রাজনীতি

বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ (বীর বিক্রম)। আজ রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে সেন্টার ফর সোশ্যাল স্টাডিজ আয়োজিত ‘বাংলাদেশ রাষ্ট্রের পুনর্গঠন ও জন-মালিকানা’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।

মেজর হাফিজ বলেন, যারা এই দেশের গণতন্ত্রকে নির্বাসনে পাঠিয়েছে, যারা হেলিকপ্টার থেকে গুলি করে শিশু হত্যা করেছে, যারা রাজপথে সাধারণ মানুষকে গুলি করে মেরেছে; বাংলাদেশে সেই আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই।

অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, এদের মধ্যে কোনো কোনো উপদেষ্টা আওয়ামী লীগকে পুর্নবাসনের চেষ্টা করছে। তাদের কাছে প্রত্যাশা, দ্রুত সময়ে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন ব্যবস্থা করার।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, সেনাবাহিনী ভুল করেছে দুর্বৃত্তদের ক্যান্টনমেন্টে আশ্রয় দিয়ে। যারা আশ্রয় নিয়েছে, তাদের বিচার হওয়া উচিত। এই বিপ্লব যেন ব্যর্থ না হয়, সেদিকে সবাইকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সরকার ব্যর্থ হলে জাতি ব্যর্থ হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ভর্তি হয়েছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। শনিবার (২২ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাতে বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলে তাকে সিসিইউ'তে রাখা হয়৷ 

মাহমুদুর রহমান মান্না হার্ট অ্যাটাক করেছেন বলে জানিয়েছেন দলের সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিব আনোয়ার। মান্নার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. শোয়েব মুহাম্মদ জানিয়েন ৭২ ঘণ্টা পার না হওয়া পর্যন্ত তিনি শঙ্কামুক্ত নন। 

নাগরিক ঐক্যের সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিব আনোয়ার আরো বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে ২০১৫ সালে মাহমুদুর রহমান মান্নাকে গুম করে এবং পরে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। সে সময় হাসিনা সরকার দুই বছর কারাগারে রাখে। কারাগারে থাকা অবস্থায় হার্ট অ্যাটাক করে এবং তখন তার হার্টে একাধিক ব্লক ধরা পড়ে। কিন্তু আওয়ামী সরকার তাকে চিকিৎসার সুযোগ না দিয়ে হাসপাতাল থেকে কারাগারে পাঠায়। কারামুক্ত হবার পরও তার পাসপোর্ট আটকে রাখার কারনে তিনি বিদেশে উন্নত চিকিৎসাও নিতে পারেননি।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলামগীর বলেছেন, আলোচনার ভিত্তিতে অন্তর্বর্তী সরকার এসেছে। সরকারের প্রধান হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এই সরকারের যে কাঠামো, তাতে যারা এসেছেন, তাদের বেশিরভাগই টেকনোক্র্যাট, ব্যুরোক্র্যাট, একাডেমিশিয়ান; আছেন দু’জন ছাত্রনেতা, কিছু এনজিও কর্মকর্তা। এখানে যেটা দুর্বলতা, সেটা হচ্ছে রাজনৈতিক মুখ নেই। রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে নিয়মিত আলোচনা করে তা কমানো যেত। এটা বোধহয় বেশি করা যাচ্ছে না, কম (আলোচনা) হচ্ছে। তাতে রাজনৈতিক দুর্বলতা থাকছে।

শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এই আহ্বান জানান তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের দেশে এ ধরনের পরিবর্তনের পর যেটি হয় (সবকিছুতেই হয়), সরকারে একটি সমস্যা দেখা দেয়। স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে সমস্যা দেখা দেয়। সুযোগ সন্ধানীরা সুযোগ নিতে চায়। বাংলাদেশের সংস্কৃতিতে এটা আছে। তদবির বেড়ে যায় খুব। সবাই তখন নতুন সরকারের কাছে যেতে চায়। ফলে আমরা যদি আশা করি, সরকার দ্রুত সুন্দর ও সঠিকভাবে রান করবে, তা ঠিক হবে না।

