অপরাধ

ব্যাংক জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগে অভিযুক্ত দেশের শীর্ষ ব্যবসায়িক গ্রুপ এস আলমের সব স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের তালিকা জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এস আলম গ্রুপ ব্যাংক থেকে কত টাকা ঋণ নিয়েছে ও বিদেশে কত টাকা পাচার করেছে, এ বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়।

রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) এ বিষয়ে এক রিট আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি কামরুল ইসলাম মোল্লা ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

শুনানিতে আদালত বলেন, বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর। তাই তারা ধীরে এগুতে চান।

এর আগে এস আলমের সম্পত্তি বিক্রি, হস্তান্তর এবং স্থানান্তরের উপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে রিটটি দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার রোকোনুজ্জামান।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) অধীনে সরকারী উন্নয়নমূলক কাজের বিভিন্ন প্রকল্পসমূহ বাস্তবায়ন করতো মিরাজুলের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।

বরিশাল বিভাগের ৬টি জেলার মধ্যে পিরোজপুরের উন্নয়ন কাজের মান সবদিক দিয়ে খারাপ জেলা। এই জেলার কাজের মান খারাপ হওয়ার জন্য মিরাজুল ইসলাম দায়ী, এমনটাই মনে করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। মিরাজুল পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান।

তিনি ভান্ডারিয়রা-কাউখালী এলাকার সাবেক সংসদ সদস্য মহারাজ এর ছোটো ভাই। সাবেক সাংসদ মহারাজ একসময় জাতীয় পার্টির (জেপি) আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর ব্যক্তিগত সহকারী ছিলেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। কথিত আছে এই নির্বাচনে জেতার জন্য তার ভাই ২৫০ কোটি টাকা ব্যয় করেন।

পিরোজপুর জেলায় এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীর পোষ্টিং হতো এই দুই ভাইয়ের ইচ্ছানুযায়ী। প্রথমদিকে নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে নিয়ে আসেন আব্দুল হাইকে। তার সাথে মতবিরোধ হলে নিয়ে আসেন নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল হাসানকে। তিনি সেখানে প্রায় চার বছর ছিলেন; তার সময়ের এলজিইডি পিরোজপুরের কাজের মান খুব খারাপ হলে তাকে প্রধান প্রকৌশলী তুলে নিয়ে আসেন।

এরপর নির্বাহী প্রকৌশলী হিসাবে নিয়ে আসা হয় এলজিইডির সবচেয়ে সমালোচিত প্রকৌশলী জনাব সুশান্ত রঞ্জন রায়কে। তিনি এমন কোনো অপরাধ নাই যা এদের পক্ষে করেন নাই; টেন্ডারবাজি, অপ্রয়োজনীয় রিভাইস, ওভারপেমেন্ট, ডুপ্লিকেশন (একই স্কীম একের অধিক প্রকল্প থেকে টেন্ডারকরণ) ইত্যাদি অনেক ভয়ানক অপরাধ।

সুশান্তের বিরুদ্ধে অভিযোগের পাল্লা ভারী হলে কর্তৃপক্ষ তাকে সরানোর উদ্যোগ নেয়, আরেক দুর্নীতিপরায়ন নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুস সাত্তার হাওলাদারকে নিয়ে আসা হয়। তিনি গত জুন মাসে অবসরে গিয়েছেন। এরপর নিয়ে আসা হয় অনৈতিক কাজের মাস্টারমাইন্ড বর্তমান নির্বাহী প্রকৌশলী রনজিত দেকে।

পরবর্তীতে মিরাজুল ইসলাম তৎকালীন মন্ত্রী তাজুল ইসলাম, প্রধান প্রকৌশলী রশীদের সহযোগীতায় (কোটি টাকার বিনিময়ে) সুশান্ত রঞ্জন রায়কে ‘বরিশাল-ঝালকাঠী-পিরোজপুর’ (ইঔচ) প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক হিসাবে নিয়োগ পাওয়িয়ে দেন।

