এইচএসসি পরীক্ষায় ফেল করেও ফলাফল বাতিলের দাবিতে সচিবালয়ের ভেতরে ঢুকে বিক্ষোভকারী ২৬ জন ছাত্রলীগের নেতাকর্মী। রাজধানীর শাহবাগ থানায় হওয়া মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। বিক্ষোভকারী বাকি ২৮ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে, গতকাল বুধবার সচিবালয়ে অবৈধভাবে প্রবেশ করে বিক্ষোভের ঘটনায় ৫৪ জনকে আটক করা হয়েছিল। এই ঘটনায় শাহবাগ থানার মামলায় ২৬ জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকি ২৮ জনকে তাঁদের অভিভাবকের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় হওয়া মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৬০-৭০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক : চলমান চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক হাসপাতালের আন্দোলনকে সামনে রেখে অসাধু কর্মচারী ও কর্মকর্তারা নিজেদের স্বার্থ হাসিল করতে বিভিন্ন সময় নানা অনৈতিক কর্মকান্ড করে যাচ্ছেন। সম্প্রতি হাসপাতালের কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, হাসপাতালে সেবার কর্মসূচি বাদ দিয়ে কতিপয় কর্মকর্তারা বিভিন্ন উদ্দেশ্য হাসিলের লক্ষে হাসপাতালের কর্মচারীদের হয়রানি করছে। আন্দোলনের মুল উদ্দশ্য ফ্যাসিবাদী কিংবা দূর্নীতিবাজ হটাও হলেও এখন ব্যক্তিগত সুবিধা নেয়াটাই তাদের লক্ষ। শুধু তাই নয় আন্দোলনে নেতৃত্বে যারা রয়েছে তাদের নিয়ে বিভিন্ন মহলে চলছে সমালোচনা। কারন ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে ফ্যাসিবাদের দোষররাই।
এমনকি ৫ আগষ্টের ছাত্র আন্দোলনে বাধাপ্রধানকারী ও চট্টগ্রাম সিআরবিতে ছাত্রদের উপর হামলাকারীদের কয়েকজন রয়েছে এ হাসপাতালের আন্দোলনে। তাদের মধ্যে শাওন হোসেন চট্টগ্রাম বঙ্গবন্ধু ছাত্র পরিষদের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে। অভিযোগ রয়েছে শাওন চট্টগ্রামে সিআরবি ডাবল মার্ডার আসামি ছাত্রলীগ নেতা সাইফুল আলম লিমনের ঘনিষ্ঠ। শাওন কিভাবে ডায়াবেটিস হাসপাতালে ফ্যাসিবাদীদের বিরুদ্ধে আন্দোলনের মূল হোতা হয় এই নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্নের উৎপত্তি হয়েছে।
এছাড়া আন্দোলনের নেতৃত্বের নাম ভাঙ্গিয়ে যারা চলছে তাদের মধ্যে রবিউল হোসেন, হাবীব, খসরু, সুজন ইসহাকসহ আরো অনেকেই ৫ আগষ্টের পর দূর্নীতিবাজের খোলস পাল্টে হয়ে গেছেন দূর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলনকারী। স্থানীয় কয়েকজন বিএনপি নেতার ইন্ধনেই মূলত এসব অপকর্মের শক্তি হিসেবে কাজ করছে বলে জানা যায়।
এবিষয়ে নগরীর নবনিযুক্ত মেয়র ডা. শাহাদাত, চট্টগ্রাম প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর সহায়তা কামনা করেন সাধারণ কর্মকর্তা কর্মচারীরা।
তাদের দাবী আন্দোলনের আড়ালে সুযোগ সন্ধানীরা যেন সুযোগ না পায় এবং এক অপরাধের বিরুদ্ধে অন্য অপরাধীরা বহাল তবিয়তে খোলস পাল্টানোর সুযোগ না পায়।
অটোপাসের দাবিতে সচিবালয়ে অনুপ্রবেশ করে বিক্ষোভের ঘটনায় আটক শিক্ষার্থীদের মধ্যে ২৬ এইচএসসি পরীক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে তাদের আদালতে তোলা হবে জানা গেছে।
এদিকে, আটক অপর ২৮ শিক্ষার্থীকে মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে শাহবাগ থানা পুলিশ।
