রাজনীতি

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ আন্দোলনের মুখে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর একাধিক ভারতীয় সংবাদমাধ্যম খবর প্রকাশ করতে থাকে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। এ কারণে অনেকে পালিয়ে ভারতে চলে আসছেন। তবে, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে প্রবেশকারীদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বাড়েনি। গত ছয় বছরের সরকারি তথ্যের বিশ্লেষণে এটি নিশ্চিত করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম, দ্য হিন্দু।

দ্য হিন্দু’র প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশের চেষ্টার একটি তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে দেখা গেছে চলতি বছরে গত ৫ আগস্টের পর থেকে ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ ১ হাজার ৩৯৩ বাংলাদেশিকে আটক করে।

দ্য হিন্দু’র প্রতিবেদন।

অরপরদিকে, শেখ হাসিনার পতনের আগে চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৪ আগস্ট পর্যন্ত ১ হাজার ১৪৪ জনকে অনুপ্রবেশের সময় আটক করেছিল বিএসএফ। এর অর্থ সরকারের পতনের পর হাজার হাজার মানুষের সীমান্ত পাড়ি দেয়ার কোনো চেষ্টার ঘটনা ঘটেনি।

একই পরিসংখ্যানে গত ১ জানুয়ারি থেকে ৪ আগস্ট পর্যন্ত ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) বাংলাদেশে অবৈধ প্রবেশের সময় পরিচয়বিহীন ৮৭৩ জন ভারতীয়কে আটক করে। এছাড়া ৫ আগস্ট থেকে ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত সেদেশের ৩৮৮ জন নাগরিককে অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় আটক করা হয়। 

সব মিলিয়ে চলতি বছর সীমান্ত এলাকা থেকে ৩ হাজার ৯০৭ জনকে আটক করা হয়।

বছরভিত্তিক সীমান্ত এলাকায় বিএসএফের হাতে আটকের সার্বিক পরিসংখ্যান:

বছর আটকের সংখ্যা
২০১৮ ২৯৯৫
২০১৯ ২৪৮০
২০২০ ৩২৯৫
২০২১ ২৪৫১
২০২২ ৩০৭৪

 

একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার রায় নিয়ে কেউ যদি সংক্ষুব্ধ হয়ে থাকে তাকে ফের পুন:তদন্তের জন্য আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে বিএনপি। দলের স্হায়ী কমিটির সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহমদ মনে করেন স্বাধীন বিচারলয় থেকে ন্যায় বিচারই পেয়েছেন তারেক-বাবর।

সোমবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বনানীতে নিজ বাসায় সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি একথা বলেন।

হাফিজ বলেন, পুন:তদন্তের জন্য গ্রেনেড হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত কেউ আদালতে পুন:তদন্তের জন্য আবেদন করলে বিএনপি সহযোগিতা করবে।

তিনি বলেন, গ্রেনেড হামলার পেছনে তৎকালীন বিএনপি সরকারের কোন সম্পৃক্ততা নেই। বরং পাশের দেশের সহযোগিতায় ধর্মীয় উগ্রবাদী কোন সংগঠন এই হামলা ঘটাতে পারে।

আরও চারটি মামলায় ন্যায় বিচার পাওয়ার পরই তারেক রহমান দেশে ফেরার প্রস্তুতি নেবেন বলেও জানান হাফিজ উদ্দিন আহমদ।

উল্লেখ্য, গতকাল রোববার বহুল আলোচিত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়্যারম্যান তারেক রহমাহসহ সকল আসামিকে খালাস দেয় উচ্চ আদালত। পাশাপাশি এই মামলার অভিযোগপত্রও অবৈধ ঘোষণা করেন আদালত। বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেন।

আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে বাংলাদেশ থেকে বছরে গড়ে প্রায় ১৬ বিলিয়ন ডলার বিদেশে পাচার হয়েছে। বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী যে অর্থের পরিমাণ প্রায় ২ লাখ কোটি টাকা। বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রতিবেদনে এটি উল্লেখ করা হয়।

রোববার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে কমিটির প্রধান ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে অর্থনীতির শ্বেতপত্র হস্তান্তর করেন।

