অপরাধ

দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি মোটামুটি ভালো বলে দাবি করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেন, পরিস্থিতি আগের চেয়ে উন্নতির দিকে। আরও ভালো করার জন্য জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) জেলা প্রশাসক সম্মেলনের বৈঠক শেষে তিনি এমনটাই দাবি করেন। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, অপারেশন ডেভিল হান্ট চলছে। যতদিন ডেভিলরা থাকবে ততদিন অপারেশন চলবে।

তিনি আরও বলেন, দেশ থেকে দুর্নীতি কমাতে হবে। সব লেভেলে যেন দুর্নীতি কমে সেজন্য ডিসিদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, সীমান্ত এলাকায় বিজিবি বাড়ানোর জন্য প্রস্তাব দিয়েছেন ডিসিরা। গাজীপুর জিএমপি, শিল্প পুলিশে জনবল বাড়ানোর প্রস্তাবও সংশ্লিষ্ট ডিসি দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

দেশে কমলার কেজি আড়াইশ থেকে তিনশ টাকা। আমদানি মূল্য ১০০ থেকে ১২০ টাকা। অথচ ‘মদিনা ডেটস অ্যান্ড নাটস’ এই কমলার আমদানি মূল্য দেখিয়েছে সাড়ে ৭ ডলার বা প্রায় আট’শ টাকা। আন্তর্জাতিক বাজারে তখন কমলার দর সর্বোচ্চ দুইশ টাকা। এটির মালিক এবিবি ও নাসা গ্রুপের সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদারের জামাতা মোজাম্মেল হোসেন। প্রতিষ্ঠানটি দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ৩২ হাজার কেজি কমলার আমদানি মূল্য দেখায় ২ লাখ ৪০ হাজার ডলার। অস্বাভাবিক দাম দেখিয়ে অর্থ পাচার করা হয়েছে বলে সন্দেহ আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিটের (বিএফআইইউ)।

নাসা গ্রুপের সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদারের অর্থপাচার ও ঋণ অনিয়ম নিয়ে ধারাবাহিক প্রতিবেদন।

জানা গেছে, আমদানি-রফতানির আড়ালে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার করেছেন, নজরুল ইসলাম মজুমদার। ধর্মীয় লেবাস নিয়ে চলাফেরা করলেও জালিয়াতির সম্ভাব্য সব পন্থা তিনি ব্যবহার করেছেন বলে ধারণা বিএফআইইউ’র। কোনো ক্ষেত্রে আমদানি মূল্য দেখিয়েছেন অনেক বেশি; কোনো ক্ষেত্রে অনেক কম। আবার রফতানি দেখালেও টাকা আনেননি দেশে। ব্যক্তিগত প্রভাবে করা এসব অপরাধের শাস্তি হওয়া জরুরি বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

যমুনার অনুসন্ধানে জানা গেছে, নজরুল ইসলাম মজুমদারের জামাতার প্রতিষ্ঠান মদিনা ডেটসের বিক্রয়কেন্দ্র আছে। কিন্তু ট্রেড লাইসেন্সে দেয়া ঠিকানায় নেই তাদের প্রধান কার্যালয়। এ বিষয়ে নাসা গ্রুপের প্রধান কার্যালয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করেও সাড়া পাওয়া যায়নি।

বিষয়টি নিয়ে অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নুরুল আমিন বলেন, আমদানির জন্য যখন বেশি মূল্য দেখানো হয়, তখন দুটো উদ্দেশ্য থাকে। সেগুলো হলো— ট্যাক্স ফাঁকি দেয়া ও অর্থ পাচার করা। নিয়মের বাইরে যে টাকাটা যাবে বা আসবে সেটাই মানি লন্ডারিং।

অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু নাসের রখতিয়ার আহমেদ বলেন, এটিও ফৌজদারী অপরাধ। নিয়মের বাইরে যেটি হয়েছে, সেগুলোর খোঁজ নিয়ে তদন্ত করা দরকার। এরপর বিধি মোতাবেক ব্যবস্থাও নিতে হবে বলে মত তার।

এদিকে, খেঁজুর আমদানিতে ঘটানো হয়েছে কমলার উল্টো ঘটনা। মদিনা ডেটস অ্যান্ড নাটস দুবাইভিত্তিক কোম্পানি থেকে খেঁজুর আমদানি করে ৩ লাখ ১৩ হাজার ডলারের। প্রতিকেজির দাম দেখিয়েছে, আধা ডলার বা ৫০ থেকে ৬০ টাকা। অথচ তখন আন্তর্জাতিক বাজারে খেঁজুরের দাম দুইশ টাকার বেশি।

