অপরাধ

শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদ প্রতিষ্ঠায় বিচার বিভাগ অনুঘটক হিসেবে কাজ করেছে। গণমাধ্যমের একটি অংশও একই ভূমিকা রেখেছিল বলে মন্তব্য করেছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।

শনিবার (১৬ নভেম্বর) সকালে ঢাকার মাইডাস সেন্টারে আইন বিষয়ে অনুসন্ধানী সাংবাদিক বিষয়ে প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনকালে তিনি এ মন্তব্য করেন। টিআইবি ও সুপ্রিম কোর্টে রিপোর্টাস ফোরাম এ কর্মশালা আয়োজন করে।

টিআইবির এ পরিচালক জানান, বিচার বিভাগ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। বিচার বিভাগের সুফল পেতে হলে রাজনৈতিক সংস্কার আসতে হবে।

এই অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলায় আইনি লড়াইয়ে পাশে থাকার ঘোষণা দেন অতিরিক্ত এটর্নি জেনারেল অনিক আর হক।

অনুপ্রবেশের অভিযোগে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ থেকে ৮ জন বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করেছে দেশটির পুলিশ। গতকাল বুধবার (১৩ নভেম্বর) দিবাগত রাতে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার ব্যারাকপুর মহকুমার খড়দহ ও টিটাগর এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

আজ বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে আট বাংলাদেশিকে ব্যারাকপুর আদালতে তোলা হয়। এ সময় তাদের আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিতে ব্যারাকপুর আদালতে আবেদন করে খড়দহ থানার পুলিশ।

জানা গেছে, গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে বাবলু শেখ, ফারুক শেখ ও আলি শেখ বাসা ভাড়া নিয়ে সেখানে বসবাস করছিলেন। তাদের বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলায়। তাদের কাছে কোনো বৈধ পাসপোর্ট ও ভিসা পাওয়া যায়নি।

দেশটির পুলিশ জানায়, প্রত্যেকেই দালালের মাধ্যমে নদীয়া ও উত্তর ২৪ পরগনার সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছে বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে। তারা সবাই আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মী হিসাবে পরিচিত। রাজনৈতিক পালা বদলের পর গোপনে পশ্চিমবঙ্গে আশ্রয় নেন তারা। গ্রেফতারকৃতদের দেয়া রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত পরিচয় সংক্রান্ত তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে বলেও জানায় পুলিশ।

গেল দেড় দশকে শেখ হাসিনা সরকারের আমলে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভয়ারণ্য হয়ে উঠে টেলিকম খাত। সালমান এফ রহমান সিন্ডিকেটের প্রভাব-বলয়ে বন্দি হয়ে পড়েন কর্মকর্তারা। বেসুমার অনিয়ম আর দুর্নীতির মাধ্যমে লুটে নেয়া হয় সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকার সুবিধা।

ইন্টারন্যাশনাল গেটওয়ে অপারেটরস ফোরাম (আইওএফ) সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নেয়ার বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। প্রকৃত দরের চেয়ে কম ঘোষণার মাধ্যমে হাতিয়ে নেয়া হয় এসব অর্থ।

প্রাথমিক তদন্তে আইন বহির্ভূতভাবে আইওএফ গঠনের মাধ্যমে রাজস্ব ভাগাভাগিতে অনিয়ম পেয়েছে বিটিআরসি। আইজিডব্লিউ, আইসিএক্স, আইআইজিসহ বিভিন্ন খাতের লাইসেন্স প্রদানে অনিয়ম এবং রাজস্ব ফাঁকির বিষয়ে নেয়া হচ্ছে কঠোর পদক্ষেপ।

বিটিআরসির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) এমদাদ উল বারী বলেন, লভ্যাংশ শেয়ার করা হয় লটারিতে, এখানে যে একটি গ্যাপ, এ নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। এটি সিরিয়াসলি দেখার আছে।

২০১৫ সালে আইওএফ সিন্ডিকেট গঠনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক কল ব্যবসা দখলে নেয় সালমান এফ রহমানের সিন্ডিকেট। অভিযোগ আছে, ভয়েস কলে নামমাত্র ট্যারিফ নির্ধারণ করার জন্য বিটিআরসিকে বাধ্য করেন আওয়ামী লীগের এই প্রভাবশালী নেতা। বিষয়টি আমলে নিয়ে ট্যারিফ কাঠামো পরীক্ষা-নীরিক্ষার কাজ শুরু করেছে বিটিআরসি।

