যুক্তরাষ্ট্রের এবারের জাতীয় নির্বাচনে বিভিন্ন আসন থেকে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত পাঁচ জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন। এরমধ্যে জর্জিয়ায় চতুর্থবারের মতো সিনেটর হয়েছেন শেখ রহমান। সেখানে প্রথম মুসলিম নারী হিসেবে সিনেটর হয়েছেন নাবিলা ইসলাম। অন্যদিকে কানেকটিকাটে ৫০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছেন মাসুদুর রহমান। আর নিউজার্সি এবং নিউ হ্যাম্পশায়ার থেকে জয় পেয়েছেন নুরুন নবী ও আবুল বি খান।

এরমধ্যে জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের স্টেট সিনেট ডিস্ট্রিক্ট-৫ থেকে চতুর্থবারের মতো বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন শেখ রহমান।

ছবি: শেখ রহমান।

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত শেখ রহমান জর্জিয়ায় প্রথম মুসলিম ও এশিয়ান সিনেটর। তিনি রিপাবলিকান দলের প্রার্থী লিসা বাডেজের চেয়ে দ্বিগুণ ভোট পেয়েছেন। তিনি দুই বছরের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন।

এছাড়া, জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের স্টেট সিনেট ডিস্ট্রিক্ট-৭ থেকে প্রথম মুসলিম নারী হিসেবে সিনেটর নির্বাচিত হয়েছেন নাবিলা ইসলাম পার্কেস। তিনি ৪৬ হাজার ২৩১ ভোট পেয়েছেন। পরাজিত রিপাবলিকান গ্রেগরি হাওয়ার্ড পেয়েছেন ৩৭ হাজার ৮৬৭ ভোট।

ছবি: নাবিলা পার্কেস।

২৭ বছর বয়সী নাবিলা পার্কেস দুই বছরের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন।

একুশে পদকপ্রাপ্ত লেখক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা নূরুন নবী নিউজার্সি অঙ্গরাজ্যের প্লেইন্সবরো টাউনশিপ থেকে পঞ্চমবারের মতো কাউন্সিলম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

ছবি: নূরুন নবী।

এবার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন তিনি।

অন্যদিকে, কানেকটিকা অঙ্গরাজ্যের ডিস্ট্রিক্ট-৪–এ দ্বিতীয়বারের মতো স্টেট সিনেটর হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন মাসুদুর রহমান। তিনি দুই বছরের জন্য এ দায়িত্ব পেয়েছেন। ৩৩ হাজারের বেশি ভোট পেয়ে গত ৫০ বছরে সর্বোচ্চ ভোট পাওয়ার রেকর্ড গড়েছেন তিনি।

ছবি: মাসুদুর রহমান।

তার কাছে পরাজিত রিপাবলিকান স্টিভেন কিং পেয়েছেন ১৮ হাজার ভোট। এ অঙ্গরাজ্যের ৩৬ জন সিনেটরের মধ্যে তিনি প্রথম বাংলাদেশি আমেরিকান। মাসুদুর রহমানের বাড়ি চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলায়। তিনি ২৭ বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রে এসেছেন।

এছাড়াও রেকর্ড ষষ্ঠবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নির্বাচনে নিউ হ্যাম্পশায়ার অঙ্গরাজ্যের আইনসভার সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন রিপাবলিকান প্রার্থী আবুল বি খান। এ নিয়ে ছয়বার আইনসভার সদস্য নির্বাচিত হলেন তিনি।

ছবি: আবুল বি খান।

রকিংহাম ডিস্ট্রিক্ট-৩০-এ রিপাবলিকান পার্টির হয়ে প্রতিবারের মতো এবারও সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে দুই বছরের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন আবুল খান। তিনি পেয়েছেন ২ হাজার ৯৩৯ ভোট। পরাজিত ডেমোক্র্যাট প্রার্থী বব অল ব্রাইট পেয়েছেন ১ হাজার ৭২৬ ভোট।