গতকাল বুধবার এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল পুনরায় প্রকাশের দাবিতে শতাধিক শিক্ষার্থী সচিবালয়ে ঢুকে পড়েন। একপর্যায়ে বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের লাঠিপেটা করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এ সময় তাড়া খেয়ে ছত্রভঙ্গ হয়ে যান শিক্ষার্থীরা। তাদের মধ্যে কিছু শিক্ষার্থী সচিবালয়ের ভেতরে আটকা পড়েন। পরে তাদেরকে আটক করে পুলিশের প্রিজনভ্যানে তোলা হয়।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করেছে সরকার। বুধবার (২৩ অক্টোবর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের রাজনৈতিক শাখা-২ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী বিভিন্ন সময়ে বিশেষ করিয়া বিগত ১৫ বৎসরের স্বৈরাচারী শাসনামলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ হত্যা, নির্যাতন, গণরুমকেন্দ্রিক নিপীড়ন, ছাত্রাবাসে সিট বাণিজ্য, টেন্ডারবাজি, ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নসহ নানাবিধ জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল এবং এতৎসম্পর্কিত প্রামাণ্য তথ্য দেশের সকল প্রধান গণমাধ্যমে প্রকাশিত হইয়াছে এবং কিছু সন্ত্রাসী ঘটনায় সংগঠনটির নেতাকর্মীদের অপরাধ আদালতেও প্রমাণিত হইয়াছে।
এতে আরও বলা হয়, ১৫ জুলাই ২০২৪ তারিখ হইতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আন্দোলনরত ছাত্র-ছাত্রী ও সাধারণ জনগণকে উন্মত্ত ও বেপরোয়া সশস্ত্র আক্রমণ করিয়া শতশত নিরপরাধ শিক্ষার্থী ও ব্যক্তিদের হত্যা করিয়াছে, আরও অসংখ্য মানুষের জীবন বিপন্ন করিয়াছে এবংযেহেতু সরকারের নিকট যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ রহিয়াছে যে ৫ আগস্ট ২০২৪ তারিখ আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক, ধ্বংসাত্মক ও উসকানিনিমূলক কর্মকাণ্ড এবং বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যের সহিত জড়িত রহিয়াছে; সেহেতু সরকার ‘সন্ত্রাস বিরোধী আইন, ২০০৯’ এর ধারা ১৮ এর উপ-ধারা (১) এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করিল এবং উক্ত আইনের তফসিল-২ এ বাংলাদেশ ছাত্রলীগ নামীয় ছাত্র সংগঠনকে নিষিদ্ধ সত্ত্বা হিসেবে তালিকাভুক্ত করিল।
এই সপ্তাহের মধ্যে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। গতকাল সংগঠনটির দেয়া ৫ দফার একটি ছিল ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। এই দাবি ঘোষণার একদিনের মাথায় ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা হলো।
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের অপসারণসহ চার দফা দাবিতে বঙ্গভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছে শিক্ষার্থীরা। ঘেরাও ও অবস্থান কর্মসূচির উদ্দেশ্যে মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে তারা বঙ্গভবনের সামনে অবস্থান নেন।
এদিকে, ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণায় সংশ্লিষ্ট এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। মোতায়েন করা হয়েছে বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য। এছাড়া পুলিশ ও সেনাবাহিনীর এপিসি, জলকামান প্রস্তুত রয়েছে।
দুপুর ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রাজু ভাস্কর্য থেকে মিছিল শুরু করে বঙ্গভবনের দিকে যায় স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা কমিটি। হাইকোর্ট মাজার মোড় এলাকায় পুলিশের বাধা অতিক্রম করে বঙ্গভবন পর্যন্ত এগিয়ে যায়। সেখানে তারা ভেতরে অবস্থান করতে চাইলে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। পরে মোড়ে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা কমিটির নেতৃবৃন্দ। এছাড়া, সেখানে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে ‘রক্তিম জুলাই-২০২৪’ ব্যানারে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ করতে যায় অর্ধশত জনতাকে। ব্যক্তিগত ব্যানারেও কেউ কেউ অবস্থান নিয়েছেন।