মেজর জেনারেল (অব.) এমদাদ উল বারী বলেন, কল টার্মিনেশন রেট বিশ্বে যেসব দেশে কম, তার মধ্যে একটি বাংলাদেশ। তাতে লাভ হচ্ছে ইন্টারন্যাশনাল ক্যারিয়ারের, আর ক্ষতি হচ্ছে সরকারের। লাভ পাচ্ছে না সরকার। এই ট্যারিফটা কতটুকু বৃদ্ধি করা যাবে, কিংবা আদৌ করা যাবে কি না তা যাছাই করা দরকার। যা আমরা শুরু করেছি।

রাজস্ব ফাঁফি দেয়ার পাশাপাশি আইওএফ সিন্ডিকেট মোবাইল অপারেটরদেরও টাকা ফাঁকি দিয়েছে। বিটিআরসির কাছে এমন অভিযোগ জানিয়েছে জানিয়েছে অপারেটরা।

রবির করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স বিভাগের চিফ সাহেদুল আলম বলেন, আইজিডব্লিউ অপারেটরস ফোরাম ইকো সিস্টেমে যে স্টেপটা করা হয়েছিল, সেটি কিন্তু বিটিআরসির আইএলডিটিএস পলিসি ছিল সেটিরই একটি ব্যত্যয় ছিল। সেক্ষেত্রে আমাদেরও একটি বড় ধরনের লোকসান হয়েছে প্রতি মাসে। আমরা সব অপারেটররা যদি বলি, সরকার প্রথম দিকে যদি ১শ’ থেকে দেড়শ কোটি টাকা লোকসান করে, তাহলে আমরাও ৭০-৮০ কোটি টাকা লোকসান করেছি প্রতি মাসে।

আইওএফসহ টেলিকম খাতের সিন্ডকেটের দৌরাত্ম বন্ধ করতে আইএলডিটিএস পলিসি পর্যালোচনার পরামর্শ প্রযুক্তিবিদদের।

প্রযুক্তিবিদ সুমন আহমেদ সাবির বলেন, আমাদের ব্যাংকিং সেক্টরে যে ঘটনা ঘটেছে, হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণখেলাপি আমরা দেখতে পাচ্ছি, এই ক্ষেত্রেও প্রায় একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। আমার মনে হয়, এখন একটা সময় এসেছে, আমাদের এই পলিসিগুলো.. আইএলডিটিএস পলিসি অনেক পুরনো, ২০০৮ সালের পলিসি আজকের বাস্তবতায় পুনর্বিবেচনা করার দাবি রাখে।

আইন করে কুইক রেন্টাল সংক্রান্ত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিষয়ে দায়মুক্তি দেয়া অবৈধ ছিলো বলে জানিয়েছেন হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

হাইকোর্ট বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধিতে বিশেষ আইন ২০১০ এর ৯ ধারায় দায়মুক্তি দেয়া হয়। এছাড়া ক্রয় সংক্রান্ত ৬ ধারা অনুযায়ী মন্ত্রীকে একক সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা দেয়া হয়। যা সম্পূর্ণ অবৈধ।

কুইক রেন্টাল সংক্রান্ত বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০ এর ৯ ধারায় দায়মুক্তি কেন অবৈধ ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলের শুনানি শেষে গত ৭ নভেম্বর বৃহস্পতিবার রায়ের দিন ধার্য করেন হাইকোর্ট। বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ড. শাহদীন মালিক। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার সিনথিয়া ফরিদ।

গত ২ সেপ্টেম্বর কুইক রেন্টাল সংক্রান্ত বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধিতে করা বিশেষ বিধান কেন অবৈধ ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এর আগে, কুইক রেন্টালে দায়মুক্তি এবং ক্রয় সংক্রান্ত ৬ (২) ধারার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী।

শেরপুরে নিখোঁজের সাত দিন পর কলেজছাত্র সুমন মিয়ার মরদেহ ‍উদ্ধার করেছে পুলিশ। সুমনের প্রেমিকা আন্নি আক্তারের আরেক প্রেমিক রবিনের বাড়ির উঠান থেকে মাটি চাপা অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সোমবার (১১ নভেম্বর) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে তার মরদেহের সন্ধান পাওয়া যায়।

সুমন শেরপুর শহরের কসবা বারাকপাড়া (নিমতলা) এলাকার কৃষক মো. নজরুল ইসলামের ছেলে এবং শেরপুর সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র।

