বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে নিষিদ্ধ রাজনীতি
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের ৮৫তম (বিশেষ) সভা শেষে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
রোববার (১১ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. মনিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ ঘোষণা দেয়া হয়।
এতে উল্লেখ করা হয়, সাধারণ শিক্ষার্থীদের লিখিত দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এবং শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতকরণে এমন পদক্ষেপ নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
অফিস আদেশে আরও বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এখন থেকে কোনো প্রকার রাজনৈতিক, পেশাজীবী সংগঠন বা কোনো প্রকার অঙ্গ বা ছায়া সংগঠন, লেজুড়বৃত্তিক প্যানেল বা পরিষদ বা সমিতির সঙ্গে জড়িত থাকতে পারবেন না। অর্থাৎ সব প্রকার রাজনৈতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হলো।
উল্লেখ্য, এদিন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) হলে সকল প্রকার রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাধ্যক্ষ পরিষদ ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা আলোচনা করে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের অনুরোধে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল আবাসিক হলের প্রাধ্যক্ষরা নিজ পদে বহাল থাকবেন। সেই সাথে হলে হলে রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকবে।
রোববার (১১ আগস্ট) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাধ্যক্ষ পরিষদ ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা আলোচনা করে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। সৈয়দ ইসমাঈল হোসেন সিরাজী ভবনে ফোকলোর বিভাগের অফিসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
এ সময় ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা প্রাধ্যক্ষ ও আবাসিক শিক্ষকদের তাদের স্বপদে থেকে দায়িত্ব পালনের অনুরোধ জানান। সংকটকালীন এই সময়ে প্রাধ্যক্ষ ও আবাসিক শিক্ষকরা পদত্যাগ করলে সাধারণ হলে শিক্ষার্থীদের আবাসন ব্যাহত হবে।
সভায় জানানো হয়, শুধুমাত্র হলের বৈধ আবাসিক শিক্ষার্থীরা হলে থাকতে পারবেন। এরআগে যারা আবাসিকতা ছাড়াই হলে অবস্থান করছিলেন, তাদের হল ত্যাগ করার নির্দেশ দেয়া হয়। হলে কোনো ধরনের রাজনৈতিক ব্লক থাকবে না। পরবর্তী সিট বরাদ্দ না দেওয়া পর্যন্ত রাজনৈতিক ব্লকের কেউ প্রবেশ করতে পারবে না এবং চিহ্নিত কক্ষগুলো সিলগালা থাকবে। হলের কক্ষে বা করিডোরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কসহ কোনো ধরনের ক্ষমতার পরিচয় প্রকাশ করে কিছু করা যাবে না।