বিশ্ব

চলতি মাসের নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভূমি ধস জয়ের পর যুক্তরাষ্ট্র পড়তে যাচ্ছে নতুন এক আন্দোলনের কবলে। এই আন্দোলনের নাম ‘ফোর বি’। এতে নারীরা তাদের পুরুষ সঙ্গীর সাথে ডেট, বিয়ে, সেক্স কিংবা সন্তান জন্মদান থেকে বিরত থাকবেন বলে জানাচ্ছেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ নিয়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক আলোচনা। এই ‘ফোর বি’ আন্দোলনের সূত্রপাত দক্ষিণ কোরিয়াতে হলেও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের জয়ের পর তা ছড়িয়ে পরছে মার্কিন নারীদের ভেতরেও। কারণ হিসেবে তারা ডোনাল্ড ট্রাম্পের অতি রক্ষণশীলতাকে দুষছেন।

২০২২ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টের দেয়া এক আদেশে নারীরা তাদের গর্ভপাতের স্বাধীনতা হারান। এই রায়ের পর শুরু হয় ব্যাপক হট্টগোল। সে সময় ডোনাল্ড ট্রাম্প এই রায়ের কৃতিত্ব দাবি করেছিলেন। সর্বোচ্চ আদালতে পছন্দের তিন রক্ষণশীল বিচারপতি নিয়োগ দেয়ায় এমন রায় পাওয়া সম্ভব হয়েছিল তার।

তবে হোয়াইট হাউজে ট্রাম্প পুনরায় ফিরে আসায় মার্কিন নারীরা তাদের স্বাধীনতা হারানোর শঙ্কা থেকেই এমন আন্দোলনের ঘোষণা দিচ্ছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এ নিয়ে বহু নেটিজেন দিচ্ছেন তাদের মতামত।

এ ব্যাপারে এক্সে (সাবেক টুইটার) এক নারী লেখেন, গত রাতে আমি আমার রিপাবলিকান বয়ফেন্ডের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করেছি এবং অফিশিয়ালি ‘ফোর বি’ আন্দোলনে যোগ দিচ্ছি।

আরেক নারী লেখেন, মেয়েরা আমরা দক্ষিণ কোরিয়ার মতো যুক্তরাষ্ট্রেও জন্মহার কমিয়ে দিতে পারি। আমরা এই পুরুষদের শেষ হাসি হাসতে দিতে পারি না। আমাদের পাল্টা আক্রমণ করতে হবে।

গাজায় কৌশলগত লক্ষ্য অর্জন হয়েছে ইসরায়েলের, তাই এখনই সময় যুদ্ধ বন্ধ করার। এমন মন্তব্য করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন।

বুধবার (১৩ নভেম্বর) ব্রাসেলসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ব্লিনকেন বলেন, গাজার সাধারণ মানুষের স্বার্থে সব ধরণের সংঘাত বন্ধ হওয়া দরকার। যাতে বাসিন্দাদের কাছে প্রয়োজনীয় সহায়তা পৌঁছায়। পরিস্থিতি খুবই জটিল। সবচেয়ে ভালো উপায় হলো যুদ্ধ বন্ধ করা। ইসরায়েল যে লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিল, পূরণ হয়েছে। তারা চেয়েছিল ৭ অক্টোবরের মতো ঘটনা ঠেকাতে হামাসের সক্ষমতা ভেঙে দিতে। আর তা হয়েছে। তাই এটাই যুদ্ধ বন্ধের সময়। হামাসের সামরিক সক্ষমতা ধ্বংসের যে লক্ষ্য তেলআবিবের ছিল সেটিও পূরণ হয়েছে। তাই সংঘাতের অবসান হওয়া জরুরি।

তিনি আরও বলেন, হামাস-ইসরায়েল সংঘাতের কারণে ক্রসফায়ারে পড়েছে সাধারণ ফিলিস্তিনিরা। গাজায় মানবিক সহায়তার পাশাপাশি পণ্যবাহী বাণিজ্যিক ট্রাক প্রবেশ জরুরি বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

