অপরাধ

রাজধনীর ফকিরাপুল কাভার্ট রোড়ে একটি ভবনের দরজা ভেঙ্গে দুই কর্মচারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতরা হলেন, ইমন ও ফরহাদ।

বৃহস্পতিবার (২০ জুন) তাদের মরদেহ উদ্ধারের তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনির হোসেন মোল্লা।

তিনি জানান, সন্ধ্যায় খবর পেয়ে ফকিরাপুল কালভার্ট রোডে ‘রুপায়ন তাজ’ ভবনের ষষ্ঠ তলায় মাতৃভূমি নামে ডেভেলপার কোম্পানির অফিসের দরজা ভেঙে ওই দুই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তারা অফিসটির পিয়ন। ঈদের ছুটির মধ্যেও তারা অফিসেই ছিলেন। কীভাবে তাদের মৃত্যু হয়েছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।

মরদেহ দুইটি শেষে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

ব্রিটল জাতের একটি খাসি। যা এবার কোরবানি ঈদে পশু কেনাবেচাকে নিয়ে গেছে অন্য এক উচ্চতায়। ১৫ লাখ টাকা দাম হাঁকানোর পর ১২ লাখ টাকায় তা বিক্রি করা হয় মুশফিকুর রহমান ইফাত নামে ১৯ বছরের যুবকের কাছে।

এরপর ওই যুবকের বাবা এনবিআর কর্মকর্তার পরিচয় সামনে এলে যে সমালোচনা শুরু হয়; তাতে ভোল পাল্টে ফেলেন ইফাত। দাবি করেন, তাকে ছাগলের মডেল বানিয়েছে সাদিক এগ্রো।
 
তবে বৃহস্পতিবার (২০ জুন) ক্যামেরার সামনে এসে ইফাতের বক্তব্যের পুরো দ্বিমত পোষণ করেন খামারের কর্ণধার ইমরান হোসেন। বলেন, ‘আমি মার্কেটিং পলিসির অংশ হিসেবে তার নাম ব্যবহার করেছি, এটা যৌক্তিক না। হাইপ ক্রিয়েট করে লস করার মতো ব্যবসায়ী আমি না।’
 
তাহলে কার কথা সঠিক? সময় সংবাদের হাতে আসা তাদের দুই জনের মেসেঞ্জার কথোপকথন থেকে যে বার্তা মিলছে সেখানে দেখা যাচ্ছে, গেল ৫ তারিখের আগে এক বার্তায় খাসির পুরো টাকার ব্যবস্থা করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে বলে সাদিক এগ্রোর কর্ণধার ইমরান হোসেনকে জানায় মুশফিকুর রহমান ইফাত। এছাড়া সামারাই নামে অন্য খামার থেকে কিনে সাদিক এগ্রোতে রাখা একটি গরুর দাম খাসির দামের সঙ্গে সমন্বয় করতে অনুরোধ করা হয় ওই মেসেঞ্জার বার্তায়।

৭ জুন রাত ১টা ২৯ মিনিটে চ্যাটিংয়ে আরও পরিষ্কার হয়, খাসির দাম মিটেছে ১২ লাখ টাকা। আর সামারাই থেকে কেনা ওই গরুর দাম বাবদ ৬ বা ৭ লাখ টাকা বিয়োগ করে বাকি টাকা পরিশোধ করার কথা জানায় ইফাত।

৯ তারিখের আগের এক চ্যাটিংয়ে মোট দাম ১২ লাখ টাকা পরিশোধ করে ১১ তারিখের আগে সাদিক এগ্রো থেকে খাসি ও গরু নিয়ে আসবেন বলে জানান ইফাত।

এরপর বিতর্ক তুঙ্গে উঠলে ইফাত জানিয়ে দেন, গরু-ছাগল এমনকি বায়না করতে দেয়া ১১ লাখ টাকা; কোনো কিছুই লাগবে না তার; উদ্ভুত পরিস্থিতি থেকে শুধু মুক্তি চান তিনি।
 