পুলিশ জানায়, ৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় সুমন মিয়া কলেজ থেকে বাড়ি ফেরার পথে শহরের বাগরাকসা কাজীবাড়ি পুকুরপাড় এলাকায় আন্নির উপস্থিতিতে দুই-তিনজন যুবক জোর করে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় উঠিয়ে অপহরণ করে। এ ঘটনায় সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন সুমনের বাবা। গত কয়েকদিনেও সুমনের সন্ধান না পেয়ে তার মা-বাবা, স্থানীয়রা ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কয়েকজন শিক্ষার্থী রোববার দুপুরে পুলিশ সুপার মো. আমিনুল ইসলামের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তারা সুমনকে উদ্ধারসহ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারের দাবি জানান।

অভিযোগের পর রোববার (১০ নভেম্বর) রাতে শহরের বাগরাকসা কাজীবাড়ী পুকুরপাড় এলাকা থেকে আন্নি (১৯) ও মো. আজিম উদ্দিনকে গ্রেফতার করে । তবে ময়মনসিংহ থেকে আন্নির অপর প্রেমিক রবিন ওরফে রনিকে আটকের পর খোলে রহস্যের জট। পরে পৌর শহরের সজবরখিলায় পুলিশ সদস্য ফোরকান আলীর ছেলে রবিনের বাড়ির উঠান খুঁড়ে তার দেখানো জায়গা থেকে সুমন মিয়ার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

স্থানীয় একাধিক সূত্র জানিয়েছে, সুমন ও আন্নির মাঝে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এরমধ্যে, আন্নি রবিনেরও সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়ায়। ধারণা, প্রেমঘটিত ঝামেলায় তাকে হত্যা হয়েছে।

এ ব্যাপারে শেরপুরের পুলিশ সুপার মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, পুরো ঘটনাটি পুলিশ গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছে পুলিশ। মোবাইল ফোন ট্রাকিংয়ের মাধ্যমে রবিনকে আটক করা হয়। এরপর তার দেখানো জায়গা থেকে মাটিচাপা অবস্থায় সুমনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ফরিদপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ইসলাম রিংকু ও জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুলের দলীয় পদের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। রোববার (১০ নভেম্বর) বিএনপির সহ-দফতর সম্পাদক মুহম্মদ মুনির হোসেন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২১ আগষ্ট বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক (ফরিদপুর বিভাগ) শামা ওবায়েদের প্রাথমিক সদস্য পদসহ বিএনপির সকল পর্যায়ের পদ স্থগিত করা হয়েছিলো। আজ তার স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গত ২১ আগষ্ট বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুলের কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক পদসহ বিএনপির সকল পর্যায়ের পদ স্থগিত করা হয়েছিল। আজ তার স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে।

এর আগে, কৃষক দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুলের পথসভা আয়োজনকে কেন্দ্র করে ফরিদপুরের নগরকান্দায় বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় এক ব্যক্তি নিহত হন। আহত হয় অন্তত ২০ জন। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ও কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুলের দলের সমস্ত পদ স্থগিত করে বিএনপি।

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমু গ্রেফতার হয়েছেন। বুধবার (৬ নভেম্বর) রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে ডিবি।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) রেজাউল করিম মল্লিক। 

তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। পর্যায়ক্রমে তাকে গ্রেফতার দেখানো হবে। তাকে একটি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ডের আবেদন করা হবে।

৫ আগস্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর গত ১৮ আগস্ট আমির হোসেন আমুর ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়। একইসঙ্গে তার পরিবারের সদস্য ও তাদের মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবে লেনদেন স্থগিত করা হয়।

আমির হোসেন আমু সাবেক শিল্পমন্ত্রী। বর্তমানে তিনি আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় মহাজোটের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র। তিনি ঝালকাঠি থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছিলেন। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ঝালকাঠিতে বিক্ষুব্ধ জনতা তার বাড়িতে অগ্নিসংযোগও করে।

টঙ্গীর কেরাণিটেক বস্তিতে যৌথ বাহিনীর অভিযানে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য, নগদ ২২ লাখ টাকা এবং মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িত ৪০ জনকে আটক করা হয়েছে। সোমবার (৪ নভেম্বর) ভোররাত সাড়ে তিনটায় শুরু হওয়া অভিযানে বস্তির কয়েকটি ঘর থেকে গাঁজা, ফেন্সিডিল, ইয়াবা, দেশীয় অস্ত্র, নগদ ২২ লাখ ৮১ হাজার ৩০০ টাকাসহ বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার করেছে যৌথবাহিনী। 