যদিও ব্লিনকেনের এমন মন্তব্য নেতানিয়াহু প্রশাসনের কর্মকাণ্ডে তেমন প্রভাব ফেলবে না বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

২২ গজে ভারত-পাকিস্তান দ্বৈরথ আইসিসির স্বস্তির কারণ হলেও এই দু’দলের মাঠের বাইরের দ্বন্দ্ব রীতিমতো গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির কাছে। অনেকটা শ্যাম রাখি না কুল রাখি অবস্থান আইসিসির জন্য। আর সেটি আরও প্রকট হয়েছে আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে। পাকিস্তানে খেলতে যাবে না ভারত, এমন সিদ্ধান্ত স্পষ্ট হওয়ার পর এবার কঠোর অবস্থানে যাওয়ার হুঁশিয়ারি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের।

পাকিস্তানি গণমাধ্যম ডেইলি টাইমস জানিয়েছে, ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ আয়োজনে আইসিসি ব্যর্থ হলে সব ধরণের চুক্তি থেকে বের হয়ে যাওয়ার হুমকি আছে সম্প্রচার ও পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠানগুলোর।

ভারতের এমন সিদ্ধন্তের বিপরীতে বিকল্প হাইব্রিড মডেলেও সায় মেলেনি পিসিবির। শেষ পর্যন্ত ভারত যদি তাদের সিদ্ধান্তে স্থির থাকে, তবে ভবিষ্যতে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ বয়কটের বিবেচনাও করছে তারা। আর তাতে সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়বে আইসিসি।

এক্ষেত্রে কারণটাও অজানা নয়। ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ না হলে বৈশ্বিক ইভেন্টে আগ্রহ হারাবে দর্শক। আর্থিক ক্ষতি বিবেচনায় মুখ ফিরিয়ে নিতে পারে সম্প্রচারকারী ও পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান। তাতে বড় অঙ্কের রাজস্ব হারাবে আইসিসি। কারণ এই দুই খাত থেকে সংস্থাটির আয় সবচেয়ে বেশি। ২০২৪ থেকে ২০২৭ চক্রে সম্প্রচারস্বত্ব থেকে আয় হবে ৩.২ বিলিয়ন ডলার। আর পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য খাত থেকে আয় হবে আরও ১ বিলিয়ন ডলার।

বড় এই আয়ের উৎস নি:সন্দেহে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ। এটি নিশ্চিত করতে আইসিসির সব ইভেন্টে এখন একই গ্রুপে রাখা হয় চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী এই দুই দেশকে যাতে নিশ্চিতভাবে টুর্নামেন্টে তাদের এটি ম্যাচ হয়।

সবশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপে শুধুমাত্র ভারতীয় টিভি চ্যানেলে দু’দলের হাইভোল্টেজ ম্যাচ দেখেছেন প্রায় সাড়ে ১৭ কোটি দর্শক। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে সেই অঙ্ক ছিলো সাড়ে ২২ কোটি। ২০২১ টি-বিশ্বকাপেও ছিলো একই চিত্র। সেবার ভারতের ১৬৭ মিলিয়ন দর্শক ১৫.৯ বিলিয়ন মিনিট সময় ব্যয় করেছে সুপার ক্লাসিক এই লড়াই দেখতে।

আগামী সাত বছরে ভারতে অনুষ্ঠিত হবে আইসিসির বড় চার ইভেন্ট। যারমধ্যে ২০২৫ সালে নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ, ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, ২০২৯ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ও ২০৩১ ওয়ানডে বিশ্বকাপ। পাকিস্তান সত্যিই যদি তাদের দল ভারতে না পাঠায় তাহলে নি:সন্দেহে জৌলুশ হারাবে এসব আসর। বড় অঙ্কের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বে আইসিসি।