এ বিষয়ে এক আমদানিকারক যমুনা টেলিভিশনকে বলেন, খেজুরের দাম মানের ওপর নির্ভর করে। কোনোটির দাম ৩০০ টাকা থেকে শুরু করে ৬০০ টাকা কেজি দরে কিনতে হয়।

একই ধরনের অনিয়ম করেছে নাসা গ্রুপের ফ্লেমিংগো। তারা সাড়ে ৬ লাখ কেজি খেঁজুরের আমদানি মূল্য দেখিয়েছে ৪ লাখ ৫৫ হাজার ডলার। প্রতিকেজি দশমিক ৭ ডলার বা ৭৭ থেকে ৯০ টাকা। কম দাম দেখিয়ে বাকি টাকা পাঠানো হয়ে থাকতে পারে হুন্ডিতে। ফ্লেমিংগোর ঋণপত্র ছিল ১৩টি। দাম দেখানো হয় ৩৫ লাখ ডলার।

নজরুল ইসলাম মজুমদারের একটি প্রতিষ্ঠানের নাম ফিরোজা গার্মেন্টস। ২০১২ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত তারা রফতানি আদেশ পায় ১১৯ কোটি ৮২ লাখ ডলারের। এরমধ্যে, ১১৮ কোটি ৬৬ লাখ ডলার দেশে এলেও আসেনি বাকি ১১ লাখ ৫৫ হাজার ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ১৪ কোটি টাকা। এ অর্থ পাচার করা হয়েছে বলে ধারণা আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থার।

বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) সাবেক মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমেদ চৌধুরী বলেন, রফতানি হয়েছে কিন্তু সেই অর্থ দেশে আসেনি। এটি তো আরও বড় ধরনের অপরাধ। এগুলো তদন্ত হওয়া দরকার। তিনি কোন কোম্পানির কাছে রফতানি করেছেন, তার সাথে কোম্পানিগুলোর যোগসাজশ আছে কিনা সেসব খোঁজ নিতে হবে।

অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু নাসের রখতিয়ার আহমেদ বলেন, এমন জালিয়াতি একা করা সম্ভব নয়। তার সাথে সহায়ক হিসেবে যারা ছিল তারা নিশ্চয় সহায়তা করেছে। রাজনৈতিক নেতা, যাদের নজরদারি করার কথা কিংবা ব্যাংক সবারই এখানে সম্পৃক্ততা থাকতে পারে।

বিএফআইইউর রিপোর্টে বলা হয়েছে, ফিরোজা গার্মেন্টস যে পণ্য ১৭ ডলারের বেশি দরে রফতানি করছিল, মাত্র চার মাস পর একই পণ্য একই কোম্পানির কাছে রফতানি করেছে মাত্র ৬ ডলার দরে। যেটি সন্দেহজনক।

নাটোরের সিংড়ায় জমিজমা সংক্রান্ত পূর্ববিরোধের জেরে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ছররা গুলিতে চারজনসহ ৮ জন আহত হয়েছে। শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টার দিকে উপজেলার ডাহিয়া ইউনিয়নের কদমকুড়ি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিংড়া থানার ওসি আসমাউল হক। আহতরা সবাই নাটোর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

আহত ইব্রাহিম জানান, তাদের এলাকার বিএনপি কর্মী মানিক, রতন, রহিদুলসহ অনেকে ইব্রাহিমদের পৈতৃক জমি জবরদখল করতে চায়। তারা জবরদখলে বাধা দিতে গেলে প্রতিপক্ষ হুমকিধামকি দেয়। শনিবার সন্ধ্যার পর বাজার থেকে আসার সময় ওরা তাদের ওপর আক্রমণ করে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই প্রতিপক্ষরা তাদেরকে লক্ষ্য করে গুলি করে।
তবে এ বিষয়ে অভিযুক্তদের বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।

সিংড়া থানার ওসি আসমাউল হক বলেন, জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে একই পরিবারের দুই পক্ষের বিরোধ চলে আসছিল। সম্প্রতি জমিতে পানি সেচ দেয়াকে কেন্দ্র করেই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে একপক্ষের ছররা গুলিতে অপরপক্ষের চারজন গুলিবিদ্ধসহ ৮ জন আহত হয়। আহতের ভেতর কয়েকজনকে সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

তিনি বলেন, অভিযুক্তরা সকলেই পলাতক রয়েছে। বিষয়টা তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

