ছাগলের চামড়ার দাম ১০ টাকা!
গত বছরের চেয়ে লবণযুক্ত ছাগলের চামড়ার দাম সরকার এবার দুই টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করে ২০ থেকে ২৫ টাকা। কয়েক বছর আগেও ছাগলের চামড়া বিক্রি হয়েছে ৩০ থেকে ৫০ টাকায়। একটি ছাগলের যদি ৫ থেকে ৬ বর্গফুট চামড়া হয়, লবণ দেয়ার পর দাম পাওয়ার কথা ১০০ থেকে দেড়শ টাকা। অথচ এবার ছাগলের চামড়া বিক্রি হচ্ছে মাত্র ১০ টাকায়।
চামড়া বিক্রি করতে আসা একজন বিক্রেতা বলেন, ‘দুইটা চামড়া বিক্রি করতে আসছি। দুইটা বিক্রি করছি মাত্র ২০ টাকায়। যা দিয়ে আমাদের রিকশা ভাড়ায় হয়নি।’
আরেকজন বিক্রেতা বলেন, ‘চামড়ার সরকারি যে দাম দিয়ে দিছে সেই দামেও তারা কিনতেছে না। তাদের মনগড়া মতো তারা কিনতেছে।’
এক আড়তদার বলেন, ‘আড়াইশো টাকার মাল এখন ৫–১০ টাকায় কিনি। লবণ ও অন্যান্য বিষয় দিয়ে আমাদের পড়ে যায় ৩৫ টাকা। বিক্রি করতে পাড়ি ৪৫ টাকায়।’
কাঁচা চামড়া ব্যবসায়ী সমিতি বলছে, বিশ্ববাজারে ছাগলের চামড়ার চাহিদা কম এবং রাসায়নিক ও লবণের দামও বাড়তি। এছাড়া কৃত্রিম চামড়ার কারণে বিশ্ববাজারে চাহিদা কমেছে পশুর চামড়ার।
বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড মার্চেন্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক টিপু সুলতান বলেন, ‘২৫ টাকা পর্যন্ত নির্ধারণ ছিল। কিন্তু এই বাজারটা চলে গেছে। চামড়ার বিকল্প বেড় করে ফেলেছে চাইনিজ অনেক কোম্পানি। ফলে ছাগলের চামড়ার যে চাহিদা ছিল তা আর নেই।’
লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ইনস্টিটিউটের পরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, ‘খাসির চামড়া থেকে দামি পণ্য আসলে সেভাবে উৎপাদন করা যায় না। হয়তো ওয়ালেট বা মোবাইল রাখার ব্যাগ উৎপাদন ছাড়া তেমন কিছু উৎপাদন করা যায় না। এছাড়াও খাসির চামড়ার প্রসেসিং খরচটা একটু বেশি।'
এদিকে, রাজধানীর পোস্তায় ঈদের দ্বিতীয় দিন প্রতিটি ছোট ও মাঝারি আকারের গরুর চামড়া বিক্রি হয় ৬০০ থেকে ৭০০ টাকায়। আর বড় চামড়া ৮০০ থেকে ৯০০ টাকায়। পোস্তায় লবণ দিয়ে সংরক্ষিত এসব কাঁচা চামড়া পরে চলে যাবে সাভারের চামড়া শিল্প নগরীতে।