আসামি হয়েও ট্রাম্প হচ্ছেন প্রেসিডেন্ট, তবে কি নিজেই নিজেকে ক্ষমা করবেন?
যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোনো ফৌজদারি মামলার আসামি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন। ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয় নিশ্চিতের পর আলোচনায়, তার বিরুদ্ধে চলমান মামলা-মোকদ্দমা। প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরও কি থাকবে আইনি জটিলতা? যেসব মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন সেগুলোরই বা কী সিদ্ধান্ত হবে? বিশ্লেষকরা বলছেন, কিছু ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্সিয়াল ক্ষমতা প্রয়োগের সুযোগ রয়েছে ট্রাম্পের। আর কিছু মামলার বিচারকাজ স্থগিত থাকবে তার শাসনামলে।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে চলমান মামলাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচিত ৪টি- জালিয়াতি, ২০২০ সালের নির্বাচনে ফল পাল্টানো, পর্ন তারকাকে ঘুষ দেয়া মামলা আর সরকারি নথিপত্র নিজের কাছে রাখায় এরইমধ্যে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। এর মধ্যে, কোনোটিতে তিনি এরইমধ্যে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন আবার কোনোটিতে নিজেই করেছেন আত্মসমর্পণ। তবে ট্রাম্প শাসনামলে এসব মামলার স্থগিত থাকবে বলেই মনে করছেন আইনপ্রণেতারা।
এ ব্যাপারে সাবেক ফেডারেল আইনপ্রণেতা নিয়ামা রাহমানির মত, যিনি প্রেসিডেন্ট পদে আসীন তার বিরুদ্ধে মামলা চলতে পারে না। সুতরাং, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলা খারিজ হওয়াটাই স্বাভাবিক।
আবার ট্রাম্পের আইনজীবী স্টিভও বললেন একই কথা। তিনি বলেন, ট্রাম্প যতদিন ক্ষমতায় আছেন ততদিন এসব মামলার কোনো বিচার হওয়া সম্ভব নয়। একজন প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার অনেক দায়িত্ব রয়েছে।
একই সাথে প্রশ্ন উঠছে প্রেসিডেন্সিয়াল ক্ষমতাবলে ট্রাম্প কি নিজে নিজেকে ক্ষমা করতে পারেন? বিশ্লেষকরা বলছেন- তাত্ত্বিকভাবে পারেন। তবে শুধুমাত্র ফেডারেল মামলার আসামিকেই ক্ষমা করতে পারেন প্রেসিডেন্ট। তবে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে রয়েছে ফৌজদারি মামলাও। যা ক্ষমা করার এখতিয়ার নেই প্রেসিডেন্টের।
ডোনাল্ড ট্রাম্পই প্রথম প্রেসিডেন্ট যিনি কিনা বিচারাধীন মামলার আসামি হয়েও প্রবেশ করছেন ওভাল অফিসে।