অপরাধ

ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা স্টেশন থেকে ২৩ বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করেছে ভারতীয় রেল পুলিশ। রোববার (২৮ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় সংবাদ সংস্থা এএনআই।

রেল পুলিশ জানায়, শনিবার (২৭ জুলাই) এসব বাংলাদেশিদের গ্রেফতার করা হয়। তাদের অধিকাংশের বয়স ১৯-৩০ বছরের মধ্যে। প্রাথমিকভাবে বেশীরভাগের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জে বলে জানা গেছে। তাদের মধ্যে একজন দালালও রয়েছে।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মো. সেলিম রেজা (২৭), রাম সাহা (২৪), আসমাউল হক (২০), জাকির হোসাইন (৪০), ইব্রাহিম খলিল (২৩), শাহীন আলী (২৮), নয়ন আলী (১৯), মো. ইলাহী হোসাইন (২১), মো. তাইব হোসাইন (১৯), মো. ডালিম (১৯), মো. আব্দুল আজিজ, মো. সাইফুল ইসলাম (২৫), সাহাবুদ্দিন শেখ (৩৩), মো. সাহিদুল ইসলাম (২০), মো. সুমন (২৬), মো. আমিরুল ইসলাম (২৪), হাজিকুল বাবু (২৩), রমজান শেখ (১৯), মো. মিজানুর (২৪), মো. রেহান শেখ (১৯)। এদের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায়। এছাড়া, মো. শাহীন  আলী (২৬), আলী আকবার (২৬) ও শাকিল শেখের (১৯) বাড়ি রাজশাহী জেলায় বলে জানা গেছে।

রেল পুলিশ আরও জানায়, গ্রেফতারকৃতদের বিষয়ে তদন্ত চলছে। পাশাপাশি তারা কী কারণে ত্রিপুরায় এসেছিলেন সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাছাড়া, এর সাথে কোনো বড় চক্র জড়িত কি না তাও তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানায় কর্তৃপক্ষ।

আব্দুল্লাহ আল মোমিন : পাবনায় পাচ রাউন্ড গুলিসহ বিদেশী রিভলবার উদ্ধার করেছে র‍্যাব ১২।

আজ (বুধবার) সকাল ৬ টায় র‍্যাব-১২ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর মোঃ এহতেশামুল হক খান এর নেতৃত্বে র‍্যাবের একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ‘পাবনা জেলার আমিনপুর থানাধীন হুগলাডাংগী সাকিনস্থ জনৈক মোঃ লালচাঁন মোল্লা (৬০), (পিতা-মৃত সেকেন্দার মোল্লা) এর বাড়ির সামনে সাগরকান্দি হইতে খৈলারমোড়গামী পাঁকা রাস্তার পার্শ্বে’ অভিযান পরিচালনা করে ০১ টি পরিত্যক্ত বিদেশী রিভলবার ও ০৫ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করে।

পরবর্তীতে উদ্ধারকৃত পরিত্যক্ত অস্ত্র এবং কার্তুজ পাবনা জেলার আমিনপুর থানায় জিডি মূলে জমা করা হয়।

আব্দুল্লাহ আল মোমিন: পাবনার সাঁথিয়া থানায়  ডাকাত চক্রের ৮ সক্রিয় সদস্য কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

পাবনা জেলা গোয়েন্দা  পুলিশ ও সাঁথিয়া থানার যৌথ অভিযানে চাঞ্চল্যকর ডাকাতি মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ ।এসময় আন্তঃ জেলা ডাকাত চক্রের ৮ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে । এসময় তাদের কাছ থেকে নগদ ৬৯০০০.০০ টাকা , ডাকাতি হওয়া ভিকটিমের ব্যবহৃত একটি মোবাইল ফোন , ৩ টি ককটেল , একটি স্লাই রেঞ্জ , ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত ৫ টি-শার্ট এবং প্যান্ট,  ব্যবহৃত ৮ টি মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই ) সকাল ১১ টায় পাবনা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পাবনার পুলিশ সুপার  আঃ আহাদ, বিপিএম, পিপিএম (বার)।