তিনি আরও বলেন, এখনও সব জায়গায় নিরপেক্ষ বা পরিবর্তনের পক্ষের লোক বসানো সম্ভব হয়নি। ফ্যাসিবাদী সরকারের লোকজন রয়ে গেছে। এ বিষয়ে তাদের (সরকার) অজ্ঞতা রয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে যেহেতু তাদের আলোচনা কম হচ্ছে, তাই দূরত্ব থাকছে একটা। ফলে এ জায়গায় একটা সমস্যা থাকছে। তাই ৫ আগস্টের পর যতগুলো ঘটনা ঘটছে এগুলো বিচ্ছিন্ন নয়।

পার্বত্য চট্টগ্রামে সংঘর্ষের ঘটনা অন্তর্বর্তী সরকারকে বেকায়দায় ফেলার প্রক্রিয়া বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব। বললেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের ঘটনায় অনেকে সুযোগ নিচ্ছে। এটিকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে মনে করেন না তিনি।

মির্জা ফখরুলের মতে, আওয়ামী লীগ সরকার তাদের সাথে চুক্তি করেছে। কিন্তু সমস্যার সমাধান করেনি। আদিবাসীদের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যে ঘটনাগুলো হচ্ছে, এগুলোও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। দ্রুততম সময়ে সিদ্ধান্ত নিতে না পারায় সমস্যা হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি বন্ধ কোনো সমাধান না। তবে

জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে এ পর্যন্ত শহীদ হওয়া ১ হাজার ৪২৩ জনের নামের তালিকা পেয়েছে স্বাস্থ্য বিষয়ক কেন্দ্রীয় উপ-কমিটি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কমিটির সদস্য সচিব ও সমন্বয়ক তারেকুল ইসলাম।

শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আহত ও শহীদদের তালিকা ও সার্বিক সহযোগিতার বিষয়ে দেয়া এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান। তবে, এ সংখ্যা আরও কমতে বা বাড়তে পারে বলেও জানান উপ-কমিটির এই সদস্য সচিব।

তিনি বলেন, গত এক মাস ধরে নানান ভাবে যাচাই-বাছাইয়ের পর পাওয়া সবশেষ তথ্যমতে আহত পাওয়া গেছে ২২ হাজার। চিরতরে পঙ্গু বা অঙ্গহানী হয়েছে এমন ব্যক্তির সংখ্যা ৫৮৭।

আন্দোলনে চোখে গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে ৬৮৫ জন। তারমধ্যে ৯২ জন ব্যক্তির দুই চোখ চিরতরে নষ্ট হয়ে গেছে।

এছাড়া, জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন ও সরকার আলাদা আলাদাভাবে শহীদ ও আহতদেরকে ভাতা বা অনুদান প্রদান করবে বলেও জানান তিনি।

তারেকুল ইসলাম বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে প্রাথমিকভাবে নিহতদের পরিবারকে ৮ লাখ টাকা দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। একইসাথে আহতদেরকে সর্বোচ্চ ৪ লাখ টাকা করে দেয়া হতে পারে। এছাড়াও সরকারের পক্ষ থেকে শহীদ পরিবারকে মাসিক ২০ থেকে ৩০ হাজার করে মাসিক ভাতা দেয়া হতে পারে। তবে এসব সিদ্ধান্ত এখনও চূড়ান্ত হয়নি বলেও জানান তিনি।

গত ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হন বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওইদিনই বোন শেখ রেহানাকে সঙ্গে নিয়ে দেশ ছাড়েন তিনি। পালিয়ে যান ভারতে। তখন থেকে দেশটিতে অবস্থান করছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।

ভারতের কোথায় তিনি আছেন, সেই স্থানের নাম প্রকাশ্যে আসেনি। কেবল জানা গিয়েছিল, দেশটির সরকারি তত্ত্বাবধানে দিল্লির একটি সেফ হাউসে অবস্থান করছেন শেখ হাসিনা। এরমধ্যে বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ফিনান্সিয়াল টাইমস শেখ হাসিনার বিষয়ে চাঞ্চল্যকর খবর দিয়েছে।

সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, ভারতের রাজধানী দিল্লিতে মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের সঙ্গে থাকছেন শেখ হাসিনা। এমনকি তাকে কিছু লোকজন নিয়ে দিল্লির অন্যতম অভিজাত পার্ক লোদি গার্ডেনেও ঘুরতে দেখা গেছে।

