অপরাধ

নোয়াখালী সদর উপজেলা থেকে ৫ অস্ত্রধারীকে গ্রেফতার করেছে যৌথবাহিনী। এ সময় তাদের কাছ থেকে ২টি পাইপগান, ১টি রামদা, ২টি ছুরি, ৩টি বাটন মোবাইল ও ৪টি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল উদ্ধার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, সদর উপজেলার ১৯নং পূর্ব চরমটুয়া ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক আবুল কালাম ওরফে কালন ও তার অনুসারী একই ইউনিয়নের মেহরাজ (৪৬), মো.লিটন (৩২), মো.সাদ্দাম (২৬) আবির মিয়া (১৮)।

সোমবার (২৮ অক্টোবর) ভোরে উপজেলার ১৯নং পূর্ব চরমটুয়া ইউনিয়ন থেকে তাদের আটক করা হয়। পরে সকাল ১১টার দিকে নোয়াখালী সেনা ক্যাম্পের ইনচার্জ লেফটেন্যান্ট কর্নেল রিফাত আনোয়ার তাদের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

জানা গেছে, কিছুদিন আগে উপজেলার পূর্ব চরমটুয়া ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক কালন তার কয়েকটি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র অনুসারীদের কাছে রাখতে দেন। পরে তার অনুসারীরা ওই আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে টিকটক করে অ্যাকাউন্টে ভিডিও পোস্ট করে। পরে বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ স্থানীয়দের নজরে আসে। ওই সূত্র ধরে যুবদল নেতা কালনের অনুসারী আবির, সাদ্দামসহ কয়েকজনকে আটক করে যৌথবাহিনী। পরবর্তীতে তাদের ভাষ্যমতে যুবদল নেতা কালনকে গ্রেফতার করা হয়।  

সদর উপজেলা যুবদলের সভাপতি আবদুর রহিম রিজভী জানান, তাকে গ্রেফতারের বিষয়টি শুনেছি। এ বিষয়ে তার বেশি কিছু জানা নেই বলেও জানান তিনি।    

নোয়াখালী সেনাক্যাম্পের ইনচার্জ লেফটেন্যান্ট কর্নেল রিফাত আনোয়ার জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথবাহিনী চরমটুয়া এলাকায় অভিযান চালায়। অভিযানে অবৈধ অস্ত্রধারী ৫জনকে আটক করে সুধারাম মডেল থানায় সোপর্দ করা হয়।

রংপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত আবু সাঈদ হত্যা মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি হাসিবুর রশিদ ও প্রোক্টর শরিফুল ইসলামসহ ৭ জনের নাম নতুন করে এজাহারে অন্তর্ভুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বাদী পক্ষের আইনজীবী রোকনুজ্জামান জানান, গত ৯ অক্টোবর আবু সাঈদ হত্যা মামলার বাদী রমজান আলী আদালতে আরও সাতজনকে তার পূর্বের করা মামলায় নথিভুক্ত করতে আবেদন করেন। ২০ অক্টোবর শুনানি শেষে ২৪ অক্টোবর এই আদেশ দেন আদালত।

বাকি ৪ জন হলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী মোহাম্মদ নুরুন্নবী, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত শাহ নূর আলম পাটোয়ারী, সুরতহাল প্রস্তুতকারী এসআই তরিকুল ইসলাম এবং সুরতহাল রিপোর্টে প্রতি স্বাক্ষরকারী এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ সাদাত।

এর আগে গত ১৯ আগস্ট পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক আব্দুল্লাহ আল মামুন, রংপুর রেঞ্জের সাবেক ডিআইজি আব্দুল বাতেন, সাবেক পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, উপকমিশনার আল মারুফ হোসেন, সহকারী কমিশনার মো. আরিফুজ্জামান, আল ইমরান হোসেন, তাজহাট থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ বিভূতি ভূষণ রায়, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আমির আলী ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মশিউর রহমান ও লোকপ্রশাসন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আসাদুজ্জামান মণ্ডল, প্রোক্টর অফিসের কর্মকর্তা রাফিউল হাসান, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি পোমেল বড়ুয়া, সাধারণ সম্পাদক শামীম মাহফুজ, সাংগঠনিক সম্পাদক ধনঞ্জয় কুমার রায়, দফতর সম্পাদক বাবুল হোসেনসহ ১৭ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা ১৩০-১৩৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন আবু সাঈদের বড় ভাই রমজান আলী।

ওই মামলার এজাহারভুক্ত আসামি পুলিশের সাবেক আইজিপি আব্দুল্লাহ আল মামুন, এএসআই সৈয়দ আমির আলী এবং কনস্টেবল সুজনচন্দ্রকে গ্রেফতারের পর রিমান্ডে নেয়া হয়েছিল। এখন তারা কারাগারে আছেন।