এই প্রকল্পের আওতায় পিরোজপুর জেলায় ইফতি. ইটিসিএল (প্রাঃ) লিমিটেড কাজ পায়। যাহার প্রোপ্রাইটর মিরাজুল ইসলাম। দেশের দক্ষিণাঞ্চলে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির জন্য (ওইজচ) নামে একটি প্রকল্প চালু হয়। এই প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ছিলেন আহমদ আলী। তাকে এই প্রকল্পের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে সুশান্ত রঞ্জন রায়কে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়। কারণ আহমেদ আলী জানতে পারেন তার প্রকল্পের প্রায় ১৫/২০টি ব্রীজের কাজ শুরুই হয়নি। অথচ ৮৫% পেমেন্টের জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। এই কাজগুলো করার জন্য নির্বাচিত হয়েছিলেন ইফতি. ইটিসিএল (প্রাঃ) লিমিটেড। কাজগুলোর ওভারপেমেন্ট, ডুপ্লিকেশন, টেন্ডারিং ইত্যাদি ঘাপলাসহ আহমেদ আণলীর বিষয়টি পুণঃতদন্ত করে দেখা উচিত বলে সংশিষ্টরা জানান।

ইউওজডঝচ প্রকল্প এর কাজ শুরু হয় ২০২২ সালে। শুরুতেই এই প্রকল্প থেকে প্রায় ১৫০ কোটি টাকার স্কীম বাস্তবায়নের জন্য দরপত্র আহ্বানের নিমিত্তে অনুমোদন দেয়া হয়। ঐ অর্থ-বছরেই পিরোজপুর জেলায় প্রকল্প পরিচালক ১১০ কোটি টাকা ছাড় করেন। কাজগুলোর বেশিরভাগই নামে-বেনামে বাস্তবায়ন করছে ইফতি. ইটিসিএল (প্রাঃ) লিমিটেড। তাদেরকে বরাদ্দকৃত টাকার প্রায় পুরোটাই দিয়ে দেওয়া হয়। অথচ তখন পর্যন্ত মাঠে ৫% কাজও বাস্তবায়িত হয়নি। তাকে প্রকল্প পরিচালক নিয়োগ করার জন্য মিরাজ কোটি টাকার বেশি মন্ত্রীকে প্রদান করেন।

টঐইচ প্রকল্পের দায়িত্বে ছিলেন মোঃ সেলিম মিয়া। এ প্রকল্পের অধীনে পিরোজপুর জেলায় ১৮টি ব্রীজ নির্মাণের জন্য অনুমোদন দেয়া হয়। প্রায় সবগুলোর কাজ করার দায়িত্ব পায় ইফতি. ইটিসিএল (প্রাঃ) লিমিটেড। এসব স্কীমের ১৪টি তারা নিজে করছে। এই ১৪টি কাজের কোনো কাজই শুরু হয়নি, অথচ পরিশোধ করা হয় চুক্তিমূল্যের প্রায় ৮৫% টাকা ।

ঈঅঋউজওজচ প্রকল্প এর মাধ্যমে পিরোজপুর জেলায় ৭০ এর অধিক স্কীম বাস্তবায়িত হচ্ছে। এই প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মোঃ রফিকুল হাসান। আশ্চর্যজনক হলেও সত্য এর মধ্যে প্রায় ৬৫টি স্কীম ইফতি. ইটিসিএল (প্রাঃ) লিমিটেড পেয়েছে। এ প্রকল্পের কাজগুলোর টেন্ডারিং প্রক্রিয়াসহ গুণগতমান নীরিক্ষার জন্য সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষ সরেজমিনে পরিদর্শন করলে আসল রহস্য বেরিয়ে আসবে। পিরোজপুর জেলার পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মোঃ ইব্রাহীম। মিরাজের ইচ্ছে অনুযায়ী তাকে নিয়োগ দেয়া হয়।

