অপরাধ

মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন, মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট) প্রতিনিধি: বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ পৌর শহরের বয়রা তলা এলাকা থেকে উম্মি সাহা (২৯) নামের এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার সকালে ওই গৃহিনীর লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বাগেরহাট মর্গে প্রেরণ করেছেন থানা পুলিশ।

জানা গেছে, শহরের ৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা শিব্বির তালুকদারের স্ত্রী উর্মি সাহা বুধবার ভোর রাতে নিজ বাড়িতে ঘরের সামনে একটি বড়ই গাছের সাথে শাড়ি পেচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। সকালে বিছানায় স্ত্রীকে না দেখে তার স্বামী গৃহের দরজা খুলে দেখে স্ত্রী গাছের সাথে ঝুলে আছে। পরে তার ডাক চিৎকারে বাড়ির অন্য লোকজন ছুটে এসে থানা পুলিশকে সংবাদ দেয়। ঘটনাস্থল থেকে সকাল ৭ টার দিকে থানা পুলিশ ওই গৃহিনীর লাশ উদ্ধার করে বাগেরহাট মর্গে প্রেরণ করেন। নিহত উর্মি পার্শ্ববতী ভাইজোড়া গ্রামের সালেছ সাহার বড় মেয়ে। ৩ বছর পূর্বে শিব্বিরের সাথে তার বিবাহ হয়। তার খালেদ নামে চার মাসের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে।

এদিকে নিহত ওই গৃহিনীর পিতা-মাতা স্বজনরা উর্মিকে হত্যা করে গাছে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন তারা।

এ সম্পর্কে মোরেলগঞ্জ থানার ওসি মো. রাকিব হাসান বলেন, শহরের বয়রা তলা এলাকা থেকে এক গৃহিনীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বাগেরহাটে প্রেরণ করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়েছে। তবে, নিহতের স্বজনদের মৌখিক অভিযোগে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার স্বামী শিব্বির তালুকদার তার ভাই শাহিন তালুকদারকে থানা নিয়ে আশা হয়েছে।

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদনের শুনানি পিছিয়ে আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ৪ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। বেঞ্চে এক বিচারপতি না থাকায় আদালত শুনানির দিন পিছিয়ে দেন।

মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আজহারকে মৃত্যুদণ্ড দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।

ওই রায়ের বিরুদ্ধে আজহার আপিল করলে তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন এবং তাকে খালাস দেওয়ার জন্য আপিল বিভাগে আবেদন করেন।

প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে বিতরণের বই খোলাবাজারে বিক্রি ও মজুত করার অভিযোগে ২ জনকে আটক করা হয়েছে। এসময় দুই ট্রাক বই জব্দ করা হয়।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) রাজধানীতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক ও বই উদ্ধার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের ডিসি মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এসব তথ্য জানান।

তিনি জানান, এ বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানাবেন যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ডিবি-দক্ষিণ) মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম।

এর আগে, গত শনিবার (১৮ জানুয়ারি) শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে বিতরণের পাঠ্যপুস্তক দোকানে বিক্রির অভিযোগে রাজধানীর বাংলাবাজারে অভিযান চালিয়ে ৫ হাজার বই জব্দ করা হয়।

যুক্তরাজ্যের সিটি মিনিস্টার ও শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিককে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, টিউলিপ লন্ডনে যেসব সম্পদ ব্যবহার করেন, সেসবেরও তদন্ত হওয়া উচিত। যদি প্রমাণিত হয় এসব সম্পদ ডাকাতির মাধ্যমে অর্জন করেছেন তবে ফেরত দেয়া উচিত।

বৃহস্পতিবার ঢাকায় সরকারি বাসভবন যমুনায় প্রভাবশালী ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম সানডে টাইমসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রফেসর ইউনূস এসব কথা বলেন।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস আরও বলেন, শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী শাসনামলে তাকে (টিউলিপ) ও তার পরিবারকে দেয়া সম্পত্তি ভোগ করার জন্য তার ক্ষমা চাওয়া উচিত।