গ্রেফতাররা হলেন— পাবনা সাঁথিয়া উপজেলার গোপীনাথপুরের নজরুল ইসলাম এর  ছেলে  শাকিল হোসেন যদু (২৩) , পাবনা সাঁথিয়া উপজেলার কাজীপুর আবু মুসা এর ছেলে সিয়াম হোসেন (১৯), সাঁথিয়া উপজেলার গোপীনাথপুর দক্ষিনপাড়া গ্রামের আনছার আলীর ছেলে আরিফ প্রামানিক (২৮) , সাঁথিয়া উপজেলার গোপীনাথপুর দক্ষিনপাড়া গ্রামের রহিম মোল্লার ছেলে সুজন মোল্লা (৩৫) , সাঁথিয়া উপজেলার আফতার নগর ছেচানিয়া গ্রামের মৃতঃ কুদ্দুস এর ছেলে আঃ বাতেন (২৮), সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর থানার শেলাচাপড়ী গ্রামের মৃতঃ আঃ দুলাল  এর ছেলে আঃ মতিন (৪০) ,সাঁথিয়া উপজেলার গোপীনাথপুর দক্ষিনপাড়া গ্রামের মোঃ ইউনুস প্রামানিক এর ছেলে সানোয়ার হোসেন সানু (২৭), সাঁথিয়া উপজেলার গোপীনাথপুর দক্ষিনপাড়া গ্রামের হাফেজ মোল্লার ছেলে সাব্বির দুখু(২২) এবং ডাকাতির ঘটনার সাথে সরাসরি জড়িত আরো ৩ জন পলাতক আসামীদের যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ চেকপোস্ট পরিচালনাকালে  গত ১৪ জুলাই গ্রেফতার করে।

পুলিশ সুপার জানান,  পাবনা সাঁথিয়া থানার গোপীনাথপুর গ্রামের আব্দুস সালাম প্রামানিকের ছেলে আতিকুর রহমান জুয়েল (৩৫),গত ইং ১০জুলাই/২০২৪ তারিখ রাতে অনুমান ৩ টার সময় ইউরো কাপ ফুটবল ম্যাচ দেখে ঘুমিয়ে পরলে রাত আনুমানিক ৩.২০টায় ১৪/১৫ জনের একটি সশস্ত্র ডাকাত দল ভিকটিম জুয়েল এর শয়ন ঘরের দরজা ভাঙ্গিয়া প্রবেশ করে একজন ডাকাত তার হাতে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে ভিকটিম জুয়েল এর ডান হাতের কবজির উপরে ও পেটের ডান পার্শ্বে আঘাত করিয়া কাটা জখম সহ রশি দিয়া তাকে এবং তার স্ত্রীর হাত পা বেধে জিম্মি করিয়া ঘরে থাকা কাঠের শোকেচ এর তালা ভাঙ্গিয়া ০৩ ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার ও নগদ ১৫,০০,০০০.০০ টাকা সহ ০২টি মোবাইল ফোন ডাকাতি করিয়া দ্রুত পালিয়ে যায়। 

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) মাসুদ আলম এর তত্ত্বাবধানে ও ওসি ডিবি  এমরান মাহমুদ তুহিন, সাঁথিয়া থানার ওসি আনোয়ার হোসেন, এসআই মাহমুদুর রহমান, কং/১২১৮ রিমন হোসেন, পিপিএম সহ ডিবি পাবনার একটি চৌকস টিম তথ্য প্রযুক্তি ও স্থানীয় সোর্স এর সহায়তায় এবং অনুসন্ধানী নানান কৌশল ব্যবহার করে ডাকাত চক্রের সদস্যদের সনাক্ত করতে সক্ষম হয়। সনাক্তকৃত আসামীদের  গ্রেফতারের লক্ষে ঢাকা, গাজিপুর, মানিকগঞ্জ এবং পাবনা জেলার বিভিন্ন এলাকায় ৩ দিন ব্যাপি অভিযান পরিচলনা করিয়া আন্তঃ জেলা ডাকাত চক্রের মুল হোতা এবং পরিকল্পনাকারী শাকিল যদু সহ ০৮ (আট) জন ডাকাত চক্রের সক্রিয় সদস্যকে ডাকাতি করা মালামাল সহ আটক করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীদের কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে ।