মিরাজের সাথে সাবেক মন্ত্রী তাজুল ইসলাম ও ভান্ডারিয়া নিবাসী সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মূখ্যসচিব তোফাজ্জেল হোসেনের দহরম-মহরম সম্পর্ক। মূলত এদেরকে ব্যবহার করে বরিশাল বিভাগের সমস্ত প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালকদের নিয়োগে মুখ্য ভূমিকা পালন করেন।

এলজিইডি সূত্র জানায়, দেশের পরিবর্তীত সর্বত্র সংস্কার হলেও এখানকার বিতর্কিত কর্মকর্তারা এলজিইডি মন্ত্রণালয়সহ সর্বত্র দাবড়িয়ে বেড়াচ্ছেন। তাদের এই দৌরাত্বের সীমা শুরু বরিশাল বিভাগের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না। এলজিইডির আওতাধীন বাংলাদেশের সমস্ত প্রকল্পের পরিচালক নিয়োগে মন্ত্রীর পক্ষে কাজ করেছেন। অনতিবিলম্বে বরিশাল বিভাগের সমস্ত প্রকল্প পরিচালদেরকে দায়িত্ব থেকে অপসারন করে দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের নিয়োগদানের পরামর্শ সংশিষ্টদের।

এ ব্যাপারে মিরাজুল ইসলামের বক্তব্য জানতে তার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে বর্তমান ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পরিবর্তীত প্রেক্ষাপটে তিনি আত্মগোপনে থাকায় তার মতামত জানা সম্ভব হয়নি।

চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বিপুল সংখ্যক অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে যৌথবাহিনী। এসময় হত্যা মামলার অন্যতম আসামি চৌধুরীর ছেলে ফারাজ করিম চৌধুরীকেও গ্রেফতারে অভিযান চালানো হয়। তবে, তাকে সেখানে পাওয়া যায়নি।

গত মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে রাউজান উপজেলার গহিরায় এই অভিযান চালায় জেলা পুলিশ।

জানা গেছে, পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সাবেক এই এমপির বাড়িতে অভিযান চালায় জেলা পুলিশ ও রাউজান থানা পুলিশ। এসময় উদ্ধার করা হয়– রিভলবার, পিস্তল, রাইফেল, শটগান, ২টি টিয়ার গ্যাস লঞ্চার, বিপুল সংখ্যক গুলি, এক নলা বন্দুক ও বন্দুকের কার্তুজ, বিস্ফোরক দ্রব্য, ককটেলসহ অনেক দেশী-বিদেশি অস্ত্র।

উদ্ধার হওয়া এসব অস্ত্রের মধ্যে শুধু রাইফেলের লাইসেন্স ছিল। বাকি অস্ত্র অবৈধ। সরকারের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে বৈধ অস্ত্র জমা না দেয়ায় সেটিও অবৈধ হয়ে যায়। অস্ত্র–গুলি উদ্ধারের ঘটনায় রাউজান থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ৩ সেপ্টেম্বর এর মধ্যে পুলিশের লুট হওয়া এবং লাইসেন্স স্থগিত হওয়া অস্ত্র জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। কিন্তু জমা দেয়ার নির্ধারিত সময় পার হলেও এসব অবৈধ অস্ত্র ফজলে করিমের বাড়িতেই ছিল।

১২ সেপ্টেম্বর সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া সীমান্তের আবদুল্লাহপুর এলাকা থেকে এ বি এম ফজলে করিমসহ তিনজনকে আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