নোবেলজয়ী এই অর্থনীতিবিদ বলেন, ব্রিটিশ সরকারের ট্রেজারি ও সিটি মিনিস্টার হিসেবে আর্থিক দুর্নীতি মোকাবিলার দায়িত্বে থাকা টিউলিপ সিদ্দিকের লন্ডনের বাড়িগুলো অর্থ আত্মসাতের মাধ্যমে তৈরি করা কিনা, তা তদন্ত হওয়া উচিত।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ব্রিটিশ সরকারের দুর্নীতি দমন মন্ত্রী হয়েছেন টিউলিপ এবং তার পরিবারের বিরুদ্ধেই দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এর চেয়ে হাস্যকর আর কিছু হয় না।

তিনি আরও বলেছেন, তিনি (টিউলিপ) যখন কাজটি (দুর্নীতি) করেছেন, তখন হয়তো বুঝতে পারেননি। কিন্তু এখন তো বুঝতে পারছেন। এখন আপনার বলা উচিত, আমি দুঃখিত। আমি তখন বিষয়টি (দুর্নীতির) জানতাম না। এখন আমি জনগণের কাছে ক্ষমা চাচ্ছি এবং পদত্যাগ করছি। কিন্তু তা বলছেন না। বরং নিজেকে রক্ষা করার চেষ্টা করছেন।

এরপর সঙ্গে সঙ্গে ড. ইউনূস বলেন, তার (টিউলিপের) পদত্যাগ করা উচিত—এমন বলাটা আমার কাজ না।

এদিকে সানডে টাইমস জানিয়েছে, তারা তদন্তের মাধ্যমে নিশ্চিত হয়েছে যে টিউলিপ সিদ্দিক বছরের পর বছর ধরে একটি বাড়িতে বাস করেছেন, যে বাড়িটি দুই বাংলাদেশি ব্যবসায়ী একটি অফশোর কোম্পানির মাধ্যমে কিনেছিলেন। অথচ এ ধরনের আর্থিক অস্বচ্ছতা এড়াতে তিনি বরাবর কথা বলতেন।

টিউলিপ সিদ্দিক বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানার মেয়ে। গত বছরের ৫ আগস্ট ব্যাপক গণঅভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান। ভারতে পালানোর আগে অভ্যুত্থান ঠেকাতে তিনি শত শত মানুষকে পুলিশ বাহিনী দিয়ে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ, জোরপূর্বক গুম ও দুর্নীতির অভিযোগও রয়েছে।

সানডে টাইমস আরও জানিয়েছে, শেখ হাসিনার শাসনামলে রাশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের পারমাণবিক শক্তি চুক্তিতে টিউলিপ মধ্যস্থতা করেছিলেন এবং আর্থিকভাবে উপকৃত হয়েছিলেন। তার দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করছে বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশন। তবে টিউলিপ তার বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগগুলো অস্বীকার করেছে।

রাজধানীর সীমান্ত সম্ভারে চুরি হওয়া স্বর্ণের মধ্যে ৫০ ভরি স্বর্ণসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে ডিবি। রোববার (১২ জানুয়ারি) রাজধানীর মিডিয়া ব্রিফিং সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে এই তথ্য জানায় ডিবি।

ডিবি জানায়, সীমান্ত সম্ভার থেকে ৩ জানুয়ারি দুপুরে ক্রাউন ডায়মন্ড এন্ড জুয়েলার্সের দোকান থেকে ২৫০ ভরি স্বর্ণ চুরি করে সংঘবদ্ধ চক্র। ৮ মিনিটের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে দুজনকে শনাক্ত করে ডিবি পুলিশ।

ডিবি আরও জানায়, গত ৯ জানুয়ারি থেকে ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম থেকে আসার পথে ১ জনকে এবং পরে আরও ২ জনকে কুমিল্লা থেকে গ্রেফতার করে ডিবি। তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী কুমিল্লা থেকে ৫০ ভরি আট আনা স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন মো. রুবেল (২৮), সফিক ওরফে সোহেল (৩৫), এবং সাদ্দাম হোসেন (৩১)। উদ্ধার হওয়া স্বর্ণালংকারের আনুমানিক মূল্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা।

