২৪ বছর পর উত্তর কোরিয়া যাচ্ছেন পুতিন
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আজ মঙ্গলবার দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে উত্তর কোরিয়া যাচ্ছেন। এই সফরে দুই দেশের মধ্যে নিরাপত্তা চুক্তিসহ নানা ধরনের অংশীদারী চুক্তি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এদিকে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন সর্বশেষ ২০০০ সালে উত্তর কোরিয়া সফরে গিয়েছিলেন। সেই হিসেবে ২৪ বছর পর আজ তিনি পারমাণবিক শক্তিধর দেশটিতে পা রাখতে যাচ্ছেন।
গত বছরের সেপ্টেমম্বরে রাশিয়া সফরে গিয়েছিলেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিং জং উন। ওই সময়ে তিনি পুতিনকে পিয়ংইয়ংয়ে সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। সেই আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে পুতিন আজ উত্তর কোরিয়া যাচ্ছেন।
দুই দিনের এই রাষ্ট্রীয় সফরে পুতিনের সফরসঙ্গী হিসেব রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী আন্দ্রেই বেলোসভ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ ও পুতিনের জ্বালানিবিষয়ক প্রধান উপপ্রধানমন্ত্রী আলেকজান্ডার নোভাক থাকবেন বলে জানা গেছে।
সফরটি সম্পর্কে পুতিনের পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক উপদেষ্টা ইউরি উশাকভ বলেন, ‘গুরুত্বপূর্ণ এই সফরে রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে একটি অংশীদারি চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে পারে। এতে দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়বে।’
কোনও দেশকে লক্ষ্য করে এসব চুক্তি হচ্ছে না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘গত কয়েক বছরে আন্তর্জাতিক রাজনীতি, অর্থনীতি ও নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন ইস্যুতে রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে যা হয়েছে, সেগুলো বিবেচনায় রেখেই এই চুক্তি সই করা হবে।’
তবে পুতিনের এই সফরকে সহজ চোখে দেখছেন না আমেরিকা ও দক্ষিণ কোরিয়া। এরই মধ্যে গত শুক্রবার মার্কিন উপ-রাষ্ট্রমন্ত্রী কার্ট ক্যাম্পবেল ও দক্ষিণ কোরিয়ার ভাইস পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিম হং-কিউন পুতিনের উত্তর কোরিয়া সফর নিয়ে টেলিফোনে কথা বলেছেন। কিম হং-কিউন বলেন, ‘পুতিন এই সফরে হয়তো রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে এমন সব চুক্তি করবে, যাতে দুই দেশের সামরিক সহযোগিতা বাড়ে। যদি তাই হয়, তবে তা হবে জাতিসংঘের প্রস্তাবের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।’
রয়টার্স বলছে, উত্তর কোরিয়া সফর শেষে ১৯ ও ২০ জুন ভিয়েতনাম সফরে যাবেন পুতিন।