বাংলাদেশ

অবসরে যাওয়া পাঁচ অতিরিক্ত সচিবকে চুক্তিভিত্তিক সচিব নিয়োগ দেয়া হয়েছে। শনিবার (১৭ আগস্ট) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব ড. শেখ আব্দুর রশিদকে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব, মো. এহছানুল হককে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব, ড. মোহাম্মদ আব্দুল মোমেনকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব, ড. নাসিমুল গনিকে রাষ্ট্রপতি কার্যালয়ের জন বিভাগের সচিব এবং এম এ আকমল হোসেন আজাদকে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

তাদেরকে অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সঙ্গে কর্ম-সম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে যোগদানের তারিখ থেকে দুই বছরের জন্য চুক্তিতে এই নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দায়িত্ব নেয়া অন্তর্বর্তী সরকার সম্প্রতি এসব মন্ত্রণালয়ের সচিবদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল এবং কাউকে অন্য মন্ত্রণালয়ে বদলি করেছে।

পলাতক শেখ হাসিনাকে দেশে এনে মানবতা বিরোধী অপরাধের দায়ে আন্তর্জাতিক আদালতে বিচার করা হবে। শনিবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু তার রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।

এসময় মিনু বলেন, আওয়ামী লীগ যে লুটপাট করেছে, তার জবাব দিয়েছে ছাত্র জনতা। শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে রাজশাহীতে যে তিনজন শহীদ হয়েছেন, ন্যায়বিচার নিশ্চিতে শিক্ষার্থীদের হত্যার পেছনে হুকুম দাতাদের বিরুদ্ধে খুব দ্রুত রাজশাহীতে মামলা হবে।

আন্দোলনের সময় পুলিশের পাশাপাশি, একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী যেভাবে অস্ত্র প্রদর্শন করেছে তারও বিচার হবে। বর্তমান সরকার দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে বলেও আশা করেন বিএনপি’র এই নেতা।

বিএনপি নেতাকর্মীরা কোনো বিশৃঙ্খলার মধ্যে জড়ালে, দল থেকে বহিষ্কার করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন মিনু। কোন প্রকার বিশৃঙ্খলা দলীয় হাইকমান্ড বরদাস্ত করবে না বলেও জানান বিএনপির এই নেতা। 

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে যারা আহত হয়েছেন, তাদের সবার চিকিৎসা নিশ্চিত করবে সরকার। সরকারি হাসপাতালগুলোয় আহতদের সম্পূর্ণ বিনামূল্যে চিকিৎসা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর।

শনিবার (১৭ আগস্ট) সকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই সমন্বয়ক সারজিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহ’র সাথে মতবিনিময় করেন তিনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামানও।

গণআন্দোলনে আহতদের চিকিৎসায় বিশেষায়িত কেয়ার ইউনিট তৈরির দাবি জানায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। ডা. আহমেদুল কবীর জানান, বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসারতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা হবে।

তিনি বলেন, অনেক বেসরকারি হাসপাতাল এরইমধ্যে বিনামূল্যে চিকিৎসা দিচ্ছে। কেউ সমস্যার মুখোমুখি হলে জরুরি হট লাইন নম্বরে যোগাযোগের পরামর্শও দেয়া হয়েছে।

নিশ্চিত ছিল না অর্থের উৎস, যোগান নিয়েও ছিল অনিশ্চয়তা। তারপরও বড় করা হয়েছে ব্যয়ের খাত। বড় বড় প্রকল্প হাতে নিয়ে হয়েছে লুটপাট। আর সেই অর্থের যোগান দিতে ঋণনির্ভর হয় শেখ হাসিনা সরকার। অথচ বলা হয়েছিল নতুন ঋণ নয়, বরং পরিশোধ করেছে সরকার।

২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ব্যাংকব্যবস্থা থেকে সরকার ঋণ নেয় ১ লাখ ২২ হাজার ৯৮০ কোটি টাকা। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে নেয় ৯৭ হাজার ৬৮৪ কোটি টাকা। এই অর্থবছরের শেষ দুই মাসে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে গোপনে ছাপিয়ে নেয়া হয় ৪১ হাজার কোটি টাকার বেশি। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনৈতিক এমন অবস্থান বাড়িয়েছে উদ্বেগ।