এমন অবস্থায় ইমরান হোসেন বলেন, ইফাত আর পরবর্তীতে আসেননি। আমরাও আর খাসি বিক্রি করতে পারিনি। আমরা ইফাতের সঙ্গে যোগাযোগও করতে পারতেছি না। সে কি টাকা ফেরত নিবে, নাকি আমরা বাজেয়াপ্ত করে ফেলব- কিছুই বুঝতে পারছি না।

ওই কথোপকথনে দেখা যাচ্ছে, নিজের ব্যবসা হিসেবে বাংলাদেশে নিষিদ্ধ ক্রিপ্টোকারেন্সির ট্রেডিংকে দেখিয়েছে ইফাত।

পটুয়াখালীর বাউফলে বোরকা পরে ঘোরাফেরা করা রহস্যময় এক পুরুষকে খুঁজছে পুলিশ। গতকাল রোববার দুপুর থেকে ওই ব্যক্তিকে  ঘোরাফেরা করতে দেখেন স্থানীয়রা। পরে খবর পেয়ে তাঁর খোঁজে নামে পুলিশ। 

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বোরকা পরা পুরুষটি গত রোববার পৌর শহরের ২নং ওয়ার্ড গোলাবাড়ি বেইলি ব্রিজের ঢালে ঘোরাফেরা করছিলেন। এসময় তাঁর গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলে স্থানীয়রা তাকে আটক করেন। তখন স্থানীয় বাসিন্দা জাকির হোসেন ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করেন।
 
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সোহান খান বলেন, একজন পুরুষ বোরকা পরে ঘোরাফেরা করার বিষয়টি এলাকায় চাঞ্চল্য ও আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে। অতি দ্রুত ওই ব্যক্তিকে চিহ্নিত করে সত্য ঘটনা উদঘাটন করা উচিত। 

এ বিষয়ে  বাউফল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাসির উদ্দিন বলেন, ঈদের আগে বোরকা পরে ঘোরাফেরা করার বিষয়টি স্থানীয়দের কাছে সন্দেহজনক মনে হয়। তাই ওই ব্যক্তির ব্যাপারে আমরা খোঁজ খবর নিচ্ছি। এ নিয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডে আটক জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক কাজী কামাল আহমেদ বাবু ওরফে গ্যাস বাবুর দেওয়া তথ্যে অনেকে ফেঁসে যাচ্ছেন। পুলিশের একটি সূত্র দেশ রূপান্তরকে এ তথ্য জানিয়েছে। ঘটনার অন্যতম নায়ক আমানুল্লাহ ওরফে শিমুল ভূঁইয়ার আত্মীয় গ্যাস বাবু। তিনি জানিয়েছেন, ঢাকায় কামরুজ্জামানের গুলশানের বাসায় কয়েক দফা বৈঠক হয়েছিল।

যতই দিন যাচ্ছে ততই চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ পাচ্ছে। বাংলাদেশ ও ভারতের তদন্তকারী সংস্থাগুলো নিশ্চিত হয়েছে, চোরাচালান এবং রাজনৈতিক কারণে আনারকে হত্যা করা হয়েছে। কারা এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সে ব্যাপারেও অনেকটা নিশ্চিত পুলিশ। ঝিনাইদহ ও যশোরের ছয়জন ‘প্রভাবশালী’ ব্যক্তি গোয়েন্দাদের নজরে আছেন। তাদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

আনারকে কীভাবে হত্যা করা হয়েছে তার বিস্তৃত বিবরণ দিয়েছে কসাই সিয়াম। তার ভাষ্য শুনে কলকাতা পুলিশ হতবাক। কলকাতা পুলিশও নিশ্চিত হয়েছে, স্যুয়ারেজ লাইন থেকে উদ্ধার হওয়া মাংসখন্ড মানুষেরই। দুয়েক দিনের মধ্যে আনারের মেয়ে ডরিনের ডিএনএ পরীক্ষা সম্পন্ন হবে।