কমিটি জানায়, শেখ হাসিনার শাসনামলের দুর্নীতি, লুণ্ঠন এবং ভয়ংকর রকমের আর্থিক কারচুপির যে চিত্র রিপোর্টে পাওয়া গেছে তা আতঙ্কিত হওয়ার মতো।

প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস এই যুগান্তকারী কাজের জন্য কমিটিকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, চূড়ান্ত হওয়ার পর এটি জনসাধারণের জন্য প্রকাশ করা উচিত এবং স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করে শিক্ষার্থীদের পড়ানো উচিত। এটি একটি ঐতিহাসিক দলিল। জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের পর যে অর্থনীতিকে যে ভঙ্গুর দশায় আমরা পেয়েছি তা এই রিপোর্টে উঠে এসেছে। জাতি এই নথি থেকে উপকৃত হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, আমাদের গরীব মানুষের রক্ত পানি করা টাকা যেভাবে তারা লুণ্ঠন করেছে তা আতঙ্কিত হওয়ার মতো। দুঃখের বিষয় হলো, তারা প্রকাশ্যে এই লুটপাট চালিয়েছে। আমাদের বেশিরভাগ অংশই এর মোকাবিলা করার সাহস করতে পারেনি। পতিত স্বৈরাচারী শাসনামলে ভয়ের রাজত্ব এতটাই ছিল যে বাংলাদেশের অর্থনীতি পর্যবেক্ষণকারী বহুপাক্ষিক সংস্থাগুলোও এই লুণ্ঠনের ঘটনায় অনেকাংশে নীরব ছিল।

প্রতিবেদনে জানানো হয়, সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে সেই সময়ের প্রেক্ষাপটে ব্যাপক দুর্নীতির প্রভাব লক্ষ্যনীয়। এমনকি রাজনৈতিক ক্ষমতার সাথে জোট বেঁধেছিলেন সেই সময়ের শীর্ষ আমলারাও।

সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ ছাড়াই কমিটি স্বাধীনভাবে কাজ করেছে বলে জানান কমিটির প্রধান দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।

তিনি বলেন, সমস্যাটি আমরা যতটা ভেবেছিলাম তার চেয়েও গভীর। এই ৩০ অধ্যায়ের ৪০০ পৃষ্ঠার দীর্ঘ শ্বেতপত্রে উঠে এসেছে কীভাবে ক্রোনি পুঁজিবাদ অলিগার্কদের জন্ম দিয়েছে, কীভাবে তারা নীতি প্রণয়ন নিয়ন্ত্রণ করেছে। কমিটির সদস্য মুস্তাফিজুর রহমান জানান, তারা ২৯টি প্রকল্পের মধ্যে সাতটি বড় প্রকল্প পরীক্ষা করে দেখেছেন প্রতিটিতে ১০ হাজার কোটি টাকার বেশি ব্যয় হয়েছে। ২৯টি বড় প্রকল্পে মোট ব্যয় হয়েছে ৮৭ বিলিয়ন ডলার বা ৭,৮০,০০০ কোটি টাকা।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর, মুখ্য সচিব সিরাজ উদ্দিন সাথী, সিনিয়র সচিব লামিয়া মোর্শেদ।

আগামীকাল সোমবার সংবাদ সম্মেলন করে শ্বেতপত্র কমিটির প্রতিবেদন বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরা হবে।

উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। তারপর ওই মাসের শেষ সপ্তাহে দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক অবস্থা তুলে ধরতে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে ১২ সদস্যের শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি গঠিত হয়। এই কমিটিকে ৯০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, ভারতীয় মিডিয়াগুলো বাংলাদেশের গণঅভ্যুত্থানে খুশি নয়। তারা প্রপাগাণ্ডা ছড়াচ্ছে। বিশ্বে বাংলাদেশকে জঙ্গি রাষ্ট্র হিসেবে দেখানো চেষ্টা চালাচ্ছে। এটি খুবই আনফেয়ার।

