সংঘাতময় পরিস্থিতির সাথে আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতি নিয়ে আমাদের দেশটি অনেক চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এমন অবস্থায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আমাদের দক্ষতা বৃদ্ধি ও মানোন্নয়নে কাজ করছে। আমরা সত্যিই আপ্লুত। দারুন সমন্বয় আর আন্তরিকতায় আমি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কাছে কৃতজ্ঞ।

সম্পাদক ও প্রকাশক : মঈনুদ্দিন কাজল
deshermatidaily@gmail.com
০১৬১৫১১২২৬৬, ০১৬৭৩৫৬২৭১৬

দেশের মাটি কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।