১২ মে আনার কলকাতায় যাওয়ার পরের দিনই তাকে ব্যবসার কথা বলে নিউ টাউন এলাকার একটি ফ্ল্যাটে নিয়ে যায় হত্যা-পরিকল্পনাকারীরা। তিনি কলকাতায় যাওয়ার সপ্তাহখানেক আগে থেকেই হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী আনারের বাল্যবন্ধু আখতারুজ্জামান শাহীন কলকাতায় অবস্থান করছিলেন। চিহ্নিত ফ্ল্যাটে প্রবেশের ৩০ মিনিটের মাথায় তাকে হত্যা করা হয়। এর আগে মিনিট দশেক চোরাচালানসহ নানা বিষয়ে হত্যাকারীদের সঙ্গে আনারের তর্কাতর্কি হয়, অশালীন বাক্য বিনিময়ও হয়। 

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া ও তাঁর পরিবারের রাজধানীতে একাধিক ফ্ল্যাট, প্লট, বাড়ি ও জমির তথ্য পাওয়া গেছে।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানা গেছে, পুলিশের সাবেক এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার স্ত্রীর নামে ঢাকায় একটি বাড়ি ও দুটি ফ্ল্যাট এবং মেয়ের নামে একটি ফ্ল্যাট রয়েছে। এ ছাড়া ঢাকা, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জে তাঁর স্ত্রী ও সন্তানদের নামে ৬৭ শতক জমি রয়েছে। এই তিন জেলায় তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে রয়েছে আরও ১৬৬ শতক জমি।

দৈনিক মানবজমিন পত্রিকা গতকাল রোববার আছাদুজ্জামান মিয়া ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের স্থাবর সম্পদ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। গতকালই আছাদুজ্জামান মিয়ার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হয়। তিনি এখন দেশের বাইরে অবস্থান করছেন বলে জানান। ফোনে এই প্রতিবেদকের সঙ্গে তিনি প্রায় এক ঘণ্টা কথা বলেন।

 

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া ও তাঁর পরিবারের রাজধানীতে একাধিক ফ্ল্যাট, প্লট, বাড়ি ও জমির তথ্য পাওয়া গেছে।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানা গেছে, পুলিশের সাবেক এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার স্ত্রীর নামে ঢাকায় একটি বাড়ি ও দুটি ফ্ল্যাট এবং মেয়ের নামে একটি ফ্ল্যাট রয়েছে। এ ছাড়া ঢাকা, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জে তাঁর স্ত্রী ও সন্তানদের নামে ৬৭ শতক জমি রয়েছে। এই তিন জেলায় তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে রয়েছে আরও ১৬৬ শতক জমি।

দৈনিক মানবজমিন পত্রিকা গতকাল রোববার আছাদুজ্জামান মিয়া ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের স্থাবর সম্পদ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। গতকালই আছাদুজ্জামান মিয়ার সঙ্গে প্রথম আলোর পক্ষ থেকে ফোনে যোগাযোগ করা হয়। তিনি এখন দেশের বাইরে অবস্থান করছেন বলে জানান। ফোনে এই প্রতিবেদকের সঙ্গে তিনি প্রায় এক ঘণ্টা কথা বলেন।

সম্পদ কীভাবে কেনা, তা তুলে ধরেন আছাদুজ্জামান মিয়া। তাঁর দাবি, সব সম্পদ বৈধ আয়েই কেনা। তবে মানবজমিন যেসব সম্পত্তির তথ্য প্রকাশ করেছে, তার সব তথ্য সঠিক নয়। তাঁদের যত সম্পদ, সেটি আয়কর বিবরণীতে বিস্তারিত উল্লেখ আছে।

সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত আছাদুজ্জামান মিয়ার সম্পদের বিষয়ে জানতে চাইলে গতকাল রাতে মুঠোফোনে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কমিশনার জহুরুল হক বলেন, আছাদুজ্জামান মিয়ার সম্পদের তথ্য প্রকাশের খবর তাঁর নজরে আসেনি। কারও সম্পদ থাকলেই সেটা অবৈধ হবে, তা নয়। যদি সাবেক এই পুলিশ কর্মকর্তার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের খোঁজ পাওয়া যায়, তাহলে দুদক ব্যবস্থা নেবে।