রাজধানী মোহাম্মদপুর এলাকাতে অপরাধ জগতের বিশাল এক সিন্ডিকেট গড়ে তোলা হয়েছিল। ডিএনসিসি এর ২৯ নং এর ওয়ার্ড কমিশনার সলিমুল্লাহ সলুর নেতৃত্বে। যার প্রধান সহযোগী ছিল ঢাকা উদ্যানের মনিরুজ্জামান মনির। এবং বিভিন্ন সময় তাকে সহযোগীতা করতো ডিএনসিসি এর ৩৩ নং ওয়ার্ডের সাবেক কমিশনার তারেকুজ্জামান রাজীব। ২০২৩ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের আগুনে প্রায় ৩০০ দোকান পুড়ে যায়। এই ঘটনায় অনেকেই সলুকে সন্দেহ করছে। সর্বশেষ বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন চলাকালীন সময়ে মোহাম্মদপুর বছিলা এলাকায় সুজন নামক একজনকে হত্যার অভিযোগে ১লা সেপ্টেম্বর আটক হয় সলু। এরপরই কাটাশুর এলাকার বাসিন্দা বরকত মার্ডারের প্রধান আসামী বর্তমানে জামিনপ্রাপ্ত শামীম বেপারী গোপনে পালিয়ে সিঙ্গাপুরে যায়। সলুর প্রধান সহযোগী মূর্তমান আতঙ্ক মনিরুজ্জামান মনির। মনিরের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জিম্মি থাকতো ঢাকা উদ্যান সহ আশপাশের বাসিন্দারা এবং ব্যবসায়ীরা। সাবেক কমিশনার সলুর সাথে পারিবারিক সম্পর্কের কারনে সিন্ডিকেট করে, বিভিন্ন সাধারণ মানেুষের জমি দখল, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা ও বিআইডাব্লিউটি এর জমি দখল এর অভিযোগে মোহাম্মদপুর থানা ও আদালতে প্রায় ৮০ টি মামলা ও সাধরণ ডায়েরী (জিডি) রয়েছে। কয়েকবার ইয়াবা সহ গ্রেফতার হয় মনির।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে যোগাযোগ করে জানা যায়, তার বিরুদ্ধে জমি দখল, চাঁদাবাজি, বাড়ীদখল, ভাংচুর, ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগসহ ৭৫ টির বেশী মামলা জিডি রয়েছে।

মোহম্মদপুরের শেখের টেক ও বেড়িবাধ সংলগ্ন প্রায় ১০ টি হাউজিং প্রতিষ্ঠানের একাধিক প্লট দখলের অভিযোগ এই সন্ত্রাসী মনিরের বিরুদ্ধে। ২০১৯ সালে ক্যাসিনো বিরোধী অভিযানের সময়, সাবেক কমিশনার তারেকুজ্জামান রাজীব আটক হলেও আমেরিকায় পালিয়ে নিজেকে রক্ষা করে মনির।

মোহাম্মদপুর থানায় একটি চাদাঁবাজী মামলায় ২০১৭ সালে প্রথম গ্রেফতার হয় মনির । জামিন পেয়ে ঐ বছরই দখলদারিত্ব বাড়াতে গেলে ৩৩ নং ওয়ার্ডের তখনকার কমিশনার তারেকুজ্জামান রাজীবের বাহিনীর সাথে গুলি বিনিময় হয় মনির বাহিনীর সাথে। পরে সমঝোতার মাধ্যমে দুই বাহিনীর সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠে।

স্থানীয়রা ও ভুক্তভোগীরা জানায় মনিরের বাগান বাড়ীতে ছিল একটা ভয়ংকর টর্চার সেল। টর্চারের সময় উচ্চ ভলিউমে গান বাজানো হতো সাউন্ডবক্সে।

২০১৬ সালে ঢাকা উদ্যানে বালুর ঘাট দখল নেওয়াকে কেন্দ্র করে মনির বাহিনীর হাতে নির্যাতনের  স্বীকার হয় হাজী বরকত উল্লাহ্ আজহার এন্টারপ্রাইজের ম্যানেজার সুবল চন্দ্র দাশ, রুহুল আমিন, পাটোয়ারী, ইয়ামিন। 