রোববার (১ ডিসেম্বর) রাজধানীতে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) ৩০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, গত ১৫ বছরে সাউথ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে কোনো সংযোগ স্থাপন হয়নি। তবে এখন সময় এসেছে সেই সংযোগ তৈরি করার। এ সময় সিপিডি দেশের সত্য চিত্র তুলে ধরতে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, গণঅভ্যুত্থানের পর খুব অল্প সময়ে আমাদের দায়িত্ব নিতে হয়েছিল। সেই সময় পুলিশ কাজ করছিল না। ছাত্ররা ট্রাফিকের কাজ সামলাচ্ছিল। পরে ধীরে ধীরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

দশ দিনের সফরে যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সেখানে ১০ দিন থাকার পর ১১ ডিসেম্বর তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

শনিবার (৩০ নভেম্বর) বাংলাদেশ বিমানের সকালে ৮টা ২০ মিনিটের বিজি ২০১ নম্বর  ফ্লাইটে স্বস্ত্রীক ঢাকা ত্যাগ করেন বিএনপি মহাসচিব। এর আগে, ৭টা ১৭ মিনিটে বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি।

লন্ডনের এই সফরে বিএনপির বিভিন্ন দলীয় অনুষ্ঠানের পাশাপাশি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাথেও সাক্ষাৎ করবেন মির্জা ফখরুল। দেশের চলমান পরিস্থিতি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে সংস্কারের অগ্রগতি, আগামী নির্বাচনসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা হবে বিএনপির এই দুই শীর্ষ নেতার মধ্যে।

বিএনপির অন্য একাধিক সূত্র জানিয়েছে, মির্জা ফখরুল দেশে ফেরার পর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য লন্ডন যাবেন। সেজন্য প্রস্তুতিও নেয়া হচ্ছে দলের পক্ষ থেকে।

জানা গেছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া প্রথমে যুক্তরাজ্যে চিকিৎসা করাবেন। এরপর সেখান থেকে চিকিৎসার জন্য তিনি যুক্তরাষ্ট্রেও যেতে পারেন। মহাসচিবের এই সফরের পরই চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে যাবেন খালেদা জিয়া।

ডিসেম্বরের ৩১ তারিখের মধ্যে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন প্রতিবেদন জমা দেবে বলে জানিয়েছেন কমিশনটির প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার। আজ শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) সকালে এফডিসিতে ‘সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্বাচন, প্রার্থী ও নাগরিকের ভূমিকা’ শীর্ষক ছায়া সংসদে তিনি এ তথ্য জানান।

বদিউল আলম মজুমদার বলেন, অতীতের মতো বর্তমানে নির্বাচন কমিশনের ওপর কোনো চাপ নেই। তবে ভোটার তালিকা তৈরি-হালনাগাদ ও প্রবাসীদের ভোটার তালিকা করাই এবারের চ্যালেঞ্জ। নির্বাচন প্রক্রিয়া সঠিক রেখে সুষ্ঠু নির্বাচন করার মূল দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করা জরুরি। অতীতে যারা নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের সময় অপরাধ করেছে, তাদের শাস্তির বিধান রয়েছে। কিন্তু যারা সাংবিধানিক পদে থেকে অপরাধ করেছে তাদের কোন পদ্ধতিতে শাস্তির আওতায় আনা যায় তা খতিয়ে দেখা উচিত।

সাম্প্রতিক অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির পেছনে ইন্ধনদাতা রয়েছে। তাদেরকে ধরতে কাজ করছে সেনাবাহিনী। বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে বনানী সেনাসদরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান মিলিটারি অপারেশনস ডাইরেক্টরেটের কর্নেল স্টাফ ইন্তেখাব হায়দার খান।

তিনি জানান, গত ১৩ নভেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় ২২৮ জন মাদক ব্যবসায়ীসহ এক হাজার ৩২৮ জনকে গ্রেফতার করেছে সেনাবাহিনী। তাছাড়া, গত দুই সপ্তাহে ২৪টি অস্ত্র ও ৩৬৫ রাউন্ড গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযানের সময় সেনাবাহিনীর মোট ১২৩ জন আহত ও একজন সদস্য নিহত হয়েছেন।

তি‌নি আ‌রও জানান, চট্রগ্রামের পাহাড়ি জনগোষ্ঠীকে শান্তিতে রাখতে কাজ করছে সেনাবাহিনী। কুকি চিনের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে সংগঠনটির ১৭৯ জন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চলাকালে ৭ জন সেনাসদস্য নিহত হওয়ার কথাও জানান তি‌নি।

