অপরাধ

জুলাই গণহত্যার ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৫২ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় আরও একটি অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। এরমধ্যে গণহত্যায় উস্কানি দেয়ায় ৩২ জন সিনিয়র সাংবাদিককেও অভিযুক্ত করা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এম এইচ গাজী তামিম। তিনি জানান, আন্দোলনে নিহত রিহানের বাবা গোলাম রাজ্জাক আন্তর্জাতিক আদালতে এ আবেদন করেন।

প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট রাজধানীর শ্যামলী রিং রোডে বিজয় মিছিল চলাকালে গুলিতে নিহত হয় রিহান। সে মিরপুর বিসিআইসি কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গুলি চালালে রিহানের মুখে, মাথায় ও গলায় গুলি লাগে। এতে ঘটনাস্থলেই সে মারা যায়।

অভিযোগে শেখ হাসিনা ছাড়াও তার আমলের ২০ জন মন্ত্রী-এমপি, উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তাদের অভিযুক্ত করা হয়েছে। এছাড়াও ৩২ জন সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধির নামও আছে।

এই আইনজীবী জানান, যারা ৩ আগস্ট শেখ হাসিনার সাথে দেখা করেছিলেন এবং সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন করে উস্কানি দিয়েছেন এবং টক শো করে গণহত্যার বৈধতা দিয়েছেন, মূলত তাদেরকেই অভিযুক্ত করা হয়েছে এই অভিযোগে।

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুুত আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক ৮ মন্ত্রী ও ৬ সংসদ সদস্যসহ মোট ১৪ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আস সামছ জগলুল হোসেনের আদালতে দুদকের উপ-পরিচালক আবু হেনা আশিকুর রহমান দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার এ আবেদন করেন।

আবেদনে বলা হয়, বিগত সরকারের সাবেক মন্ত্রী ও বিভিন্ন নির্বাচনী এলাকায় এমপিদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম এবং দুর্নীতির মাধ্যম অকল্পনীয় অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অভিযুক্ত সাবেক মন্ত্রী ও বিভিন্ন নির্বাচনী এলাকার এমপিদের দেশ ছেড়ে বিদেশে পালাতে পারেন মর্মে বিশ্বস্ত সূত্র জানা গেছে। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞার প্রয়োজন।

দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া মন্ত্রীরা হলেন- সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ডা. দীপু মনি, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, সাবেক শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, সাবেক শিল্পমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, সাবেক মন্ত্রী শাহজাহান খান ও সাবেক মন্ত্রী কামরুল ইসলাম।

নিষেধাজ্ঞা দেয়া সংসদ সদস্যরা হলেন- সাবেক সংসদ সদস্য সলিম উদ্দিন, মামুনুর রশিদ কিরণ, কুজেন্দ্র লালা ত্রিপুরা, কাজীম উদ্দিন, নুর-ই-আলম চৌধুরী ও জিয়াউর রহমান।

বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি কৃষ্ণপদ রায় ও ডিআইজি মোজ্জাম্মেল হককে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে। কৃষ্ণ পদ রায় পুলিশ সদর দফতরে এবং মোজাম্মেল হক খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

আজ মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পৃথক দুটি প্রজ্ঞাপনে তাদের চাকরির মেয়াদ থাকা সত্ত্বেও অবসরে পাঠানো হয়েছে।

সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ (২০১৮ সালের ৫৭ নং আইন) এর ৪৫ ধারার বিধান অনুযায়ী জনস্বার্থে সরকারি চাকরি থেকে তাদের অবসর দেওয়া হয়েছে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে। তারা বিধি অনুযায়ী অবসরজনিত ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা পাবেন।

এতে আরও বলা হয়, প্রজ্ঞাপনটি অবিলম্বে কার্যকর করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এর আগে, পুলিশের কর্মকর্তা পদে আবারও বড় রদবদল করা হয়। এর মধ্যে ২৪টি জেলায় নতুন এসপি নিয়োগ দেয়া হয়। আর এসব জেলার বর্তমান  পুলিশ সুপারদের বদলি করা হয়।

সদ্য বিদায়ী আওয়ামী লীগ সরকারের তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাতকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে বিশেষ সূত্রে জানা গেছে।

তবে ঠিক কোন মামলায় আরাফাতকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৭ আসন থেকে জয়ী হন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। অনেকটা প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়াই নৌকার প্রার্থী হিসেবে জয়ী হন তিনি। পরে শেখ হাসিনার নতুন মন্ত্রিসভায় প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন।

আরাফাত দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের একজন থিংক ট্যাঙ্ক হিসেবে কাজ করছেন। তিনি ২০২২ সালের ডিসেম্বরে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য হন।