২০২৪ সালে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি দুর্নীতিগ্রস্ত দেশগুলোর তালিকায় আরও অবনতি হয়েছে বাংলাদেশের। দুই ধাপ পিছিয়ে ১৫১তম অবস্থানে এখন বাংলাদেশ। এমনটা জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। আর বিশ্বের দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ১৪।

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় ধানমন্ডিতে টিআইবির কার্যালয়ে দুর্নীতির ধারণা সূচক (সিপিআই)-২০২৪ উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে টিআইবি নির্বাহী পরিচালক ড. মো ইফেতেখারুজ্জামান এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, সিপিআই ২০২৪ অনুযায়ী বাংলাদেশের স্কোর ২৩। যা বিগত ১৩ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। এ বছর স্কোর বিবেচনায় উচ্চক্রম অনুসারে দুই ধাপ অবনতি হয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ১৮০টি দেশের মধ্যে ১৫১তম এবং নিম্নক্রম অনুসারে ১৪তম। একই স্কোর নিয়ে তালিকার উচ্চক্রম অনুযায়ী বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথভাবে ১৫১তম অবস্থানে রয়েছে কঙ্গো ও ইরান। দক্ষিণ এশিয়ায় আফগানিস্তান ১৭ পয়েন্ট নিয়ে সর্বনিম্ন স্কোর ও অবস্থানে রয়েছে। এ অঞ্চলে আফগানিস্তানের পরই বাংলাদেশের স্কোর ও অবস্থান দ্বিতীয় সর্বনিম্ন।

ইফেতাখারুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশের এ বছরের নিম্ন স্কোর ও অবস্থান প্রমাণ করে যে, বিগত ১৩ বছর কর্তৃত্ববাদী সরকার মুখে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বললেও, বাস্তবে দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিয়েছে, লালন করেছে, এমনকি দুর্নীতি সংঘটনে সহায়তা ও অংশগ্রহণ করেছে। এর প্রভাবে যথেচ্ছ লুটপাট, দুর্নীতিবাজদের রাষ্ট্রীয়ভাবে তোষণ, আইনের সঠিক প্রয়োগ না করা এবং সার্বিক কাঠামোগত দুর্বলতায় বাংলাদেশের অবস্থানের ক্রম অবনতি হয়েছে। অথচ দুর্নীতিবিরোধী বাগাড়ম্বর ব্যতীত এ নিয়ে পতিত আওয়ামী সরকারের কোনো বিকার বা চিন্তা দেখা যায়নি। এমনকি দুর্নীতি দমনে দায়িত্বপ্রাপ্ত দুর্নীতি দমন কমিশনসহ (দুদক) অন্যান্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোও তাদের প্রকৃত ভূমিকা পালন করতে ব্যর্থ হয়েছে।

টিআইর সিপিআই সূচকের বিশ্লেষণ বলছে, ২০২৪ সালে স্কোর বিবেচনায় বাংলাদেশের নিম্নমুখী যাত্রা সুস্পষ্ট। ২০১২ থেকে সূচকে ব্যবহৃত ১০০ স্কেলে বাংলাদেশের স্কোর ২০২২ সাল পর্যন্ত ২৫ থেকে ২৮ এর মধ্যে আবর্তিত ছিল। ২০২৩ সালে এক পয়েন্ট অবনমন হয়ে ২৪ এবং ২০২৪ সালে আরও এক পয়েন্ট অবনমন হয়ে ২৩ হয়েছে। ২০১২ থেকে ২০২৪ মেয়াদে সিপিআই স্কোরের প্রবণতা বিশ্লেষণ অনুযায়ী টানা চার বছরসহ মোট ছয়বার বাংলাদেশের স্কোর ছিল ২৬, তিনবার ২৫ এবং একবার করে ২৪, ২৭ ও ২৮। নিম্নক্রম অনুযায়ী বাংলাদেশের অবস্থান ছিল সর্বোচ্চ চারবার ১৩তম, তিনবার ১৪তম, দুইবার ১২তম এবং একবার করে ১৫, ১৬ ও ১৭তম।

গত বছর বিশ্বের ১৮০টি দেশের মধ্যে ‘সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত’ দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ১০ম ছিল। দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে বাংলাদেশের স্কোর হয়েছে ২৪। সমান স্কোর নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে একই অবস্থানে ছিল আফ্রিকান রিপাবলিক, ইরান, লেবানন ও জিম্বাবুয়ে। আর ২০২৩ সালে সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১২তম। বাংলাদেশের স্কোর ছিল ২৫।