যদিও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মূল কাজ ছিল মুদ্রানীতি দিয়ে আর্থিক ব্যবস্থাপনা সমুন্নত রাখা। কিন্তু আগের সরকারের ক্রীড়নকে পরিণত হয় বাংলাদেশ ব্যাংক। ইচ্ছা মতো ব্যবহার হয়েছে স্বায়ত্বশাসিত এই প্রতিষ্ঠান। ভালো-মন্দ বিবেচনায় না নিয়ে টাকা ছাপিয়ে সরকারের যোগান দিয়েছে এই প্রতিষ্ঠান।

বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক খোন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংকোচনমূলক নীতি বেসরকারি খাতকে টার্গেট করে বাস্তবায়িত হয়েছে, সরকারি খাতে ঋণ নেয়ার ক্ষেত্রে আমরা এর বাস্তবায়ন দেখিনি। প্রায়শই মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে মূদ্রানীতির ভূমিকা দেখিনি।

অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের সাবেক চেয়ারম্যান মো. নুরুল আমিন বলেন, এভাবে টাকা চাপানোকে হাই পাওয়ার্ড মানি বলে। হাই পাওয়ার্ড মানি অর্থনীতিতে তখনই ব্যবহার হয়, যখন সরকারের জন্য টাকা বেশ প্রয়োজনী হয়ে ওঠে। তখন যে সরকার ছিল, তারা মনে করেছিল বলে এটা করতে হয়েছে। সেক্ষেত্রে বিল, বন্ড, রেভিনিউ দিয়ে কাভার করা যাচ্ছিল না।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ভূমিকাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন সাবেক গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। সকল পরামর্শ ও মতামতকে অগ্রাহ্য করে তিনি নিতেন সিদ্ধান্ত।

খোন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেছেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উচিত হবে, আর্থিক খাতের একটি পূর্ণাঙ্গ বিবরণী প্রকাশ করা। সেখানে উপযুক্তভাবে দরকার রয়েছে, কার কার কাছে কী পরিমাণ অর্থ সরবরাহ হয়েছে। কী পরিমাণ অনাদায়ী রয়েছে। কোন কোন জায়গায় বাকি রয়েছে এবং কোন কোন জায়গায় প্রাপ্যতার ক্ষেত্রে অনিশ্চিয়তা রয়েছে। আমরা মনে করি, এ ধরণের পূর্ণাঙ্গ তথ্য-উপাত্ত কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে আসতে পারে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সুনাম ফিরিয়ে আনতে সংস্কার উদ্যোগ দরকার, এমনটা বলছেন বিশ্লেষকরা।

বিএনপি নেতাদের সাথে বৈঠক করেছেন হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতারা। শুক্রবার (১৬ আগস্ট) বিকেলে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

সাম্প্রতিক সময়ে হিন্দুসহ অমুসলিম নাগরিকদের ওপর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ করা হয় বৈঠকে। তারা এ সময় নাগরিকদের ওপর জুলুম নির্যাতন বন্ধের দাবি জানিয়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার তাগিদ দেন।

বিএনপির পক্ষ থেকে অমুসলিম নাগরিকদের পাশে থাকার কথা বলেন। নেতারা বলেন, যারা এ ধরনের ঘটনা ঘটাবে তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।

যদি বিএনপির কথা বলে কেউ অপকর্মের সাথে জড়িত থাকে তাদের নাম ও অভিযোগ দিলে দলগতভাবে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন বিএনপির নেতারা।

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেনকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সরানো হয়েছে। তাকে পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। একইসঙ্গে আজ শুক্রবার (১৬ আগস্ট) শপথ নেয়া ৪ উপদেষ্টাকে দায়িত্ব দিয়ে দফতর বন্টন করা হয়েছে। এছাড়া, পুরোনোদের মধ্যে কয়েকজনের দফতর বেড়েছে।