বাগেরহাট প্রতিনিধি: বাগেরহাট জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বাগেরহাট-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ এইচ সেলিম বলেছেন, বাগেরহাট জেলা বিএনপি এখন ৫ থেকে ৬টি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে পড়ছে। বর্তমানে বাগেরহাট জেলা বিএনপিতে কোন একক নেতৃত্ব নেই, এখন জেলা বিএনপি একটি খিচুড়ি মার্কা দলে পরিণত হয়েছে। আমি শুধু বলতে চাই।

আপনারা যদি এত গ্রুপিং বহিষ্কার খেলা করেন তাহলে নির্বাচন করবেন কাকে নিয়ে। আগামীতে দিনের ভোট আর রাতে হবে না, বিভিন্ন দল অংশ গ্রহণ করবে। তাই বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনা মেনে এখনই দলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, দলকে শক্তিশালি করতে হবে। মঙ্গলবার বিকালে বাগেরহাট সদর হয়রত খানজাহান আলী (রহ) দরগা মাঠে আয়োাজিত তাকে দেয়া নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।  এ সময়ে তিনি আরও বলেন, যাদের রক্তের উপর দিয়ে আজকের যে স্বাধীনতা আপনারা পেয়েছেন ছাত্র আন্দোলনে নিহত সেই সব শহীদদের স্মরণ করতে হবে। তাদের ভুলে গেলে চলবে না।

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন হাকিমপুর মাদরাসার অধ্যাক্ষ মাওলানা আব্দুল মাবুদ।

চট্টগ্রামে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের মুক্তি দাবিতে মিছিলের প্রস্তুতিকালে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের ৬ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) রাতে নগরীর পাহাড়তলীর সরাইপাড়া এলাকা থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলেন, মামুনুর রশিদ, শহীদ উদ্দীন, ইয়াছিন, আবু হেনা, মোমিনুল ও রহিম। তারা সবাই স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মী বলে জানায় পুলিশ।

পুলিশ জানায়, আটককৃতরা কিছুদিন ধরে সিটি করপোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর সাবের হোসেনের বাসায় অবস্থান করছিলেন। মুসলিম হয়েও তারা কেন চিন্ময় কৃষ্ণের মুক্তির দাবিতে মিছিলের প্রস্তুতি নিচ্ছিলো তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

পাহাড়তলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাবুল আজাদ বলেন, সরাইপাড়া এলাকায় বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের মুক্তির দাবিতে কয়েকজন আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতা মিছিলের প্রস্তুতি নিচ্ছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে যাই। এ সময় তাদেরকে জড়ো হতে দেখে আটক করে থানায় নিয়ে আসি।

২০১৩ সালের ৫ মে রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতের সমাবেশে হত্যা, গণহত্যার ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক পুলিশ প্রধান বেনজীর আহমেদ, সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদ, তারিক আহমেদ সিদ্দিকীসহ ৪৪ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর বরাবর এ অভিযোগ দায়ের করেন হেফাজত ইসলামের নেতা জুনায়েদ আল হাবিব।

এর আগে, মুফতি হারুন ইজহারের পক্ষে ট্রাইব্যুনালে আরেকটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। যাদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আনা হয়েছে, তাদের মধ্যে রয়েছেন শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, সাবেক মন্ত্রী হাছান মাহমুদ, সাবেক এমপি হাজী সেলিম, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, নারায়ণগঞ্জের সাবেক এমপি শামীম ওসমান, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিকী, সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদ, সাবেক আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, র‍্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক জিয়াউল আহমেদ, ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশীদ, ডিএমপির সাবেক উপকমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির, নির্মূল কমিটির সদস্য অধ্যাপক মুনতাসির মামুন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজ, গণজাগরণ মঞ্চের আহ্বায়ক ইমরান এইচ সরকার ও এনএসআইয়ের মো. মনজুর আহমেদ।

সম্পাদক ও প্রকাশক : মঈনুদ্দিন কাজল
deshermatidaily@gmail.com
০১৬১৫১১২২৬৬, ০১৬৭৩৫৬২৭১৬

দেশের মাটি কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।