টিআইবি এমন সময় সিপিআই সূচক প্রকাশ করেছে যখন দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে চলমান দুর্নীতি বিরোধী অভিযান চলমান রয়েছে। ১৯৯৫ সাল থেকে বেসরকারি সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল দ্বারা প্রতি বছর এই সূচক প্রকাশ করা হয়। ২০০১ সালে বাংলাদেশ প্রথম তালিকাভুক্ত হয়। তখন এ তালিকায় মোট ৯১টি দেশ ঠাঁই পায়।

 
 

দুদকের মামলায় গ্রেফতার দেখানো হলো সাবেক মন্ত্রী কামরুল ইসলামকে

 

 

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে সাবেক মন্ত্রী কামরুল ইসলামকে।

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকালে শুনানি শেষে তাকে এ মামলায় গ্রেফতারের আদেশ দেন ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত-৩ এর বিচারক সামিদুল ইসলাম।

এর আগে, আদালতে হাজির করা হয় কামরুল ইসলামকে। পরে, দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শুনানি শেষে তাকে গ্রেফতার দেখানোর আদেশ দেন বিচারক।

গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক এই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। সংস্থাটি বলছে, ৬ কোটি ২৯ লাখ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়ার পর কামরুলের বিরুদ্ধে মামলা হয়।

এছাড়াও, জুলাই অভ্যুত্থানে গণহত্যার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এরইমধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন থানার হত্যা ও হত্যাচেষ্টা মামলায় কয়েক দফা রিমান্ড ভোগ করেছেন এই আওয়ামী লীগ নেতা।

কুকুরের মাংস নিষিদ্ধের পর দক্ষিণ কোরিয়ায় বন্ধ হচ্ছে কুকুরের খামার। দেশটির সরকার জানিয়েছে, ২০২৭ সালের মধ্যে এই বাণিজ্য পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হবে। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে তুরস্কের সংবাদমাধ্যম আনাদুলু এজেন্সি এ তথ্য জানায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় সময় রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) দক্ষিণ কোরিয়ার কৃষি, খাদ্য ও গ্রামীণবিষয়ক মন্ত্রণালয় জানায়, এরই মধ্যে ৪০ শতাংশ কুকুরের মাংস খামার স্বেচ্ছায় বন্ধ হয়ে গেছে।

২০২৪ সালের জানুয়ারিতে দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় সংসদ কুকুর প্রজনন, জবাই ও বিতরণসংক্রান্ত বিশেষ আইন পাস করে। এরই ধারাবাহিকতায় গত আগস্ট থেকে সরকার কুকুরের মাংস ব্যবসায়ীদের ব্যবসা বন্ধের জন্য উৎসাহিত করতে শুরু করে।

সরকার আশা করছে, ২০২৪ সালের শেষ নাগাদ আরও ৯৩৮টি খামার বন্ধ হয়ে যাবে, যা মোট খামারের প্রায় ৬০ শতাংশ।

কোরিয়ার সরকার ২০২৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে নতুন আইন কার্যকর হওয়ার আগে পুরোপুরি কুকুরের মাংস-বাণিজ্য বন্ধ করতে চায়। এ লক্ষ্যে ব্যবসায়ীদের স্বেচ্ছায় খামার বন্ধ করতে উৎসাহিত করা হচ্ছে এবং তাদের জন্য সহজ গাইডলাইন, নতুন ব্যবসা শুরু করতে পরামর্শ এবং আর্থিক সহায়তা দেয়া হচ্ছে।

অপারেশন ডেভিল হান্টের তৃতীয় দিনে সারাদেশে ১১৭ জনকে আটক ও গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে গাজীপুরেই ৮১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার রাত থেকে অভিযান চালিয়ে মহানগরের টঙ্গী পূর্ব থানায় ৭, টঙ্গী পশ্চিম থানায় ৮, গাছা থানায় ৬, বাসন থানায় ৯, সদর থানায় ১৯, পুবাইল থানায় ২জনসহ অন্যান্য থানায় ৬৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া, জেলার পাঁচ থানায় অভিযান চালিয়ে ১২ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এনিয়ে গত তিন দিনে গাজীপুরে ২৬৩ জনকে গ্রেফতার করলো পুলিশ।

এছাড়া, রংপুরে গ্রেফতার করা হয়েছে ২১ জনকে। পুলিশ জানিয়েছে, রংপুর মহানগরীতে ৩ এবং বিভাগের আট জেলা থেকে ১৮ জনকে গ্রেফতার করেছে যৌথ বাহিনী। এর মধ্যে কুড়িগ্রামে ৬, দিনাজপুরে ৩ ঠাকুরগাঁওয়ে ৬ এবং রংপুরে ২ ও লালমনিরহাট থেকে ১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