এর আগে, ২০২৩ সালের জুলাইতে ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে ‘হিরো আলম’কে হারিয়ে ২৮ হাজার ৮১৬ ভোটে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।

উল্লেখ্য, ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর সাবেক এই প্রতিমন্ত্রীকে জনসমক্ষে দেখা যায়নি। তিনি কোথায় আছেন, সে সম্পর্কেও কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

এদিকে, গত ১২ আগস্ট মোহাম্মদ আলী আরাফাত, তার স্ত্রী ও তাদের মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবে লেনদেন স্থগিত করার আদেশ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংকর আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগ (বিএফআইইউ)।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নির্বিচারে হত্যার দায়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ এবং নির্বাচন কমিশনে দলটির নিবন্ধন বাতিল চেয়ে দায়ের করা রিটের শুনানির পরবর্তী দিন আগামী রোববার (১ সেপ্টেম্বর) নির্ধারণ করেছেন হাইকোর্ট।

আজ মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি মো. মাহবুবুল উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। রিটের পক্ষে রিটকারী আরিফুর রহমান মুরাদ ভূঁইয়া শুনানি করেন।

শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, আওয়ামী লীগের অপরাদের বিচার আইন অনুযায়ী হবে। দলটি নিষিদ্ধ ও নিবন্ধন বাতিল করা সংবিধান পরিপন্থী। আদালত একটি রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল করতে পারেন না।

তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার সংবিধান অনুযায়ী আছেন। তারা কতদিন থাকবেন, সেটা আদালতের আদেশের জন্য নিয়ে আসার বিষয় না। রিটের এই বিষয়টি মেইনটেবল না।

কোনো রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করার ইচ্ছে বর্তমান সরকারের নেই বলে শুনানিতে জানান জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।

ছাত্র-জনতাকে নির্বিচারে হত্যার দায়ে গত ১৯ আগস্ট বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ও নিবন্ধন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিটটি করা হয়। মানবাধিকার সংগঠন সারডা সোসাইটির পক্ষে নির্বাহী পরিচালক আরিফুর রহমান মুরাদ ভূঁইয়া রিটটি করেন। এই রিটে যেসব প্রতিষ্ঠান শেখ হাসিনার নামে রয়েছে সেগুলোর নাম পরিবর্তনও চাওয়া হয়েছে।

এছাড়া রিটে দেশ সংস্কারের লক্ষ্যে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ সর্বনিম্ন তিন বছর চাওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে বিদেশে পাচার করা ১১ লাখ কোটি টাকা ফেরত আনতে এবং বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের বদলি চাওয়া হয়েছে।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ঘটা ‘গণহত্যা’ তদন্তে বাংলাদেশ জাতিসংঘকে সব ধরনের সহযোগিতা করবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) সচিবালয়ে জাতিসংঘের তিন সদস্যের প্রতিনিধি দলের সাথে বৈঠক শেষে এ কথা জানান তিনি।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি সৈন্য নেয়ার বিষয়ে আশ্বস্ত করেছেন প্রতিনিধিরা। তারা জানিয়েছেন বাংলাদেশের অবস্থান অক্ষুণ্ণ থাকবে।

বৈঠক শেষে জাতিসংঘের হাইকমিশনার দফতরের এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রধান রোরি মুঙ্গোভেন জানান, ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থান চলাকালে সংঘটিত নৃশংসতা তদন্তের বিষয়ে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, সব অভিযোগের সত্যানুসন্ধান ইতিবাচকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া বাংলাদেশের সরকার, শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনগণ সবাই সহযোগিতা করছে বলেও জানান তিনি।

আলোচিত ব্যবসায়িক গোষ্ঠী এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে আসার পর ইসলামী ব্যাংকের ঋণ ‘অনিয়মে’ নাম আসা রাজশাহীভিত্তিক শিল্প গ্রুপ নাবিলের ঋণ গিয়ে ঠেকেছে প্রায় ১৩ হাজার কোটি টাকায়; যেসব ঋণ দিতে নিয়ম না মানার তথ্য উঠে এসেছে বেসরকারি খাতের বৃহত্তম এ ব্যাংক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের নথিপত্রে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন ও ইসলামী ব্যাংকের নথিপত্র ঘেঁটে দেখা যায়, গত কয়েকবছরে ঋণ ‘অনিয়মে’ নাম আসা আলোচিত নাবিল গ্রুপকে নামে ও ভিন্ন নামে ঋণ দেওয়া হয়েছে ইসলামী ব্যাংকের রাজধানীর গুলশান এবং রাজশাহী অঞ্চলের কয়েকটি শাখা থেকে। নিয়ম ভেঙে গ্রুপটিকে বিশেষ সুবিধায় সীমার অতিরিক্ত ঋণ প্রদান করেছে ব্যাংকটি।