ভুক্তভোগীরা আরও জানায় দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তাদের উপর আঘাত করা হয়। ভীতি প্রদর্শনের সময় মনিরের অস্ত্রধারী বাহিনীর মধ্যে হুমায়ূন, হোসেন, শাহাবুদ্দীন, শাহিন, মাহিন, আকবর, সুলতান, ফালান, শুভ, ওলী ও ম্যানেজার আনোয়ার মাসুদ উপস্থিত থেকে নির্যাতনের মাত্রা পরিচালনা করতেন।

 ২০১৩ সালে প্রথম মনির বাহিনী ঢাকা উদ্যানে বালুর ঘাটে জমির মালিকানা দাবি করে একের পর এক ব্যবসায়ীকে বিভিন্ন হুমকি দিয়ে হটিয়ে টিন ও বাঁশ দিয়ে বেড়া নির্মান করে দখল বাণিজ্য শুরু করে। ভুক্তভোগি ব্যবসায়ীদের বলেন, যে কেউ তার কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করলেই নেমে আসতো শাস্তির খড়গ।  

কাজী আশরাফ আল কাদীর নামের এক ভুক্তভোগী জানান ২০১১ সালে ঢাকা উদ্যানের ডি বøকে সাড়ে ০৬ কাঠার ৫৪ নং প্লটের দোতলা বাড়ী নির্মানের কাজ শুরু করেন, এর মধ্যেই মনির তার কাছে ৫০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দেওয়ায় মনির জাল দলিল তৈরী করে ক্যাডার বাহিনী দিয়ে বাড়ীটি দখলে নিয়ে নেয়। এ বিষয়ে সে সময় মোহাম্মদপুর থানায় একটি সাধারন ডাইরী করেও সুফল পাননি। দখলের পর আদালতে মামলা করেন এ ভুক্তভোগী আজও আলোর মুখ দেখেনি। পূর্বের সরকারের প্রভাব বিস্তার করে এসব করতো বলে জানান তিনি। 

একইভাবে অন্য ভুক্তভোগী কে এম মোস্তফা নাজিম ২০০৩ সালের ১৯ শে ডিসেম্বর ঢাকা উদ্যানের সি বøকে ১ নং সড়কে ২নং প্লটে ২.২৫ কাঠা জমি ক্রয় করে। বাড়ীর পানির বিল, বিদ্যুৎ বিল, হোল্ডিং টেক্স নিয়মিত পরিশোধ করে আসছিলেন এবং এরই মধ্যে বহুতল বাড়ী নির্মানের কাজ শুরু করেন। কাজ শুরু করার পরপরই মনিরের সন্ত্রাসী বাহিনী মোটা অংকের টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অস্বীকার করবার পরপরই মনিরের সন্ত্রাসী বাহিনী জোরপূর্বক কাজ বন্ধ করে দেয় এবং মুখ খুললে বা প্রতিরোধের আগ্রহ দেখালে পুরো পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়।

মোস্তফা নাজিম জানায়, টিন ও বাস দিয়ে প্লটের চারিদিকে বেড়া নির্মাণ করে, শাকিল নামের একজনকে মালিক বানিয়ে সাইনবোর্ড লাগিয়ে দেয়। ৫ই নভেম্বর অন্য মামলায় সন্ত্রাসী মনির গ্রেফতার হলে আমি তাৎক্ষনিক প্লটে গিয়ে নিজের সাইনবোর্ড লাগিয়ে পুনঃদখলের চেষ্টা করি কিন্তু মনিরের বাহিনী সেই সাইনবোর্ড উচ্ছেদ করে আবার তাদের দখলে নেয়।

ঢাকা উদ্যান এলাকাবাসীর কাছে মূর্তমান আতংক এ মনির, তার কর্মকান্ডের কাছে জিম্মি এখানকার অধিকাংশ ব্যবসায়ী ও বাসিন্দারা। সেসময় গ্রেফতারের পর এ কালামনির অস্ত্র আইনে ৩ দিন ও মাদক মামলায় ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এর মধ্যে কালা মনিরের সন্ত্রাসী বাহিনী তার অবৈধ কাজগুলোর তদারগি করে যাচ্ছে মনিরের মা সাবিয়া বেগম সহ।