কোরবানির সময় নির্ধারিত হাট বাদে কোথাও গরু বেচাকেনাতো দূরের কথা প্রদর্শনীতেও মানা রয়েছে সিটি করপোরেশনের। অথচ নগর কর্তৃপক্ষকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে রীতিমতো হাট বসিয়েছে বেশ কিছু খামার।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ এলাকার চাঁদ উদ্যানের পাশে রীতিমতো রাস্তা দখল করে বসেছে হাট। অথচ চলতি মাসেই চিঠি দিয়ে এসব প্রতিষ্ঠানকে বিক্রয় ও প্রদর্শনী বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।

যদিও রাস্তা দখল করে হাট বসানোর পক্ষে যুক্তিও দাঁড় করান সাদেক এগ্রোর স্বত্বাধিকারী ইমরান হোসেন। তিনি বলেন, ‘আমরা যদি আমাদের গরু হাটে নিয়ে যেতাম তাহলে যেসব ক্রেতা গরু কিনতো তাদের পাঁচ শতাংশ হাসিল দিতে হতো। কিন্তু আমাদের খামার থেকে কেনার কারণে তাদের আর হাসিল দিতে হচ্ছে না। এতে ক্রেতাদের লাভ হচ্ছে, পয়সা বেচে যাচ্ছে।’

তবে নাকের ডগায় এমন অনিয়ম চোখেই পড়েনি ডিএনসিসির। শেষ বেলায় এসে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলছেন প্রধান নির্বাহী মীর খাইরুল আলম। তিনি বলেন, আমরা ৮টি হাট ইজারা দিয়েছি। এর বাইরে কেউ গরু কেনাবেচা করতে পারবে না।

সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের সীমান্ত সংলগ্ন কয়েকটি অংশকে নিরাপদ রুট (যাত্রাপথ) হিসেবে বেছে নিয়েছে চোরাচালানিরা। প্রশাসনের সহায়তায় এই রুট ব্যবহার করে তারা ভারত থেকে অবৈধভাবে গরু, মাদকসহ নানা পণ্য আনছে বলে অভিযোগ রয়েছে। মাঝেমধ্যে দু’চারটি চালান আটক হলেও মূল হোতারা থাকে ধরা ছোঁয়ার বাইরে। এভাবে দক্ষিন-পশ্চিম উপকুলীয় জনপদের এ অংশটি এখন চোরাচালানের স্বর্গরাজ্য হয়ে উঠেছে।

অভিযোগ রয়েছে, সুন্দরবন সংলগ্ন সীমান্তপথে চোরাচালানের বিষয়টি জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয়দের কাছে ‘ওপন সিক্রেট’। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর মাঠ পর্যায়ে কর্মরতদের অনেকেই বিষয়টি অবগত। তারপরও নিয়ন্ত্রণ দূরের কথা অজ্ঞাত কারনে দিনে দিনে তা বেড়েই চলেছে। চোরাচালান পণ্যের ভাগবাটোয়ারা নিয়ে মাঝে মধ্যেই সংঘর্ষ বাধছে। সুন্দরবন ও সংলগ্ন সীমান্তবর্তী কালিঞ্চি, গোলাখালী, কৈখালী, নৈকাটিসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার স্থানীয়দের পাশাপাশি চোরাকারবারীদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।

সংশ্লিষ্টদের ভাষ্য, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের স্থলভাগ দিয়ে চোরাচালানের সুযোগ কম, ঝুঁকিও বেশি। তাই সীমান্তবর্তী কালিন্দি ও রায়মঙ্গল নদীকে চোরাকারবারীরা চোরাচালানের ‘মুল পয়েন্ট’ হিসেবে বেছে নিয়েছে।

