বিটিভি প্রাঙ্গনে এসে চোখের পানি ধরে রাখতে পারিনি: শমী কায়সার
ক্ষতিগ্রস্ত বিটিভি ভবন পরিদর্শন করতে গিয়েছিলেন অভিনয় শিল্পীদের একাংশ। সেখানে তারা আন্দোলন ভুলে শিক্ষার্থীদের ঘরে ফিরে যেতে আহ্বান জানিয়েছেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, চিত্রনায়ক ফেরদৌস, অভিনয়শিল্পী সোহানা সাবা, শিল্পী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক নিপুণ এবং শমী কায়সারের মতো তারকারা।
বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) সকালে বিটিভি পরিদর্শন করে এসব অভিনয়শিল্পীরা জানান, এখন আর আন্দোলন ছাত্রদের হাতে নেই। তাদের ঢাল হিসেবে আরেকটি গোষ্ঠী ফায়দা লুটছে।
এ সময় শমী কায়সার বলেন, আজকে এই প্রাঙ্গনে এসে আমরা চোখের পানি ধরে রাখতে পারিনি। অনেক মানুষ প্রাণ হারিয়েছে, যারা প্রাণ হারিয়েছে আমরা তাদের রুহের মাগফেরাত কামনা করি। তিনি বলেন, আজকে আমরা ক্ষুব্ধ ও ব্যথিত।
কায়সার বলেন, এই টেলিভিশন বাংলাদেশের সংস্কৃতির ধারক ও বাহক। যে বাংলাদেশ টেলিভিশন মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করেছে, সেখানে এসে এই ধ্বংসজজ্ঞ দেখে আমরা সকলেই মর্মাহত হয়েছি। এই টেলিভিশন প্রাঙ্গনে এসে আমরা শিল্পী হিসেবে বেড়ে উঠেছি। আজকে এই বাংলাদশ আমরা চাই না। এই ধ্বংসজজ্ঞের পেছনে যারা রয়েছে তাদের শাস্তি চাই।
এ সময় চিত্রনায়ক ফেরদৌস তুলে ধরেন তার বক্তব্য। তিনি বলেন, এতদিন আমাদের শোকের মাস ছিল শুধু আগস্ট। এখন জুলাই মাসও আমাদের শোকের মাস হিসেবে যুক্ত হয়েছে। ছাত্রদের কোটা আন্দোলন যৌক্তিক হলেও এদের সঙ্গে অপশক্তি যুক্ত হয়ে আন্দোলনে ভিন্ন পথে প্রভাবিত করেছে।
তিনি বলেন, আমরা যেসব ছাত্র হারিয়েছি তাদেরকে আর ফিরে পাবো না। আমার নিজের দুটি সন্তান আছে, তারাও ছাত্র। সন্তানহারা বাবা-মায়ের মনের অবস্থা কী সেটা আমরা বুঝতে পারছি। দেশ শেখ হাসিনা ঠিক করে ফেলবেন কিন্তু যারা চলে গেছেন তাদের আর ফিরিয়ে আনা যাবে না।
এছাড়া সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে শিল্পী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক নিপুণ বলেন, শিক্ষার্থীদের উচিত এবার ঘরে ফিরে যাওয়া। তাদেরকে যাতে আর কেউ ব্যবহার করতে না পারে সেদিকে বাবা-মায়ের নজর রাখতে হবে।