০৫ তারিখ সরকার পতনের মাধ্যম অর্ন্তবর্তীকালীন সরকার প্রতিষ্ঠা হলে মনির বাহিনী ভীত হয়ে গা ঢাকা দেয় এবং আড়াল থেকে অপরাধমুলক কাজগুলো পরিচালনা করে। আমি এবং আমার  মত ভুক্তভোগীরা জনগনের সরকার কায়েম হওয়ায় আশার আলো দেখছি এবং জমি ফেরত পাওয়ার আশা করছি।

আরেক ভুক্তভোগী হাজি বরকত উল্লাহ্ জানান ২০১৫ সালে মনিরের নের্তৃত্বে একদল সন্ত্রাসী অস্ত্রসস্ত্রে নিয়ে মোহাম্মদপুর ঢাকা উদ্যান ইট-বালু ব্যবসায়ী ও সমবায় সমিতিতে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট করে। একই সময়ে সেখানে অবস্থিত ৮ টি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের গদি ভাংচুর করা হয়। এসব গদিতে প্রায় ৪০ জন মালিক ব্যবসার সাথে জড়িত ছিল। এছাড়া ২০১৬ সালে একই কায়দায় আজহার এন্টাপ্রাইজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভুয়া নিলামের কাগজ দেখিয়ে, সন্ত্রাসী ক্যাডার বাহিনী দিয়ে কয়েক ট্রাক ইট, বালু সরিয়ে নেয় মনির। তবে নিজের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে মনির।

অন্য ভুক্তভোগী হেদায়েতুল্লাহ্ ঢাকা উদ্যানে তার পৈত্রিক জমিতেও বসবাস করতে পারেনি সন্ত্রাসী মনির বাহিনীর দখল বাণিজ্যের কারণে ভুক্তভোগীর ছেলে হেমায়েত উল্লাহ্ প্রিন্স জানায় রোড নং ঃ ০১, প্লট নং ঃ২৪, বøক ঃডি তার বাবার পৈত্রিক সম্পদ কিন্তু গত ১৬/০৮/২০২০ সালে রাত প্রায় ০৮ টার সময় ৫০-৬০ জন সশস্ত্র লোক নিয়ে তাদের বাড়ীতে আক্রমণ করে চরম নির্যাতন করে পরিবারের সদস্যদের এবং দাবি করে ২৫ লক্ষ টাকা। তাৎক্ষনিক টাকার সংস্থান না থাকায় আমাদেরকে জোরপূর্বক উচ্ছেদ করে তাড়িয়ে দেয়। পরবর্তীতে আপোসনামায় স্বাক্ষর করতে বাধ্য করে যাতে উল্লেখ থাকে ২ কিস্তিতে ১৫ লক্ষ টাকা পরিশোধ করতে হবে। এরই মধ্যে সরকার পরিবর্তনে সন্ত্রাসীরা গা ঢাকা দেয়।

ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) ও সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে রাজধানীর উত্তরার পশ্চিম থানা এলাকা থেকে কয়েক বস্তা ভর্তি টাকাসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযানের দুদিন পর পুলিশ জানিয়েছে, বস্তাভর্তি টাকার মধ্যে নগদ পাওয়া গেছে ১ কোটি ১৬ লাখ টাকা। সেই সঙ্গে বিপুল পরিমান বিদেশি টাকাও জব্দ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ডিএমপির উত্তরা বিভাগের উপকমিশনার রওনক জাহান।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন শাহজাদা খান সাজ্জাদ, মো. তৌজিদুল ইসলাম ও মো. সাইফুল ইসলাম। এসময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ২টি প্রাইভেটকার ও ৩টি  বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, তাদের কাছ থেকে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেটগুলো পলাতক ঢাকা-১৮ এর সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ হাবিব হাসান ও তার ছেলে পলাতক আবির হাসান তামিম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময়ে ব্যবহার করতো।