শুক্রবার (১৩ জুলাই) পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার শ্রীরামকাঠী ইউনিয়েন উত্তর জয়পুর থেকে পুলিশ অভিযুক্ত ছেলে যতিশ বালাকে গ্রেফতারের তিনি পুলিশের কাছে তার মাকে হত্যার কথা স্বীকার করেন।

শুক্রবার রাতে এক প্রেস ব্রিফিং পিরোজপুরের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শরীফুল ইসলাম জানান, নিহত জুতিকা বালা (৫০) জেলার নাজিরপুর উপজেলার শ্রীরামকাঠী ইউনিয়নের উত্তর জয়পুর গ্রামের নারায়ন বালার স্ত্রী। বৃহস্পতিবার রাতে  তাকে ঘরের মধ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

এ ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত শুরু করে। পরবর্তীতে বিভিন্ন বিষয়ে তদন্ত করে নিহতের বড় ছেলে যতিশ বালাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে যতিশ পুলিশের কাছে তার মাকে ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যার কথা স্বীকার করে।

পুলিশের কাছে অভিযুক্ত যতিশ স্বীকারোক্তিতে বলেন, দীর্ঘদিন যাবত আর্থিক নানা সংকট ছিল তাদের। এর মধ্যে মাসে মাসে তার মায়ের জন্য ওষুধ কিনতে বেশ টাকা খরচ হতো। এ ছাড়ারও পরিবারে নানা কলহ ছিল। এসব কারণে তার মায়ের উপর তার ক্ষোভ ছিলো। তাই পূর্বপরিকল্পিকভাবে বৃহস্পতিবার রাতে ঘরে থাকা দা দিয়ে তার মাকে কুপিয়ে হত্যা করে যতিশ।

নাজিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শাহ আলম জানান, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের স্বামী  নারায়ন বালা বাদী হয়ে নাজিরপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মৃত দাউদ ঢাকার বাসিন্দা। কিছু দিন আগে তিনি কলকাতায় আসেন। উঠেছিলেন নিউমার্কেট থানা এলাকার একটি হোটেলে। সেখান থেকে কী উদ্দেশ্যে সায়েন্স সিটির দিকে গেছেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। কেন বাংলাদেশ থেকে কলকাতায় এসেছেন ওই যুবক, তাও জানা যায়নি।

পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার সকাল ৯টার আগে আচমকা ওই জলাশয়ে ঝাঁপ দেন যুবক। স্থানীয়রা সেই দৃশ্য দেখতে পান এবং পুলিশকে জানান।

পরে স্থানীয়দের সাহায্যে পুলিশ জলাশয় থেকে যুবককে উদ্ধার করে এবং তাকে এনআরএস হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পানিতে ডুবেই ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তার কাছ থেকে কোনো সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি। বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। অন্য কোনো সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না।

উপলের মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তার কাছ থেকে পাওয়া নথি থেকেই পুলিশ জানতে পেরেছে পরিচয়।

ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর ঈসমাইল হোসেনকে ধর্ষণ মামলায় কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। বুধবার (১০ জুলাই) সকালে আদালতে সোপর্দ করা হলে কারাগারে পাঠানো হয়।