সিরিয়ার দুই অঞ্চলে অন্তত ৯টি লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। স্থানীয় সময় সোমবার (১১ নভেম্বর) দেশটির কেন্দ্রীয় কমান্ড (সেন্টকম) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। এক প্রতিবেদনে সংবাদ সংস্থা এপি এ তথ্য জানায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সিরিয়ায় মার্কিন নাগরিকদের ওপর চালানো কয়েকটি হামলার জবাবে দেশটিতে অবস্থিত ইরান সমর্থিত গোষ্ঠীগুলোর বিভিন্ন ঘাঁটিতে হামলা করা হয়েছে।

মার্কিন সেনাবাহিনী জানিয়েছে, সিরিয়ায় আইএসআইএসের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে তারা। গত অক্টোবর মাসের শেষ সপ্তাহে সিরিয়ায় বিমান হামলায় ৩৫ জন আইএসআইএস সদস্য নিহত হয়েছেন। 

ইসলামিক স্টেট জঙ্গিদের বিরুদ্ধে মিশন পরিচালনায় অংশীদার বাহিনীকে সহায়তা করার জন্য সিরিয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ৯০০ জন সদস্য রয়েছে। গত ফেব্রুয়ারীতে, জর্ডানে একটি ড্রোন হামলায় তিন মার্কিন সেনা সদস্য নিহত হয়। এই আক্রমণের প্রতিক্রিয়া হিসাবে সিরিয়ায় ইরান-সমর্থিত মিলিশিয়া সাইটগুলিতে ব্যাপক আক্রমণ শুরু করে মার্কিন সেনা সদস্যরা।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর, ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর থেকে ইরান-সমর্থিত যোদ্ধারা যারা হামাসের সাথে মিত্রতা রাখে, তারা ইরাক ও সিরিয়ায় মার্কিন সেনাদের অবস্থান লক্ষ্য করে ব্যাপক ড্রোন এবং রকেট হামলা চালিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোনো ফৌজদারি মামলার আসামি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন। ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয় নিশ্চিতের পর আলোচনায়, তার বিরুদ্ধে চলমান মামলা-মোকদ্দমা। প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরও কি থাকবে আইনি জটিলতা? যেসব মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন সেগুলোরই বা কী সিদ্ধান্ত হবে? বিশ্লেষকরা বলছেন, কিছু ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্সিয়াল ক্ষমতা প্রয়োগের সুযোগ রয়েছে ট্রাম্পের। আর কিছু মামলার বিচারকাজ স্থগিত থাকবে তার শাসনামলে।

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে চলমান মামলাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচিত ৪টি- জালিয়াতি, ২০২০ সালের নির্বাচনে ফল পাল্টানো, পর্ন তারকাকে ঘুষ দেয়া মামলা আর সরকারি নথিপত্র নিজের কাছে রাখায় এরইমধ্যে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। এর মধ্যে, কোনোটিতে তিনি এরইমধ্যে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন আবার কোনোটিতে নিজেই করেছেন আত্মসমর্পণ। তবে ট্রাম্প শাসনামলে এসব মামলার স্থগিত থাকবে বলেই মনে করছেন আইনপ্রণেতারা।

এ ব্যাপারে সাবেক ফেডারেল আইনপ্রণেতা নিয়ামা রাহমানির মত, যিনি প্রেসিডেন্ট পদে আসীন তার বিরুদ্ধে মামলা চলতে পারে না। সুতরাং, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলা খারিজ হওয়াটাই স্বাভাবিক।

আবার ট্রাম্পের আইনজীবী স্টিভও বললেন একই কথা। তিনি বলেন, ট্রাম্প যতদিন ক্ষমতায় আছেন ততদিন এসব মামলার কোনো বিচার হওয়া সম্ভব নয়। একজন প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার অনেক দায়িত্ব রয়েছে।