ঢাকার অদূরে সাভারে রানা প্লাজা ধসে সহস্রাধিক মানুষ নিহতের ঘটনায় হওয়া মামলায় প্রধান আসামি সোহেল রানাকে দেয়া হাইকোর্টের জামিন স্থগিত করেছে আপিল বিভাগ। সেই সঙ্গে রানার জামিন প্রশ্নে রুল ২ মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হাইকোর্টকে বলা হয়েছে।

সোমবার (২৮ অক্টোবর) আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ এই আদেশ দিয়েছেন। এদিন আদালতে সোহেল রানার পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল আরশাদুর রউফ।

এর আগে গত ২ অক্টোবর রানা প্লাজা ধসে পড়ে সহস্রাধিক মানুষের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় ভবনটির মালিক সোহেল রানাকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন স্থগিত করে আপিল বিভাগে পাঠিয়ে দেন চেম্বার আদালত।

২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সকাল পৌনে ৯টায় ধসে পড়ে সাভার বাসস্ট্যান্ডের পাশে অবস্থিত রানা প্লাজা। এ ঘটনায় ১১৭৫ জন শ্রমিক নিহত হন। আহত হন দুই হাজারেরও বেশি। এটিকে বিশ্বের ইতিহাসে তৃতীয় বৃহত্তম শিল্প দুর্ঘটনা হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং বাংলাদেশের সবচেয়ে বড়।

ভয়াবহ এ দুর্ঘটনার পরদিন অর্থাৎ, ২৫ এপ্রিল রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ভবন ও ওই ভবনের গার্মেন্টস মালিকদেরকে অভিযুক্ত করে একটি মামলা দায়ের করেন। দুর্ঘটনার কারণ তদন্ত করতে সরকারিভাবে আলাদা কয়েকটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এদের সাত দিনের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেবার আহ্বান করা হয়।

রাজধানীর লালবাগ থানার নবাবগঞ্জ বাজারে অভিযান চালিয়ে , নয়ন খা ও হাসানুল্যাহ নামে সন্দেহভাজন ২ জনকে আটক করেছে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা। এ সময় বিপুল পরিমাণ সরকার নির্ধারিত ন্যায্যমূল্যে বিক্রির টিসিবির পণ্যও জব্দ করে যৌথ বাহিনী।

রোববার (২৭ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৯টায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেজর ইয়াহিয়ার নেতৃত্বে শুরু হয়ে দুই ঘণ্টা চলে এই অভিযান। মূলত ছাত্রদের তথ্যের ভিত্তিতে এই অভিযান পরিচালিত হয়।

অভিযানে সরকার নির্ধারিত ন্যায্যমূল্যে বিক্রির টিসিবির এক হাজার ১৩৪০ কেজি ডাল ও ৬৫০ বোতল তেল (২ লিটারের) উদ্ধার করা হয়েছে। যার বাজারমূল্য বাজারমূল্য ৩ লাখ ২৯ হাজার টাকা।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লালবাগ থানার ওসি কেসইনু মারমা। তিনি জানান, কিভাবে গোডাউনটিতে টিসিবির এত পণ্য মজুদ করা হলো তা তা তদন্ত করা হবে । জব্দ করা পণ্যের বাজার মূল্য ৩লাখ ২৯ হাজার টাকা।

তিনি আরও জানান, বিশেষ ক্ষমতা আইনে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। জব্দকৃত মালামাল সরকারকে ফেরত দেয়া হ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্রদের ওপর হামলার ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুন্নাহার হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি খাদিজা আক্তার ঊর্মি ও সূর্যসেন হল শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোয়াজ্জেম এইচ রাকিব সরকারকে গ্রেফতার করেছে ডিবি ।

রোববার (২৭ অক্টোবর) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশন বিভাগ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলাকারী ঢাবির শামসুন্নাহার হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি খাদিজা আক্তার ঊর্মি ও সূর্যসেন হল শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোয়াজ্জেম এইচ রাকিব সরকারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঊর্মির বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।

এর আগে, রোববার (২৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় শাহবাগ থানায় ছাত্রলীগের ২২০ জন সদস্যদের বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা দায়ের করা হয়।

মামলার অন্যতম আসামী হলেন, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির সায়ন ও সেক্রেটারি তানভীর হাসান সৈকত।