হালুয়াঘাট থানার ওসি মো. মাহাবুবুল হক কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে মঙ্গলবার (৯ জুলাই) সকালে ভুক্তভোগী কিশোরীর মা বাদী হয়ে হালুয়াঘাট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পরে ঈসমাইলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। ঈসমাইল মেয়েটিকে স্ত্রী দাবি করলেও কোনো প্রমাণ দেখাতে না পারায় পরে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।

কনটেন্ট ক্রিয়েটর ইসমাইল হোসেন ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার পশ্চিম কালিয়ানীকান্দা গ্রামের সুরুজ আলীর পুত্র।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরীর বাড়িতে ইসমাইল যাতায়াত করতেন। গত ৫/৬ মাস আগে ইসমাইল ওই কিশোরীর বাড়িতে এসে তাকে প্রেম ও বিয়ের প্রস্তাব দেয়।

একপর্যায়ে বিয়ের প্রলোভনে কিশোরীর ইচ্ছের বিরুদ্ধে তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। বিষয়টি পরে জেনেছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন কিশোরীর মা। শুধু তাই নয়, ওই কিশোরীর মাকে রাজি করিয়ে তার মেয়েকে বাড়িতে কাজের লোক হিসেবে নিয়ে আসে ইসমাইল। সেখানেও তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে।

একপর্যায়ে শনিবার (৬ জুলাই) রাতে ইসমাইল আবারো মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। এ সময় মেয়েটি ইসমাইলকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু সে রাজি না হওয়ায় কিশোরী তার মাকে সব ঘটনা খুলে বলে।

বিষয়টি নিয়ে কিশোরীর মা আত্মীয়দের সঙ্গে কথা বলেন এবং মীমাংসার চেষ্টা করেন। কিন্তু সেখানে ইসমাইলের পক্ষ থেকে বিয়ের কোনো আশ্বাস না পাওয়ায় মঙ্গলবার সকালে হালুয়াঘাট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন কিশোরীর মা।

ওসি মো. মাহাবুবুল হক বলেন, ঈসমাইল মেয়েটিকে স্ত্রী দাবি করলেও কোনো প্রমাণ দেখাতে না পারায় তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বাংলাদেশি রোগীদের কিডনি চুরির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ভারতের এক চিকিৎসককে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিডনি চক্রের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে তিন বাংলাদেশিসহ গ্রেফতার করা হয়েছে আরও ৫ জনকে। জানিয়েছে দেশটির বিভিন্ন গণমাধ্যম।

দিল্লির ইন্দ্রপ্রস্থ অ্যাপোলো হাসপাতালের ওই চিকিৎসকের নাম বিজয়া কুমারি। ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যম জানায়, নয়ডায় যথার্থ নামের একটি হাসপাতালে করা হতো কিডনি অপসারণের কাজ। ২০২১ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত অন্তত ১৬ জন রোগীর কিডনি অপসারণ করা হয়েছে। এসব রোগীর বেশিরভাগই বাংলাদেশি।

পুলিশ জানিয়েছে, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সক্রিয় এই চক্র দালালদের মাধ্যমে দরিদ্র বাংলাদেশিদের অর্থের লোভ দেখিয়ে নয়াদিল্লির আশপাশের কিছু হাসপাতালে নিয়ে আসতো। সেসব হাসপাতালে চক্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরা বাংলাদেশিদের কিডনি অপসারণ করতেন।

আব্দুল্লাহ আল মোমিন: পাবনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষিকার সাথে পাবনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্র ও কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ জাহিদ হাসান মামুনের অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগ করেছে শিক্ষক সমিতি। অসৌজন্যমূলক আচরনের প্রতিবাদে পাবনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষক সমিতি ক্লাস বর্জন ও  অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে।

০৯ (জুলাই)  মঙ্গলবার দুপুর ১২ পাবনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের প্রশাসনিক ভবনের সামনে  এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। 

পাবনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. ইঞ্জিনিয়ার ফরহাদ ইবনে আল ইমাম এর সভাপতিত্বে  সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার জাহিদ মাহমুদের সঞ্চালনায় ক্লাস বর্জন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। এ সময় পাবনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের সকল শিক্ষক -শিক্ষিকা উপস্থিত ছিলেন। 