একই সাথে প্রশ্ন উঠছে প্রেসিডেন্সিয়াল ক্ষমতাবলে ট্রাম্প কি নিজে নিজেকে ক্ষমা করতে পারেন? বিশ্লেষকরা বলছেন- তাত্ত্বিকভাবে পারেন। তবে শুধুমাত্র ফেডারেল মামলার আসামিকেই ক্ষমা করতে পারেন প্রেসিডেন্ট। তবে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে রয়েছে ফৌজদারি মামলাও। যা ক্ষমা করার এখতিয়ার নেই প্রেসিডেন্টের।

ডোনাল্ড ট্রাম্পই প্রথম প্রেসিডেন্ট যিনি কিনা বিচারাধীন মামলার আসামি হয়েও প্রবেশ করছেন ওভাল অফিসে।

আগামী বছরের পহেলা জানুয়ারি থেকে সুইজারল্যান্ডে পাবলিক প্লেসে মুখ ঢাকা নিষিদ্ধের আইন কার্যকর হচ্ছে। ওই সময় থেকে কেউ যদি বোরকা পরেন এবং মুখ ঢাকেন তাহলে তাদের প্রায় ১ হাজার ১৫০ ডলার জরিমানা করা হবে। যা বাংলাদেশি অর্থে দেড় লাখ টাকার সমান। খবর, রয়টার্সের।

২০২১ সালে দেশটিতে একটি গণভোট হয়। এতে মুখ ঢাকার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়ার পক্ষে রায় দেন দেশটির সাধারণ মানুষ। সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে এই গণ রায় কার্যকর করা হবে। যা ‘বোরখা নিষিদ্ধ’ নামে পরিচিত।

তবে ওই গণভোটের কঠোর বিরোধীতা করেছিল মুসলিম গ্রুপগুলো। এছাড়া পাবলিক প্লেসে মুখ ঢাকা নিষিদ্ধের গণভোটে অনেকেই বিপক্ষে ভোট দিয়েছিলেন। যদিও সুইজারল্যান্ডে খুব কম সংখ্যক মানুষ মুখ ঢাকা বোরখা পরেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও মুসলিমদের জন্য এটি একটি কঠিন বিষয় হতে পারে।

কোথায় কোথায় মুখ ঢাকা যাবে:
দেশটির সরকার জানিয়েছে এই নিষেধাজ্ঞা বিমান, কূটনৈতিক এবং কনস্যুলার এলাকায় কার্যকর হবে না। এছাড়া ধর্মীয় ও পবিত্র স্থানগুলোতেও মুখ ঢাকা যাবে।

এছাড়া স্বাস্থ্যজনিত, আবহাওয়াজনিত ও ট্র্যাডিশনাল কারণেও মুখ ঢাকার সুযোগ দেওয়া হবে। বিনোদনের ক্ষেত্রেও মুখ ঢাকায় কোনো বাধা থাকবে না। মুখ ঢাকা যাবে বিজ্ঞাপনের কাজের বেলাতেও। এছাড়া ব্যক্তিগত সুরক্ষার জন্যও মুখ ঢাকা যাবে। কিন্তু এজন্য কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে আগে থেকে অনুমতি নিতে হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের এবারের জাতীয় নির্বাচনে বিভিন্ন আসন থেকে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত পাঁচ জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন। এরমধ্যে জর্জিয়ায় চতুর্থবারের মতো সিনেটর হয়েছেন শেখ রহমান। সেখানে প্রথম মুসলিম নারী হিসেবে সিনেটর হয়েছেন নাবিলা ইসলাম। অন্যদিকে কানেকটিকাটে ৫০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছেন মাসুদুর রহমান। আর নিউজার্সি এবং নিউ হ্যাম্পশায়ার থেকে জয় পেয়েছেন নুরুন নবী ও আবুল বি খান।

এরমধ্যে জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের স্টেট সিনেট ডিস্ট্রিক্ট-৫ থেকে চতুর্থবারের মতো বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন শেখ রহমান।