তারা আরও জানায়– জব্দকৃত টাকা, বৈদেশিক মুদ্রা ও গাড়ি ২টিও তাদের এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের। এছাড়াও, অভিযান পরিচালনাকৃত বাড়িটি আবির হাসান তামিমের শ্বশুরবাড়ি বলে জানায় তারা।

খারাপ সময় যেন পিছু্ই ছাড়ছে না সাবেক সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের। হত্যা মামলা, ইনজুরি বিতর্কের পর এবার বড় শাস্তির মুখে পড়েছেন বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডার। শেয়ার লেনদেনে কারসাজির অভিযোগে সাকিবকে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত বিএসইসি ৯২৩তম কমিশন সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছে বিএসইসি।

সাকিবের পাশাপাশি কারসাজির আরেক হোতা আবুল খায়ের হিরুকে ২৫ লাখ টাকা, ইশাল কমিউনিকেশন লিমিটেডকে ৭৫ লাখ, মোনার্ক মার্টকে ১ লাখ, আবুল কালাম মাতবরকে ১০ লাখ, লাভা ইলেক্ট্রোড ইন্ডাস্ট্রিজকে ১ লাখ এবং জাহেদ কামালকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

বিএসইসি জানিয়েছে, প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির শেয়ার কারসাজির কারণে তাদের সবাইকে মোট এক কোটি ৬৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জের পাঁচপাড়া এলাকায় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুর আলম ওরফে নুরু টেইলারকে পিটিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।

রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। নিহত নুর আলম চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের ২নং পাঁচপাড়া ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের পাঁচপাড়া এলাকার কালামিয়ার ছেলে।

স্থানীয়রা জানায়, রাজনীতির পাশপাাশি টেইলারের কাজ করতেন নুর। ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর থেকে ব্যবসা বন্ধ করে তিনি বাড়িতে আত্নগোপনে ছিলেন। রোববার রাত ৯টার দিকে আনোয়ার হোসেন নিকু ও দামা কালুর ভাই খোকনসহ ১৫-২০ জন নুরের বাড়িতে হামলা চালায়। একপর্যায়ে পিটিয়ে তাকে গুরুতর আহত করে। এসময় বাধা দিতে গেলে স্ত্রী-সন্তানকে পিটিয়ে আহত করা হয়। পরে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের ছেলে আরিফ হোসেনের অভিযোগ, বিএনপি সমর্থক স্থানীয় সন্ত্রাসী আনোয়ার হোসেন নিকু ও দামা কালুর ভাই খোকনসহ ১৫-২০ জনের একদল সন্ত্রাসী রাত ৯টার দিকে পাঁচপাড়ার বাড়িতে প্রবেশ করে। এসময় ঘরে হামলা চালায় এবং আমার বাবাকে পিটিয়ে হত্যা করে।

সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার. ডা. জয়নাল আবেদিন বলেন, হাসপাতালে আনার আগে মারা সে গেছে। তবে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। তবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত করেন।

চন্দ্রগঞ্জ থানার পুৃলিশ পরির্দশক (তদন্ত) মো. মফিজুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে এই হত্যাকাণ্ডের সাথে কারা জড়িত বা কী কারণে ঘটনাটি ঘটেছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেফতারে অভিযান চলছে বলেও জানান তিনি।

জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে এ পর্যন্ত শহীদ হওয়া ১ হাজার ৪২৩ জনের নামের তালিকা পেয়েছে স্বাস্থ্য বিষয়ক কেন্দ্রীয় উপ-কমিটি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কমিটির সদস্য সচিব ও সমন্বয়ক তারেকুল ইসলাম।

শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আহত ও শহীদদের তালিকা ও সার্বিক সহযোগিতার বিষয়ে দেয়া এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান। তবে, এ সংখ্যা আরও কমতে বা বাড়তে পারে বলেও জানান উপ-কমিটির এই সদস্য সচিব।

