অর্ধশত গ্রাম প্লাবিত, সুনামগঞ্জে দুর্ভোগে নিম্নাঞ্চলের মানুষ
সোমবার ভোর থেকে সুনামগঞ্জে ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের ফলে শহরে পানি প্রবেশ করতে শুরু করে। অন্তত শহরের ৩০ শতাংশ এলাকায় ঢলের পানি আসে। তবে, বেলা ১২টার পর থেকে বৃষ্টি না হওয়ায় শহর থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। এখনো শহরের পশ্চিম হাজিপাড়া, উকিলপাড়া ও বড়পাড়া আবাসিক এলাকার সড়ক ডুবে আছে পানিতে।
শহর থেকে পানি নামলেও সুরমা নদীর সুনামগঞ্জ পয়েন্টে এখনো বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার ও ছাতক পয়েন্টে বিপৎসীমার ১০৯ সেন্টিমিটারের ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে। প্লাবিত আছে জেলার ৬ উপজেলার অর্ধশত গ্রাম। ভোগান্তিতে লক্ষাধিক মানুষ।
জেলার সুনামগঞ্জ সদর, ছাতক, দিরাই, দোয়ারাবাজার, বিশ্বম্ভরপুর ও তাহিরপুর উপজেলার অধিকাংশ গ্রামীণ সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন এসব উপজেলার বাসিন্দারা। এই ছয় উপজেলার অর্ধশত গ্রামের বসতভিটায় পানি আসায় ঈদের দিনে দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন।
এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার জানিয়েছেন, আগামী ৪৮ ঘণ্টা ভারী বর্ষণ হতে পারে। এই সময়ে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে, বড় ধরনের বন্যা হবে না বলে জানান এই কর্মকর্তা। তিনি বলেন, বন্যার পানি দ্রুত নেমে যাবে। আগামী বুধ ও বৃহস্পতিবার ভারী বর্ষণ হতে পারে। মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকেই বর্ষণ শুরু হতে পারে।