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতা যখন একদফা দাবিতে গণভবনের দিকে মিছিল সহকারে এগিয়ে যাচ্ছিল, তখন শেখ হাসিনা বাংলাদেশের একটি সামরিক বিমানে করে ভারতে পালিয়ে যান। ভারতের গাজিয়াবাদের কাছে একটি বিমান বাহিনীর ঘাঁটিতে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাকে নামিয়ে দিয়ে দেশে ফিরে ওই বিমানটি।

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দিল্লির সাথে ঢাকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও পররাষ্ট্রনীতিতে কিছুটা পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে। আওয়ামী লীগের টানা দেড় দশকের শাসনমলে এই সরকারকে সমর্থন দিয়েছে দিল্লি। তার ক্ষমকাচ্যুতিতে এর আঁচ লেগেছে দুই দেশের সম্পর্কেও।

এদিকে, গত জুলাই-আগস্টে আন্দোলন-বিক্ষোভের সময় শত শত মানুষ হত্যাকাণ্ডের জন্য শেখ হাসিনাকে দায়ী করছে বাংলাদেশের ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এই সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল ফিনান্সিয়াল টাইমসকে বলেছেন, ভারতের সাথে (স্বাক্ষরিত) বাংলাদেশের চুক্তি অনুযায়ী, আমরা তাকে বাংলাদেশের কাছে প্রত্যর্পণের দাবি জানাতে পারি। আপাতত, আমরা আশা করি, তাকে দিয়ে বাংলাদেশে অস্থিতিশীলতা ঘটাতে দেবে না ভারত। কারণ, তিনি মিথ্যা ও ভুল তথ্য ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করছেন।

শেখ হাসিনার পালিয়ে যাওয়ার পর প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশ তাকে (হাসিনাকে) ফিরিয়ে না আনা পর্যন্ত ভারত যদি তাকে রাখতেই চায়, তবে এক্ষেত্রে শর্ত থাকবে, তাকে চুপ থাকতে হবে।

ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং সরকারের সময় দায়িত্বপালন করা সাবেক পররাষ্ট্র সচিব এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা শিবশঙ্কর মেনন বলেছেন, প্রতিবেশী দেশ থেকে ভারতে পালিয়ে আসার অনেক নজির রয়েছে। আমরা সবসময় তাদের (পালিয়ে আসা নেতাদের) থাকার অনুমতি দিয়েছি এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তারা আমাদের ইচ্ছাকে সম্মান করে রাজনৈতিক কার্যকলাপ থেকে দূরে থেকেছে।

রাজধানীর কোতোয়ালি থানার বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

আজ (বৃহস্পতিবার) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আরিফুর রহমানের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

আজ বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে তাদের কারাগার থেকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। এরপর এ মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখানোসহ সাতদিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক রাশিদুল হাসান। এসময় আসামিপক্ষে রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে শুনানি করেন। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মহানগর হাকিম মো. আরিফুর রহমান জামিন নামঞ্জুর করে রিমান্ডের আদেশ দেন। 

এর আগে, গত ১৩ সেপ্টেম্বর নিউমার্কেট থানার উপ-পরিদর্শক সজীব মিয়া বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় এই মামলা করেন।

গত ১৩ আগস্ট গোপন তথ্যের ভিত্তিতে নৌপথে পলায়নরত অবস্থায় রাজধানীর সদরঘাট এলাকা থেকে সালমান এফ রহমান, আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে গ্রেফতার করা হয়।

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর উল্যাহ গুলশান থেকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে তাকে গ্রেফতারের বিষয়টি জানায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

তবে তাৎক্ষণিকভাবে কোন মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে তা জানা যায়নি।

প্রসঙ্গত, ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে তৎকালীন ফরিদপুর-৫ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন কাজী জাফর উল্যাহ। পরে ২০১৪ ও ২০১৮ সালে ফরিদপুর-৪ আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সনের কাছে হারেন তিনি। সবশেষ ২০২৪ সালের নির্বাচনেও নিক্সনের কাছে পরাজিত হন আওয়ামী লীগের এই প্রেসিডিয়াম সদস্য।