ইঞ্জিনিয়ার মাহমুদা আক্তার বলেন, ক্লাস চলাকালীন আমার ক্লাসরুমে ছাত্রলীগের সভাপতি জাহিদ হাসান মামুন প্রবেশ করে, এ সময় আমি তাকে ক্লাস রুম থেকে বের হতে বললে সে আমার সঙ্গে অসৌজন্যমূলক  আচরণ করেন। এর প্রতিবাদে আমরা সকল পাবনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষক-শিক্ষিকা ক্লাস বর্জন করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি এবং এর বিচার চাই। 

এ বিষয়ে পাবনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের অধ্যক্ষ ইঞ্জিনিয়ার মো. সোলাইমান বলেন, এ বিষয় নিয়ে আমি শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলেছি। আমি এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি তাদের বলেছি ৫ দিনের মধ্যে রিপোর্টটি সাবমিট করার জন্য রিপোর্ট অনুযায়ী আমরা প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করব ।

গত ১২ বছরে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (বিসিএস) পরীক্ষাসহ ৩০টি নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে পিএসসির ঊর্ধ্বতন তিন কর্মকর্তাসহ ১৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এদের মধ্যে পিএসসি চেয়ারম্যানের সাবেক গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলীও রয়েছেন। 

সিআইডির সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, রোববার রাতে বেসরকারি একটি টেলিভিশন চ্যানেলে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশের পর সাঁড়াশি অভিযানে নামে সিআইডি।

জানা গেছে, গ্রেফতারদের মধ্যে রয়েছেন পিএসসি’র ঊর্ধ্বতন তিন কর্মকর্তা ও একজন অফিস সহকারী এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচিত-সমালোচিত পিএসসি’র চেয়ারম্যানের সাবেক ড্রাইভার সৈয়দ আবেদ আলীও। 

পিএসসির চেয়ারম্যানের সাবেক এই গাড়ি চালকের নাম প্রচারের পর সমালোচনার ঝড় ওঠে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। সৈয়দ আবেদ আলীর ব্যক্তিগত প্রোফাইল ঘেটে দেখা যায়, রাজনৈতিক, সামাজিক কর্মকাণ্ড ও দান খয়রাতের নানা খবর।

সৈয়দ আবেদ আলীর গ্রামের বাড়ি মাদারীপুর জেলার ডাসার উপজেলায়। সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে পাওয়া গেছে তার বিপুল বিত্তবৈভবের খবর। ঢাকায় ও গ্রামে একাধিক বাড়ি, গরুর খামার ও সম্পদের তথ্য মিলেছে তারই ব্যক্তিগত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। যদিও ব্যবসা-বাণিজ্যের মাধ্যমে বিত্তবৈভব বানিয়েছেন বলে দাবি করেছেন তিনি।

প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকার তথ্য সামনে আসার পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় তার বিপুল সম্পদের তথ্য তুলে ধরছেন নেটিজেনরা। ছেলে ছাত্রলীগ নেতা, পড়েছেন বিদেশে, এরপর দেশের একটি ব্যয়বহুল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে। ঢাকার ভেতর তার দুইটি বহুতল ভবন, মাদারীপুরে আলিশান  রয়েছে এমন তথ্যও সামনে আসছে।

সৈয়দ আবেদ আলীর ফেসবুক পেজ থেকে জানা যায়, নেটিজেনদের দেওয়া তথ্য মিথ্যে নয়। নিজের ফেসবুক আইডিতে হোটেলের তথ্য তুলে ধরেছেন নিজেই। 

গত ১৮ মে এক পোস্টে তিনি লিখেন, ‘আমাদের নতুন হোটেল এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলাম আজ। হোটেল সান মেরিনা, কুয়াকাটা। সমুদ্রকন্যার পাড়ে আজীবন নিজের জন্য একটা থাকার ব্যবস্থা।’