সোমবার সকাল ছয়টা থেকে অভিযান চালিয়ে আজ (মঙ্গলবার) সকাল ছয়টা পর্যন্ত তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। এ নিয়ে তিন দিনে মহানগরসহ রংপুর রেঞ্জে ৬৮ জনকে গ্রেফতার করা হলো। এছাড়া পাবনায় ১৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

শেখ হাসিনা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করলে এর দায় ভারতের। এমনটা ঘটলে ভারতকে জবাব দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম। বুধবার (৫ ফেব্রিয়ারি) বিকেলে বাংলা একাডেমিতে একটি বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

নাহিদ ইসলাম বলেন, ফেব্রুয়ারি-মার্চ রাজপথ ছাত্র-জনতার দখলেই থাকবে। আমরা যেকোনো সময়ের জন্য প্রস্তুত। কোনো ভয় বা আতঙ্ক দেখিয়ে আমাদের পিছপা করা যাবে না। এ সময় আইনি জায়গায় থেকে শেখ হাসিনাকে ফেরত চাওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

অভ্যুত্থানে গণমাধ্যমগুলোর ভূমিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আন্দোলনে সংবাদপত্রের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ইলেকট্রনিক মিডিয়া তৎকালীন সরকার নিয়ন্ত্রণ করছিল। টিভিতে কিছু দেখানো হচ্ছিলো না। তখন সংবাদপত্রের একটি ইতিবাচক ভূমিকা ছিল। তবে কিছু সংবাদপত্র আন্দোলনকে সংঘর্ষ হিসেবে দেখিয়েছিল।

এ সময় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, বাহাত্তর সালের মতো অপরাধীরা যেন নিজেদের নির্দোষ দাবি করতে না পারে এবং ইতিহাস বিকৃতি রোধে জুলাই আন্দোলন দক্ষতার সাথে নথিভুক্ত করা হচ্ছে।

যৌথবাহিনী আটকের পর কুমিল্লায় যুবদল নেতা তৌহিদুল ইসলামের মৃত্যুর ঘটনায় মামলা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে কোতোয়ালি থানায় মামলাটি দায়ের করেন নিহতের স্ত্রী ইয়াসমিন নাহার।

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন কুমিল্লা কোতোয়ালি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিনুল ইসলাম।  

তিনি জানান, মামলায় ৬ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত ২০/২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তারা সবাই প্রতিবেশী। এজাহারে বলা হয়েছে, জমি নিয়ে বিরোধের জেরে আসামিরা যোগসাজশে তৌহিদুলকে অপহরণের পর হত্যা করে।

গত ৩১ জানুয়ারি গোমতীর বেরিবাঁধ থেকে তৌহিদুলকে উদ্ধার করে পুলিশ। হাসপাতালে নেয়ার পর তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক। এই ঘটনায় যৌথবাহিনীর ক্যাম্প কমান্ডারকে তাৎক্ষণিকভাবে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়।

নরসিংদী থেকে ঢাকায় যাওয়ার পথে ছাত্রলীগের ১০ নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে তাদেরকে পার্শ্ববর্তী জেলা নারায়ণগঞ্জের রুপগঞ্জের কাঞ্চন এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, শিবপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ফাজায়েল ভুঁইয়া  রয়েল, পলাশ উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আরিফ, বেলাবো উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তৌফিক ভুঁইয়া, মনোহরদী পৌরসভা ছাত্রলীগের মোহাম্মদ জাহিদ মোল্লা, মাধবদী থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব হোসেন মনিরসহ আরও অন্যান্য ইউনিটের সদস্য।

নরসিংদী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নরসিংদী জেলার বিভিন্ন উপজেলা, পৌরসভার সাধারণ সম্পাদক ও অন্যান্য সদস্যরা কাঞ্চন সেতু হয়ে ঢাকায় যাচ্ছিলো। এসময় সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে রূপগঞ্জ থানা পুলিশের সহায়তায় তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

তিনি আরও বলেন, এসময় তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন ব্যানার-ফেসটুন উদ্ধার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে পূর্বেই দায়েরকৃত সন্ত্রাসদমন আইনের মামলায় আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

সম্পাদক ও প্রকাশক : মঈনুদ্দিন কাজল
deshermatidaily@gmail.com
০১৬১৫১১২২৬৬, ০১৬৭৩৫৬২৭১৬

দেশের মাটি কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।