ইসলামী ব্যাংকের নথিপত্র পর্যালোচনা করে ও সংশ্লিষ্ট একাধিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নাবিল গ্রুপ দুইভাবে ঋণ নিয়েছে। প্রত্যক্ষ বা সরাসরি ঋণ, আরেকটি হল পরোক্ষ ঋণ।

আর নাবিল গ্রুপের বিভিন্ন কোম্পানিকে দেওয়া হয়েছে মোট প্রায় তিন হাজার ৮৩৩ কোটি টাকা। একক ঋণ সীমার নিয়ম এক্ষেত্রেও মানা হয়নি।

দেশের বৃহত্তম বেসরকারি এ ব্যাংকের ঋণ বিতরণ সংক্রান্ত বিভাগের একাধিক কর্মকর্তা বলেন, ওই সময় ব্যাংকের প্রভাবশালীদের কথায় কোনো রকম নিরীক্ষা ছাড়াই এসব কোম্পানিকে ঋণ দেওয়া হয়েছে। নামে ভিন্ন হলেও ইসলামী ব্যাংকের নথিপত্রে এ ঋণগুলো স্পষ্ট নাবিল গ্রুপের নামেই রয়েছে।

সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আওয়ামী লীগের দুই নেতাকে আটক করেছে ইমিগ্রেশন পুলিশ। আজ সোমবার রাত পৌনে নয়টার দিকে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাঁদের আটক করা হয়।

আটক ব্যক্তিরা হলেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শামীম আহমদ ও প্রচার সম্পাদক আবদুর রহমান জামিল। আবদুর রহমান জামিল রেড ক্রিসেন্ট সিলেট শাখারও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছিলেন।

সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, সোমবার রাতে আওয়ামী লীগের ওই দুই নেতা সৌদি আরব যাওয়ার উদ্দেশ্যে বিমানবন্দরে যান। রাত পৌনে নয়টার দিকে ইমিগ্রেশনে গেলে তাঁদের আটক করা হয়। পরে সিলেট ওসমানী বিমানবন্দর থেকে সিলেট মহানগর পুলিশকে জানানো হয়।

সিলেট কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নুনু মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, আটক দুজনকে থানায় আনার প্রক্রিয়া চলছে। তাঁদের কোন মামলায় গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, মামলার বিষয়টি তাঁরা দেখছেন।

‘নারায়ণগঞ্জ-১’ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী এবং গাজী গ্রুপের চেয়ারম্যান গোলাম দস্তগীর গাজীকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। 

শনিবার (২৪ আগস্ট) দিবাগত মধ্যরাতে তাকে শান্তিনগর থেকে আটক করা হয়। গত ২১ আগস্ট, নারায়নগঞ্জের রূপগঞ্জ থানায় তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।

এরপর ৫ আগস্ট, শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর, আনন্দ-মিছিলে রূপগঞ্জে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায় স্কুলছাত্র রোমান মিয়া। এ ঘটনায়, নিহতের খালা রিনা বাদি হয়ে শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের, গোলাম দস্তগীর গাজী ও তার ছেলেসহ আসামি করে মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় ৪৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৬০ জনকে আসামি করা হয়।

রাজধানীর নিউমার্কেট ও লালবাগ থানার পৃথক হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানকে ৫ দিন করে মোট ১০ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।

শনিবার (২৪ আগস্ট) রাতে শুনানি শেষে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এই আদেশ দেন।

আদালত সূত্র জানা যায়, লালবাগ থানায় দায়ের করা আইডিয়াল কলেজ শিক্ষার্থী খালেদ সাইফুল্লাহ হত্যা মামলায় পাঁচদিন এবং নিউমার্কেট থানার আরেকটি হত্যা মামলায় পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

প্রসঙ্গত, ঢাকা কলেজের সামনে হতাহতের ঘটনায় ১০ দিনের রিমান্ড শেষে শনিবার সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হককে আদালতে তোলা হয়। তাছাড়া, একইসাথে রাজধানীর নিউমার্কেট থানার শাহজাহান হত্যা মামলায় ৮ দিনের রিমান্ড শেষে জিয়াউল আহসানকেও আদালতে তোলা হয়।

উল্লেখ্য, গত ১৩ আগস্ট নৌপথে পালানোর সময় কোস্টগার্ডের হাতে গ্রেফতার হন সালমান এফ রহমান ও সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। অপরদিকে, ১৫ আগস্ট জিয়াউল আহসানকে খিলক্ষেত এলাকা থেকে গ্রেফতারের কথা জানায় পুলিশ।

সম্পাদক ও প্রকাশক : মঈনুদ্দিন কাজল
deshermatidaily@gmail.com
০১৬১৫১১২২৬৬, ০১৬৭৩৫৬২৭১৬

দেশের মাটি কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।