তাসকিনের না খেলার পেছনে ‘অন্য কারণ’ থাকতে পারে
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সদ্য শেষ হওয়া আসরে তাসকিন আহমেদের খেলারই কথা ছিল না। চোট কাটিয়ে আত্মবিশ্বাস ফিরে না পাওয়া সত্ত্বেও তার ওপর আস্থা রাখে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
শুধু তাই নয়, জাতীয় দলের এই পেসারকেই বিশ্বকাপের মতো গুরুত্বপূর্ণ আসরে সহ-অধিনায়কের মতো গুরু দায়িত্ব দেয় বিসিবি। কিন্তু সেই গুরু দায়িত্ব পালনে অবহেলা করেন তাসকিন।
বিশ্বকাপের সুপার এইটের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ছিল সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত। ক্রিকেট পরাশক্তি প্রতিবেশী এই দলের সঙ্গে খেলা মানেই ম্যাচের পরতে পরতে বাড়তি উত্তেজনা বিরাজ করে।
অথচ ভারতের মতো শক্তিশালী এবং চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দলের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে নিজের অবহেলার কারণে খেলতে পারেননি তাসকিন। সেই ম্যাচে ঘুমের কারণে টিম বাস মিস করেন তিনি। টস হওয়ার ৫-১০ মিনিট আগে মাঠে পৌঁছানোর কারণে তাকে একাদশে রাখতে পারেনি টিম ম্যানেজমেন্ট।
অথচ এর চেয়েও মামুলি অপরাধের কারণে ২০১৫ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ এনে অস্ট্রেলিয়া থেকে বিশ্বকাপের মাঝ পথেই দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয় পেস বোলার আল-আমিনকে।
বিশ্বকাপে ভারত ম্যাচে তাসকিনের না খেলার বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্ট। কিন্তু বিষয়টি গোপন থাকেনি। এ নিয়ে সর্বপ্রথম সংবাদ প্রকাশ করে ভারতীয় ক্রিকেটবিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজ। তাদের এক প্রতিবেদনে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। ঘুমের কারণে নাকি খেলতে পারেননি তাসকিন।
কিন্তু জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক সাকিব আল হাসান বলেছেন ভিন্ন কথা। আজ বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সাকিব বলেন, ‘তাসকিন টস হওয়ার ৫-১০ মিনিট আগে মাঠে গিয়েছে। তখন হয়তো খেলানোর সুযোগ ছিল না। এছাড়া অন্য কারণও থাকতে পারে আমি তা জানি না।’
ঘুমের কারণে মাঠে পৌঁছাতে দেরি হওয়ার কথা স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছেন তাসকিন, ‘আমার একটু দেরি হয়েছিল। তবে যেটা বলা হচ্ছে টসের পর গেছি, এটা ভুল। টস হওয়ারও আধঘণ্টা বা ৪০ মিনিট আগে পৌঁছেছিলাম মাঠে।’
ভারতের বিপক্ষে তাসকিনের পরিবর্তে একাদশে সুযোগ পান জাকের আলী অনিক। তবে ঘুমের কারণেই সেই ম্যাচে দলে জায়গা হয়নি তার, এই কথা মানতে নারাজ এই ডানহাতি পেসার, ‘টিম বাস আমি মিস করেছিলাম। সকাল সাড়ে ৮টায় ছিল বাস ছাড়ার সময়। বাস ছেড়েছিল ৮টা ৩৫ মিনিটে। আমি ৮টা ৪৩ মিনিটে গাড়িতে করে মাঠে গেছি। মানে বাসের সঙ্গে সঙ্গেই গিয়েছি। পরে পৌঁছেছি। আমাকে যে খেলায়নি, সেটা দেরিতে যাওয়ার জন্য নয়। এমনিই খেলায়নি।’
উল্লেখ্য, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যৌথভাবে বাংলাদেশের তৃতীয় সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি ছিলেন তাসকিন। ৬ ম্যাচে বল করে ৮ উইকেট ঝুলিতে পোরেন এই পেসার। এক ম্যাচ বেশি খেলে তার সমান উইকেট পান মোস্তাফিজুর রহমানও।