পুলিশের ধারণা, এ ঘটনায় ৮ থেকে ৯ জন জড়িত রয়েছে। সবাইকে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে বলে জানান ডিবির এই কর্মকর্তা। চুরি হওয়া স্বর্ণালঙ্কারের বাকি অংশ উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত চক্রের অন্যান্য সদস্যদের শনাক্ত করা হয়েছে এবং তাদের গ্রেফতারে কাজ চলছে বলেও জানায় ডিবি।

এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডিবি বলেন, জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ৩৭৪ জন ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করেছেন তারা।

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় এক নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও অশ্লীল ভিডিও ধারণের অভিযোগে ৬ জন যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার (৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যা পর্যন্ত উপজেলার চুমুরদী জেলে পাড়া এলাকায় থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।

এর আগে ভুক্তভোগী নারীর মা বাদী হয়ে ২টি ধর্ষণ মামলা ও পর্ণগ্রাফী আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। আগামীকাল রোববার দুপুরে গ্রেফতারকৃতদের জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে জানিয়েছে পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে ভাঙ্গা উপজেলার চুমুরদী গ্রামের আমজাদ খাঁনের ছেলে আকরাম খাঁন (২৫) ও মধুখালি উপজেলার কাঠালবাড়ি গ্রামের সাগর মোল্লার ছেলে জুয়েল মোল্লাকে (৩০) ধর্ষণ মামলার আসামি করা হয়েছে। সাইদুল মোল্লা (৩০) মামুন শরীফ (৩২), বাবু মোল্লা (৩০) ও মো. জুয়েল মোল্লাকে (২৪) পর্ণগ্রাফি আইনের আমলায় আসামি করা হয়েছে। 

পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, গতকাল শুক্রবার রাত ১০টার দিকে টিকটকার আকরাম ও জুয়েল টিকটক করার কথা বলে ওই নারীকে ভাঙ্গার চুমুরদী এলাকায় নিয়ে আসে। পরে একটি ভাড়া বাসায় নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। পরে অপর চারজন যুবক ওই নারীকে মারধর করে অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার আকরাম ও জুয়েল ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে বলেও জানায় পুলিশ।

মামলা ও গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মোকছেদুর রহমান।

গাজীপরে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের ৪ নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর শনিবার (৪ জানুয়ারি) তাদের আলালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, গাজীপুর মহানগর ছাত্রলীগের কোনাবাড়ি থানা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোহান হোসেন, গাছা থানার ৩৩ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের নেতা হিমেল সরকার, ৩৫ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগ নেতা মোস্তাকিম হোসেন জয় এবং জেলার কাপাসিয়া টোক ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি জাহিদ হাসান।

তাদের মধ্যে, সোহানুর রহমান সোহানকে শুক্রবার রাতে কোনাবাড়ী থানাধীন আমবাগ আতাউর মার্কেট এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়। এ ছাড়া গাছা থানা পুলিশ শুক্রবার হিমেল সরকার ও মোস্তাকিম হোসেন জয়কে গ্রেফতার করে।  

পুলিশ জানায়, তারা ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সফল করার লক্ষ্যে গোপনে মিটিং করার প্রস্ততি নিচ্ছিল। এ ছাড়াও তাদের বিরুদ্ধে নাওজোড় হাইওয়ে থানায় হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ রয়েছে।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ মিছিল করার প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। শনিবার (৪ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে চারটা থেকে পাঁচটা পর্যন্ত শহরের কাউতলী এলাকায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে এ অবরোধের সৃষ্টি করা হয়।

এ সময় দুই কিলোমিটার জুড়ে তীব্র যানযটের সৃষ্টি হয়। পরে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জড়িত ছাত্রলীগ নেতাদের গ্রেফতারের আল্টিমেটাম দিয়ে পুলিশের অনুরোধে সড়ক থেকে সরে দাঁড়ায় শিক্ষার্থীরা।