কালিঞ্চি গ্রামের আবুল তরফদার জানান, বনদস্যুদের উপদ্রব না থাকায় সুন্দরবনের নৌপথ চোরাচালানের জন্য নিরাপদ। এছাড়া এ রুটে আইন শৃঙ্খল বাহিনীর টহলেরও ভয় থাকে না। এ সুযোগে ভারতীয় গরু, মাদকসহ নানা পণ্য নির্বিঘ্নে বাংলাদেশে ঢুকছে। একইভাবে বাংলাদেশকে থেকে ওষুধসহ নানা পন্য ভারতে পাচার হচ্ছে।

চোরাচালানের মালামাল পরিবহনে জড়িত কৈখালীর হারুন ও মাহতাব জানান, ভারতীয় চোরাকারবারীরা গরু ও মাদকের চালান কচুখালী, বকচরা, তালপট্রি ও হোগলডুরি এলাকায় রেখে যায়। বড় চালান রায়মঙ্গল এবং ছোট চালান কালিন্দি নদী সংলগ্ন পাঁচ নদীর মোহনা দিয়ে সুন্দরবনে ঢুকে যায়। স্থানীয় চোরাচালান চক্রের সদস্যরা মাছ বা কাঁকড়া শিকারের অজুহাতে স্পট থেকে সেই চালান সংগ্রহ করে। সুবিধাজনক সময়ে সেগুলো কৈখালী ও ভেটখালী স্লুইসগেট, আলম চেয়ারম্যান ও আব্দুর রহমানের বাড়ি ছাড়াও গোলাখালী, কালিঞ্চি এবং পশ্চিম কৈখালী বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকা দিয়ে পাচার করে। এর আগে ভারতের শমসেরনগর, কালিতলা, ঘুমটে ও গোবন্দকাঠি থেকে মাদকের বস্তা এবং গরু নৌকায় উঠিয়ে দেয়া হয়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে চোরাকারবারীতে জড়িত কয়েকজন জানায়, পাঁচ নদীর মোহনা থেকে কিছুটা দূরত্বে বনবিভাগের কৈখালী স্টেশন, রায়নগর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি ও কৈখালী বিজিবি ক্যাম্প। এই অংশ দিয়ে চোরাচালানে ঝুঁকি রয়েছে। তবে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগসাজশ করেই তারা চোরাচালানের কাজ করছে। এ কাজ নির্বিঘ্ন করতে তারা ‘লাইন ম্যান’ (বাঁধাহীন ভাবে মালামাল পরিবহন)’ দেয়। তাদের গরু প্রতি পাঁচশ থেকে দুই হাজার টাকা দেওয়া হয়।

তবে এ অভিযোগ করেছেন বিজিবি কৈখালী ক্যাম্পের একজন কমান্ডার। তিনি বলেন, এমন অনৈতিক কাজের সঙ্গে বিজিবির কোন সদস্য জড়িত আছে এমন অভিযোগ এখন পর্যন্ত কেউ করেনি। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রায়নগর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মাইদুল ইসলাম বলেন, চোরাকারবারীরা আগে এই রুট ব্যবহার করলেও এখন বন্ধ হয়ে গেছে। বর্তমানে তারা রায়মঙ্গল নদী হয়ে হোগলডুরি রুটে চলাচল করছে।

সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক এম কে এম ইকবাল হোসাইন চৌধুরী বলেন, জনবল সংকট থাকায় সব সময় অভিযান চালানো সম্ভব হয়না।

শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, সীমান্ত এলাকা নজরদারির জন্য বিজিবি, নৌ-পুলিশসহ বিভিন্ন বাহিনী কাজ করছে।

‘রাফসান দ্য ছোট ভাই’ নামে পরিচিত কনটেন্ট নির্মাতা ইফতেখার রাফসানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন ঢাকার একটি আদালত। কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়াই ‘ব্লু ড্রিংকস’ নামে একটি পানীয় বাজারজাত করার অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে এ মামলা হয়।

