বেনাপোল স্থলবন্দর: আমদানি কমলেও লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বাড়তি রাজস্ব আদায়
বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পণ্য আসার প্রবণতা কমেছে। তারপরও প্রায় এক যুগ পর রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য অর্জন করেছে বেনাপোল স্থলবন্দর। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বাড়তি আদায় হয়েছে ২১৬ কোটি টাকা।
বিদায়ী অর্থবছরে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি হয়েছে ১৭ লাখ ২১ হাজার ৭৮০ টন পণ্য। অন্যান্য বছরের তুলনায় পণ্য আমদানি কম হলেও রেকর্ড রাজস্ব কীভাবে আদায় হলো তা নিয়ে আলোচনা নানা মহলে।
ব্যবসায়ীদের মতে, বন্দর কর্তৃপক্ষ যে জিরো টলারেন্স দেখিয়েছে, তাতে স্বতঃস্ফূর্ত রাজস্ব লক্ষ্য আদায় হয়েছে। ৬-৭ মাস ধরে আমাদানি অর্ধেকে কমে এসেছে। কারণ, দেশে বৈদেশিক মুদ্রার সংকট, ব্যাংকগুলো এলসি খুলছে না। এনবিআরের যে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা তা দশ বছর পর পূরণ হলো।
এক বছর আগেও বেনাপোল স্থলবন্দরের ওজন স্কেলে কারচুপি নিয়ে বিস্তর অভিযোগ ছিল। রাজস্ব কর্মকর্তাদের দাবি, এখন পণ্যের ওজন নেয়া হচ্ছে অটোমেশন সফটওয়্যারের মাধ্যমে। তার ওপর ডলারের দাম বাড়ায় আমদানির পণ্য আনতে খরচ হয়েছে বেশি। ফলে বাড়তি রাজস্ব এসেছে কাস্টম হাউজের হিসাবেও।
বেনাপোল কাস্টমসের যুগ্ম কমিশনার সাফায়েত হোসেন বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা, প্রয়োগ এবং সবার প্রচেষ্টায় লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হয়েছে।
বেনাপোল স্থল বন্দরের পরিচালক রেজাউল ইসলাম বলেন, কাস্টমসের পাশাপাশি বন্দর কর্তৃপক্ষের যে অটোমেশন সফটওয়্যার এবং ওজন স্কেলের মাধ্যমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণপূর্বক সরকারি রাজস্ব ফাঁকি রোধে জিরো টলারেন্স নীতিগ্রহণই সহায়ক ভূমিকা রেখেছে।
উল্লেখ্য, গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বেনাপোল কাস্টমস হাউজে রাজস্ব আদায়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় সাড়ে ৬ শতাংশ।