এইচএসসি পরীক্ষায় ফেল করেও ফলাফল বাতিলের দাবিতে সচিবালয়ের ভেতরে ঢুকে বিক্ষোভকারী ২৬ জন ছাত্রলীগের নেতাকর্মী। রাজধানীর শাহবাগ থানায় হওয়া মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। বিক্ষোভকারী বাকি ২৮ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে, গতকাল বুধবার সচিবালয়ে অবৈধভাবে প্রবেশ করে বিক্ষোভের ঘটনায় ৫৪ জনকে আটক করা হয়েছিল। এই ঘটনায় শাহবাগ থানার মামলায় ২৬ জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকি ২৮ জনকে তাঁদের অভিভাবকের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় হওয়া মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৬০-৭০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক : চলমান চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক হাসপাতালের আন্দোলনকে সামনে রেখে অসাধু কর্মচারী ও কর্মকর্তারা নিজেদের স্বার্থ হাসিল করতে বিভিন্ন সময় নানা অনৈতিক কর্মকান্ড করে যাচ্ছেন। সম্প্রতি হাসপাতালের কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, হাসপাতালে সেবার কর্মসূচি বাদ দিয়ে কতিপয় কর্মকর্তারা বিভিন্ন উদ্দেশ্য হাসিলের লক্ষে হাসপাতালের কর্মচারীদের হয়রানি করছে। আন্দোলনের মুল উদ্দশ্য ফ্যাসিবাদী কিংবা দূর্নীতিবাজ হটাও হলেও এখন ব্যক্তিগত সুবিধা নেয়াটাই তাদের লক্ষ। শুধু তাই নয় আন্দোলনে নেতৃত্বে যারা রয়েছে তাদের নিয়ে বিভিন্ন মহলে চলছে সমালোচনা। কারন ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে ফ্যাসিবাদের দোষররাই।

এমনকি ৫ আগষ্টের ছাত্র আন্দোলনে বাধাপ্রধানকারী ও চট্টগ্রাম সিআরবিতে ছাত্রদের উপর হামলাকারীদের কয়েকজন রয়েছে এ হাসপাতালের আন্দোলনে। তাদের মধ্যে শাওন হোসেন চট্টগ্রাম বঙ্গবন্ধু ছাত্র পরিষদের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে। অভিযোগ রয়েছে শাওন  চট্টগ্রামে সিআরবি ডাবল মার্ডার আসামি ছাত্রলীগ নেতা সাইফুল আলম লিমনের ঘনিষ্ঠ। শাওন কিভাবে ডায়াবেটিস হাসপাতালে ফ্যাসিবাদীদের বিরুদ্ধে আন্দোলনের মূল হোতা হয় এই নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্নের উৎপত্তি হয়েছে।

এছাড়া আন্দোলনের নেতৃত্বের নাম ভাঙ্গিয়ে যারা চলছে তাদের মধ্যে রবিউল হোসেন, হাবীব, খসরু, সুজন ইসহাকসহ আরো অনেকেই ৫ আগষ্টের পর দূর্নীতিবাজের খোলস পাল্টে হয়ে গেছেন দূর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলনকারী। স্থানীয় কয়েকজন বিএনপি নেতার ইন্ধনেই মূলত এসব অপকর্মের শক্তি হিসেবে কাজ করছে বলে জানা যায়। 

এবিষয়ে নগরীর নবনিযুক্ত মেয়র ডা. শাহাদাত, চট্টগ্রাম প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর সহায়তা কামনা করেন সাধারণ কর্মকর্তা কর্মচারীরা।

তাদের দাবী আন্দোলনের আড়ালে সুযোগ সন্ধানীরা যেন সুযোগ না পায় এবং এক অপরাধের বিরুদ্ধে অন্য অপরাধীরা বহাল তবিয়তে খোলস পাল্টানোর সুযোগ না পায়।

অটোপাসের দাবিতে সচিবালয়ে অনুপ্রবেশ করে বিক্ষোভের ঘটনায় আটক শিক্ষার্থীদের মধ্যে ২৬ এইচএসসি পরীক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে তাদের আদালতে তোলা হবে জানা গেছে।

এদিকে, আটক অপর ২৮ শিক্ষার্থীকে মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে শাহবাগ থানা পুলিশ।