রাষ্ট্রপ্রধানের পদত্যাগ ও ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গণজমায়েত কর্মসূচি চলছে। সেখানে প্ল্যাটফর্মটির সমন্বয়করাসহ শিক্ষার্থী, জনতা অবস্থান নিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগের দালিলিক প্রমাণ নিজের কাছে নেই— মানবজমিনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের এমন মন্তব্য দেশের রাজনীতিতে উত্তাপ-আলোচনা সৃষ্টি করেছে বেশ। এমন মন্তব্যের জেরে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগ চাইছেন শিক্ষার্থীদেরসহ অনেকে। যদিও গতকাল সোমবার রাতে রাষ্ট্রপতির প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শেখ হাসিনার পদত্যাগের বিষয়টি মীমাংসিত। এ বিষয়ে নতুন করে কোনো বিতর্ক সৃষ্টি করে অন্তর্বর্তী সরকারকে অস্থিতিশীল কিংবা বিব্রত করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান মো. সাহাবুদ্দিন।
হত্যাচেষ্টা মামলায় হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন পেলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না। পুলিশ রিপোর্ট দাখিল পর্যন্ত তাকে জামিন দেয়া হয়েছে। সোমবার (২১ অক্টোবর) বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেন বেঞ্চ এ আদেশ।
পান্নার জামিন শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন সব দল ও মতের আইনজীবীরা। জামিনের বিরোধিতা করেনি রাষ্ট্রপক্ষ। ছাত্র আন্দোলনের সময় গুলি ও মারধরের ঘটনায় পান্নাসহ ১৮০ জনকে আসামি করে খিলগাঁও থানায় মামলাটি করা হয়।
গত ১৭ অক্টোবর মামলাটি করেন আহাদুলের বাবা মো. বাকের। এই মামলায় ৯৪ নম্বর আসামি করা হয় জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্নাকে। জামিনের পর এই জ্যেষ্ঠ আইনজীবীর ধারণা, বরিশালের মুলাদির অভ্যন্তরীণ রাজনীতির কারণে হয়রানি করতেই মামলাটি করা হয়।
এই মামলায় কষ্ট পেয়েছেন জানিয়ে জেড আই খান পান্না বলেন, মুক্তিযুদ্ধের প্রশ্নে তাকে কেউ বাকরুদ্ধ করতে পারবে না। তার আইনজীবী বলছেন, নিরাপরাধ ব্যক্তির নামে মামলা দিলে জুলাই-আগস্ট গণহত্যার প্রকৃত মামলাগুলো প্রশ্নবিদ্ধ হবে।
বিচারপতি এম এ মতিন বলেছেন, রায়ের তোয়াক্কা না করেই সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজের সিদ্ধান্তে ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা’ বাতিল করে দিয়েছিলেন। শনিবার (১৯ অক্টোবর) সকালে সিআরডিএপি অডিটোরিয়ামে হওয়া এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
বিচারপতি মতিন বলেন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিতে সংবিধানের ১১৬ নম্বর অনুচ্ছেদ পুর্নবহাল করতে হবে। এছাড়া সংবিধানের ৭০ নম্বর অনুচ্ছেদও সংশোধন করতে হবে। তবেই বিচার বিভাগের স্বাধীনতা আসবে। সংস্কারের উদ্দেশ্যেই এটি করা দরকার বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এসময় ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম বলেন, সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট আইনের মাধ্যমে গণমাধ্যমকে কুক্ষিগত করা হয়েছিল। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিচারবিভাগ স্বাধীন ছিল না উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিচারবিভাগ ক্ষমতাসীনদের আজ্ঞাবহ ছিল। বিচার বিভাগকে স্বাধীন করা অত্যন্ত জরুরি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গণহত্যার দায়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) বিচারকাজ শুরু হলে এ পরোয়ানা জারি করা হয়।