ছবি: শেখ রহমান।

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত শেখ রহমান জর্জিয়ায় প্রথম মুসলিম ও এশিয়ান সিনেটর। তিনি রিপাবলিকান দলের প্রার্থী লিসা বাডেজের চেয়ে দ্বিগুণ ভোট পেয়েছেন। তিনি দুই বছরের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন।

এছাড়া, জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের স্টেট সিনেট ডিস্ট্রিক্ট-৭ থেকে প্রথম মুসলিম নারী হিসেবে সিনেটর নির্বাচিত হয়েছেন নাবিলা ইসলাম পার্কেস। তিনি ৪৬ হাজার ২৩১ ভোট পেয়েছেন। পরাজিত রিপাবলিকান গ্রেগরি হাওয়ার্ড পেয়েছেন ৩৭ হাজার ৮৬৭ ভোট।

ছবি: নাবিলা পার্কেস।

২৭ বছর বয়সী নাবিলা পার্কেস দুই বছরের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন।

একুশে পদকপ্রাপ্ত লেখক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা নূরুন নবী নিউজার্সি অঙ্গরাজ্যের প্লেইন্সবরো টাউনশিপ থেকে পঞ্চমবারের মতো কাউন্সিলম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

ছবি: নূরুন নবী।

এবার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন তিনি।

অন্যদিকে, কানেকটিকা অঙ্গরাজ্যের ডিস্ট্রিক্ট-৪–এ দ্বিতীয়বারের মতো স্টেট সিনেটর হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন মাসুদুর রহমান। তিনি দুই বছরের জন্য এ দায়িত্ব পেয়েছেন। ৩৩ হাজারের বেশি ভোট পেয়ে গত ৫০ বছরে সর্বোচ্চ ভোট পাওয়ার রেকর্ড গড়েছেন তিনি।

ছবি: মাসুদুর রহমান।

তার কাছে পরাজিত রিপাবলিকান স্টিভেন কিং পেয়েছেন ১৮ হাজার ভোট। এ অঙ্গরাজ্যের ৩৬ জন সিনেটরের মধ্যে তিনি প্রথম বাংলাদেশি আমেরিকান। মাসুদুর রহমানের বাড়ি চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলায়। তিনি ২৭ বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রে এসেছেন।

এছাড়াও রেকর্ড ষষ্ঠবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নির্বাচনে নিউ হ্যাম্পশায়ার অঙ্গরাজ্যের আইনসভার সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন রিপাবলিকান প্রার্থী আবুল বি খান। এ নিয়ে ছয়বার আইনসভার সদস্য নির্বাচিত হলেন তিনি।

ছবি: আবুল বি খান।

রকিংহাম ডিস্ট্রিক্ট-৩০-এ রিপাবলিকান পার্টির হয়ে প্রতিবারের মতো এবারও সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে দুই বছরের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন আবুল খান। তিনি পেয়েছেন ২ হাজার ৯৩৯ ভোট। পরাজিত ডেমোক্র্যাট প্রার্থী বব অল ব্রাইট পেয়েছেন ১ হাজার ৭২৬ ভোট।

যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনায় বসার জন্য প্রস্তুত বলেও জানিয়েছেন তিনি।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) রাশিয়ার সোচি শহরের একটি সমাবেশে বক্তৃতার সময় প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানান তিনি।

গত জুলাই মাসে যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়ায় নির্বাচনী সমাবেশে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর হামলা হয়। এসময় তিনি আহত হন। ওই ঘটনায় ট্রাম্পের প্রশংসা করে তাকে ‘সত্যিকারের পুরুষ’ বলে অভিহিত করেন পুতিন। তিনি বলেন, গুলিবিদ্ধ হওয়ার পরও যেভাবে উঠে দাঁড়িয়ে মুষ্টিবদ্ধ হাত উঁচিয়ে ধরেন তিনি, তাতে মুগ্ধ হয়েছি আমি। সাহসিকতার সঙ্গে একজন পুরুষের মতো পরিস্থিতি সামাল দিয়েছেন ট্রাম্প। এই সুযোগে আমি তাকে নির্বাচনে জয়ের জন্য অভিনন্দন জানাই।