গতকাল বুধবার এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল পুনরায় প্রকাশের দাবিতে শতাধিক শিক্ষার্থী সচিবালয়ে ঢুকে পড়েন। একপর্যায়ে বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের লাঠিপেটা করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এ সময় তাড়া খেয়ে ছত্রভঙ্গ হয়ে যান শিক্ষার্থীরা। তাদের মধ্যে কিছু শিক্ষার্থী সচিবালয়ের ভেতরে আটকা পড়েন। পরে তাদেরকে আটক করে পুলিশের প্রিজনভ্যানে তোলা হয়।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করেছে সরকার। বুধবার (২৩ অক্টোবর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের রাজনৈতিক শাখা-২ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী বিভিন্ন সময়ে বিশেষ করিয়া বিগত ১৫ বৎসরের স্বৈরাচারী শাসনামলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ হত্যা, নির্যাতন, গণরুমকেন্দ্রিক নিপীড়ন, ছাত্রাবাসে সিট বাণিজ্য, টেন্ডারবাজি, ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নসহ নানাবিধ জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল এবং এতৎসম্পর্কিত প্রামাণ্য তথ্য দেশের সকল প্রধান গণমাধ্যমে প্রকাশিত হইয়াছে এবং কিছু সন্ত্রাসী ঘটনায় সংগঠনটির নেতাকর্মীদের অপরাধ আদালতেও প্রমাণিত হইয়াছে।

এতে আরও বলা হয়, ১৫ জুলাই ২০২৪ তারিখ হইতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আন্দোলনরত ছাত্র-ছাত্রী ও সাধারণ জনগণকে উন্মত্ত ও বেপরোয়া সশস্ত্র আক্রমণ করিয়া শতশত নিরপরাধ শিক্ষার্থী ও ব্যক্তিদের হত্যা করিয়াছে, আরও অসংখ্য মানুষের জীবন বিপন্ন করিয়াছে এবং
যেহেতু সরকারের নিকট যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ রহিয়াছে যে ৫ আগস্ট ২০২৪ তারিখ আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক, ধ্বংসাত্মক ও উসকানিনিমূলক কর্মকাণ্ড এবং বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যের সহিত জড়িত রহিয়াছে; সেহেতু সরকার ‘সন্ত্রাস বিরোধী আইন, ২০০৯’ এর ধারা ১৮ এর উপ-ধারা (১) এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করিল এবং উক্ত আইনের তফসিল-২ এ বাংলাদেশ ছাত্রলীগ নামীয় ছাত্র সংগঠনকে নিষিদ্ধ সত্ত্বা হিসেবে তালিকাভুক্ত করিল।

এই সপ্তাহের মধ্যে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। গতকাল সংগঠনটির দেয়া ৫ দফার একটি ছিল ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। এই দাবি ঘোষণার একদিনের মাথায় ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা হলো।

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের অপসারণসহ চার দফা দাবিতে বঙ্গভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছে শিক্ষার্থীরা। ঘেরাও ও অবস্থান কর্মসূচির উদ্দেশ্যে মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে তারা বঙ্গভবনের সামনে অবস্থান নেন।

এদিকে, ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণায় সংশ্লিষ্ট এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। মোতায়েন করা হয়েছে বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য। এছাড়া পুলিশ ও সেনাবাহিনীর এপিসি, জলকামান প্রস্তুত রয়েছে।

দুপুর ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রাজু ভাস্কর্য থেকে মিছিল শুরু করে বঙ্গভবনের দিকে যায় স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা কমিটি। হাইকোর্ট মাজার মোড় এলাকায় পুলিশের বাধা অতিক্রম করে বঙ্গভবন পর্যন্ত এগিয়ে যায়। সেখানে তারা ভেতরে অবস্থান করতে চাইলে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। পরে মোড়ে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা কমিটির নেতৃবৃন্দ। এছাড়া, সেখানে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে ‘রক্তিম জুলাই-২০২৪’ ব্যানারে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ করতে যায় অর্ধশত জনতাকে। ব্যক্তিগত ব্যানারেও কেউ কেউ অবস্থান নিয়েছেন।

রাষ্ট্রপ্রধানের পদত্যাগ ও ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গণজমায়েত কর্মসূচি চলছে। সেখানে প্ল্যাটফর্মটির সমন্বয়করাসহ শিক্ষার্থী, জনতা অবস্থান নিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগের দালিলিক প্রমাণ নিজের কাছে নেই— মানবজমিনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের এমন মন্তব্য দেশের রাজনীতিতে উত্তাপ-আলোচনা সৃষ্টি করেছে বেশ। এমন মন্তব্যের জেরে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগ চাইছেন শিক্ষার্থীদেরসহ অনেকে। যদিও গতকাল সোমবার রাতে রাষ্ট্রপতির প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শেখ হাসিনার পদত্যাগের বিষয়টি মীমাংসিত। এ বিষয়ে নতুন করে কোনো বিতর্ক সৃষ্টি করে অন্তর্বর্তী সরকারকে অস্থিতিশীল কিংবা বিব্রত করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান মো. সাহাবুদ্দিন।

সম্পাদক ও প্রকাশক : মঈনুদ্দিন কাজল
deshermatidaily@gmail.com
০১৬১৫১১২২৬৬, ০১৬৭৩৫৬২৭১৬

দেশের মাটি কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।