ঢাকার বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতের বিচারক আলাউল আকবর সম্প্রতি এ মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের খাদ্য পরিদর্শক কামরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। কামরুল ইসলামই ‘ব্লু ড্রিংকস’ বাজারজাত করার অভিযোগে সম্প্রতি ইফতেখার রাফসানের বিরুদ্ধে ঢাকার বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতে মামলাটি করেছিলেন।

বাংলাদেশে জনপ্রিয় কনটেন্ট নির্মাতাদের মধ্যে অন্যতম ‘রাফসান দ্য ছোট ভাই’। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁর লাখ লাখ অনুসারী রয়েছে। সম্প্রতি একটি বিষয় ঘিরে তাঁকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত কনটেন্টের আয়ের অর্থ দিয়ে তিনি একটি গাড়ি কিনে মা–বাবাকে উপহার দিয়েছিলেন। এ নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে নানা আলোচনা হয়।

গ্রামীণ টেলিকমের কর্মীদের লভ্যাংশের ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। 

আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে ঢাকার ৪ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক সৈয়দ আরাফাত হোসেন গতকাল বুধবার এ আদেশ দেন। এর মধ্য দিয়ে এ মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো। মামলায় অভিযোগ গঠনের পর বেরিয়ে আদালত প্রাঙ্গণে উষ্মা প্রকাশ করেন ড. ইউনূস। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আজ আমরা অনেকক্ষণ খাঁচার (আসামির কাঠগড়া) মধ্যে ছিলাম। বলা হয়েছিল, আপনি থাকেন। কিন্তু আমরা সারাক্ষণ লোহার খাঁচার মধ্যে ছিলাম। আমি আগেও প্রশ্ন তুলেছি, এটা ন্যায্য হলো কিনা? আমি যতদূর জানি, যতদিন আসামি অপরাধী হিসেবে দোষী সাব্যস্ত না হচ্ছে, ততদিন তিনি নিরপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবেন।’

ক্রমাগত হয়রানির মধ্যে আছেন দাবি করে ড. ইউনূস বলেন, ‘মানি লন্ডারিং, অর্থ আত্মসাৎ, প্রতারণা এসব শব্দের সঙ্গে পরিচিত নই। অথচ এসব শব্দ আমার ওপর আরোপ করা হচ্ছে। আমাদের হয়রানি করা হচ্ছে। সারাজীবন তো আমরা মানুষের সেবায় কাটিয়েছি। নিজেদের অর্থ ব্যয় করে এসেছি। কিন্তু আমাদের বোধে আসছে না কেন এই হয়রানি করা হচ্ছে? আমি রক্তচোষা, আমি সুদখোর, আমি দেশের শত্রু, আমি পদ্মা সেতুর অর্থ আটকে দিয়েছি, চারদিকে ষড়যন্ত্র করে বেড়াই– কথার কথা এভাবেই বলা হচ্ছে। এগুলোই হচ্ছে হয়রানি। আমাকে জোর করে গ্রামীণ ব্যাংক থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে।’
ড. ইউনূস আরও বলেন, একজন নিরপরাধ মানুষকে লোহার খাঁচার (আসামির কাঠগড়া) মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে শুনানির সময়, এটা আমার কাছে অত্যন্ত অপমানজনক। এটা গর্হিত কাজ। এটা কারও ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য না হয়। একটা পর্যালোচনা হোক।

 

এর আগে গতকাল সকালে ড. ইউনূসসহ অপর আসামিরা আদালতে হাজির হন। তারা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার প্রার্থনা করেন। পরে বিচারক বিচার শুরুর আদেশ দিয়ে সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ১৫ জুলাই দিন ধার্য রাখেন। তবে অভিযোগ গঠনের এই আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন ড. ইউনূসের আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মামুন।

সম্পাদক ও প্রকাশক : মঈনুদ্দিন কাজল
deshermatidaily@gmail.com
০১৬১৫১১২২৬৬, ০১৬৭৩৫৬২৭১৬

দেশের মাটি কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।