এসময় উঠে আসে ইউক্রেন যুদ্ধের কথাও। রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, যুদ্ধ বন্ধ করতে পারবেন বলে যে দাবি করছেন ট্রাম্প, সামান্য হলেও মনোযোগ দেয়া উচিত সেদিকে। শিগগিরই ফোনালাপ হবে দুই নেতার মধ্যে, সে কথাও জানিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ের একদম দ্বারপ্রান্তে রিপাবলিকান দলের প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর মাত্র তিনটি ইলেক্টোরাল ভোট পেলেই আগামী চার বছরের জন্য হোয়াইট হাউসের অধিপতি হবেন তিনি। তবে ফলাফল ঘোষণার আগেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নিজেকে বিজয়ী ঘোষণা করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এক প্রতিবেদনে দেশটির সংবাদমাধ্যম সিএনএন নিউজ এ তথ্য জানায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এই জয়কে রাজনৈতিক বিজয় ঘোষণা করে তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে সোনালি যুগে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। ফ্লোরিডায় নিজের প্রচারাভিযানের সদরদফতরে উল্লাসরত সমর্থকদের উদ্দেশে দেয়া ভাষণে ট্রাম্প এই প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

তিনি বলেন, আমেরিকা আমাদের একটি অভূতপূর্ব ও শক্তিশালী ম্যান্ডেট দিয়েছে। এটি আমেরিকান জনগণের জন্য একটি দুর্দান্ত বিজয়, যা আমাদের আমেরিকাকে আবার মহান করার সুযোগ দেবে।

এই জয়কে রাজনৈতিক জয় অ্যাখ্যা দিয়ে তিনি জানান, জনগণ এই দিনটি আবার ফিরে দেখবে। নিজেদের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিনের মধ্যে একটি হিসেবে বিবেচনা করবেন।

ইরানে নারীদের জন্য কড়াকড়ি পোশাকবিধি রয়েছে। দেশটিতে নারীদের হিজাব পরা বাধ্যতামূলক। তবে এই বাধ্যবাধকতার বিরুদ্ধে একটি অভিনব প্রতিবাদ জানিয়েছেন এক তরুণী। শুধু অন্তর্বাস পরে হাঁটলেন রাস্তায়। উদ্দেশ্য, পোশাকবিধির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ। এক প্রতিবেদনে ফ্রান্স ২৪ নিউজ এ তথ্য জানায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, পোশাকবিধির প্রতিবাদ জানিয়ে ইরানের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শরীরের পোশাক খুলে শুধু অন্তর্বাস পরে হেঁটেছেন ওই তরুণী।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা ওই ভিডিওতে দেখা গেছে, ইরানের ইসলামিক আজাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তারক্ষীরা শুধু অন্তর্বাস পরা অবস্থায় অজ্ঞাতপরিচয় এক নারীকে আটক করেছেন। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখপাত্র আমির মাহজব এক্স মাধ্যমে বলেছেন, ওই নারী গুরুতর মানসিক চাপের মধ্যে ছিলেন এবং তিনি মানসিক ব্যাধিতে ভুগছেন।

এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীরা মত দিয়েছেন, ওই নারী জেনে-বুঝেই সজ্ঞানে ওই পদক্ষেপ নিয়েছেন। কড়াকড়ি পোশাকবিধির বিরুদ্ধে এটি ছিল তার একটি অভিনব প্রতিবাদ।

সম্পাদক ও প্রকাশক : মঈনুদ্দিন কাজল
deshermatidaily@gmail.com
০১৬১৫১১২২৬৬, ০১৬৭৩৫৬২৭১৬

দেশের মাটি কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।