এই হোটেলের কাজে গিয়ে কুয়াকাটার সৈকতে তিনি নামাজ পড়ছিলেন। সেই নামাজের ছবি ছেলে সৈয়দ সোহানুর রহমান সিয়াম ফেসবুকে শেয়ার করেছিলেন। সে ছবি এখন রীতিমতো ভাইরাল।

এছাড়াও সৈয়দ আবেদ আলী মাদারীপুরের ডাসার উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন। ফেসবুকে তাদের জীবনযাপন এবং বিভিন্ন কর্মসূচির ছবি দেখে ধারণা করা কঠিন যে তিনি পিএসসির সাবেক চেয়ারম্যানের ড্রাইভার ছিলেন।

বাংলাদেশের মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও মানহানির অভিযোগে ১ লাখ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে কোকা-কোলা বাংলাদেশ লিমিটেডকে এবং দ্যা কোকা-কোলা কোম্পানিকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

রবিবার (৭ জুলাই) আইনজীবী জায়েদ বিন নাসের ডাকযোগে এবং ই-মেইলের মাধ্যমে এ নোটিশটি পাঠান। লিগ্যাল নোটিশে বলা হয়, গত ৯ জুন প্রকাশিত বিজ্ঞাপনের দ্বারা শুধুমাত্র আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের বিষয়টিই স্পষ্ট হয়নি, পাশাপাশি বাংলাদেশের মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত এনেছে কোকা-কোলা। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত এনে বাংলাদেশে প্রচলিত দণ্ডবিধি, ১৮৬০ এর ধারা ২৯৫ (ক) এবং সাইবার সিকিউরিটি আইন, ২০২৩ এর ধারা ২৮ ও ৩৫ এর অধীনে কোকা-কোলা কোম্পানি অপরাধ করেছে।

শামিল। এ ধরনের ঠকবাজির ফলে জনগণের সাংবিধানিক প্রতিবাদ কর্মসূচিকে যেমন নস্যাৎ করার চক্রান্ত করা হয়েছে ঠিক একইভাবে সাধারণ মানুষের মূল্যবোধ ও চেতনাকে আঘাতপ্রাপ্ত করা হয়েছে। কোকা কোলার অসত্য, বিভ্রান্তিকর ও প্রতারণমূলক অপপ্রচারের ফলে অসামান্য সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছে বাংলাদেশের জনগণের, যার সমস্ত দায়ভার কোকা কোলা কোম্পানির। আমার, আমার মক্কেলগণ, পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবসহ অগণিত মানুষের অর্থনৈতিক, বিশ্বাসমত ও সামাজিক মূল্যবোধে আঘাত হানা হয়েছে, যার মূল্যমান কোটি কোটি টাকার বেশি।

এতে তিনি বলেন, আমি নিজে বিইউপি আইন অ্যালামনাই সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিশ্বব্যাপী জনমত গড়ে তোলার লক্ষ্যে এবং ফিলিস্তিনের পক্ষ নিয়ে পৃথিবীব্যাপী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পক্ষ নেওয়ার জন্য বাংলাদেশ, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্সসহ অন্তত ১০টি দেশের শতাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী এবং অ্যালামনাই সংগঠনের (বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীদের সংগঠন) নেতৃবৃন্দ ও গুরুত্বপূর্ণ সদস্যদের কাছে চিঠি লিখেছি। আমার পাঠানো চিঠির পাণ্ডুলিপি লিগ্যাল নোটিশের সঙ্গে সংযুক্তি আকারে দেওয়া হয়েছে।

সম্পাদক ও প্রকাশক : মঈনুদ্দিন কাজল
deshermatidaily@gmail.com
০১৬১৫১১২২৬৬, ০১৬৭৩৫৬২৭১৬

দেশের মাটি কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।