সেনাবাহিনী জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। সেনাবাহিনীর ছাড়াও র‍্যাব ও পুলিশের সমন্বয়ে অভিযান হয়েছে। যেখানে প্রায় ৫৫০ জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য অংশ নেন। আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলার প্রক্রিয়া চলছে। এ সময় ১১৫৩ লিটার বিয়ার, ৪৫৯ লিটার মদ, জব্দ করা হয়।

পরে টঙ্গীতে অবস্থিত জাবান হোটেলে যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ মাদকসহ ৮৪ জন নারী-পুরুষকে আটক করে।অভিযানের সময় পালাতে গিয়ে মিল্টন (৫০) নামে জাবান হোটেলের একজন কর্মচারী ৫ তলার ছাদ থেকে লাফ দিয়ে নিহত হন। সোমবার (৪ নভেম্বর) দুপুর ১টার দিকে অভিযান শেষে হোটেলটি সিলগালা করে দেয় যৌথবাহিনী। আটকদের টঙ্গী পূর্ব থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। 

টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কায়সার আহমেদ বলেন, যৌথ বাহিনীর জাভান হোটেলে অভিযানের সময় ভয়ে পালাতে গিয়ে পাঁচ তলা থেকে লাফ দিয়ে একজন নিহত হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

রংপুরে পুলিশের গুলিতে নিহত আবু সাঈদের ফরেনসিক প্রতিবেদন প্রস্তুতকারী চিকিৎসক ও রংপুর মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. রাজিবুল ইসলাম বলেছেন, আবু সাঈদের বুক গুলিতে ঝাঝরা ছিল। সরকারের মন মতো প্রতিবেদন দিতে ঢাকা থেকেও তাকে হুমকি দেয়া হয়।

বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) রংপুর মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসে নব নিযুক্ত অধ্যক্ষ ডা. মাহফুজুর রহমানের অপসারণ ইস্যুতে চলমান বিক্ষোভের সময় ফরেনসিক প্রতিবেদন টেম্পারিংয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, আমাকে ঢাকা থেকে হুমকি দেয়া হয়েছে। বলা হয়, তুমি সরকারি চাকরি করে কীভাবে সরকারের বিপক্ষে এই রিপোর্ট দিতে পারো। চূড়ান্ত প্রতিবেদন যখন দিতে যান, তার আগে ছয়বার প্রতিবেদন পরিবর্তন করানো হয়েছিল। বলেন, সেসময় রংপুর মেডিকেলের ভাইস প্রিন্সিপাল মাহফুজার রহমান চার্জে ছিলেন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) নেতারা ছিলেন। পুলিশ প্রশাসনের লোকও ছিলেন। তাদের সামনেই তাকে বাধ্য হয়ে প্রতিবেদনে স্বাক্ষর করতে হয়েছিল।

ডা. রাজিবুল ইসলাম বলেন, ‘ওনারা (ডা. মাহফুজসহ উপস্থিত অন্যরা) চেয়ছিলেন আমি যেন হেড ইনজুরি দিয়ে ইউরেজোনিক শক দেখিয়ে দেই। কিন্তু আমি তাদের চাপের কাছে মাথা নত করিনি। আমার রিপোর্টে উল্লেখ ছিল, ‘দ্য ডেড ওয়াজ ডিউ টু অ্যাভোব মেনশন ইনজুরিস হুইচ ওয়াজ এন্টিমন্টেম অ্যান্ড হোমিসাইডাল।’

তিনি বলেন, সবাই ভাবছে হেড ইনজুরির (মাথার আঘাত) কারণে আবু সাঈদ মারা গেছে। হেড ইনজুরি হলে সাধারণত ব্রেনে রক্তক্ষরণ থাকে। স্ক্যামবোল ফ্রাকচার থাকে। সাঈদের ক্ষেত্রে এগুলো কোনটাই ছিল না। আমি প্রচণ্ড চাপে ছিলাম। আমাকে নানাভাবে ভয় দেখানো হয়েছে।

সম্পাদক ও প্রকাশক : মঈনুদ্দিন কাজল
deshermatidaily@gmail.com
০১৬১৫১১২২৬৬, ০১৬৭৩৫৬২৭১৬

দেশের মাটি কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।