উপদেষ্টা হিসেবে আজ শপথ নেয়া অর্থনীতিবিদ ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ পরিকল্পনা ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়; সাবেক সচিব মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ, রেলপথ, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলমকে স্বরাষ্ট্র ও কৃষি মন্ত্রণালয় এবং সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদারকে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে।

এছাড়া, দফতর পুনর্বণ্টনে সালেহউদ্দিন আহমদকে অর্থের পাশাপাশি নতুন করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন। আর পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় থেকে তাকে সরানো হয়েছে।

আসিফ নজরুলকে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদশিক কর্মসংস্থান, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়; আদিলুর রহমান খানকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়; সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানকে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়; নাহিদ ইসলামকে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়; আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং ফারুকী আজমকে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। অন্যান্য উপদেষ্টাদের দায়িত্ব অপরিবর্তিত থাকবে।

সেনাবাহিনী থেকে অব্যাহতি পাওয়া সাবেক মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান আদালতে বলেছেন, গত ৭ আগস্ট রাতে আমাকে বাসা থেকে গোয়েন্দা সংস্থার একটি দল নিয়ে যায়। এরপর গতকাল বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত ৮ দিন আয়নাঘরে বন্দি রাখা হয়।

শুক্রবার (১৬ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরফাতুল রাকিবের আদালতে রিমান্ড শুনানিতে এ কথা বলেন জিয়াউল আহসান। এ সময় তিনি দাবি করেন, আয়নাঘর তার সৃষ্টি নয়। তিনি কোনো গুম, খুনের সাথে জড়িত নন।

জিয়াউল আহসান বলেন, যেসব ব্যক্তি আয়নাঘর থেকে বের হয়ে আসছে, তাদের কেউ বলুক আমি তাদের সেখানে রেখেছি। যেভাবে আমাকে নিয়ে দোষারোপ করা হচ্ছে, সেটা সঠিক নয়। আমি অসুস্থ। হার্টেসহ অন্যান্য সমস্যা রয়েছে।

প্যাগাসাস সফটওয়ারের বিষয়ে আদালত জানতে চাইলে সাবেক এই সেনা কর্মকর্তা বলেন, প্যাগাসাস বলে কিছু নাই। মোবাইল ট্র্যাকিং করিনি।

আদালতে তার কথা বলা নিয়ে বিরোধিতা করেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা। তারা বলেন, তিনি গণহত্যার আসামি। তার কথা বলার অধিকার নেই। এর তীব্র বিরোধিতা করেন জিয়াউল আহসানের বোন অ্যাডভোকেট নাজনীন নাহার।

এরই মাঝে জিয়াউল আহসান বলেন, র‍্যাবে থাকাকালে তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা বা জিডি হয়নি। এরপর আদালত তার ৮ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।

এছাড়া, তার বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ সম্পর্কে আদালতকে বলেন, আন্দোলন চলাকালে যে সংস্থায় তিনি কাজ করেছেন, সেটার কোনো অস্ত্র নেই। সুতরাং গুলি চালাতে বলার প্রশ্নই ওঠে না বা সেরকম কমান্ড তিনি দেননি।

আত্মপক্ষ সমর্থন করতে গিয়ে জিয়াউল আহসান বলেন, নিউমার্কেট থানার যে মামলায় তিনি গ্রেফতার হয়েছেন। সেই নিউমার্কেট সায়েন্স ল্যাব এলাকায় ওই সময়ে তিনি যাননি।

পরে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী যুক্তি খন্ডন করে বলেন, গণহত্যায় পরিকল্পনাকারী হিসেবে জিয়ার নাম শুরু থেকেই আছে। মোবাইলে আড়ি পেতে বিরোধী মতের সবাইকে তিনি ধরাশায়ী করেছেন। এছাড়া র‍্যাবে থাকাকালীন তিনি নিজ হাতে বহু গুম, খুন ও ক্রসফায়ার করেছেন।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ফোনালাপ হয়েছে। ফোনালাপে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশে হিন্দুসহ সব সংখ্যালঘুর পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিতের আশ্বাস দিয়েছেন।