সুপ্রিম কোর্টে আসা সেবাগ্রহীতাদের প্রতি সহানুভূতিশীল আচরন, দ্রুত সেবা নিশ্চিতসহ মোট ১২টি নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। সুপ্রিম কোর্টে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের প্রতি তিনি এই নির্দেশনা দেন। বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সুপ্রীম কোর্টের কনফারেন্স কক্ষে এক অনুষ্ঠানে তিনি এই নির্দেশনা দেন।

প্রধান বিচারপতি বলেন, বিচার প্রত্যাশী ও তাদের আইনজীবীদের সাথে ভালো ব্যবহার ও সেবা প্রদান করতে হবে। এছাড়া, তিনি আর্থিক লেনদেন বর্জন, সেবা প্রদানে অহেতুক বিলম্ব না করা, দিনের কাজ দিনেই শেষ করাসহ মোট ১২ দফা নির্দেশনা দেন।

সৈয়দ রেফাত আহমেদ আরও বলেন, প্রত্যেক শাখার সহকারী ও ডেপুটি রেজিস্ট্রার তাদের কার্যক্রম সম্পর্কে অতিরিক্ত রেজিস্ট্রারকে নিয়মিত অবহিত করবেন। এবং অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার চার সপ্তাহ পর পর তাদের কার্যক্রম সম্পর্কে হাইকোর্ট ও আপীল বিভাগের রেজিস্ট্রার ও রেজিস্টারকে (বিচার) অবহিত করবেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

উল্লেখ্য, বর্তমানে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে ৩৮ টি শাখা এবং আপিল বিভাগে ১৯ টি শাখা রয়েছে। সুপ্রিম কোর্টে ১ জন রেজিস্ট্রার জেনারেল, ৩ জন রেজিস্ট্রার, ৪ জন অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার, ১ জন স্পেশাল অফিসার, ১২ জন ডেপুটি রেজিস্ট্রার, ২০ জন সহকারী রেজিস্ট্রারসহ বিভিন্ন কোর্ট ও শাখায় মোট আড়াইহাজার কর্মকর্তা-কর্মচারি কর্মরত রয়েছেন।

সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক আলী রীয়াজ। বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, গত ১১ সেপ্টেম্বর জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা রাষ্ট্রের বিভিন্ন খাতে সংস্কারের লক্ষ্যে ৬টি কমিশন গঠন এবং কমিশন প্রধানদের নাম ঘোষণা করেন। সে পরিপ্রেক্ষিতে সূত্রে উল্লিখিত স্মারকে সরকার ৬টি কমিশন গঠন করেছিল এবং সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে ড. শাহদীন মালিক এর নাম উল্লেখ করা হয়েছিল। সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে ড. শাহদীন মালিক এর পরিবর্তে অধ্যাপক আলী রীয়াজ এর নাম অন্তর্ভুক্ত করে নিম্নরুপ কমিশন গঠনের জন্য অনুশাসন প্রদান করেছেন প্রধান উপদেষ্টা।

এমতাবস্থায় অধ্যাপক আলী রীয়াজকে প্রধান করে সংবিধান সংস্কার কমিশন গঠন, কার্যপরিধি নির্ধারণ এবং কমিশনকে সাচিবিক সহায়তা প্রদানের জন্য প্রজ্ঞাপনে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়।

রাষ্ট্রবিজ্ঞানী আলী রীয়াজ যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির ডিস্টিংগুইশড প্রফেসর, আটলান্টিক কাউন্সিলের সিনিয়র অনাবাসিক ফেলো ও আমেরিকান ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ স্টাডিজের (এআইবিএস) প্রেসিডেন্ট। তিনি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত। তার গবেষণার বিষয়গুলোর মধ্যে আছে গণতন্ত্র, সহিংস উগ্রবাদ, ধর্ম ও রাজনীতি, দক্ষিণ এশিয়া ও বাংলাদেশের রাজনীতি।

সম্পাদক ও প্রকাশক : মঈনুদ্দিন কাজল
deshermatidaily@gmail.com
০১৬১৫১১২২৬৬, ০১৬৭৩৫৬২৭১৬

দেশের মাটি কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।