ট্রাইব্যুনালে আসা ৫৬টি অভিযোগের মধ্যে ৫৪টিতেই প্রধান আসামি করা হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে।
চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম জানান, ১৮ নভেম্বরের মধ্যে শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করে ট্রাইব্যুনালে হাজিরের নির্দেশ দেন আদালত। বিচারের অংশ হিসেবে গণহত্যা ঘিরে শেখ হাসিনাসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা দেয় ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন টিম।
ট্রাইব্যুনালের সূচনা বক্তব্যে বিডিআর বিদ্রোহে ৭৪ জনকে হত্যা, শাপলা চত্ত্বরে হেফাজতের সমাবেশে হত্যা, র্যাবের বিচার বহির্ভূত হত্যা, জুলাই-আগস্ট গণহত্যাসহ আওয়ামী শাসনামলে মানবতাবিরোধী অপরাধের সারসংক্ষেপ তুলে ধরা হয়।
উল্লেখ্য, একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্তদের বিচারের মুখোমুখি করতে ২০১০ সালে আওয়ামী লীগ সরকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে। সেই ট্রাইব্যুনালে জামায়াত-বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে দণ্ড ঘোষণা করা হয় এবং তা কার্যকরও হয়।
আজ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হচ্ছে জুলাই-আগস্ট গণহত্যার বিচারিক কার্যক্রম। যে ট্রাইব্যুনালে ৭১’র মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচার হয়েছে; সেখানেই ২৪’র গণঅভ্যুত্থান দমনে চালানো নিপীড়ন, হত্যাযজ্ঞের বিচারের দায়িত্ব পড়েছে। যার মূল আসামি- সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার সহযোগীরা।
মূল ভবনের সংস্কার কাজ প্রায় শেষের দিকে হলেও; আপাতত টিনশেডের এজলাসেই বসবে ট্রাইব্যুনাল। এখন পর্যন্ত তদন্ত সংস্থা এবং প্রসিকিউশনে ৫৬টি অভিযোগ জমা পড়েছে। যেগুলোর চলছে চার্জ ফ্রেমিংয়ের কাজ। অভিযুক্তের আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য বিদেশ থেকে আইনজীবী নিয়োগেরও সুযোগ রাখা হয়েছে।
দ্রুততম সময়ে বিতর্কমুক্ত একটি বিচারকাজ সম্পন্ন করতে আশাবাদী ট্রাইব্যুনালের নতুন প্রসিকিউশন টিম। কিন্তু, সাক্ষীদের নিরাপত্তা, ভুক্তভোগীর ক্ষতিপূরণ আইন এবং রাজনৈতিক দলকে সাজা দেয়ার এখতিয়ারের যে সংশোধনীর কথা বলা হচ্ছে; আন্তর্জাতিক মান নিশ্চিতে তার কতোটা হয়- সেটি বোঝা যাবে অধ্যাদেশ জারির পর।
আইনজ্ঞদের অভিমত, আন্তর্জাতিক অপরাধ আইন- ১৯৭৩-এর ২৬টি ধারার ৩ নম্বর জুরিসডিকশনে অপরাধের যে বর্ণনা দেয়া হয়েছে, যেগুলোর সাথে ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের নির্যাতনের মিল রয়েছে।
মোহাম্মদপুর থানা পুলিশের একটি দল রাজধানীর মহাখালী ডিওএইচএস এলাকা থেকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-আন্দোলনে হত্যার ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় দায়ের করা তিনটি পৃথক হত্যা মামলায় আজ বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় তাকে গ্রেফতার করা হয়।
আতিকুল ইসলাম ২০১৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের উপনির্বাচনে প্রথম মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হন। ২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তিনি পুনরায় মেয়র নির্বাচিত হন।
এর আগে তিনি বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
দেশের মাটি কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।