তিনি বলেন, গত এক মাস ধরে নানান ভাবে যাচাই-বাছাইয়ের পর পাওয়া সবশেষ তথ্যমতে আহত পাওয়া গেছে ২২ হাজার। চিরতরে পঙ্গু বা অঙ্গহানী হয়েছে এমন ব্যক্তির সংখ্যা ৫৮৭।

আন্দোলনে চোখে গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে ৬৮৫ জন। তারমধ্যে ৯২ জন ব্যক্তির দুই চোখ চিরতরে নষ্ট হয়ে গেছে।

এছাড়া, জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন ও সরকার আলাদা আলাদাভাবে শহীদ ও আহতদেরকে ভাতা বা অনুদান প্রদান করবে বলেও জানান তিনি।

তারেকুল ইসলাম বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে প্রাথমিকভাবে নিহতদের পরিবারকে ৮ লাখ টাকা দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। একইসাথে আহতদেরকে সর্বোচ্চ ৪ লাখ টাকা করে দেয়া হতে পারে। এছাড়াও সরকারের পক্ষ থেকে শহীদ পরিবারকে মাসিক ২০ থেকে ৩০ হাজার করে মাসিক ভাতা দেয়া হতে পারে। তবে এসব সিদ্ধান্ত এখনও চূড়ান্ত হয়নি বলেও জানান তিনি।

রাজধানীর রায়েরবাজারে যৌথবাহিনীর অভিযানে বেশ কিছু অস্ত্র ও তাজা গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে রাতে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়।

সেনা কর্মকর্তারা জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তারা জানতে পারেন, কিছু লোক অস্ত্র বেচাকেনার জন্য রায়েরবাজার এলাকায় জড়ো হয়েছে। পরে মোহাম্মদপুর আর্মি ক্যাম্প থেকে মেজর নেয়ামুলের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি পেট্রোল দল সেখানে অভিযান চালায়।

সেনা সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে অস্ত্রের ব্যাগ ফেলে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয় ১৫টি বিভিন্ন সাইজের পিস্তল, ২৪০টি তাজা গুলি ও ২৮টি টিয়ার শেল।

সেনা সদস্যদের ধারণা, উদ্ধার হওয়া অস্ত্রগুলো থানা থেকে লুট হওয়া। সেগুলো থানায় ফেরত দেয়ার কথাও জানান তারা। আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা সমুন্নত রাখতে যৌথ বাহিনীর অভিযান আরও কড়াকড়ি করা হবে বলেও জানান অভিযানে নেতৃত্ব দেয়া সেনা কর্মকর্তা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিহত তোফাজ্জল হত্যায় গ্রেফতার ৬ শিক্ষার্থী ১৪৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। শুক্রবার তাদের আদালতের হাজতখানায় হাজির করা হলে তারা এই জবানবন্দি দেয়।

তোফাজ্জল হত্যার পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের মামলায়  সিসিটিভি ফুটেজ দেখে এই শিক্ষার্থীদের শাহবাগ থানার পুলিশ গ্রেফতার করে। 

মৃত্তিকা পানি ও পরিবেশ বিভাগের মোহাম্মদ সুমন, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের জালাল আহমেদ, গণিত বিভাগের আহসান, পুষ্টি ও খাদ্য ইনস্টিটিউটের মুত্তাকীন সাকিন, জিওগ্রাফির আহ হোসেন সাজ্জাদ ও ওয়াজিবুল।

উল্লেখ্য গত বুধবার চোর সন্দেহে ফজলুল হক মুসলিম হলের শিক্ষার্থীরা আটক করে তোফাজ্জলকে। রাতে কয়েক দফা মারধরের পরে হাসপাতালে নেয়া হলে ডাক্তার তাকে মৃত্যু ঘোষনা করে।

সম্পাদক ও প্রকাশক : মঈনুদ্দিন কাজল
deshermatidaily@gmail.com
০১৬১৫১১২২৬৬, ০১৬৭৩৫৬২৭১৬

দেশের মাটি কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।