জানা যায়, বেলা তিনটার দিকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ব্যানারে শিক্ষার্থীরা প্রেস ক্লাবের সামনে এসে জড়ো হয়। পরে তারা কাউতলী এলাকায় সড়কে গিয়ে অবরোধ করেন। এ সময় অভিযোগ করা হয়, ছাত্রলীগ মিছিল করা মানে গোয়েন্দা সংস্থাসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যর্থ। তাদেরকে গ্রেফতারে পুলিশের কোনো দৃশ্যমান কার্যক্রম চোখে পড়ছে না।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোজাফফর হোসেন জানান, ইতোমধ্যেই একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলাও দায়ের হয়েছে। কারা কারা জড়িত তাদের সবাইকে চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।

নড়াইলের লোহাগড়া সরকারি আদর্শ কলেজের ডিজিটাল সাইনবোর্ডে ভেসে উঠেছে ‘ছাত্রলীগ আবার ভয়ংকর রূপে ফিরবে, শেখ হাসিনা ফিরে আবার আসবে বীরের বেশে’ প্রদর্শনের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৩ জনকে আটক করেছে।

শনিবার (৪ জানুয়ারি) সন্ধা ৭টার দিকে লোহাগড়া উপজেলার লোহাগড়া সরকারি আদর্শ কলেজের ছয়তলা ভবনের ডিজিটাল সাইনবোর্ডে এ লেখা ভেসে ওঠে। এ ঘটনার পর বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে লোহাগড়া উপজেলা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।

বিষয়টি নিয়ে এলাকায় আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। ছাত্রদল ও বিএনপি নেতাকর্মীরা এ বিষয়ে দ্রুত তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

নড়াইল জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার মাহমুদুল হাসান সনি বলেন, নড়াইল জেলা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা সারাদিন সজাগ ছিল। বিভিন্ন এলাকায় টহল দিচ্ছিল। কিন্তু দুষ্কৃতিকারীরা রাতের আঁধারে এটা করেছে। আমরা এই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।

লোহাগড়া সরকারি আদর্শ কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কামরুন নাহার লিনাকে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

এ বিষয়ে জানাতে লোহাগড়া থানার ওসি মো. আশিকুর রহমান বলেন, ঘটনার পর পরই অভিযান চালিয়ে ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু রিয়াদ জানান, ঘটনার পরপর ডিজিটাল সাইনবোর্ডটির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এটির অপারেটর দু’জনকে ডাকা হয়েছে। তদন্ত করে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানো নিয়ে ভারতের কোনও অনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া এখনও পায়নি ঢাকা, এ কথা বলেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন।

শনিবার (৪ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর পূর্বাচলে বেলাব থানা সমিতি আয়োজিত এক বার্ষিক সাধারণ সভা ও মিলনমেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিয়ে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

এদিকে, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল গতকাল শুক্রবার সাপ্তাহিক সংবাদ ব্রিফিংয়ে জানান, শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে ঢাকার অনুরোধের বিষয়ে এই মুহূর্তে ভারতের নতুন করে কিছু বলার নেই।

গণঅভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হন শেখ হাসিনা। সেদিনই তিনি দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যান। এরপর থেকে সেখানেই রয়েছেন। এর মধ্যে তার বিরুদ্ধে একের পর এক হত্যা মামলা হয়েছে। রয়েছে গণহত্যার মামলাও। বিচারের প্রক্রিয়ার স্বার্থে সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীকে ফেরত চেয়ে গত ২৩ ডিসেম্বর দিল্লিকে কূটনৈতিক নোট পাঠায় ঢাকা।

বাংলাদেশ নিয়ে আরও নানা প্রশ্ন নিয়ে উত্তর দেন রনধীর জয়সওয়াল। তার মন্তব্যের প্রেক্ষিতে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, কেউ যেন ভয়ভীতি ছাড়া কথা বলতে পারে, তা নিশ্চিত করেছে এই সরকার। ভবিষ্যতে সরকারও এই ধারা অব্যাহত রাখবে বলে প্রত্যাশা।

সম্পাদক ও প্রকাশক : মঈনুদ্দিন কাজল
deshermatidaily@gmail.com
০১৬১৫১১২২৬৬, ০১৬৭৩৫৬২৭১৬

দেশের মাটি কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।