শুক্রবার (১৭ আগস্ট) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেয়া পোস্টে ফোনালাপের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নরেন্দ্র মোদি। তিনি লিখেছেন, বাংলাদেশের অন্তর্বতী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূসের কাছ থেকে ফোন পেয়েছি। বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে কথা হয়েছে।

পোস্টে তিনি আরও লেখেন, একটি গণতান্ত্রিক, স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ এবং অগ্রগামী বাংলাদেশের প্রতি ভারতের সমর্থনের বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করেছি। তিনি আমাকে বাংলাদেশে হিন্দুসহ সমস্ত সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের আশ্বাস দিয়েছেন।

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর ৮ আগস্ট নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে শপথ নেয় অন্তর্বর্তী সরকার।

অন্তর্বর্তী সরকারে আরও চার উপদেষ্টা শপথ নিয়েছেন। আজ শুক্রবার (১৬ আগস্ট) বিকেলে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাদের শপথ পাঠ করান।

আজ শপথ নেয়া নতুন উপদেষ্টারা হলেন— অর্থনীতিবিদ ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার, বাংলাদেশ রাইফেলসের সাবেক মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম ও সাবেক সচিব মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।

এ নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য দাঁড়ালো ২১ জনে। আজ শপথ অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ অন্যান্য উপদেষ্টারা উপস্থিত ছিলেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।

এর আগে তিন দফায় শপথ গ্রহণ করেন অন্তর্বর্তী সরকারের ১৭ উপদেষ্টা। এর মধ্যে ৮ আগস্ট শপথ নেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ উপদেষ্টা। ঢাকা ও দেশের বাইরে থাকায় সেদিন তিন উপদেষ্টা শপথ নেননি।

পরদিন শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টা এবং অন্যান্য উপদেষ্টাদের দফতর বণ্টন করে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। পরে ১১ আগস্ট শপথ নেন উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা ও বিধান রঞ্জন রায় এবং ১৩ আগস্ট শপথ নেন আরেক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম।

ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে চিঠি দিয়েছেন ব্যাংকটির শতাধিক কর্মকর্তা। আজ বৃহস্পতিবার তাঁরা বাংলাদেশ ব্যাংকে গিয়ে এই চিঠি জমা দেন। চিঠিতে বলা হয়েছে, পরিচালনা পর্ষদ ও কতিপয় অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে ব্যাংকের তহবিল লুটপাটের যে তথ্য গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, বাস্তব অবস্থা এর চেয়েও ভয়াবহ। দীর্ঘদিন লুটপাটের ধারা অব্যাহত থাকার কারণে ব্যাংকের স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনা করা কঠিন হয়ে পড়েছে। ব্যাংকটির প্রতি গণমানুষের আস্থার সংকট দেখা দিয়েছে। এ জন্য তাঁরা দ্রুত পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠনের দাবি জানান।

চিঠিতে বলা হয়েছে, ইসলামী ব্যাংকের হারানো গৌরব পুনরুদ্ধার, ব্যাংকের সব অংশীদারদের স্বার্থ রক্ষা, তাঁদের আস্থা ফিরিয়ে আনা এবং ব্যাংকের স্বাভাবিক কার্যক্রম পুনরায় চালু করার জন্য ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিতে হবে। এ ছাড়া সৎ ও দুর্নীতিমুক্ত, ইসলামী ব্যাংকের প্রতি সহানুভূতিশীল বিজ্ঞ ব্যক্তিবর্গ অথবা প্রয়োজনে সাবেক পরিচালকদের থেকে কিছু ব্যক্তির সমন্বয়ে পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠনের দাবি জানানো হয় চিঠিতে।

সম্পাদক ও প্রকাশক : মঈনুদ্দিন কাজল
deshermatidaily@gmail.com
০১৬১৫১১২২৬৬, ০১৬৭৩৫৬২৭১৬

দেশের মাটি কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।